সিরিয়ার শরণার্থী নারীদের জর্ডানে বিয়ের জন্য বিক্রি করা হচ্ছে।
যুদ্ধ শুরু হওযার আগে কাজল নামের এক নারী ভালবাসতো তার প্রতিবেশী এক ছেলেকে।
কাজল জানায়, ‘তার বয়স ছিল ২০, এবং আমরা বিয়ে করে সংসার পাতার স্বপ্ন
দেখতাম। আমি কখনও ভাবতে পারি নি যে আমাকে এমন কাউকে বিয়ে করতে হবে যাকে
আমি ভালোবাসি না। কিন্তু আমি এবং আমার পরিবার আমানে আসার পর থেকেই কঠিন এক
সময় পার করছি।’
কাজলের বয়স ১৮। তার সবে তালাক হয়েছে। ৫০ বছর বয়স্ক এক সৌদি তার পরিবারকে ৩,১০০ ডলার দিয়ে বিয়ে করে।
‘আমি স্বামীর সঙ্গে আমানে ছিলাম। সে আমার সাথে দাসীর মতো ব্যবহার করতো।
আমি খুশি যে আমাকে তালাক দেওয়া হয়েছে।’ এসব কথা যখন কাজল বলছিলেন তখন তার
নীল চোখ জলে ছলছল করছিল।
‘আমি পরিবারের স্বার্থে বিয়েতে রাজি হয়েছি। আমি আর টাকার জন্য বিয়ে করতে
চাই না। এখন আমি সমবয়সী কোনও সিরিয়ার ছেলেকে বিয়ে করতে চাই।’
কাজলের মা জানান, ‘জীবন এখানে খুবই কঠিন। আমরা যথেষ্ট সহযোগিতা পাচ্ছি না।
আমাদের এক শিশু আছে যার জন্য প্রতিদিন দুধ কেনা দরকার। আমরা থাকার ভাড়াও
দিতে পারছিলাম না। তাই কাজলকে পরিবারের জন্য উৎসর্গ করা হয়েছে।’
তিনি জানান যে বিবাহের যাবতীয় ব্যবস্থা করে আমানের কিতাবুল সু্ন্নাহ নামের এক এনজিও।
‘যখন আমি এনজিওটির কাছে গেলাম, তারা আমার মেয়েকে দেখতে চাইল। তারা বলল যে তার বিয়ের ব্যবস্থা করে দেবে।’ কাজলের মা জানান।
জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক কর্মকর্তা এন্ড্রু হার্পার বলেন, ‘আমাদের
পক্ষে এত এত শরণার্থীকে (সংখ্যায় ৫ লাখেরও বেশি) সাহায্য করার মতো ক্ষমতা
নেই। শরণার্থীদের অধিকাংশ শিশু ও নারী। তাদের বেশিরভাগই বাড়ির বাইরে কাজ
করতে অভ্যস্ত নয়। কাজেই টিকে থাকার জন্য সেক্স তাদের অপরিহার্য হয়ে
উঠেছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘সাহায্য করতে যারা আসছে তাদের লক্ষই হল কম বয়সী নারীরা।
এর চেয়ে বিরক্তিকর আর কীইবা হতে পারে! আপনি এটাকে ধর্ষণ বলতে পারবেন না।
এটাকে বেশ্যাবৃত্তিও বলতে পারবেন না। আপনি যা ইচ্ছা বলতে পারেন। এটা হল অতি
দুর্বলের ওপর করুণা করার এক আশ্চর্য নমুনা!’
No comments:
Post a Comment