Thursday, September 30, 2010

 অর্ণবের ‘রোদ বলেছে হবে’




দুই বছর পর আসছে অর্ণবের নতুন অ্যালবাম। অর্ণব জানালেন, এটি তাঁর চতুর্থ একক অ্যালবাম। এর নাম রোদ বলেছে হবে। আর ৩ অক্টোবর অ্যালবামটি বাজারে আসছে অর্ণবের নিজের প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান থেকে। এরই মধ্যে তিনি নতুন প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান গড়েছেন। এর নাম দিয়েছেন ‘আধখানা মিউজিক’।
অর্ণব বললেন, ‘যেহেতু অ্যালবামটি আমারই প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান থেকে বের হচ্ছে, তাই বেশি ভালো লাগছে। অ্যালবামের পুরো কাজের ওপর আমার একটা নিয়ন্ত্রণ ছিল। অন্য প্রতিষ্ঠান থেকে কাজ করতে গেলে অনেক অনুরোধ শুনতে হয়। এটা এখানে হয়নি। নিজের ইচ্ছামতো কাজ করেছি। যা পছন্দ হয়েছে, তা-ই চূড়ান্ত করেছি।’
তিনি জানালেন, এরই মধ্যে অ্যালবামের সব কটি গানের কথা, সুর ও স্বরলিপি কপিরাইটের আওতায় নিবন্ধন করিয়েছেন।
অর্ণব বললেন, ‘এই গানগুলো আমাদের সম্পদ। এগুলো যদি কপিরাইট নিবন্ধনের অভাবে পাইরেসি হয়ে যায়, তাহলে আমাদের থাকলটা কী? শ্রোতাদের অনুরোধ করব, সবাই আসল অ্যালবামটি কিনে শুনুন।’
অর্ণব তাঁর তিনটি একক অ্যালবামের প্রচ্ছদে নতুনত্ব আনার জন্য নানা ভূমিকা রেখেছেন। তাঁর ভাষায়, ‘এরপর অন্যান্য প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান ওই প্রচ্ছদগুলোর ভাবনা হুবহু কপি করেছে। এবার আরও আকর্ষণীয় করার চেষ্টা করেছি। সঙ্গে থাকছে ১৬ পাতার একটি কমিক বই। আমি চারুকলার ওপর পড়াশোনা করেছি। তাই কমিক বইটির লেখা ও আঁকা দুটোই নিজে করেছি।’
অ্যালবামের গানগুলো প্রসঙ্গে অর্ণব বললেন, ‘অ্যালবামটি শোনার পর শ্রোতারাই তা ভালো বলতে পারবে। আমি শুধু বলব, প্রতিটি অ্যালবামেই আমি নিজেকে ভাঙার চেষ্টা করি। নতুন কিছু যোগ করার চেষ্টা থাকে। এবারও এর ব্যতিক্রম হয়নি।’
অ্যালবামটি বাজারে আনতে সহযোগিতা করছে রবি। রবি রেডিওতে সব কটি গানই পাওয়া যাচ্ছে। আর অ্যালবামটি বিপণনের দায়িত্বে আছে বিএস ডিস্ট্রিবিউশন।

‘আগে বউকে অত্যাচার করেছি এখন বুঝি, তা ভুল ছিল’

‘আগে বউ ও বোনকে মনের অজান্তে অনেক অত্যাচার করেছি, এখন বুঝতে পারি, তা ভুল ছিল। আগে মেয়েদের ইভ টিজিংয়ের শিকার হতে দেখলে হাসিঠাট্টা করতাম। আর এখন তা প্রতিরোধে এগিয়ে যাই।’
দিনাজপুরের আবুল বাসেত এভাবেই জানালেন তাঁর উপলব্ধির কথা। গতকাল বুধবার রাজধানীতে এক অনুষ্ঠানে কেয়ার বাংলাদেশের নারী নির্যাতন প্রতিরোধবিষয়ক প্রকল্প ‘প্রতিরোধ’-এর সফলতা প্রসঙ্গে তিনি এ কথা বলেন।
‘প্রতিরোধ’ প্রকল্পটি সম্পর্কে জানানোর জন্য ব্র্যাক সেন্টারে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
২০০৭ সাল থেকে শুরু হওয়া প্রকল্পটি খুলনা, দিনাজপুর, ঢাকা ও টাঙ্গাইলের যৌনকর্মী এবং নির্যাতনের শিকার নারীদের জন্য পরিচালনা করা হয়। প্রকল্পের উপকারভোগীরা এর মেয়াদ বাড়ানোর ওপর গুরুত্ব দেন।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার এ কে এম শহীদুল হক বলেন, ‘দেশে নির্যাতনের শিকার নারীদের জন্য আইন আছে। কিন্তু পিতৃতান্ত্রিক সমাজব্যবস্থায় নারীরা সহজে আইনের আশ্রয় নিতে চান না। এ জায়গায় এনজিওসহ বিভিন্ন সংস্থাকে মধ্যস্থতা করতে হবে।’
কমিশনার আরও বলেন, নারীরা নির্যাতনের শিকার হলেও সব নির্যাতনের ঘটনা রেকর্ড হচ্ছে না। যৌনকর্মীদের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, দেশে এ পেশাটি থাকলেও আইনে তার স্বীকৃতি দেওয়া হয়নি। তবে পুলিশকর্মীরা যৌনকর্মীদের সহায়তা করতে বাধ্য।
আইন ও সালিশ কেন্দ্রের (আসক) চেয়ারপারসন হামিদা হোসেন নারী নির্যাতনের কারণ খুঁজে বের করা এবং পারিবারিক নির্যাতনের শিকার নারীদের জন্য করা আইনটি সংসদে দ্রুত পাসের ওপর গুরুত্ব দেন। প্রকল্প শেষ হলেই নারীদের আবার আগের অবস্থায় চলে যাওয়ার সমস্যা সমাধানের বিষয়টি জাতীয় পরিকল্পনায় অন্তর্ভুক্ত করতে হবে বলেও তিনি মত দেন।
ঢাকার যৌনকর্মীদের একটি সংগঠনের নেত্রী রাজিয়া বেগম বলেন, ‘ভাসমান যৌনকর্মীরা আগে থানা থেকে সাহায্য পেত না, বর্তমানে থানা সাহায্য করে। থানার বড় কর্মকর্তাসহ অন্যদের নিয়ে কমিটি গঠন করা হয়েছে।’
প্রকল্পটির প্রয়োজনীয়তা প্রসঙ্গে দিনাজপুরের একটি মাধ্যমিক স্কুলের প্রধান শিক্ষক আজিজুল হক বলেন, ‘যে ইউনিয়নে এ প্রকল্প চলছে, সেখানে বাল্যবিবাহের সুযোগ নেই। বিয়ের তথ্য সবাই জেনে ফেলে।’

পুরস্কৃত হলো তরুণদের তিনটি উদ্ভাবনী প্রযুক্তি

‘বিজয়ী হতে পেরে ভালো লাগছে। চেষ্টা করেছি ভালো কিছু করার, যার মাধ্যমে সত্যিকারের উপকার পাওয়া যাবে।’ এমন অনুভূতির কথা জানালেন সিটি ফাইন্যানশিয়াল আইটি কেস কম্পিটিশন (সিএফআইসিসি) প্রতিযোগিতার চ্যাম্পিয়ন দলের সদস্য নাসির খান। তরুণ শিক্ষার্থীদের জন্য এ ধরনের প্রতিযোগিতার আয়োজন বেশ সময়োপযোগী বলেও জানান তিনি।
বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ডেভেলপমেন্ট রিসার্চ নেটওয়ার্কের (ডি.নেট) আয়োজনে এবং সিটি ফাউন্ডেশনের পৃষ্ঠপোষকতায় দ্বিতীয়বারের মতো অনুষ্ঠিত হলো আর্থিক প্রতিষ্ঠানের জন্য তথ্যপ্রযুক্তি প্রকল্পের প্রতিযোগিতা (সিএফআইসিসি)। গতকাল বুধবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আনুষ্ঠানিকভাবে চূড়ান্ত পর্বে উত্তীর্ণ প্রকল্পকে পুরস্কৃত করা হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেন, ‘আমাদের দেশের বড় একটি অংশের শিশুরা বিদ্যালয়ে যাওয়ার সুযোগ পায় না। এর পরও যারা উচ্চশিক্ষার সুযোগ পাচ্ছে, তারা যথেষ্ট সৌভাগ্যবান।’ তিনি বলেন, শুরু থেকে অর্ধেক শিশু বিদ্যালয়ে যায়, যার মধ্যে বড় একটি অংশ প্রাথমিক পর্যায় পার করার আগেই ঝরে পড়ে। তিনি বলেন, উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত হলেই আসলে মানুষ হওয়া যায় না, এর জন্য প্রয়োজন নৈতিক শিক্ষা। একজন পূর্ণাঙ্গ মানুষ নৈতিক শিক্ষার মাধ্যমে পূর্ণ শিক্ষিত হতে পারেন।
পরে প্রধান অতিথি বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন। প্রতিযোগিতায় সেরা হয়েছে ইউনাইটেড আন্তর্জাতিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ফোর ডাইমেনশন দলের তৈরি সেবাধর্মী ব্যবসা বিষয়ে গ্রাহকদের সন্তুষ্টি সম্পর্কে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাসম্পন্ন একটি সফটওয়্যার প্রকল্প। বিজয়ী দলের সদস্যরা হলেন ফিরোজ ব্যাপারী, সাবরিনা হক, আমিনুল ইসলাম ও নাসির খান। বিজয়ী দল পুরস্কার হিসেবে পেয়েছে পাঁচ হাজার ডলার।
প্রথম রানার্সআপ হয়েছে ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশের স্ট্রেইড দলের ডিআইএফ মাইক্রো ব্যাংকিং সলিউশন প্রকল্প এবং দ্বিতীয় রানার্সআপ হয়েছে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের অক্টাভিয়ান দলের ভার্চুয়াল মানি ট্রান্সজেকশন প্রকল্প। প্রথম রানার্সআপ ও দ্বিতীয় রানার্সআপ দল পুরস্কার হিসেবে পেয়েছে যথাক্রমে দুই হাজার ডলার ও এক হাজার ডলার।
অনুষ্ঠানের শুরুতে স্বাগত বক্তব্য দেন সিটি কান্ট্রি কর্মকর্তা মামুন রশিদ। দ্বিতীয় সিএফআইসিসি সম্পর্কে বিস্তারিত তুলে ধরেন প্রতিযোগিতার পরিচালক মাহমুদ হাসান। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের অধ্যাপক সৈয়দ ফারহাত আনোয়ার, বাংলাদেশ ওপেন সোর্স নেটওয়ার্কের সাধারণ সম্পাদক মুনির হাসান, ডি. নেটের নির্বাহী চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম, মাইক্রোসফট বাংলাদেশের কান্ট্রি ম্যানেজার ফিরোজ মাহমুদসহ প্রতিযোগিতার বিচারকেরা। অনুষ্ঠান শেষে সবাইকে ধন্যবাদ জানান ডি.নেটের নির্বাহী পরিচালক অনন্য রায়হান।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, এই প্রতিযোগিতার মূল উদ্দেশ্য ছিল বিশ্ববিদ্যালয়পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের ব্যবসায়িক ক্ষেত্রে তথ্যপ্রযুক্তির সফল প্রয়োগের জ্ঞান বাড়ানো। বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশাপাশি বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের স্নাতক স্তরের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে প্রতিযোগিতায় তিনটি ধাপের মাধ্যমে বিজয়ী নির্বাচন করা হয়। প্রতিযোগিতার বিজয়ী দলের আর্থিক পুরস্কার ছাড়াও ক্রেস্ট ও সার্টিফিকেট দেওয়া হয়।

মুঠোফোনে ফরম বিতরণ শুরু আজ, ভর্তি পরীক্ষা ৪ নভেম্বর

চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) ২০১০-১১ শিক্ষাবর্ষের বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্সে ভর্তি পরীক্ষার আবেদনপত্র বিতরণ আজ বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হচ্ছে। এবার তিনটি অনুষদের সাতটি বিভাগে শিক্ষার্থীরা আবেদন করতে পারবেন। আগ্রহী শিক্ষার্থীদের দুর্ভোগ কমাতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ মুঠোফোনে খুদে বার্তা (এসএমএস) আদান-প্রদানের মাধ্যমে ভর্তি ফরম বিতরণ শুরু করেছে।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, ভর্তি ফরম গ্রহণ ও জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২০ অক্টোবর। ২৫ অক্টোবর ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার জন্য নির্বাচিত প্রার্থীদের তালিকা ও ক্রমিক নম্বর প্রকাশ করা হবে। ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে ৪ নভেম্বর এবং ফলাফল প্রকাশ করা হবে ১১ নভেম্বর।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, ‘ক’ ও ‘খ’ দুটি গ্রুপে ফরম বিতরণ করা হবে। ‘ক’ গ্রুপে রয়েছে ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগগুলো এবং নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগ। ‘খ’ গ্রুপে রয়েছে ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগগুলো, নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগ এবং স্থাপত্য বিভাগ। ভর্তি পরীক্ষার ফি ‘ক’ বিভাগের জন্য ৪৫০ টাকা এবং ‘খ’ বিভাগের জন্য ৫৫০ টাকা।
বিদেশি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে পাস করা শিক্ষার্থীরা খুদে বার্তার মাধ্যমে আবেদন করতে পারবেন না। এসব শিক্ষার্থীকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট থেকে আবেদন ফরম ডাউনলোড করে নিতে হবে। এরপর নির্ধারিত ফি সোনালী ব্যাংক চুয়েট শাখায় পরিশোধ করে পূরণ করা আবেদন ফরম রেজিস্ট্রার অফিসে জমা দিতে হবে। চুয়েটের ওয়েবসাইট: www.cuet.ac.bd

অনলাইনে আবেদনপত্র ১৮ অক্টোবর থেকে

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ২০১০-১১ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক সম্মান শ্রেণীতে ভর্তির আবেদনপত্র ১৮ অক্টোবর থেকে অনলাইনে পাওয়া যাবে। ভর্তি পরীক্ষা হবে ১৭ ডিসেম্বর।
গতকাল বুধবার গাজীপুরে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে প্রথম বর্ষ সম্মান শ্রেণীতে অনলাইন ভর্তিবিষয়ক কর্মশালার উদ্বোধনকালে ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য তোফায়েল আহমদ চৌধুরী এসব তথ্য জানান।
কর্মশালায় জানানো হয়, শিক্ষার্থীরা ১৮ অক্টোবর থেকে ৭ নভেম্বর পর্যন্ত আবেদনপত্র জমা দিতে পারবে। এ ক্ষেত্রে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে আবেদনপত্র পূরণ করার পর একটি প্রিন্ট কপি আবেদন ফিসহ সংশ্লিষ্ট কলেজে জমা দিতে হবে।
উচ্চমাধ্যমিকে মানবিক বিভাগ থেকে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের www.nu-ba.info, ব্যবসায় শিক্ষার শিক্ষার্থীদের www.nu.bbs.info, বিজ্ঞান শাখার শিক্ষার্থীদের www.nu-bsc.info ওয়েবসাইটে ভর্তির জন্য আবেদনপত্র পূরণ করতে হবে। ভর্তি পরীক্ষা ১৭ ডিসেম্বর শুক্রবার বেলা ১১টায় অনুষ্ঠিত হবে।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতকপূর্ব শিক্ষাবিষয়ক স্কুলের ডিন মোবাশ্বেরা খানমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে সহ-উপাচার্য (একাডেমিক) আবু সাঈদ খান, কম্পিউটার ও আইসিটি ইউনিটের পরিচালক মুমিনুল ইসলাম প্রমুখ বত্তব্য দেন।

হাইড্রোলিক হর্ন আমদানি নিষিদ্ধ হচ্ছে

শব্দ ও পরিবেশদূষণ রোধে হাইড্রোলিক হর্ন আমদানি নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। যোগাযোগ মন্ত্রণালয় এ ব্যাপারে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) ও অর্থ মন্ত্রণালয়কে চিঠি দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে।
গতকাল বুধবার সচিবালয়ে জাতীয় সড়ক নিরাপত্তা কাউন্সিলের বৈঠক শেষে যোগাযোগমন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেন সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান। যোগাযোগসচিব মোজাম্মেল হক খান ও স্বরাষ্ট্রসচিব আবদুস সোবহান শিকদার এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠক সম্পর্কে যোগাযোগমন্ত্রী বলেন, ‘রাজধানীর যানজট নিরসন এবং পরিবহনব্যবস্থার উন্নয়নে বাস-র‌্যাপিড-ট্রানজিট (বিআরটি) পদ্ধতি চালুর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এ জন্য ছয়টি করিডরও চূড়ান্ত করা হয়েছে। এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) অর্থায়নে উত্তরা-টঙ্গী-গাজীপুর করিডর অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বাস্তবায়ন করা হবে। ২০১২ সালে এর নির্মাণকাজ শুরু হবে।
প্রাথমিকভাবে চূড়ান্ত করা অন্য পাঁচটি করিডর হচ্ছে যাত্রাবাড়ী থেকে কাঁচপুর, শ্যামপুর থেকে নারায়ণগঞ্জ, দারুস সালাম থেকে সাভার, টঙ্গী থেকে আশুলিয়া ও খিলক্ষেত থেকে পূর্বাচল।
মন্ত্রী বলেন, রুট পারমিটের যেসব আবেদন রয়েছে, সেগুলো দ্রুত নিষ্পত্তি করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যানবাহনে এফএম রেডিও সংযোগের বিষয়ে আগের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের ওপরও গুরুত্বারোপ করা হয়েছে।
ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা হাইওয়েতে চলতে না পারার বিষয়টি নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে মন্ত্রী জানান।
বৈঠকে বিআরটিএকে দক্ষ ও শক্তিশালী করতে প্রশাসনিক পুনর্বিন্যাস এবং আরও জনবল নিয়োগের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এ ছাড়া রাজধানীতে মিনিবাসের পরিবর্তে বড় বাস নামানোর জন্য মালিকদের প্রতি অনুরোধ করা হয়।

সোনার পুতুলের নামে প্রতারণা

ঘটকের মাধ্যমে যোগাযোগ হয় বগুড়ার দুপচাঁচিয়া উপজেলার জিয়ানগর সোনারপাড়া গ্রামের আমজাদ হোসেনের সঙ্গে। আমজাদ হোসেনের মেয়ের সঙ্গে বিয়ের কথাবার্তা পাকাপাকি হলে ঈদের আগে আমজাদ হোসেন জানান, মেয়েকে বিয়ে দেওয়ার মতো টাকা তাঁর নেই, তবে একটি সোনার পুতুল আছে। পুতুলটির দাম অনেক। তিন লাখ টাকা দিয়ে ওই পুতুল নিয়ে বাকি টাকা যৌতুক হিসেবে গ্রহণ করবেন।
সেই কথামতো গত ১১ সেপ্টেম্বর আমজাদ হোসেনকে এক লাখ ৮০ হাজার টাকা দিয়ে সোনার পুতুল নিয়ে যান সিরাজগঞ্জের মিরপুর সদর রেল কলোনির বাসিন্দা মনোয়ারা বেগম। কিন্তু দোকানে নিয়ে জানতে পারেন পুতুলটি তামার। পরে টাকা উদ্ধারের জন্য আমজাদ হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি ভয়ভীতি, এমনকি প্রাণনাশেরও হুমকি দেন। বাধ্য হয়ে থানায় মামলা করেন তিনি।
অভিযোগ রয়েছে, দুপচাঁচিয়া উপজেলার জিয়ানগর ইউনিয়নের সোনারপাড়া ও গুনাহার ইউনিয়নের তালুচবাজারসংলগ্ন কয়েকটি গ্রামের অনেকেই নকল সোনার পুতুল ব্যবসায় জড়িত। এসব ব্যবসায়ী স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, রাজনীতিক ও পুলিশ প্রশাসনকে হাত করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে।
অনুসন্ধানে জানা যায়, ওই সব গ্রামের লোকজন সোনার পুতুলের লোভ দেখিয়ে বিভিন্নজনের সঙ্গে যোগাযোগ করে এলাকায় নিয়ে আসে। তারপর সোনার প্রলেপ দেওয়া পুতুল ক্রেতাদের হাতে দিয়ে পুতুলের সোনার সামান্য টুকরো ক্রেতাদের ভেঙে দেয়। ওই অংশ পরীক্ষা করে সোনার প্রমাণ পাওয়ার পর ক্রেতারা ওই পুতুল লাখ লাখ টাকা দিয়ে কিনে নেন। কিন্তু প্রতারিত হয়ে টাকা উদ্ধার করতে এলে স্থানীয় লোকজনের হাতে নির্যাতনের শিকার হন অথবা কোনো ক্রেতা পুতুল না কিনে ফিরে যাওয়ার চেষ্টা করলে স্থানীয় দুর্বৃত্তরা তাঁদের টাকা কেড়ে নেয়।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, প্রতি মাসেই চার-পাঁচজন মানুষ সোনার পুতুল কিনতে এসে প্রতারণার শিকার হন। তবে গত এক বছরে এ ধরনের প্রতারণার শিকার হয়ে থানায় মাত্র আট-নয়টি মামলা হয়েছে। পুলিশ ১৪-১৫ জনকে গ্রেপ্তার করে। কিন্তু প্রতারকেরা খুব সহজেই ছাড়া পেয়ে আবার ব্যবসা শুরু করে। গত ১৬ সেপ্টেম্বর গাজীপুরের জয়দেবপুরের শিরিন আকতার সোনার পুতুল কিনতে এসে এক লাখ পাঁচ হাজার টাকা খুইয়ে থানায় মামলা করেন। একইভাবে প্রতারণার শিকার হয়েছেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক সেনাসদস্যের মা ও গোপালগঞ্জের এক পুলিশ কর্মকর্তার আত্মীয়। এই দুই ঘটনায় ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তাদের চাপে থানার পুলিশ স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সহায়তায় কিছু টাকা উদ্ধার করে দিয়েছে, তবে কোনো মামলা হয়নি।
উপজেলার তালুচবাজার পরিচালনা কমিটির সম্পাদক আবুল কালাম বলেন, স্থানীয় রাজনীতিক, জনপ্রতিনিধি ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থার লোকজনকে ম্যানেজ করেই এলাকায় এ ব্যবসা চলছে। গুনাহার ইউপি চেয়ারম্যান নূরুল ইসলাম খান এলাকায় পুতুল ব্যবসার কথা স্বীকার করে বলেন, এ ব্যবসায় পুলিশ সরাসরি জড়িত। পুলিশ ইচ্ছা করলেই এ ব্যবসা বন্ধ করতে পারবে। উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মিজানুর রহমান খান বলেন, নকল পুতুল ব্যবসায়ীদের সঙ্গে রাজনীতিকদের কোনো সম্পর্ক নেই।
থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোজাম্মেল হক বলেন, থানার কোনো পুলিশ কর্মকর্তা এ ঘটনায় জড়িত থাকলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও উপজেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভাপতি সুফিয়া নাজিম বলেন, এলাকায় লিফলেট বিতরণ ও পোস্টার সাঁটিয়ে গণসচেতনতা বৃদ্ধির মাধ্যমে এ ঘটনা রোধ করার জন্য সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যানদের পরামর্শ এবং প্রতারিত ব্যক্তিরা থানায় এলে পুলিশকে মামলা নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

