আগের মতো এখন আর দেখা মিলে না দোয়েল পাখির। ঢাকা চিড়িয়াখানার সংগ্রহে এ পাখিটি আছে_পাওয়া যায়নি এমন তথ্যও। তাছাড়া চিড়িয়াখানার গাছগাছালিতে টানা কয়েক ঘণ্টা খোঁজ করেও দোয়েল নজরে পড়েনি। প্রকৃতির রাজ্য থেকে দোয়েল হারিয়ে যায় কি-না_ এমন আশঙ্কা বিশেষজ্ঞদের।
ধীরে ধীরে দুর্লভ পাখির তালিকায় স্থান পেতে যাচ্ছে দোয়েল। আগামীতে বইয়ের পাতায় অথবা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দোয়েল চত্বরে গিয়ে ইট-পাথরের দোয়েল পাখি দেখতে হবে। যে দোয়েল উড়বে না, পাখা ও লেজ নাড়বে না। চিড়িয়াখানার কিউরেটর এবিএম শহিদুল্লাহর দাবি একটি দোয়েল আছে তাদের সংগ্রহে। সেখানে বেশির ভাগ দোয়েল পাখির খাঁচায় শালিক দিয়ে পূর্ণ করে রাখা হয়েছে। অথচ কয়েক বছর আগেও চিড়িয়াখানায় এবং দেশের আনাচে-কানাচে, বন-জঙ্গলে দোয়েল পাখি দেখা যেত। সম্প্রতি কয়েকজন পাখিবিশারদ জাতীয় উদ্ভিদ উদ্যান বা বোটানিক্যাল গার্ডেনে অনেক খোঁজাখুঁজির পর এক জোড়া দোয়েলের দেখা পান। এ ঘটনায় হৈচৈ পড়ে যায়। তারা বলেছেন, পরিবেশের বৈরী আচরণ ও বনাঞ্চল নষ্ট হওয়ায় পাখিদের বিচরণ ক্ষেত্র নষ্ট হয়ে গেছে। পাশাপাশি একশ্রেণীর পাখি শিকারীর কারণে তাদের আবাসস্থল নষ্ট হচ্ছে। এ কারণে পাখিরা নিরাপদ স্থান হিসেবে পাহাড়ের ঢালে কিংবা ঘন জঙ্গলে আবাসস্থল গড়ে তুলছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. খোরশেদ আলম অবাক বিস্ময়ে জানালেন, জাতীয় পাখি দোয়েল বিলুপ্তির পথে_ এটি ভাবা যায় না। দোয়েলের বংশ বৃদ্ধি করতে হবে। প্রজনন ক্ষেত্র সৃষ্টি করতে হবে। সব কিছু সরকারের উদ্যোগেই করতে হবে। নতুবা বিলুপ্তির তালিকায় স্থান করে নেবে দোয়েল। অনেকে দোয়েলকে ভিআইপি পাখি বলেই চিনে, জানে। আকারে ছয় ইঞ্চি এই পাখিটির ওজন ১৮ থেকে ২০ গ্রাম হয়ে থাকে। দোয়েল বাংলাদেশের স্থায়ী বাসিন্দা। আদি নিবাস প্রতিবেশী রাষ্ট্র নেপালের হিমালয়ের পাদদেশ। পুরুষ পাখির পিঠ হালকা কালো ও সাদা রঙে আবৃত। পালকের রং গাড় কালো। পাখার মাঝে সাদা রেখা আছে। আর চোখের ওপর স্পষ্ট সাদা ভ্রূ রেখা। স্ত্রী পাখির শরীর পুরোটাই সাদামাঠা কালো পালকে মোড়া। হিমালয় পর্বতের দক্ষিণে ভারত ও বাংলাদেশ থেকে চীন পর্যন্ত দোয়েলের বিচরণ। গ্রীষ্মে পাহাড়ের ঢালে বা ঘন বন জঙ্গলে এ পাখি বাসা বাঁধে। এরা এক সঙ্গে তিন থেকে পাঁচটি ডিম পারে। তারা সমতল ভূমিতে এবং ঝোঁপঝাড়ের আড়ালে মাটিতে হেঁটে পোকামাকড় শিকার করে। বাঁশঝাড় ও এর আশপাশে এদের সন্তর্পণে হেঁটে বেড়াতে দেখা যায়। তবে মানুষের সমাগম হলেই অতি সতর্ক দোয়েল ঝোঁপের আড়ালে গা ঢাকা দেয়।
