Thursday, August 25, 2011

ঝিনাইদহে অপহরণের পর এসআইকে হত্যা


মঙ্গলবার রাতে ঝিনাইদহ সদর উপজেলার ডাকবাংলা পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ এসআই মিরাজুল ইসলাম মোহনকে (৪৩) অপহরণের পর শ্বাসরোধে হত্যা করেছে সন্ত্রাসীরা। এ ঘটনার পর পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তিনজনকে আটক করেছে। একই রাতে মহেশপুর উপজেলার জিন্নাহনগর গ্রামের নিজবাড়ির পাশেই শিউলী খাতুন নামে এক প্রি-ক্যাডেট স্কুলের শিক্ষিকাকে কুপিয়ে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা। ঈদকে সামনে রেখে চুরি, ছিনতাই ও ডাকাতি বেড়ে গেছে। এক সপ্তাহে চার খুনের ঘটনা ঘটেছে।

পুলিশ সুপার রেজাউল করিম পিপিএম (সেবা) জানান, এসআই মিরাজুল ইসলাম (ব্যাচ নম্বর-২৫) মঙ্গলবার সকালে ঝিনাইদহ থানার দুটি মামলার বাদী ও সাক্ষীদের ঝিনাইদহ অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে হাজির করানোর জন্য বের হন। কাজ শেষে রাত সাড়ে ৯টার দিকে ডাকবাংলা ক্যাম্পের উদ্দেশে রওনা দেন। পথে শহরের চুয়াডাঙ্গা বাসস্ট্যান্ডের কাছে পেঁৗছলে সেখানে আগে থেকে ওত পেতে থাকা সন্ত্রাসীরা মিরাজুল ইসলামকে অপহরণ করে। অপহরণস্থল থেকে রাতেই পুলিশ তার ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটি শহরের ফায়ার সার্ভিসের সামনে থেকে উদ্ধার করে। এরপর মিরাজুল ইসলামকে খোঁজাখুঁজি করা হয়, কিন্তু পাওয়া যায়নি। সকাল ৯টার দিকে ঝিনাইদহ-চুয়াডাঙ্গা সড়কের ভেটেরিনারি কলেজের পূর্বপাশে প্রতাপপুরে একটি ডোবার ধারে কলা গাছের রশি ও গামছা দিয়ে বাঁধা অবস্থায় তার লাশ এলাকাবাসী দেখতে পায়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে লাশটি উদ্ধার করে। তবে তার কাছে থাকা ওয়াকিটকি, দুটি মোবাইল ফোনসেট, একটি পিস্তল ও ১৬ রাউন্ড গুলি নিয়ে গেছে সন্ত্রাসীরা। পুলিশ ধারণা করছে, মিরাজকে হাত-পা বেঁধে পানিতে ডুবিয়ে ও গলায় ফাঁস দিয়ে হত্যা করা হয়েছে। শরীরের বিভিন্ন স্থানে কোপানো হয়েছে।
নিহত মিরাজুল ইসলাম কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলার শেখপাড়া বিহারিয়া গ্রামের মৃত আজহার আলীর ছেলে। খবর পেয়ে জেলা প্রশাসক রমা রানী রায় ও চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটসহ সরকারি কর্মকর্তারা হাসপাতাল মর্গে তাকে দেখতে ছুটে যান।
অন্যদিকে পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকে জিন্নাহনগর গ্রামের বিশারত আলীর মেয়ে ও জিন্নাহনগর প্রি-ক্যাডেটের সহকারী শিক্ষিকা শিউলী খাতুন বাড়ির পাশের একটি টিউবওয়েল থেকে পানি আতে যান। এ সময় সন্ত্রাসীরা তার পেছন দিক থেকে কুপিয় হত্যা করে ফেলে রেখে যায়। এ হত্যাকাণ্ডের কারণ জানা যায়নি।

No comments: