ভারত মহাসাগরের একটি বিরাট এলাকাজুড়ে আবহাওয়ার অস্থিতিশীলতার কারণে চলতি
সপ্তাহে নতুন উষ্ণমণ্ডলীয় ঘূর্ণিঝড়ের উৎপত্তি হয়েছে। সম্ভাব্য এই ঘূর্ণিঝড়
বাংলাদেশ, ভারতের উত্তর-পূর্ব, শ্রীলঙ্কার পূর্ব ও মিয়ানমারের উপকূলে আঘাত
হানতে পারে।
আবহাওয়া পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আগামী বুধবার বাংলাদেশ
উপকূলের দিকে ধেয়ে আসবে ঘূর্ণিঝড় ০১বি (বাংলাদেশি আবহাওয়াবিদদের মতে
‘মহাসেন’)। নতুন করে গঠিত এ উষ্ণমণ্ডলীয় ঝড় চলতি সপ্তাহে ভারত মহাসাগরের
দক্ষিণে প্রবাহিত হবে এবং এই সময়ে পশ্চিম অভিমুখেও প্রবাহ থাকবে।
উষ্ণমণ্ডলীয়
ঘূর্ণিঝড় (০১বি) আগামী কয়েকদিনে উত্তর অভিমুখে প্রবাহ সৃষ্টি করে
শক্তিশালী রূপ নেবে। এই ঝড়েই ভারতের উত্তর, বাংলাদেশ, এমনকি মিয়ানমারের
উপকূলীয় মানুষের জীবন হুমকির মুখে পড়বে। এর আগে আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছিলেন,
ঘূর্ণিঝড় ‘জামালা’ আঘাত হানতে যাচ্ছে।
উপগ্রহ থেকে তোলা শুক্রবারের
ছবিতে ভারতের দক্ষিণে উষ্ণমণ্ডলীয় ঘূর্ণিঝড় ‘জামালা’র সঙ্গে সন্নিহিত মেঘ
দেখা গেছে। এতে শ্রীলঙ্কার দক্ষিণ-পূর্ব উপকূলে নতুন করে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড়েরও
(০১বি) অস্তিত্ব পাওয়া গেছে।
আবহাওয়া পূর্বাভাসে আরেকটি উদ্বেগের
কথাও বলা হয়েছে। বাংলাদেশ ও উত্তর-পূর্ব ভারতে গত সপ্তাহে ৬ থেকে ১২ ইঞ্চি
বৃষ্টিপাত হয়। এ কারণে সম্ভাব্য উষ্ণম-লীয় ঘূর্ণিঝড়ে অতিরিক্ত ভারী
বৃষ্টিপাতের কারণে ব্যাপক বন্যা ও ভূমিধসও ঘটতে পারে।
এসব অঞ্চলে এর
আগে আঘাত হানা ঘূর্ণিঝড়ে প্রাণহানিসহ ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ২০০৮ সালে
উষ্ণমণ্ডলীয় ঝড় নার্গিসের আঘাতে মিয়ানমারের আনুমানিক লক্ষাধিক মানুষের
প্রাণহানি হয়। ১৯৯১ সালে এমনই আরেকটি ঘূর্ণিঝড় বাংলাদেশের তিন লক্ষাধিক
মানুষের প্রাণ কেড়ে নিয়ে যায়।
পশ্চিমা আবহাওয়াবিদদের ধারণা, ঘূর্ণিঝড় ‘জামালা’র আঘাতে স্থলভাগে সেই তুলনায় কম ক্ষয়ক্ষতি হবে।
এ
ব্যাপারে আবহাওয়া অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক শামসুদ্দিন আহমেদ বাংলানিউজকে
বলেন, “জামালা নামের কোনো ঘূর্ণিঝড় বাংলাদেশে আঘাত হানার সম্ভাবনা নেই।
কারণ এটা উত্তর গোলার্ধের ঝড়।” তবে তিনি জানান, ০১বি নামের যে ঝড়টির কথা
বলা হয়েছে, সেটা ‘মহাসেন’ নামে এই অঞ্চলে পরিচিত।
No comments:
Post a Comment