Saturday, April 30, 2011

২০ টাকায় লাইন

একগাদা হলদে খাম হাতে অজগরের মতো লম্বা সারিতে দাঁড়িয়ে বেসরকারি ব্যাংকের কর্মকর্তা রাশেদ আনোয়ার। না, ন্যায্যমূল্যে মোটা চাল কেনার জন্য নয়। মহানগরী ঢাকার জিপিওর ১৩ নম্বর কাউন্টারে দাঁড়িয়েছেন চিঠিতে প্রয়োজনীয় স্ট্যাম্প লাগাতে। ফ্রাঙ্কিং মেশিনের ঘটাং ঘটাং শব্দে সংকুচিত হয় লাইনের অগ্রভাগ। যতটুকু কমে-পেছনে যোগ হয় তার চেয়ে বেশি। তাই এ সারি কিছুক্ষণের মধ্যেই নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে_ এমনটি আশা করা যায় না। সারির অগ্রজের কাজ শেষ হয় সকাল ১০টা ১৯ মিনিটে। ২৭ মিনিটের মাথায় শেষ হয় রাশেদের কাজ। অথচ কুরিয়ার সার্ভিসে এটি পাঁচ-সাত মিনিটের ব্যাপার। সময়ের চড়া দামে অর্থ সাশ্রয়। অভিযোগ উঠেছে, একশ্রেণীর অসাধু কর্মচারী সারির সিরিয়াল ১০-২০ টাকায় বিক্রি করেন। অভিযোগ বাক্স থাকলেও এটির গায়ে ধুলোর স্তর জমে আছে। ধুলোতে বাক্সের ওপর লেখা 'অভিযোগ' শব্দটি ঢেকে গেছে। দু-চার মাসের মধ্যে খোলা হয়েছে এমন তথ্য পাওয়া যায়নি। রাজধানীর জিরো পয়েন্ট সংলগ্ন বিশাল এ ভবনে নিত্যদিন হাজার হাজার মানুষের আনাগোনা। ৫৫টি কাউন্টারের বেশির ভাগেই ব্যস্ততা ও ভিড় লেগে থাকতে দেখা গেছে। অস্তিত্বের লড়াইয়ে ২২টি সেবা দিতে হচ্ছে ডাক বিভাগকে। এর মধ্যে ডাকঘর সঞ্চয় ব্যাংক, প্রাইজ বন্ড বিক্রি ও ভাঙানো, মানি অর্ডার ও পোস্টাল অর্ডার ইস্যু। আরও রয়েছে যানবাহন কর আদায়, ড্রাইভিং লাইসেন্স নবায়ন, চিঠি রেজিস্ট্রেশন, নন জুডিশিয়াল স্ট্যাম্প, ডাকমাশুল ও স্মারক ডাকটিকিট বিক্রি করা অন্যতম।
এসব নিয়ে বিশাল কর্মযজ্ঞ চলে সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৩টা পর্যন্ত। এরপর ৬টা পর্যন্ত চলে সান্ধ্যকালীন কার্যক্রম। অন্য রকম পরিবেশ। ভেতরে ঢুকতেই দৃষ্টি কাড়ে বিরাট হলরুমে মানুষের ছোটাছুটি। কেউ লাইনে দাঁড়ানো, কেউ খাম হাতে ছুটছেন আঠার সন্ধানে। কেউ বা পূরণ করছেন ফরম। কেউবা গন্তব্যের ঠিকানায় শেষবারের মতো বুলিয়ে নিচ্ছেন চোখ।
তরুণ-যুবা-বৃদ্ধ সব বয়সী মানুষের অতি প্রয়োজনীয় স্থান জিপিও। আগে চাপ আরও বেশি ছিল। প্রযুক্তির উন্নয়নে কমেছে অনেকটা। তারপরও লোকজনের কমতি নেই। লম্বা কাচের দেয়ালঘেরা অসংখ্য কাউন্টার। ধানমন্ডির বাসিন্দা ইয়াকুব হোসেন অভিযোগ করে বলেন, কানাডায় পার্সেল করার জন্য লম্বা সারিতে দাঁড়াই। পরে এক কর্মচারীর হাতে ২০ টাকা গুঁজে দিয়ে সিরিয়াল নিতে হয়েছে। জিপিওতে ব্রিটিশ আমলের পুরনো আসবাব। আধুনিকতার ছোঁয়া লাগেনি। নিচতলার একপাশে গন্তব্যভেদে স্থাপিত লাল-নীল-হলুদ ডাকবাক্স। দেয়ালে নানা নির্দেশিকা। পোস্টাল মিউজিয়াম পরিদর্শন করুন। উত্তম সেবা প্রদানে সহযোগিতার জন্য লাইনে দাঁড়ান। পোস্টকোড ব্যবহার করুন। চিঠি লিখুন। হেল্প ডেস্ক একটি থাকলেও দায়িত্বপ্রাপ্ত লোকটি ব্যস্ত অন্য কাজে। ডাক বিভাগের সহকারী পরিচালক মাসুদ বিন তারেক বলেন, সীমাবদ্ধতার মাঝে কাজ করতে হয়। সেজন্য কিছুসময় বেশি লাগতে পারে। ডাক গ্রহণ ও বিলি প্রধান কাজ। প্রতিদিন গড়ে ১৫ হাজার চিঠি গ্রহণ করতে হয়, এর মধ্যে রেজিস্টার্ড চার হাজারের মতো। অবশিষ্ট আড়াই হাজার বৈদেশিক চিঠি।

ভিনাকে প্রত্যাখ্যান

বলিউডে পা রাখার সঙ্গে সঙ্গে প্রণয়ঘটিত ব্যাপারে জড়ানো নতুন কিছু নয়। এরই ধারাবাহিকতায় অভিনেতা আসমিতের সঙ্গে সখ্য গড়ে তুলেছিলেন পাকিস্তানি অভিনেত্রী ভিনা মালিক। শুটিংয়ের ফাঁকে চুটিয়ে প্রেমে মজেছেন তারা। নিত্যনতুন গুঞ্জন ছড়িয়ে মুখরিত রেখেছেন মিডিয়াকে। কিন্তু সফল সমাপ্তি হলো না তাদের প্রেমের কাব্যের। শেষ পর্যন্ত ভেঙে গেল এ সম্পর্ক। শোনা যায়, ভিনাকে প্রত্যাখ্যান করেছেন আসমিত নিজেই।

শেবাগের সরল স্বীকারোক্তি

আইপিএলে নিজেদের নামের যথার্থতা মেলে ধরতে পারছে না দিলি্ল ডেয়ারডেভিলস। এ পর্যন্ত সাতটি ম্যাচের পাঁচটিতেই পরাজয়বরণ করেছে। এ প্রসঙ্গে অধিনায়ক শেবাগ বলেছেন, দলের এই করুণ অবস্থার জন্য আমার ব্যক্তিগত পারফরমেন্সও কিছুটা দায়ী। বিশ্বকাপের পর এখনো মেলে ধরতে পারিনি নিজেকে। আসরে এ পর্যন্ত একটি মাত্র হাফ সেঞ্চুরির মুখ দেখেছি। আশা করছি পরবর্র্তী ম্যাচগুলোতে ভালো খেলব।

রাজ্জাকের মেয়ে তমা মির্জা

নায়করাজ রাজ্জাকের মেয়ের চরিত্রে অভিনয় করছেন অভিনেত্রী তমা মির্জা। অনন্ত হীরা পরিচালিত 'আমার দেশের মাটি' চলচ্চিত্রে এই দুই শিল্পী গুরুত্বপূর্ণ দুটি চরিত্রে অভিনয় করছেন। তমা বলেন, 'আমার সৌভাগ্য রাজ্জাক আঙ্কেলের মতো একজন জীবন্ত কিংবদন্তির সঙ্গে কাজ করতে পারছি। তার মেয়ের ভূমিকায় অভিনয় করছি আমি। তিনি একজন ডাক্তার। আমরা হিন্দু পরিবার।' চলচ্চিত্রে নিজের চরিত্র প্রসঙ্গে তমা মির্জা বলেন, আমি ইন্টারমিডিয়েটের ছাত্রী। আমার বাবার বন্ধু সোহেল রানা। তারা দু'জন একসঙ্গে মুক্তিযুদ্ধ করেছেন। সোহেল রানা আঙ্কেলের ছেলে আমিন খানের সঙ্গে আমার প্রেম হয়। কিন্তু তারা মুসলিম। আমাদের প্রেমের মাঝে ধর্ম, পারিবারিক, সামাজিক সমস্যাগুলো মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে। শুরু হয় দ্বন্দ্ব-সংঘাত। চরম নাটকীয়তার মধ্য দিয়ে এগুতে থাকে চলচ্চিত্রটির গল্প।' তমা মির্জা জানান, ২৪ এপ্রিল থেকে বিক্রমপুরে এ চলচ্চিত্রের দুটি গানের শুটিং চলছে। এতে তিনি ও আমিন খান অংশ নিচ্ছেন। রোমান্টিক ধারার এই গান দুটোর কথা হচ্ছে 'বড় সাধ জাগে কানে কানে বলি তুমি যে আমার' এবং 'আমার দুই নয়নের জন্ম শুধু তোমায় দেখব বলে'।

এবার সালমান-অসিনের রোমান্স!

বলিউডে সালমান বেশ ক্ষমতাশালী অভিনেতা। কোনো ছবিতে অভিনয় করতে গেলে তিনি নিজের বিপরীতে অভিনেত্রীও ঠিক করে দেন। বিনিময়ে সেই অভিনেত্রীর সঙ্গে কিছুদিনের জন্য প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। ঐশ্বরিয়া রাই-ক্যাটরিনা কাইফের সঙ্গে তার সম্পর্ক এভাবেই। এবার তিনি অসিনকে নিজের নায়িকা বানিয়েছেন। আগামী ৩ জুন মুক্তি পাচ্ছে আনিস বাজমি পরিচালিত এই জুটির ছবি 'রেডি'। ছবি হিট-ফ্লপের হিসাবের থেকেও বড় আলোচনায় এখন, তাদের প্রেম নিয়ে। প্রেম কী হচ্ছে? দেখা যাক।

Friday, April 29, 2011

চ্যানেল আইতে সরাসরি প্রিন্স উইলিয়ামের বিয়ে

প্রয়াত প্রিন্সেস ডায়ানার জ্যেষ্ঠ পুত্র প্রিন্স উইলিয়ামের বিয়ে আজ। কনে কেট মিডলটন। উইলিয়ামের সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময়। তাদের সম্পর্কের বয়স প্রায় ১০ বছর। হাজার বছরের পুরোনো স্থাপত্য ওয়েস্টমিনস্টার অ্যাবেতে অনুষ্ঠিত হবে তাদের বিয়ের অনুষ্ঠান। যেখানে ডায়ানার শেষকৃত্য অনুষ্ঠিত হয়েছিলো। জমকালো এই বিয়ের অনুষ্ঠানটি বাংলাদেশ সময় বেলা ১টা থেকে টানা সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত চলবে। আর পুরো অনুষ্ঠানটি একটানা সরাসরি সমপ্রচার করবে চ্যানেল আই। ধারণা করা হচ্ছে টেলিভিশন ও ইন্টারনেটে বিশ্বজুড়ে প্রায় ২০০ কোটি মানুষ বিয়ের অনুষ্ঠানটি উপভোগ করবেন।
এরই মাঝে উইলিয়ামের বিয়ে নিয়ে বিশ্বব্যাপী আলোচিত হচ্ছে। তাই চ্যানেল আইয়ের মতো অনেক বিদেশী চ্যানেল এই বিয়ের আসর সরাসরি সম্প্রচার করবে। আগ্রহী মানুষদের রাজকীয় বিয়ের স্বাদ দিতেই সরসারি সম্প্রচারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে চ্যানেলগুলো।

লারা ডুবছেন আর ভাসছেন


বলিউড অভিনেত্রী লারা দত্ত ডুবছেন আর ভাসছেন। তার এ দশা হয়েছে নিজের ক্যারিয়ারকে কেন্দ্র করে। কখনো তিনি জনপ্রিয়তা হাতের মুঠোয় বন্দী করে ভেসে বেড়াচ্ছেন, আবার কখনো সমালোচিত হয়ে সব খুইয়ে তলিয়ে যাচ্ছেন অতল গভীরে। তাই তিনি মানসিকভাবে শান্তি আর অশান্তির টানাটানিতে আছেন। সম্প্রতি তার নতুন ছবি 'চলো দিলি্ল' নিয়ে সমস্যা আরও প্রকট হয়েছে। শুরুতে নিজের অভিনীত-প্রযোজিত এই ছবির প্রচারণায় গিয়ে লারা মনে করেছিলেন, দর্শক হুমড়ি খেয়ে পড়বে। কিন্তু ছবিটির মুক্তির তারিখ যতই ঘনিয়ে আসছে লারা ততই ফ্লপের হাতছানি দেখতে পাচ্ছেন। ছবিটি যদি সত্যিই ফ্লপ হয় তাহলে বিবাহিতা লারার ক্যারিয়ার তো ডুববেই, সঙ্গে আর্থিকভাবেও ক্ষতির সম্মুখীন হবেন।

উইলিয়ামের বিয়েতে বিওন্সি-জেজি

প্রিন্স উইলিয়াম ও কেট মিডলটনের বিয়ে নিয়ে মেতেছে পুরো লন্ডন শহর। আর এ আনন্দের সঙ্গে বাড়তি মাত্রা যোগ করতে অনুষ্ঠানে গান গাইতে আসছেন মার্কিন গায়িকা ও অভিনেত্রী বিওন্সি নোলস এবং তার স্বামী মার্কিন র‌্যাপশিল্পী জেজি। ইতোমধ্যেই ২৯ বছর বয়স্কা এই শিল্পী ও তার স্বামীকে প্রিন্স ও কেট তাদের বিয়ের অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। সেখানে তাদের রিদম অ্যান্ড ব্লুজ লাভ সং গাওয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন প্রিন্স ও কেট। প্রিন্স এবং কেট দুজনই বিওন্সি ও জে-জির ভীষণ ভক্ত। তারা মনে-প্রাণে চাইছেন, এই আনন্দযজ্ঞে এই দুই শিল্পী তাদের পারফর্মেন্সে পুরো অনুষ্ঠানটি মাতিয়ে দিন।

লোহা ঘষলে সোনা!

মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগরে বুধবার রাতে প্রায় দুই কোটি টাকা মূল্যের একটি মূর্তি উদ্ধার করা হয়। এরপর খবর ছড়িয়ে পড়ে ওই মূর্তিতে লোহা ঘষলেই তা সোনা হয়ে যাচ্ছে। কেউ কেউ সোনা বানিয়ে নিয়েছেন বলেও কথা রটে। লোহার টুকরো নিয়ে শুরু হয় লোকজনের ছোটাছুটি। অনেকে দূর-দূরান্ত থেকেও আসতে থাকেন। তবে মূর্তিতে লোহা ঘষার পর তাদের ভুল ভাঙে। শ্রীনগর থানার ওসি সাখাওয়াত হোসেন বাংলাদেশ প্রতিদিনকে জানান,স বুধবার রাত ১০টার দিকে উপজেলার উত্তর কোলাপাড়া গ্রামের আকরাম মিয়ার বাড়ির পুকুর থেকে কষ্টি পাথরের মূর্তিটি উদ্ধার করা হয়। লোহা ঘষলে সোনা হওয়ার খবরটি সম্পূর্ণ গুজব বলে তিনি জানান। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সাইফুল ইসলাম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।

মোশাররফ-সারিকা জুটি

টিভি নাটকে প্রথমবারের মতো জুটি হয়ে অভিনয় করতে যাচ্ছেন মোশাররফ করিম ও সারিকা। জিয়া উদ্দিন আলমের রচনা ও পরিচালনায় নাটকটির নাম 'আমরা সিনেমা আর বানাবো না'। নাটকের গল্প প্রসঙ্গে জিয়া জানান, নাটকটি সাজানো হয়েছে, সিনেমা জগতের নানা অনিয়ম, পাইরেসি, অশ্লীলতাসহ নানা দিক কেন্দ্র করে। নাটকটি দর্শকের ভালো লাগবে বলে আশাবাদী জিয়া।
নাটকে অভিনয় প্রসঙ্গে মোশাররফ করিম বলেন, 'আমার অভিনীত অনেক নাটকে সারিকা অভিনয় করেছে। আর এই প্রথম আমি আর সারিকা জুটিবদ্ধ হয়ে অভিনয় করব। নাটকের গল্পটি আমার ভালো লেগেছে। কারণ, নাটকটি সাজানো হয়েছে সমসাময়িক সিনেমা জগতের নানা সমস্যাকে কেন্দ্র করে।' সারিকা বলেন, 'মোশাররফ ভাইয়ের বিপরীতে অভিনয়ের সুযোগ পেয়ে খুশি আমি'। আগামী ৪ ও ৫ মে গুলশান ও ধানমণ্ডিতে নাটকটির শুটিং হবে।

ফিরছেন লৌহমানব

হলিউডে ফিরছেন আর্নল্ড শোয়াজনেগার, এটি পুরনো খবর। নতুন খবর হলো, তার বহুদিনের 'টার্মিনেটর' ছবিতেই কামব্যাক করছেন এই লৌহমানব।
গত জানুয়ারিতে ক্যালিফোর্নিয়ার গভর্নর হিসেবে দ্বিতীয় মেয়াদ শেষ করেন ৬৩ বছর বয়সী এই রাজনীতিক কাম অভিনেতা। তারপর জানিয়েছিলেন, তার পুরনো জায়গা হলিউডে আবার ফিরছেন। তবে কিভাবে ফিরছেন সেটা এখন পর্যন্ত অজানা ছিল। সর্বশেষ গত বছরের 'দি এক্সপেন্ডেবল' ছবিতে এক ঝাঁক অ্যাকশন হিরোর সঙ্গে আর্নল্ড শোয়ার্জনেগারকেও দেখা গিয়েছিল। তবে সেটি মাত্র কয়েক মিনিটের জন্য। এবার 'টার্মিনেটর' ছবির পঞ্চম পর্বে তিনি ফিরছেন। তবে সেটিও 'দি এক্সপেন্ডেবল'র মতো ক্যামিও হাজিরা কিনা সেটি এখনও নিশ্চিত নয়। তবে ভক্তদের আশা, এবার স্বরূপেই ফিরবেন এই অভিনেতা।

ক্রোড়পতিতে বাবা-মেয়ে

'কৌন বনেগা ক্রোড়পতি'র ভোজপুরির সংস্করণের উপস্থাপনার দায়িত্ব পালন করছেন শত্রুঘ্ন সিনহা। আর ওই অনুষ্ঠানের হট সিটে বসছেন বলিউড অভিনেত্রী সোনাক্ষী সিনহা। সোনাক্ষী সিনহা সময় বের করতে পারলে আগামী মাসের শুরুর দিকেই অনুষ্ঠানটির রেকর্ডিং হবে। এ প্রসঙ্গে শত্রুঘ্ন সিনহা বলেছেন, 'হ্যাঁ, সোনাক্ষী এবার হটসিটে বসছেন। এতে শেষ পর্যন্ত দর্শকরা পর্দায় বাবা-মেয়েকে একসঙ্গে দেখার সুযোগ পাবেন।' শত্রুঘ্ন আরও বলেছেন, 'এ অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়ার ব্যাপারে সোনাক্ষীই প্রথম আগ্রহ প্রকাশ করেছে। তখন আমি সানন্দেই রাজি হয়েছি। এমন নয় যে, আমার মেয়ে হওয়ার কারণে তাকে সহজ প্রশ্ন করা হবে। সে খুব মেধাবী। আমি নিশ্চিত, সে সহজেই তার জাত চেনাতে পারবে।' অন্যদিকে সোনাক্ষী জানিয়েছেন, 'এটা দারুণ একটা ব্যাপার! আমি এই শো'টি খুবই পছন্দ করি।'

মাহেন্দ্রক্ষণের অপেক্ষায় উইলিয়াম-কেট

প্রেম থেকে পরিণয় : গোটা লন্ডনই যেন বিয়ে বাড়ি
বিয়ের আর মাত্র কয়েক ঘণ্টা বাকি আছে। বর প্রিন্স উইলিয়াম ও কনে কেট মিডলটনের সময়টা সত্যি কেমন কাটছে তা শুধু তারাই বলতে পারবেন। তবে এ নিয়ে বিশ্বে হইচইয়ের কমতি নেই। বিশেষ করে ব্রিটেন যেন ভাসছে আনন্দের জোয়ারে। প্রিন্স উইলিয়ামের মা প্রয়াত প্রিন্সেস ডায়ানা হয়তো দূর থেকে ছেলের এই আনন্দের মুহূর্তগুলো দেখে তার সংসারজীবন নিয়ে আশীর্বাদই করছেন।
বিশ্বের সেরা বিয়েগুলোর মধ্যে অন্যতম উইলিয়াম-কেটের বিয়ে নিয়ে মুখরোচক গল্পের অভাব নেই। অনেকে বলছেন প্রিন্স চার্লস ও প্রিন্সেস ডায়ানার বিয়ের চেয়েও মহা ধুমধামে হতে যাচ্ছে উইলিয়াম-কেটের বিয়ে। কিন্তু যে যা-ই বলুন, ব্রিটিশরা এ কথা কখনোই মানতে নারাজ, চার্লস-ডায়ানার বিয়েকে ছাড়িয়ে যাবে উইলিয়ামের বিয়ে। কারণ ডায়ানা যে আসন করে নিয়েছিলেন মানুষের হৃদয়ের মণিকোঠায়। দীর্ঘ এই সময়ে পৃথিবী অনেক এগিয়ে গেছে। এগিয়েছে প্রযুক্তি। মানুষ বেড়েছে। তাই মহা ধুমধামে হতেই পারে উইলিয়াম-কেটের বিয়ে। তাই বলে চার্লস-ডায়ানার বিয়েকে কখনোই ছাড়াতে পারবে না এ বিয়ে। কারণ পৃথিবী যে এখনো ডায়ানার শোকে শোকাচ্ছন্ন। প্রিন্সেসের কথা মনে হলেই এক আবেগ আচ্ছন্ন করে তোলে ব্রিটিশদের।
তবে এ কথা সত্য, উইলিয়াম-কেটের বিয়ের অপেক্ষায় বিশ্ব উন্মুখ। ওয়েস্টমিনস্টার অ্যাবেতে অনুষ্ঠিত হবে, ঠিক যেখানে অনুষ্ঠিত হয়েছিল প্রিন্সেস ডায়ানার শেষকৃত্য। বিশ্বের ৩০০ কোটি মানুষ টিভির পর্দায় সরাসরি দেখতে পাবে এ বিয়ের অনুষ্ঠান।
এরই মধ্যে বিয়ের চূড়ান্ত প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। বুধবার রাতে উইলিয়াম ও মিডলটন কেট উভয়ের পরিবারের সদস্যরা হবু দম্পতিকে নিয়ে অংশ নিয়েছেন বিয়ের মহড়ায়। উপস্থিত ছিলেন উইলিয়ামের একমাত্র ভাই প্রিন্স হ্যারি। গাঁটছড়া বাঁধার আগে সর্বশেষ স্বাধীন মুহূর্তগুলো উপভোগ করে নিচ্ছেন বর-কনে। এর অংশ হিসেবে উইলিয়াম গত রাতটা কাটিয়েছেন বাবা প্রিন্স চার্লস ও ভাই হ্যারির সঙ্গে রাজপ্রাসাদ ক্ল্যারেন্স হাউসে। এ বিয়ে নিয়ে খুশি দাদি রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথ ও তার স্বামী প্রিন্স ফিলিপও।
কেট মিডলটনের রাত কেটেছে পাঁচ তারকা গোরিং হোটেলে। এখানে তার সঙ্গে ছিলেন বাবা মাইকেল, মা ক্যারোল, বোন পিপা ও ভাই জেমস। এরই মধ্যে হোটেলে আনা হয়েছে কনের বিয়ের পোশাক। ফুলে ফুলে ছেয়ে গেছে হোটেল করিডর।
কনে কেটের বয়স ২৯ বছর, যেখানে বর উইলিয়ামের ২৮। বিষয়টিকে স্বাভাবিকভাবেই দেখছে উভয় পরিবার। আজ বাবার হাত ধরে কেট আসবেন উইলিয়ামের সঙ্গে সাত পাকে বাঁধা পড়তে। বিয়ে পড়াবেন ক্যান্টারবেরির আর্চবিশপ ড. রোয়ান উইলিয়ামস।
রাজদম্পতির বিয়ে অনুষ্ঠান এক ঝলক দেখতে শত শত পর্যটক জড়ো হচ্ছেন ব্রিটেনে। এরই মধ্যে শুধু লন্ডনেই এসেছেন প্রায় ছয় লাখ লোক।
এদিকে বিয়ের দিনটি অ্যাবে থাকবে তাজা ফুলের এক রাজ্য। এ জন্য ব্যস্ত সেখানকার মালীরা। বিয়েতে রাজকীয় গাড়িবহরে থাকছে ঘোড়ার গাড়িও।
বিয়ের দিনকে সবার কাছে উপভোগ্য করে তুলতে ঘোষণা করা হয়েছে সরকারি ছুটি। সূত্র : এএফপি, রয়টার্স, বিবিসি।

কারিশমার দ্বিতীয় ইনিংস

দীর্ঘ আট বছর বিরতির পর আবারও বলিউডে পা রাখতে যাচ্ছেন কারিশমা কাপুর। বিয়ের পর ঘর-সংসার নিয়ে পুরোপুরি ব্যস্ত ছিলেন তিনি। কিন্তু অভিনয় জগতে তার ফিরে আসা নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরে গুঞ্জন শোনা যাচ্ছিল। অবশেষে তিনি নিজেই এ বিষয়ে মুখ খুললেন। কারিশমা বলেছেন, ভক্তদের টানে ফিরে এলাম। নতুন করে নিজেকে প্রস্তুত করছি। ইতোমধ্যে কয়েকটি ছবির প্রস্তাবও পেয়েছি। অভিনয়ের দ্বিতীয় ইনিংসে দর্শকরা তাকে কীভাবে গ্রহণ করবেন সেটাই এখন দেখার অপেক্ষায়।

Thursday, April 28, 2011

অস্বীকার করলেন ইয়ানা গুপ্তা

ছয় মাসের বন্ধুত্বের অবসান ঘটালেন বলিউডের অন্যতম আবেদনময়ী আইটেম গার্ল ইয়ানা গুপ্তা। সম্প্রতি একটি রিয়ালেটি শোতে নৃত্য পরিচালক সালমানের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হন ভারতীয় বংশোদ্ভূত চেক প্রজাতন্ত্রের এই মডেল। শুটিংয়ের ফাঁকে চুটিয়ে প্রেম চলে। বিভিন্ন অনুষ্ঠানেও অন্তরঙ্গ অবস্থায় দেখা গেছে তাদের। কিন্তু রিয়ালেটি শো শেষ হওয়ার পর ভেস্তে গেছে সে সম্পর্ক। খবরের সত্যতাও স্বীকার করেছেন ইয়ানা।

ক্যাটরিনার পথে বোন ইসাবেল

ক্যাটরিনা কাইফের পথে পা বাড়াচ্ছেন ছোট বোন ইসাবেল কাইফ। খুব শীঘ্রই তাকে বলিউডে দেখা যেতে পারে। সম্প্রতি একটি ছবি প্রযোজনায় হাত দিয়েছেন ক্যাট। ইতোমধ্যে এর প্রাথমিক প্রস্তুতিও সম্পন্ন হয়েছে। ছবিটির কেন্দ্রীয় চরিত্রে ইসাবেলকে নেওয়ার চিন্তা করছেন তিনি। অনেকের মতে, ছোট বোনকে ব্রেক দিতেই ক্যাটের এই ছবি। ইসাবেলকে দর্শকরা কিভাবে নেবেন সেটাই দেখার অপেক্ষা।

Wednesday, April 27, 2011

ক্যাটের নতুন চমক

'শিলা'র পর এবার নতুন আইটেম ধামাকা নিয়ে আসছেন ক্যাটরিনা কাইফ। 'মেরে ব্রাদার কি দুলহান' ছবির একটি আইটেম গানে আবার নিজের নাচের ঝলক দেখাবেন ক্যাট। 'শিলা কি জাওয়ানি'-এর মতো নয়, এবারের আইটেম গানটি তৈরি হচ্ছে 'তেজাব' ছবিতে করা মাধুরী দীক্ষিতের 'এক দো তিন' গানটির মতো। দেখা যাবে, আশপাশে হৈচৈ করতে থাকা মাতালদের হাত থেকে নিজেকে বাঁচিয়ে নাচছেন ক্যাট। যশরাজ স্টুডিওতে চলছে চিত্রায়ণের কাজ। সোহেল খানের সংগীত পরিচালনায় এই গানের কোরিওগ্রাফি করেছেন বস্কো সিজার। ক্যাটরিনা বললেন, 'অন্য রকম একটা আইটেম গানে নাচছি। পথের পাশের মদের দোকানের মতো সেটে কাজ চলছে। আশা করছি, গানটি শিলার চেয়েও চমকদার হবে।

তিন চাকার সুপারসনিক

আগামী দশকের গাড়ি দেখতে কেমন হবে সে বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রে একটি নকশা প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছিল। তিন চাকার একটি বৈদ্যুতিক গাড়ির নকশা তৈরি করে এক হাজার প্রতিযোগীর মধ্যে প্রথম পুরস্কারটি বগলদাবা করেছেন সার্বিয়ার এক নকশাবিদ। আগামী দশকের গাড়ির সেরা সেই নকশাবিদের নাম মার্কো লুকোভিচ। তিনি টেনথ মিশিগান চ্যালেঞ্জ ডিজাইন ২০১১ প্রতিযোগিতায় সেরা ঘোষিত হয়েছেন। লুকোভিচ তার নকশা করা গাড়িটির নাম দিয়েছেন 'সুপারসনিক'। তবে, নাম সুপারসনিক হলেও তিন চাকার এই বৈদ্যুতিক গাড়িটি শব্দের গতি অতিক্রম করতে পারবে না। গাড়িটির নকশার সঙ্গে সুপারসনিক প্লেনের মিল রয়েছে। গাড়িটির পেছনের দুটি চাকার সঙ্গেই আলাদা আলাদা বৈদ্যুতিক মোটর রয়েছে, রকেটের আদলে তৈরি এই গাড়িটিতে সামনে চালক ছাড়াও পেছনে একজন আরোহীর বসার ব্যবস্থা থাকছে। আগামীতে গাড়িটিতে ক্ষুদ্রাকৃতির লিথিয়াম-আয়ন ব্যাটারি ব্যবহারের ব্যবস্থা থাকবে যার মাধ্যমে একে সেলফোনের মতোই সহজে চার্জ দেওয়া যাবে। গাড়ির সবচেয়ে বড় বৈশিষ্ট্য হচ্ছে এটির অটোমেটিক পাইলট মোড, যার মাধ্যমে স্বয়ংক্রিয়ভাবে নিজ থেকেই চলতে পারে এটি। ২০২১ সালেই হয়তো লুকোভিচের নকশা করা এই তিন চাকার 'সুপারসনিক'-এর দেখা মিলতে পারে।

হাতঘড়িতেও ফেসবুক!

