গভীর সমুদ্রে অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় ‘মহাসেন’ উপকূলের দিকে ধাবিত হচ্ছে।
সমুদ্র উপকূল থেকে এক হাজার ১৯৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছে এটি। আরও
ঘণীভূত হয়ে উত্তর দিকে অগ্রসর হতে পারে।
বুধবার ‘মহাসেন’ এর উপকূলে আঘাত হানার আশঙ্কা করছে আবহাওয়া অধিদফতর।
ঘূর্ণিঝড়ের কারণে সমুদ্র বন্দরগুলোকে চার নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
আবহাওয়া অধিদফতরের পরিচালক মো. শাহ আলম বলেন, “রোববার পর্যন্ত গভীর সাগরে অবস্থানরত ঝড়টি উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়েছে। সোমবার সকাল থেকে তা উত্তর দিকে অগ্রসর হচ্ছে।”
শনিবার উপকূল থেকে ১৮০০ কিমি দূরে নিম্নচাপ সৃষ্টির পর একশ’ কিমি এগিয়ে তা ঘূর্ণিঝড় মহাসেনে রূপ নেয়।
সোমবার রাতে আবহাওয়ার বিশেষ বুলেটিনে (ক্রমিক নম্বর-১৩) বলা হয়, দক্ষিণ-পূর্ব ও তৎসংলগ্ন দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় ‘মহাসেন’ সামান্য উত্তর দিকে অগ্রসর হয়ে একই এলাকায় অবস্থান করছে। সোমবার সন্ধ্যা ৬টায় চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দর থেকে এক হাজার ২৮৫ কিমি দক্ষিণ-দক্ষিণ পশ্চিম, কক্সবাজার সমুদ্র বন্দর থেকে এক হাজার ২১০ কিমি দক্ষিণ-দক্ষিণ পশ্চিম এবং মংলা সমুদ্র বন্দর থেকে এক হাজার ১৯৫ কিমি দক্ষিণ-দক্ষিণ পশ্চিমে অবস্থান করছিল।
ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৫৪ কিমি’র মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২ কিমি, যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ৮৮ কিমি পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের কাছে সাগর খুবই উত্তাল রয়েছে।
মো. শাহ আলম বলেন, “ঝড়ের গতিপ্রকৃতি পর্যবেক্ষণে মনে হচ্ছে, এটি বুধবার বাংলাদেশ উপকূলে আঘাত হানতে পারে। এখন ধীরে ধীরে গতি বাড়ছে। উপকূলের ৪/৫শ’ কিলোমিটার কাছাকাছি এসে তা আরো তীব্র হতে পারে।”
তবে এ সময়ের মধ্যে ঝড় ভেঙে যেতে পারে বা আবার বাড়তেও পারে জানিয়ে তিনি বলেন, “মঙ্গলবার সন্ধ্যা নাগাদ ঝড়ের কেন্দ্রে বাতাসের গতি ও ঝড়ের তীব্রতার ওপর এটা নির্ভর করে।”
মহাসেনের কারণে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার ও মংলা সমুদ্র বন্দর সমূহকে চার নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
সমুদ্র বন্দরে চার নম্বর সতর্কতা সংকেত জারি করায় চট্টগ্রাম ও মংলা বন্দরে এলার্ট-২ জারি করেছে কর্তৃপক্ষ। সমুদ্র বন্দরে ৪ নম্বর সতর্কতা সংকেত জারি করলে বন্দরে এলার্ট-২ জারি করা হয়।
আবহাওয়ার বিশেষ বুলেটিনে আরও বলা হয়, উত্তর বঙ্গোপসাগর এবং গভীর সাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলার এবং সমুদ্রগামী জাহাজসমূহকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থাকতে বলা হয়েছে, যাতে স্বল্প সময়ের মধ্যে তারা নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে পারে।
এদিকে মহাসেন মোকাবিলায় ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে জানিয়ে সোমবার সচিবালয়ে দুর্যোগ ও ত্রাণ সচিব মেছবা-উল আলম বলেন, “উপকূলীয় এলাকায় মাঠে রয়েছে পঞ্চাশ হাজার স্বেচ্ছাসেবক। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সমন্বয়ের জন্য জাতীয় দুর্যোগ সমন্বয় সেলসহ (এনডিআরসিসি) বিভিন্ন দফতর ২৪ ঘণ্টা খোলা রাখা হয়েছে।
এছাড়াও প্রত্যেক জেলা ও উপজেলায় সার্বক্ষণিক নিয়ন্ত্রণ কক্ষ খোলা রাখারও নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।”
