কোচ জেমি সিডন্স দীর্ঘদিন বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের দায়িত্ব পালন করেছেন জাতীয় দলের কোচ মানেই সে খেলার সঙ্গে ভালোমতো জড়িয়ে যাওয়া। কোনটা ভালো বা খারাপ তা তিনি কাছে থেকেই দেখতে পান। জেমি ক্রিকেটারদের যেমন ধমক দিয়েছেন তেমনিভাবে কাছেও টেনেছেন। বিশ্বকাপ ছাড়াও বাংলাদেশ বেশ ক'টি ওয়ানডে বা টেস্ট সিরিজ খেলেছে সিডন্সের প্রশিক্ষণে। সাফল্যের পাশাপাশি ব্যর্থতাও এসেছে। মেয়াদ শেষ হওয়ার পর বিসিবি তার সঙ্গে নতুন আর চুক্তি করেনি। এ জন্য এখন নতুন মুখ খোঁজা হচ্ছে। ওয়েবসাইটে বিজ্ঞাপনও দেওয়া হয়েছে। যে কোনো মুহূর্তে নতুন কোচের সন্ধান মিলে যাবে। সিডন্স কোচ নেই বলে তিনি যে বাংলাদেশের ক্রিকেট নিয়ে কোনো কথা বলতে পারবেন না তাতো হতে পারে না। দেশি-বিদেশি মিডিয়া বাংলাদেশের ক্রিকেট সম্পর্কে তার কাছে অনেক কিছু জানতেই পারে।
নিজ দেশ অস্ট্রেলিয়াতে ফেরার পর গত বৃহস্পতিবার ক্রিক্রোনফোকে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে সিডন্স বাংলাদেশে তার দায়িত্ব পালনে অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরেছেন। বিশ্বকাপে আশানরূপ ফল না পেলেও তিনি সাকিবদের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন। তিনি বলেন, প্রকৃত নিয়মকানুন মেনে চললে বাংলাদেশের ক্রিকেট অনেক দূর এগিয়ে যেত। কিন্তু কিছু বাধা দলকে বিপর্যস্ত করে তুলছে। এর মধ্যে তিনি রাজনীতির প্রসঙ্গ ভালোভাবে টেনেছেন। সাক্ষাৎকারে সিডন্স স্পষ্ট করেই বলেছেন, বাংলাদেশের ক্রিকেট রাজনীতিমুক্ত নয়। কেন মুক্ত নয় এ নিয়ে সাবেক এ অস্ট্রেলীয় কোচ কোনো খোলাখুলি মন্তব্য করেননি। অথচ রাজনীতি শব্দটি শুনেই তেলেবেগুনে জ্বলে উঠেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড। বোর্ড সভাপতি আহম মুস্তফা কামাল ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেছেন, সিডন্সের এ ধরনের মন্তব্য কোনোভাবে মেনে নেওয়া যায় না। কারণ তিনি সভাপতি দায়িত্ব নেওয়ার পর ক্রিকেটে কোনো রাজনীতির ছোঁয়া লাগেনি। শুধু তাই নয় তিনি বলেন, সাবেক কোচ হিসেবে সিডন্স এ ধরনের আপত্তিকর কোনো মন্তব্য করতে পারেন কিনা আইসিসির সঙ্গে আলাপ করার কথা বলেছেন। যদি বিধি ভঙ্গ করে তাহলে অবশ্যই বাংলাদেশ সিডন্সের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে। এর আগে বিসিবির সভাপতি মনোনয়ন নিয়ে কমবেশি বিতর্ক উঠলেও মুস্তফা কামালের সময় কেউ কিন্তু টু-শব্দ করেননি। কারণ প্রকৃত ক্রিকেট সংগঠকের যে গুণাবলী থাকা দরকার তার পুরোটা ছিল তার ভেতর। অথচ সিডন্সের