মডেল টেস্ট-১ অংশ-১
মেডিকেলে ভর্তিচ্ছু প্রিয় শিক্ষার্থীরা, আজ একটি মডেল টেস্ট ছাপা হলো। সঠিক উত্তর মিলিয়ে নাও আগামীকাল।
১। পৃথগভবন সূত্র কোনটি? এই সূত্র কোন বৈজ্ঞানিকের? এই সূত্রকে ইংরেজিতে কী বলে?
ক. সংকর জীবে বিপরীত বৈশিষ্ট্যের জিনগুলো মিশ্রিত বা পরিবর্তিত না হয়ে পাশাপাশি অবস্থান করে এবং জননকোষ সৃষ্টির সময় পরস্পর থেকে পৃথক হয়ে যায়। একে বলে পৃথগভবন সূত্র।
এই সূত্রটা বৈজ্ঞানিক মেন্ডেলের। ইংরেজিতে বলে Law of segregation।
খ. সংকরহীন জীবে বিপরীত বৈশিষ্ট্যের জিনগুলো মিশ্রিত বা অপরিবর্তিত না হয়ে পাশাপাশি অবস্থান করে এবং জননকোষ তৈরির সময় পরস্পর থেকে পৃথক হয়ে যায়। একে বলে পৃথকভবন সূত্র।
এই সূত্রটা বৈজ্ঞানিক ক্যারোলাস লিনিয়াসের। ইংরেজিতে বলে Law of Pasture।
গ. সংকরবিহীন জীবে বিপরীত বৈশিষ্ট্যের জিনগুলো মিশ্রিত বা অপরিবর্তিত না হয়ে উল্টো দিকে অবস্থান করে এবং জননকোষ তৈরির সময় পরস্পর থেকে পৃথক হয়ে যায়। এটা পৃথগভবন সূত্র।
এটা বৈজ্ঞানিক নিউটনের সূত্র। ইংরেজিতে একে বলে Law of victor।
ঘ. সংকর জীবে বিপরীত বৈশিষ্ট্যের জিনগুলো মিশ্রিত বা পরিবর্তিত না হয়ে উল্টো দিকে অবস্থান করে এবং জননকোষ তৈরির সময় পরস্পর থেকে পৃথক হয় না।
এই সূত্রটা বিজ্ঞানী মেন্ডেলের। ইংরেজিতে একে বলে Law of sergation.
২। এপিস্ট্যাসিস কাকে বলে?
ক. একটি ক্রোমোজোম যখন অন্য একটি নন-অ্যালীলিক পশুর কার্যকারিতা প্রকাশে বাধা দেয় তখন এই পদ্ধতিকে এপিস্ট্যাসিস বলে।
খ. একটি জিন যখন অন্য একটি নন-অ্যালীলিক জিনের কার্যকারিতা প্রকাশে বাধা দেয় তখন এ প্রক্রিয়াকে বলে এপিস্ট্যাসিস।
গ. একটি ক্রোমোজোম যখন অন্য একটি নন-অ্যালীলিক জীবের কার্যকারিতা প্রকাশ করে না, তখন এই প্রক্রিয়াকে বলে এপিস্ট্যাসিস।
ঘ. দুটি ক্রোমোজোম যখন অন্য দুইটি নন-অ্যালীলিক জীবের কার্যকারিতা প্রকাশ করে তখন তাকে বলে এপিস্ট্যাসিস।
৩। নিচের কোনটি সঠিক তথ্য?
ক. কোনো বর্ণান্ধ মহিলার সঙ্গে স্বাভাবিক দৃষ্টি ব্যতীত পুরুষের বিয়ে হলে (F1+1)+1 জনুর সব পুত্র হবে বর্ণান্ধ।
খ. F1 জনুর মধ্যে ক্রস করানো হলে F2 জনুতে একটি করে বর্ণান্ধ পুত্র ও কন্যা এবং একটি করে স্বাভাবিক দৃষ্টির পুত্র ও কন্যা পাওয়া যাবে।
গ. F1 জনুর জিনোটাইপধারী পুরুষ ও মহিলার মধ্যে বিয়ে হলে দুটি কন্যা হবে স্বাভাবিক, অন্যটি হেটারো-জাইগাস কন্যা।
ঘ. F2 জনুর জিনোটাইপধারী পুরুষ ও মহিলার মধ্যে প্রচ্ছন্ন হলে দুটি কন্যা হবে অস্বাভাবিক এবং অন্যটি হবে হোমোজাইগাস পুত্র।
৪। লাল-সবুজ বর্ণান্ধতা নিয়ে বর্ণিত ক্রসগুলো থেকে কী জানা যায়?
