রহমত, মাগফেরাত ও নাজাতের মাস রমজানের দ্বিতীয় দিন আজ। আমাদের সবার পরম সৌভাগ্য আমরা মহিমান্বিত এই মাসকে আমাদের সামনে হাজির পেয়েছি। পবিত্র মাহে রমজানে নাজিল হয়েছিল পবিত্র কোরআন। পবিত্র কোরআনের সূরা বাকারায় এ কথাটি বলে তাগিদ দেওয়া হয়েছে 'সুসংবাদ তোমাদের মধ্যে যাহারা এই মাস পাইবে তাহারা যেন এই মাসে সিয়াম পালন করে।'
আল্লাহর অসীম রহমতের এই মাসে সব বান্দারই লক্ষ্য থাকা উচিত মহান স ষ্টার নৈকট্য অর্জন করা। রোজার প্রথম বৈশিষ্ট্য হলো আল্লাহর ওপর প্রগাঢ় বিশ্বাস স্থাপন। রোজাদার ব্যক্তির অন্তরে আল্লাহর প্রতি ঐকান্তিক বিশ্বাস জন্মে এবং আল্লাহর প্রেমে তার অন্তর উদ্ভাসিত হয়ে ওঠে। সে বিশ্বাস করে, আল্লাহপাক সর্বশক্তিমান, সর্বপরিজ্ঞাত এবং সর্বস্থানে বিরাজিত। তিনি বিচারের দিনের মালিক। এই বিশ্বাস নিয়ে রোজাদার একমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের জন্য নিজের সব ক্ষুধা-পিপাসা, কাম-ক্রোধ, লোভ-লালসা ইত্যাদি দমনপূর্বক রোজা রাখে। নিজেকে পরিশুদ্ধ করার শপথ নেয়।
চরিত্র সংশোধন রোজার একটি মুখ্য উদ্দেশ্য। রোজা মানুষের ভেতর ও বাহির উভয় দিকের ভুলত্রুটি সংশোধনে বিরাট ভূমিকা পালন করে। মানুষের বাতেন বা ভেতরের অবস্থাকে পরিবর্তন করা এবং তার স্বভাবকে সুন্দরভাবে গড়ে তোলা রোজার মাধ্যমেই সম্ভব। এ পরিপ্রেক্ষিতে রোজা মানুষকে দুনিয়ার লোভ-লালসা, অতিরিক্ত সম্পদ অর্জনের আকাক্সক্ষা ইত্যাদি থেকে দূরে সরিয়ে রাখে। আর কলবের বিশুদ্ধতার দ্বারাই তা সম্ভব হতে পারে। মহানবী (সা.) ইরশাদ করেন, 'মনোযোগের সহিত শোন! শরীরের মধ্যে একটি গোস্তপিণ্ড রহিয়াছে, যতক্ষণ উহা ভালো থাকিবে, সমস্ত দেহ ভালো থাকিবে, আর যখন উহা বিগড়াইয়া যাইবে, তখন সমস্ত দেহ বিগড়াইয়া যাইবে। শুনিয়া রাখ! উহা হইতেছে কলব। কলবকে সুস্থ রাখার পূর্ণ ব্যবস্থা রোজার মধ্যে রহিয়াছে। আর কলবের অবস্থাকে পবিত্র ও নির্মল করিবার জন্য নামাজের পরই রোজার স্থান।'
মাহে রমজান বান্দার জন্য আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের রহমতবিশেষ। এ মাসকে আল্লাহ বান্দাদের হেদায়েতের জন্য বারবার বেছে নিয়েছেন। এই মাসে যেমন পবিত্র কোরআন নাজিল হয়েছে তেমনি অতীতের নবীদের ওপর বিভিন্ন আসমানি কিতাব নাজিল হয়েছে। এই পবিত্র মাসে মানুষ নিজেদের পরিশুদ্ধ করার সুযোগ পায়। আল্লাহর নির্দেশিত পথে চলার মাধ্যমে আমরা পরিশুদ্ধ হওয়ার এ সুযোগকে কাজে লাগাতে পারি। মহান আল্লাহ আমাদের সে তওফিক দান করুন।