দুর্গাপূজায় ইভ টিজিং ও মাদক বন্ধে থাকবে ভ্রাম্যমাণ আদালত

আসন্ন শারদীয় দুর্গাপূজায় ইভ টিজিং ও মাদকের অপব্যবহার বন্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালত কাজ করবেন। জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে আদালত তাৎক্ষণিক অভিযান চালিয়ে এসব অপরাধের শাস্তি দেবেন। এ ছাড়া নিরাপত্তার দায়িত্বে নগরে থাকবে দুই হাজার পুলিশ ও আনসার সদস্য। নগরের ২১৮টি পূজামণ্ডপের মধ্যে ৭৫টিকে গুরুত্বপূর্ণ এবং ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম নগর পুলিশের সম্মেলনকক্ষে পূজা উদ্যাপন পরিষদের নেতা ও সাংবাদিকদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় এসব তথ্য জানান পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ আবুল কাশেম। কমিশনার বলেন, শারদীয় উৎসব শান্তিপূর্ণ ও নির্বিঘ্ন করতে জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হবে। এর মাধ্যমে পূজামণ্ডপে ইভ টিজিং ও মাদক ব্যবহার বন্ধ করা হবে। জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বসে ভ্রাম্যমাণ আদালতের সংখ্যা ঠিক করা হবে।
মতবিনিময় সভায় জানানো হয়, নগরে সবচেয়ে বেশি পূজামণ্ডপ রয়েছে কোতোয়ালি থানা এলাকায়। এখানে ৯৬টি মণ্ডপ আছে। এর মধ্যে ২৫টিকে অধিক গুরুত্বপূর্ণ ধরা হয়েছে। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পূজামণ্ডপ রয়েছে চান্দগাঁও থানায়। নগরে গুরুত্বপূর্ণ মণ্ডপের তালিকায় রাখা হয়েছে ৫৩টিকে। এ ছাড়া সাধারণ রয়েছে ৯০টি।
অধিক গুরুত্বপূর্ণ প্রতিটি মণ্ডপে দুজন পুলিশ কনস্টেবলের পাশাপাশি আটজন আনসার সদস্য নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবেন। গুরুত্বপূর্ণ মণ্ডপের প্রতিটিতে নিরাপত্তা সদস্য থাকবেন আটজন। সাধারণ মণ্ডপের প্রতিটির নিরাপত্তায় থাকবেন ছয়জন সদস্য। এ ছাড়া র‌্যাবের টহল থাকবে বলে জানানো হয়। পূজা চলাকালে যানজট কমাতেও বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মতবিনিময় সভায় পুলিশ, র‌্যাব ও আনসারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ছাড়াও মহানগর পূজা উদ্যাপন পরিষদের সভাপতি তিমির বরণ চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক রানা বিশ্বাস উপস্থিত ছিলেন।

ট্রেন-বাস সংঘর্ষ

ট্রেনটি আসছিল নারায়ণগঞ্জ থেকে। কমলাপুর রেলস্টেশনে পৌঁছাতে আর অল্প সময় বাকি। তখনই ঘটে গেল মর্মান্তিক ঘটনাটি। কমলাপুর রেলস্টেশন থেকে কয়েক কিলোমিটার দূরে সায়েদাবাদ রেলক্রসিংয়ে দুটি বাসকে ধাক্কা দেয় ট্রেনটি। বাস দুটি গিয়ে পড়ে পাশের ফল ও হালিম বিক্রেতার দোকান আর রিকশার ওপর। ঘটনাস্থলেই মারা যান চারজন। পরে হাসপাতালে আরও দুজনের মৃত্যু হয়। নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে দুজন নারী। আহত ১৩ জনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
গতকাল বুধবার বিকেল পাঁচটার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে। বাসগুলো টিকাটুলি থেকে যাত্রাবাড়ীর দিকে যাচ্ছিল। এর একটি ঢাকা থেকে নারায়ণগঞ্জ ও অন্যটি মিরপুর থেকে যাত্রাবাড়ী রুটে চলাচল করে। দুর্ঘটনায় হতাহত ব্যক্তিদের মধ্যে বাসযাত্রী ছাড়াও পথচারী ও ঘটনাস্থলে অবস্থানকারী ব্যক্তি রয়েছেন।
দুর্ঘটনার পর টিকাটুলি থেকে সায়েদাবাদের দিকে যাওয়া-আসার সড়ক বন্ধ থাকে প্রায় দেড় ঘণ্টা। ট্রেনের চালক ট্রেন ফেলে পালিয়ে যাওয়ার পর রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ বিকল্প চালকের মাধ্যমে ট্রেনটি সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার সময় সরিয়ে নেয়। এরপর যান চলাচল শুরু হয়।
প্রত্যক্ষদর্শী ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা এ ঘটনার জন্য সায়েদাবাদ রেলক্রসিংয়ের লাইনম্যানকে দায়ী করেছেন। লাইনম্যান সময়মতো টিকাটুলির পাশের প্রতিবন্ধক দণ্ড না নামানোয় দুটি বাস রেললাইনের ওপরে উঠে যায়। এ সময় লাইনম্যান সায়েদাবাদের দিকের প্রতিবন্ধক দণ্ডটি ফেলে দেওয়ায় বাসগুলো আর এগোতে পারেনি। এ সময়েই ট্রেনটি হুইসেল বাজাতে বাজাতে আসতে থাকে। কিন্তু বাসগুলোর তখন না ছিল এগোবার উপায়, না পেছানোর উপায়। কারণ পেছনে তখন গাড়ি আর রিকশার লম্বা সারি। ফলে দুর্ঘটনা ছিল অবধারিত।
ট্রেনটি নারায়ণগঞ্জগামী বেকার পরিবহন (নারায়ণগঞ্জ-ব ১১০০৩৯) ও মিরপর থেকে যাত্রাবাড়ীগামী বিকল্প পরিবহনের (ঢাকা মেট্রো-জ ১১৩১১৬) গাড়িটিকে সজোরে ধাক্কা দেয়। এতে বেকার পরিবহনের বাসের এক পাশ দুমড়েমুচড়ে যায়। বিকল্প পরিবহনের বাসটির ক্ষতি ছিল অপেক্ষাকৃত কম। ট্রেনের ধাক্কায় বাস দুটি রেললাইনের পাশের কয়েকটি ফলের দোকান, একটি হালিমের দোকান, একটি রিকশা ও কয়েকজন পথচারীর ওপর গিয়ে পড়ে।
রাতে এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত নিহত তিনজনের পরিচয় পাওয়া গেছে। তাঁরা হলেন পথচারী লিসা বেগম (৩৮)। তিনি যাত্রাবাড়ীর করাতিটোলার বাসিন্দা। সায়েদাবাদে মেয়ের বাসা থেকে ফিরছিলেন তিনি। অপরজন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোলের ছাত্র নাজিম উদ্দিন। বাড়ি কিশোরগঞ্জের বাজিতপুরে। আরেকজন হলেন ফুটপাতের হালিম বিক্রেতা আবেদ আলী (৫৫)। তাঁর গ্রামের বাড়ি শরীয়তপুরের জাজিরায়, থাকতেন গেন্ডারিয়ার ঘুণ্টিঘর এলাকায়।
আহত ব্যক্তিরা হলেন আলী আকবর (৩০), জামাল হোসেন (৩৮), তারিকুল ইসলাম, (৩৮), আক্তার হোসেন (৩০), শারমিন (১৮), তাঁর স্বামী সোহেল (২৫), কমল সরকার (৫০), ইমন (২২), ঊর্মি (২৫), আমেনা বেগম (৫০), মামুন (২২), মোস্তফা (৩৫) ও নটর ডেম কলেজের ছাত্র তারেক (২৩)। তাঁরা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
পুলিশের ওয়ারী বিভাগের উপকমিশনার তৌফিক মাহবুব চৌধুরী প্রথম আলোকে জানান, হতাহত ব্যক্তিদের বেশির ভাগই বাসযাত্রী। কয়েকজন পথচারী।
দুর্ঘটনার পরপরই ট্রেন ও দুটি বাসের চালক এবং তাঁদের সহকারী, রেলক্রসিংয়ে লাইনম্যান ও ট্রেনের চালক পালিয়ে যান।
ঘটনাটি কীভাবে ঘটল, জানতে চাইলে র‌্যাব-৩-এর কমান্ডিং অফিসার লে. কর্নেল মো. রফিকুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, লাইনম্যান সময়মতো বার ফেলেনি। ফলে বাস দুটি রেললাইনের ওপর উঠে পড়ে। আর ট্রেনের ধাক্কায় বাস দুটি আশপাশের দোকান ও রিকশার ওপর গিয়ে পড়ে।
সায়েদাবাদ বাসস্ট্যান্ডের সামনে দাঁড়িয়ে পুরো ঘটনাটি দেখছিলেন বাবু নামের এক ব্যক্তি। ঘটনার তিনি এ রকম বর্ণনা দেন, ‘বাসগুলো রেলক্রসিংয়ের ওপর দাঁড়ানো ছিল। কিন্তু সামনের বাঁশ (প্রতিবন্ধক দণ্ড) ফালানো ছিল। এ কারণে ট্রেন হুইসেল বাজালেও বাসগুলো সরতে পারে নাই। ট্রেনটা ধাক্কা দিয়া বাসগুলানরে ফুটপাতের ফলের দোকান আর রিকশার ওপর নিয়া ফেলল।’
দুর্ঘটনার পর টিকাটুলি থেকে সায়েদাবাদ পর্যন্ত সড়কে যান চলাচল দেড় ঘণ্টার জন্য বন্ধ থাকে। ট্রেনের চালক পালিয়ে যাওয়ায় ট্রেনটি সরানোর কেউ ছিল না। ফলে এই রুটের গাড়িগুলো ঘুরে আশপাশের বিভিন্ন সড়ক দিয়ে চলাচল করে। এতে করে গুলিস্তান, যাত্রাবাড়ী, কমলাপুর, মতিঝিল এলাকায় তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। পরে সন্ধ্যা ছয়টা ২০ মিনিটের দিকে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ বিকল্প চালকের মাধ্যমে ট্রেনটি সরিয়ে নিলে যান চলাচল আবার শুরু হয়।
আহতদের মুখে ঘটনার বর্ণনা: আহত বাসযাত্রী গিয়াস উদ্দিন সরকার বলেন, তিনি বাংলাদেশ জুট করপোরেশনের মতিঝিল অফিসে কাজ করেন। অফিস শেষে নারায়ণগঞ্জের বাসায় যাওয়ার জন্য বেকার পরিবহনের একটি বাসে ওঠেন। ৫২ আসনের এই বাসে কয়েকজন যাত্রী দাঁড়িয়ে ছিলেন। বাসটি সায়েদাবাদ রেললাইন অতিক্রম করার আগেই যানজটে আটকে যায়। কিছুক্ষণ পর তাঁদের বাসটি সায়েদাবাদ রেলক্রসিং পার হচ্ছিল। বাসটির সামনের অংশ রেলক্রসিং পার হওয়া মাত্র পেছনের যাত্রীরা ট্রেন ট্রেন বলে চিৎকার করে ওঠেন। অনেকে গেট ও জানালা দিয়ে দ্রুত নেমে যান।
গিয়াস উদ্দিন বলেন, ‘জীবন বাঁচাতে আমি হতাহত ব্যক্তিদের ওপর দিয়ে লাফিয়ে পালাচ্ছিলাম।’ তখন পাশেই তাঁর প্রতিবেশী আমেনা বেগমকে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন তিনি। আশপাশের লোকজনের সহায়তায় আমেনা বেগমকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান তিনি।
আহত আক্তার হোসেন বলেন, তিনি একটি তৈরি পোশাক কারখানায় কাজ করেন। গাজীপুর থেকে সায়েদাবাদ এসে বাসস্ট্যান্ডে দাঁড়িয়ে ছিলেন। হঠাৎ লোকজন দৌড়াদৌড়ি শুরু করেন। অনেকে ভেবেছেন, হয়তো কোথাও মারামারি লেগেছে। কিছু বুঝে ওঠার আগেই তিনিও দৌড় দেন। ওই সময় একটি বাস উল্টে তাঁর ওপর পড়লে তিনি আহত হন। আহত শারমিন আক্তার জানান, তিনি কুমিল্লা থেকে ঢাকার সায়েদাবাদে নামেন। পরে তিনি একটি রিকশায় ওঠেন। রেলক্রসিং অতিক্রম করার সময় বাসের নিচে চাপা পড়েন।
গতকাল ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায়, আহত ব্যক্তিদের কয়েকজনকে জরুরি অস্ত্রোপচার কক্ষে নেওয়া হয়েছে। জরুরি বিভাগের বিছানায় আমেনা বেগম ব্যথায় ছটফট করছিলেন। তিনি চিৎকার করে বলে ওঠেন, ‘বাজান, আমার বাজান কই?’ অস্ত্রোপচার শেষে তাঁকে পর্যবেক্ষণ কক্ষে নেওয়া হয়।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ক্যাজুয়ালটি বিভাগের আবাসিক চিকিৎসক এইচ এ নাজমুল হাকীম প্রথম আলোকে বলেন, আহত ব্যক্তিদের অধিকাংশের আঘাত গুরুতর।
হাসপাতালে মন্ত্রী ও মেয়র: রাতে যোগাযোগমন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেন ও ঢাকার মেয়র সাদেক হোসেন পৃথকভাবে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আহত ব্যক্তিদের দেখতে যান। এ সময় তাঁরা চিকিৎসার খোঁজখবর নেন ও আহত ব্যক্তিদের সুষ্ঠু চিকিৎসা দেওয়ার পরামর্শ দেন।
মন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, ট্রেন-বাস সংঘর্ষের ঘটনায় চার সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিকে আগামী তিন কর্মদিবসে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
মেয়র এ ঘটনার জন্য রেলওয়ের গেটম্যানকে দায়ী করেন। তিনি প্রয়োজনে ওষুধপত্র দিয়ে আহত ব্যক্তিদের চিকিৎসা-সহায়তা দেওয়ার আশ্বাস দেন।

Saturday, September 25, 2010

তিন বছরের মধ্যেই অচল হবে পৃথিবী!







মানবজমিন ডেস্ক: আর মাত্র তিন বছরের মধ্যে পৃথিবী অচল হবে! সূর্যে প্রচণ্ড এক শক্তির বিস্ফোরণে পুরো পৃথিবীতে দেখা দেবে ভয়ঙ্কর বিশৃঙ্খলা। সব বিদ্যুতের তার গলে গলে পড়ে যাবে মাটিতে।
অন্ধকারে ডুবে যাবে চারদিক। যোগাযোগ নেটওয়ার্ক বিকল হয়ে যাবে। বিমান উড়বে না আকাশে। ইন্টারনেট ক্যাফেগুলোতে খুঁজে পাওয়া যাবে না কাউকে। এমন সতর্কতা জারি করেছেন নাসার একদল বিজ্ঞানী। গতকাল এ খবর দিয়েছে অনলাইন দ্য সান। এতে বলা হয়েছে, সূর্যের চুম্বকীয় শক্তির বলয় তার চূড়ান্ত মাত্রায় পৌঁছেছে বলে দেখতে পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা। সূর্যে সৃষ্ট দাগ বা স্ফীতিগুলো ইতিমধ্যে বিপুল পরিমাণ বিকিরণ ঘটানোর মতো ক্ষমতা অর্জন করে ফেলেছে। সূর্যকে ঘিরে গড়ে ওঠা আগুনের বলয়গুলো বিধ্বংসী ১০০টি হাইড্রোজেন বোমার সমান শক্তি ধরে। বিজ্ঞানীদের মতে, সূর্যের ওই বলয়ের চক্র সম্পন্ন হয়ে তিন বছরের মধ্যেই বিকিরণ শুরু হতে পারে। সূর্যের সৌর কর্মকাণ্ড সম্পন্ন হয় উচ্চ ও নিম্ন পিরিয়ডের ১১ বছরের দু’টি চক্রের মাধ্যমে। বর্তমানে এটি খুবই শান্ত অবস্থায় রয়েছে। বিজ্ঞানীদের ধারণা, এখন খুব দ্রুতই সূর্যের স্ফীতিগুলো বৃদ্ধি পাবে। একই সঙ্গে বৃদ্ধি পাবে চুম্বকীয় শক্তিও। এ হিসাবে বিজ্ঞানীদের ধারণা, ২০১৩ সালেই চৌম্বক ঝড় দেখা দিতে পারে। তখন চুম্বকীয় শক্তির বিকিরণে পৃথিবীর সব কিছু অচল হয়ে পড়বে। দেখা দেবে ভূ-চৌম্বক ঝড়। আকাশ জুড়ে দেখা দেবে লাল বর্ণের আলোকচ্ছটা। পুরোপুরি বিকল হয়ে পড়বে বিদ্যুৎ উৎপাদন, সরবরাহ ও স্যাটেলাইটসহ যোগাযোগ ব্যবস্থা, বিমান চলাচল, রেডিও সমপ্রচার। থমকে পড়বে অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনাও। এ ঝড়ে সবচেয়ে বেশি ক্ষতির শিকার হবে বৈজ্ঞানিক তথ্য ও প্রযুক্তি ব্যবস্থা। এ অবস্থা চলতে পারে কয়েক ঘণ্টা বা কয়েক দিনের জন্য। তবে তা এক মাসের বেশি সময়ও স্থায়ী হতে পারে। পৃথিবীকে এ ঝড় থেকে রক্ষা করতে অনেক আগে থেকেই গবেষণা শুরু করে নাসা। পৃথিবীকে ঘিরে কয়েক ডজন স্যাটেলাইট স্থাপন করেছে মহাকাশ গবেষণা সংস্থাটি। নাসার বিজ্ঞানীদের সামপ্রতিক এ ঘোষণায় রীতিমতো আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে বৃটিশ সরকার। গতকাল বৃটেনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী লিয়াম ফক্স জরুরি সভা ডেকেছিলেন। এতে তিনি দুর্যোগ এড়ানোর সম্ভাব্য পথ খুঁজে বের করতে বিজ্ঞানীদের প্রতি আহ্বান জানান। ইলেক্ট্রিক ইনফ্রাস্ট্রাকচার সিকিউরিটি কাউন্সিল এ সভার আয়োজন করে। এতে ফক্স বলেন, মহাকাশে পারমাণবিক বোমার বিস্ফোরণ ঘটিয়ে কোন বৈরী শক্তিও এ ধরনের দুর্যোগ ডেকে আনতে পারে। তার মতে, ইরান ও উত্তর কোরিয়ার মতো কিছু দেশ পারমাণবিক বোমা তৈরি করতে চাইছে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে জাপানের হিরোশিমা ও নাগাসাকিতে যেভাবে পারমাণবিক বোমার বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছিল, এ দেশগুলো হয়তো তার ভিন্ন পথ অবলম্বন করতে পারে। তারা হয়তো মহাকাশে পারমাণবিক বোমার বিস্ফোরণ ঘটাতে পারে, যার কারণে পৃথিবীতে বিদ্যুৎ-চৌম্বক ঝড় দেখা দিতে পারে। বিজ্ঞানীরা জানান, প্রতি ১০০ বছর পর পর সূর্যে শক্তির এ বিস্ফোরণ দেখা দেয়। আধুনিক সময়ে সর্বশেষ এ ঘটনা ঘটেছিল ১৮৫৯ সালে। ওই সময় ইউরোপ ও আমেরিকা ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির শিকার হয়েছিল। দু’ মহাদেশের মধ্যে বিস্তৃত টেলিগ্রাফের তারগুলো ওই সময় পুড়ে বিকল হয়ে পড়েছিল। লন্ডন, প্যারিস ও নিউ ইয়র্কের মতো বড় শহরগুলো তখন ধূলিঝড়ে আচ্ছন্ন হয়ে পড়েছিল। স্তব্ধ হয়ে পড়েছিল বিশ্বের সর্বাধুনিক শহরগুলো। অচল হয়ে পড়েছিল জনজীবন। আগুনরঙা লালে ঢেকে গিয়েছিল দুই-তৃতীয়াংশ আকাশ। ১৯৮৯ সালে কানাডার কিউবেকে ছোট মাত্রায় দেখা দিয়েছিল এ সৌর বিস্ফোরণ। তখন কিউবেকের সবগুলো বিদ্যুৎ কেন্দ্র অচল হয়ে পড়েছিল।

