নিয়তি, নাকি অদৃষ্টের অবিচার? ফিজিও ‘আনফিট’ বলে দেওয়ায় বিশ্বকাপের দলে ছিলেন না। মাঝখানে চলে গেছে প্রায় দুই মাস। এখন যখন অস্ট্রেলিয়া সিরিজের দলে সুযোগ পেলেন, এবার নিজেকে নিজেরই মনে হচ্ছে ‘আনফিট’! অস্ট্রেলিয়া সিরিজের দল থেকে তাই সরে দাঁড়ানোর চিন্তা করছেন মাশরাফি বিন মুর্তজা। শুধু এই সিরিজই নয়। শিগগিরই হাঁটুতে অস্ত্রোপচার করাবেন বলে ২০১১ সালটাই বোধহয় হারিয়ে যাচ্ছে তাঁর ক্যারিয়ার থেকে।
বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে, অস্ট্রেলিয়া সিরিজে না খেলার সিদ্ধান্ত একরকম নিয়েই ফেলেছেন মাশরাফি। অনুশীলনে দুর্বল বোধ করছেন। লাইন-লেংথে খুব একটা সমস্যা না হলেও বোলিংয়ে পাচ্ছেন না পূর্ণ গতি। এ অবস্থায় দলে থেকে যাওয়া এবং অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ম্যাচ খেলতে নামা উচিত হবে কি না, তা নিয়ে খোদ মাশরাফিই দ্বিধাদ্বন্দ্বে। স্ট্যান্ডবাই বোলার নাজমুল হোসেনকে তাই নিজ থেকেই বলেছেন খেলার জন্য মানসিকভাবে প্রস্তুত থাকতে। কথা বলেছেন কোচ জেমি সিডন্সের সঙ্গেও। সব শুনে এবং অনুশীলনে মাশরাফির অবস্থা দেখে কোচ তাঁকে বলেছেন, সমস্যা মনে করলে দল থেকে সরে যাওয়াই ভালো। আর যদি মাশরাফি আত্মবিশ্বাসী থাকেন, এসব সমস্যা কাটিয়ে উঠে খেলা সম্ভব, তাহলে দলে থাকতে পারেন। তবে সিদ্ধান্ত যেটাই হোক, সেটা মাশরাফিকেই নিতে বলেছেন সিডন্স। খেলতে চাইলে দল তাঁকে স্বাগত জানাবে, খেলতে না চাইলে বিকল্প ভাববে। এর আগে অধিনায়ক সাকিব আল হাসানের সঙ্গেও এসব নিয়ে কথা হয়েছে মাশরাফির।
অস্ট্রেলিয়া সিরিজের দলে ডাক পাওয়ার পর মাশরাফি বোর্ডকে জানিয়েছিলেন, পুরোপুরি ফিট না হলে তিনি সিরিজটা খেলবেন না। গত ২৯ মার্চ থেকে দলের সঙ্গে অনুশীলন করে এবং দুটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলে ফিটনেসের সমস্যাটা ধরতে পারছেন নিজেই। প্রায় দেড় মাস ধরে ফিটনেস ট্রেনিংয়ের বাইরে, শারীরিক শক্তি তাই পুরোপুরি পাচ্ছেন না। বিশেষ করে বোলিংয়ের সময় ডান হাঁটুতে শক্তি পাচ্ছেন কম, এক ধরনের শব্দও হচ্ছে। এই হাঁটুর ইনজুরির কারণেই বিশ্বকাপে খেলা হয়নি মাশরাফির।
এ অবস্থায় অনুশীলন চালিয়ে গেলেও মাশরাফি আজ দলের সঙ্গে হোটেলে উঠবেন না। আগামীকাল অনুশীলনে নিজের অবস্থাটা শেষবারের মতো বুঝে অস্ট্রেলিয়া সিরিজে খেলার ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন। সিদ্ধান্তটা ‘না-বোধক’ হওয়ার আভাস মাশরাফির কথায়ও আছে, ‘১৩০-১৩৫ কিমি গতিতে বল করতে পারলে ভালো হতো। এখন সম্ভবত ১২৫-এর বেশি উঠছে না। একটু দুর্বলতাও অনুভব করছি। এ অবস্থায় অস্ট্রেলিয়ার মতো দলের বিপক্ষে সিরিজ খেলা কঠিন। তবে আমি সর্বোচ্চ চেষ্টা করব।’