এবার হাতঘড়িতেও ব্যবহার করা যাবে জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগ সাইট ফেসবুক। ফলে হাতঘড়ি এখন আর কেবল সময় দেখানোর কাজেই সীমাবদ্ধ থাকছে না। এখন ফেসবুকের আপডেট জানা, এমনকি চ্যাটিংও করা যাবে হাতের ঘড়িটি ব্যবহার করেই। যে কোনো জায়গা থেকেই ফেসবুক প্রোফাইলের আফডেট খোঁজ-খবর নেওয়া যাবে। আর এমনই একটি ঘড়ি তৈরি করেছে কানাডার একটি কোম্পানি। ফেসবুক আপডেট করা যায় এমন হাতঘড়ি তৈরি করেছে কানাডিয়ান কোম্পানি ইনপ্লাস। এই হাতঘড়িটিতে স্মার্টফোন বা কম্পিউটার সংযোগ দিয়ে প্রোগ্রামের আওতায় আনা যায় এবং এর ফলে ইনস্ট্যান্ট নোটিফিকেশন এবং অ্যালার্ট দেখা যায়। ইনপ্লাসের পক্ষ থেকে এই ঘড়িটিকে বলা হচ্ছে 'হ্যাকারের নিখুঁত যন্ত্র' যার পুরোটাই প্রোগ্রাম করা সম্ভব। ডেভেলপাররা ঘড়িটির ১.৩ ইঞ্চি ওএলইডি ডিসপ্লে, ভাইব্রেটিং মোটর, বাটন, টাইমার, অ্যালার্টসহ প্রতিটি যন্ত্রাংশ নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে। এ ঘড়িটিতে থাকছে বিভিন্ন অ্যাপ্লিকেশন ডাউনলোডের সুবিধা। ঘড়িটি খুব শীঘ্রই মানুষের হাতে হাতে পেঁৗছানোর জন্য কাজ করে যাচ্ছে কোম্পানিটি

ইয়াহু বাজ বন্ধ

সার্চ জায়ান্ট ইয়াহুর অন্যতম সার্ভিস ইয়াহু বাজ ইতোমধ্যেই বন্ধ হয়ে গেছে। ইয়াহু বাজ সার্ভিসটি গত ২১ এপ্রিলের পর আর ব্যবহার করা যাচ্ছে না। এ সার্ভিসটি বন্ধ করে

এবার ভারতীয় ব্রেইল মোবাইল

দৃষ্টি প্রতিবন্ধীদের জন্য বিশ্বব্যাপী কাজ করে যাচ্ছে বিভিন্ন সংস্থা। সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে প্রযুক্তি। এমনকি নিত্যনতুন এসব প্রযুক্তিকে তাদের দোরগোড়ায় নিয়ে আসছে বিভিন্ন কোম্পানি। বিজ্ঞানের কল্যাণে এসব প্রতিবন্ধীর জন্য ইতোমধ্যে তৈরি হয়েছে ব্রেইল বুক, ব্রেইল কম্পিউটার এমনকি ব্রেইল মোবাইল। এবার পশ্চিমা বিশ্বের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে ভারতে চালু হচ্ছে দৃষ্টি প্রতিবন্ধীদের ব্যবহার উপযোগী বিশেষ ধরনের মোবাইল ফোন। সম্প্রতি দেশটির ইনটেক্স টেকনোলজিস নামক একটি প্রতিষ্ঠান ইনটেক্স ভিশন নামের ব্রেইল মোবাইল ফোন তৈরি করেছে। ইনটেক্স-এর তৈরি করা এই বিশেষ মোবাইল ফোনে রয়েছে ডুয়াল সিম ব্যবহারের সুবিধা এবং দৃষ্টি প্রতিবন্ধীদের ব্যবহার সহায়ক বড় আকারের ব্রেইল কি প্যাড। এ ছাড়াও রয়েছে টকিং কি প্যাড অপশন যা টাইপ করা মোবাইল নম্বরটি পড়ে শোনাবে। মোবাইলটিতে বিনোদন উপযোগী ফিচার হিসেবে এফএম রেডিও, অডিও প্লেয়ার, ২ গিগাবাইটেরও বেশি অতিরিক্ত মেমোরি কার্ড ব্যবহারের সুযোগ, টর্চ, মোবাইল ট্র্যাকার, কি প্যাড লক, ৫০০ নম্বর সংরক্ষণ এবং ২৫০ এসএমএস সংরক্ষণের সুবিধাও রয়েছে। ইনটেক্স ভিশন মোবাইল ফোনে রয়েছে এসওএস ফিচার। যার মাধ্যমে চারটি ইমার্জেন্সি নম্বর সংরক্ষণ করার সুবিধা আছে। এসওএস বাটনটিতে চাপ দিলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে প্রথম জরুরি নম্বরটিতে কল চলে যাবে। ভারতে দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীদের বিষয়ে কাজ করা প্রতিষ্ঠান ন্যাশনাল অ্যাসোসিয়েশন ফর দ্য ব্লাইন্ড (ন্যাব) মোবাইল ফোনটি চালু করেছে। উল্লেখ্য, বিশ্বে ভারতেই সবচেয়ে বেশিসংখ্যক দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী রয়েছে।

নতুন জুটি প্রকাশ-ইশানা

তন্ময় তানসেনের চলচ্চিত্র 'তোমায় দিলাম পৃথিবী'র মাধ্যমে জুটি হচ্ছেন প্রকাশ ও ইশানা। প্রকাশ বাংলাদেশী ছেলে। কিন্তু তার প্রথম ছবি কলকাতার। অভিনয় করেছিলেন রাইমা সেনের বিপরীতে। তাই বলা যায় এবারই বাংলাদেশে অভিনয় করতে যাচ্ছেন তিনি। ছবির গল্পে দেখা যাবে, একটি অবৈধ পন্থায় মোবাইলের কারণে প্রকাশের জীবনে একটি বড় পরিবর্তন চলে আসে। পরে অবশ্য এই পরিবর্তনের ধারায় প্রকাশ তার আগের জীবনেই ফিরে যায়। চলচ্চিত্র প্রসঙ্গে প্রকাশ বলেন, 'দেশে একটি ভালো ছবিতে কাজ করার জন্য অপেক্ষা করছিলাম। অপেক্ষা শেষ হলো'।

গেরিলা : বুকে হু হু কাঁপন ধরায়

বাংলাদেশি হিসেবে আমাদের নির্দিষ্ট কিছু আবেগ আছে। তবে সবচেয়ে বড় আবেগের বিষয় মুক্তিযুদ্ধ_ আমাদের মুক্তির যুদ্ধ। অনেকে বলেন, আমাদের দেশপ্রেম কমে যাচ্ছে। কিন্তু কারো সামনে মুক্তিযুদ্ধ সঠিকভাবে উপস্থাপন করা হলে তার বুক হু হু করে কেঁপে উঠবেই। অজান্তেই চোখের কোণ
দিয়ে এক ফোঁটা হলেও জল গড়িয়ে পড়বে। 'দেশপ্রেম' শব্দটি তখন সার্থকতা নিয়ে মাথা উঁচু করে দাঁড়াবে। 'গেরিলা' যারা দেখেছেন এ
বিশ্বাস তাদের।
দেশের বেশ কয়েকটি হলে এখন চলছে মুক্তিযুদ্ধের প্রেক্ষাপটে নির্মিত চলচ্চিত্র 'গেরিলা'। মুক্তিযুদ্ধের কিছু ভয়াবহ দৃশ্য এখানে দেখানো হয়েছে। যা দেখে নতুন প্রজন্ম মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়েছে নতুন করে। তারা যেন স্বচক্ষে দেখেছেন যুদ্ধের সময়কার পাক হানাদের বর্বরতা। এই প্রতিবেদকের মতো যারা বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান তারা তাদের প্রিয় পিতার বর্ণনায় নিশ্চয় শুনেছেন হানাদারদের নৃসংশতার কথা। কিন্তু ওই বর্ণনা কখনো সখনো এক কান দিয়ে ঢুকে অন্য কান দিয়ে বেরিয়ে গেছে। হৃদয় কিছুটা স্পর্শ করলেও কাঁপন ধরেনি। কিন্তু 'গেরিলা' দেখে বারবার কেঁপে উঠছে দেহ; মনও। অজান্তেই দর্শক বলে উঠছে, উফ, কী ভয়ঙ্কর... কী নৃসংশ... কী নির্মম... কতটা পাশবিক... কতটা অমানবিক... আহ্ এভাবেই আমাদের দেশের মানুষ নির্যাতিত হয়েছিল একাত্তরে। কোনও কোনও দর্শকের দু'হাত মুঠো বন্দী হয়ে যাচ্ছিল। যেন এখনই ঝাঁপিয়ে পড়বে পর্দায়_ মুক্তিযুদ্ধে। 'গেরিলা' দেখে তারা বুঝেছে_ নিজেদের প্রিয় পিতা, অগ্রজ এবং স্বজনরা কেন মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে অতটা আবেগী হয়ে মানসপটের গল্প আওড়ান বারবার। মুক্তিযুদ্ধের ছবি এদেশের মানুষ আগেও দেখেছে। সেখানে মুক্তিযুদ্ধ অতটা স্পষ্ট হয়নি। তাই হয়তো অনেকেই হা-ই তুলেছেন চোখ কচলাতে-কচলাতে। কিন্তু 'গেরিলা'র ক্ষেত্রে উল্টো স্রোত বইল। চোখের পলক কি পড়েছিল কারো? উত্তর জানা নেই।
'গেরিলা' চলচ্চিত্রের রয়েছে অসাধারণ এক শক্তি। পর্দায় যখন মুক্তিযোদ্ধারা পাকিস্তানি আর্মির বুকের রক্ত ঝরাত কিংবা উড়িয়ে দিত তাদের আস্তানা; দর্শকও তখন চিৎকার করে উঠেছে। 'আমরা পেরেছি, আমরাই জয়ী'_ তাদের চিৎকারের অন্তর্নিহিত অর্থ নিশ্চয় এটাই। আর এ কারণেই ছবির শেষে অনেক দর্শক স্লোগান তুলেছেন, 'জয় বাংলা... জয় বাংলা...'। আবার যেন মুক্তিযুদ্ধে ফিরে গেছি আমরা। শো শেষে অনেক প্রবীণ চোখ মুছতে মুছতে বেরিয়ে এসেছেন। 'গেরিলা' দেখে যুদ্ধের স্মৃতি কাঁদাচ্ছে তাদের।
'গেরিলা' বিভিন্ন দিক থেকেই ব্যতিক্রম এবং একটি পরিপূর্ণ শিল্পসম্মত চলচ্চিত্র। যেমন এর চিত্রায়ণ, তেমনি শিল্পনির্দেশনা। সংগীতও কোনো অংশে কম যায় না। আর অভিনয়! এক কথায় অসাধারণ। 'গেরিলা'য় অংশগ্রহণকারী প্রত্যেক অভিনয়শিল্পীই চমৎকার অভিনয় করেছেন। তাদের মধ্যে দু'জনের কথা না বললেই নয়। কেন্দ্রীয় চরিত্রের জয়া আহসান আর শতাব্দী ওয়াদুদ। জয়ার অভিনয় যতটা আবেগী করেছে, শতাব্দীর অভিনয় করেছে ঠিক ততটাই হিংস্র। শতাব্দী দুটো চরিত্রে অভিনয় করেছেন। দুটোই পাকিস্তানি আর্মি অফিসারের। সব পাকিস্তানি আর্মিই '৭১-এ একইরকম ছিল, সমান ছিল তাদের পৈশাচিকতা_ শতাব্দীর চরিত্র দুটো বোধহয় সেই ইঙ্গিতই দিল। হিটলাররূপী শতাব্দী ওয়াদুদের দ্বিতীয় চরিত্রটি আরও একটি ইঙ্গিত দিল। আর তা হচ্ছে হিটলরা যুগে যুগে ফিরে আসেন।
'গেরিলা' চলচ্চিত্রের পরিচালক দেশের বিশিষ্ট নাট্য নিদের্শক নাসির উদ্দীন ইউসুফ নিজেই একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। তিনি সৈয়দ শামসুল হকের উপন্যাস 'নিষিদ্ধ লোবান' এবং নিজের মুক্তিযুদ্ধের অভিজ্ঞতা নিয়ে নতুন প্রজন্মের জন্য নির্মাণ করেছেন চলচ্চিত্রটি। তার এই সৃষ্টি বাংলাদেশীদের কতটা ঋণী করেছে তা প্রকাশ করা কঠিন। আগামী প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধের ধারনা দেবে 'গেরিলা'। তবে সবশেষে শেষ কথা_ অহংকার করার মতো মুক্তিযুদ্ধের একটি চলচ্চিত্র পেয়ে গেছি আমরা।

মৌমাছি গুনগুন করে কেন?

