নারায়ণগঞ্জের সাইনবোর্ড-কাঁচপুর এলাকায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে আজ
সোমবার ভোর থেকে পুলিশের সঙ্গে হেফাজতে ইসলামের কর্মী-সমর্থকদের সংঘর্ষ
শুরু হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পরে বিজিবির সদস্যরাও পুলিশের সঙ্গে
যোগ দেন। বেলা দুইটায় শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত বিক্ষিপ্তভাবে সংঘর্ষ চলছিল।
এতে পুলিশ ও বিজিবির তিন সদস্যসহ ১০ জন নিহত হয়েছেন।
পুলিশ-বিজিবির সদস্যসহ নিহত ১০
নিহতেরা হলেন পুলিশের কনস্টেবল ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলার ফিরোজ (৩৫) ও ভাঙ্গা উপজেলার জাকারিয়া (২৮), বিজিবির নায়েক সুবেদার শাহ আলম (৪০), সিদ্ধিরগঞ্জের হীরাঝিল এলাকার সাইফুল ইসলাম, মাসুম, হান্নান মিয়া, বাবু গাজী, জসীমউদ্দিন, মারজানুল ইসলাম (১৬) এবং চট্টগ্রামের মাদারবাড়ির কাভার্ডভ্যানের সহকারী মিজান।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিত্সা কর্মকর্তা সালাম প্রথম আলো ডটকমকে বলেন, পুলিশের দুই ও বিজিবির এক সদস্যকে মৃত ঘোষণা করা হয়েছে।
সিদ্ধিরগঞ্জের মা জেনারেল হাসপাতালের চিকিত্সক আবদুল কাইয়ুম জানান, আহত অবস্থায় নেওয়ার পর তাঁদের হাসপাতালে সাইফুল ইসলামের মৃত্যু হয়।
নারায়ণগঞ্জ ২০০ শয্যার সরকারি হাসপাতালের আবাসিক চিকিত্সক নাজিম উদ্দিন জানান, এই হাসপাতালে মাসুম ও হান্নান মিয়াকে মৃত ঘোষণা করা হয়েছে।
সিদ্ধিরগঞ্জের সুগন্ধা ক্লিনিকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) আইয়ুব জানান, গুলিবিদ্ধ বাবু গাজীকে তাঁদের হাসপাতালে মৃত ঘোষণা করা হয়। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছে, সিএনজি অটোরিকশাচালক জসীমউদ্দিনের লাশ ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সানারপাড় এলাকায় পড়ে ছিল। পরে খবর পেয়ে স্বজনেরা লাশ নিয়ে যান।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের রেজিস্টার বইয়ের তথ্যমতে, এসএসসি পরীক্ষা দিয়ে ফলাফলের অপেক্ষায় থাকা মারজানুল ইসলামকে (১৬) মৃত অবস্থায় হাসপাতালে নেওয়া হয়। সে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ এলাকার এনামুল হকের ছেলে। এ ছাড়া চট্টগ্রামের মাদারবাড়ি এলাকার কাভার্ডভ্যানের সহকারী মিজানকেও মৃত অবস্থায় হাসপাতালে নেওয়া হয়।
হাসপাতালে বিজিবির ডিজি ও আইজিপি
বিজিবির সদস্য নিহত হওয়ার খবর পেয়ে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) মহাপরিচালক (ডিজি) আজিজ আহমেদ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যান। তিনি বলেন, গতকাল রোববার রাতে পুলিশ-র্যাব ও বিজিবি যৌথ অভিযান চালিয়ে হেফাজতের কর্মী-সমর্থকদের সরিয়ে দেয়। আজ সকালে নারায়ণগঞ্জের সাইনবোর্ড থেকে কাঁচপুর সেতু এলাকায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে হেফাজতে ইসলামের কর্মী-সমর্থকের সঙ্গে প্রথমে পুলিশের ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। এ সময় হেফাজতের কর্মীরা মহাসড়ক অবরোধ করেন। পরে প্রশাসনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, পুলিশ ও বিজিবির সদস্যরা অবরোধ সরাতে যান। এ সময় বিজিবির দুজন সদস্য মূল দল থেকে একটু দূরত্বে চলে গেলে হেফাজতের কর্মীরা ওই দুজনের ওপর হামলা চালান। এই দুজনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আনা হলে সকাল ১০টার দিকে চিকিত্সকেরা শাহ আলমকে মৃত ঘোষণা করেন। অপরজন ওই হাসপাতালে চিকিত্সাধীন আছেন।
পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) হাসান মাহমুদ খন্দকারও আজ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যান। তিনি সাইনবোর্ড-কাঁচপুর এলাকায় হেফাজতের তাণ্ডবে পুলিশের দুই সদস্যের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
সাইনবোর্ড-কাঁচপুর এলাকা রণক্ষেত্র
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, আজ ভোরে ফজরের নামাজের পরপরই সাইনবোর্ড থেকে কাঁচপুর সেতু পর্যন্ত ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পাশে অবস্থিত কয়েকটি মাদ্রাসায় মাইকে ঘোষণা দিয়ে মহাসড়কে অবস্থান নেন হেফাজতের কর্মীরা। এ সময় পুলিশ ও বিজিবির সঙ্গে তাঁদের ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। পুলিশের একটি ও বিজিবির একটি গাড়িসহ অন্তত ২০টি গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেন হেফাজতের কর্মী-সমর্থকেরা। পরে কাঁচপুর হাইওয়ে থানা, হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ি, শিমরাইল পুলিশ বক্স ও সিদ্ধিরগঞ্জে ডেসকোর অফিসে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেন তাঁরা। এতে ঢাকা-চট্টগ্রাম ও ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা বেলা একটার দিকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিলে যান চলাচল শুরু হয়।
তবে বেলা দুইটায় শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত মহাসড়কের আশপাশের অলিগলিতে অবস্থান নিয়ে পুলিশের ওপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ করছেন হেফাজতের কর্মীরা। পুলিশ পরিস্থিতি পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
পুলিশের বক্তব্য
নারায়ণগঞ্জ জেলার পুলিশ সুপার সৈয়দ নুরুল ইসলাম প্রথম আলো ডটকমকে বলেন, বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে। তিনি দাবি করেন, হেফাজতের কর্মীদের সঙ্গে জামায়াত-শিবির ও বিএনপির কর্মীরা যুক্ত হয়ে সহিংসতা চালিয়েছেন।
পুলিশ-বিজিবির সদস্যসহ নিহত ১০
নিহতেরা হলেন পুলিশের কনস্টেবল ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলার ফিরোজ (৩৫) ও ভাঙ্গা উপজেলার জাকারিয়া (২৮), বিজিবির নায়েক সুবেদার শাহ আলম (৪০), সিদ্ধিরগঞ্জের হীরাঝিল এলাকার সাইফুল ইসলাম, মাসুম, হান্নান মিয়া, বাবু গাজী, জসীমউদ্দিন, মারজানুল ইসলাম (১৬) এবং চট্টগ্রামের মাদারবাড়ির কাভার্ডভ্যানের সহকারী মিজান।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিত্সা কর্মকর্তা সালাম প্রথম আলো ডটকমকে বলেন, পুলিশের দুই ও বিজিবির এক সদস্যকে মৃত ঘোষণা করা হয়েছে।
সিদ্ধিরগঞ্জের মা জেনারেল হাসপাতালের চিকিত্সক আবদুল কাইয়ুম জানান, আহত অবস্থায় নেওয়ার পর তাঁদের হাসপাতালে সাইফুল ইসলামের মৃত্যু হয়।
নারায়ণগঞ্জ ২০০ শয্যার সরকারি হাসপাতালের আবাসিক চিকিত্সক নাজিম উদ্দিন জানান, এই হাসপাতালে মাসুম ও হান্নান মিয়াকে মৃত ঘোষণা করা হয়েছে।
সিদ্ধিরগঞ্জের সুগন্ধা ক্লিনিকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) আইয়ুব জানান, গুলিবিদ্ধ বাবু গাজীকে তাঁদের হাসপাতালে মৃত ঘোষণা করা হয়। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছে, সিএনজি অটোরিকশাচালক জসীমউদ্দিনের লাশ ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সানারপাড় এলাকায় পড়ে ছিল। পরে খবর পেয়ে স্বজনেরা লাশ নিয়ে যান।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের রেজিস্টার বইয়ের তথ্যমতে, এসএসসি পরীক্ষা দিয়ে ফলাফলের অপেক্ষায় থাকা মারজানুল ইসলামকে (১৬) মৃত অবস্থায় হাসপাতালে নেওয়া হয়। সে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ এলাকার এনামুল হকের ছেলে। এ ছাড়া চট্টগ্রামের মাদারবাড়ি এলাকার কাভার্ডভ্যানের সহকারী মিজানকেও মৃত অবস্থায় হাসপাতালে নেওয়া হয়।