মহাকাশ স্টেশনে ফিরে গেলেন তিন নভোযাত্রী

আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন থেকে পৃথিবীতে আসার সময় প্রযুক্তিগত সমস্যার কারণে তিনজন নভোযাত্রী আবার ওই স্টেশনে ফেরত গেছেন। রাশিয়ার সয়ুজ নভোযানে করে দুই রুশ ও এক মার্কিন নভোযাত্রী পৃথিবীর দিকে রওনা হওয়ার কথা ছিল। আজ শনিবার পর্যন্ত তাঁদের যাত্রা স্থগিত করা হয়েছে।
রাশিয়ার কেন্দ্রীয় মহাকাশ সংস্থা রসকসমস জানায়, তিন নভোযাত্রী পৃথিবীর পথে যাত্রা করলে হঠাৎ করেই বিভিন্ন কম্পিউটার প্রযুক্তিগত সমস্যার সংকেত দেয়। এ ধরনের সংকেতের কারণ এখনো অস্পষ্ট। রসকসমসের প্রধান আনাতোলি পারমিনভ সাংবাদিকদের জানান, প্রযুক্তিবিদদের প্রাথমিক বিশ্লেষণে জানা গেছে, কম্পিউটার কোনো কারণে ভুল সংকেত গ্রহণের কারণে এ সমস্যা হয়ে থাকতে পারে। মহাকাশ স্টেশন থেকে নভোযান সয়ুজের প্রবেশের দরজা বন্ধ করার পর এ সমস্যা হয়।

৪০০ বছর আগে হারিয়ে যাওয়া ভাষার সন্ধান




ভাবের আদান-প্রদানের স্বার্থেই ভাষার আবির্ভাব ঘটে মানবজীবনে। কালের বিবর্তনে পৃথিবীতে যেমন বহু ভাষার আগমন ঘটে, তেমনি নানা কারণে বহু ভাষা হারিয়েও যায়। তেমনি কয়েক শ বছর আগে হারিয়ে যাওয়া একটা ভাষার সন্ধান পেয়েছেন প্রত্নতাত্তি্বকরা। ৪০০ বছরের পুরনো একটি চিঠির উল্টোদিকে ভাষাটির লিখিত রূপ পাওয়া গেছে। পেরুর ১৭ শতকের একটি খনন এলাকা থেকে প্রত্নতত্ত্ববিদরা চিঠিটি আবিষ্কার করেন। চিঠির উল্টোদিকের আঁকিবুকি দেখে তাঁরা ধারণা করছেন, পেরুর উত্তরাঞ্চলীয় আদিবাসীদের হারিয়ে যাওয়া ভাষা এটি।
পেরুর রাজধানী লিমার ৩৪৭ মাইল উত্তরে ত্রুজিল্লোর কাছে এল ব্রুজো প্রত্নতাত্তি্বক খনন এলাকায় ১৭ শতকের ম্যাগদালেনা ডি কাও ভিয়েজো গির্জার ধ্বংসাবশেষে অনুসন্ধান চালান আন্তর্জাতিক প্রত্নতত্ত্ববিদদের একটি দল। চিঠিটি পাওয়া যায় গির্জার ধ্বংসাবশেষের ইটের স্তূপের ভেতরে। গির্জাটিতে ২০০ বছর ডোমিনিকান খ্রিস্টান ভিক্ষুদের বসবাস ছিল। চিঠিটি ২০০৮ সালে পাওয়া গেলেও এত দিন বিষয়টি গোপন রাখা হয়। কারণ, প্রত্নতাত্তি্বকরা ভাষাটির ব্যাপারে সঠিক তথ্য-প্রমাণ জোগাড় করতে সময় নিতে চেয়েছেন। চলতি মাসে আমেরিকান নৃতত্ত্ববিদদের জার্নালে চিঠিটি প্রকাশ করা হয়েছে।
হার্ভার্ডস পিবডি মিউজিয়াম অব আর্কিওলজি অ্যান্ড এথনোলজির প্রত্নতাত্তি্বক জেফরি কুইল্টার বলেন, 'গবেষণা থেকে এটাই প্রতীয়মান যে চিঠিটিতে একটি ভাষার প্রমাণ মেলে, যা কয়েক শ বছর আগে পৃথিবী থেকে হারিয়ে গেছে। ভাষাটি সংখ্যাতাত্তি্বক।'
প্রত্নতাত্তি্বকরা চিঠিটির একটি কপি প্রকাশ করেছেন। তাতে দেখা যায়, স্প্যানিশ ভাষায় লিখিত কতগুলো সংখ্যার একটি কলাম এবং ওই সংখ্যাগুলোর সামনে তার অনুবাদ রয়েছে। তবে যে ভাষায় অনুবাদ হয়েছে সেই ভাষাটির অস্তিত্ব এখন আর নেই।
কুইল্টার বলেন, 'যে ভাষাটি আবিষ্কৃত হয়েছে, তা ১৬ কিংবা ১৭ শতকেও কেউ দেখেনি বা শোনেনি।' তবে তিনি জানান, ভাষাটিতে 'কোয়েচুয়া' নামের একটি প্রাচীন ভাষার প্রভাব রয়েছে।
কোয়েচুয়া ভাষায় এখনো আন্দেজ এলাকার কয়েক লাখ লোক কথা বলে। তিনি এও জানান, এটা স্প্যানিশ ঔপনিবেশিক যুগের একটা ভাষার লিখিত রূপও হতে পারে। পেরুর উত্তরাঞ্চলীয় উপকূলের জেলেরা (স্প্যানিশ ভাষায় যাদের পেসকাদোরা বলা হয়) ওই ভাষায় কথা বলত। তবে পেসকাদোরা ভাষার কোনো তথ্য সংরক্ষিত নেই।

আপাতত চলচ্চিত্রেই




নওশীনের প্রথম চলচ্চিত্র সুয়া চান পাখি। এই ছবির কাজের সময় তিনি বলেছিলেন, ভালো চরিত্র পেলে চলচ্চিত্রে নিয়মিত কাজ করবেন। প্রথম ছবির কাজ শেষ হওয়ার আগেই নওশীন হ্যালো অমিত নামের আরও একটি ছবির কাজ শুরু করেছেন। এ দুটো ছবির কাজ নিয়ে তিনি ভীষণ ব্যস্ত। তিনি বললেন, ‘এখন এই দুটো চলচ্চিত্রেই বেশি মনোযোগ দিচ্ছি।’
নওশীন জানালেন, চলচ্চিত্রের ব্যস্ততার কারণে নাটকের জন্য আলাদা করে তেমন সময় দিতে পারছেন না। তিনি বললেন, ‘আগামী ১ অক্টোবর যেতে হবে যুক্তরাষ্ট্রে। সেখান থেকে ফিরেই আবার চলচ্চিত্রের শুটিং। নাটকে অভিনয় করব, তবে এখন নয়। ছবি দুটি শেষ হওয়ার পরই নাটকের কাজ শুরু করব। তবে খুব বেশি নাটকে কাজ করতে চাই না।’
এবার ঈদে হাতেগোনা মাত্র কয়েকটি কাজ করেছেন নওশীন। তিনি বললেন, ‘ভালো মানের অল্প নাটকে কাজ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি আমি। কারণ, এবার ঈদে যে কটি নাটকে কাজ করেছি, অনেকের কাছ থেকেই এর প্রশংসা পেয়েছি।’

পরীক্ষায় প্রতিবন্ধীরা ১৫ মিনিট অতিরিক্ত সময় পাবে

মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষাসহ দেশের সব পাবলিক পরীক্ষায় প্রতিবন্ধী পরীক্ষার্থীদের জন্য অতিরিক্ত ১৫ মিনিট সময় বরাদ্দ দেওয়া হবে। এ বছর প্রথম অনুষ্ঠেয় জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট পরীক্ষা (জেএসসি) এবং জুনিয়র স্কুল দাখিল পরীক্ষা (জেডিসি) থেকে এই সুযোগ পাবে প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীরা। এ পরীক্ষায় দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীদের পাশাপাশি সেরিব্রাল পালসিজনিত (অপরিণত মস্তিষ্কে আঘাতজনিত কারণে শারীরিক প্রতিবন্ধিতা) এবং শারীরিক প্রতিবন্ধীরাও প্রথমবারের মতো শ্রুতিলেখক নিয়োগের সুযোগ পাবে।
গত বুধবার আন্তশিক্ষা বোর্ডের সভায় এ বিষয়টি চূড়ান্তভাবে অনুমোদন পেয়েছে।
ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান ফাহিমা খাতুন প্রথম আলোকে বলেন, গত মে মাসে উপকমিটির সভায় প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের জন্য অতিরিক্ত সময় হিসেবে ১৫ মিনিট দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। গতকাল শ্রুতিলেখক নিয়োগ এবং অতিরিক্ত ১৫ মিনিট সময় বরাদ্দের বিষয়টি চূড়ান্ত হয়েছে।
জেএসসি পরীক্ষাসংক্রান্ত নীতিমালাতেও এ বিষয় দুটির উল্লেখ আছে। পাবলিক পরীক্ষায় প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের জন্য সময় বাড়াতে প্রতিবন্ধীদের সংগঠনগুলো দীর্ঘদিন ধরে আবেদন জানিয়ে আসছিল। অন্যদিকে দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীদের সঙ্গে অন্য প্রতিবন্ধীদের জন্য স্ক্রাইবার বা শ্রুতিলেখক নিয়োগের বিষয়টিও বিভিন্নভাবে সরকারের দৃষ্টিতে আনা হয়। ৮ সেপ্টেম্বর মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের এক চিঠিতে জানানো হয়, সেরিব্রাল পালসিজনিত প্রতিবন্ধী এবং শারীরিক প্রতিবন্ধীদের (হাত নেই বা হাতের গঠন এমন যে সেই হাত দিয়ে লেখা সম্ভব নয়) তাদের জন্য শ্রুতিলেখক নিয়োগের ব্যাপারে আন্তশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটিতে বিষয়টি আলোচনা হয় এবং সবাই এ বিষয়ে একমত প্রকাশ করেন। সভা সূত্র জানায়, এখন থেকে সব পাবলিক পরীক্ষায় সেরিব্রাল পালসিজনিত প্রতিবন্ধী এবং শারীরিক প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীরাও শ্রুতিলেখক নিয়োগের সুযোগ পাবে। তবে এ জন্য তাদের যথাযথ প্রমাণ উপস্থাপন করতে হবে। প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের পরীক্ষার প্রবেশপত্র হাতে পাওয়ার পর সংশ্লিষ্ট শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান বরাবর আবেদন করতে হবে। আবেদন করার এক বা দুই কর্মদিবসের মধ্যে এ-সংক্রান্ত অনুমতিপত্র দেওয়া হবে।
তবে প্রতিবন্ধী পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষার জন্য অতিরিক্ত ১৫ মিনিট সময় বরাদ্দ দেওয়াকে পর্যাপ্ত মনে করছেন না জাতীয় প্রতিবন্ধী ফোরামের সভাপতি খন্দকার জহুরুল আলম। তিনি বলেন, ‘আমরা সব সময় প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের জন্য অতিরিক্ত এক ঘণ্টা সময় দেওয়ার দাবি জানিয়ে আসছি। কেননা, শ্রুতিলেখকের সাহায্যে পরীক্ষা দিতে অনেক সময় বেশি লাগে। তার পরও সরকারের এ উদ্যোগ প্রশংসনীয়।’
ঢাকা বোর্ডের চেয়ারম্যান বলেন, প্রথম উদ্যোগ হিসেবে প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের জন্য পরীক্ষায় ১৫ মিনিট সময় বাড়ানো হয়েছে। ভবিষ্যতে বিষয়টি আরও পর্যালোচনা করা হবে।

সজিনা' ফলবে বারো মাস




কাপ্তাই উপজেলার নারানগিরি এলাকায় রাইখালী কৃষি গবেষণা কেন্দ্রে উদ্ভাবিত ভেষজ গুণসমৃদ্ধ মৌসুমি সবজি সজিনা এখন সারা বছরই গাছে ধরবে। একটি মৌসুমি সবজি সারা বছরের উৎপাদন লাভের সাফল্যে দেশে এক দুর্লভ অর্থকরী ফসলের সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচিত করেছে বলে কৃষি গবেষণা কেন্দ্রের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তারা মত প্রকাশ করেছেন।
সজিনা ভেষজ গুণসমৃদ্ধ একটি ঔষধি সবজি ফসলের জাত। সাধারণ মানুষের নৈমিত্তিক আহারে সজিনা একটি প্রিয় সবজি। সুস্বাদু, পুষ্টিকর তদুপরি ঔষধি গুণান্বিত এ সবজির চাহিদা এবং দামি হলেও দেশে এর আবাদে তেমন উদ্যোগী ভূমিকা না থাকায় সজিনা প্রায় বিলুপ্ত ফসলের জাতে পরিণত হয়। প্রতিবছর ফেব্রুয়ারি থেকে এপ্রিল মাসের মধ্যে সজিনা গাছে ধরে এবং পুরো বছরে মাত্র ৮-১০ দিন এ সজিনা চড়া দামে বাজারে পাওয়া যায়। সম্প্রতি রাইখালী কৃষি গবেষণা কেন্দ্র সজিনার ওপর গবেষণা চালিয়ে এ দুর্লভ উদ্ভিদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার পাশাপাশি এর বারোমাসি জাত উদ্ভাবনে সাফল্য অর্জনে সক্ষম হয়।

সজিনা তরকারির তালিকায় অনেকের প্রিয় একটি সবজি। প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় এই জাতীয় সবজি অনেকের প্রত্যাশা থাকলেও দুষ্প্রাপ্য ও দুর্মূল্যের কারণে বাজারে সহজে এ সবজি মেলে না। তদুপরি মৌসুমি ফসল হিসেবে যখন তখন এটি বাজারে পাওয়াও যায় না। বাংলা নববর্ষে মিশ্র সবজির তরকারি রান্নায় সজিনার সমন্বয় ঘটাতে প্রত্যয়ী হয়ে পড়ে অনেকে। বাজারে তখন আঁটি আকারে সজিনা সবজির প্রতিযোগিতামূলক বিকিকিনিও দেখা যায়। ভরা মৌসুমেও সজিনার অপর্যাপ্ততায় বাজারে সজিনার চাহিদায় ক্রেতাদের মধ্যে কেনার প্রতিযোগিতা সৃষ্টি করে।
রাইখালী কৃষি গবেষণা কেন্দ্রে সরেজমিনে সজিনার ওপর গবেষণা ক্ষেত্র পরিদর্শন করে দেখা গেছে, সজিনা ধরার মৌসুম ফেব্রুয়ারি-এপ্রিল হলেও গবেষণা বাগানের গাছে ফুল আর ফসলের পর্যায়ক্রমিক উৎপাদনের সমারোহ। একদিকে ফুল অপরদিকে কচি সজিনা এবং অন্যদিকে পরিপক্ব সজিনা শিম জাতীয় ফসল। একই গাছে পর্যায়ক্রমে সজিনা ধরার এই আবহ আগামীতে এ জাতীয় ফসলের বারোমাসি উৎপাদনের সম্ভাবনার পরিবেশ তৈরি করেছে।
রাইখালী কৃষি গবেষণা কেন্দ্রের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. এ এস এম হারুনুর রশিদ জানান, গবেষণাকৃত সজিনার গাছে ফুল আর ফল দুটোই এক সঙ্গে ধরেছে। দেশে কোথাও একই গাছে এই ধরনের ফলনের অবস্থা দেখা যায়নি। নতুনভাবে এখানে সজিনার ফলনের পরিবেশ বারোমাসি জাতের উদ্ভাবনের সম্ভাবনা বিরাজমান। দেশের মাটি ও আবহাওয়ায় সজিনা আবাদের অনুকূল পরিবেশ রয়েছে। এ অবস্থায় সজিনার বারোমাসি আবাদের সম্ভাবনা কাজে লাগানোর যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে। সজিনার বর্তমান চাহিদা এবং এর বাজার দাম হিসেবে এই সবজি আবাদে সহজলভ্যতার পাশাপাশি আর্থিক উপার্জনেরও সম্ভাবনার দিক উন্মোচিত করবে।
সম্ভাব্যতাকে সার্থক করতে দেশের মাটি ও আবহাওয়ার অনুকূল পরিবেশে সজিনা আবাদ প্রত্যন্ত এলাকায় ছড়িয়ে দিতে রাইখালী কৃষি গবেষণা কেন্দ্রে ইতিমধ্যে সজিনার গবেষণা ও আবাদের ব্যাপ্তি ঘটাতে ব্যাপক প্রক্রিয়া চালানো হচ্ছে। বারোমাসি সজিনার বাণিজ্যিক চাষাবাদে কৃষকদের মাঝে অর্থনৈতিক উন্নয়নের ব্যাপক সম্ভাবনা বিরাজমান বলে কৃষি বিজ্ঞানীরা আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

আগামী মাসেই ‘আলোর পিঠে আঁধার’





গায়িকা কৃষ্ণকলি ইসলামের প্রথম অ্যালবাম সূর্যে বাঁধি বাসা এসেছিল বেঙ্গল মিউজিক থেকে। আগামী অক্টোবরে আসছে তাঁর দ্বিতীয় একক আলোর পিঠে আঁধার। এখন পর্যন্ত প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান চূড়ান্ত না হলেও অ্যালবামটি পুরোপুরিভাবে প্রস্তুত হয়ে আছে। শিল্পীর মাধ্যমে জানা গেছে, আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানও চূড়ান্ত হয়ে যাবে। কৃষ্ণকলি ইসলাম আট মাস ধরে তাঁর দ্বিতীয় একক অ্যালবামের কাজ করে আসছিলেন। আ্য্যলবামে মোট গান থাকছে আটটি। সবগুলো গানের কথা, সুর ও সংগীত করেছেন কৃষ্ণকলি নিজেই। অ্যালবামে গানের কথাগুলো হচ্ছে: ‘আলো ফোটা খুব ফোটা’, ‘ঘুরে ঘুরে’, ‘গল্প ছিল আকাশেতে’, ‘সাদামাটা চেহারার অফিসার’, ‘নাচতো কালি’, ‘চাঁদ খুঁজে খুঁজে’, ‘যাও হারাও’ এবং ‘হাত ধরেছি হাঁটছি’।
অ্যালবামটি প্রসঙ্গে কৃষ্ণকলি ইসলাম বলেন, ‘আমি সাধারণত যে ধরনের গান করে থাকি, সে রকমই কিছু নতুন গান থাকছে এবারের অ্যালবামে। ‘আলোর পিঠে আঁধার’-এ কাজ করতে গিয়ে বেশ কিছু যন্ত্রণাদায়ক অভিজ্ঞতা অর্জন করতে হয়েছে। আমার এই অ্যালবামে দেশি বাদ্যযন্ত্র ব্যবহারের চেষ্টা করেছি, যা নিঃসন্দেহে শ্রোতাদের ভালো লাগবে। এ ছাড়া আমার অ্যালবামে পাহাড়ি সুরের কয়েকটি গানও রয়েছে। বব মার্লেকে অনুসরণ করেও একটি গান থাকছে অ্যালবামটিতে। থাকছে আরাধনা সংগীতও। সবকিছু মিলিয়ে অন্যরকম একটি অ্যালবাম হচ্ছে আলোর পিঠে আঁধার।’

প্রতি কেজি ঘি-মাখনের দাম তিন পয়সা!