ক. বর্ণান্ধতা নারীর চেয়ে পুরুষের বেশি হয়। খ. পুরুষেরা কখনো বাহক হবে না।
গ. বর্ণান্ধ পিতার স্বাভাবিক কন্যা সমান অনুপাতে স্বাভাবিক ও বর্ণান্ধ পুত্রের জন্ম হবে।
ঘ. বর্ণান্ধ মহিলার পিতা সর্বদা বর্ণান্ধ হয় এবং ওই মহিলা সর্বদা বর্ণান্ধ পুত্রের মা হবে।
৫। হোমোজাইগাস কাকে বলে?
ক. কোনো জীবে দুটি নির্দিষ্ট বৈশিষ্ট্য নিয়ন্ত্রণকারী অ্যালীল দুটি সমান প্রকৃতির হলে তাকে বলে হোমোজাইগাস।
খ. কোনো জীবে তিনটি নির্দিষ্ট বৈশিষ্ট্যের অ্যালীল দুটি সমান প্রকৃতির হলে তাকে বলে হোমোজাইগাস।
গ. কোনো জীবে চারটি নির্দিষ্ট বৈশিষ্ট্যের অ্যালীল দুটি বিপরীত প্রকৃতির হলে তাকে বলে হোমোজাইগাস।
ঘ. কোনো জীবে একটি নির্দিষ্ট বৈশিষ্ট্য নিয়ন্ত্রণকারী অ্যালীল দুটি সমান প্রকৃতির হলে তাকে বলে হোমোজাইগাস।
৬। বেনথাম ও হুকার সমস্ত উদ্ভিদ জগৎকে কয়টি ভাগে বিভক্ত করেন? ভাগগুলো কী কী?
ক. দুটি উপজগতে ভাগ করেন। ভাগ দুটি হলো Cryptogamia বা বীজহীন অপুষ্পক উদ্ভিদ এবং Phanerogamia বা সপুষ্পক উদ্ভিদ।
খ. তিনটি উপজগতে ভাগ করেন। ভাগ তিনটি হলো Cryogomidium বা নগ্নবীজী পাতা, Cryptogonadium বা অপুষ্পক উদ্ভিদ, Phanerogomia বা সপুষ্পক উদ্ভিদ।
গ. চারটি উপজগতে ভাগ করেন। ভাগ চারটি হলো Manogomy বা তালা পুষ্পক উদ্ভিদ, Cryogomidium বা নগ্নবীজী পাতা, Cryptogonadium বা অপুষ্পক উদ্ভিদ, Phanerogomia বা সপুষ্পক উদ্ভিদ।
ঘ. পাঁচটি উপজগতে ভাগ করেন। ভাগ পাঁচটি হলো Manogonadium বা অপুষ্পক উদ্ভিদ, Cryogomidium বা সপুষ্পক উদ্ভিদ, Pharomogium বা সুপ্তবীজী উদ্ভিদ, Macrogomia বা তালা পুষ্পক উদ্ভিদ।
৭। Fungi-এর (ফানজাই) বৈশিষ্ট্য কোনটি?
ক. এরা এককোষী বা বহুকোষী, থ্যালোফাইট জাতীয় উদ্ভিদ।
খ. এদের দেহে কোনো ক্লোরোফিল থাকে না।
গ. জীবন যাপনের জন্য সূর্যের আলোর প্রয়োজন নেই।
ঘ. এরা নিজেদের খাবার নিজেরা তৈরি করতে পারে না।
No comments:
Post a Comment