ব্রেন্ডন টেলর-হ্যামিল্টন মাসাকাদজাদের কথাই তাহলে ঠিক। বুলাওয়ে-জুজু বলে
কিছু নেই, ‘ইটস অল অ্যাবাউট ক্রিকেট’। বল-ব্যাটের লড়াইয়ে যে ভালো, সে-ই
জেতে ম্যাচ। খেলাটা বুলাওয়েতেই হোক কিংবা হারারে অথবা বাংলাদেশের পাড়ার
কোনো মাঠে।
এবার বুলাওয়েতে আসার আগে কুইন্স স্পোর্টস ক্লাব মাঠে ৮টি ওয়ানডেতে বাংলাদেশের জয় ছিল ৬টি। ২০১১ সালের সফরে হারারেতে সর্বস্ব হারানোর পর বুলাওয়েতেই পাওয়া গিয়েছিল সান্ত্বনার দুটি জয়। হারারে থেকে ৪৪২ কিলোমিটার দূরের এই শহরে এত দিন তাই ‘নিজ ভূমে পরবাসী’ ছিল জিম্বাবুয়ে। ‘স্বাগতিক’ যেন বাংলাদেশ! জয়ের সংখ্যায় বাংলাদেশ এখনো এগিয়ে থাকলেও দাবিটা বোধ হয় এখন আর করা যাবে না। ২-১ এ সিরিজ জিতে এবার বুলাওয়েতেও নিজেদের অধিকার প্রতিষ্ঠা করে নিয়েছে জিম্বাবুয়ে দল।
প্রথম ওয়ানডেতে ২৬৯ রান করে জিতেছিল বাংলাদেশ। পরের দুই ম্যাচে ওটাকেই (২৭০) নিরাপদ স্কোর মনে করলেও কোনো ম্যাচেই সে পর্যন্ত যাওয়া হয়নি। দ্বিতীয় ম্যাচে ২৫২, কাল শেষটাতে ২৪৭। যা ৩ উইকেট হারিয়ে ১৭ বল বাকি থাকতেই টপকে গেল জিম্বাবুয়ে। বাংলাদেশ অবশ্য এখন বলতে পারে, বুলাওয়ের উইকেট আর আগের মতো নেই, এখানে আগে ব্যাট করলে জেতা কঠিন ইত্যাদি ইত্যাদি। কিন্তু বিদেশে এসেও যদি ‘স্বাগতিক’-এর সুবিধা পেতে হয়, তাহলে তো শুধু হোম সিরিজ খেলাই ভালো! আর টসই যদি প্রতি ম্যাচে জয়-পরাজয় নির্ধারণ করে দেবে, তাহলে ক্রিকেটটা সবাই-ই খেলতে পারে। প্রশ্নগুলোর উত্তর সম্ভবত অধিনায়ক মুশফিকুর রহিমের কাছেও নেই। ম্যাচ শেষের সংবাদ সম্মেলনে সে কারণেই দুম করে ঘোষণা দিলেন, ‘টি-টোয়েন্টি সিরিজের পর আমি আর অধিনায়কত্ব করব না।’
পুরো সিরিজের ধারাবাহিকতা ধরে রেখে কালও দায়িত্বজ্ঞানহীন ব্যাটিং করেছে বাংলাদেশের টপ অর্ডার। সব ছাপিয়ে পরাজয়ের সবচেয়ে বড় কারণ ওটাই। ম্যাচের শেষ ভাগে এই উইকেট পুরোই ব্যাটিংবান্ধব হয়ে যায় বলে বাংলাদেশের বোলিং নিয়ে একটা লাইনই যথেষ্ট—প্রতিকূলতাকে জয় করার মতো বোলিং করতে পারেননি কোনো বোলারই। হ্যামিল্টন মাসাকাদজার সঙ্গে ৭৯ রানের উদ্বোধনী জুটি দিয়ে শুরু, এর পরও জিম্বাবুয়েকে বলতে গেলে একাই জয়ের দিকে টেনে নিয়ে গেছেন ভুসিমুজি সিবান্দা। ২০১১ সালে হারারেতে বাংলাদেশের বিপক্ষে ৪ রানের জন্য সেঞ্চুরি মিস করেছিলেন। কাল ওয়ানডেতে নিজের দ্বিতীয় সেঞ্চুরিটা করার পর সে দুঃখ কিছুটা হলেও ভুললেন। কে জানে, কাল রাতে শন উইলিয়ামসের বাড়িতে এ সাফল্যে একটা পার্টিও দিয়ে দিয়েছেন কি না!