এছাড়াও সেনাবাহিনীসহ বিভিন্ন বাহিনী ও সেচ্ছাসেবী সংস্থা নানা প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে। সরকার সংশ্লিষ্ট এলাকার স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ছুটি বাতিল করেছে।
ঘূর্ণিঝড়ের কারণে সমুদ্র বন্দরগুলোকে চার নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
আবহাওয়া অধিদফতরের পরিচালক মো. শাহ আলম বলেন, “রোববার পর্যন্ত গভীর সাগরে অবস্থানরত ঝড়টি উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়েছে। সোমবার সকাল থেকে তা উত্তর দিকে অগ্রসর হচ্ছে।”
শনিবার উপকূল থেকে ১৮০০ কিমি দূরে নিম্নচাপ সৃষ্টির পর একশ’ কিমি এগিয়ে তা ঘূর্ণিঝড় মহাসেনে রূপ নেয়।
সোমবার রাতে আবহাওয়ার বিশেষ বুলেটিনে (ক্রমিক নম্বর-১৩) বলা হয়, দক্ষিণ-পূর্ব ও তৎসংলগ্ন দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় ‘মহাসেন’ সামান্য উত্তর দিকে অগ্রসর হয়ে একই এলাকায় অবস্থান করছে। সোমবার সন্ধ্যা ৬টায় চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দর থেকে এক হাজার ২৮৫ কিমি দক্ষিণ-দক্ষিণ পশ্চিম, কক্সবাজার সমুদ্র বন্দর থেকে এক হাজার ২১০ কিমি দক্ষিণ-দক্ষিণ পশ্চিম এবং মংলা সমুদ্র বন্দর থেকে এক হাজার ১৯৫ কিমি দক্ষিণ-দক্ষিণ পশ্চিমে অবস্থান করছিল।
ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৫৪ কিমি’র মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২ কিমি, যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ৮৮ কিমি পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের কাছে সাগর খুবই উত্তাল রয়েছে।
মো. শাহ আলম বলেন, “ঝড়ের গতিপ্রকৃতি পর্যবেক্ষণে মনে হচ্ছে, এটি বুধবার বাংলাদেশ উপকূলে আঘাত হানতে পারে। এখন ধীরে ধীরে গতি বাড়ছে। উপকূলের ৪/৫শ’ কিলোমিটার কাছাকাছি এসে তা আরো তীব্র হতে পারে।”
তবে এ সময়ের মধ্যে ঝড় ভেঙে যেতে পারে বা আবার বাড়তেও পারে জানিয়ে তিনি বলেন, “মঙ্গলবার সন্ধ্যা নাগাদ ঝড়ের কেন্দ্রে বাতাসের গতি ও ঝড়ের তীব্রতার ওপর এটা নির্ভর করে।”
মহাসেনের কারণে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার ও মংলা সমুদ্র বন্দর সমূহকে চার নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
সমুদ্র বন্দরে চার নম্বর সতর্কতা সংকেত জারি করায় চট্টগ্রাম ও মংলা বন্দরে এলার্ট-২ জারি করেছে কর্তৃপক্ষ। সমুদ্র বন্দরে ৪ নম্বর সতর্কতা সংকেত জারি করলে বন্দরে এলার্ট-২ জারি করা হয়।
আবহাওয়ার বিশেষ বুলেটিনে আরও বলা হয়, উত্তর বঙ্গোপসাগর এবং গভীর সাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলার এবং সমুদ্রগামী জাহাজসমূহকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থাকতে বলা হয়েছে, যাতে স্বল্প সময়ের মধ্যে তারা নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে পারে।
এদিকে মহাসেন মোকাবিলায় ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে জানিয়ে সোমবার সচিবালয়ে দুর্যোগ ও ত্রাণ সচিব মেছবা-উল আলম বলেন, “উপকূলীয় এলাকায় মাঠে রয়েছে পঞ্চাশ হাজার স্বেচ্ছাসেবক। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সমন্বয়ের জন্য জাতীয় দুর্যোগ সমন্বয় সেলসহ (এনডিআরসিসি) বিভিন্ন দফতর ২৪ ঘণ্টা খোলা রাখা হয়েছে।
এছাড়াও প্রত্যেক জেলা ও উপজেলায় সার্বক্ষণিক নিয়ন্ত্রণ কক্ষ খোলা রাখারও নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।”
এছাড়াও সেনাবাহিনীসহ বিভিন্ন বাহিনী ও সেচ্ছাসেবী সংস্থা নানা প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে। সরকার সংশ্লিষ্ট এলাকার স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ছুটি বাতিল করেছে।
No comments:
Post a Comment