লেখক : খতিব, গুলশান সেন্ট্রাল জামে মসজিদ, ঢাকা।
আল্লাহর অসীম রহমতের এই মাসে সব বান্দারই লক্ষ্য থাকা উচিত মহান স ষ্টার নৈকট্য অর্জন করা। রোজার প্রথম বৈশিষ্ট্য হলো আল্লাহর ওপর প্রগাঢ় বিশ্বাস স্থাপন। রোজাদার ব্যক্তির অন্তরে আল্লাহর প্রতি ঐকান্তিক বিশ্বাস জন্মে এবং আল্লাহর প্রেমে তার অন্তর উদ্ভাসিত হয়ে ওঠে। সে বিশ্বাস করে, আল্লাহপাক সর্বশক্তিমান, সর্বপরিজ্ঞাত এবং সর্বস্থানে বিরাজিত। তিনি বিচারের দিনের মালিক। এই বিশ্বাস নিয়ে রোজাদার একমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের জন্য নিজের সব ক্ষুধা-পিপাসা, কাম-ক্রোধ, লোভ-লালসা ইত্যাদি দমনপূর্বক রোজা রাখে। নিজেকে পরিশুদ্ধ করার শপথ নেয়।
চরিত্র সংশোধন রোজার একটি মুখ্য উদ্দেশ্য। রোজা মানুষের ভেতর ও বাহির উভয় দিকের ভুলত্রুটি সংশোধনে বিরাট ভূমিকা পালন করে। মানুষের বাতেন বা ভেতরের অবস্থাকে পরিবর্তন করা এবং তার স্বভাবকে সুন্দরভাবে গড়ে তোলা রোজার মাধ্যমেই সম্ভব। এ পরিপ্রেক্ষিতে রোজা মানুষকে দুনিয়ার লোভ-লালসা, অতিরিক্ত সম্পদ অর্জনের আকাক্সক্ষা ইত্যাদি থেকে দূরে সরিয়ে রাখে। আর কলবের বিশুদ্ধতার দ্বারাই তা সম্ভব হতে পারে। মহানবী (সা.) ইরশাদ করেন, 'মনোযোগের সহিত শোন! শরীরের মধ্যে একটি গোস্তপিণ্ড রহিয়াছে, যতক্ষণ উহা ভালো থাকিবে, সমস্ত দেহ ভালো থাকিবে, আর যখন উহা বিগড়াইয়া যাইবে, তখন সমস্ত দেহ বিগড়াইয়া যাইবে। শুনিয়া রাখ! উহা হইতেছে কলব। কলবকে সুস্থ রাখার পূর্ণ ব্যবস্থা রোজার মধ্যে রহিয়াছে। আর কলবের অবস্থাকে পবিত্র ও নির্মল করিবার জন্য নামাজের পরই রোজার স্থান।'
মাহে রমজান বান্দার জন্য আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের রহমতবিশেষ। এ মাসকে আল্লাহ বান্দাদের হেদায়েতের জন্য বারবার বেছে নিয়েছেন। এই মাসে যেমন পবিত্র কোরআন নাজিল হয়েছে তেমনি অতীতের নবীদের ওপর বিভিন্ন আসমানি কিতাব নাজিল হয়েছে। এই পবিত্র মাসে মানুষ নিজেদের পরিশুদ্ধ করার সুযোগ পায়। আল্লাহর নির্দেশিত পথে চলার মাধ্যমে আমরা পরিশুদ্ধ হওয়ার এ সুযোগকে কাজে লাগাতে পারি। মহান আল্লাহ আমাদের সে তওফিক দান করুন।
লেখক : খতিব, গুলশান সেন্ট্রাল জামে মসজিদ, ঢাকা।
No comments:
Post a Comment