তিনদিন ধরে ঘূর্ণিঝড় মহাসেন আতঙ্কে রয়েছেন সুন্দরবনসহ বৃহত্তর খুলনা
উপকূলের লাখ লাখ মানুষ। যে কোনো মুহূর্তে ঘূর্ণিঝড়ের আঘাতের আশঙ্কায়
নির্ঘুম রাতযাপন করছেন অনেকে। কেউ কেউ আবার আশ্রয় কেন্দ্রে প্রয়োজনীয়
মালামাল নিয়ে রেখে আসছেন।
মঙ্গলবার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত এ অঞ্চলের আকাশে গুমোটভাব। মাঝে মধ্যে
কোথাও কোথাও ঝড়ো হাওয়াসহ মাঝারি বৃষ্টি হচ্ছে। সমুদ্র ও নদীতে পানির
উচ্চতা বেড়েই চলছে। পানির উচ্চতা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে মানুষের আতঙ্কের
মাত্রা।
এ অবস্থায় ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলায় জেলা ও উপজেলা প্রশাসন সর্বোচ্চ সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।ঘূর্ণিঝড় মহাসেন আঘাত আনতে পারে- এ আশঙ্কায় সমুদ্র বন্দর মংলায় এলার্ট-২ জারি রয়েছে। খুলনা, বাগেরহাট ও সাতক্ষীরার বঙ্গোপসাগর প্রভাবিত উপকূলীয় এলাকার জনসাধারণকে সতর্ক করে মাইকিং করা হয়েছে। গভীর সমুদ্রে থাকা মাছ ধরার ট্রলার ইতোমধ্যে নিরাপদ আশ্রয়ে ফিরতে শুরু করেছে।
মংলা সমুদ্র বন্দরের নৌ-ঘাঁটি বিএনএস মংলার সব যুদ্ধজাহাজ খুলনার তিতুমীর নৌ-ঘাঁটিতে সরিয়ে আনা হয়েছে।
সার্বিক অবস্থা মনিটরিংয়ের জন্য তিন জেলাতে ২৮টি কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। এর মধ্যে খুলনায় ১০, বাগেরহাটে ১০ ও সাতক্ষীরায় ৮টি। এছাড়া জেলাগুলোর সিভিল সার্জনের কার্যালয় থেকে ২৭৬ মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে। এর মধ্যে খুলনায় ১১৬, বাগেরহাটে ৮২ ও সাতক্ষীরায় ৭৮।
খুলনা জেলা প্রশাসন কার্যালয় সূত্র বাংলানিউজকে জানায়, ঘুর্ণিঝড় মহাসেনে প্রাণহানি এড়াতে খুলনা জেলায় ১৬৯টি আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। ঝড়ের তীব্রতা বাড়লে উপকূলবাসীর পার্শ্ববর্তী আশ্রয় কেন্দ্রে আসতে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। উপজেলা সদর এবং ইউনিয়ন পর্যায়ে উদ্ধার কাজের জন্য ট্রলার প্রস্তুত রাখা হয়েছে। জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে সার্বক্ষণিক নিয়ন্ত্রণ কক্ষ খোলা হয়েছে। খুলনার কয়রা থেকে দিঘলিয়া পর্যন্ত উপজেলা বাসীদের এ সম্পর্কে সতর্ক করে মাইকিং করা হচ্ছে।
খুলনা জেলা প্রশাসক মেজবাহ উদ্দিন বাংলানিউজকে জানান, দুর্যোগ মোকাবিলায় ব্যাপক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। চরাঞ্চলসহ বিভিন্ন এলাকার সাইক্লোন শেল্টারগুলো খুলে রাখা হয়েছে।
বাংলানিউজের বিশেষ অনুসন্ধানীতে জানা যায়, ২০০৭ সালের ১৫ নভেম্বর সিডরে কেবলমাত্র খুলনা জেলায় ১৬ জন এবং ২০০৯ সালের ২৫ মে আইলায় ২৩৯ জনের প্রাণহানি হয়। সর্বশেষ চলতি মাসের কালবৈশাখীর আঘাতে এ জেলার সুন্দরবন সংলগ্ন দু’টি উপজেলায় ৫ জনের প্রাণহানি হয়।
এদিকে, ঘূর্ণিঝড় মহাসেন আতঙ্কে সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে রয়েছেন উপকূলের যেসব স্থানে আশ্রয় কেন্দ্র নেই সেখানকার মানুষ। ঘূর্ণিঝড়সহ যে কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগে তারা মৃত্যু ঝুঁকিতে থাকেন।
বিশেষ এক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, উপকূলীয় এলাকায় গড়ে ৬ হাজার ২৩৩ জনের জন্য একটি মাত্র সাইক্লোন শেল্টার রয়েছে। অথচ দুর্যোগকালীন এসব এলাকায় নির্মিত প্রতিটি সাইক্লোন শেল্টারে এক হাজার থেকে সর্বোচ্চ ১২শ’ মানুষ আশ্রয় নিতে পারেন। অবশিষ্ট ৫ হাজার মানুষ ঘূর্ণিঝড়সহ যে কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগে মৃত্যুর ঝুঁকিতে থাকে।