ধীরে ধীরে দুর্লভ পাখির তালিকায় স্থান পেতে যাচ্ছে দোয়েল। আগামীতে বইয়ের পাতায় অথবা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দোয়েল চত্বরে গিয়ে ইট-পাথরের দোয়েল পাখি দেখতে হবে। যে দোয়েল উড়বে না, পাখা ও লেজ নাড়বে না। চিড়িয়াখানার কিউরেটর এবিএম শহিদুল্লাহর দাবি একটি দোয়েল আছে তাদের সংগ্রহে। সেখানে বেশির ভাগ দোয়েল পাখির খাঁচায় শালিক দিয়ে পূর্ণ করে রাখা হয়েছে। অথচ কয়েক বছর আগেও চিড়িয়াখানায় এবং দেশের আনাচে-কানাচে, বন-জঙ্গলে দোয়েল পাখি দেখা যেত। সম্প্রতি কয়েকজন পাখিবিশারদ জাতীয় উদ্ভিদ উদ্যান বা বোটানিক্যাল গার্ডেনে অনেক খোঁজাখুঁজির পর এক জোড়া দোয়েলের দেখা পান। এ ঘটনায় হৈচৈ পড়ে যায়। তারা বলেছেন, পরিবেশের বৈরী আচরণ ও বনাঞ্চল নষ্ট হওয়ায় পাখিদের বিচরণ ক্ষেত্র নষ্ট হয়ে গেছে। পাশাপাশি একশ্রেণীর পাখি শিকারীর কারণে তাদের আবাসস্থল নষ্ট হচ্ছে। এ কারণে পাখিরা নিরাপদ স্থান হিসেবে পাহাড়ের ঢালে কিংবা ঘন জঙ্গলে আবাসস্থল গড়ে তুলছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. খোরশেদ আলম অবাক বিস্ময়ে জানালেন, জাতীয় পাখি দোয়েল বিলুপ্তির পথে_ এটি ভাবা যায় না। দোয়েলের বংশ বৃদ্ধি করতে হবে। প্রজনন ক্ষেত্র সৃষ্টি করতে হবে। সব কিছু সরকারের উদ্যোগেই করতে হবে। নতুবা বিলুপ্তির তালিকায় স্থান করে নেবে দোয়েল। অনেকে দোয়েলকে ভিআইপি পাখি বলেই চিনে, জানে। আকারে ছয় ইঞ্চি এই পাখিটির ওজন ১৮ থেকে ২০ গ্রাম হয়ে থাকে। দোয়েল বাংলাদেশের স্থায়ী বাসিন্দা। আদি নিবাস প্রতিবেশী রাষ্ট্র নেপালের হিমালয়ের পাদদেশ। পুরুষ পাখির পিঠ হালকা কালো ও সাদা রঙে আবৃত। পালকের রং গাড় কালো। পাখার মাঝে সাদা রেখা আছে। আর চোখের ওপর স্পষ্ট সাদা ভ্রূ রেখা। স্ত্রী পাখির শরীর পুরোটাই সাদামাঠা কালো পালকে মোড়া। হিমালয় পর্বতের দক্ষিণে ভারত ও বাংলাদেশ থেকে চীন পর্যন্ত দোয়েলের বিচরণ। গ্রীষ্মে পাহাড়ের ঢালে বা ঘন বন জঙ্গলে এ পাখি বাসা বাঁধে। এরা এক সঙ্গে তিন থেকে পাঁচটি ডিম পারে। তারা সমতল ভূমিতে এবং ঝোঁপঝাড়ের আড়ালে মাটিতে হেঁটে পোকামাকড় শিকার করে। বাঁশঝাড় ও এর আশপাশে এদের সন্তর্পণে হেঁটে বেড়াতে দেখা যায়। তবে মানুষের সমাগম হলেই অতি সতর্ক দোয়েল ঝোঁপের আড়ালে গা ঢাকা দেয়।
No comments:
Post a Comment