আসলে মৌমাছি তাদের ডানা দুটিকে অতি দ্রুত উপর-নিচে আন্দোলিত করে। এর ফলে ডানার কাছাকাছি বায়ুতে ঘনীভবন ও অনুভবনের সৃষ্টি হয় এবং নির্দিষ্ট কম্পাঙ্কের তরঙ্গ উৎপন্ন হয়। এই তরঙ্গই আমাদের কানে মৌমাছির 'গুনগুন'।

বউ সুন্দরী আম

বউ সুন্দরী আমে ছেয়ে গেছে নওগাঁ জেলার হাটবাজার। এসব আম ফরমালিন মিশ্রিত হলেও দেদার কিনছে লোকজন। আম খেয়ে লাভ লোকসানের কথা না ভেবে মুখের স্বাদ মেটাতে এসব আম কিনছে ক্রেতারা। দোকানে সাজানো বউ সুন্দরীর টকটকে হলুদ রং মানুষের মন কাড়ছে সহজেই। লোভ সামলাতে না পেরে তাই অতিরিক্ত দামে ফরমালিন মিশ্রিত এসব আম কিনছেন তারা। ব্যবসায়ীরা জানায়, স্থানীয় জাতের আম এখনো হাটবাজারে ওঠেনি। তাই হাটবাজার ছেয়ে গেছে ভারতীয় বউ সুন্দরী আমে। এসব আম নওগাঁর সীমান্তবর্তী পত্নীতলার শিমুলতলী, ধামইরহাটের বস্তাবর, কালুপাড়া, চকচণ্ডী, চকিলাম ও সাপাহারের পাতাড়ী, হাঁপানীয়া, পোরশার নীতপুরসহ জেলার অন্যান্য সীমান্ত দিয়ে চোরাইপথে আনা হচ্ছে। বৈশাখের শুরু থেকেই এসব আম স্থানীয় ফলের দোকানগুলোতে শোভা পাচ্ছে। ফরমালিনসহ বিভিন্ন বিষাক্ত কেমিক্যালে পাকানোর ফলে স্বাস্থ্যহানি ঘটাসহ শরীরে নানা উপসর্গ দেখা দেওয়ার আশঙ্কা থাকলেও মৌসুমের নতুন ফল হওয়ায় ক্রেতারা ঝোঁকের মাথায় আমগুলো দেদার ক্রয় করে খাচ্ছে। কিন্তু ভারত থেকে সীমান্ত দিয়ে চোরাই পথে বানের পানির মতো আসা বিষাক্ত কেমিক্যালে পাকানো ক্ষতিকারক এসব আম দোকানগুলোতে শোভা পেলেও প্রশাসনের কোনো নজরদারি নেই। ফলে ক্রেতারা বিষ সমতুল্য ওই সব আম ভক্ষণ করে চলেছে। এসব আম বিক্রিও হচ্ছে চড়া দামে। প্রতি কেজির মূল্য ১৮০ থেকে ২০০ টাকা। সীমান্তে নিয়োজিত দুই দেশের সীমান্তরক্ষী ও অসাধু কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করেই বিষাক্ত এসব আম নির্বিঘ্নে সীমান্তের ওপার থেকে এপার এনে বাজারজাত করা হচ্ছে বলে সচেতন ক্রেতারা জানান

মৌমাছি কি?

মৌমাছি এক ধরনের পতঙ্গ। মৌমাছি খুবই শৃক্সখলাবদ্ধ জীবনযাপন করে। এদের সামাজিক জীব বলা চলে। মৌমাছিদের রানী হলো তাদের সংঘবদ্ধ জীবনের পরিচালিকা। সাধারণ মৌমাছিরা মধু সংগ্রহ করে মৌচাকে জমা করে।

আলো জ্বালা পোকা

প্রাণীজগতের মধ্যে কেবল কি জোনাকি পোকারাই আলো জ্বালতে পারে? না, জৈবজ্যোতি বা বায়োলুমিনিসেন্স শুধু জোনাকিদেরই একচেটিয়া নয়। বিশেষ কিছু ব্যাকটেরিয়া, ছত্রাক, স্পঞ্জ, শৈবাল, শামুক, ঝিনুক ও পতঙ্গরাও আলো জ্বালাতে পারে। উচ্চ শ্রেণীর প্রাণীদের মধ্যে সাধারণত বায়োলুমিনিসেন্স লক্ষ্য করা যায় না।

মুন্সীগঞ্জে জুতা চুরি নিয়ে দুই পক্ষে সংঘর্ষ, আহত ১০

মুন্সীগঞ্জের চরাঞ্চলের বানিয়াল মহেশপুর গ্রামে গতকাল সকালে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রতিবেশী দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে ১০ জন আহত হয়েছেন। বাংলাবাজার ইউনিয়নের বানিয়াল মহেশপুর গ্রামের প্রতিবেশী জামাল ব্যাপারি ও হেলাল ব্যাপারির লোকজনের মধ্যে সকাল ৮টার দিকে এ সংঘর্ষ হয়। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, হেলাল ব্যাপারির নাতির জুতা চুরি গেলে প্রতিবেশীদের সন্দেহ করা হয়। এ নিয়ে হেলাল ব্যাপারি ও জামাল ব্যাপারির মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে দুই পক্ষের লোকজন জড়ো হলে পরিস্থিতি অশান্ত হয়ে ওঠে। লাঠিসোঁটা নিয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হয় তারা। সদর থানার অফিসার ইনচার্জ শহীদুল ইসলাম জানান, সামান্য কথা কাটাকাটি থেকে সংঘর্ষ হয়েছে।

মা হচ্ছেন ব্রুনি!

মা হতে যাচ্ছেন ফ্রান্সের ফার্স্টলেডি কার্লা ব্রুনি। খবরটি প্রকাশ করেছে সে দেশের বিখ্যাত সাপ্তাহিক 'ক্লোজার'। তাদের দাবি_ নিশ্চিত হয়েই তারা বিষয়টি প্রকাশ করেছে। তবে এখনো কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি প্রেসিডেন্ট নিকোলাস সারকোজি বা ব্রুনির কাছ থেকে। কিছুদিন আগে গুঞ্জন উঠেছিল, প্রেসিডেন্টকে নতুন অতিথি উপহার দিতে ইচ্ছা পোষণ করেছেন ৪৪ বছর বয়সী সাবেক এই মডেল। সত্য মিথ্যা যাই হোক, ব্রুনির মা হওয়ার খবরটি বাতাসের বেগে ছড়িয়ে পড়েছে।

মিথ্যুক গেইল!

পাকিস্তানের সঙ্গে পর পর দুটি একদিনের ম্যাচে হেরে গেল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। দুটি ম্যাচেই ব্যর্থ হয়েছে তাদের ব্যাটিং লাইন-আপ। অভিজ্ঞ চন্দরপল, সারোয়ান, পোলার্ড, ব্রাভো ও গেইলকে বাদ দেওয়ায় তাই চাপেই আছে দেশটির ক্রিকেট বোর্ড। এ রকম সময়ে বোমা ফাটানোর মতোই কথা বলে বিতর্ক সৃষ্টি করেছেন ক্রিস গেইল। 'আমি ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে খেলতে চেয়েছিলাম, কিন্তু আমাকে দলে নেওয়া হয়নি'_ ক্রিকিনফোকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এমনটিই দাবি করেছেন ক্যারিবিয়ান অ্যাটাকিং ব্যাটসম্যান ক্রিস গেইল। তারই প্রেক্ষিতে মুখ খুললেন ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট বোর্ড (ডবি্লউআইসিবি)। তাদের দাবি গেইল মিথ্যা কথা বলছেন।

ডবি্লউআইসিবি'র প্রধান আর্নেস্ট হিলারি 'লাইন অ্যান্ড লেন্থ নেটওয়ার্ক' নামক এক পত্রিকাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেন, 'ক্রিস গেইল আইপিএলের উদ্দেশ্যে দেশ ছাড়ার আগে আমরা তার সঙ্গে যোগাযোগের যথেষ্ট চেষ্টা করেছি। তাকে কোনোভাবেই দল থেকে বাদ দেওয়া হয়নি। বরং সে নিজেই খেলতে রাজি ছিল না। আমরা প্রমাণ করতে পারি যে সে অসত্য কথা বলেছে। প্রমাণ হিসেবে আমাদের কাছে রয়েছে চিঠি ও ইমেইল। কিন্তু আমরা তা করব না। আমরা প্রমাণ করতে চাই না যে সে মিথ্যা কথা বলেছে। তবে সে যেভাবে প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে তাতে আমরা পুরোপুরি হতাশ। আমরা মনে হয় তাকে কেউ তাকে ভুল বুঝিয়েছে।' হিলারি দাবি করেন তারা সিদ্ধান্ত নিয়েছিল যে গেইলকে আইপিএলে খেলতে দিবে। তিনি বলেন, 'আমরা চাই ক্রিকেটাররা অর্থ উপার্জন করুক। তবে আমরা এটাও চাই যে তারা ওয়েস্ট ইন্ডিজের প্রতি তাদের কথার প্রতিফলন ঘটাক।' তিনি আরও দাবি করেন ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট বোর্ড গেইল, ডোয়াইন ব্রাভো ও কেরন পোলার্ডের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেছে। পোলার্ড ও ব্রাভো বোর্ডের সঙ্গে যোগাযোগ করলেও গেইল করেননি। তাদের দাবি গেইলকে বোর্ড নো অবজেকশন সার্টিফিকেট দিয়েছিল এই কারণে যে সে বোর্ডের সঙ্গে কোনো যোগাযোগ করেনি এবং বোর্ড ভেবেছিল তার ইনজুরি থেকে পুনর্বাসনের জন্য বিশ্রামের দরকার।

ইচ্ছা নেই অহনার

ধর্মেন্দ্র ও হেমা মালিনীর বড় মেয়ে এশা দেওল অনেক আগেই যোগ দিয়েছেন বলিউডে। অনেকের ধারণা ছিল এবার ছোট মেয়ে অহনার পালা। হয়তোবা খুব শীঘ্রই তাকেও দেখা যাবে ফিল্মপাড়ায়। এমনকি 'রোমিও অ্যান্ড জুলিয়েট' নামক একটি ছবিতে অহনার অভিনয় করা নিয়ে গুঞ্জনও শোনা যাচ্ছিল। বিষয়টিকে অস্বীকার করে ধর্মেন্দ্র বলেছেন, এগুলো মিডিয়ার বাড়াবাড়ি। অভিনয়ের কোনো ইচ্ছাই নেই অহনার। তাছাড়া পরিবার থেকেও এ ব্যাপারে তার প্রতি কোনো চাপ নেই

মার্বেল পাথরে গড়া ঐশ্বরিয়া

বেঙ্গালুরুতে শুরু হওয়া ইন্টারন্যাশনাল গ্রানাইট অ্যান্ড স্টোন ফেয়ারে ঐশ্বরিয়ার মার্বেল পাথরে গড়া একটি মূর্তি প্রদর্শিত হচ্ছে। ঐশ্বরিয়ার মার্বেল পাথরের মূর্তিটি তৈরি করেছে জয়পুর ফাইন আর্টস একাডেমীর কয়েকজন তরুণ শিক্ষার্থী। অনেক কম খরচে এটি তৈরি করা হয়েছে। তরুণ শিক্ষার্থীদের দেয়া তথ্য অনুযায়ী ঐশ্বরিয়ার এই মার্বেল-মূর্তিটি তৈরি করতে ব্যয় হয়েছে ১১ লাখ ভারতীয় রুপি। ইন্টারন্যাশনাল গ্রানাইট অ্যান্ড স্টোন ফেয়ারের শেষদিন মার্বেল পাথরের ঐশ্বরিয়াকে নিলামে তোলা হবে। সত্যিকারের নয়, এ হলো ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চনের মূর্তি। তবু মার্বেল পাথরের ঐশ্বরিয়াকে ছুঁয়ে দেখতে উৎসাহের কমতি নেই।

রানীকে মনে পড়ে অভিষেকের

রানী মুখার্জীকে মনে পড়ে অভিষেক বচ্চনের। এ পর্যন্ত অভিষেক ঐশ্বরিয়া রাইয়ের সঙ্গে যতগুলো ছবিতে জুটি হয়ে অভিনয় করেছেন সবক'টি ফ্লপ হয়েছে। আর তাই সবচেয়ে প্রিয় সহ-অভিনেত্রী হিসেবে সম্প্রতি রানীর নাম উল্লেখ করেছেন বলিউডের এ তারকা। এ প্রসঙ্গে অভিষেক বলেছেন, আমি এ পর্যন্ত যাদের সঙ্গে অভিনয় করেছি, তাদের মধ্যে রানীই সেরা। তিনিই আমার সবচেয়ে প্রিয় সহ-তারকা। রানী শুধু সুন্দরীই নন, অসাধারণ একজন অভিনেত্রীও বটে। তিনি আরও বলেছেন, 'যুবা', 'বান্টি অউর বাবলি', 'লাগা চুনরি মে দাগ' এবং 'কাভি আল বিদা না কহনা' ছবিতে রানীর সঙ্গে অভিনয় করেছি। আমার বিশ্বাস, এই ছবিগুলোতেই সেরা অনস্ক্রিন কেমিস্ট্রি দেখাতে পেরেছি আমি।
পর্দার বাইরে বাস্তব জীবনেও রানীর সঙ্গে অভিষেকের প্রেমের সম্পর্কের গুজব রটেছিল মিডিয়াতে।

আবারও হৃত্বিক-প্রিয়াংকার রোমান্স

আবারও পর্দায় আসছে হৃত্বিক-প্রিয়াংকার রোমান্স। 'কৃশ' ছবিতে তাদের রোমান্স এখনো ভোলার নয়। তাই তো এই জুটিকে নিয়ে করণ জোহর নির্মাণ করছেন 'অগ্নিপথ'। সম্প্রতি এ ছবির শুটিং করতে গিয়ে আগুনের কবলে পড়েছিলেন হৃত্বিক-প্রিয়াংকা। তবে হৃত্বিক আহত হলেও অক্ষত আছেন প্রিয়াংকা। জানা গেছে, প্রিয়াংকাকে বাঁচাতে গিয়েই আহত হয়েছেন হৃত্বিক। এ ঘটনা থেকে অনেকে মনে করছেন, হৃত্বিক-প্রিয়াংকার পর্দা রোমান্স আবার বাস্তবেও কি ঘটতে যাচ্ছে! দেখা যাক কি হয়।

Monday, April 25, 2011

নতুন অনলাইন রেডিও

পহেলা বৈশাখে 'রেডিও বেস্টওয়ে' নামে নতুন একটি অনলাইন রেডিও আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করল। নতুন এ রেডিওর উদ্বোধন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক ও বেস্টওয়ে গ্রুপের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান
রেডিও বেস্টওয়ের ওয়েবসাইটে দেশের রাজনীতি, অর্থনীতি, খেলা ও বিনোদনের সর্বশেষ সংবাদ জানা যাবে। বেস্টওয়ে গ্রুপের চেয়ারম্যান জানান, এই চ্যানেল বাংলার ভাষা ও সংস্কৃতি তুলে ধরতে অঙ্গীকারবদ্ধ। রেডিওটির স্লোগান 'জীবনের প্রয়োজনে জীবনের প্রতিধ্বনি'।

