সিরাজগঞ্জের কোথাও পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও প্রাণীসম্পদ বিভাগের সনদপত্র ছাড়া গরু-ছাগল জবাই করা যাবে না বলে ঘোষণা করেছেন মত্স্য ও প্রাণী সম্পদমন্ত্রী আব্দুল লতিফ বিশ্বাস। আজ শুক্রবার দুপুরে অ্যানথ্রাক্স-উপদ্রুত সিরাজগঞ্জের বেলকুচি উপজেলার আদাচাঁকী গ্রাম পরিদর্শনের পর এক উদ্বুদ্ধকরণ সভায় তিনি এ ঘোষণা দেন। প্রাণীসম্পদের উন্নয়নের স্বার্থে প্রাণী বীমা চালুর আশ্বাসও দেন তিনি।
আশ্বস্ত করে মন্ত্রী বলেন, ‘পর্যাপ্ত পরিমাণ টিকা মজুদ আছে। অ্যানথ্রাক্স নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কোনো কারণ নেই। সঠিক চিকিত্সাতে এ রোগ সম্পূর্ণ ভাল হয়ে যায়।’
আব্দুল লতিফ বিশ্বাস বলেন, খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হলে প্রাণী সম্পদের বিকল্প নেই। তাই সরকার এই সম্পদ রক্ষায় সব পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।
এদিকে আজ জেলার শাহজাদপুর উপজেলার পোতাজিয়া ইউনিয়নে মিল্কভিটার আওতাধীন নুকালী গ্রামের ইব্রাহীম হোসেনের দুটি গরু অ্যানথ্রাক্স আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে। ক্ষুদ্ধ এলাকাবাসী বলেছে, মিল্কভিটা কর্তৃপক্ষ সময়মতো সঠিকভাবে টিকা দেওয়া হলে গরুদুটি মারা যেতো না।
শাহজাদপুর উপজেলা প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা আলতাফ হোসেন জানান, মৃত গরু দুটোর নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য সিরাজগঞ্জ আঞ্চলিক প্রাণী গবেষণাগারে পাঠানো হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে গরু দুটি অ্যানথ্রাক্স (তড়কা) আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে। পশুদুটোকে মাটি চাপা দেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে মিল্কভিটার ব্যবস্থাপক (সমিতি) এএফএম ইদ্রিছ আলী বলেন, মৃত দুই গরুর মধ্যে বকনা বাছুরটি পাঁচ মাস আগে হাট থেকে কেনা ছিলো। তাকে কোনো প্রতিষেধক দেওয়া হয়নি। তবে ষাঁড়টিকে চারদিন আগে প্রতিষেধক দেওয়া হয়েছিলো। এদের মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে নিশ্চিত হতে পরীক্ষা করা দরকার।
শাহজাদপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. হাবিবুর রহমান এ জন্য মিল্কভিটাকে দায়ী করেন। তিনি বলেন, ‘মিল্কভিটার চিকিত্সকদের গাফিলতির কারণেই গরু দুটির মৃত্যু হয়েছে এটা নিশ্চিত। যদি মিল্কভিটার চিকিত্সকরা ঠিক সময়ে প্রতিষেধক দিতেন তাহলে গরু দুটোর মৃত্যু হতো না।’
No comments:
Post a Comment