হাসপাতালে বিজিবির ডিজি ও আইজিপি
বিজিবির সদস্য নিহত হওয়ার খবর পেয়ে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) মহাপরিচালক (ডিজি) আজিজ আহমেদ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যান। তিনি বলেন, গতকাল রোববার রাতে পুলিশ-র্যাব ও বিজিবি যৌথ অভিযান চালিয়ে হেফাজতের কর্মী-সমর্থকদের সরিয়ে দেয়। আজ সকালে নারায়ণগঞ্জের সাইনবোর্ড থেকে কাঁচপুর সেতু এলাকায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে হেফাজতে ইসলামের কর্মী-সমর্থকের সঙ্গে প্রথমে পুলিশের ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। এ সময় হেফাজতের কর্মীরা মহাসড়ক অবরোধ করেন। পরে প্রশাসনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, পুলিশ ও বিজিবির সদস্যরা অবরোধ সরাতে যান। এ সময় বিজিবির দুজন সদস্য মূল দল থেকে একটু দূরত্বে চলে গেলে হেফাজতের কর্মীরা ওই দুজনের ওপর হামলা চালান। এই দুজনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আনা হলে সকাল ১০টার দিকে চিকিত্সকেরা শাহ আলমকে মৃত ঘোষণা করেন। অপরজন ওই হাসপাতালে চিকিত্সাধীন আছেন।
পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) হাসান মাহমুদ খন্দকারও আজ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যান। তিনি সাইনবোর্ড-কাঁচপুর এলাকায় হেফাজতের তাণ্ডবে পুলিশের দুই সদস্যের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
সাইনবোর্ড-কাঁচপুর এলাকা রণক্ষেত্র
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, আজ ভোরে ফজরের নামাজের পরপরই সাইনবোর্ড থেকে কাঁচপুর সেতু পর্যন্ত ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পাশে অবস্থিত কয়েকটি মাদ্রাসায় মাইকে ঘোষণা দিয়ে মহাসড়কে অবস্থান নেন হেফাজতের কর্মীরা। এ সময় পুলিশ ও বিজিবির সঙ্গে তাঁদের ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। পুলিশের একটি ও বিজিবির একটি গাড়িসহ অন্তত ২০টি গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেন হেফাজতের কর্মী-সমর্থকেরা। পরে কাঁচপুর হাইওয়ে থানা, হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ি, শিমরাইল পুলিশ বক্স ও সিদ্ধিরগঞ্জে ডেসকোর অফিসে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেন তাঁরা। এতে ঢাকা-চট্টগ্রাম ও ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা বেলা একটার দিকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিলে যান চলাচল শুরু হয়।
তবে বেলা দুইটায় শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত মহাসড়কের আশপাশের অলিগলিতে অবস্থান নিয়ে পুলিশের ওপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ করছেন হেফাজতের কর্মীরা। পুলিশ পরিস্থিতি পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
পুলিশের বক্তব্য
নারায়ণগঞ্জ জেলার পুলিশ সুপার সৈয়দ নুরুল ইসলাম প্রথম আলো ডটকমকে বলেন, বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে। তিনি দাবি করেন, হেফাজতের কর্মীদের সঙ্গে জামায়াত-শিবির ও বিএনপির কর্মীরা যুক্ত হয়ে সহিংসতা চালিয়েছেন।
No comments:
Post a Comment