'বাঁশি শুনে আর কাজ নেই...সে যে ডাকাতিয়া বাঁশি...' জনপ্রিয় গানটির প্রথম পংক্তিটির 'বাঁশি' বাহারি কৃত্রিম ডিজিটাল সাউন্ড সিস্টেমের ছোবলে কদর কিছুটা কমলেও বন্ধ হয়ে যায়নি। এখনো বাঁশি শিল্পটিকে বাঁচিয়ে রাখাসহ শ্রীমর্দ্দী গ্রামের অধিকাংশ পরিবারের মানুষ এর ওপর ভর করে তাদের জীবিকা নির্বাহ করে আসছে সেই নবাব সিরাজদ্দৌলার আমল থেকে। মেঘনা নদীর কোলঘেঁষা ছোট্ট দ্বীপের মতো কুমিল্লার হোমনা পৌরসভার দক্ষিণের গ্রাম শ্রীমদ্র্দী। মেঘনার চরে গড়ে ওঠা শ্রীমর্দ্দীর রয়েছে বাঁশি তৈরির সুদীর্ঘ ইতিহাস।
গ্রামটিতে ১৯ হাজার লোক বসবাস করছে কেবল বাঁশি শিল্পকে পুঁজি করে। যদিও বাঁশি কারিগরগণ কেউ স্বচ্ছল নয়, তবু তারা বসবাস করছে ভিন্ন আমেজ-স্বকীয়তা বজায় রেখে। এ-গাঁয়ে যেমন রয়েছে তুখোড় বাঁশি বাজানেওয়ালা বা বাঁশরিয়া ওস্তাদ জাহাঙ্গীর আলম, হাসু ফকির, করম আলী তেমনি এ গাঁয়ের তৈরি উন্নতমানের বাঁশি বাংলার সুনাম অক্ষুণ্ন রেখে মধ্যপ্রাচ্যের সবকটি দেশ, যুক্তরাষ্ট্র, লন্ডন, জাপান, অষ্ট্রেলিয়া, ডেনমার্কসহ ইউরোপের আরও অনেক রাষ্ট্রে আধুনিক প্রযুক্তিকে হার মানিয়ে রপ্তানি হচ্ছে।
কথা হয় তরুণ মফিজ মিয়ার সঙ্গে। সে জানায়,_'আমি ছুডু সময় (৮ বছর বয়স) থেইক্ক্যা বাঁশি বানাইতে পারি। কেউ শিখাইয়া দেয় নাই। আব্বা-আম্মার বাঁশি বানানো দেইখ্যা শিখছি। অহন তো আমার লগে কেউ পারতো না। জমিতে বদলি দিয়া আমার বন্ধু হারিছ ডেইলি পায় ১০০ টাকা, আমি আপনাগো দোয়ায় কামাই ১৭০ থেইক্ক্যা ২০০ টাকা'। বাঁশির গ্রাম শ্রীমদ্র্দী ঘুরতে ঘুরতে কথা হয় আরেক বাঁশি কারিগর প্রাথমিক স্কুল গণ্ডি পেরোনো গোপাল (৩২), অনিল (২২) ও তাদের মা রেখা রানীর (৫৫) সঙ্গে। বাড়ির উঠোনে জলচৌকীতে বসে তাদের দেওয়া মুঁড়ি খেতে খেতে কথা বলতে থাকি। রেখা রানী জানায়,_'অনিল-গোপালের বাবা রতন দাস বাঁশি লইয়া শহরে যায় পাইকারি বিক্রি করন লাগি। আমরা মায়-পুতে (ছেলে) হারাদিন বইয়া বাঁশি বানাই। তয় আগের মতো লাভ হয় না।বিদেশি বেটারা ৪-৫ বছর ধইরা বাঁশি নিতাছে'। অনিল বলে,_'ছোট বেলায়ই বাঁশি রং, বার্নিশ, চাক্কি, ছিদ্র করা শিখছি। অহন বিদেশি গো জন্য স্পেশাল বাঁশি কারুকাজ করা নানা বাহারি ডিজাইনের বাঁশি বানাই। গোপালের মতে এই মৌসুমে হাতে কাজ থাকে বেশি। কারণ, বৈশাখ মাসে দেশ-বিদেশের বাঙালিদের কাছে বাঁশির কদর বেশি থাকে। ঢাকার পাইকাররা ফোনে বেশি-বেশি বাঁশি বানানোর জন্য অনুরোধ করে। চাহিদা মেটাতে হিমশিম খেতে হয় কেবল পুঁজির অভাবে।
