ঘূর্ণিঝড় ‘মহাসেন’র তাণ্ডবে পটুয়াখালী জেলার নিম্নাঞ্চল চার থেকে পাঁচ ফুট পানির নিচে তলিয়ে গেছে।
এছাড়া
বৃহস্পতিবার সকালে ঝড়ের কবলে পড়ে মো. সিরাজ আকন্দ (৬০) নামে একজনের মৃত্যু
হয়েছে। তার বাড়ি পটুয়াখালী সদর উপজেলার আওলিয়াপুর ইউনিয়নের বলাইকাঠি
গ্রামে।
ওই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. শাহ আলম শরীফ জানান,
বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ইউনিয়নের সাত নম্বর ওয়ার্ডের সাইক্লোন
শেল্টার সেন্টারে যাওয়ার পথে ঝড়ের তাণ্ডবে রাস্তার পাশে পড়ে যান। এতে
ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।
এদিকে, পটুয়াখালীতে বুধবার বিকেল থেকে
শুরু হওয়া ঝড়ো হাওয়া ও ভারী বৃষ্টি বৃহস্পতিবার সকাল ১১টার দিকে থেমে গেছে।
দুপুর সাড়ে ১২টা থেকে আকাশ পরিষ্কার রয়েছে।
কিন্তু, বুধবার রাত থেকে পুরো জেলায় বিদুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। মোবাইল ফোন ও ইন্টারনেট নেটওয়ার্ক এখনও স্বাভাবিক হয়নি।
জানা
গেছে, এ সময়ের মধ্যে জেলার রাঙ্গাবালি উপজেলার চরবাংলা, চরআন্ডার ও
চরমোন্তাজ, বাউফল উপজেলার চরবেরেট, চরমিনজান, দশমিনা, চরবাঁশবাড়িয়া ও
সোনারচর, কলাপাড়া উপজেলার নিশান বাড়িয়া ও লালপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রাম
চার থেকে পাঁচ ফুট পানির নিচে ডুবে গেছে।
এতে বাদাম, মরিচ, ডালসহ বিভিন্ন রবি শস্য পানির নিচে তলিয়ে গেছে।
রাঙ্গাবালি
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. লিয়াকত হোসেন বাংলানিউজকে জানান,
বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টা থেকে ১১টা পর্যন্ত প্রচণ্ড ঝড়ে উপকূলবর্তী
উপজেলা রাঙ্গাবালিতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
আধাঘণ্টার ঝড়ে তিন থেকে সাড়ে তিন হাজার বিভিন্ন ছোট-বড় গাছ উপড়ে গেছে। ভেঙে গেছে ৩০/৩৫টি কাঁচা ঘরবাড়ি।
কলাপাড়ার
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. জাহাঙ্গীর হোসেন বাংলানিউজকে
জানান, ঝড়ের আঘাতে কয়েক হাজার কাঁচা ঘরবাড়ি ভেঙে গেছে। তবে হতাহতের কোনো
খবর এখনও পাওয়া যায়নি।
তিনি জানান, কলাপাড়ার আলিপুরা বাজারের ২০/২২টি দোকান বিধ্বস্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
কুয়াকাটার
লতাচাপলি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল মালেক মোল্লা জানান, বৃষ্টিতে
ঘরের মেঝে পর্যন্ত পানি জমেছে। তবে সাগরে জলোচ্ছ্বাসের কোনো সম্ভাবনা নেই
বলে জানান তিনি।
No comments:
Post a Comment