ব্যক্তিগত জীবনে খুবই ভালো বন্ধু শন উইলিয়ামস আর সিবান্দা। বুলাওয়েতে বেড়াতে এলে নাকি উইলিয়ামসের বাড়িতেই ওঠেন সিবান্দা। কাল মাঠেও দেখা গেল প্রগাঢ় সেই বন্ধুত্ব। ইনিংসের ৪৭তম ওভারের প্রথম বলে শফিউলকে বাউন্ডারি মেরে ফিফটি পূর্ণ করলেন উইলিয়ামস। কিন্তু তাতে যে দলের রানটাও হয়ে গেল ২৪৭! আর ১ রান করলেই জিতে যাবে জিম্বাবুয়ে। পরের পাঁচ বলে ১ রান হবে না, এটা যেমন অস্বাভাবিক, তেমনি অন্য প্রান্তে ৯৯ রানে অপরাজিত সিবান্দা সেই ১ রান চেয়ে চেয়ে দেখবেন, সেটাও কি মানা যায়! দর্শক, প্রেসবক্সের জিম্বাবুইয়ান সাংবাদিকেরা, এমনকি দুই আম্পায়ারও যেন দাঁড়িয়ে গেলেন সিবান্দার পাশে। শফিউলের বলগুলো শুধু ঠেকিয়েই গেলেন উইলিয়ামস, রান নিলেন না। রান না নিয়ে এত হাততালি মনে হয় না এর আগে কোনো ব্যাটসম্যান পেয়েছেন। বাউন্সারের মতো ওঠা পঞ্চম বলে চাইলেই ‘নো’ ডাকতে পারতেন আম্পায়ার। কিন্তু ডাকলেন না। হাততালি পেলেন তিনিও।
পরের ওভারের প্রথম বলটা অফ স্টাম্পের বাইরে করেছিলেন রবিউল। ব্যাটের কানায় লাগিয়ে থার্ডম্যান দিয়ে চার। সিবান্দার উল্লাসটাকে যেভাবে কাছে এসে বাহুডোরে নিয়ে নিলেন উইলিয়ামস, মনে হচ্ছিল সেঞ্চুরিটা বোধ হয় তিনিই করেছেন। ব্যক্তিগত সাফল্য ছাপিয়ে এই সাফল্য যে পুরো জিম্বাবুয়েরই। ম্যাচ শেষে ট্রফি হাতে উল্লাসরত জিম্বাবুয়ে দলের সঙ্গে দর্শকদেরও উল্লাস জানিয়ে দিচ্ছিল সেটাই।
এবার বুলাওয়েতে আসার আগে কুইন্স স্পোর্টস ক্লাব মাঠে ৮টি ওয়ানডেতে বাংলাদেশের জয় ছিল ৬টি। ২০১১ সালের সফরে হারারেতে সর্বস্ব হারানোর পর বুলাওয়েতেই পাওয়া গিয়েছিল সান্ত্বনার দুটি জয়। হারারে থেকে ৪৪২ কিলোমিটার দূরের এই শহরে এত দিন তাই ‘নিজ ভূমে পরবাসী’ ছিল জিম্বাবুয়ে। ‘স্বাগতিক’ যেন বাংলাদেশ! জয়ের সংখ্যায় বাংলাদেশ এখনো এগিয়ে থাকলেও দাবিটা বোধ হয় এখন আর করা যাবে না। ২-১ এ সিরিজ জিতে এবার বুলাওয়েতেও নিজেদের অধিকার প্রতিষ্ঠা করে নিয়েছে জিম্বাবুয়ে দল।
প্রথম ওয়ানডেতে ২৬৯ রান করে জিতেছিল বাংলাদেশ। পরের দুই ম্যাচে ওটাকেই (২৭০) নিরাপদ স্কোর মনে করলেও কোনো ম্যাচেই সে পর্যন্ত যাওয়া হয়নি। দ্বিতীয় ম্যাচে ২৫২, কাল শেষটাতে ২৪৭। যা ৩ উইকেট হারিয়ে ১৭ বল বাকি থাকতেই টপকে গেল জিম্বাবুয়ে। বাংলাদেশ অবশ্য এখন বলতে পারে, বুলাওয়ের উইকেট আর আগের মতো নেই, এখানে আগে ব্যাট করলে জেতা কঠিন ইত্যাদি ইত্যাদি। কিন্তু বিদেশে এসেও যদি ‘স্বাগতিক’-এর সুবিধা পেতে হয়, তাহলে তো শুধু হোম সিরিজ খেলাই ভালো! আর টসই যদি প্রতি ম্যাচে জয়-পরাজয় নির্ধারণ করে দেবে, তাহলে ক্রিকেটটা সবাই-ই খেলতে পারে। প্রশ্নগুলোর উত্তর সম্ভবত অধিনায়ক মুশফিকুর রহিমের কাছেও নেই। ম্যাচ শেষের সংবাদ সম্মেলনে সে কারণেই দুম করে ঘোষণা দিলেন, ‘টি-টোয়েন্টি সিরিজের পর আমি আর অধিনায়কত্ব করব না।’
