উত্তর বঙ্গপোসাগরে অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় মহাসেন দ্রুত উপকূল ঘেঁষে
উত্তর-পূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে পরবর্তী তিন থেকে পাঁচ ঘণ্টার মধ্যে মেঘনা
মোহনার কাছ দিয়ে চট্টগ্রাম-নোয়াখালী উপকূল অতিক্রম করতে পারে।
বেলা সাড়ে ১১টায় প্রকাশিত আবহাওয়া অধিদপ্তরের ৩৩ নম্বর বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
৩৩
নম্বর বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ভারত মহাসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় মহাসেন
বেলা ১১টায় চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দর থেকে ১৫০ কিমি দক্ষিণ-পশ্চিম দিকে,
কক্সবাজার ১৪০ কিমি পশ্চিম এবং মংলা সমুদ্রবন্দর ১৪০ দক্ষিণ-পূর্বে অবস্থান
করেছিল (২১.৫ ডিগ্রি উত্তর অক্ষাংশ এবং ৯০.৬ ডিগ্রি পূর্ব দ্রাঘমাংশ)।
উত্তর
বঙ্গপোসাগরে অবস্থানরত ঝড় দ্রুত উপকূল ঘেঁষে উত্তর-পূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে
পরবর্তী তিন থেকে পাঁচ ঘণ্টার মধ্যে মেঘনা মোহনার কাছ দিয়ে
চট্টগ্রাম-নোয়াখালী উপকূল অতিক্রম করতে পারে।
ঘূর্ণিঝড় অতিক্রমকালে
চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, নোয়াখালী, চাঁদপুর, লক্ষ্মীপুর, বরগুনা পটুয়াখালী,
ভোলা, বরিশাল, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বাগেরহাট, খুলনা, সাতক্ষীরা এবং এর
অদূরবর্তী দ্বীপ ও চর সমূহে ভারি বর্ষণসহ ঘণ্টায় ৯০ থেকে ১০০ কিমি বেগে
দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।
পাশাপাশি উপকূলীয় জেলা
চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, নোয়াখালী, চাঁদপুর লক্ষ্মীপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী,
ভোলা, বরিশাল, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বাগেরহাট, খুলনা, সাতক্ষীরা এবং এর
অদূরবর্তী দ্বীপ ও চর সমূহের নিম্নাঞ্চলে স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৮ থেকে ১০
ফুট উচ্চতায় জলোচ্ছ্বাস হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
ঝালকাঠি, বাগেরহাট,
খুলনা, সাতক্ষীরা জেলাগুলোতে ভারি থেকে অতি ভারি বর্ষণ এবং ৮০ থেকে ৯০ কিমি
গতিবেগে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।
এর প্রভাবে চট্টগ্রাম বিভাগের পাহাড়ি অঞ্চলের কোথাও কোথাও ভূমি ধসের সম্ভাবনা রয়েছে।
ঘূর্ণিঝড়টি
অতিক্রমকালে ঝালকাঠি, বাগেরহাট, খুলনা, সাতক্ষীরা জেলা এবং তাদের
অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরগুলোতে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত এবং মংলায় ৫ নম্বর বিপদ
সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
বঙ্গপোসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরা
নৌকা-ট্রলার এবং সমুদ্রগামী জাহাজ গুলোকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত
নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।
No comments:
Post a Comment