প্রতি কেজি গাওয়া ঘি, খাঁটি মাখনের দাম তিন পয়সা। শুধু তা-ই নয়, পটোল, ফুলকপি, বাঁধাকপি, চালকুমড়া, গাজর, ঝিঙেসহ ১১ ধরনের সবজির কেজি এক থেকে তিন পয়সা।
এটাকে কোনো বাজার বা হাটের মূল্যতালিকা মনে করে খুশি হওয়ার সুযোগ নেই। মাদারীপুরের শিবচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রোগীদের পথ্য সরবরাহের দরপত্রে এই দাম ধরা হয়েছে। এই দাম উল্লেখ করে খাদ্য সরবরাহের আদেশ পেয়েছে আল আমিন এন্টারপ্রাইজ।
তবে রোগী ও সেবিকাদের অনেকেই অভিযোগ করেন, সরকার-নির্ধারিত খাদ্যতালিকার সঙ্গে ঠিকাদারের সরবরাহ করা খাবারের কোনো মিল থাকে না। অধিকাংশ রোগী পুষ্টিকর খাবার পাচ্ছে না। তারা বাইরে থেকে খাবার কিনতে বাধ্য হচ্ছে।
হাসপাতাল সূত্র জানায়, শিবচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চলতি বছর পথ্য সরবরাহের জন্য গত ২ আগস্ট দরপত্র আহ্বান করা হয়। এতে সাতটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান অংশ নেয়। সর্বনিম্ন দর প্রস্তাব করে গত ৩০ আগস্ট খাবার সরবরাহের কাজ পায় আল আমিন এন্টারপ্রাইজ। এর স্বত্বাধিকারী মো. নুরুল আমিন সরদার।
দরপত্রে প্রতি কেজি মসলা ২৫-৫০ পয়সা, কাঁচামরিচ ও রসুন এক টাকা, খাঁটি ছানার রসগোল্লা ও চমচমের মূল্য এক টাকা এবং প্রতিটি কচি ডাব ২৫ পয়সা উল্লেখ করা হয়েছে। এভাবে ওই দরপত্রে চাল, ডাল, মাছ, মাংস ছাড়া অন্য সব খাদ্যপণ্যের দাম অবিশ্বাস্যভাবে কম দেখানো হয়েছে।
শিবচরের পৌরবাজারসহ কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রতি কেজি গাওয়া ঘিয়ের দাম ৬০০ টাকা, কাঁচামরিচ ৫০ টাকা, রসুন ২০০ টাকা, আলু ১৪ টাকা, পটোল ১৬ টাকা, ফুলকপি-বাঁধাকপি প্রতি পিস ১৫-২০ টাকা, চালকুমড়া ১৫ টাকা, কচি ডাব ১৫ টাকা এবং রসগোল্লা ও চমচম ১৪০ টাকা কেজি ধরে বিক্রি হচ্ছে।
ওই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে জানা যায়, প্রত্যেক রোগীকে প্রতিদিন ৭৫ টাকার মধ্যে ৪০০ গ্রাম চাল, ৫০ গ্রাম করে চিনি ও ঘি, ৭৫ গ্রাম পাউরুটি, একটি করে ডিম ও কলা, ১৩৮ গ্রাম মাছ/মাংস এবং ২০০ গ্রাম তরকারি দেওয়ার কথা থাকলেও সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান বাস্তবে তা দিচ্ছে না।
হাসপাতালের পুরুষ ওয়ার্ডে ভর্তি জামাল হাওলাদার গতকাল বলেন, ‘গত ১২ দিনে দুপুরে ও রাতে মোটা চালের ভাত, পাঙাশ মাছ ও পাতলা ডাল খেতে দিয়েছে। সকালে পাউরুটি, ডিম আর চিনি দেওয়া হয়। পাউরুটি থেকে দুর্গন্ধ পাওয়া যায়। ঈদের দিন মাংস দিয়েছিল। এখন বাড়ি থেকে এনে খাই।’
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দুই সেবিকা বলেন, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিম্নমানের খাবার সরবরাহ করা হচ্ছে। গত সাত বছরে ঘি, মাখন ও কচি ডাব রোগীদের দিতে তাঁরা দেখেননি।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মতিউর রহমান বলেন, ‘এই মূল্যতালিকা দেখে আমিও বিস্মিত হয়ে কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছিলাম। শেষ পর্যন্ত সর্বনিম্ন দরদাতা হিসেবে মো. নুরুল আমিন সরদার পথ্য সরবরাহের কাজ পেয়েছেন। তবে নির্ধারিত খাবার তাঁকে অবশ্যই সরবরাহ করতে হবে।’
মাদারীপুরের সিভিল সার্জন আবু বক্কর মোল্লা মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, অনেক বছর ধরে এভাবেই দরপত্র-প্রক্রিয়া চলছে।
‘গতবার সঠিক দাম ধরেও খাদ্য সরবরাহের আদেশ পাইনি’ উল্লেখ করে ঠিকাদার নুরুল আমিন সরদার বলেন, ‘যেসব খাদ্যদ্রব্য কম লাগে, আমার তালিকায় সেগুলোর দাম কম ধরা হয়েছে। চাল, ডাল, মাছ, মাংসের দাম বর্তমান বাজার অনুযায়ী ধরা হয়েছে।’

সারা দেশে ২৭ হাজার মণ্ডপে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে

চলতি বছরে শারদীয় দুর্গোত্সবে সারা দেশে প্রায় ২৭ হাজার মণ্ডপে পূজা অনুষ্ঠিত হবে, যা গত বছরের তুলনায় প্রায় এক হাজার বেশি। আজ নগরের ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দির মেলাঙ্গনে বাংলাদেশ পূজা উদ্যাপন পরিষদের কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি সভায় এ তথ্য জানানো হয়।
বাংলাদেশ পূজা উদ্যাপন পরিষদের সভাপতি সুব্রত চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত প্রতিনিধি সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সেক্টর কমান্ডার মেজর জেনারেল (অব.) সি আর দত্ত বীর উত্তম।
দেশের সব জেলা থেকে প্রতিনিধিরা সভায় যোগ দেন এবং আসন্ন শারদীয় দুর্গোত্সবের প্রস্তুতি ও নানা সমস্যা নিয়ে আলোচনা করেন।
সভায় বাংলাদেশ পূজা উদ্যাপন পরিষদের নেতারা জাতীয় সংসদের চলতি অধিবেশনেই অর্পিত সম্পত্তি (শত্রুসম্পত্তি) আইনের অভিশাপ থেকে জাতিকে মুক্তি দিতে প্রয়োজনীয় আইন প্রণয়নের আহ্বান জানিয়েছেন।
সভায় বলা হয়, ইতিমধ্যে এই কালো আইন থেকে মুক্তির লক্ষ্যে আয়োজিত জাতীয় কনভেনশনে ঐকমত্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। উত্তরাধিকার ও সহ-অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে সম্পত্তি ফিরিয়ে দেওয়ার দাবিতে জাতি আজ ঐক্যবদ্ধ। বক্তারা বলেন, ২০০১ সালে প্রণীত অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যর্পণ আইনকে ভিত্তি করে এবং প্রস্তাবিত সংশোধনীসমূহ সংযুক্ত করেই জাতীয় স্বার্থে সংশোধিত আইন প্রণয়ন করতে হবে।
সভায় হিন্দু কল্যাণ ট্রাস্টের কর্মপরিধি বাড়িয়ে ফাউন্ডেশনে রূপান্তর, দেবোত্তর সম্পত্তি সুরক্ষায় বোর্ড গঠন, ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দিরের বেহাত হওয়া সম্পত্তি পুনরুদ্ধার, মা ভবানী মন্দির, রমনা কালীমন্দির ও মা আনন্দময়ী আশ্রমের দেবোত্তর ভূমিতে মন্দির ও আশ্রম যথাযথ আঙ্গিকে পুনঃপ্রতিষ্ঠা এবং জাতীয় শিক্ষানীতিতে প্রতিটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে হিন্দু ধর্মীয় শিক্ষক নিয়োগ বাধ্যতামূলক করার বিষয়টি অন্তর্ভুক্তের দাবি জানানো হয়।

সেরিব্রাল ম্যালেরিয়ার জীবাণু গরিলা থেকে!





বিজ্ঞানীদের ধারণা ছিল, মশার কামড়ে আমাদের যে সেরিব্রাল ম্যালেরিয়া হয়, এর জীবাণু এসেছে শিম্পাঞ্জি থেকে। কিন্তু সম্প্রতি একদল বিজ্ঞানী দাবি করেছেন, শিম্পাঞ্জি নয়, সম্ভবত গরিলা থেকেই এই জীবাণুর উৎপত্তি। যুক্তরাষ্ট্র, আফ্রিকার তিনটি দেশ ও ইউরোপের বিজ্ঞানীদের একটি দল গরিলার মল পরীক্ষা করে ম্যালেরিয়ার যে জীবাণু পেয়েছে, এর সঙ্গেই মানুষে সংক্রমিত ম্যালেরিয়ার জীবাণুর সবচেয়ে বেশি মিল রয়েছে।
বিজ্ঞানবিষয়ক ন্যাচার সাময়িকীতে প্রকাশিত ওই গবেষণাপত্রে গবেষকেরা জানান, তাঁরা গরিলার মল থেকে পাওয়া ম্যালেরিয়ার জীবাণুর ডিএনএ পরীক্ষা করে দেখেছেন। এর সঙ্গে মানুষের দেহে সংক্রমিত ম্যালেরিয়ার জীবাণুর ডিএনএর মিল রয়েছে। গবেষণার জন্য পশ্চিম ও পূর্ব আফ্রিকার গরিলা, শিম্পাঞ্জি ও বেবুনের মলের দুই হাজার ৭০০ নমুনা সংগ্রহ করা হয়।
গবেষকদলের সদস্য যুক্তরাষ্ট্রের অ্যালাবামার একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক বিয়াট্রিস হান বলেন, ‘আমরা এসব নমুনা থেকে ম্যালেরিয়ার জীবাণু প্লাজমোডিয়ামের ডিএনএ আলাদা করে সেগুলো মিলিয়ে দেখি। দেখা যায়, মানুষের শরীরে পাওয়া প্লাজমোডিয়ামের ডিএনএর সঙ্গে শিম্পাঞ্জির শরীরে পাওয়া প্লাজমোডিয়ামের ডিএনএর মিল কম, বরং গরিলার শরীরে পাওয়া প্লাজমোডিয়ামের ডিএনএর সঙ্গে মিল বেশি।’
এখন পর্যন্ত বিজ্ঞানীদের ধারণা, বিবর্তনের প্রক্রিয়ার ধাপ অনুযায়ী মানুষের পূর্বপুরুষ শিম্পাঞ্জি। ৫০ থেকে ৭০ লাখ বছর আগে শিম্পাঞ্জি ও মানুষ আলাদা হতে শুরু করে। সেই ধারায় প্লাজমোডিয়ামের জীবাণুরও বিবর্তন ঘটে। কিন্তু নতুন এই গবেষণার ফল সেই ধারণাকে বদলে দিতে যাচ্ছে। 

Friday, September 24, 2010

নাবিকদের ভুলেই টাইটানিক ডুবেছে!

টাইটানিকের ডুবে যাওয়াটা নিছক কোনো দুর্ঘটনা ছিল না। নাবিকদের ভুলেই জাহাজটি ডুবেছে। যে হিমশৈলের সঙ্গে ধাক্কা লেগে জাহাজটি ডুবেছে, সেটি এড়িয়ে যাওয়ার সুযোগ ছিল। কিন্তু নাবিকেরা বোকার মতো ভুল পথে জাহাজটি পরিচালনা করায় এ ঘটনা ঘটেছে।
নতুন প্রকাশিত একটি বইয়ে এসব দাবি করা হয়েছে। গুড অ্যাজ গোল্ড নামের বইটি লিখেছেন লেডি প্যাটেন। ওই ট্র্যাজেডি থেকে বেঁচে যাওয়া টাইটানিকের সেকেন্ড অফিসার চার্লস লাইটোলারের নাতনি হলেন প্যাটেন।
১৯১২ সালের ১০ এপ্রিল সাউদাম্পটন থেকে নিউইয়র্কের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করে টাইটানিক। ১৫ এপ্রিল আটলান্টিক মহাসাগরে বিশালকায় এক হিমশৈলের সঙ্গে ধাক্কা লেগে এটি ডুবে যায়। এতে এক হাজার ৫১৭ জন আরোহীর প্রাণহানি ঘটে। এত দিন বিশ্বাস করা হয়েছে, অতি দ্রুতগতিতে চালানোর কারণে ও নাবিকেরা সঠিক মুহূর্তে হিমশৈলটি দেখতে না পাওয়ায় ওই দুর্ঘটনা ঘটে।
কিন্তু ঘটনার প্রায় ১০০ বছর পর নতুন এ বইয়ে বলা হয়েছে, হিমশৈলটি এড়িয়ে যাওয়ার সুযোগ ছিল। তবে নাবিকেরা এটি দেখে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন এবং ভুল পথে জাহাজটি পরিচালনা করেন। নাবিকেরা পরক্ষণেই ভুল বুঝতে পারলেও ততক্ষণে বড় দেরি হয়ে যায়। দানবাকৃতির হিমশৈলের সঙ্গে ধাক্কা লেগে বিলাসবহুল এ জাহাজের পার্শ্বদেশ ছিদ্র হয়ে যায়।
বইটিতে বলা হয়েছে, তার পরও যাত্রী ও নাবিকদের বাঁচানো সম্ভব ছিল। যদি জাহাজটি চালানো তখনই বন্ধ করে দেওয়া হতো। কিন্তু সেখানেও মারাত্মক ভুল করা হয়েছে। জাহাজটি চালিয়ে নেওয়া হয়েছে। ফলে জাহাজের ভাঙা অংশ দিয়ে পানি ঢুকে এটি ডুবে গেছে।
এত দিন এসব তথ্য গোপন রেখেছিলেন চার্লস লাইটোলার ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা। চার্লস লাইটোলার এ ট্র্যাজেডি নিয়ে করা দুটি তদন্তেই তথ্য আড়াল করেছেন। তাঁর আশঙ্কা ছিল, এসব তথ্য ফাঁস করে দিলে জাহাজের মালিকেরা ক্ষতিপূরণ পাবেন না। তা ছাড়া সহকর্মীদের চাকরির কথা চিন্তা করেও এ তথ্য প্রকাশ করেননি তিনি।
কিন্তু লাইটোলারের নাতনি লেডি প্যাটেন এত দিন পর তথ্য প্রকাশ না করে আর পারেননি। তিনি বলেছেন, টাইটানিকের ব্যাপারটি দুর্ঘটনা হিসেবেই দেখা হচ্ছে। কিন্তু সত্য হলো, নাবিকেরা হিমশৈলটি এড়াতে পারতেন। ভুল করেছেন তাঁরা।
বইটিতে বলা হয়েছে, পালের পরিবর্তে বাষ্পের সাহায্যে জাহাজ চালাতে গিয়ে এ দুর্ঘটনা ঘটেছে। বাষ্পের সাহায্যে জাহাজ চালানোর সময় বড় ধরনের পরিবর্তন আসে। স্বাভাবিকের চেয়ে দ্রুতগতিতে চলছিল জাহাজটি।
লেখিকা লেডি প্যাটেন আরও বলেছেন, টাইটানিকের ফার্স্ট অফিসার উইলিয়াম মুরডক দুই মাইল আগে থেকেই হিমশৈলটি দেখতে পেয়েছিলেন। কিন্তু তাঁর নির্দেশ সঠিকভাবে বুঝতে পারেননি থার্ড অফিসার রবার্ট হিচিনস। উইলিয়াম মুরডক ‘সামনের দিকে তাকিয়ে এ নির্দেশ দেওয়ায়’ তাঁদের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে। মারডকের নির্দেশমতো হিচিনস জাহাজের মোড় বাঁ দিকে না ঘুরিয়ে ডান দিকে ঘুরিয়েছিলেন। অবশ্য পরক্ষণেই তাঁকে ভুল ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু ততক্ষণে হিমশৈলের খুব কাছাকাছি চলে আসে জাহাজ। এর অগ্রভাগ হিমশৈলের সঙ্গে আঘাত লেগে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।
প্যাটেনের দাদা লাইটোলার গুরুতর এ ভুলের কথা তখনকার একটি বৈঠক থেকে জানতে পারেন। জাহাজটি ডুবে যাওয়ার একেবারে শেষ মুহূর্তে চারজন শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তাকে নিয়ে মারডকের কেবিনে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
প্যাটেন বলেন, এরই মধ্যে টাইটানিকের মালিকানা প্রতিষ্ঠান হোয়াইট স্টার লাইনের চেয়ারম্যান ব্রুস ইসমেই জাহাজের ক্যাপ্টেনকে পাল তুলে চালিয়ে যেতে বলেন। এতে জাহাজের গতি কমে যায়। এর ফলে জাহাজের ভাঙা অংশ দিয়ে পানি ঢোকার পরিমাণ বেড়ে যায়। এতে জাহাজটি দ্রুত ডুবে যায়।

ব্যবসায়ীদের শপথ!

অসুস্থ গবাদিপশু জবাই ও মাংস বিক্রি করব না, অন্যকেও এ ব্যাপারে উৎসাহিত করব।’ গত সোমবার সকালে মাগুরা পুরাতন বাজারের ৫২ জন মাংস ব্যবসায়ী এমন শপথ নিয়েছেন। অ্যানথ্রাক্স রোগ প্রতিরোধে করণীয় সম্পর্কে সদর উপজেলা প্রাণিসম্পদ বিভাগের উদ্যোগে পুরাতন বাজার মাংস ব্যবসায়ীদের সঙ্গে মতবিনিময় অনুষ্ঠানে এই শপথ করেন ব্যবসায়ীরা। জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা নারায়ণ চন্দ্র রায় বলেন, ব্যবসায়ীরা স্বপ্রণোদিত হয়ে ওই শপথ করছেন। এতে তাঁরা আশ্বস্ত হয়েছেন।

পাঁচ রোভার স্কাউট

পায়ে হেঁটে ১০০ মাইল পথ পাড়ি দেওয়ার পথে যাত্রা করেছে পাঁচ রোভার স্কাউট। গতকাল বুধবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাজেয় বাংলার পাদদেশ থেকে যাত্রা শুরু করে পাঁচ দিনে এই দলটি সিরাজগঞ্জ জেলা সদরে পৌছাবে। এই পাঁচ দিনে ‘নিরাপদ সড়ক চাই’, ‘বৃক্ষরোপণ’, ‘নারী নির্যাতন’, ‘জনসংখ্যা সমস্যা’ ও ‘পরিবেশ সংরক্ষণ’—এই পাঁচটি বিষয়ে বিভিন্ন এলাকায় পথসভা ও জনসচেতনতামূলক প্রচারণা চালাবে রোভাররা।
পায়ে হেঁটে ১০০ মাইল পাড়ি দেওয়ার এই দলে যেসব রোভার স্কাউট রয়েছে তারা হচ্ছে, সিনিয়র রোভারমেট সিদ্ধার্থ দেব মজুমদার, রোভারমেট মো. রেজওয়ানুর রহমান, মোহাম্মদ আবুল হাশেম, সহকারী রোভারমেট মোহাম্মদ ইব্রাহীম ও নাজমুল কবির আল মেহমুদ।

দুটি মেডিকেল কলেজকে আরও দেড় হাজার ফরম দেওয়া হয়েছে

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজকে আরও এক হাজার ও সোহ্রাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজকে ৫০০ ফরম দিয়েছে। গতকাল বুধবার এ দুটি কলেজকে অতিরিক্ত ফরম দেওয়া হয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (চিকিৎসা শিক্ষা ও স্বাস্থ্য জনশক্তি উন্নয়ন) খন্দকার মো. সিফায়েত উল্লাহ গতকাল প্রথম আলোকে বলেন, সলিমুল্লাহ মেডিকেলের পরীক্ষা হবে ইডেন কলেজে আর সোহ্রাওয়ার্দী মেডিকেলের পরীক্ষা হবে তেজগাঁও কলেজে। কেন্দ্র দুটিতে পাঁচ হাজারের বেশি শিক্ষার্থীর পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব। পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের ফরমের চাহিদা বেশি হওয়ায় এ দুটি কলেজকে অতিরিক্ত দেড় হাজার ফরম দেওয়া হয়েছে। তিনি জানান, ঢাকা মেডিকেল কলেজে ৫০০ ফরম দেওয়ার সিদ্ধান্ত হলেও পরীক্ষা কেন্দ্র জটিলতার কারণে কর্তৃপক্ষ তা নিতে রাজি হয়নি।
প্রসঙ্গত, গত সোমবার দেশের ১৮টি সরকারি মেডিকেল কলেজে এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষার ফরম বিতরণ শুরু হয়। কিন্তু মঙ্গলবারই রাজধানীর তিনটি কলেজের নির্ধারিত ফরম বিক্রি হয়ে যায়।
জানা যায়, সকালে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাওয়া ৫০০ ফরম সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজে বিতরণ শুরু হলে দুপুরের মধ্যেই তা বিক্রি হয়ে যায়। দুপুরে অধিদপ্তরে কাছ থেকে আরও ৫০০ ফরম পেয়ে বিতরণ শুরু করে কর্তৃপক্ষ। সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত ফরম বিতরণ করা হয়। অবশিষ্ট ফরম আজ বৃহস্পতিবার বিতরণ করা হবে।
কলেজের অধ্যক্ষ এম এ আজহার প্রথম আলোকে বলেন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে যোগাযোগ করে দুই দফায় এক হাজার ফরম পাওয়া গেছে।
ঢাকা মেডিকেলে অনিয়মের তদন্ত: স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক খন্দকার মো. সিফায়েত উল্লাহ জানান, ঢাকা মেডিকেল কলেজে ভর্তি ফরম বণ্টন নিয়ে একজন কর্মচারীর বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে। ওই অভিযোগের সত্যতা তদন্ত করে জরুরি ভিত্তিতে একটি প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য কলেজের অধ্যক্ষকে বলা হয়েছে। দুই-এক দিনের মধ্যে প্রতিবেদন পাওয়া যাবে বলে তিনি আশা করেন।

ডিভি-২০১২ লটারি ভিসার রেজিস্ট্রেশনের সময়সীমা ঘোষণা

যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসনের জন্য ডিভি-২০১২ লটারি ভিসার রেজিস্ট্রেশনের সময়সীমা ঘোষণা করা হয়েছে। মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, ডিভি-২০১২ লটারি ভিসার জন্য আগামী ৫ অক্টোবর থেকে ৩ নভেম্বর পর্যন্ত অনলাইনে রেজিস্ট্রেশন করা যাবে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে অনলাইন রেজিস্ট্রেশন-প্রক্রিয়ায় চাপ এড়াতে আগ্রহীদের অপেক্ষা না করে শুরু থেকেই রেজিস্ট্রেশন করার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের পূর্বাঞ্চলীয় সময় ৩ নভেম্বর ২০১০ বুধবার মধ্যরাতের মধ্যে রেজিস্ট্রেশনের সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছে। পরিবর্তিত নিয়ম অনুযায়ী কেবল অনলাইনেই ডিভি লটারির জন্য রেজিস্ট্রেশন করা যাবে। www.dvlottery.state.gov ওয়েবসাইটে আগ্রহীদের রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। আবেদনের বিস্তারিত নিয়মাবলিও ওয়েবসাইটে পাওয়া যাবে। মার্কিন অভিবাসন আইন অনুযায়ী, যেসব দেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে কম অভিবাসন হয়েছে, সেসব দেশের নাগরিকেরাই এ আবেদনের যোগ্য। বছরে এসব দেশের সর্বোচ্চ সাড়ে পাঁচ হাজার নতুন অভিবাসীকে লটারির মাধ্যমে অভিবাসনের জন্য বাছাই করা হয়ে থাকে। বাংলাদেশের নাগরিকেরা ডিভি ২০১২ সালের লটারি ভিসার জন্য উপযুক্ত বলে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর সূত্রে জানানো হয়েছে।

Saturday, September 18, 2010

জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট পরীক্ষা: বহুনির্বাচনী প্রশ্নোত্তর: সামাজিক বিজ্ঞান