পুরো সিরিজের ধারাবাহিকতা ধরে রেখে কালও দায়িত্বজ্ঞানহীন ব্যাটিং করেছে বাংলাদেশের টপ অর্ডার। সব ছাপিয়ে পরাজয়ের সবচেয়ে বড় কারণ ওটাই। ম্যাচের শেষ ভাগে এই উইকেট পুরোই ব্যাটিংবান্ধব হয়ে যায় বলে বাংলাদেশের বোলিং নিয়ে একটা লাইনই যথেষ্ট—প্রতিকূলতাকে জয় করার মতো বোলিং করতে পারেননি কোনো বোলারই। হ্যামিল্টন মাসাকাদজার সঙ্গে ৭৯ রানের উদ্বোধনী জুটি দিয়ে শুরু, এর পরও জিম্বাবুয়েকে বলতে গেলে একাই জয়ের দিকে টেনে নিয়ে গেছেন ভুসিমুজি সিবান্দা। ২০১১ সালে হারারেতে বাংলাদেশের বিপক্ষে ৪ রানের জন্য সেঞ্চুরি মিস করেছিলেন। কাল ওয়ানডেতে নিজের দ্বিতীয় সেঞ্চুরিটা করার পর সে দুঃখ কিছুটা হলেও ভুললেন। কে জানে, কাল রাতে শন উইলিয়ামসের বাড়িতে এ সাফল্যে একটা পার্টিও দিয়ে দিয়েছেন কি না!
ব্যক্তিগত জীবনে খুবই ভালো বন্ধু শন উইলিয়ামস আর সিবান্দা। বুলাওয়েতে বেড়াতে এলে নাকি উইলিয়ামসের বাড়িতেই ওঠেন সিবান্দা। কাল মাঠেও দেখা গেল প্রগাঢ় সেই বন্ধুত্ব। ইনিংসের ৪৭তম ওভারের প্রথম বলে শফিউলকে বাউন্ডারি মেরে ফিফটি পূর্ণ করলেন উইলিয়ামস। কিন্তু তাতে যে দলের রানটাও হয়ে গেল ২৪৭! আর ১ রান করলেই জিতে যাবে জিম্বাবুয়ে। পরের পাঁচ বলে ১ রান হবে না, এটা যেমন অস্বাভাবিক, তেমনি অন্য প্রান্তে ৯৯ রানে অপরাজিত সিবান্দা সেই ১ রান চেয়ে চেয়ে দেখবেন, সেটাও কি মানা যায়! দর্শক, প্রেসবক্সের জিম্বাবুইয়ান সাংবাদিকেরা, এমনকি দুই আম্পায়ারও যেন দাঁড়িয়ে গেলেন সিবান্দার পাশে। শফিউলের বলগুলো শুধু ঠেকিয়েই গেলেন উইলিয়ামস, রান নিলেন না। রান না নিয়ে এত হাততালি মনে হয় না এর আগে কোনো ব্যাটসম্যান পেয়েছেন। বাউন্সারের মতো ওঠা পঞ্চম বলে চাইলেই ‘নো’ ডাকতে পারতেন আম্পায়ার। কিন্তু ডাকলেন না। হাততালি পেলেন তিনিও।
পরের ওভারের প্রথম বলটা অফ স্টাম্পের বাইরে করেছিলেন রবিউল। ব্যাটের কানায় লাগিয়ে থার্ডম্যান দিয়ে চার। সিবান্দার উল্লাসটাকে যেভাবে কাছে এসে বাহুডোরে নিয়ে নিলেন উইলিয়ামস, মনে হচ্ছিল সেঞ্চুরিটা বোধ হয় তিনিই করেছেন। ব্যক্তিগত সাফল্য ছাপিয়ে এই সাফল্য যে পুরো জিম্বাবুয়েরই। ম্যাচ শেষে ট্রফি হাতে উল্লাসরত জিম্বাবুয়ে দলের সঙ্গে দর্শকদেরও উল্লাস জানিয়ে দিচ্ছিল সেটাই।
No comments:
Post a Comment