বন্যদের আখড়া

চলনে-বলনে এক্কেবারে আধুনিক হলেও ব্যবসাটা যেহেতু মাদকের, তাই ভেতরে ভেতরে ওরা সবাই বন্য। ডন উইন্সলোর বেস্টসেলিং উপন্যাস অবলম্বনে মাদক পাচার ও মাদক ব্যবসায়ীদের নিয়ে অলিভার স্টোন নির্মাণ করছেন 'স্যাভেজেস'। ছবির কাহিনীতে দেখা যাবে মাদকের অতিরিক্ত দামের কারণে বন্ধুদের মধ্যে গাঁজা বিক্রি শুরু করে চন ও বেন নামের দুই তরুণ। ধীরে ধীরে তারা মায়ামির মাদক ব্যবসায় প্রবেশ করে গাঁজা নিয়ে। এ কাজে তাদের সাহায্য করে 'ও' নামের এক তরুণী। কিন্তু সমস্যা হয় তখনই, যখন নির্দয় এক ডিইএ এজেন্ট তাদের উৎখাত করতে উপস্থিত হয় এদিকে স্থানীয় মাদক মাফিয়া সর্দারনি তাদের হত্যার জন্য খুনি নিয়োগ করে। ছবিতে সর্বশেষ সংযোজন হয়েছেন ব্লেক লাইভলি। ও-এর চরিত্রে অভিনয় করবেন তিনি। এ চরিত্রে লিন্ডসে লোহানের অভিনয় করার কথা থাকলেও তাঁকে বাদ দেন অলিভার স্টোন। ছবির চন চরিত্রে আছেন টেইলর কিটশ, বেন চরিত্রে অ্যারন জনসন ও উমা থার্মান অভিনয় করবেন ব্লেকের মায়ের চরিত্রে। এ ছাড়া ডিইএ এজেন্টের চরিত্রে জন ট্রাভোল্টা, মেঙ্কিান মাদক রানি চরিত্রে সালমা হায়েক এবং ভাড়াটে খুনি চরিত্রে অভিনয় করছেন বেনিসিও দেল তরো।

সরাইলে লঞ্চডুবি

    এইচএসসির নষ্ট হওয়া ৪০০ উত্তরপত্রে নম্বর পাবেন পরীক্ষার্থীরাব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলের রাজাপুরে গত ২০ এপ্রিল রাতে লঞ্চডুবিতে পানিতে ভিজে নষ্ট হয়ে গেছে এইচএসসি পরীক্ষার বাংলা দ্বিতীয় পত্রের ৪০০ উত্তরপত্র। এসব উত্তরপত্র আর মূল্যায়ন করা সম্ভব হবে না। ঢাকা শিক্ষা বোর্ড বলছে, নষ্ট হয়ে যাওয়া এসব উত্তরপত্রের ক্ষেত্রে বিশেষ বিবেচনা করে বিধিমোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
গতকাল রবিবার সন্ধ্যায় ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক সৈয়দ সাদিক জাহিদুল ইসলাম কালের কণ্ঠকে বলেন, ভিজে যাওয়া উত্তরপত্রগুলোর বান্ডিল গতকাল সকালে খোলা হয়। কিন্তু এর কোনো লেখাই পাঠোদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। এর ফলে উত্তরপত্রগুলো মূল্যায়নও করা যাবে না। তিনি বলেন, পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশের আগে সব বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকদের নিয়ে একটি সভা হয়।

ফাঁসির সেল থেকে মুক্তি পেয়ে আকাশ দেখল শিশু সুমাইয়া

সুমাইয়া লোহার বিরাট গারদের বাইরে এসে দেখে কী সুন্দর আকাশ। সবাই মুক্ত। কারো পায়ে শেকল নেই। দীর্ঘ প্রায় সাড়ে চার বছর ফাঁসির সেলের বন্দিদশা থেকে মুক্তির স্বাদ পেয়ে সাত বছর বয়সের সুমাইয়া কেঁদে ফেলল। এ কান্না মায়ের জন্য। আবার মুক্ত নতুন জীবনের জন্য। সুমাইয়ার কোনো অপরাধ ছিল না। তার মা খুনের মামলায় মৃতুদণ্ডপ্রাপ্ত। এ কারণে মায়ের সঙ্গেই তার জায়গা হয়েছিল ফাঁসির সেলে। গতকাল রবিবার সে সেল থেকে মুক্তি পেল।
যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারের তত্ত্বাবধায়ক বজলুর রশিদ জানান, ২০০৭ সালের ৯ মার্চ চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার কুতুবপুর গ্রামের ফজলুর রহমানের মেয়ে উজালা খাতুন তার স্বামী রাজা হোসেনকে হত্যা করে। ওই বছর ১০ মার্চ এ ব্যাপারে থানায় মামলা হয়। আটক করা হয় উজালা খাতুনকে। তখন উজালার মেয়ের বয়স আড়াই বছর। সে মায়ের দুধ পান করে। এ কারণে মায়ের সঙ্গে তার ঠাঁই হয় কারাগারে। ২০০৮ সালের ২৪ জানুয়ারি চুয়াড়াঙ্গা জেলা ও দায়রা জজ উজালাকে মৃত্যুদণ্ড দেন। এর পর থেকে সে কারাগারের ফাঁসির সেলে মায়ের সঙ্গেই ছিল। সেখানেই সুমাইয়া পার করেছে চার বছর তিন মাস। এখন তার বয়স সাত বছর। এর মধ্যে সুমাইয়ার নানি মহিরুননেচ্ছা নাতনিকে জিম্মায় নেওয়ার জন্য জেল সুপারের কাছে আবেদন করেন।
গতকাল দুপুরে যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারের কর্তৃপক্ষ সুমাইয়াকে তার নানির হাতে তুলে দেয়। কারাগারের ভেতর থেকে তখন মা উজালার কান্না শোনা যায়।

সবুজ ঘুঘু পরিবারে নতুন অতিথি

ঢাকা চিড়িয়াখানায় বিলুপ্তপ্রায় সবুজ ঘুঘুর পরিবারে এসেছে নতুন অতিথি। দুটি ডিমের মধ্যে একটি থেকে ফুটেছে ফুটফুটে বাচ্চা। এ ঘটনাকে বিরল হিসেবেই দেখছে বিশ্ব জু অ্যাসোসিয়েশন। কারণ চিড়িয়াখানায় সবুজ ঘুঘুর ডিম পাড়া ও বাচ্চা ফোটার দ্বিতীয় ঘটনা এটি। ২০০৯ সালে তাইওয়ানের তাইপে চিড়িয়াখানায় এ জাতের ঘুঘু প্রথমবারের মতো ডিম পাড়ে। গত ২ এপ্রিল ঢাকা চিড়িয়াখানায় দুটি ডিম দেয় সবুজ ঘুঘু। ২০ দিন তা দেওয়ার পর শুক্রবার একটি বাচ্চা ফুটে। পাশাপাশি অস্ট্রেলিয়ান ইমু পাখিও ডিম পেড়েছে। প্রকৃতির নিয়ম অনুযায়ী, ডিমে তা দিচ্ছে পুরুষ ইমু। চিড়িয়াখানার ভারপ্রাপ্ত কিউরেটর ডা. এ কে এম শহিদুল্লাহ গতকাল বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, সবুজ ঘুঘুর ডিম থেকে বাচ্চা ফুটেছে। কয়েকদিনের মধ্যে ইমুর ডিম ফুটেও বাচ্চা হবে। এর ফলে ঢাকা চিড়িয়াখানা ওয়ার্ল্ড জু অ্যাসোসিয়েশনের কাছে সম্মানজনক স্থান পেয়েছে। সচরাচর এসব পাখি আবদ্ধ অবস্থায় ডিম পাড়ে না। তিনি জানান, স্ত্রী ইমু শুধু ডিম পাড়ে। এরপর পুরুষ ইমু তা দিয়ে বাচ্চা ফোটায়, লালন-পালন করে। চিড়িয়াখানার কর্মকর্তা বেগম মনসুরা হাছিন জানান, এক সময় সবুজ ঘুঘু বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কায় পাওয়া যেত। এখন প্রায় বিলুপ্ত। তিনি বলেন, আমরা যত্মসহকারে লালন-পালন করে বাচ্চা ফুটিয়েছি। এখন দুধে তুলো ভিজিয়ে ছানাকে খাওয়ানো হচ্ছে। ১৭ প্রজাতির ঘুঘুর মধ্যে সবুজ ঘুঘু সবচেয়ে সুন্দর। এ পাখির ডানা এবং পিঠ সবুজ। দুধ ছাড়াও শস্যদানা ও সরিষা খায়। এরা এপ্রিল-মে মাসে বনাঞ্চল ও বাঁশ ঝাড়ে বাসা বাঁধে। বাঁচে ছয় থেকে সাত বছর। একটি সবুজ ঘুঘু একসঙ্গে দুটিই ডিম দেয়। চিড়িয়াখানার বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মোহাম্মদ শাকিফ-উল-আজম জানান, বৈশিষ্ট্য ও স্বভাব অনুযায়ী ইমু বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম পাখি। দাঁড়ানো অবস্থায় আড়াই ফুট উচ্চতার হয়। পূর্ণ বয়স্ক একটি পাখির ওজন ৫০ কেজি। শরীর অমসৃণ কেশরাজিতে আবৃত থাকে। মাথা ও ঘাড়ে কালো চুলের মতো পালক। এরা জঙ্গলে দলবদ্ধ হয়ে বাস করে। খাদ্য ঘাস ও পোকা-মাকড়। একটি স্ত্রী পাখি একসঙ্গে ৯ থেকে ১২টি ডিম দেয়। বাচ্চা ফুটতে সময় লাগে ৫৬ দিন।

লতার ইচ্ছা

শচীনের ৩৮তম জন্মদিন উপলক্ষে গতকাল তার প্রতি শুভ কামনা জানিয়েছেন ভারতের নাইটিঙ্গেলখ্যাত গায়িকা লতা মঙ্গেশকর। সেই সঙ্গে পোষণ করেছেন নিজের একটি ইচ্ছাও। এই লিটল মাস্টারকে বরাবরই ছেলের মতো মনে করেন তিনি। লতা বলেছেন, বয়সের কাছে হার না মেনে এগিয়ে যাবে শচীন। ভক্তদের কথা মাথায় রেখে তার ক্যারিয়ারকে আরও দীর্ঘায়িত করা উচিত। ক্রিকেট বিশ্বকে উপহার দেওয়ার মতো এখনো অনেক প্রতিভা রয়েছে তার মধ্যে।

আনুশকার সুসময়

সময়টা ভালোই যাচ্ছে 'রাবনে বানাদি জোড়ি'খ্যাত অভিনেত্রী আনুশকা শর্মার। 'ব্যান্ড বাজা বারাত' ছবিটি হিট হওয়ার পর তার বৃহস্পতি এখন তুঙ্গে। এমনকি চুক্তিবদ্ধ করার পরও হালের সেনশেসন দীপিকা পাড়ুকোনের স্থলে আনুশকাকে নিয়েছেন পরিচালক অয়ন মুখার্জি। সবচাইতে বড় কথা এতে আনুশকার বিপরীতে অভিনয় করবেন দীপিকার সাবেক প্রেমিক রণবীর কাপুর। অনেকের ধারণা ছবিটিতে অভিনয় করতে গিয়ে বলিউডে নতুন কোনো প্রেমের সুর বেজে উঠবে।

নৃত্যের তালে তালে বিশ্ব আজ একসাথে

শনিবার শুরু হয়েছে সপ্তাহব্যাপী জাতীয় নৃত্য উৎসব। 'নৃত্যের তালে তালে বিশ্ব আজ একসাথে' স্লোগানকে সামনে রেখে দেশের বিভিন্ন নৃত্য সংগঠন এখানে নৃত্য উপস্থাপন করবে। বাংলাদেশ নৃত্যশিল্পী সংস্থার আয়োজনে সপ্তাহব্যাপী এ উৎসব দেশের প্রতিটি বিভাগীয় শহরসহ বগুড়া, ময়মনসিংহ, ফরিদপুর, শেরপুরে একযোগে চলবে। আয়োজকরা আশা করছেন, উৎসবে দেশের সহস্রাধিক শিল্পীরা অংশ নেবে। উৎসব উপলক্ষে শিল্পকলা একাডেমী চিত্রশালা প্লাজায় নৃত্যবিষয়ক আলোকচিত্র, নৃত্যের পোশাক, নূপুর প্রদর্শনী ও রক্তদান কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছে। এছাড়া প্রবীণ নৃত্যশিল্পী গোলাম মোস্তাফা খান, রওশন আরা বেগম, সালেহা চৌধুরী, কমলকান্তি পাল, তপন দাশগুপ্তকে বিশেষ সম্মাননা জানানো হবে। এদিকে ২৯ এপ্রিল আন্তর্জাতিক নৃত্য দিবসকে সামনে রেখে নৃত্যশিল্পী সংস্থা বিশেষ নৃত্যানুষ্ঠান ও আলোচনার আয়োজন করেছে। ওইদিন মূল অনুষ্ঠান হবে শিল্পকলার জাতীয় নাট্যশালা মঞ্চে।

যশ চোপড়াকে প্রাণনাশের হুমকি

বলিউডের পর্দায় মাফিয়া নেতাদের পেশি দেখানোর ঘটনা নতুন বিষয় নয়। দলবল নিয়ে তারা মুম্বাই শহর চষে বেড়ায়, সমাজের বিখ্যাত ও ধনী মানুষের কাছ থেকে মোটা টাকার 'চাঁদা' আদায় করে। খুব কুখ্যাত মাফিয়া নেতা হলে দুবাই বা করাচি থেকে মুম্বাইয়ে নিজের সাম্রাজ্যের কলকাঠি নাড়ে। মোটকথা, তাদের চটিয়ে কেউই পার পান না। এমন দুঃসাহস দেখালে খুঁজে পাওয়া যায় তাদের লাশ। কিন্তু এসব শুধু কাহিনী নয়, বাস্তবেও মাফিয়া নেতাদের প্রভাব প্রতিপত্তি কম নয়। মাঝে মাঝেই সেটা টের পাওয়া যায়। যেমনটি বলিউডের বিখ্যাত পরিচালক যশ চোপড়া এ মুহূর্তে হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছেন। রবি পূজারী নামের এক গুণ্ডা নাকি তাকে ফোনে হুমকি দিয়েছে। যশ চোপড়ার নিরাপত্তার বিনিময়ে সে মোটা অঙ্কের টাকা দাবি করে। পুলিশ বিষয়টি বেশ গুরুত্বের সঙ্গে দেখছে। যশ চোপড়ার নিরাপত্তা বাড়িয়ে ফোন কলের উৎসের খোঁজ করছে তারা।

ঘাড়ে আঘাত পেলেন শিল্পা

মাঠে নিজের দলের খেলা হবে আর সে খেলায় শিল্পা উপস্থিত থাকবেন না, তা কি হতে পারে। আইপিএল'র মৌসুমে বরাবরই নিজের দলের প্রতিটি ম্যাচে মাঠে উপস্থিত থাকলেও সম্প্র্রতি মোহালিতে রাজস্থান রয়ালস এবং কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবের মধ্যকার ম্যাচের সময় মাঠে উপস্থিত থাকতে পারেননি তিনি। জানা গেছে, ঘাড়ে আঘাতজনিত সমস্যাতেই তার এ অনুপস্থিতি।
এ প্রসঙ্গে শিল্পার স্বামী রাজ কুন্দ্রা বলেছেন, 'মাঠে গিয়ে নিজের দলকে উৎসাহ দেওয়ার জন্য উদগ্রীব ছিলেন শিল্পা। কিন্তু ঘাড়ে আঘাত পাওয়ার কারণে সেটা আর সম্ভব হয়নি। তাকে এখন কার্ভিকাল কলার পরে থাকতে হচ্ছে। এক সপ্তাহের মধ্যে কোথাও বেড়াতেও যেতে পারবেন না তিনি।' তিনি জানিয়েছেন, 'অবশ্য আরও দশটি ম্যাচ বাকি আছে। আশা করছি, তিনি দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠবেন এবং খেলাগুলো মাঠে বসে উপভোগ করতে পারবেন।'

