আর্জেন্টিনা ও নাইজেরিয়া ফুটবল দল সেপ্টেম্বরে ঢাকায় আসছে। দুই দলকে ঢাকায় আনতে যে অর্থ ব্যয় হবে তা জোগাড় করে ফেলেছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন। বেক্সিমকো পুরো ট্যুরের পৃষ্ঠপোষকতা করছে। কিছুদিন আগে বাফুফের সঙ্গে এ কোম্পানির চুক্তি হয়। কিন্তু স্পন্সরের টাকার পরিমাণ সম্পর্কে ফেডারেশন কোনো তথ্য দিতে পারেনি। ধারণা করা হচ্ছে, ৩০ বা ৩৫ কোটি টাকা এক্ষেত্রে ব্যয় হবে। পৃষ্ঠপোষকতা করলেও বেক্সিমকো এখান থেকে কোনো লাভ নেবে না। টিকিট বিক্রি থেকে যে অর্থ উঠে আসবে তা পুরোটা চলে যাবে বাফুফের ফান্ডে। আসলে লাভ না লোকসান এ নিয়ে সাধারণ ফুটবলপ্রেমীদের কোনো মাথাব্যথা নেই। স্বপ্নের আর্জেন্টিনার খেলা স্বচক্ষে দেখবে এটা তাদের বড় পাওয়া।
কিন্তু যে তারকা দেখতে ফুটবলপ্রেমীদের মূল আগ্রহ সেই লিওনেল মেসি ঢাকায় আসবেন কি না, তা নিয়ে সংশয় দেখা গেছে। বাফুফে থেকে গতকাল বলা হয়েছে, মেসি আসছেন তা শতভাগ নিশ্চিত। কিন্তু ভারতীয় মিডিয়ায় যে খবর প্রকাশ হচ্ছে তাতে মেসি কলকাতাতেই আসবেন কি না তা নিশ্চিত নয়। ঢাকা আসার আগে আর্জেন্টিনা কলকাতায় আসবে, কলকাতায় যে প্রতিষ্ঠান সাবেক বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের নিয়ে আসছে তাদের মাধ্যমে মেসিদের ঢাকা আনা হচ্ছে। এ ব্যাপারে বাফুফে আর্জেন্টিনা বা নাইজেরিয়ার সঙ্গে সরাসরি আলাপ করেনি। আসলে আলাপ করবে সে পথও নেই। কারণ এ ধরনের বিশ্ববিখ্যাত দলকে আনতে হলে এজেন্টদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হয়। সেই এজেন্টই দলগুলোর সঙ্গে টাকা-পয়সার আলাপের মাধ্যমে ট্যুর নিশ্চিত করে। বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন নিজেই বলেছেন চুক্তির প্রধান শর্ত হচ্ছে মেসিকে আনতে হবে। কেননা মেসিকে দেখার জন্যই বাংলাদেশের যত আগ্রহ। বাস্তবে কিন্তু এ দেশের মানুষ আর্জেন্টিনাকে চেনে ও জানে ম্যারাডোনার কারণে। একসময় বিশ্ব ফুটবল বলতে এ দেশের ক্রীড়ামোদীরা শুধু ব্রাজিলকে চিনত। কিন্তু ১৯৮৬ সালে বিশ্বকাপে ম্যারাডোনার জাদুকরী নৈপুণ্য দেখার পর দৃশ্য পুরোপুরি পাল্টে যায়। আর্জেন্টিনার নাম নিতে পুরো বাংলাদেশই যেন পাগল। বাংলাদেশের দর্শকদের কাছে ম্যারাডোনা এখনো তুলনাহীন। তার পরও তার কিছুটা ছায়া মেসির ভেতরে খুঁজে পেয়েছে তারা। এখন সেই স্বপ্নের তারকা মেসি যদি সত্যিই ঢাকায় না আসেন তাহলে আর্জেন্টিনার আগমনকে কেন্দ্র করে ততটা উৎসাহ-উদ্দীপনা দেখা যাবে কি? হয়তো যারা বিশাল অর্থ দিয়ে গ্যালারিতে হাজির হওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন তারাও মুখ ফিরিয়ে নেবেন। শুধু মেসি নন, আরেক তারকা হিগুয়েনও আর্জেন্টিনার সফরসঙ্গী না-ও হতে পারেন। কেননা ২০১০ সালে বিশ্বকাপের পর এ দুই তারকা খুব একটা বিশ্রাম পাননি। বিশেষ করে মেসির দম ফেলার সময় নেই বললেই চলে। স্পেনের লা লিগা শেষ হলে তিনি লম্বা এক বিশ্রাম নিতে চাচ্ছেন। সে কারণেই মেসির কলকাতায় না আসার সম্ভাবনা বেশি। যতই চুক্তিতে লেখা থাকুক না কেন কলকাতায় না এলে তো মেসির ঢাকা আসার প্রশ্নই ওঠে না।
এদিকে কলকাতায় আর্জেন্টিনার ট্যুর নিয়েও বিতর্ক তৈরি হয়েছে। কিছুদিন আগে কলকাতার এক স্যাটেলাইট চ্যানেলে অলইন্ডিয়া ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের এক কর্মকর্তা বলেছেন, আর্জেন্টিনার ট্যুর সম্পর্কে তারা কিছু জানেন না। তিনি স্পষ্ট করে বলেছেন, তাদের অনুমতি ছাড়া আর্জেন্টিনাকে কীভাবে কলকাতা আনার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে তা তারা তদন্ত করে দেখবেন। অবশ্য পশ্চিমবঙ্গের এক ফুটবল কর্মকর্তা বলেছেন, এতে নিশ্চয়ই অলইন্ডিয়া ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের অনুমতি রয়েছে। তা না হলে ট্যুর এতদূর কোনোভাবেই এগিয়ে আসত না। যাক, মেসির কলকাতা না আসার গুঞ্জন বা আর্জেন্টিনার ট্যুর নিয়ে ভারতে যে বিতর্ক তৈরি হয়েছে তাতে যেন সাবেক বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের ঢাকা সফর বাতিল না হয়ে যায় তা দেখবার বিষয় রয়েছে। বাফুফের সঙ্গে যে চুক্তি হয়েছে তাতে নাকি উল্লেখ আছে, কোনো কারণে ট্যুর বাতিল হলে পুরো অর্থই ফিরিয়ে দেওয়া হবে। অর্থ না হয় ফিরে পাবে কিন্তু মেসিকে সামনে থেকে দেখার তো সুযোগ পাবে না।
কিন্তু যে তারকা দেখতে ফুটবলপ্রেমীদের মূল আগ্রহ সেই লিওনেল মেসি ঢাকায় আসবেন কি না, তা নিয়ে সংশয় দেখা গেছে। বাফুফে থেকে গতকাল বলা হয়েছে, মেসি আসছেন তা শতভাগ নিশ্চিত। কিন্তু ভারতীয় মিডিয়ায় যে খবর প্রকাশ হচ্ছে তাতে মেসি কলকাতাতেই আসবেন কি না তা নিশ্চিত নয়। ঢাকা আসার আগে আর্জেন্টিনা কলকাতায় আসবে, কলকাতায় যে প্রতিষ্ঠান সাবেক বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের নিয়ে আসছে তাদের মাধ্যমে মেসিদের ঢাকা আনা হচ্ছে। এ ব্যাপারে বাফুফে আর্জেন্টিনা বা নাইজেরিয়ার সঙ্গে সরাসরি আলাপ করেনি। আসলে আলাপ করবে সে পথও নেই। কারণ এ ধরনের বিশ্ববিখ্যাত দলকে আনতে হলে এজেন্টদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হয়। সেই এজেন্টই দলগুলোর সঙ্গে টাকা-পয়সার আলাপের মাধ্যমে ট্যুর নিশ্চিত করে। বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন নিজেই বলেছেন চুক্তির প্রধান শর্ত হচ্ছে মেসিকে আনতে হবে। কেননা মেসিকে দেখার জন্যই বাংলাদেশের যত আগ্রহ। বাস্তবে কিন্তু এ দেশের মানুষ আর্জেন্টিনাকে চেনে ও জানে ম্যারাডোনার কারণে। একসময় বিশ্ব ফুটবল বলতে এ দেশের ক্রীড়ামোদীরা শুধু ব্রাজিলকে চিনত। কিন্তু ১৯৮৬ সালে বিশ্বকাপে ম্যারাডোনার জাদুকরী নৈপুণ্য দেখার পর দৃশ্য পুরোপুরি পাল্টে যায়। আর্জেন্টিনার নাম নিতে পুরো বাংলাদেশই যেন পাগল। বাংলাদেশের দর্শকদের কাছে ম্যারাডোনা এখনো তুলনাহীন। তার পরও তার কিছুটা ছায়া মেসির ভেতরে খুঁজে পেয়েছে তারা। এখন সেই স্বপ্নের তারকা মেসি যদি সত্যিই ঢাকায় না আসেন তাহলে আর্জেন্টিনার আগমনকে কেন্দ্র করে ততটা উৎসাহ-উদ্দীপনা দেখা যাবে কি? হয়তো যারা বিশাল অর্থ দিয়ে গ্যালারিতে হাজির হওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন তারাও মুখ ফিরিয়ে নেবেন। শুধু মেসি নন, আরেক তারকা হিগুয়েনও আর্জেন্টিনার সফরসঙ্গী না-ও হতে পারেন। কেননা ২০১০ সালে বিশ্বকাপের পর এ দুই তারকা খুব একটা বিশ্রাম পাননি। বিশেষ করে মেসির দম ফেলার সময় নেই বললেই চলে। স্পেনের লা লিগা শেষ হলে তিনি লম্বা এক বিশ্রাম নিতে চাচ্ছেন। সে কারণেই মেসির কলকাতায় না আসার সম্ভাবনা বেশি। যতই চুক্তিতে লেখা থাকুক না কেন কলকাতায় না এলে তো মেসির ঢাকা আসার প্রশ্নই ওঠে না।
এদিকে কলকাতায় আর্জেন্টিনার ট্যুর নিয়েও বিতর্ক তৈরি হয়েছে। কিছুদিন আগে কলকাতার এক স্যাটেলাইট চ্যানেলে অলইন্ডিয়া ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের এক কর্মকর্তা বলেছেন, আর্জেন্টিনার ট্যুর সম্পর্কে তারা কিছু জানেন না। তিনি স্পষ্ট করে বলেছেন, তাদের অনুমতি ছাড়া আর্জেন্টিনাকে কীভাবে কলকাতা আনার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে তা তারা তদন্ত করে দেখবেন। অবশ্য পশ্চিমবঙ্গের এক ফুটবল কর্মকর্তা বলেছেন, এতে নিশ্চয়ই অলইন্ডিয়া ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের অনুমতি রয়েছে। তা না হলে ট্যুর এতদূর কোনোভাবেই এগিয়ে আসত না। যাক, মেসির কলকাতা না আসার গুঞ্জন বা আর্জেন্টিনার ট্যুর নিয়ে ভারতে যে বিতর্ক তৈরি হয়েছে তাতে যেন সাবেক বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের ঢাকা সফর বাতিল না হয়ে যায় তা দেখবার বিষয় রয়েছে। বাফুফের সঙ্গে যে চুক্তি হয়েছে তাতে নাকি উল্লেখ আছে, কোনো কারণে ট্যুর বাতিল হলে পুরো অর্থই ফিরিয়ে দেওয়া হবে। অর্থ না হয় ফিরে পাবে কিন্তু মেসিকে সামনে থেকে দেখার তো সুযোগ পাবে না।
No comments:
Post a Comment