এক মাসের সংযম আর সিয়াম সাধনা শেষে আবার এসেছে ঈদ। আজ বুধবার দেশের ধর্মপ্রাণ মুসলমানেরা মেতে উঠবেন ঈদের আনন্দে। ঈদের আনন্দ উপভোগ করতে সব শ্রেণী-পেশার মানুষ যার যার সাধ্যমতো প্রস্তুতি নিয়েছেন। এখনো বাড়ির পথে অনেকে। তবে রাজধানীর রেল স্টেশন, বাস টার্মিনাল ও লঞ্চ ঘাটে ভিড় ছিল অনেক কম। সৌদি আরবের সঙ্গে মিল করে কালও দেশের বিভিন্ন স্থানে ঈদুল ফিতর উদ্যাপিত হয়েছে।
ঈদে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন মসজিদ ও ঈদগাহ ময়দানে একাধিক জামাত হবে। প্রতিবারের মতো এবারও হাইকোর্ট-সংলগ্ন জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে রাজধানীর প্রধান ঈদের জামাত হবে। ঈদের জামাতের সময় যান চলাচলে শৃঙ্খলা রক্ষা, যানজট এড়ানো ও মুসল্লিদের নির্বিঘ্ন যাতায়াতের জন্য গাড়ি রাখার স্থান নির্দিষ্ট করে দিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ। জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে ঈদের জামাতে সবার সঙ্গে অংশ নেবেন রাষ্ট্রপতি, মন্ত্রিসভার সদস্য, বিদেশি কূটনীতিক, ঊর্ধ্বতন বেসামরিক ও সামরিক কর্মকর্তারা।
বরাবরের মতো এবারও দেশের সবচেয়ে বড় ঈদের জামাত হবে কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক শোলাকিয়া ঈদগাহ ময়দানে। প্রতিবছর তিন লাখেরও বেশি মুসল্লি এই মাঠে একসঙ্গে নামাজ আদায় করেন। এরইমধ্যে দেশের ও দেশের বাইরে থেকে অনেকেই কিশোরগঞ্জে পৌঁছেছেন। দেশের সর্ববৃহত্ ঈদের জামাতকে কেন্দ্র করে শোলাকিয়ায় কঠোর নিরাপত্তাব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
নামাজের পর বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রিপরিষদের সদস্য, বিরোধী দলীয় নেত্রী ও রাজনৈতিক অঙ্গনের নেতারা। এদিকে ঈদে সরকারি ভবনগুলোতে আলোকসজ্জা করা হয়েছে। রাজধানীতে বনানী থেকে বঙ্গভবন পর্যন্ত প্রধান সড়কগুলোও ঈদ মোবারক খচিত ব্যানার দিয়ে সাজানো হয়েছে। ঈদের আনন্দ সবার সঙ্গে ভাগ করে নিতে হাসপাতাল, এতিমখানা ও কারাগারে উন্নত খাবার পরিবেশন করা হবে।
ঈদ উপলক্ষে রেডিও, টেলিভিশনগুলোতে আয়োজন করা হয়েছে বিশেষ অনুষ্ঠানমালার।
No comments:
Post a Comment