দীপিকার রুটি

অভিনয় আর নানা ব্যস্ততার কারণে অনেক সেলিব্রেটিই ঘরের কাজে হাত লাগাতে পারেন না। আর একজন ভারতীয় নারী হয়ে রুটি বানাতে না পারাটা একেবারে মেনে নিতে পারছেন না ভারতীয় অভিনেত্রী দীপিকা পাড়ুকোন। সমপ্রতি 'অলক্ষণ' ছবিতে রান্নার দৃশ্যে অভিনয় করতে গিয়ে রীতিমতো বিব্রতকর অবস্থায় পড়ে গিয়েছিলেন এ অভিনেত্রী। দৃশ্যটিতে রুটি বানাতে গিয়ে দীপিকা অনেকটা কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে পড়েন। কারণ কোনোভাবেই রুটির আকারটিকে গোল করতে পারছিলেন না।
বিচিত্রসব আকার ধারণ করছিল রুটিগুলো। এক পর্যায়ে দীপিকা হাল ছেড়ে দেন এবং ছবির পরিচালককে রুটির পরিবর্তে অন্য কোনো খাবার তৈরির দৃশ্য ধারণের অনুরোধ করেন। কিন্তু পরিচালক তার সিদ্ধান্তে অনড় এবং দীপিকার রুটি বানানোর যুদ্ধও চলতে থাকে।

পাপারাজ্জি ভাড়া

নানা কায়দায় চমক দেখাতে চান মলি্লকা শেরাওয়াত। এবার নিজের প্রচারণা বাড়ানোর জন্য পাপারাজ্জি ভাড়া করলেন তিনি। হলিউড তারকাদের পেছনে এমনিতেই সবসময় লেগে থাকে পাপারাজ্জিরা। যে যত বড় তারকা, তার পেছনে থাকে তত ক্যামেরা। এ অবস্থায় হলিউডে নিজের প্রচার বাড়াতে এক বন্ধুকেই পাপারাজ্জি হিসেবে ভাড়া করলেন মলি্লকা। জানা গেছে, সম্প্রতি লস অ্যাঞ্জেলেসে এক ক্যামেরাম্যানের সঙ্গে দেখা গেছে মলি্লকাকে। একটু পর সেই ক্যামেরাম্যান ক্যামেরা নিয়ে তাকে অনুসরণ করতে থাকে। পরে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সেই ক্যামেরাম্যান কোনো পাপারাজ্জি নয়, মলি্লকার এক বন্ধুবর!

নতুন বিজ্ঞাপনে শম্পা

সুপার হিরোইন শম্পা নতুন একটি বিজ্ঞাপনের কাজ শুরু করলেন। টমি চাটনির এই বিজ্ঞাপনের কাজ শুরু হয়েছে বুধবার কক্সবাজারে। দুদিন চলবে এর নির্মাণকাজ। বিজ্ঞাপন চিত্রটি নির্মাণ করছেন আজমান মাসুদ। শম্পার বিপরীতে মডেল হিসেবে রয়েছেন সুপার হিরো রোজ। এদিকে বোটানিক অ্যারোমা পণ্যের নতুন আরেকটি বিজ্ঞাপনচিত্রে চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন শম্পা। মে মাসের প্রথম সপ্তাহে এর শুটিং শুরু হবে। তার সঙ্গে থাকবেন সুপার হিরো সাগর। উল্লেখ্য, গত মার্চে শেষ হওয়া বোটানিক অ্যারোমার অন্য একটি বিজ্ঞাপন চিত্রেও কাজ করেছেন শম্পা।

অভিনয়ে ফিরলেন তনিমা

'সরল সত্য' শিরোনামের একটি ধারাবাহিক নাটকের মধ্য দিয়ে দুই বছর পর অভিনয়ে ফিরছেন তনিমা হামিদ। বিটিভির নিজস্ব প্রযোজনায় নির্মাণাধীন নাটকটি রচনা করেছেন আবু আল-সাঈদ।
এ প্রসঙ্গে তনিমা জানিয়েছেন, 'শেষবার দুই বছর আগে 'লাইফ ইজ বিউটিফুল' নামের ধারাবাহিক নাটকে অভিনয় করেছিলাম। মাঝখানের সময়টাতে মা হওয়ায় কোনো ধারাবাহিকে অভিনয় করিনি।'
তিনি আরও জানিয়েছেন, 'মূলত আবু আল-সাঈদের অনুরোধেই আবারও অভিনয় শুরু করলাম। তবে এ নাটক ছাড়া আপাতত আর কোনো কাজ করছি না।'
একাত্তর-পরবর্তী মুক্তিযোদ্ধাদের অবর্ণনীয় কষ্টই এ নাটকের উপজীব্য বিষয়। উল্লেখ্য, তনিমা অভিনীত 'লাইফ ইজ বিউটিফুল' নাটকটি বর্তমানে আরটিভিতে প্রচার হচ্ছে।

চলচ্চিত্র অভিনয়ে বাপ্পা

সংগীতশিল্পী বাপ্পা মজুমদার সমপ্রতি আবীর শ্রেষ্ঠ পরিচালিত ফেরারী ফানুস চলচ্চিত্রে নিজের চরিত্রে অভিনয় করেছেন। ছবির প্রধান চরিত্রের অভিনয়শিল্পী রওনক হাসানকে একজন পরিপূর্ণ মিউজিক কম্পোজার হয়ে ওঠার ক্ষেত্রে নানা রকম সাহায্য সহযোগিতা করতে দেখা যাবে তাকে। ফেরারী ফানুস চলচ্চিত্রে অভিনয়ের পাশাপাশি তুষারের সুরে বহুদূরে শিরোনামের একটি গানেও কণ্ঠ দিয়েছেন তিনি।

মোর্শেদের মফিজ মিডিয়া

মফিজ একজন গীতিকার কিন্তু এলাকায় তার গান কেউ তেমন পছন্দ করে না। অথচ সে পাঁচ বছর ধরে গান গায় এবং ইতোমধ্যেই ৯৮৩টা গান লিখেছে। মফিজের এই দুঃখে এক জন বুদ্ধি দেয় গানের সিডি বের করলে শিল্পীর কদর বাড়বে। এমতাবস্থায় পত্রিকার বিজ্ঞাপন মারফত যোগাযোগ ঘটে ভুয়া প্রতিষ্ঠান গোলাপী মিডিয়ার সঙ্গে। গোলাপী মিডিয়া মফিজকে শিল্পীর পরিচয়পত্র দেয়-এর পর শুরু হয় মফিজের কদর, এমন কি পছন্দের মেয়েটির ক্ষেত্রেও এক পর্যায়ে মা তার অলঙ্কার দিয়ে সাহায্য করেন মফিজকে, অলঙ্কার বিক্রির টাকা দিয়ে গোলাপী মিডিয়ার মারফতে গানের রেকর্ডিং শুরু হয়। মোবারক হোসেনের রচনায় এবং ম ম মোর্শেদের পরিচালনায় 'মফিজ মিডিয়া' শিরোনামের নাটকের গল্পটি এগিয়ে চলে এমনি করে। এতে অভিনয় করেছেন ঝুনা চৌধুরী, সীমানা, সিদ্দিক, ম ম মোর্শেদ, হাসি আপা, পরশ প্রমুখ।

সজল-শখ জুটি

প্রায় এক বছর পর আবারও জুটি হয়ে অভিনয় করলেন সজল ও শখ। 'শেষ চিঠি' নামের নাটকটি ফরহাদ লিমনের রচনা ও যৌথভাবে পরিচালনা করেছেন জয়ন্ত মণ্ডল এবং সাজ্জাদ সনি। নাটকে সীমান্ত চরিত্রে অভিনয় করেছেন সজল এবং রায়া চরিত্রে শখ। এই নাটকে অভিনয় প্রসঙ্গে সজল বলেন, 'শখ অনেক ভালো অভিনয় শিল্পী। আমি তার সঙ্গে কাজ করতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি। প্রতিটা কাজকেই শখ খুব সহজেই গ্রহণযোগ্যতা দিতে পারে। আশা করি, দর্শকরা আমাদের জুটি আগের চেয়ে ভালো উপভোগ করবে।'

সুবর্ণার স্বামী সাজু

'কমল বিবির অতিথিশালা এবং কানা সিরাজউদ্দৌলা' নামের একটি ধারাবাহিকে সুবর্ণা মুস্তাফার স্বামীর চরিত্রে অভিনয় করছেন তরুণ অভিনেতা সাজু খাদেম। নাটকটি রচনা করেছেন মুনতাসির বিপন এবং পরিচালনা করেছেন বদরুল আনাম সৌদ। এ প্রসঙ্গে সুবর্ণা মুস্তাফা জানান, সাজু অনেক ভালো অভিনেতা। তার ভালো একটি গুণ আছে। আর তা হলো, সে যে কোনো অভিনয়ের সঙ্গে মিশে যেতে পারে। আশা করছি, নাটকটি ভালো লাগবে। কমেডিধর্মী এই ধারাবাহিকে অভিনয় প্রসঙ্গে সাজু জানান, আমি সুবর্ণা আপার সঙ্গে এর আগেও অভিনয় করেছি। কিন্তু এ নাটকে আমার আর সুবর্ণা আপার চরিত্রটি একটু ভিন্ন। তার সঙ্গে জুটি হয়ে অভিনয় করতে পেরে ভালো লাগছে। তিনি আরও বলেন, 'নাটকটিতে আমি একজন অন্ধ ব্যক্তির চরিত্রে অভিনয় করেছি। নাটকে অন্ধ ব্যক্তিটি নিজেকে নবাব সিরাজউদ্দৌলার মতো প্রতাপশালী মনে করেন। এ জন্য তার বাসায় যে কোনো অতিথি এলেই তাকে সাদরে অভ্যর্থনা জানান। তবে তার স্ত্রী কমল বিবি বিষয়টি ভালোভাবে নেন না। ফলে দু'জনের মধ্যে এক ধরনের রেষারেষি লেগেই থাকত। এমনি করে চলতে থাকে নাটকের গল্প। নাটকটির শুটিং চলছে। এটি প্রচার হবে এটিএন বাংলায়।

চলে গেলেন ভারতের আধ্যাত্মিক গুরু সাঁই বাবা জন্মদিনে বিমর্ষ শচীন

৩৮ তম জন্মদিনটিতে বিমর্ষ ক্রিকেটের জীবন্ত কিংবদন্তি শচীন টেন্ডুলকার। আধ্যাতিক গুরু সত্য সাঁই বাবার মহাপ্রয়াণে জন্মদিনে বিষণ্ন, দারুণভাবে ব্যাথিত ভারতের এই ব্যাটিং জিনিয়াস। বেশ কিছুদিন থেকেই অসুস্থ ছিলেন সাঁই বাবা। তাই বাবার আরগ্যের জন্য প্রর্থনা করতে টুইটারের বার্তা পাঠান ব্যাটিং জিনিয়াস। কিন্তু অবশেষে গতকাল সকাল ৭ টা ৪০ মিনিটে ৮৫ বছর বয়সে দেহ ত্যাগ করেন শচীনের আধ্যাতিক গুরু।
জন্মদিনকে জাকজমপূর্ণভাবেই পালন করার কথা ছিল হায়দ্রাবাদের কাকাতিয়া হোটেলে, যেখানে ম্যাচ খেলতে সপরিবারে উঠেছেন শচীন। ৩৮তম জন্মদিনে কাটা হবে ৩৮ কেজি ওজনের কেক। বড় একটা পার্টি দিবেন মুম্বাই ইন্ডিয়ানসের মালিক টিনা আম্বানি। যেখান উপস্থিত থাকার কথা ছিল বলিউড তারকাদের। কিন্তু মহাগুরু সত্য সাঁই বাবার প্রয়াণে সব আয়োজন বাতিল করা হয়েছে। সাঁই বাবার মৃত্যুতে শোকাভিভূত ভারতীয়রা। তবে শচীন যেন একটু বেশিই আঘাত পেয়েছেন। তাই কিনা গতকাল মাঠে নামার আগ পর্যন্ত কথা বলেননি কারও সঙ্গেই। জন্মদিনের উৎসব তো দূরের কথা, মাঠে নামার আগে টিমমেটদের সঙ্গেও কোনো কথা বলেননি। এমনকি গতকাল সকালে নাস্তাও করেননি বলে সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে জানিয়েছে কাকাতিয়া হোটেলের ম্যানেজার
কথা ছিল জন্মদিনে পুনেতে যুদ্ধাহত সেনাদের সঙ্গে সময় কাটাবেন টেন্ডুলকার। কেননা একজন সৈনিক দেশের জন্য নিজেকে উজাড় করে দিয়ে লড়াই করেন। আর সেনাদের কাছ থেকেই তো শেষ পর্যন্ত লড়াই করার প্রেরণা পেয়েছেন তিনি। গতকাল মুম্বাই ইন্ডিয়ানসের ম্যাচ থাকার কারণে ইচ্ছাপূরণ হয়নি শচীনের। তবে দুই দিন আগেই ভিডিও কলফারেন্সের মাধ্যমে জানিয়ে দিয়েছেন তার বার্তা। সেই বার্তায় শচীন যুদ্ধাহত সৈনিকদের অভিনন্দন জানিয়েছেন এবং সময় পেলেই তাদের সঙ্গে দেখা করারও প্রতিজ্ঞা করেছেন।
সত্য সাঁই বাবার মহাপ্রয়াণে জন্মদিনে অনুষ্ঠান না হলেও পুরীর সমুদ্র তীরে তৈরি করা হয়েছিল শচীনের বিশাল প্রতিকৃতি। আহমেদাবাদে রঙ এবং রেখায় চিত্রিত হয়েছে ১৫০০ ফুট দীর্ঘ শচীনের জীবন কাহিনী। প্রতি জন্মদিনই নানা পার্টি ও অনুষ্ঠানের মাধ্যমে পালন করেছেন লিটল মাস্টার। পেয়েছেন অজস পুরষ্কার। আর এবার জীবনের সেরা পুরুষ্কারটা পেয়ে গেলেন জন্মদিনের ২২ দিন আগেই। ভারতীয়দের এনে দিলেন বিশ্বকাপের দ্বিতীয় শিরোপা। ৩৮তম জন্মদিনে এর চেয়ে বড় পুরষ্কার আর কী হবে পারে! তবে সাঁই বাবার মৃত্যু যেন সব কিছুকে ম্লাণ করে দিয়ে গেছে। শচীন যখনই কোনো সফরে যেতেন তার আগে সময় পেলেই চলে যেতেন গুরুর কাছে। তাই আধ্যাতিক গুরুর মৃত্যু শচীনকে মনকে দারুনভাবে নাড়া দিয়ে গেছে। সারাদিন রুমের দরজায় লাগিয়ে রেখেছিলে 'ডোন্ট ডিস্টার্ব' লেখা প্লাকার্ড।

