জিম্বাবুয়ের কাছে বাংলাদেশ সর্বশেষ ওয়ানডে সিরিজে হেরেছিল ২০০৬ সালে। ৩-২ ব্যবধানে সেই সিরিজে হার এখনো ভুলতে পারেনি। অনেকে মতে সবচেয়ে বেশি মনে থাকার কথা দেশ সেরা পেসার মাশরাফি বিন মর্তুজার। এক ম্যাচে তাদের শেষ ওভারে শেষ বলে ছক্কা মেরে ম্যাচ জিতিয়েছিলেন ব্রেন্ডন টেলর। তারপর বাংলাদেশকে অবশ্য আর সিরিজ হারতে হয়নি জিম্বাবুয়ের কাছে। সময় যতই অতিবাহিত হয়েছে সামনের দিকে এগিয়ে গেছে এদেশের ক্রিকেট। অন্যদিকে পিছিয়েছে জিম্বাবুইয়ানরা। এক সময় টেস্ট থেকে স্বেচ্ছায় নির্বাসনে যায় তারা। এদিকে বাংলাদেশ নিউজিল্যান্ডের মতো দলকে হারিয়ে নতুন ক্রিকেট শক্তি হিসেবে আবির্ভূত হওয়ার হওয়ার অপেক্ষায়। কিন্তু চলতি জিম্বাবুয়ে সফরে যেন সবকিছু এলোমেলো হয়ে যায়। দীর্ঘ পাঁচ বছর পর টেস্ট আঙিনায় ফেরা জিম্বাবুয়ের সঙ্গে একমাত্র টেস্টে হেরে যায়। টানা তিন ম্যাচে হেরে ওয়ানডে সিরিজেও ভরাডুবি। সবকিছু মিলে যেন বাংলাদেশের ক্রিকেটে একটা অশনি সংকেত দেখা যাচ্ছে। এজন্য অবশ্য সাবেক ক্রিকেটারদের কেউ কেউ বোর্ডকে দায়ী করছেন। অনেকে আবার অধিনায়ক সাকিব আল হাসানকেই দোষারোপ করছেন। কেননা তার একগুঁয়েমির জন্যই দলে নাকি প্রচ্ছন্নভাবে দুটি গ্রুপ স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। যার কারণে যোগ্যতা থাকা সত্ত্বে একের পর এক হারের লজ্জা থেকে বেরিয়ে আসতে পারছে না বাংলাদেশ। এমনটাই মনে করছেন বিসিবির এক কর্মকর্তা। তাই গুঞ্জন উঠেছে দেশে ফেরার পরই সাকিবের কাছ থেকে অধিনায়কত্ব কেড়ে নেওয়া হতে পারে! যদি পরের সিরিজের আগেই ইনজুরি থেকে সেরে ওঠেন মাশরাফি, তবে তাকেই প্রথম পছন্দ বিসিবির। এছাড়া এই তালিকায় রয়েছে শাহরিয়ার নাফিস ও তামিমের নামও। সবাইকে চমকে দিয়ে নেতৃত্ব পেতে পারেন মুশফিকুর রহিমও। কেননা জিম্বাবুয়ে সিরিজে তিনিই বাংলাদেশের একমাত্র সফল ব্যাটসম্যান। তবে আদৌও সাকিবের কাছ থেকে অধিনায়কত্ব কেড়ে নেওয়া হবে কিনা_ যদি তাই হয় তবে নতুন কে হচ্ছেন অধিনায়ক? এ প্রশ্নের উত্তর পেতে অপেক্ষা করতে হবে বাংলাদেশ দল দেশে ফেরা পর্যন্ত।
No comments:
Post a Comment