গ্রামটিতে ১৯ হাজার লোক বসবাস করছে কেবল বাঁশি শিল্পকে পুঁজি করে। যদিও বাঁশি কারিগরগণ কেউ স্বচ্ছল নয়, তবু তারা বসবাস করছে ভিন্ন আমেজ-স্বকীয়তা বজায় রেখে। এ-গাঁয়ে যেমন রয়েছে তুখোড় বাঁশি বাজানেওয়ালা বা বাঁশরিয়া ওস্তাদ জাহাঙ্গীর আলম, হাসু ফকির, করম আলী তেমনি এ গাঁয়ের তৈরি উন্নতমানের বাঁশি বাংলার সুনাম অক্ষুণ্ন রেখে মধ্যপ্রাচ্যের সবকটি দেশ, যুক্তরাষ্ট্র, লন্ডন, জাপান, অষ্ট্রেলিয়া, ডেনমার্কসহ ইউরোপের আরও অনেক রাষ্ট্রে আধুনিক প্রযুক্তিকে হার মানিয়ে রপ্তানি হচ্ছে।
কথা হয় তরুণ মফিজ মিয়ার সঙ্গে। সে জানায়,_'আমি ছুডু সময় (৮ বছর বয়স) থেইক্ক্যা বাঁশি বানাইতে পারি। কেউ শিখাইয়া দেয় নাই। আব্বা-আম্মার বাঁশি বানানো দেইখ্যা শিখছি। অহন তো আমার লগে কেউ পারতো না। জমিতে বদলি দিয়া আমার বন্ধু হারিছ ডেইলি পায় ১০০ টাকা, আমি আপনাগো দোয়ায় কামাই ১৭০ থেইক্ক্যা ২০০ টাকা'। বাঁশির গ্রাম শ্রীমদ্র্দী ঘুরতে ঘুরতে কথা হয় আরেক বাঁশি কারিগর প্রাথমিক স্কুল গণ্ডি পেরোনো গোপাল (৩২), অনিল (২২) ও তাদের মা রেখা রানীর (৫৫) সঙ্গে। বাড়ির উঠোনে জলচৌকীতে বসে তাদের দেওয়া মুঁড়ি খেতে খেতে কথা বলতে থাকি। রেখা রানী জানায়,_'অনিল-গোপালের বাবা রতন দাস বাঁশি লইয়া শহরে যায় পাইকারি বিক্রি করন লাগি। আমরা মায়-পুতে (ছেলে) হারাদিন বইয়া বাঁশি বানাই। তয় আগের মতো লাভ হয় না।বিদেশি বেটারা ৪-৫ বছর ধইরা বাঁশি নিতাছে'। অনিল বলে,_'ছোট বেলায়ই বাঁশি রং, বার্নিশ, চাক্কি, ছিদ্র করা শিখছি। অহন বিদেশি গো জন্য স্পেশাল বাঁশি কারুকাজ করা নানা বাহারি ডিজাইনের বাঁশি বানাই। গোপালের মতে এই মৌসুমে হাতে কাজ থাকে বেশি। কারণ, বৈশাখ মাসে দেশ-বিদেশের বাঙালিদের কাছে বাঁশির কদর বেশি থাকে। ঢাকার পাইকাররা ফোনে বেশি-বেশি বাঁশি বানানোর জন্য অনুরোধ করে। চাহিদা মেটাতে হিমশিম খেতে হয় কেবল পুঁজির অভাবে।
No comments:
Post a Comment