বাংলাদেশের বোলিং কোচ হতে পারেন আকরাম

জেমি সিডন্স চলে গেছেন। ক্রিকেটে নতুন কোচের জন্য বিসিবি খুব শীঘ্রই পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দেবে বলে বোর্ডের মিডিয়া কমিটির চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস জানিয়েছেন। মূল কোচের পাশাপাশি ব্যাটিং ও বোলিং কোচও খোঁজা হচ্ছে। ভারতের সাবেক অধিনায়ক সৌরভ গাঙ্গুলিকে ব্যাটিং কোচ বানানোর চিন্তা বোর্ডের রয়েছে। বিশেষ করে সভাপতি আ হ ম মুস্তফা কামালের সঙ্গে ব্যক্তিগত সম্পর্ক থাকাতে সৌরভের দায়িত্ব নেওয়ার সম্ভাবনা আছে বলে কেউ কেউ মনে করছেন। কিন্তু ক্রিকেটার হিসেবে সৌরভের যে অবস্থান তাতে তিনি বাংলাদেশের শুধু ব্যাটিং কোচ হতে চাইবেন কিনা তা দেখার বিষয়। যতই সম্পর্ক থাকুক বাংলাদেশের দায়িত্ব নিলে তিনি মূল কোচই হতে চাইবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে সৌরভকে ব্যাটিং কোচ হওয়ার অফার আদৌ দেওয়া হবে কিনা তা বিসিবিরই অনেক পরিচালকই বলতে পারেননি।
এদিকে আবার পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক ওয়াসিম আকরামকে বাংলাদেশের বোলিং কোচের দায়িত্ব দেওয়া হতে পারে বল গুঞ্জনও শোনা যাচ্ছে। বোর্ড সভাপতির সঙ্গে আকরাম খানের বন্ধুত্বের কথা ক্রীড়াঙ্গনে সবারই জানা আছে। যে সময় আকরাম বোলার হিসেবে বিশ্ববিখ্যাত ছিলেন তখুনি মুস্তফা কামালের এক অনুরোধে আবাহনীতে খেলে যান। সেক্ষেত্রে আকরামকে যদি সত্যি অফার দেওয়া হয় তাহলে তার ঢাকায় উড়ে আসাটা অবিশ্বাসের কিছু হবে না। অবশ্য এর পেছনে পর্যাপ্ত সুযোগ-সুবিধার ব্যাপারও জড়িত রয়েছে।

Sunday, April 24, 2011

ছবি এডিটিং সফটওয়্যার

ছবি এডিট করার পাশাপাশি ছবিতে স্পেশাল ইফেক্টের জন্য ফটো ফিল্টার সফটওয়্যারটি খুবই জনপ্রিয়। সফটওয়্যারটির সাহায্যে ছবি এডিটিংসহ বিভিন্ন ধরনের ফিল্টারিংয়ের কাজও করা সম্ভব। সফটওয়্যারটি http://www.hongkiat.com/blog/11-free-alternatives-softwares-to-adobe-photoshop/ ঠিকানা থেকে বিনা মূল্যে ডাউনলোড করা যাবে।

এসার ও গেটওয়ে নোটবুকের সঙ্গে বিনা মূল্যে ওয়াইম্যাক্স সংযোগ

এসার ও গেটওয়ে নোটবুকের সঙ্গে বিনা মূল্যে ওয়াইম্যাক্স সংযোগ দিচ্ছে এঙ্িিকউটিভ টেকনোলজিস লিমিটেড (ইটিএল)। 'হিট ফর দ্য ম্যাঙ্মিাম উইথ এসার অ্যান্ড বাংলালায়ন ওয়াইম্যাঙ্' স্লোগানের এ অফার ৯ এপ্রিল শেষ হওয়ার কথা থাকলেও চলবে ১৫ মে পর্যন্ত। দেশব্যাপী এসার মল ও নির্বাচিত এসার-গেটওয়ে রিসেলারদের কাছ থেকে ক্রেতারা এ সুযোগ গ্রহণ করতে পারবেন। অফারের আওতায় ক্রেতারা এসার এবং গেটওয়ের নোটবুক কিনলেই বিনা মূল্যে ৬০ দিনের জন্য বাংলালায়ন ওয়াইম্যাঙ্ প্রিপেইড সংযোগ ব্যবহার করতে পারবেন।

তথ্য বিক্রি করছে ফেইসবুক!

ফেইসবুক ব্যবহারকারীদের প্রোফাইল, স্ট্যাটাস আপডেট, মেসেজসহ বিভিন্ন তথ্য বিজ্ঞাপনদাতাদের কাছে বিক্রি করছে বলে জানিয়েছে লস অ্যাঞ্জেলেস টাইমস। আর ফেইসবুক ব্যবহারকারীদের এই তথ্যাদি পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে বিজ্ঞাপনদাতারা তাঁদের পণ্যের বিপণন কৌশল নির্ধারণ করে ব্যবসায় সফলতা অর্জন করছেন। ফলে ফেইসবুক ব্যবহারকারীদের মনস্তাত্তি্বক চাওয়া, আগ্রহ এমনকি তারা বন্ধুদের সঙ্গে কী ধরনের তথ্য বিনিময় করে সে অনুযায়ী অনলাইনে বিজ্ঞাপন প্রচার করে থাকে বলে ধারণা করা হচ্ছে। অর্থাৎ যদি কোনো ফেইসবুক ব্যবহারকারী তার প্রোফাইলের রিলেশন স্ট্যাটাস পরিবর্তন করে 'এনগেজড' লেখে তবে তার ফেইসবুকের পর্দায় বেশিমাত্রায় স্থানীয় বিবাহ কার্যক্রম পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর বিজ্ঞাপন প্রচার করে থাকে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান। একই সঙ্গে যদি ফেইসবুক ব্যবহারকারীরা নিজের শখের তালিকায় লেখে 'মোটরসাইকেল' তবে তার ফেইসবুকের পর্দায় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের তৈরি মোটরসাইকেল বিক্রির বিজ্ঞাপন প্রচার করা হয়। যদিও ফেইসবুকের অ্যাডভার্টাইজিং অ্যান্ড গ্লোবাল অপারেশনস বিভাগের ভাইস প্রেসিডেন্ট ডেভিড ফিচার জানিয়েছেন, ফেইসবুক ব্যবহারকারীরা যেন সহজেই তাদের প্রয়োজনীয় পণ্যগুলো খুঁজে পায় সে জন্যই এ কার্যক্রম গ্রহণ করেছে ফেইসবুক। তবে বিজ্ঞাপনদাতাদের কাছে ফেইসবুক ব্যবহারকারীদের অজান্তে তাদের ব্যক্তিগত তথ্য প্রকাশ অনুচিত বলে মনে করছেন নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরা। ফেইসবুকের এ কার্যক্রম ফেইসবুক ব্যবহারকারীদের ব্যক্তিগত তথ্যের ওপর নজরদারি বলে মনে করছেন তাঁরা।

রাজশাহী মেডিক্যালের দুই ছাত্রের হাতে বন্ধু খুন

মাহবুব আলম রাসেল, জ্যোতির্ময় জয় ও সাবি্বর হোসেন। তাঁরা একে অপরের বন্ধু। বন্ধুত্বের এই বন্ধন যে এভাবে ছিন্ন হবে তা ভাবতেও পারেননি রাসেলের বাবা মকবুল হোসেন। কিন্তু তা-ই সত্যি হলো। রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজের দুই ছাত্রবন্ধু জয় ও সাবি্বরের হাতেই খুন হলেন রাজশাহী কলেজের ছাত্র ও ব্যবসায়ী রাসেল (২৪)। পাওনা টাকা পরিশোধে চাপ দেওয়ায় রাসেলকে খুন করা হয় বলে জানা গেছে।
হত্যাকাণ্ডের ১৭ দিন পর গতকাল শুক্রবার দুপুরে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজের ক্যান্টিনের পিছনের একটি ড্রেন থেকে রাসেলের গলিত লাশ উদ্ধার করে র‌্যাব। রাসেলের পরিবারের করা মামলায় এর আগে গতকাল ভোররাতে জয়কে গ্রেপ্তার করা হয়। জয়ের স্বীকারোক্তির ভিত্তিতেই র‌্যাব সদস্যরা রাসেলের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠান। রাসেলের আরেক বন্ধু সাবি্বর পলাতক।
রাসেলদের বাড়ি নাটোরের লালপুর উপজেলায়। জয় নাটোরের বাগাতিপাড়া গ্রামের জগদিশ চন্দ্র সরকারের ছেলে। তিনি রাজশাহী মেডিক্যাল
কলেজের পঞ্চম বর্ষের (৪৭তম ব্যাচ) ছাত্র। তাঁর সহপাঠী সাবি্বর গাজীপুর জেলার মৃত শাহাদত হোসেনের ছেলে। তাঁদের পরিবার বর্তমানে ঢাকার রামপুরা এলাকায় থাকে।
জয়ের দেওয়া তথ্য উদ্ধৃত করে র‌্যাব জানায়, রাসেল আইপিএলের বাজি জিতে সাবি্বরের কাছে তিন লাখ টাকা পেতেন। তা ছাড়া ১৫ শতাংশ সুদে ধার নেওয়া দেড় লাখ টাকা পেতেন জয়ের কাছে। ওই টাকা পরিশোধে চাপ দেওয়ায় জয় ও সাবি্বর গত ৪ এপ্রিল রাসেলকে নাটোরের আবদুলপুর বাজারে তাঁর ইলেকট্রনিকসের দোকান থেকে ডেকে নিয়ে আসেন। এরপর ওই দিনই রাত ১২টার দিকে তাঁরা রাসেলকে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের চারু মামার ক্যান্টিনের সামনে নিয়ে যান। সেখানে ক্যান্টিনের সামনে বসে তাঁরা তিনজন তিনটি ফেনসিডিল পান করেন। রাসেলকে তাঁরা ফেনসিডিলের যে বোতলটি পান করতে দিয়েছিলেন তাতে ঘুমের ওষুধ মেশানো ছিল। এ কারণে রাসেল ফেনসিডিল পানের কিছুক্ষণের মধ্যেই ঘুমিয়ে পড়েন। এরপর রাসেলকে হত্যা করার জন্য তাঁর শরীরে সাবি্বর বিষজাতীয় ইনজেকশন পুশ করেন। ১০ মিনিট পরে রাসেল মারা যান। এরপর জয় ও সাবি্বর দুজনে মিলে রাসেলের লাশ চারু মামার ক্যান্টিনের পিছনে নিয়ে ড্রেনের স্লাব ও মাটি তুলে সেখানে ফেলে দেন। দ্রুত পচে যাওয়ার জন্য লাশের ওপর প্রথমে সিমেন্ট ও কাপড় দিয়ে ঢেকে দেওয়া হয়। এরপর মাটি দিয়ে চাপা দিয়ে কচুগাছ লাগানো হয়।
জয় র‌্যাবকে জানান, তিনি মানুষের কংকালের ব্যবসা করতেন। রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ থেকে কংকাল কিনে নিয়ে অন্য জায়গায় বিক্রি করতেন। এই ব্যবসার জন্য তিনি রাসেলের কাছ থেকে টাকা ধার নিয়েছিলেন। রাসেলকে হত্যা করার জন্য সাবি্বর ও জয় এক সপ্তাহ আগেই পরিকল্পনা করে রেখেছিলেন।
রাসেলের বাবা মকবুল হোসেন জানান, জয় হিন্দু সমপ্রদায়ের ছেলে হলেও প্রায় সাত বছর আগে নাটোর ক্যান্টনমেন্ট কলেজে একাদশ শ্রেণীতে একসঙ্গে পড়ার সময় রাসেলের সঙ্গে তার বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে। এরপর এইচএসসি পাস করে রাসেল রাজশাহী কলেজে অর্থনীতিতে এবং জয় রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি হয়। সেই সুবাদে মাঝে-মধ্যেই জয় তাঁদের বাসায় যাতায়াত করত। একপর্যায়ে জয়ের বন্ধু সাবি্বরের সঙ্গেও বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে রাসেলের। মকবুল হোসেন জানান, জয় ও সাবি্বর ঠিকাদারি ব্যবসা এবং কোচিং সেন্টার খোলার নাম করে প্রায় ১০ লাখ টাকা রাসেলের কাছ থেকে ধার নিয়েছিল। এই টাকা পরিশোধের জন্য রাসেল মাঝে-মধ্যেই তাদেরকে বলত।
মকবুল হোসেন আরো জানান, গত ৪ এপ্রিল দোকানের মালামাল কেনার নাম করে রাসেল তার বন্ধু জয় ও সাবি্বরের সঙ্গে নাটোরের আবদুলপুর রেলস্টেশন থেকে বিকেল ৫টার সময় পদ্মা ট্রেনে চড়ে ঢাকার উদ্দেশে রওনা দেয়। ওই দিন সন্ধ্যা ৭টায় ছেলের সঙ্গে কথা হয় মকবুলের। রাত ১০টার দিকে রাসেলের ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। পরদিনও রাসেলের ফোন বন্ধ পাওয়ায় তিনি সাবি্বরকে ফোন করেন। তখন সাবি্বর তাঁকে জানিয়েছিলেন, রাসেল ভালো আছে, কোনো সমস্যা হয়নি। চার্জ না থাকায় তার মোবাইল ফোনটি বন্ধ হয়ে আছে। সে খুব ব্যস্ত থাকায় কথা বলতে পারছে না বলেও জয় মকবুল হোসেনকে জানিয়েছিলেন। এরপর মকবুল হোসেনের সঙ্গে জয় ও সাবি্বর এভাবে আরো কয়েকবার প্রতারণা করতে থাকেন। সর্বশেষ জয়ের সঙ্গে গত ৭ এপ্রিল কথা হয় মকবুল হোসেনের।
কান্নাজড়িত কণ্ঠে মকবুল হোসেন বলেন, 'রাসেলকে এভাবে কৌশলে অপহরণ করে হত্যা করা হবে, এটা কখনো চিন্তাই করতে পারিনি। আমি ছেলে হত্যাকারীদের ফাঁসি চাই।' ছেলের মৃত্যুর খবর শুনে রাসেলের মা রেহেনা খাতুন শয্যাশায়ী হয়ে পড়েছেন।
রাসেলের ভগি্নপতি মাজেদুর রহমান জানান, রাসেলের ফোন বন্ধ থাকার পর যখন জয় ও সাবি্বরের মোবাইলও বন্ধ হয়ে যায়, তখন তাঁদের সন্দেহ হয়। এরপর রাসেলের পরিবারের লোকজন ধারণা করেন, তাঁকে জয় ও সাবি্বর অপহরণ করেছে। কোনোমতেই তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে না পারায় গত ১৫ এপ্রিল রাসেলের বাবা লালপুর থানায় জয় ও সাবি্বরের নামে একটি অপহরণ মামলা করেন।
রাজশাহী র‌্যাব-৫-এর ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক মেজর রাকিবুল হাসান সাংবাদিকদের জানান, জয় ও সাবি্বর দুজনই রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজে পড়ে বলে মামলাটি হাতে পাওয়ার পর লালপুর থানা থেকে তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। এরপর মোবাইল ট্র্যাকারের মাধ্যমে জয়কে গতকাল ভোর ৩টার দিকে সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলার এক আত্মীয়ের বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। গতকাল রাতে তাঁকে লালপুর থানায় হস্তান্তর করা হয়। পলাতক সাবি্বরকেও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে বলে তিনি জানান।
জয়ের দেওয়া তথ্য উল্লেখ করে র‌্যাব জানায়, রাসেলকে হত্যার পর গত ৯ এপ্রিল সাবি্বর ও ১০ এপ্রিল জয় রাজশাহী ছেড়ে পালিয়ে যান। মেজর রাকিবুল বলেন, 'জয়ের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী আমরা অনেকটাই নিশ্চিত হয়েছি এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জয় ও সাবি্বরই জড়িত ছিলেন। আর কেউ জড়িত আছে বলে আমাদের কাছে মনে হচ্ছে না।'
গতকাল সন্ধ্যায় ময়নাতদন্ত শেষে রাসেলের লাশ তাঁর গ্রামের বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হলে এক হৃদয়বিদারক দৃশ্যের অবতারণা হয়। তাঁর লাশ একঝলক দেখার জন্য এলাকার শত শত নারী-পুরুষ ভিড় জমায়। রাতেই পারিবারিক কবরস্থানে রাসেলের দাফন সম্পন্ন হওয়ার কথা রয়েছে।
যেভাবে উদ্ধার হলো লাশ : জয়কে নিয়ে র‌্যাবের একটি দল গতকাল দুপুর ২টার দিকে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজের চারু মামার ক্যান্টিন এলাকায় আসে। এরপর যেখানে রাসেলকে পুঁতে রাখা হয়েছিল সেখানে র‌্যাব ও সাংবাদিকদের নিয়ে যান জয়। কলেজের মূল ভবন থেকে ১০ হাত দূরে উত্তর পাশে চারু মামার ক্যান্টিন। ক্যান্টিনের পেছনে মাটি আর পানিতে ভরে যাওয়া একটি ড্রেন। সব সময় পানি জমে থাকে বলে এখানে কিছু কচুগাছও জন্ম নিয়েছে। এই কচুগাছের মধ্যে সামান্য একটু আলগা করা মাটি। তার ওপর চাপানো রয়েছে ছোট ভাঙা একটি স্লাব। জয় নিজে স্লাবটি টেনে তুলতেই লাশের পচা গন্ধ বের হতে থাকে। পরে ডোম ডেকে রাসেলের লাশ তোলা হয়।
রাসেলের পরিচিতি : নাটোরের লালপুর উপজেলার মকবুল হোসেনের এক ছেলে ও এক মেয়ের মধ্যে রাসেল ছিলেন ছোট। ২০০৩ সালে নাটোরের করিমপুর উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পাস করে রাসেল নাটোর ক্যান্টনমেন্ট কলেজে ভর্তি হন। এরপর সেখান থেকে ২০০৫ সালে এইচএসসি পাস করে অনার্স পড়ার জন্য রাজশাহী কলেজে অর্থনীতি বিভাগে ভর্তি হন। ছাত্র থাকা অবস্থায়ই ২০০৮ সালের ১৬ এপ্রিল তিনি বিয়ে করেন। বিয়ের পর রাসেল এলাকায় ইলেকট্রনিকসের দোকান দেন। তাঁর আড়াই বছরের একটি ছেলে সন্তান আছে।