৪। কখন বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করা হয়?
(ক) ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ (খ) ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ (গ) ১৯৭১ সালের ২৭ মার্চ (ঘ) ১৯৭১ সালের ১৭ এপ্রিল
৫। বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্রপতির নাম কী?
(ক) সৈয়দ নজরুল ইসলাম (খ) শেখ মুজিবুর রহমান
(গ) খোন্দকার মোশতাক আহমদ
(ঘ) কর্নেল আতাউল গনি ওসমানী
৬। বাংলাদেশের আইনসভা মোট কতজন সদস্য নিয়ে গঠিত?
(ক) ৩১০ জন (খ) ৩১৫ জন (গ) ৩০০ জন (ঘ) ৩৩০ জন
৭। বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় মূলনীতি কোনটি?
(ক) সমাজতন্ত্র (খ) ধর্মনিরপেক্ষতা
(গ) জাতীয়তাবাদ (ঘ) সংসদীয় গণতন্ত্র
৮। বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করা হয় কত সালের কত তারিখে?
(ক) ১৯৭১ সালের ২ মার্চ (খ) ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ (গ) ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর (ঘ) ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ
৯। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে নতুন সংবিধান রচনার জন্য গণপ্রতিনিধিদের নিয়ে একটি পরিষদ গঠিত হয়। এ পরিষদের প্রথম অধিবেশন বসে—
(ক) ১৯৭২ সালের ৯ এপ্রিল (খ) ১৯৭২ সালের ১০ এপ্রিল
(গ) ১৯৭২ সালের ১০ মার্চ (ঘ) ১৯৭১ সালের ১০ এপ্রিল
১০। খসড়া সংবিধানে উল্লেখ আছে সংসদীয় সরকার প্রতিষ্ঠার কথা। এখানে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে গঠিত মন্ত্রিসভা শাসনকার্য পরিচালনা করবে এবং মন্ত্রিসভা যৌথভাবে দায়ী থাকবে—
(ক) জনগণের নিকট (খ) সংসদের নিকট
(গ) প্রধানমন্ত্রীর নিকট (ঘ) রাষ্ট্রপতির নিকট
১১। বাংলাদেশের সংবিধান প্রতিষ্ঠিত হয়েছে—
(ক) অনুমোদনের পদ্ধতি দ্বারা
(খ) ক্রমবিবর্তনের পদ্ধতি দ্বারা (গ) বিপ্লবের মাধ্যমে (ঘ) আলাপ-আলোচনার পদ্ধতি দ্বারা
১২। সংবিধানে নাগরিকদের মৌলিক অধিকারের কথা বলা হয়েছে, সেখানে উল্লেখ আছে। জীবনধারণের অধিকার আর আছে—
i. মত প্রকাশের স্বাধীনতা ii. অবাধে চলাফেরার স্বাধীনতা
iii. পেশা, বৃত্তি ও সম্পত্তি ভোগের স্বাধীনতা
নিচের কোনটি সঠিক
(ক) i (খ) ii (গ) i ও ii (ঘ) i, ii ও iii
১৩। গণতন্ত্রকে মূল সংবিধানে মৌলনীতি হিসেবে গ্রহণ করা হয়। প্রকৃতপক্ষে—
i. ব্যক্তিস্বাধীনতা রক্ষার জন্য ii. ধর্মীয় মূল্যবোধ বৃদ্ধির জন্য
iii. নাগরিক মূল্যবোধ বৃদ্ধির লক্ষ্যে
নিচের কোনটি সঠিক
(ক) iii (খ) i ও ii (গ) ii ও iii (ঘ) i, ii ও iii
১৪। বাংলাদেশের সংবিধানের রাষ্ট্রীয় মূলনীতি উল্লেখ রয়েছে। এসব মূলনীতির প্রতিফলন লক্ষ করা যায়—
i. আইন প্রণয়নের ক্ষেত্রে ii. আইনের ব্যাখ্যাদানের ক্ষেত্রে iii. আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে
নিচের কোনটি সঠিক?
(ক) i (খ) i ও ii (গ) ii ও iii (ঘ) i, ii ও iii
১৫। ১৯৭২ সালের মূল সংবিধান অনুযায়ী বাংলাদেশ সরকার রাষ্ট্রীয় মূলনীতি গ্রহণ করে। মূলত মূলনীতি হচ্ছে নিচে উল্লিখিত-
i. জাতীয়তাবাদ ii. অর্থনৈতিক মুক্তি iii. ধর্মনিরপেক্ষতা
নিচের কোনটি সঠিক?
(ক) i (খ) ii (গ) i ও ii (ঘ) i ও iii
১৬। খসড়া সংবিধান তৈরি করার পর গণপরিষদে সংবিধানের ওপর সাধারণ আলোচনা ও সংশোধনী শেষ করে—
i. ১৯৭২ সালের ৩০ অক্টোবর ii. ১৯৭২ সালের ২৯ নভেম্বর iii. ১৯৭৩ সালের ২৯ নভেম্বর
নিচের কোনটি সঠিক?
(ক) i (খ) ii (গ) iii (ঘ) i, ii ও iii

সঠিক উত্তর: অধ্যায়-১৩ (১ম পরিচ্ছেদ: ক): ৪। খ ৫। খ ৬। গ ৭। গ ৮। খ ৯। খ ১০। খ ১১। ঘ ১২। ঘ ১৩। গ ১৪। ঘ ১৫। ঘ ১৬। ক।

ফেসবুকে চ্যাটে নতুন স্পাম

ফেসবুক চ্যাটে স্পাম ছড়াচ্ছে 'লল ইস দ্যাট ইউ?' নামে একটি লিংক। গত শুক্রবার বিকেলে ফেসবুক তদন্ত করে এই নতুন পরিকল্পিত স্পামটির ব্যাপারে নিশ্চিত হয়েছে। এই স্পামটি ফেসবুক চ্যাটের মাধ্যমে বন্ধুদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ছে। মেসেজটি বলছে 'লল ইস দ্যাট ইউ?' এটি এমনভাবে সম্পন্ন করা হয়েছে যে দেখলে মনে হবে এটি কোন ভিডিও-এর লিংক। আর এ ক্ষেত্রে, লিংকটিতে ক্লিক করার সঙ্গে সঙ্গে এটি '৪০৪-পেইজ নট ফাউন্ড' এরর মেসেজের একটি ওয়েব পেজ দেখায় এবং সঙ্গে সঙ্গে তার এ্যাকাউন্ট থেকে স্পামটি তার অনত্মত একজন বন্ধুর কাছে চলে যায়। স্পামটি টুইটারে ছড়ালেও সেখানে এর তেমন প্রকাশ দেখা যায়নি।

হবিগঞ্জ শহরে লাখপতি ভিখারি

হবিগঞ্জ শহরে এক লাখপতি ভিখারির সন্ধান পাওয়া গেছে। তার সারা জীবনের উপার্জিত অর্থ চুরি হওয়ার ঘটনায় এলাকাবাসী এই লাখপতি ভিখারির সন্ধান পান। এলাকাবাসী সূত্র জানায়, হবিগঞ্জ শহরের ঘাটিয়া বাজার এলাকার শৈলেন্দ্র বণিক (৭০) দীর্ঘদিন ধরে ভিক্ষাবৃত্তি করে জীবিকা নির্বাহ করছেন। নিজের কোনো বাড়িঘর না থাকায় যেখানে সুযোগ পান, সেখানেই রাত যাপন করেন। এমনিভাবে গত বুধবার তিনি রাত যাপন করেন ঘাটিয়াপাড়ার বিশ্বম্ভর মন্দিরে। ভোরবেলা কয়েক কিশোর তার সঙ্গে থাকা ব্যাগ থেকে টাকা-পয়সা চুরি করে নিয়ে যায়। ঘটনাটি মন্দিরের পাশে থাকা কয়েকজন দেখে ফেলেন। সকালে শৈলেন্দ্র বণিক ঘুম থেকে ওঠে টাকা না পেয়ে কাঁদতে থাকেন। তিনি বিষয়টি স্থানীয় লোকজনকে জানালে তারা বুঝতে পারেন ওই কিশোররা টাকাগুলো চুরি করেছে। পরে ঘাটিয়াপাড়া পূজা কমিটির সাধারণ সম্পাদক শান্ত দাশ অলক, নাতিরপুর গ্রামের মুরব্বী তাহির মিয়াসহ স্থানীয় লোকজন ওই কিশোরদের বাড়িতে গিয়ে টাকাগুলো উদ্ধার করেন এবং চুরির অভিযোগে দুই কিশোরকে আটক করে মন্দিরে আনা হয়। এ সময় গুনে দেখা যায় ১ লাখ ৩০ হাজার টাকা চুরি হয়েছিল। টাকাগুলো ভিখারি শৈলেন্দ্র বণিকের কাছে সমজে দেয়া হয়। এই বিপুল পরিমাণ টাকা ভিখারির কাছে থাকা নিরাপদ নয় মনে করে এলাকাবাসী তার টাকাগুলো ব্যাংকে জমা রাখার সিদ্ধান্ত নেন। শৈলেন্দ্র বণিক জানান, এগুলো তার সারা জীবনের সঞ্চয়। তিনি নিঃসন্তান। তার তেমন কোনো ব্যয় নেই।

ভাবুকদের মস্তিষ্কে কোষ বেশি


মানুষের চিন্তাশক্তি তার মস্তিষ্কের আকার-প্রকৃতির ওপর নির্ভরশীল। মানুষ প্রায়ই চিন্তা করে, সে সঠিক কাজ করছে না ভুল করছে। যারা বেশি ভাবে বা এক সঙ্গে অনেকগুলো সিদ্ধান্ত নিতে পারে, তাদের মস্তিষ্কের কোষের পরিমাণও বেশি। তবে মস্তিষ্কের নির্দিষ্ট একটি এলাকায় এর কার্যক্রম সীমাবদ্ধ। এলাকাটির নাম ফ্রন্টাল লোব। বিজ্ঞানীরা গবেষণায় দেখেছেন, যাদের মস্তিষ্কের ফ্রন্টাল লোবের আকার বড় বা কোষের সংখ্যা বেশি তারা অনেক বেশি চিন্তাভাবনা করতে পারে। অর্থাত্ তাদের সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতাটাও জোরালো। তবে বেশি চিন্তাভাবনা করলে ক্ষতিও হতে পারে বলে হুঁশিয়ার করে দিয়েছেন চিকিত্সাবিজ্ঞানীরা। যেমন অনেকে আছে আজেবাজে চিন্তাভাবনা করতে করতে কোনো সঠিক সিদ্ধান্তই নিতে পারে না। ফলে একসময় সে বিষণ্নতা বা অবসাদে আক্রান্ত হয়ে পড়ে। তাদের স্মৃতিশক্তিও ক্ষীণ হয়ে যায়। বিজ্ঞানীরা একদল স্বেচ্ছাসেবককে কালো এবং ধূসর রঙের ছবি দেখিয়ে ত্রুটি-বিচ্যুতি আছে কিনা পরীক্ষা করে উত্তর দিতে বলে। দেখা গেছে, যাদের চিন্তাশক্তি বেশি ক্ষুরধার এবং ব্যাপক তারা ছবির পার্থক্য নিখুঁতভাবে শনাক্ত করতে পেরেছে এবং তাদের সিদ্ধান্তের ব্যাপারে অটল থেকেছে। অনেকে উত্তর দেয়ার সিদ্ধান্তে দোদুল্যমান থেকেছে। গবেষকরা তাদের মস্তিষ্ক পরীক্ষা করে দেখেন, যাদের ফ্রন্টাল লোবে অনেক বেশি ব্রেন সেল রয়েছে, আকারেও যাদের মস্তিষ্কের সেই এলাকাটি অন্যদের চেয়ে কিছুটা বড়, তারাই সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পেরেছে এবং তাদের সিদ্ধান্তে অটল থেকেছে। আর অটিজমসহ অনেক মানসিক ও মস্তিষ্কের রোগের সঙ্গে ফ্রন্টাল লোবের সম্পর্ক রয়েছে। তাই বিজ্ঞানীরা আশা করছেন, মস্তিষ্কের ফ্রন্টাল লোবের আকার-প্রকৃতি নিয়ে গবেষণার মধ্য দিয়ে অনেক রোগব্যাধির তত্ত্ব-তালাশ সম্ভব হবে।

ঈদের ছুটি শেষে আজ রাবি খুলছে

পবিত্র ঈদুল ফিতর, জুমাতুল বিদা, শবেকদর ও শুভ জন্মাষ্টমীর ছুটি শেষে আজ থেকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস খুলছে। এর আগে টানা ১৮ দিন ছুটি শেষে গতকাল সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলগুলো খুলে দেয়া হয়। গত ১ সেপ্টেম্বর ছুটি শুরু হয়। তবে দাফতরিক ছুটি শুরু হয় ৭ সেপ্টেম্বর থেকে এবং একই দিনে আবাসিক হলগুলোও বন্ধ করে দেয়া হয়। এদিকে ক্যাম্পাস খোলার পর বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন পয়েন্টে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েনসহ নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হবে বলে প্রশাসন

Sunday, September 5, 2010

সাপ্তাহিক বাজারদর (০২.০৯.২০১০)

বাবুবাজারের চালের দাম (পাইকারি)

২ সেপ্টেম্বরের দাম (কেজিপ্রতি)

২৬ আগস্টের দাম (কেজিপ্রতি)

মিনিকেট

৩৭.৫০-৩৮ টাকা

৩৭.৫১-৩৮.৮৫ টাকা

নাজির শাইল

৪০-৪৩ টাকা

৪০.১৯-৪৪.২১ টাকা

লতা (বিআর ২৮)

৩৫-৩৫.৫০ টাকা

৩০.৮১-৩৪.৮৩ টাকা

পারিজা

৩২-৩২.৫০ টাকা

৩০.৮১-৩৪.৮৩ টাকা

গুটি স্বর্ণা

৩১.৬১-৩২.৬৯ টাকা

৩১.৬১-৩২.৬৯ টাকা

রহমতগঞ্জের বাজারদর (পাইকারি)

২ সেপ্টম্বরের দাম (কেজিপ্রতি)

২৬ আগস্টের দাম (কেজিপ্রতি)

মসুর ডাল

৯০-১০৩ টাকা

৮৫-৯২.৫০ টাকা

বোল্ডার (মোটা)

৬৭-৭৩ টাকা

৬৩-৬৮ টাকা

মুগ ডাল

৮৮-১১০ টাকা

৯০-১০০ টাকা

খেসারি

৩৪-৩৯ টাকা

৩৭-৩৮ টাকা

ডাবলি ডাল

২৪.৫০ টাকা

২৪.৫০ টাকা

অ্যাংকর ডাল

২৪.৫০ টাকা

২৪ টাকা

ছোলা

৩৬-৩৯ টাকা

৩৮ টাকা

মটর ডাল

৭৫-৭৮ টাকা

৭৫-৭৮ টাকা

মৌলভীবাজারের বাজারদর (পাইকারি)

২ সেপ্টম্বরের দাম (কেজিপ্রতি)

২৬ আগস্টের দাম (কেজিপ্রতি)

সয়াবিন তেল

৭৯ টাকা ৮৫ পয়সা

৭৬ টাকা ৯০ পয়সা

সুপার পাম

৭৬ টাকা ৯০ পয়সা

৭৩ টাকা ৯৫ পয়সা

পাম

৭৬ টাকা ৩৬ পয়সা

৭৩ টাকা ১৫ পয়সা

চিনি

৪২ টাকা ৬০ পয়সা

৪২ টাকা ৬০ পয়সা

আটা

২৭ টাকা

২৫ টাকা

ময়দা

৩১ টাকা

২৯ টাকা ৬০ পয়সা

শ্যামবাজারের বাজারদর (পাইকারি)

২ সেপ্টেম্বরের দাম (কেজিপ্রতি)

২৬ আগস্টের দাম (কেজিপ্রতি)

আলু

৯-৯.৫০ টাকা

৮-১০ টাকা

পেঁয়াজ (দেশি)

১৯-২১ টাকা

১৬-১৮ টাকা

পেঁয়াজ (ভারতীয়)

১৮-১৯ টাকা

১৭ টাকা

রসুন (দেশি)

১৩০-১৩৩ টাকা

১৩০-১৩২ টাকা

রসুন (চীন)

১৪০-১৪৫ টাকা

১৪০-১৪৫ টাকা

আদা (চীন)

৯৫-৯৭ টাকা

১০০ টাকা

খাতুনগঞ্জের বাজারদর (পাইকারি)

২ সেপ্টেম্বরের দাম (কেজিপ্রতি)

২৬ আগস্টের দাম (কেজিপ্রতি)

চিনি

৪৪ টাকা ৪৮ পয়সা

৪৬ টাকা ৩৫ পয়সা

সয়াবিন

৭৭ টাকা ৯৭ পয়সা

৭৫ টাকা ৭০ পয়সা

পাম

৭৩ টাকা ৬৮ পয়সা

৭১ টাকা ৫৪ পয়সা

মসুর ডাল (দেশি)

৮৮ টাকা

৮৮ টাকা

মসুর ডাল (নেপাল)

৯৫ টাকা

৯৫ টাকা

মুগ ডাল (ভালো মানের)

৯৭ টাকা

৯৭ টাকা

ছোলা

৩৮.৮৫-৪০.১৯ টাকা

৩৮.৮৫-৪০.১৯ টাকা

মটর ডাল

২২.৮০-২৩ টাকা

২২.৮০-২৩ টাকা

পাহাড়তলীর চালের বাজারদর (পাইকারি)

২ সেপ্টেম্বরের দাম (কেজিপ্রতি)

২৬ আগস্টের দাম (কেজিপ্রতি)

মিনিকেট (সিদ্ধ)

৩৪ টাকা ৪৩ পয়সা

৩৪ টাকা ৪৩ পয়সা

মিনিকেট (আতপ)

৩৩ টাকা ৪৯ পয়সা

৩৩ টাকা ৪৯ পয়সা

জিরাশাইল

৩৮ টাকা ১৮ পয়সা

৩৮ টাকা ১৮ পয়সা

পারিজা

৩২ টাকা ৯৫ পয়সা

৩২ টাকা ৯৫ পয়সা

স্বর্ণা (আতপ)

২৮ টাকা ১৩ পয়সা

২৮ টাকা ১৩ পয়সা

পাকিস্তানি আতপ

২৭ টাকা ৬০ পয়সা

২৭ টাকা ৬০ পয়সা

মোটা সিদ্ধ

২৯ টাকা

২৯ টাকা

১০৬ বছরেও কুমারী!

জীবনে কোনো দিন কোনো পুরুষ তাঁকে চুমুও খেতে পারেননি। ১০৫ বছর পেরিয়ে ব্রিটিশ এই নারী গতকাল শনিবার ১০৬ বছরে পা রেখেছেন। ব্রিটেনের প্রভাবশালী পত্রিকা দ্য সান এ তথ্য জানিয়েছে।
ইসা ব্লাইদ নামের শতবর্ষী এই নারীর ভাইঝি শিনা ক্যাম্বেল গত শুক্রবার বলেছেন, ‘আমার জানা নেই ব্লাইদের মতো জীবনে কেউ এমনটি করেছেন। কোথাও এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া যাবে বলেও মনে হয় না। তিনি কখনোই প্রেম অনুভব করেননি। কোনো পুরুষের সংস্পর্শে আসেননি। মাঝে মধ্যে শেরি মদ খান তিনি।’ ইসা ব্লাইদ মনে করেন, অবিবাহিত থাকাই তার এই বয়সেও শক্ত-সমর্থ থাকার পেছনের কারণ
নিয়মিত গির্জায় যেতেন ইসা ব্লাইদ। গির্জায় ধর্মসংগীতে অংশ নিতেন। গলফ খেলায় ছিলেন পারঙ্গম।
১৯০৪ সালে ব্লাইদের জন্ম। জন্মের পর থেকেই স্কটল্যান্ডের এডিনবরায় আছেন। হুইস্কি কোম্পানিতে ৩৫ বছর কাজ করেছেন। প্রতিষ্ঠানটির শীর্ষ পদে থাকায় চাকরিজীবনে খুবই ব্যস্ত থাকতে হয়েছে তাঁকে।
শিনা ক্যাম্বেল বলেন, ‘এত ব্যস্ততার মধ্যেও ব্লাইদ নিজেকে সবসময় গির্জার সঙ্গে সম্পৃক্ত রাখতেন। গির্জার ধর্মীয়সংগীত ছিল তাঁর খুবই প্রিয়। ফুলের ক্লাবের সঙ্গে তাঁর সম্পর্কটা ছিল বন্ধুর মতো।’ তিনি আরও বলেন, ‘জীবনে কখনো দুঃখ পেতে দেখিনি ব্লাইদকে। একজন চমৎকার মানুষ তিনি। তাঁকে দেখলে আপনার মনেই হবে না, তিনি একজন শতবর্ষী।’ টাইমস অব ইন্ডিয়া।

বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদের ৩৯তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ

বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদ শেখের ৩৯তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ ৫ সেপ্টেম্বর। দিবসটি উপলক্ষে নড়াইল সদর উপজেলার নূর মোহাম্মদনগরে (সাবেক মহিষখোলা) বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদ গ্রন্থাগার ও স্মৃতি জাদুঘরে কোরআনখানি ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে।
এ ছাড়া পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, আজ সকালে যশোরের কাশিপুর গ্রামে বীরশ্রেষ্ঠর মাজারে গার্ড অব অনার প্রদান করা হবে। বীরশ্রেষ্ঠর স্ত্রী ফজিলাতুন্নেছাসহ পরিবারের অন্যান্য সদস্য ও আত্মীয়স্বজন নড়াইল থেকে কাশিপুর গ্রামে মাজার জিয়ারত করতে যাবেন। সেখানেও কোরআনখানি ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে।
১৯৩৬ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি নূর মোহাম্মদ শেখ নড়াইল সদর উপজেলার মহিষখোলা গ্রামে (বর্তমান নূর মোহাম্মদ নগর) জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৭১ সালের আজকের দিনে তিনি যশোর জেলার গোয়ালহাটি গ্রামে পাকিস্তানি বাহিনীর সঙ্গে সম্মুখযুদ্ধে তিন সঙ্গীকে বাঁচাতে নিজের জীবন উত্সর্গ করেন।

