শুক্রবার দুপুরে ফেসবুকে আবিদের একটি স্টাটাস দেখলাম। আবিদ লিখেছে, 'পাসিং অ্যা ওয়ান্ডারফুল টাইম উইথ মাত্রা অ্যাট কক্সবাজার'। চারশ উনিশটি কমেন্ট পড়েছে। কিন্তু একটার উত্তরও তুমি দিলে না আবিদ। এই তোমার ওয়ান্ডারফুল টাইম পাস, তাই না? সমুদ্রের কাছ থেকে যতটুকু আনন্দ তুমি পেয়েছিলে, তার পুরোটাই ছিল ছল। বঙ্গোপসাগর তোমাকে ভুলিয়ে-ভালিয়ে পানিতে নামিয়ে নিস্তেজ করে দিল। তুমি বুঝনি আবিদ, তুমি বুঝনি। তোমার ওই মিষ্টি হাসি, আর ভালো মানুষিও সমুদ্রের হিংস্রতা থেকে তোমাকে বাঁচাতে পারেনি।
কক্সবাজার যাওয়ার আগে তোমার সঙ্গে শেষ কথা হয়েছিল। তুমি বলেছিলে, 'ভাই সমুদ্রে যাচ্ছি। ঢাকায় ফিরে কথা হবে।' তুমি তোমার একটা ইন্টারভিউ চেয়েছিলে। এই তো ঢাকায় ফিরে তোমার ইন্টারভিউ দেওয়ার কথা। কিন্তু যখন তুমি এলে, নিশ্চুপ হয়ে। কই ইন্টারভিউটা তো দিলে না আবিদ। যে কথা রাখতে পারবে না সে কথা দিলে কেন! তোমার জন্য আমার পাতায় রাখা পাঁচ কলাম ছয় ইঞ্চি জায়গা কিছু একটা দিয়ে ভরা যাবে। কিন্তু তোমার চিরতরে চলে যাওয়ায় যে শূন্যতা তৈরি হলো তা কি দিয়ে ভরব?
আবিদ তুমি তোমার নতুন একক অ্যালবামের কাজ শেষ করে গেছ। অ্যালবামের নাম রেখেছ 'নব আনন্দে জাগো'। কত গল্প করতে, ফাহমিদা আপা গান গেয়েছে, এলিটা আপা গেয়েছে। শ্রোতাদের ভালো লাগবে। এই তো ক'দিন পরই অ্যালবামটি প্রকাশ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু পারলে না। কতটা ভালোবাসা নিয়ে গানগুলো তুমি করেছিলে, তা তোমার কাছের মানুষরা জানে। গানগুলো হয়তো প্রকাশ পাবে, কিন্তু তুমি থাকবে না। তোমার কণ্ঠ বাজবে, তুমি বাঁশ আর মাটির ঘরে শুয়ে শুয়ে শুনবে। কিন্তু জিজ্ঞেস করতে পারবে না, 'ভাই কেমন হয়েছে গানগুলো?'
আবিদ, তোমার একটা গোপন শখ ছিল। অনেকেই হয়তো জানে না। নাটকে অভিনয় করার ইচ্ছা তোমার ছিল। কিন্তু লজ্জায় খুব একটা বলতে না কাউকে। আমি জানি, কিছুদিনের মধ্যেই তুমি অভিনেতা হয়েও যেতে। কিন্তু তোমার এই ইচ্ছাটা আর পূরণ হবে না। দু'তিন জন বন্ধু মিলে তোমরা নাটক প্রযোজনাও করতে চেয়েছিলে ; কিন্তু পারলে না। সব ইচ্ছা যখন পূরণ হওয়ার পথে তখন তুমি চলে গেলে।
মাত্র ২৫ বছর বয়স। চিরতরে চলে যাওয়ার জন্য এটা কোনো বয়সই না। ভালো মানুষেরা কি ক্ষণজন্মা হয়? আবিদ তোমাকে যারা ভালোবাসে, পছন্দ করে, তারা এখন সমুদ্রকে ঘৃণা করে। সমুদ্রের সৌন্দর্যে আমরা আর ভুলব না। আবিদ, আমরা আর কখনো সমুদ্রে যাব না। কারণ আমরা তোমার চেয়ে সমুদ্রকে বেশি ভালোবাসি না কখনো।
কক্সবাজার যাওয়ার আগে তোমার সঙ্গে শেষ কথা হয়েছিল। তুমি বলেছিলে, 'ভাই সমুদ্রে যাচ্ছি। ঢাকায় ফিরে কথা হবে।' তুমি তোমার একটা ইন্টারভিউ চেয়েছিলে। এই তো ঢাকায় ফিরে তোমার ইন্টারভিউ দেওয়ার কথা। কিন্তু যখন তুমি এলে, নিশ্চুপ হয়ে। কই ইন্টারভিউটা তো দিলে না আবিদ। যে কথা রাখতে পারবে না সে কথা দিলে কেন! তোমার জন্য আমার পাতায় রাখা পাঁচ কলাম ছয় ইঞ্চি জায়গা কিছু একটা দিয়ে ভরা যাবে। কিন্তু তোমার চিরতরে চলে যাওয়ায় যে শূন্যতা তৈরি হলো তা কি দিয়ে ভরব?
আবিদ তুমি তোমার নতুন একক অ্যালবামের কাজ শেষ করে গেছ। অ্যালবামের নাম রেখেছ 'নব আনন্দে জাগো'। কত গল্প করতে, ফাহমিদা আপা গান গেয়েছে, এলিটা আপা গেয়েছে। শ্রোতাদের ভালো লাগবে। এই তো ক'দিন পরই অ্যালবামটি প্রকাশ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু পারলে না। কতটা ভালোবাসা নিয়ে গানগুলো তুমি করেছিলে, তা তোমার কাছের মানুষরা জানে। গানগুলো হয়তো প্রকাশ পাবে, কিন্তু তুমি থাকবে না। তোমার কণ্ঠ বাজবে, তুমি বাঁশ আর মাটির ঘরে শুয়ে শুয়ে শুনবে। কিন্তু জিজ্ঞেস করতে পারবে না, 'ভাই কেমন হয়েছে গানগুলো?'
আবিদ, তোমার একটা গোপন শখ ছিল। অনেকেই হয়তো জানে না। নাটকে অভিনয় করার ইচ্ছা তোমার ছিল। কিন্তু লজ্জায় খুব একটা বলতে না কাউকে। আমি জানি, কিছুদিনের মধ্যেই তুমি অভিনেতা হয়েও যেতে। কিন্তু তোমার এই ইচ্ছাটা আর পূরণ হবে না। দু'তিন জন বন্ধু মিলে তোমরা নাটক প্রযোজনাও করতে চেয়েছিলে ; কিন্তু পারলে না। সব ইচ্ছা যখন পূরণ হওয়ার পথে তখন তুমি চলে গেলে।
মাত্র ২৫ বছর বয়স। চিরতরে চলে যাওয়ার জন্য এটা কোনো বয়সই না। ভালো মানুষেরা কি ক্ষণজন্মা হয়? আবিদ তোমাকে যারা ভালোবাসে, পছন্দ করে, তারা এখন সমুদ্রকে ঘৃণা করে। সমুদ্রের সৌন্দর্যে আমরা আর ভুলব না। আবিদ, আমরা আর কখনো সমুদ্রে যাব না। কারণ আমরা তোমার চেয়ে সমুদ্রকে বেশি ভালোবাসি না কখনো।
No comments:
Post a Comment