রাজধানীর পাঁচ স্থানে টাইমবোমার তথ্যে পুলিশে দৌড়ঝাঁপ

রাজধানীর পাঁচটি স্থানে টাইমবোমা পোঁতা হয়েছে। বিস্ফোরণ ঘটানো হবে। কাফরুল থানার ওসিকে ফোন করে এক তরুণী জানান এ সংবাদ। এমন খবরে নড়েচড়ে বসে পুলিশ প্রশাসন। শুরু হয় দৌড়ঝাঁপ। কিন্তু তথ্য অনুযায়ী গলদঘর্ম হয় পুলিশ। কোথাও মেলেনি টাইমবোমার আলামত। এরই মধ্যে বন্ধ হয়ে যায় তথ্যদাতা তরুণীর মোবাইল ফোনের নম্বরটিও। তবে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) শনাক্ত করতে পেরেছে ওই তরুণীকে। মিথ্যা তথ্য দিয়ে পুলিশকে বিভ্রান্ত করার অপরাধে গত শুক্রবার রাতে কাফরুল এলাকা থেকে রোমানা বিনতে সাইফ (১৯) নামের ওই তরুণীকে আটক করে গোয়েন্দা পুলিশ। এ ঘটনায় রোমানার বিরুদ্ধে মামলাও হয়েছে। গতকাল শনিবার তাকে আদালতে হাজির করা হয়।
ডিবি কর্মকর্তারা জানান, এইচএসসি পরীক্ষার মাঝখানে কোনো বিরতি না থাকায় আতঙ্ক সৃষ্টি করে পরীক্ষা স্থগিতের উদ্দেশ্যে মিথ্যা তথ্য দেয় রোমানা। সে কাফরুলের একটি কলেজ থেকে চলমান এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে। তার বাবার নাম সাইফুল ইসলাম।
ডিবি সূত্রে জানা যায়, গত ১৮ এপ্রিল রাতে রোমানা কাফরুল থানার ওসি আবদুল লতিফকে সরকারি মোবাইল ফোনে কল করে জানায় বঙ্গবন্ধু নভোথিয়েটার, রাইফেলস স্কয়ার ও আবাহনী মাঠসহ রাজধানীর পাঁচটি স্পটে টাইমবোমা পুঁতে রাখা হয়েছে। বোমাগুলো ১৯ এপ্রিল সকাল সাড়ে ৯টা থেকে ১০টা ৪৯ মিনিটের মধ্যে বিস্ফোরিত হবে বলেও জানায় রোমানা। কে বোমা ফাটাবে জানতে চাইলে রোমানা পুলিশকে জানায়, তার স্বামী এর সঙ্গে জড়িত। স্বামীকে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড থেকে বিরত রাখতে এর আগে রোমানা স্বামীর বাড়ি থেকে চলে গিয়েছিল বলেও জানায়। এরপর পুলিশ ঘটনা অনুসন্ধান করে প্রমাণ পায় রোমানা সম্পূর্ণ মিথ্য তথ্য দিয়েছে।
ডিবির জিজ্ঞাসাবাদে রোমানা জানায়, সে আতঙ্ক সৃষ্টি করে পরীক্ষা স্থগিতের আশায় ওই মিথ্যা তথ্য দিয়েছিল। স্বামী-সংসার নিয়ে মিথ্যা নাটক করেছিল বলেও জানায় রোমানা। সে অবিবাহিত এবং তার কোনো সন্তান নেই। পুরো ঘটনাই বানোয়াট বলে স্বীকার করে রোমানা।

অফার

* নকিয়া : বাংলা নতুন বছরে নকিয়া উৎসব চলছে। এখন নকিয়ার ১৬১৬ অথবা ১২৮০ মডেলের যেকোনো একটি মোবাইল হ্যান্ডসেট কিনে ক্রেতারা জিতে নিতে পারেন নানা উপহার।
* বসুন্ধরা সিটি : রাজধানীর পান্থপথে অবস্থিত বসুন্ধরা সিটি শপিংমলে স্বল্পসংখ্যক দোকান বরাদ্দ চলছে। বুকিং দিলেই ক্রেতারা পাবেন ২৫ শতাংশ মূল্য ছাড় ও একটি এলসিডি টিভি।
* এলজি : এলজি-বাটারফ্লাই শো-রুম কিংবা অনুমোদিত ডিলার থেকে নূ্যনতম ১০ হাজার টাকা মূল্যের যেকোনো এলজি-বাটারফ্লাই পণ্য কিনলেই ক্রেতারা পাবেন একটি ডিসকাউন্ট খাম। খুললেই পাবেন বিভিন্ন অঙ্কের নিশ্চিত ডিসকাউন্ট।
* বাংলালিংক : এখন বাংলালিংক দেশ সংযোগের গ্রাহকরা বিনামূল্যে পাবেন ৩৫০ টাকার টকটাইম এবং ৫০০টি এসএমএস

হরভজন ঘূর্ণি-জাদুতে শীর্ষে মুম্বাই

ভারত চ্যাম্পিয়ন হলেও বিশ্বকাপে জ্বলে উঠতে পারেননি হরভজন সিং। কিন্তু আইপিএলে তাঁর ঘূর্ণি-জাদুতেই মুম্বাই ইন্ডিয়ানসের জয়ের সোপান রচিত। তাও আবার ভারতের বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়কের দলের বিপক্ষে। ১৮ রানে ৫ উইকেট নেওয়া হরভজনের দুর্দান্ত বোলিংয়ের সুবাদে ঘরের মাঠ ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে মহেন্দ্র সিং ধোনির চেন্নাই সুপার কিংসকে ৮ রানে হারিয়েছে মুম্বাই ইন্ডিয়ানস। পঞ্চম ম্যাচে চতুর্থ জয়ের সুবাদে শচীন টেন্ডুলকারের দল আপাতত পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে। অন্যদিকে সমান ম্যাচে তৃতীয় হারে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন চেন্নাইয়ের অবস্থান নিচের দিক থেকে দ্বিতীয় অর্থাৎ নবম স্থানে।
টস জিতে ফিল্ডিং বেছে নিয়েছিলেন ধোনি। কিন্তু 'টাইম' ম্যাগাজিনের বছরের সেরা ১০০ প্রভাবশালী ব্যক্তির তালিকায় ঠাঁই করে নেওয়া 'ক্যাপ্টেন কুল'-এর দিনটা ভালো কাটেনি। গতবার মুম্বাইকে হারিয়ে চেন্নাই চ্যাম্পিয়ন হলেও এবারের দ্বৈরথে টেন্ডুলকারের দলেরই জয়ের উল্লাস। 'লিটল জিনিয়াস' মাত্র ৫ রান করে ফিরে গেলেও রোহিত শর্মার ৪৮ বলে ৮৭ রানের 'ঝড়' আর অ্যান্ড্রু সাইমন্ডসের ২৬ বলে অপরাজিত ৩১ রানের দায়িত্বশীল ইনিংসের সুবাদে মুম্বাইয়ের সংগ্রহ দাঁড়ায় ৪ উইকেটে ১৬৪। জবাব দিতে নেমে ওপেনার মাইক হাসি (৪১) আর বদ্রিনাথ (৭১*) অনেক চেষ্টা করলেও ৯ উইকেটে ১৫৬ রানের বেশি করতে পারেনি চেন্নাই।
ম্যাচশেষে ম্যাচের সেরা হরভজন জানিয়েছেন, 'ফিল্ডিং করতে নামার সময় ভেবেছিলাম চেন্নাইয়ের মতো শক্তিশালী দলের বিপক্ষে আমাদের আরো ১৫-২০ রান বেশি করা উচিত ছিল।' কিন্তু দারুণ ফিল্ডিং করে এই লক্ষ্যকেই চেন্নাইয়ের সামনে কঠিন বানিয়ে তুলেছে টেন্ডুলকারের দল। বিশেষ করে তাদের ক্যাচিং ছিল অসাধারণ। হরভজনের বিশ্বাস দুটো দুর্দান্ত ক্যাচই ম্যাচের ভাগ্য গড়ে দিয়েছে, '(কিয়েরন) পোলার্ড দারুণ একটা ক্যাচ নিয়ে হাসিকে ফিরিয়েছে। আমার মনে হয় তখনই ম্যাচের ভাগ্য আমাদের দিকে ঘুরে গেছে। এরপর রোহিতও চমৎকার ক্যাচে ধোনিকে ফিরিয়ে দিয়েছে।' বল হাতে ফর্মে ফিরতে পেরেও 'ভাজ্জি' দারুণ খুশি, 'যেখানে একটা উইকেট পাওয়াই আমার জন্য কষ্টকর হয়ে পড়েছিল সেখানে পাঁচ উইকেট পেয়ে সত্যিই খুব ভালো লাগছে। আমি ধীর-স্থির ছিলাম। জানতাম যে বল যেখানে ফেলছি ব্যাটসম্যান সে জায়গায় মারবেই। তবে একই সঙ্গে জানতাম সে (বলের লাইন) মিস করলেই আমি উইকেট পাব।' যদিও ভারতের সেরা স্পিনারের ধারণা, ওয়াংখেড়ের পিচ থেকে বাড়তি সাহায্য পেয়েছেন তিনি, 'এই পিচটা ভারতের সেরা। লাল মাটি সিম বোলারদের সাহায্য করেছে, স্পিনারদের জন্য ভালো বাউন্স ছিল, আবার ব্যাটসম্যানদেরও শট খেলতে সমস্যা হয়নি।' হরভজনের অধিনায়ক টেন্ডুলকারও পুরো দলের ফিল্ডিংয়ের পাশাপাশি আলাদা করে রোহিত শর্মা আর পোলার্ডের ক্যাচ দুটোর প্রশংসা করেছেন অকুণ্ঠে। মাত্র ৩ রান করে রোহিতের দারুণ ক্যাচে পরিণত ধোনিরও ধারণা দুই দলের ব্যবধান গড়ে দিতে ফিল্ডিংয়ের ভূমিকাই সবচেয়ে বেশি, 'আমাদের ব্যাটিং আর ফিল্ডিংও ভালো ছিল। কিন্তু ওই ফিল্ডিংই (দুই দলের মধ্যে) ব্যবধান গড়ে দিয়েছে। ওরা দুটো অসাধারণ ক্যাচ নিয়েছে।

ভারতের কোচ হওয়ার কথা ভাবছেন না ফ্লেমিং

গ্যারি কারস্টেনের উত্তরসূরি হিসেবে কদিন ধরেই অ্যান্ডি ফ্লাওয়ার, ডানকান ফ্লেচারের পাশাপাশি শোনা যাচ্ছে নিউজিল্যান্ডের সাবেক অধিনায়ক স্টিফেন ফ্লেমিংয়ের কথাও। কিন্তু ফ্লেমিং নিজেই জানিয়েছেন, ফুলটাইম কোচিং করানোর বিষয়টি নাকি তিনি ভাবার সময়ই পাচ্ছেন না, 'চেন্নাই সুপার কিংসকে কোচিং করানো বেশ উপভোগ করছি। হাতে এখন কাজের শেষ নেই। দারুণ অভিজ্ঞতা হচ্ছে আমার। তবে কোচিং ক্যারিয়ার নিয়ে আমি এখনো খুব বেশি কিছু ভাবিনি। এটা (কোচিং ক্যারিয়ার) এমন একটা বিষয় যা পরেও ভাবা যাবে।'
২৮ বছরের অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে ভারতকে ওয়ানডে বিশ্বকাপ উপহার দিয়েছেন গ্যারি কারস্টেন। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নেওয়ার পর থেকে এখনো অবশ্য কোনো জাতীয় দলের কোচ হননি ফ্লেমিং। বর্তমানে তিনি চেন্নাইয়ের কোচ। এ পর্বও দুই মাসের বেশি নয়। তাই কোচ হিসেবেও নিজেকে শিক্ষানবিসই মনে করেন ফ্লেমিং।