প্রথমবারের মতো ভর্তি ফরম পাওয়া যাবে অনলাইনে

ময়মনসিংহের ত্রিশালে অবস্থিত জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম বর্ষের (সম্মান) ভর্তি ফরম অনলাইনে পাওয়া যাবে ও অনলাইনেই জমা দেওয়া যাবে। ভর্তি ফরমের এই টাকা ৮০৬টি ডাকঘরের মাধ্যমে জমা দিতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ে কোনো ফরম পাওয়া যাবে না ও জমাও নেওয়া হবে না।
বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক আইনুল ইসলাম বলেন, বাংলাদেশে দ্বিতীয় পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে এ বছরই প্রথমবারের মতো ভর্তির জন্য অনলাইনে ফরম পাওয়া যাবে ও অনলাইনেই তা জমা দেওয়া যাবে। শিক্ষার্থীদের সুবিধার্থে আমরা ডাকঘরের সঙ্গে চুক্তি করেছি, তারা ফরম বিক্রির টাকা আমাদের দিয়ে দেবে এবং শিক্ষার্থীদের একটি গোপন নম্বর দেবে। শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে গিয়ে ছবিসহ ফরম পূরণ করবেন এবং নির্ধারিত স্থানে গোপন নম্বরটি বসাবেন। নির্ধারিত স্থানে গোপন নম্বর দিয়ে পূরণ করলেই প্রবেশপত্র পাওয়া যাবে। প্রবেশপত্রটি প্রিন্ট করে নিয়ে ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করবেন।
আগামী ১ অক্টোবর থেকে অনলাইনে ফরম পাওয়া যাবে। উপজেলা সদরের ডাকঘর ও শহরের ডাকঘরগুলোতে একটি বিষয়ের জন্য জমা দিতে হবে ৩০০ টাকা এবং একাধিক বিষয়ের জন্য দিতে হবে ৩৫০ টাকা। ডাকমাশুল দিতে হবে ২৭ টাকা। ক, খ, গ, ঘ ও ঙ ইউনিটে অভিন্নভাবে ফরম পূরণ করে জমা দিতে হবে। ভর্তি-সংক্রান্ত তথ্য ও নির্দেশিকা www.jkkniu.edu.bd ওয়েবসাইটে পাওয়া যাবে।

হাজারীবাগে বস্তিতে আগুন ৫০ ঘর পুড়েছে

রাজধানীর হাজারীবাগের চরগঘাটা লেনের বস্তিতে গতকাল শনিবার রাতে অগ্নিকাণ্ডে ৫০টি ঘর পুড়ে গেছে। ফায়ার সার্ভিস সূত্র জানায়, রাত পৌনে ১০টার দিকে হাজারীবাগের চরগঘাটা লেনের বস্তির একটি ঘরে গ্যাসের চুলা থেকে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত। মুহূর্তের তা একের পর এক ঘরে ছড়িয়ে পড়ে। ফায়ার সার্ভিসের ছয়টি ইউনিট দুই ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নেভাতে সক্ষম হয়। তবে এতে হতাহতের কোনো ঘটনা ঘটেনি।

কওমি মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের কেন্দ্রীয় পরীক্ষার ফল প্রকাশ

কওমি মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড বেফাকুল মাদারাসিল আরাবিয়ার (বেফাক) ৩৩তম কেন্দ্রীয় পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করা হয়েছে। এ বছর বিভিন্ন শ্রেণীতে জিপিএ-৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হয়েছেন তিন হাজার ৭৫৮ জন পরীক্ষার্থী। গড় পাসের হার ৬৫ শতাংশ। ফলাফলের সব তথ্য www.befaq-bd. com-এ ওয়েবসাইটে পাওয়া যাবে।
গতকাল শনিবার বেফাকের কার্যালয়ে বোর্ডের মহাসচিব মাওলানা আবদুল জব্বারের হাতে ফলাফলের বই তুলে দেন পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মাওলানা মুহাম্মাদ ইসমাইল।

তাপে পাকে কাঁচা পেঁপে, খেজুরে পাখির বিষ্ঠা


বিষাক্ত রাসায়নিক পদার্থ ব্যবহার করার পাশাপাশি তাপ দিয়েও কৃত্রিমভাবে পাকানো হচ্ছে অপরিপক্ব ফল। গতকাল শনিবার ভেজালবিরোধী ভ্রাম্যমাণ আদালত পুরান ঢাকার শ্যামবাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে বেশ কয়েকটি ফলের আড়তে এ কাজ করতে দেখেন।
আদালত কৃত্রিমভাবে পেঁপে পাকানো ও বিক্রি এবং খেজুরের মধ্যে পাখির বিষ্ঠা পাওয়া যাওয়ায় কয়েকজন ব্যবসায়ীকে জরিমানা করেন। এছাড়া একজনকে দুই মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়। তাপ দিয়ে পাকানো পেঁপে ও পচা খেজুর আদালতের নির্দেশে নষ্ট করে ফেলা হয়।
গতকাল দুপুরে ভ্রাম্যমাণ আদালত পুরান ঢাকার শ্যামবাজার লালকুঠি এলাকার পাইকারি ফলের আড়তে অভিযান চালান। আদালত একে একে মেসার্স সিটি এন্টারপ্রাইজ, মেসার্স বাদশা এন্টারপ্রাইজ, মেসার্স ভাই ভাই এজেন্সি ও মামুন এন্টারপ্রাইজে অভিযান চালান। প্রতিটি আড়তে কৃত্রিমভাবে পেঁপে পাকাতে দেখেন আদালত।
আড়তগুলোতে প্রতিটি পেঁপে কাগজে মুড়িয়ে স্তূপাকারে রাখা হয়। পরে মাঝখানে মাটির পাত্রে কাঠের টুকরো জ্বালিয়ে তাপ দেওয়া হয়। এতে মাত্র ২৪ ঘণ্টায় কাঁচা ও অপরিপক্ব পেঁপে পাকা রং ধারণ করে।
সিটি এন্টারপ্রাইজের মালিক খোরশেদ আলম কোনো ধরনের রাসায়নিক দেওয়ার কথা অস্বীকার করে আদালতকে বলেন, তাঁদের আড়তে পেঁপেগুলোতে তাপ দেওয়া হয় মাত্র। তিনি বলেন, পেঁপে গাছ থেকে তোলার সময় চাষি বা পাইকারেরা রাসায়নিক পদার্থ দিয়ে থাকতে পারে। খোরশেদ আলম সাংবাদিকদের বলেন, পেঁপে পাকা রং করাতেই তাপ দেওয়া হয়। ভালো রং ছাড়া খুচরা বিক্রেতারা তাঁদের কাছ থেকে কিনতে চান না।
মামুন এন্টারপ্রাইজের মালিক নূর ইসলাম বলেন, রোজার সময় বেশি লাভের জন্য তাঁরা কৃত্রিম উপায়ে পেঁপে পাকান।
কৃত্রিম উপায়ে পেঁপে পাকানোর অভিযোগে আদালত সিটি এন্টারপ্রাইজ ও মামুন এন্টারপ্রাইজকে দুই লাখ টাকা করে এবং বাদশা এন্টারপ্রাইজ ও ভাই ভাই এজেন্সিকে এক লাখ টাকা করে জরিমানা করেন। তাপ দেওয়া কাঁচা পেঁপে জব্দ করেন আদালত। পরে তা ডেমরার ডাম্পিং স্টেশনে নষ্ট করা হয়।
আদালত ওয়াইজঘাট এলাকার ফলের আড়ত মেসার্স রাসেল এন্টারপ্রাইজে অভিযান চালান। সেখানে মজুদ বিপুল পরিমাণ খেজুরের অধিকাংশ দেখা যায় পচা। এই খেজুরের মধ্যে বেশ কিছু পাখির বিষ্ঠাও পাওয়া যায়। প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপক জহিরুল ইসলামকে দুই মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন আদালত। পাখির বিষ্ঠা থাকার কথা আদালতের কাছে স্বীকার করে জহিরুল ইসলাম বলেন, ওই খেজুর মধ্যপ্রাচ্য থেকে এসেছে। কীভাবে এর মধ্যে পাখির বিষ্ঠা এল তা তাঁদের জানা নেই। রাসেল এন্টারপ্রাইজ থেকে ৩০ কেজি ওজনের ৫০০ বস্তা খেজুর জব্দ করা হয় এবং তা ডাম্পিং স্টেশনে নষ্ট করা হয়।
ভ্রাম্যমাণ আদালত ফরমালিন ব্যবহার করা হচ্ছে কি না তা দেখতে বাদামতলীর একটি ফলের দোকানেও ঢুকেছিলেন। তবে পরিবেশ অধিদপ্তরের দুজন কর্মকর্তা সেখানকার কিছু আঙুর ও আপেল পরীক্ষা করে ফরমালিনের অস্তিত্ব পাননি।
ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনাকারী ঢাকা জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মাদ আল-আমীন বলেন, বিশুদ্ধ খাদ্য অধ্যাদেশ অনুযায়ী এসব ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। আদালতকে সহায়তা করেন বিএসটিআইয়ের তিনজন কর্মকর্তা ও র‌্যাব ১০-এর একটি দল।

মাস্টার্স ১ম পর্ব প্রাইভেট কোর্সে রেজিস্ট্রেশন তথ্য

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ২০০৯ সালের মাস্টার্স ১ম পর্ব কোর্সে (প্রাইভেট) রেজিস্ট্রেশনের আবেদন করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।
যোগ্যতা : ক) ২০০৮ সাল অথবা তার আগে ডিগ্রি (পাস) পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীরা প্রাইভেট পরীক্ষার্থী হিসেবে ২০০৯ সালের মাস্টার্স ১ম পর্ব কোর্সে (প্রাইভেট) রেজিস্ট্রেশনের জন্য আবেদন করার যোগ্য।খ) ডিগ্রি (পাস) পরীক্ষায় উত্তীর্ণসহ ২০০৮ সাল অথবা তার আগে সার্টিফিকেট কোর্স পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীরা প্রাইভেট পরীক্ষার্থী হিসেবে ২০০৯ সালের মাস্টার্স ১ম পর্ব কোর্সে রেজিস্ট্রেশনের জন্য আবেদন করার যোগ্য। তবে বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড থেকে অর্জিত ফাজিল বা কামিল ডিগ্রি এবং ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ফাজিল বিএ (স্পেশাল) সনদ গ্রহণযোগ্য নয়। গ) বাংলাদেশ প্রতিরক্ষা বাহিনীর সদস্যরা উল্লিখিত যোগ্যতা থাকা সাপেক্ষে ও বিভাগীয় প্রধানের অনুমতিক্রমে প্রাইভেট পরীক্ষার্থী হিসেবে মাস্টার্স ১ম পর্ব কোর্সে রেজিস্ট্রেশনের জন্য আবেদন করার যোগ্য। ঘ) উল্লিখিত শর্তাবলি যথাযথভাবে পূরণ এবং উত্তম আচরণের প্রত্যয়নপত্র প্রদান সাপেক্ষে কারাবন্দীরাও নিচের শর্তে উক্ত কোর্সে প্রাইভেট রেজিস্ট্রেশনের জন্য আবেদন করার যোগ্য। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তর থেকে এ বিষয়ে অনুমতি গ্রহণ করতে হবে। অন্যান্য যাবতীয় বিধি/নিয়মাবলি বন্দীদের বেলায় অপরিবর্তিত থাকবে।
বিষয় নির্বাচন: ক) মাস্টার্স ১ম পর্ব কোর্সে (প্রাইভেট) রেজিস্ট্রেশনের জন্য জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদিত বিষয়সমূহ—বাংলা, ইংরেজি, ইতিহাস, ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি, দর্শন, আরবি, ইসলামিক স্টাডিজ, সংস্কৃত, পালি, অর্থনীতি, রাষ্ট্রবিজ্ঞান, হিসাববিজ্ঞান, ব্যবস্থাপনা, মার্কেটিং ও ফিন্যান্স। খ) ব্যবহারিক ক্লাস বা মাঠকর্মসম্বলিত বিষয়ে মাস্টার্স ১ম পর্ব কোর্সে প্রাইভেট রেজিস্ট্রেশনের জন্য আবেদন গ্রহণযোগ্য নয়।
গ) বিষয় নির্বাচনের ক্ষেত্রে অবশ্যই ডিগ্রি (পাস) পর্যায়ে পঠিত অথবা সার্টিফিকেট কোর্স পরীক্ষায় উত্তীর্ণ বিষয় নির্বাচন করা যাবে।
ঘ) ডিগ্রি (পাস) কোর্সে পঠিত ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিষয়ের সমগোত্রীয় বিষয় হিসেবে ইতিহাস বিষয়টি গণ্য করা যাবে।
রেজিস্ট্রেশনের শর্তাবলি : ক) উক্ত কোর্সে একজন প্রাইভেট পরীক্ষার্থী রেজিস্ট্রেশনের আবেদন করার সময় কোনো পরীক্ষাকেন্দ্র নির্বাচন করার পর পরবর্তী সময়ে কেন্দ্র পরিবর্তনের অনুমতি দেওয়া যাবে না। তা ছাড়া প্রাইভেট পরীক্ষার্থীরা যে বিষয়ে রেজিস্ট্রেশনের আবেদন জমা দেবেন, পরবর্তী সময়ে সে বিষয় পরিবর্তন করা যাবে না।
খ) মাস্টার্স ১ম পর্ব কোর্সের (নিয়মিত) জন্য নির্ধারিত পাঠ্যসূচি প্রাইভেট পরীক্ষার্থীদের হুবহু অনুসরণ করতে হবে। গ) পরীক্ষার্থীদের রেজিস্ট্রেশন ও পরীক্ষাসংক্রান্ত সব বিষয়ে একাডেমিক কাউন্সিল ও সিন্ডিকেট কর্তৃক প্রদত্ত সিদ্ধান্ত মেনে নিতে হবে।
ঘ) মাস্টার্স ১ম পর্ব (প্রাইভেট) পরীক্ষার্থীদের রেজিস্ট্রেশনের মেয়াদ বিরতিহীনভাবে ৩ (তিন) শিক্ষাবর্ষ। মাস্টার্স ১ম পর্ব পাসের পর মাস্টার্স শেষ পর্বের জন্য পুনরায় রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। কোনোক্রমেই রেজিস্ট্রেশনের মেয়াদ বৃদ্ধি বা নবায়ন করা হবে না। ঙ) মাস্টার্স ১ম পর্ব কোর্সে (নিয়মিত) ভর্তিকৃত শিক্ষার্থী প্রাইভেট পরীক্ষার্থী হিসেবে রেজিস্ট্রেশনের জন্য আবেদন করার অযোগ্য। তা ছাড়া কোনো শিক্ষার্থী একই সময়ে একাধিক কোর্সে কিংবা একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ে/প্রতিষ্ঠানে অধ্যয়ন করলে দ্বৈত ভর্তিজনিত কারণে উক্ত শিক্ষার্থীর ভর্তি ও ফলাফল বাতিল বলে গণ্য হবে।
আবেদন করার নিয়মাবলি: কলেজ কর্তৃপক্ষের অনুমতি গ্রহণপূর্বক স্নাতকোত্তর ১ম পর্ব কোর্সে (প্রাইভেট) ২২/৮/২০১০ তারিখ থেকে ভর্তি-ইচ্ছুক প্রার্থীদের নিচের ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে আবেদন ফরম পূরণ করতে হবে: ভর্তির আবেদন ফরম পূরণের জন্য প্রযোজ্য ওয়েবসাইট: www.nu-bbs.info কম্পিউটারে পূরণকৃত আবেদন ফরমের একটি প্রিন্ট কপি, নির্ধারিত আবেদন ফি, রেজিস্ট্রেশন ফি ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংশ্লিষ্ট কলেজে জমা দিয়ে কলেজ থেকে রিসিভ কপি সংগ্রহ করতে হবে। অসম্পূর্ণ বা ভুল তথ্যসম্বলিত আবেদন ভর্তির অযোগ্য। # বিস্তারিত তথ্যের জন্য www.nu.edu.bd অথবা www.nu-bbs.info ওয়েবসাইট দেখতে হবে।
কম্পিউটারে পূরণকৃত আবেদন ফরমের প্রিন্ট কপির সঙ্গে নিম্নবর্ণিত কাগজপত্র সংযুক্ত করতে হবে: ক) এসএসসি/সমমান, এইচএসসি/ সমমান পরীক্ষা পাসের মূল সনদপত্র ও নম্বরপত্রের সত্যায়িত ফটো কপি।খ) ডিগ্রি (পাস) পরীক্ষা পাসের মূল/সাময়িক সনদপত্র ও নম্বরপত্রের সত্যায়িত ফটো কপি। গ) জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়া অন্য কোনো স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডিগ্রি (পাস) পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ছাত্রছাত্রীদের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গৃহীত মাইগ্রেশন সনদের সত্যায়িত ফটো কপি।ঘ) সংশ্লিষ্ট কলেজের অধ্যক্ষ অথবা গেজেটেড অফিসার কর্তৃক চারিত্রিক সনদ এবং পাঠবিরতি সনদ (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে)। ঘ) জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডিগ্রি (পাস) পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীদের ডিগ্রি (পাস) কোর্সের মূল রেজিস্ট্রেশন কার্ডের সত্যায়িত ফটো কপি।চ) সদ্য তোলা পাসপোর্ট আকারের দুই কপি সত্যায়িত ছবি। ছ) প্রতিরক্ষা বাহিনীতে কর্মরত প্রার্থীদের ‘শিক্ষা ছুটি দেওয়া হবে’ মর্মে বিভাগীয় প্রধানের প্রত্যয়নপত্র।
মাস্টার্স ১ম পর্ব কোর্সে (প্রাইভেট) রেজিস্ট্রেশন ও অন্যান্য বাবদ ধার্যকৃত ফি: আবেদন ফি: ১০০/- (এক শ) টাকা, রেজিস্ট্রেশন ফি: ৪৫০/- (চার শ পঞ্চাশ) টাকা, বিলম্ব-ফিসহ রেজিস্ট্রেশন ফি: ৮০০/- (আট শ) টাকা
ভর্তির সময়সূচি: ক) বিলম্ব-ফি ছাড়া অনলাইন আবেদনের কম্পিউটার-প্রিন্ট কপি সংশ্লিষ্ট কলেজে জমাপূর্বক ভর্তির শেষ তারিখ: ৪/১১/২০১০। শিক্ষার্থীপ্রতি রেজিস্ট্রেশন ফি ৪৫০/- টাকা হারে ব্যাংক ড্রাফট করার শেষ তারিখ: ৭/১১/২০১০। ব্যাংক ড্রাফট, অনলাইন আবেদন ফরমের প্রিন্ট কপি, আনুসঙ্গিক কাগজপত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক (মাস্টার্স) শাখায় জমা দেওয়ার শেষ তারিখ: ৮/১১/২০১০ খ) বিলম্ব-ফিসহ অনলাইন আবেদনের কম্পিউটার-প্রিন্ট কপি সংশ্লিষ্ট কলেজে জমাপূর্বক ভর্তির শেষ তারিখ: ২৫/১১/২০১০। বিলম্ব-ফিসহ শিক্ষার্থীপ্রতি রেজিস্ট্রেশন ফি মোট ৮০০/- টাকা হারে ব্যাংক ড্রাফট করার শেষ তারিখ: ২৮/১১/২০১০, বিলম্ব-ফিসহ ব্যাংক ড্রাফট, অনলাইন আবেদন ফরমের প্রিন্ট কপি ও আনুসঙ্গিক কাগজপত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাডেমিক (মাস্টার্স) শাখায় জমা দেওয়ার শেষ তারিখ: ২৯/১১/২০১০।

নিচের ৪৭টি কলেজে রেজিস্ট্রেশনের জন্য আবেদন করা যাবে:
১. ঢাকা কলেজ, ঢাকা
২. ইডেন মহিলা কলেজ, ঢাকা
৩. সরকারি তিতুমীর কলেজ, ঢাকা
৪. কবি নজরুল সরকারি কলেজ, ঢাকা
৫. ঢাকা সিটি কলেজ, ঢাকা
৬. তেজগাঁও কলেজ, ঢাকা
৭. লালমাটিয়া মহিলা কলেজ, ঢাকা
৮. মোহাম্মদপুর কেন্দ্রীয় কলেজ, ঢাকা
৯. শেখ বোরহানুদ্দিন কলেজ, ঢাকা
১০. হাবীবুল্লাহ বাহার কলেজ, ঢাকা
১১. সরকারি বাঙলা কলেজ, ঢাকা
১২. সিদ্ধেশ্বরী কলেজ, ঢাকা
১৩. নিউ মডেল ডিগ্রী কলেজ, ঢাকা
১৪. আবুজর গিফারী কলেজ, ঢাকা
১৫. বেগম বদরুন্নেছা সরকারি মহিলা কলেজ, ঢাকা
১৬. সরকারি নাজিমুদ্দিন কলেজ, মাদারীপুর
১৭. সরকারি সা’দত কলেজ, টাঙ্গাইল
১৮. সরকারি রাজেন্দ্র কলেজ, ফরিদপুর
১৯. সরকারি বঙ্গবন্ধু কলেজ, গোপালগঞ্জ
২০. টঙ্গী সরকারি কলেজ, গাজীপুর
২১. ভাওয়াল বদরে আলম সরকারি কলেজ, গাজীপুর
২২. আনন্দমোহন কলেজ, ময়মনসিংহ
২৩. সরকারি আশেক মাহমুদ কলেজ, জামালপুর
২৪. নরসিংদী সরকারি কলেজ, নরসিংদী
২৫. সরকারি তোলারাম কলেজ, নারায়ণগঞ্জ
২৬. নেত্রকোনা সরকারি কলেজ, নেত্রকোনা
২৭. সরকারি দেবেন্দ্র কলেজ, মানিকগঞ্জ
২৮. রাজশাহী কলেজ, রাজশাহী
২৯. সরকারি আযিযুল হক কলেজ, বগুড়া
৩০. দিনাজপুর সরকারি কলেজ, দিনাজপুর
৩১. কারমাইকেল কলেজ, রংপুর
৩২. সরকারি এডওয়ার্ড কলেজ, পাবনা
৩৩. সিরাজগঞ্জ সরকারি কলেজ, সিরাজগঞ্জ
৩৪. নওগাঁ সরকারি কলেজ, নওগাঁ
৩৫. চট্টগ্রাম সরকারি কলেজ, চট্টগ্রাম
৩৬. চট্টগ্রাম কমার্স কলেজ, চট্টগ্রাম
৩৭. ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজ, কুমিল্লা
৩৮. এম.সি কলেজ, সিলেট
৩৯. চাঁদপুর সরকারি কলেজ, চাঁদপুর
৪০. হাজী মুহাম্মদ মোহসীন কলেজ, চট্টগ্রাম
৪১. নোয়াখালী সরকারি কলেজ, নোয়াখালী
৪২. সরকারি বিএম কলেজ, বরিশাল
৪৩. বিএল কলেজ, খুলনা
৪৪. এমএম কলেজ, যশোর
৪৫. কুষ্টিয়া সরকারি কলেজ, কুষ্টিয়া।
৪৬. লক্ষ্মীপুর সরকারি কলেজ, লক্ষ্মীপুর
৪৭. পটুয়াখালী সরকারি কলেজ, পটুয়াখালী।