সুন্দরবন সংলগ্ন কয়রা উপজেলার স্কুল শিক্ষক মো. আব্দুল্লাহ বাংলানিউজকে জানান, বার বার এসব উপকূলে ঘূর্ণিঝড় আঘাত আনলেও নির্মাণ করা হয়নি প্রয়োজনীয় আশ্রয় কেন্দ্র। এ অবস্থায় ঘূর্ণিঝড় মহাসেন আঘাত আনলে আবারও উপকূলীয় এলাকা দিয়ে ব্যাপক ধ্বংসলীলা বয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মো. আমির হোসেন চৌধুরী বাংলানিউজকে জানান, ঘূর্ণিঝড় মহাসেনের খবরে সুন্দবনের সকল স্টেশন, ফাঁড়ি ও ক্যাম্পের কর্মকর্তা কর্মচারীদের সর্বোচ্চ সর্তক অবস্থায় রাখা হয়েছে। জেলে ও বনজীবীসহ পর্যটকদের নিরাপদ আশ্রায় চলে যেতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। জলযানগুলোকে নিরাপদে রাখা হয়েছে।
উপকূলীয় মৎস্য সমবায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. ইদ্রিস আলী বাংলানিউজকে জানান, ঘূর্ণিঝড় উপকূলে আঘাত হানতে পারে এ আশঙ্কায় সুন্দরবন থেকে হাজার হাজার মাছ ধরা ট্রলার নিরাপদ আশ্রয়ে উপকূলের খুলনা, মংলা, কয়রা, দাকোপ, শরণখোলা, রায়েন্দা, বাগেরহাট কেবি বাজার, তাফালবাড়ি ও মোরেলগঞ্জে নোঙ্গর করেছে।
সিডর ও আইলা বিধ্বস্ত জেলা বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলার রায়েন্দা ইউপি চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান মিলন বাংলানিউজকে জানান, ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় এমন খবরে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন এলাকাবাসী। এ এলাকার সাইক্লোন সেল্টারগুলো প্রস্তুত রাখা হয়েছে। মাইকিং করে সকলকে দুর্যোগ মোকাবেলায় সচেতন করা হচ্ছে।
কয়রার বেদকাশি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এম এ মান্নান বাংলানিউজকে জানান, ইতোমধ্যে ২৪টি মসজিদ থেকে মাইকিং করে উপকূলবাসীকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। দুর্যোগকালীন সাইক্লোন সেন্টার ও ইউনিয়ন পরিষদ প্রস্তুত রাখতে বলা হয়েছে।
দাকোপ উপজেলার সুতরখালী ইউপি চেয়ারম্যান জিএম আশরাফ হোসেন বাংলানিউজকে জানান, ঘূর্ণিঝড় মহাসেন সম্পর্কে সবাইকে অবহিত করা হয়েছে।
এ অবস্থায় ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলায় জেলা ও উপজেলা প্রশাসন সর্বোচ্চ সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।ঘূর্ণিঝড় মহাসেন আঘাত আনতে পারে- এ আশঙ্কায় সমুদ্র বন্দর মংলায় এলার্ট-২ জারি রয়েছে। খুলনা, বাগেরহাট ও সাতক্ষীরার বঙ্গোপসাগর প্রভাবিত উপকূলীয় এলাকার জনসাধারণকে সতর্ক করে মাইকিং করা হয়েছে। গভীর সমুদ্রে থাকা মাছ ধরার ট্রলার ইতোমধ্যে নিরাপদ আশ্রয়ে ফিরতে শুরু করেছে।
মংলা সমুদ্র বন্দরের নৌ-ঘাঁটি বিএনএস মংলার সব যুদ্ধজাহাজ খুলনার তিতুমীর নৌ-ঘাঁটিতে সরিয়ে আনা হয়েছে।
সার্বিক অবস্থা মনিটরিংয়ের জন্য তিন জেলাতে ২৮টি কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। এর মধ্যে খুলনায় ১০, বাগেরহাটে ১০ ও সাতক্ষীরায় ৮টি। এছাড়া জেলাগুলোর সিভিল সার্জনের কার্যালয় থেকে ২৭৬ মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে। এর মধ্যে খুলনায় ১১৬, বাগেরহাটে ৮২ ও সাতক্ষীরায় ৭৮।
খুলনা জেলা প্রশাসন কার্যালয় সূত্র বাংলানিউজকে জানায়, ঘুর্ণিঝড় মহাসেনে প্রাণহানি এড়াতে খুলনা জেলায় ১৬৯টি আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। ঝড়ের তীব্রতা বাড়লে উপকূলবাসীর পার্শ্ববর্তী আশ্রয় কেন্দ্রে আসতে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। উপজেলা সদর এবং ইউনিয়ন পর্যায়ে উদ্ধার কাজের জন্য ট্রলার প্রস্তুত রাখা হয়েছে। জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে সার্বক্ষণিক নিয়ন্ত্রণ কক্ষ খোলা হয়েছে। খুলনার কয়রা থেকে দিঘলিয়া পর্যন্ত উপজেলা বাসীদের এ সম্পর্কে সতর্ক করে মাইকিং করা হচ্ছে।