ফিটনেস সমস্যার সঙ্গে স্ত্রী আর নবজাতক সন্তান নিয়েও কঠিন সময় পার করছেন মাশরাফি। শারীরিকভাবে কারও অবস্থাই এখনো পুরোপুরি ভালো নয়। এ অবস্থায় পরিবারকে সময় দেওয়াটাও জরুরি। কিন্তু সিরিজ খেললে থাকতে হবে দলের সঙ্গে হোটেলে। অসুস্থ স্ত্রী-সন্তান ফেলে সেটা মানসিকভাবে কতটা স্বস্তির হবে, ভেবে দেখতে হচ্ছে সেটিও। আর যদি থাকেনও, দলকে কি দিতে পারবেন শতভাগ? সবকিছু ভেবে মাশরাফি হয়তো কালকের মধ্যেই অস্ট্রেলিয়া সিরিজ খেলার ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেবেন বোর্ডকে।
তবে একটা সিদ্ধান্ত নিয়ে রেখেছেন এর মধ্যেই। অস্ট্রেলিয়া সিরিজে খেলুন আর না-ই খেলুন, অস্ট্রেলিয়া গিয়ে এ মাসের মধ্যেই করে ফেলবেন হাঁটুর অস্ত্রোপচার। অস্ত্রোপচারের পর পুরোপুরি সুস্থ হতে ছয় থেকে আট মাস সময় লাগবে। সে ক্ষেত্রে আগামী জুলাই-আগস্টে জিম্বাবুয়ে সফর এবং এরপর অক্টোবরে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে হোম সিরিজটাও কাটাতে হবে মাঠের বাইরে বসে। যদি নভেম্বরের মধ্যে সুস্থ হয়ে উঠতে পারেন, এ বছর তার জন্য অবশিষ্ট থাকবে কেবল ডিসেম্বরে পাকিস্তানের বিপক্ষে হোম সিরিজ।
মাশরাফি অবশ্য সব হিসাব-নিকাশ করেই নিয়েছেন অস্ত্রোপচারের সিদ্ধান্ত, ‘অপারেশন করানোর সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছি। দু-এক দিনের মধ্যে বোর্ডকে সেটা জানাব। এ বছর খেলা একটু কম আছে, সে জন্যই চাচ্ছি সময়টা কাজে লাগাতে। এ মাসের ২০-২২ তারিখেও যদি অপারেশন করতে পারি, আশা করি, পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজটা খেলতে পারব।’
তাহলে আবার শুরু হচ্ছে মাশরাফির জন্য অপেক্ষা!
বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে, অস্ট্রেলিয়া সিরিজে না খেলার সিদ্ধান্ত একরকম নিয়েই ফেলেছেন মাশরাফি। অনুশীলনে দুর্বল বোধ করছেন। লাইন-লেংথে খুব একটা সমস্যা না হলেও বোলিংয়ে পাচ্ছেন না পূর্ণ গতি। এ অবস্থায় দলে থেকে যাওয়া এবং অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ম্যাচ খেলতে নামা উচিত হবে কি না, তা নিয়ে খোদ মাশরাফিই দ্বিধাদ্বন্দ্বে। স্ট্যান্ডবাই বোলার নাজমুল হোসেনকে তাই নিজ থেকেই বলেছেন খেলার জন্য মানসিকভাবে প্রস্তুত থাকতে। কথা বলেছেন কোচ জেমি সিডন্সের সঙ্গেও। সব শুনে এবং অনুশীলনে মাশরাফির অবস্থা দেখে কোচ তাঁকে বলেছেন, সমস্যা মনে করলে দল থেকে সরে যাওয়াই ভালো। আর যদি মাশরাফি আত্মবিশ্বাসী থাকেন, এসব সমস্যা কাটিয়ে উঠে খেলা সম্ভব, তাহলে দলে থাকতে পারেন। তবে সিদ্ধান্ত যেটাই হোক, সেটা মাশরাফিকেই নিতে বলেছেন সিডন্স। খেলতে চাইলে দল তাঁকে স্বাগত জানাবে, খেলতে না চাইলে বিকল্প ভাববে। এর আগে অধিনায়ক সাকিব আল হাসানের সঙ্গেও এসব নিয়ে কথা হয়েছে মাশরাফির।