 মেডিকেলে ভর্তি পরীক্ষার প্রস্তুতি

মডেল টেস্ট-৩  অংশ-২
মেডিকেল কলেজে ভর্তিচ্ছু প্রিয় শিক্ষার্থীরা, আজ একটি মডেল টেস্টের ২য় অংশ ছাপা হলো।
৩। অন্তঃশ্বসন কাকে বলে?
(ক) শ্বসনের যে ধাপ কলায় সংঘটিত হয় এবং যখন রক্ত থেকে অক্সিজেন কলাকোষে প্রবেশ এবং কোষমধ্যস্থ খাদ্য জারিত করে শক্তি তৈরি করে এবং কোষ থেকে রক্তে কার্বন ডাইঅক্সাইড পরিত্যাগ করে তাকে অন্তঃশ্বসন বলে।
(খ) শ্বসনের যে ধাপ রক্তে সংঘটিত হয় এবং যখন রক্ত থেকে অক্সিজেন গলবিলে প্রবেশ করে ও কোষমধ্যস্থ খাদ্য জারিত-বিজারিত হয়ে শক্তি তৈরি করে আর কোষ থেকে রক্তে কার্বন ডাইঅক্সাইড ত্যাগ করে তাকে অন্তঃশ্বসন বলে।
(গ) শ্বসনের যে ধাপে রক্তের গ্লুকোজ বেয়ে হিমোগ্লোবিনের সঙ্গে যুক্ত হয় এবং রক্ত থেকে অক্সিজেন গলবিলে প্রবেশ করে ও কোষমধ্যস্থ খাদ্য জারিত ও এনজাইমে বিশ্লিষ্ট হয়ে শক্তি তৈরি করে, কোষ থেকে রক্তে কার্বন ডাইঅক্সাইড ত্যাগ করে তাকে অন্তঃশ্বসন বলে।
(ঘ) শ্বসনের যে ধাপে রক্তে গ্লাইকোলাইসিস তৈরি হয়ে হিমোগ্লোবিনের সঙ্গে যুক্ত হয় এবং রক্ত থেকে অক্সিজেন গলবিলে প্রবেশ করে ও কোষমধ্যস্থ খাদ্য জারিত, বিজারিত, বিশ্লিষ্ট হয়ে শক্তি তৈরি করে, কোষ থেকে রক্তে অক্সিজেন ত্যাগ করে তাকে অন্তঃশ্বসন বলে।
৪। কোন তথ্যাটি সঠিক নয়?
(ক) খাবার গ্রহণের সময় এপিগ্লটিস স্বরযন্ত্রকে ঢেকে দেয়। এতে খাদ্যদ্রব্য ল্যারিংকসে প্রবেশ করতে পারে না। (খ) স্বরতন্ত্রীর কাঁপনের ফলে স্বরের উৎপত্তি হয়। কথা বলতে বা কোনো শব্দ তৈরি করতে মুখ এবং স্বরতন্ত্রী একসঙ্গে ব্যবহূত হয়। (গ) মানুষের ফুসফুস বক্ষগহ্বরে ডায়াফ্রামের ওপরে হূৎপিণ্ডের দুই পাশে থাকে বলে লাল বর্ণের আর কোণাকার অঙ্গ।
(ঘ) মানুষের ডান ও বাঁ দিকে দুটি ফুসফুস রয়েছে। এই দুটি খাঁজের দ্বারা বিভক্ত নয়। ডান ফুসফুস তিন খণ্ডবিশিষ্ট, বাঁ ফুসফুস চার খণ্ডবিশিষ্ট।
৫। লোহিত রক্তকণিকায় প্রবিষ্ট কার্বন ডাইঅক্সাইডের একাংশ হিমোগ্লোবিনের অ্যামাইনো গ্রুপের সঙ্গে যুক্ত হয়ে কী তৈরি করে? যৌগের বিক্রিয়াটি দেখাও।
(ক) কার্বামিনোহিমোগ্লোবিন তৈরি করে। বিক্রিয়াটি হলো:
CO2+Hb.NH2 Hb.NHCOOH
(খ) কার্বন অ্যামাইনো এসিটাইল কো-এ-রিডাকটেজ তৈরি করে।
বিক্রিয়াটি হলো: CO2+2NO3+CCFCOOH+A3+2
(গ) কার্বামিথোমিগ্লোবিন এসিটাইল কো-এ-রিডাকটেজ তৈরি করে। বিক্রিয়াটি হলো: CO2+2ANO3+MNO4COOH+2CO3
(ঘ) কার্বন অ্যামাইনো এসিটেট তৈরি করে। বিক্রিয়াটি হলো: C+CO3+2ANO3 COOH+HbHCOOH

মডেল টেস্ট-৩: অংশ-২ সঠিক উত্তর: ৩. ক ৪. ঘ ৫. ক।

ঈদের আগে বিক্রি বেড়েছে

চলতি সপ্তাহে কম্পিউটার যন্ত্রাংশের দাম কিছুটা কম। প্রসেসর, প্রিন্টার, মাদারবোর্ড ও মনিটরের দাম বেশকমেছে। আর বাজারগুলোতে ঈদের কেনাকাটার ভিড়ও দেখার মতো। বিক্রেতারা জানান, ঈদ উপলক্ষে বিক্রি বেড়েছে। গতকাল শনিবার পাওয়া বিভিন্ন যন্ত্রাংশের দাম নিচে দেওয়া হলো:
প্রসেসর: ইন্টেল কোর আই ৭ (২.৮ গি.হা.) ২৪৪০০ টাকা, ইন্টেল কোর আই ৫ (২.৬৬ গি.হা.) ১৫৫০০ টাকা, ইন্টেল কিউ ৯৫০৫ (২.৮৩ গি.হা.) ১৭০০০ টাকা, ইন্টেল সেলেরন ১.৮ গি.হা. ২৮০০ টাকা। ইন্টেল কোর আই ৩ ২.৯৩ গি.হা. ৯০০০ টাকা কোর আইথ্রি ৩.০৬ গি.হা. ৯৮০০ টাকা। পেন্টিয়াম ডুয়েল কোর ২.৭ ৫০০০ টাকা। ইন্টেল কোর টু কোয়াড ৮৬০০-১৩৩০০ টাকা; ২.৬৬ গি.হা. ১২৫০০ টাকা। ইন্টেল কোর টু ডুয়ো কেরাজ ই ৭৫০০ ২.৯৩ গি.হা. ৮৫০০ টাকা। মাদারবোর্ড: ইন্টেল ডিপি ৫৫ ডব্লিউবি (ডিডিআরএ) ৯৪০০ টাকা, ইন্টেল ডিএইচ ৫৫ এইচসি ৯৬০০ টাকা। গিগাবাইট এইচ ৫৫-এমএইচটুএইচ (ডিডিআর ৩) ৭৭০০ টাকা। ইন্টেল ডিজি৪৫ এসজি ১০৭০০ টাকা, ইন্টেল ডিজি ৪৫আইডি ৮১০০ টাকা। ডিজি৪১আরকিউ ৪৫০০ টাকা। ৪১টিওয়াই ৫৫০০ টাকা। ইন্টেল ৪৩জিটি ৬৬০০ টাকা। গিগাবাইট জি ৪১ ইন্টেল টিপসেট ৪৫০০ টাকা। আসুস জি৪১ ৪৩০০ টাকা। ফক্সকন জি৩১ এমভি ৩২৫০ টাকা, এইচ৫৫ এমএক্সভি ৫৮০০ টাকা। র‌্যাম: ২ গি.বা. ডিডিআর-২ ৩৪০০ টাকা। ১ গি.বা. ডিডিআর টু ১৭৫০ টাকা; ২ গি.বা. ডিডিআর ৩ ৪৫০০ টাকা। হার্ডডিস্ক ড্রাইভ: ১৬০ গি.বা. (৭২০০ আরপিএম) ২৭৫০ টাকা। ৩২০ গি.বা. ৩৩০০ টাকা। ৫০০ গি.বা. ৩৭০০ টাকা। ১ টেরাবাইট ৬২০০ টাকা। পেনড্রাইভ: ২ গি.বা. ৫০০ টাকা; ৪ গি.বা. ৭০০ টাকা; ৮ গি.বা. ১৩০০ টাকা। এলসিডি মনিটর: স্যামসাং ১৫.৬'' ৭৮০০ টাকা। ফিলিপস ১৮.৫'' ৮৭০০ টাকা; ডেল ১৮.৫'' ৮৫০০ টাকা। স্যামসাং ১৮.৫'' ৯২০০ টাকা। এলজি ১৮.৫'' ৮৭০০ টাকা। এইচপি ১৮.৫'' ৯৫০০ টাকা। স্যামসাং ২১.৫'' ১২৬০০ টাকা। গ্রাফিকস কার্ড: গিগাবাইট জিভি ১ গি.বা. ৯৫০০ জিটি ৪৭০০ টাকা। গিগাবাইট পিসিআই এক্সপ্রেস ১ গি.বা. ৯৫০০ জিটি ৪৫০০ টাকা। স্যাফায়ার (এইচডি ৪৩৫০) ১ গি.বা. ৪,১০০, এইচডি ৩৪৫০ ৫১২ মে.বা. ৩২০০ টাকা। পিসিআই এক্সপ্রেস ৪৫৫০ এইচডি ৫১২ মে.বা. ৪৬০০ টাকা, এক্সএফএস এক্সপ্রেস ১ গি.বা জিএফ ৯৪০০ জিটি ৪৩০০ টাকা। ফক্সকন জিফোর্স পিসিআই ১০,৫০০ টাকা। ডিভিডি রাইটার/রি-রাইটার: সামসাং ৫২x২৪x৫২এক্স ১৭৫০ টাকা এবং আসুস ৫২x৩২x৫২এক্স ২১০০ টাকা, সনি ডিভিডি-আরডব্লিউ ১৮০০ টাকা। ডিভিডি-রম ড্রাইভ: আসুস ১৮এক্স ১৪৫০ টাকা, ১৩৫০ টাকা এবং বেনকিউ ১৬ এক্স ১৩৫০ টাকা। কেসিং: ১৫০০ থেকে ৩০০০ টাকা। মাউস: ১৫০ থেকে ৯০০ টাকা। কিবোর্ড: সাধারণ ২৫০ থেকে ৩৫০ টাকা। মাল্টিমিডিয়া ৬০০ টাকা। স্পিকার: ক্রিয়েটিভ ইনস্পায়ার (৫: ১) ৫৩০০ টাকা, (৭: ১) ৯৮০০ টাকা, (৪: ১) ৪৫০০ টাকা, (২: ১) ২৭০০ টাকা। মাইক্রোল্যাব (২: ১) ১৩৫০ থেকে ২৪০০। মাইক্রোল্যাব (২: ১) ১৭০০ থেকে ১৮০০ টাকা, (৫: ১) ৪৫০০ টাকা, ক্রিয়েটিভ এসবিএস (এ৩০০) ২৫০০ টাকা, ডিলাক্স (২:১) ১৭০০। গোল্ডেন ব্রিজ এফটি ৮১৬ (২: ১) ১৩০০। গোল্ডেন ব্রিজ এফটি ৮১২ (২: ১) ১৩০০। গোল্ডেন ব্রিজ এফটি ৮০৫ (২: ১) ১৩০০। জিপিআরএস মডেম: আসুস ইউএসবিটি ৭১০০ টাকা, মোবিডাটা ২৮০০-৪২০০ টাকা (ইউএসবি)। টিভিকার্ড: এভারমিডিয়া এক্সটারনাল (ইউএসবি) ৪৫০০ টাকা ও ইন্টারনাল ৩২০০ টাকা, গেডমি (ইউএসবি) টিভিকার্ড ২১০০, রিয়ালভিউ এক্সটারনাল (এলসিডি) ২২৫০ টাকা ও গেড মি (এলসিডি) ২১০০ টাকা। কে-ওয়ার্ল্ড ২৭০০ টাকা। প্রিন্টার: ক্যানন পিক্সমা আইপি ২৭৭০ ৩০০০ টাকা, এইচপি ১৬৬০ ডেস্কজেট ২৮০০ টাকা, এপসন সি ৫৯ ৩৫০০ টাকা, এইচপিসি পি (লেজার) ১০০৫, ৯৫০০ টাকা; ব্রাদার এইচএল ২১৪০-৭৫০০ টাকা। এমএফসি ৭৩৪০ থেকে ২৩৫০০ স্যামসাং এমএল ১৬৪০ (লেজার) ৬০০০। ডিজিটাল ফটোফ্রেম: ট্রানসেন্ড ৮৫০০, জিনিয়াস ৭৫০০ টাকা। পোর্টেবল হার্ডডিস্ক: ট্রানসেন্ড (২৫০ গি.হা) ৫১০০ টাকা, (৩২০ গি.হা) ৫৬০০ টাকা, (৫০০ গি.হা) ৭৫০০ টাকা, (১ টি বি) ১৯৫০০ টাকা। ইউপিএস: ৬৫০ ভিএ ২৬০০ টাকা, ৮০০ ভিএ ৩০০০ টাকা, ১২০০ ভিএ ৫২০০ টাকা, ২ কেভিএ ১০৫০০ টাকা। রেডফক্স ৬৫০ভিএ ২৮০০ টাকা। অ্যান্টি ভাইরাস: নরটন সিঙ্গেল ইউজার ১১০০ টাকা। ক্যাসপারস্কি সিঙ্গেল ১০৯৯ টাকা। থ্রি ২১৯৯ টাকা।

Saturday, September 4, 2010

বিশ্ববিদ্যালয় করা হচ্ছে টেঙ্টাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজকে

শীঘ্রই বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিণত হচ্ছে রাজধানীর কলেজ অব টেঙ্টাইল ইঞ্জিনিয়ারিং এ্যান্ড টেকনোলজি। এ কথা জানিয়ে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেছেন, সংসদের আসন্ন অধিবেশনেই টেঙ্টাইল বিশ্ববিদ্যালয় সংক্রান্ত বিল পাস করা হচ্ছে। অধিবেশনের প্রথম সপ্তাহেই বিল পাস করা হবে। বিল পাস হলেই বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসত্মবায়ন কাজ দ্রম্নত শুরম্ন করা হবে।
শুক্রবার দেশের সরকারী পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট ও সমমানের প্রতিষ্ঠানে দ্বিতীয় শিফটের ভর্তি পরীৰা পরিদর্শনকালে শিৰামন্ত্রী এসব কথা বলেছেন। রাজধানীর আগারগাঁওস্থ ঢাকা মহিলা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে ভর্তি পরীক্ষা পরিদর্শনকালে শিৰামন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন কারিগরি শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক নিতাই চন্দ্র সূত্রধর, কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবুল কাসেম, ঢাকা মহিলা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটসহ অধিদফতর মন্ত্রণালয়ের উর্ধতন কর্মকর্তারা। প্রথমবারের মতো অনলাইনে দেশের সকল সরকারী পলিটেকনিকে ইনস্টিটিউট সমমানের প্রতিষ্ঠানে ভর্তি কার্যক্রম পরিচালনায় সনত্মোষ প্রকাশ করেন শিৰামন্ত্রী। শুক্রবার অনুষ্ঠিত হয়েছে দ্বিতীয় শিফটের ভর্তি পরীৰা। ১০ হাজার ২৪০টি আসনের বিপরীতে পরীৰায় অংশ নেয় ৩৩ হাজার ৬৪২ পরীৰার্থী। ফল প্রকাশ হবে আগামী ৮ সেপ্টেম্বর। এর আগে গত ২৪ জুলাই প্রথম শিফটে ভর্তি পরীৰা অনুষ্ঠিত হয়েছিল। প্রথম শিফটে ১০ হাজার ১৬০টি আসনের বিপরীতে পরীৰায় অংশ নিয়েছিল ৫৩ হাজার ২৯৪ পরীৰার্থী। দেশের ৪৯টি সরকারী পলিটেকনিক ও সমমানের প্রতিষ্ঠানে ৩২টি টেকনোলজিতে চার বছর মেয়াদী ডিপেস্নামা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্সে ভর্তির পুরো প্রক্রিয়াই এবার হচ্ছে অনলাইনে। দেশের ৪৯টি সরকারী পলিটেকনিক ও সমমানের প্রতিষ্ঠানে ৩২টি টেকনোলজিতে চার বছর মেয়াদী ডিপেস্নামা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্সে দুই শিফট মিলিয়ে প্রতিবছর ২০ হাজারেরও বেশি শিৰার্থী ভর্তির সুযোগ পায়। প্রথম শিফটের শিৰা কার্যক্রম চলে সকালে এবং দ্বিতীয় শিফটের শিৰা কার্যক্রম চলে বিকেলে। এছাড়া দেশের বেসরকারী ১২৯টি পলিটেকনিকে আরও প্রায় ২০ হাজার শিৰার্থী পড়ালেখার সুযোগ পায়। শুক্রবার পরীৰা কেন্দ্র পরিদর্শনকালে সাংবাদিকদের কাছে কারিগরি শিৰার সমস্যা এবং এ শিৰার উন্নয়নে সরকারের নেয়া পদৰেপের নানা দিক তুলে ধরেন শিৰামন্ত্রী। তিনি বলেন, দেশে ৭০ হাজারের বেশি বিদেশী শ্রমিক আমাদের দেশের পোশাকশিল্পে কাজ করছে। এ শিল্পে দক্ষ শ্রমিকের চাহিদা মেটাতেই তেজগাঁওয়ে অবস্থিত টেঙ্াইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপানত্মরের সিদ্ধানত্ম নেয়া হয়েছে। এজন্য আগামী সংসদ অধিবেশনের প্রথম সপ্তাহের মধ্যেই এ সংক্রানত্ম বিলটি উপস্থাপন করা হবে। আগামী ২০ সেপ্টেম্বর থেকে শুরম্ন হচ্ছে নবম জাতীয় সংসদের ষষ্ঠ অধিবেশন।
শিৰামন্ত্রী আরও বলেন, 'দীর্ঘদিন থেকে দেশে কারিগরি শিক্ষা অবহেলিত। সরকার এ অবস্থা পরিবর্তনের চেষ্টা করছে। এর মধ্যে চারটি মহিলা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটসহ ২৫টি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট স্থাপনের প্রক্রিয়া শুরম্ন হয়েছে। এছাড়া দেশের প্রত্যেকটি উপজেলায় কারিগরি স্কুল স্থাপনের সিদ্ধানত্ম নিয়েছে সরকার।
কারিগরি শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ড. নিতাই চন্দ্র সূত্রধর অনলাইন ভর্তি প্রক্রিয়া সম্পর্কে বলেন, 'অনলাইলের মাধ্যমে ফরম বিতরণ, পূরণ, মোবাইলের মাধ্যমে ভর্তির টাকা প্রেরণসহ সবকিছু হয়েছে ডিজিটাল পদ্ধতিতে। ভর্তির এ প্রক্রিয়া কারিগরি শিৰায় যোগ্য ও মেধাবীদের আসার পথ আরও সহজ করবে বলেও মনে করেন অধিদফতরের মহাপরিচালক। তিনি জানান, এর আগে ভর্তি করা হতো শিৰার্থীদের এসএসসি ও সমমানের পরীৰার ফলাফলের ওপর ভিত্তি করে। ভর্তি প্রক্রিয়ার অনিয়ম দূর করে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে চলতি বছর অর্থাৎ ২০১০-১১ শিৰাবর্ষ থেকে শুরম্ন হয়েছে ভর্তি পরীৰা।
উলেস্নখ্য, ১৯৫০ সালে ডিপেস্নামা কোর্স নিয়ে শুরম্ন হয় রাজধানীর কলেজ অব টেঙ্টাইল ইঞ্জিনিয়ারিং এ্যান্ড টেকনোলজির শিৰা কার্যক্রম। এরপর ১৯৭৭-৭৮ শিৰাবর্ষে চালু করা হয় ডিগ্রী কোর্স। মোট ৫টি বিষয়ে প্রতিবছর দু'শ'রও বেশি শিৰার্থী এখানে ভর্তি হচ্ছে। বর্তমানে মোট শিৰার্থী এক হাজার ২০০। শিৰক আছেন ৪০ জন। যে ৫টি বিভাগে এখানে শিৰার্থীরা পড়ার সুযোগ পাচ্ছে তা হলো গার্মেন্টস, ইয়ান ম্যানুফ্যাকচারিং, ফেব্রিক ম্যানুফ্যাকচারিং, ওয়েভ প্রসেসিং এবং টেঙ্টাইল ম্যানেজমেন্ট। এছাড়া নতুন শিৰাবর্ষেই খোলা হচ্ছে ফ্যাশন ডিজাইনিং বিভাগ।

সাপের বিমান ভ্রমণ!

