দিনাজপুরের বিরল উপজেলার সীমান্তবর্তী বেকুড়া দ্বিমুখি উচ্চ বিদ্যালয়ের এক
ছাত্রীকে যৌনহয়রানির অভিযোগে সংশ্লিষ্ট শিক্ষকসহ তিন শিক্ষককে সাময়িকভাবে
বরখাস্ত করেছে স্কুল পরিচালনা কমিটি।
প্রাইভেট পড়ানোর ফাঁকে শনিবার
সকাল ১১টার দিকে ওই ছাত্রীকে যৌনহয়রানি করে স্কুলের ইংরেজি বিষয়ক শিক্ষক
আবুল বাশার। এ সময় অভিযুক্তের শাস্তির দাবিতে অভিভাবকসহ হাজার খানেক নারী
পুরুষ বিকেল ৩টা পর্যন্ত ঘেরাও করে রাখে স্কুলটি।পরে পরিচালনা কমিটি
অভিযুক্ত তিন শিক্ষককে সাময়িক বহিষ্কার করে।
বহিষ্কার হওয়া শিক্ষকরা হলেন- আবুল বাশার, সহিদুল ইসলাম ও আব্দুল আজিজ।
জানা
গেছে, সকাল থেকে স্কুলের একটি কক্ষে প্রাইভেট পড়ছিল ওই স্কুলের আটক জন
ছাত্রী। এ সময় এক ছাত্রীকে পাশের কক্ষে ডেকে নেন স্কুল শিক্ষক আবুল বাশার। এ
সময় তাকে যৌনহয়রানি করলে ছাত্রীর চিৎকার শুনে অন্যরা ওই শিক্ষকের ওপর চড়াও
হয়।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যায় বিরল থানা পুলিশ। এ পরিস্থিতিতে
জরুরি সভায় বসেন স্কুল পরিচালনা কমিটির সদস্যরা। এতে বেরিয়ে আসে শিক্ষক
আবুল বাশারের অপরাধের ঘটনাসহ অন্য দুই শিক্ষক সহিদুল ইসলাম এবং আব্দুল
আজিজের ছাত্রীদের সঙ্গে যৌনহয়রানির কাহিনী।
এ বিষয়ে স্কুল পরিচালনা কমিটির সভাপতি রমাকান্ত রায় বাংলানউজকে জানান, অভিযুক্ত ওই তিন শিক্ষককে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে।
বিরল
থানার (তদন্ত) পরিদর্শক আনিসুর রহমান বাংলানিউজকে জানান, অভিযুক্ত
শিক্ষককে আটক করা হয়েছে। সাময়িক বরখাস্তের লিখিত আদেশের দাবিতে স্কুলটিতে
চড়াও হয়েছিল স্থানীয় মানুষ।
No comments:
Post a Comment