দিনটি ছিল মাশরাফির জন্য খুবই অস্বস্তিকর। যেদিন বিশ্বকাপে অংশ নেওয়া তার জন্য অনিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল। বলছিলাম গত বছরের ডিসেম্বরের কথা। আবাহনীর পক্ষে প্রিমিয়ার লিগে খেলতে নেমে ইনজুরিতে আক্রান্ত হয়েছিলেন নড়াইল এক্সপ্রেস। এরপরের ইতিহাস ভক্তদের সামনেই আছে। সেই মাশরাফি ফিরে এসেছেন বাংলাদেশের বোলিং আক্রমণে। এবং বেশ ভালোভাবেই। প্রথম দুই ওভারে তিন রান দিয়ে উইকেট নিলেন একটি। ব্র্যাড হাডিন বুঝতেও পারেননি এভাবে বোল্ড হয়ে যাবেন। কিন্তু হলেন তাই। মাশরাফি প্রথম স্পেলে চার ওভার বল করে রান দিয়েছেন ২৬। কিন্তু প্রথম দুই ওভারের মাশরাফিকে সেই পুরনোরূপেই দেখেছেন ভক্তরা। মাশরাফি মোট ৯ ওভারে রান দিয়েছেন ৬৫। উইকেট নিয়েছেন দুটি। হাডিন ও ক্লার্ককে ফিরিয়েছেন তিনি। মাশরাফিকে ফিরে পেয়ে বাংলাদেশের বোলিং লাইন যতটা শক্তিশালী হয়েছিল তার বেশির ভাগই কেড়ে নিয়েছে শেষ ওভারটি। দলীয় ইনিংসের শেষ ওভারটি করতে এসে মাশরাফি রান দিয়েছেন ১৮। দ্বিতীয় স্পেলে বল করতে এসে মাশরাফি তিন ওভারে রান দিয়েছিলেন মাত্র ১৪। কিন্তু শেষের দুই ওভারে তিনি রান দিয়েছেন ২৫! শেষের স্পেলটি বাদ দিলে মাশরাফিকে নিয়ে আশাবাদী হওয়াই যায়। তিনি যে আলাদা সংযোজন সে কথাই যেন আবারও প্রকাশ পেল গতকাল। তবে সব মিলিয়ে গতকাল বাংলাদেশের বোলিং ভালোই কাজে লেগেছে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে। সাতটি উইকেটের পতন ঘটেছে অসি ইনিংসে। সেখান থেকে স্পিনাররাই নিয়েছেন চারটি। আবদুর রাজ্জাক ৫৪ রান দিয়ে নিয়েছেন একটি উইকেট। সোহরাওয়ার্দী ৪৪ রান দিয়ে তিন উইকেট নিয়েছেন। অস্ট্রেলিয়ার ইনিংস ২৭০ রানে আটকে দেওয়ার পেছনে বাংলাদেশের বোলারদের কৃতিত্ব দিতেই হবে। মিরপুরের উইকেট বলে এখানে অস্ট্রেলিয়ানদের দুর্বল ভাবার কোনো সুযোগ নেই। কিন্তু একটি সময় মাশরাফিদের সামনে ক্যাঙ্গারুদের দুর্বলই মনে হচ্ছিল।
No comments:
Post a Comment