পরাগায়নে সাহায্য করার জন্য মৌমাছি সহ অন্যান্য কীট পতঙ্গকে আকর্ষণ করার জন্যই ফুল তার সুবাস ছড়ায়। এই ঘ্রাণ সৃষ্টি হয় বাতাসে ফুলের ছড়ানো বেশ কিছু রাসায়নিকের জটিল সংমিশ্রনের মাধ্যমে।
অনেক ফুল দেখতে একরকমের হলেও, সেগুলোর আকৃতি এবং রং এক রকম হলেও কোনো দুটি ফুলের ঘ্রাণ কখনো এক হয় না। এর কারণ হচ্ছে যে-সব রাসায়নিকের সংমিশ্রনে ফুলের ঘ্রাণ সৃষ্টি হয়, সেগুলো বহু বিচিত্র ধরনের এবং সেগুলোয় অনেক ধরনের পরিবর্তন ঘটে। তবে সবকিছুর মূল কথা হচ্ছে, ফুল তার ঘ্রাণের মাধ্যমে পরাগায়ন ঘটানোর জন্য কীট পতঙ্গকে সংকেত জানায় আর পরাগায়ন ঘটানোর জন্য তারা পুরষ্কার হিসেবে পায় ফুলের মধু।
যে-সব ফুলের মিষ্টি ঘ্রাণ থাকে, সেগুলোর পরাগায়ন ঘটে মূলত: মৌমাছি, প্রজাপতি এবং অন্যান্য পতঙ্গের মাধ্যমে। অন্যদিকে যে-সব ফুলের বাসি ধরনের ঝাঁঝালো গন্ধ থাকে সেগুলোর পরাগায়ন ঘটে গুবরে বা কাঁচপোকার মাধ্যমে।
একটা ফুল যখন পরাগায়নের জন্য প্রস্তুত হয়, তখনই সেটির ঘ্রাণ সবচাইতে বেশী হয় এবং সেটি সবচাইতে আকর্ষনীয়ো হোয়ে ওঠে। যে-সব ফুলের ঘ্রাণ দিনে বেশী হয়, সেগুলোর পরাগায়ন ঘটে মৌমাছি এবং প্রজাপতির মাধ্যমে। আর যে-সব ফুল মূলত: রাতের বেলা গন্ধ ছড়ায়, সেগুলোর পরাগায়ন ঘটে মূলত: দেয়ালী পোকা এবং বাদুড়ের সাহায্যের্।
No comments:
Post a Comment