খুলনা জেলা প্রশাসক মেজবাহ উদ্দিন বাংলানিউজকে জানান, দুর্যোগ মোকাবিলায় ব্যাপক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। চরাঞ্চলসহ বিভিন্ন এলাকার সাইক্লোন শেল্টারগুলো খুলে রাখা হয়েছে।
বাংলানিউজের বিশেষ অনুসন্ধানীতে জানা যায়, ২০০৭ সালের ১৫ নভেম্বর সিডরে কেবলমাত্র খুলনা জেলায় ১৬ জন এবং ২০০৯ সালের ২৫ মে আইলায় ২৩৯ জনের প্রাণহানি হয়। সর্বশেষ চলতি মাসের কালবৈশাখীর আঘাতে এ জেলার সুন্দরবন সংলগ্ন দু’টি উপজেলায় ৫ জনের প্রাণহানি হয়।
এদিকে, ঘূর্ণিঝড় মহাসেন আতঙ্কে সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে রয়েছেন উপকূলের যেসব স্থানে আশ্রয় কেন্দ্র নেই সেখানকার মানুষ। ঘূর্ণিঝড়সহ যে কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগে তারা মৃত্যু ঝুঁকিতে থাকেন।
বিশেষ এক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, উপকূলীয় এলাকায় গড়ে ৬ হাজার ২৩৩ জনের জন্য একটি মাত্র সাইক্লোন শেল্টার রয়েছে। অথচ দুর্যোগকালীন এসব এলাকায় নির্মিত প্রতিটি সাইক্লোন শেল্টারে এক হাজার থেকে সর্বোচ্চ ১২শ’ মানুষ আশ্রয় নিতে পারেন। অবশিষ্ট ৫ হাজার মানুষ ঘূর্ণিঝড়সহ যে কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগে মৃত্যুর ঝুঁকিতে থাকে।
সুন্দরবন সংলগ্ন কয়রা উপজেলার স্কুল শিক্ষক মো. আব্দুল্লাহ বাংলানিউজকে জানান, বার বার এসব উপকূলে ঘূর্ণিঝড় আঘাত আনলেও নির্মাণ করা হয়নি প্রয়োজনীয় আশ্রয় কেন্দ্র। এ অবস্থায় ঘূর্ণিঝড় মহাসেন আঘাত আনলে আবারও উপকূলীয় এলাকা দিয়ে ব্যাপক ধ্বংসলীলা বয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মো. আমির হোসেন চৌধুরী বাংলানিউজকে জানান, ঘূর্ণিঝড় মহাসেনের খবরে সুন্দবনের সকল স্টেশন, ফাঁড়ি ও ক্যাম্পের কর্মকর্তা কর্মচারীদের সর্বোচ্চ সর্তক অবস্থায় রাখা হয়েছে। জেলে ও বনজীবীসহ পর্যটকদের নিরাপদ আশ্রায় চলে যেতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। জলযানগুলোকে নিরাপদে রাখা হয়েছে।
উপকূলীয় মৎস্য সমবায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. ইদ্রিস আলী বাংলানিউজকে জানান, ঘূর্ণিঝড় উপকূলে আঘাত হানতে পারে এ আশঙ্কায় সুন্দরবন থেকে হাজার হাজার মাছ ধরা ট্রলার নিরাপদ আশ্রয়ে উপকূলের খুলনা, মংলা, কয়রা, দাকোপ, শরণখোলা, রায়েন্দা, বাগেরহাট কেবি বাজার, তাফালবাড়ি ও মোরেলগঞ্জে নোঙ্গর করেছে।
সিডর ও আইলা বিধ্বস্ত জেলা বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলার রায়েন্দা ইউপি চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান মিলন বাংলানিউজকে জানান, ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় এমন খবরে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন এলাকাবাসী। এ এলাকার সাইক্লোন সেল্টারগুলো প্রস্তুত রাখা হয়েছে। মাইকিং করে সকলকে দুর্যোগ মোকাবেলায় সচেতন করা হচ্ছে।
কয়রার বেদকাশি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এম এ মান্নান বাংলানিউজকে জানান, ইতোমধ্যে ২৪টি মসজিদ থেকে মাইকিং করে উপকূলবাসীকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। দুর্যোগকালীন সাইক্লোন সেন্টার ও ইউনিয়ন পরিষদ প্রস্তুত রাখতে বলা হয়েছে।
দাকোপ উপজেলার সুতরখালী ইউপি চেয়ারম্যান জিএম আশরাফ হোসেন বাংলানিউজকে জানান, ঘূর্ণিঝড় মহাসেন সম্পর্কে সবাইকে অবহিত করা হয়েছে।
No comments:
Post a Comment