নারী নেত্রী ও সমাবেশের সভাপতি আয়েশা খানমের স্বাগত বক্তব্যের মধ্য দিয়ে শুরু হলো নারী সমাবেশ।
শনিবার বিকেল সাড়ে ৩টায় এ সমাবেশ শুরু হয়।
নারীদের
পদচারণায় ধীরে ধীরে জমতে শুরু করেছে সমাবেশ স্থল। মঞ্চ এবং মঞ্চের পাশ
থেকে চলছে স্লোগান। বিভিন্ন নারী সংগঠন ও নারীদের উপস্থিতি বাড়ছে।
জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনের রাস্তায় দু’টি মিনি ট্রাকের ওপর তৈরি করা হয়েছে সমাবেশের মূল মঞ্চ।
সমাবেশে
অধিক নারী সংগঠন সমবেত হওয়ায় উদ্যোক্তারা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মঞ্চে একসঙ্গে
২০টি করে সংগঠনের নেত্রীরা উঠে বক্তৃতা করে নেমে যাবেন।
প্রস্তুতি
প্রসঙ্গে জানতে চাইলে উদ্যোক্তদের একজন শাহনাজ সুমি বাংলানিউজকে বলেন,
“একটি সমাবেশে যে ধরনের প্রস্তুতি থাকা দরকার, আমরা সবই নিয়েছি। সমাবেশে
অংশ নিতে আসা নারীদের পানি খাওয়ানো, রাস্তা চিনিয়ে দেওয়া, অসুস্থ হলে
মেডিকেল টিমের কাছে পৌঁছে দেওয়া ইত্যাদি কাজের জন্য প্রায় ২’শ স্বেচ্ছাসেবক
কাজ করছে।”
তিনি বলেন, “আমরা আশা করেছিলাম লাখো নারীর জমায়েত হবে
আজকের সমাবেশে। তবে আগামীকালের হরতাল এবং বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতির
কারণে এতটা নাও হতে পারে। আমরা মনে করছি ৫০ হাজারের মতো নারী সমাগম হবে।”
উদ্যোক্তাদের
আরেকজন মাহবুবা বেগম বাংলানিউজকে বলেন, “এদেশের জনসংখ্যার অর্ধেক নারী। এ
শক্তি ব্যবহার করতে না পারলে দেশের উন্নয়ন স্থবির হয়ে যাবে। নারী শক্তিতে
দক্ষভাবে কাজে লাগানোর বিরুদ্ধে মৌলবাদী শক্তি কাজ করে চলেছে।”
তিনি
আরও বলেন, “এ সমাবেশ থেকে আমরা জানাতে চাই নারীদের আজ আর ঘরে বসে থাকার
সময় নেই। এখন পুরুষের কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে দেশের উন্নয়নে ভূমিকা রাখার সময়।”
নিরাপত্তা
প্রসঙ্গে শাহবাগ জোনের এসি পেট্রল এমাদুল বাংলানিউজকে বলেন, “যেকোনো ধরনের
অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে সমাবেশ স্থল কাকরাইল-পল্টন-সচিবালয়সহ মোট ২২টি
পয়েন্টে দু’শতাধিক নারী পুলিশসহ বিভিন্ন স্তরের পাঁচ শতাধিক পুলিশ টহলে
নিয়জিত রয়েছে।”
No comments:
Post a Comment