ধর্ষণের অভিযোগে বান্ধবী জিনাত কবিরের দায়ের করা মামলা থেকে অব্যাহতি পেলেন সুরকার শওকত আলী ইমন।
আদালতের একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র বাংলানিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
সূত্র
জানায়, সকালে শুনানি শেষে বিকাল সাড়ে ৩টায় ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন
ট্রাইব্যুনালের বিচারক এসএম রেজানুর রহমান এ মামলায় দাখিল করা চূড়ান্ত
প্রতিবেদন গ্রহণ করে ইমনকে অব্যাহতি দেন।
এ সময় তিনি জিনাতের নারাজির আবেদন খারিজ করে দেন বলেও তিনি জানান।
শুনানির সময় জিনাত ও ইমন আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
গত ২৩ এপ্রিল জিনাত চূড়ান্ত প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে আদালতে নারাজি প্রদান করেন।
জিনাতের
আইনজীবী নুর ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, ইমনকে অব্যাহতির বিষয়টি তিনি
শুনেছেন। মঙ্গলবার আদালতে গিয়ে মামলার নথিপত্র দেখে পরবর্তী ব্যবস্থা
সম্পর্কে সিদ্ধান্ত নেবেন।
উল্লেখ্য, গত বছরের ৫ ডিসেম্বর ধর্ষণের অভিযোগ এনে রমনা থানায় মামলাটি করেছিলেন ইমনের বান্ধবী জিনাত কবির।
এরপর ৬ ডিসেম্বর রমনা থানায় পুলিশের হেফাজতে থাকা অবস্থায় জিনাতকে বিয়ে করেন ইমন।
এ মামলায় ১১ ডিসেম্বর ইমন জামিন পান। জিনাতের আইনজীবী নুর ইসলাম খান ইমনের জামিনে আপত্তি নাই মর্মে ওইদিন আদালতকে জানিয়েছিলেন।
কিন্তু
ইমন জামিনে বের হওয়ার কিছুদিন পরেই বিয়ে অস্বীকার করেন। এরপর তিনি এ বিয়ে
বাতিলের জন্য মামলা করেন ঢাকার প্রথম যুগ্ম জেলা জজ আদালতে।
রমনা থানায় ইমনের বিরুদ্ধে করা মামলায় পুলিশ জিনাতের করা অভিযোগ প্রমাণিত হয়নি মর্মে আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন।
প্রতিবেদনে
পুলিশ উল্লেখ করা হয়, ইমন ও জিনাত দুজনেই সস্কৃতিকর্মী। বিভিন্ন সময়
সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে তাদের দেখা ও বন্ধুত্ব হয়। এক পর্যায়ে জিনাত ইমনকে
বিয়ের প্রস্তাব দিলে সে বিয়েতে রাজি না হওয়ায় জিনাত মনঃক্ষুণ্ণ হয়ে এ মামলা
দায়ের করেন।
প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়, মামলা প্রমাণের মতো পর্যাপ্ত সাক্ষ্য প্রমাণ পাওয়া যায়নি।
কিন্তু
জিনাত নারাজি প্রতিবেদনে উল্লেখ করেন যে, তার পক্ষের সাক্ষীদের জিজ্ঞাসাই
করেনি পুলিশ। এছাড়া মামলার পর বাদীনির মেডিকেল পরীক্ষাও করা হয়নি।
নারাজিতে অভিযোগ করা হয়, পুলিশ ইমনের দ্বারা প্রভাবিত হয়ে এ চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেছে।
উল্লেখ্য, জিনাতের অভিযোগের প্রেক্ষিতে রমনা থানার ওসি শাহ আলমের নেতৃত্বে একদল পুলিশ গত বছর ৫ ডিসেম্বর ইমনকে গ্রেফতার করে।
No comments:
Post a Comment