ব্রিটেনে বিমানবন্দরের কর্মকর্তারা জীবজন্তু পাচারকারী এক যাত্রীর বিদেশভ্রমণ আটকে দেন। তার পায়ের সঙ্গে পেঁচানো অবস্থায় অজগর সাপ এবং একটি কন্টেনারের মধ্যে মরা কবুতর পাওয়া গেছে। ধারণা করা হচ্ছে, কোন রেসত্মরাঁয় পরিবেশনের জন্য অবৈধভাবে এ প্রাণীগুলো পাচার করা হচ্ছিল। ইউকে বোর্ডার এজেন্সি জানিয়েছে, তারা যাত্রীদের কাছ থেকে এ ধরনের অদ্ভুত জিনিস প্রায়ই পেয়ে থাকে। মজার কথা হলো বৃহস্পতিবার লন্ডনের হিথরো এবং গ্যাটউইক বিমানবন্দর থেকে একই সময় অনেক অস্বাভাবিক বস্তু পাওয়া গেছে। যেমন তাঞ্জানিয়া থেকে আনা বিষাক্ত সাপ। এক হাজারটি মাকড়সা, থাইল্যান্ড থেকে আনা কয়েকটি শিকারী পাখি।

ওয়ান্টেড উইপন অব ফেইট

এ্যাঞ্জেলিনা জোলির ধুমধড়াক্কা এ্যাকশন সিনেমা 'ওয়ান্টেড' তো দেখেছেন, তাই না? সিনেমাটির সাফল্যের পর ওয়ার্নার ব্রস কথা দিয়েছিল সিনেমা যেখান থেকে শেষ হয়েছে গেমটি তৈরি হবে তার পরের কাহিনী থেকে। সেই কথা তারা রেখেছে। গেম ডেভেলপার 'গ্রিম' বাজারে এনেছে 'ওয়ান্টেড উইপন অফ ফেইট' ওয়েসলি ও তার বাবার কাহিনীর উপর ভিত্তি করেই গেমটি তৈরি হয়েছে এবং গেমে এই দুই চরিত্রে গেমারকে খেলতে হবে। প্রথমদিকের স্টেজগুলো শেষ করার পর ওয়েসলি নতুন কিছু ৰমতা অর্জন করবে। যেমন এ্যাড্রেনালিন। সিনেমার মতো এখানেও ওয়েসলি গতিশীল কোন কিছু (বুলেট পর্যনত্ম) ধীর করে ফেলতে পারে, এছাড়া বুলেট কার্ভ করা (বুলেটের গতিপথ বাঁকিয়ে দেয়া) ওয়েসলির আর একটি ৰমতা। গেমের কোন কোন স্টেজে ওয়েসলির বাবার ভূমিকায় খেলতে হবে। প্রথমদিকে দেখা যাবে ওয়েসলিকে কোলে নিয়ে তার মা পালাচ্ছে এবং শত্রম্নর হাত থেকে বাবা তাকে বাঁচাবে। বাবার সত্যিকারের পরিচয় এবং মায়ের আসল খুনিকে, তা জানার জন্য একের পর এক মিশনে থাকে ওয়েসলি, গেমের এক পর্যায়ে ওয়েসলি জানতে পারে তার বাবা ছিল একটি আততায়ী সংগঠনের সদস্য। যুগ যুগ ধরে যারা বিশ্বের বিভিন্ন নেতা ও শীর্ষস্থানীয় লোকজন যেমন কেনেডি, গান্ধী এদের হত্যা পরিকল্পনায় তৎপর ছিল। ওয়েসলির মা নিহত হয় তার বাবার হাতেই। গেমটির গ্রাফিঙ্ েচাকচিক্য আছে তবে কিছুটা কমিক বইয়ের ছাপ রয়েছে, থার্ডপার্সন শূ্যটার হিসেবে গেমটির গেমপেস্ন অনেক ভাল। বিশেষ করে পেস্নয়ারে (ওয়েসলি) মুভমেন্ট, এক কাভার থেকে আর এক কাভারে ফিরে আসা, শত্রম্নকে ফাঁকি দেয়া, এগুলো গিয়ার্স অফ ওয়ার বা অন্য গেমের চেয়ে অনেক দ্রম্নত। এছাড়া বুলেট বাঁকানো শটগুলো সেস্নামোশনে দেখানো হয় যা গেমারকে মুগ্ধ করবে। তবে একজন শত্রম্নকে মারার পর গেমার বুলেট কার্ভিং এবং এ্যাড্রেনালিন ৰমতা পাবেন। তবে গেমটির দুর্বলতা হচ্ছে প্রায় সব স্টেজে শত্রম্ন পৰের আক্রমণ, মুভমেন্ট একই রকম। বৈচিত্র্য নেই। তবে সাউন্ড সিস্টেম ভাল। যারা দ্রম্নত লয়ের এ্যাকশন গেম পছন্দ করেন তাদের জন্য "ওয়ান্টেড" একটা ভাল ও উপভোগ্য গেম।

ট্রেনের টিকেট এখন মোবাইল ফোনে

ডিজিটাল বাইনারি সঙ্কেত শূন্য এক। সেই চুম্বকীয় আবর্তনে এনালগ পদ্ধতি বাতিল হয়েছে অনেক আগে থেকেই। এসেছে নয়া আবর্তনে ডিজিটাল পদ্ধতি। মেথডটা অনেক ভাল এবং অনেক নির্ভরযোগ্য। কিন্তু উন্নয়নশীল দেশ এই তৃতীয় বিশ্বের ছোট্ট দেশটি বাংলাদেশ। সব অযোগ্যতাই যেন আষ্টে পৃষ্ঠে বেঁধে রেখেছে। বহু অভিশাপে পা দু'টি একটু বাড়ালে যুক্তিবাদীরা অযৌক্তিক যুক্তি তোলে। ফারাকটা অনেকটুকু তুলে ধরি, কোন একটি বিজ্ঞাপনে প্রায়ই দেখা যাচ্ছে। বাড়ির ভৃত্য বাজারে গেছে বাড়ির বাজারের ফর্দ নিয়ে, দোকানীকে বলছে এক কেজি পিঁয়াজ, দুই কেজি চিনি, এক কেজি লবণ আর তিনটা চট্টগ্রামের ট্রেনের টিকিট। আর নিচের অংশটুকু বলার পর তার চোখে ভেসে ওঠে গত বছর ঠেলাঠেলি, মারামারি করে সংগ্রহ করতে হয়েছিল এই টিকিট। আর এখন লাইনে দাঁড়ানো ছাড়াই মোবাইল ফোনের রিচার্জ সেন্টারে গিয়ে ঝটপট কেটে ফেলা যাচ্ছে ট্রেনের টিকিট। পাঠকরা এরই মধ্যে আমার আসল উদ্দেশ্যটা বুঝে গেছেন। জীবনকে সহজ-সুন্দর এবং সবের্াপরি গতিময়তা সেকেন্ডের শ্রেষ্ঠ মুহূর্তকে কাজে লাগানো যাবে, যদি আমরা সবাই প্রাকটিস করি ডিজিটাল পদ্ধতি।
পাবলিক বাসে আমার যাতায়াত সবসময়ই তাই হয়ত বাংলাদেশের বিশেষ একটি শ্রেণী ছাড়া একেবারে সাধারণ মানুষের খুব কাছে বসে তাদের সুখ, দুঃখের অনুভূতি শেয়ার করা যায়। ইচ্ছে মতো। গ্রামীণফোনে কাষ্টমাররা ট্রেনের টিকেট কাটতে পারবে তার মোবাইল থেকে। আপনার মোবাইলে * ১৩১*৩# চাপতে হবে। পিন নাম্বার দিতে হবে। আপনি কোন মাসের কত তারিখে যাবেন তার প্রথম তিনটি অৰর টাইপ করতে হবে। কোথায় যাবেন তার প্রথম তিনটি অৰর টাইপ করতে হবে। তারপর বার্তাটি পাঠাতে হবে। ফিরতি বার্তাটি আসলে 'ই-টিকেট' সেভ করতে হবে। তারপর নির্ধারিত ষ্টেশনে গিয়ে বার্তাটি দেখালে আপনার ট্রেনের টিকেটটি দিয়ে দেবে। এমনি করে বাংলালিংকেও টিকেট কাটা যাবে, যা আপনার মোবাইল দিয়েই সম্ভব। আর এজন্য থাকতে হবে মোবাইলে নির্দিষ্ট ব্যালেন্স। যদি কোন কারণে টিকেট কাটা না যায় তাহলে ই-টিকেটে কেটে নেওয়া টাকা আপনার মোবাইলে ব্যালেন্স হিসেবে ব্যবহার করা যাবে। আর এজন্য প্রতি টিকেটে চার্জ দিতে হবে মোবাইল কোম্পানীকে ২০ টাকা। তাই ইচ্ছেমত কাটা যাবে ট্রেনের টিকেট। আর ভ্রমণ করতে পারবেন সব খানে। এটাকে দ্রম্নত বাসত্মবায়ন করতে হবে। আর তা না হলে, মোবাইলে ট্রেনের টিকিট কাটা, ঐ পর্যনত্ম রয়ে যাবে। উপরের খোলসটা হয়ত পাল্টাবে কিন্তু ঠেলাঠেলি আর 'এনালগ' ট্র্রাস্ক কলের মতো আমাদেরও থাকতে হবে অপেৰায়।

অভি ফাইলস সার্ভিস বন্ধ করে দিচ্ছে নকিয়া

অক্টোবর থেকে অভি ফাইলস সার্ভিস সুবিধা বন্ধ করে দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে নকিয়া। ই-মেইলের মাধ্যমে অভি ফাইলস সার্ভিস ব্যবহারকারীদের এ কথা জানিয়েছে নকিয়া। একই সঙ্গে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ব্যবহারকারীদের কম্পিউটার থেকে অভি ফাইলস কানেক্টর সফটওয়্যারটি আনইন্সটল করারও উপদেশ দিয়েছে নকিয়া।
২০০৭ সাল থেকে চালু করা এই সুবিধার সাহায্যে নকিয়া ব্যবহারকারীরা ইন্টারনেটের মাধ্যমে যেকোনো স্থান থেকেই নিজের কম্পিউটারের বিভিন্ন ফাইল ব্যবহার করার সুযোগ পেতেন।

জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট পরীক্ষা: চূড়ান্ত মডেল টেস্ট-১১

সময়: ৪০ মিনিট \ মান: ৪০
১. দুই বা ততোধিক বস্তুর পারস্পরিক সমন্বয়ের কী বলে?
ক. সমন্বয় খ. অনুপাত গ. ভারসাম্য ঘ. সংগতি
২. গতি ও পুনরাবৃত্তি কোনটির প্রধান বৈশিষ্ট্য?
ক. অনুপাতের খ. ছন্দের গ. সমতার ঘ. সমন্বয়ের
৩. যৌথ সম্পদগুলো ব্যবহারে বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করতে হয়—
ক. গৃহকর্তার খ. গৃহকর্ত্রীর গ. সদস্যদের ঘ. বয়স্কদের
৪. কোন যৌথ সম্পদটি যথেষ্ট সতর্কতার সঙ্গে ব্যবহার করতে হয়?
ক. টেলিফোন খ. টয়লেট গ. কলতলা ঘ. ফ্যান
৫. মানসিক বিকাশের উপাদান হলো—
i. শারীরিক গঠন ও কাজের কৌশল
ii. বিবেচনা শক্তি ও অভিজ্ঞতা iii. কৌশল শিক্ষা ও নিপুণতা
নিচের কোনটি সঠিক?
ক. i খ. ii গ. iii ঘ. ii ও iii
৬. গবেষকদের তথ্য সংগ্রহের একটি সম্পদশালী প্রতিষ্ঠান কোনটি?
ক. পার্ক খ. জাদুঘর গ. চিড়িয়াখানা ঘ. ঐতিহাসিক স্থান
৭. কাজ অনুযায়ী গৃহে ব্যবহূত সরঞ্জামগুলো কয়ভাগে ভাগ করা যায়?
ক. ৪ খ. ৫ গ. ৬ ঘ. ৭
৮. সামগ্রী ক্রয়ের পরিকল্পনার সময় কোন বিষয়গুলো বিবেচনা করতে হবে?
ক. কোন প্রতিষ্ঠানের তৈরি খ. চাহিদা পূরণ
গ. অকেজো অবস্থার মূল্য
ঘ. একাধিক কাজে ব্যবহার করা যায়
৯. গৃহের চারাগাছের যত্ন নিতে হবে—
i. ছায়া বা আচ্ছাদনের ব্যবস্থা করে
ii. পানি সেচের ব্যবস্থা করে
iii. প্রয়োজনে কীটনাশক ব্যবহার করে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক. i ও ii খ. i ও iii গ. ii ও iii ঘ. i, ii ও iii
১০. উদ্ভিদের বংশ বিস্তারের মাধ্যম কী?
ক. চারা খ. ফুল গ. বীজ ঘ. ফল
১১. বীজ সংরক্ষণের সময় বীজের নাম, সংগ্রহের স্থান, তারিখ লিখে কোথায় এঁটে দিতে হবে?
ক. সংরক্ষণপাত্রে খ. পাত্রের তলানিতে
গ. পাত্রের মুখে ঘ. পাত্রের ঢাকনায়
# নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ১২ ও ১৩ নম্বর প্রশ্নের উত্তর দাও।
অন্তর্মুখী স্বভাবের মনির সাহেব সবাইকে শ্রদ্ধা করেন। তিনি সমাজের সবার অতি প্রিয়। এটা ফরিদ সাহেবের সহ্য হয় না। মনির সাহেব সমাজে যেসব কাজ করেন, ফরিদ সাহেব তা অধিক হারে করেও জনপ্রিয় হতে পারছেন না।
১২. মনির সাহেব সবার অতি প্রিয় হওয়ার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কারণ হলো—
ক. প্রতিবেশীকে সম্মান করা খ. প্রতিযোগিতামূলক মনোভাব
গ. প্রতিবেশীকে সাহায্য করা ঘ. নিজেকে প্রকাশ না করা
১৩. ফরিদ সাহেব জনপ্রিয় হতে পারছেন না, কারণ—
i. তাঁর প্রতিযোগিতামূলক মনোভাব
ii. নিজেকে ভালো প্রমাণের সর্বাত্মক চেষ্টা
iii. নিজেকে মনির সাহেবের চেয়ে ভালো প্রমাণের চেষ্টা
নিচের কোনটি সঠিক?
ক. i খ. i ও ii গ. ii ও iii ঘ. i, ii ও iii
১৪. পেট্রিডিস দিয়ে কী করা হয়?
ক. রান্না খ. কাপড় ধোয়া
গ. বীজ পরীক্ষা ঘ. খাদ্য গরম
১৫. রুটিনমাফিক চামড়া পরীক্ষা করে নির্ণয় করা হয়—
ক. যক্ষ্মা খ. বসন্ত গ. হাম ঘ. ডায়রিয়া
১৬. পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার অভাবে শিশুর কোন রোগটি বেশি হয়?
ক. জ্বর খ. ডায়রিয়া গ. ডিপথেরিয়া ঘ. হাম
১৭. শিশুর মানসিক আনন্দ ও বুদ্ধি বিকাশ হয়—
i. ধাঁধা, মজার ছড়ার মাধ্যমে
ii. নানা ধরনের বুদ্ধির খেলার মাধ্যমে
iii. দুর্ঘটনার খবর শোনার মাধ্যমে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক. ii খ. iii গ. i ও ii ঘ. ii ও iii
১৮. সামাজিক জ্ঞান বিকাশে সবচেয়ে দীর্ঘস্থায়ী শিক্ষণীয় প্রচারমাধ্যম কোনটি?
ক. বই খ. সংবাদপত্র গ. বেতার ঘ. টেলিভিশন
১৯. দৈনিক খাদ্যতালিকায় প্রয়োজনীয় কার্বোহাইড্রেটের পরিমাণ—
ক. ২০%-৪০% খ, ৩০%-৪০%
গ. ৫০%-৬০% ঘ. ৬০%-৭০%
২০. খাদ্য আমাদের কিসের চাহিদা মেটায়?
ক. রসনার খ. পরিতৃপ্তির গ. কাজ করার ঘ. পুষ্টির
২১. প্রোটিন জাতীয় খাদ্য—
i. বিভিন্ন ধরনের ছোট ও বড় মাছ
ii. শুঁটকি মাছ, লোনা মাছ iii. চাল, গম, আলু
নিচের কোনটি সঠিক?
ক. i ও ii খ. i ও iii গ. ii ও iii ঘ. i, ii ও iii
২২. মিশ্র খাদ্য গ্রহণের জন্য প্রয়োজন কোনটি?
ক. বেশি টাকা-পয়সার খ. সবুজ শাকসবজির
গ. অধিক খাদ্যের ঘ. মৌলিক খাদ্য গোষ্ঠীর
২৩. ‘ইকমিক কুকার’ ও ‘প্রেসার কুকার’ ব্যবহার করা হয়—
ক. ভাপে সেদ্ধ পদ্ধতিতে খ. মৃদু তাপে সেদ্ধ পদ্ধতিতে
গ. বেকিং পদ্ধতিতে ঘ. ঝলসানো বা সেঁকা পদ্ধতিতে
# নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ২৪ ও ২৫ নম্বর প্রশ্নের উত্তর দাও।
ফরিদের বয়স ১৪ বছর। সে শাকসবজি ও ফলমূল খুব কম খায়।
২৪. ফরিদের দেহে তুলনামূলকভাবে কম আছে—
i. ক্যারোটিন, রিবোফ্লাভিন ও ভিটামিন
ii. লোহা, ক্যালসিয়াম ও আয়োডিন
iii. ফসফরাস, প্রোটিন ও কার্বোহাইড্রেট
নিচের কোনটি সঠিক?
ক. i খ. i ও ii গ. ii ও iii ঘ. i, ii ও iii
২৫. প্রতিদিন ফরিদের জন্য কত গ্রাম শাকসবজি প্রয়োজন?
ক. ২০০ খ. ৩০০ গ. ৪০০ ঘ. ৫০০
২৬. তৈজসপত্র যথাস্থানে গুছিয়ে রাখবে কেন?
ক. রান্নাঘর ছোট বলে খ. কাজের সময় পাওয়া যাবে বলে গ. অন্য কেউ ধরবে বলে ঘ. দুর্ঘটনা প্রতিরোধে
২৭. রান্নার বিভিন্ন প্রক্রিয়ার জন্য খাদ্যে তারতম্য হয়ে থাকে—
i. স্বাদ ii. গুণাগুণ iii. সুগন্ধ
নিচের কোনটি সঠিক?
ক. i ও ii খ. i ও iii গ. ii ও iii ঘ. i, ii ও iii
২৮. রন্ধনকারিণীর কী ব্যবহারের অভ্যাস থাকা ভালো?
ক. চোখে সব সময় চশমা পরা
খ. রান্নার সময় হাতে গ্লাভস পরা
গ. রান্নার সময় শাড়ি পরা ঘ. পায়ে জুতা ব্যবহার করা
২৯. কাপড়ের ওপর প্রয়োজনীয় চাপ ঠিক রাখে—
ক. টেনশন অ্যাঙ্গেল খ. প্রেসার ফুট
গ. নিডল বার ঘ. প্রেসার বার
৩০. নাইলন অন্যান্য তস্তুর চেয়ে সর্বাপেক্ষা—
ক. দামি খ. মজবুত গ. আরামদায়ক ঘ. ঠান্ডা
৩১. নীলের পানিতে কাপড় ডোবাতে হয়—
i. সাদা কাপড় হলদে ভাব হলে
ii. পানি ফিকে রং হলে iii. পানি নীল রং হলে
নিচের কোনটি সঠিক? ক. i খ. ii গ. iii ঘ. i ও ii
৩২. শাড়ি রিফু করার সময় সুতা কোথায় নেওয়া ভালো?
ক. দোকান থেকে কিনে খ. শাড়ির নিচের অংশ থেকে গ. দরজির কাছ থেকে ঘ. শাড়ির কোমরের অংশ থেকে
৩৩. কত খ্রিষ্টাব্দে একটি শিল্প মেলায় রেয়ন সুতা প্রদর্শন করা হয়?
ক. ১৮৮০ খ্রিষ্টাব্দে খ. ১৮৮৪ খ্রিষ্টাব্দে
গ. ১৮৮৭ খ্রিষ্টাব্দে ঘ. ১৮৮৯ খ্রিষ্টাব্দে
৩৪. কাপড় কাচার ব্রাশ কিসের তৈরি হয়?
ক. প্লাস্টিকের খ. নারকেলের গ. বাঁশের ঘ. লোহার
৩৫. ওয়াশিং মেশিন কয় ধরনের?
ক. দুই ধরনের খ. চার ধরনের
গ. পাঁচ ধরনের ঘ. ছয় ধরনের
৩৬. জামা-কাপড় আকার অনুযায়ী আলাদা করে না ধুলে কী হয়?
ক. ভালো পরিষ্কার হয় না খ. রং উঠে যায়
গ. ছোট কাপড় হারিয়ে যায় ঘ. কাপড়ে ভাঁজ পড়ে যায়
৩৭. যে কাপড়ে তালি দিতে হয় তার রং এবং তালির কাপড়ের রং কেমন হওয়া উচিত?
ক. বৈচিত্র্যময় খ. অসংগতিপূর্ণ গ. অনুরূপ ঘ. উজ্জ্বল
৩৮. টমেটো ও বেগুনের বীজ কত ঘণ্টা ভিজিয়ে রাখতে হবে?
ক. ২৪-৩৬ ঘণ্টা খ. ২৬-৩৮ ঘণ্টা
গ. ৩৮-৪৮ ঘণ্টা ঘ. ৩৫-৪৫ ঘণ্টা
৩৯. আমাদের দেহে কত প্রকার খাদ্যের চাহিদা রয়েছে?
ক. ২ প্রকার খ. ৩ প্রকার গ. ৪ প্রকার ঘ. ৫ প্রকার
৪০. বাংলাদেশের কোথায় রেয়ন কারখানা আছে?
ক. চন্দ্রঘোনায় খ. বান্দরবানে
গ. কালুরঘাটে ঘ. রাঙামাটিতে।