অস্ট্রেলিয়া সিরিজের দলে ডাক পাওয়ার পর মাশরাফি বোর্ডকে জানিয়েছিলেন, পুরোপুরি ফিট না হলে তিনি সিরিজটা খেলবেন না। গত ২৯ মার্চ থেকে দলের সঙ্গে অনুশীলন করে এবং দুটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলে ফিটনেসের সমস্যাটা ধরতে পারছেন নিজেই। প্রায় দেড় মাস ধরে ফিটনেস ট্রেনিংয়ের বাইরে, শারীরিক শক্তি তাই পুরোপুরি পাচ্ছেন না। বিশেষ করে বোলিংয়ের সময় ডান হাঁটুতে শক্তি পাচ্ছেন কম, এক ধরনের শব্দও হচ্ছে। এই হাঁটুর ইনজুরির কারণেই বিশ্বকাপে খেলা হয়নি মাশরাফির।
এ অবস্থায় অনুশীলন চালিয়ে গেলেও মাশরাফি আজ দলের সঙ্গে হোটেলে উঠবেন না। আগামীকাল অনুশীলনে নিজের অবস্থাটা শেষবারের মতো বুঝে অস্ট্রেলিয়া সিরিজে খেলার ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন। সিদ্ধান্তটা ‘না-বোধক’ হওয়ার আভাস মাশরাফির কথায়ও আছে, ‘১৩০-১৩৫ কিমি গতিতে বল করতে পারলে ভালো হতো। এখন সম্ভবত ১২৫-এর বেশি উঠছে না। একটু দুর্বলতাও অনুভব করছি। এ অবস্থায় অস্ট্রেলিয়ার মতো দলের বিপক্ষে সিরিজ খেলা কঠিন। তবে আমি সর্বোচ্চ চেষ্টা করব।’
ফিটনেস সমস্যার সঙ্গে স্ত্রী আর নবজাতক সন্তান নিয়েও কঠিন সময় পার করছেন মাশরাফি। শারীরিকভাবে কারও অবস্থাই এখনো পুরোপুরি ভালো নয়। এ অবস্থায় পরিবারকে সময় দেওয়াটাও জরুরি। কিন্তু সিরিজ খেললে থাকতে হবে দলের সঙ্গে হোটেলে। অসুস্থ স্ত্রী-সন্তান ফেলে সেটা মানসিকভাবে কতটা স্বস্তির হবে, ভেবে দেখতে হচ্ছে সেটিও। আর যদি থাকেনও, দলকে কি দিতে পারবেন শতভাগ? সবকিছু ভেবে মাশরাফি হয়তো কালকের মধ্যেই অস্ট্রেলিয়া সিরিজ খেলার ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেবেন বোর্ডকে।
তবে একটা সিদ্ধান্ত নিয়ে রেখেছেন এর মধ্যেই। অস্ট্রেলিয়া সিরিজে খেলুন আর না-ই খেলুন, অস্ট্রেলিয়া গিয়ে এ মাসের মধ্যেই করে ফেলবেন হাঁটুর অস্ত্রোপচার। অস্ত্রোপচারের পর পুরোপুরি সুস্থ হতে ছয় থেকে আট মাস সময় লাগবে। সে ক্ষেত্রে আগামী জুলাই-আগস্টে জিম্বাবুয়ে সফর এবং এরপর অক্টোবরে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে হোম সিরিজটাও কাটাতে হবে মাঠের বাইরে বসে। যদি নভেম্বরের মধ্যে সুস্থ হয়ে উঠতে পারেন, এ বছর তার জন্য অবশিষ্ট থাকবে কেবল ডিসেম্বরে পাকিস্তানের বিপক্ষে হোম সিরিজ।
মাশরাফি অবশ্য সব হিসাব-নিকাশ করেই নিয়েছেন অস্ত্রোপচারের সিদ্ধান্ত, ‘অপারেশন করানোর সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছি। দু-এক দিনের মধ্যে বোর্ডকে সেটা জানাব। এ বছর খেলা একটু কম আছে, সে জন্যই চাচ্ছি সময়টা কাজে লাগাতে। এ মাসের ২০-২২ তারিখেও যদি অপারেশন করতে পারি, আশা করি, পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজটা খেলতে পারব।’
তাহলে আবার শুরু হচ্ছে মাশরাফির জন্য অপেক্ষা!
No comments:
Post a Comment