মন্তব্যকে কেন্দ্র করে বর্তমান বোর্ড সভাপতি যে বক্তব্য দিয়েছেন তাতে সচেতন ক্রীড়ামহল বিস্ময় না হয়ে পারেননি। কেননা কোনো কোচ যখন দায়িত্ব ছেড়ে দেন বা তাকে অব্যাহতি দেওয়া হয় তখন সংশ্লিষ্ট ফেডারেশন তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার হুমকি দিতে পারে কিনা। দায়িত্ব পালনের সময় বিধি নিষেধ থাকে। কিন্তু দায়িত্ব ছাড়ার পর সে তো স্বাধীন। যেকোনো মিডিয়াতে তিনি যে কোনো ধরনের সাক্ষাৎকার দিতে পারেন। এখন সিডন্স তার সাক্ষাৎকারে বাংলাদেশের ক্রিকেট নিয়ে নানা কথা বলতেই পারেন। এখানে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা উঠবে কেন? তছাড়া আহম মুস্তফার মতো জ্ঞানী সংগঠক কিভাবে বলেন, তিনি ব্যাপারটি নিয়ে আইসিসির সঙ্গে কথা বলবেন। তাছাড়া তিনি নিজে তো আইসিসির বড় পদে বসে আছেন। তার তো ভালোমতো জানা আছে আইসিসি সাক্ষাৎকারকে কেন্দ্র করে সাবেক কোনো কোচের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে পারে কিনা।
আর সিডন্স যে অভিযোগ তুলেছেন তা কি পুরোপুরি মিথ্যা। রাজনীতি কি ক্রিকেটের মধ্যে নেই। সংগঠকরা সব সময় বড় গলায় বলেন, ক্রীড়াঙ্গন রাজনীতিমুক্ত। বাস্তবে কি তাই। বাংলাদেশে প্রতিটি ফেডারেশনে তো রাজনীতি মহামারী আকারে ধারণ করেছে। যখন যে দল ক্ষমতায় থাকে তখন তাদেরই লোকদের দিয়ে ক্রীড়াঙ্গন শাসন করা হয়। আর ক্রিকেট যেহেতু সম্মান আসনে বসে গেছে সেখানে তো রাজনীতি আরও বেশি হয়। বোর্ড সভাপতি হয়তো নিরপেক্ষ থাকতে চাচ্ছেন। তারপরও কি ক্রিকেট রাজনীতির বাইরে থাকছে। সদ্য সমাপ্ত বিশ্বকাপ ক্রিকেটে বাংলাদেশে লোকাল আয়োজন কমিটির প্রধান দায়িত্বে যিনি ছিলেন, তার কি কোনো যোগ্যতা ছিল এত বড় দায়িত্ব পালনে। বর্তমান বোর্ডে তো আরও যোগ্য সংগঠক ছিলেন। তাদের পরিবর্তে অযোগ্য ও বিতর্কিত একজনকে লোকাল আয়োজন কমিটির চেয়ারম্যান করা হলো কিভাবে। এখানে কি রাজনীতির আশ্রয় নেওয়া হয়নি। তিনি আওয়ামী লীগের সঙ্গে সরাসরি জড়িত বলেই তো অন্য যোগ্য সংগঠকদের পাশ কাটানো হয়েছে। সত্যি কথা বলতে কি, বোর্ড সভাপতি নিজেই তার ওপর বিরক্ত ছিলেন। সিডন্স তো শুধু রাজনীতির কথা উচ্চারণ করেছেন। কিভাবে ক্রিকেটকে রাজনীতিকরণ করা হয়েছে তাতো বিস্তারিত খুলে বলেননি। এখন তার ওপর বোর্ড সভাপতি যেভাবে ক্ষেপেছেন তাতে আগামী কোনো সাক্ষাৎকারে সিডন্স যদি কিভাবে বাংলাদেশের ক্রিকেটে রাজনীতিকরণ করা হয়েছে তা তুলে ধরেন তখনতো মনে হয় কেঁচোর গর্ত থেকে সাপ বের হওয়ার আশঙ্কা থাকবে। বিশ্বকাপে দল গঠন নিয়েতো কম রাজনীতি করা হয়নি। বর্তমান বোর্ডের অনেক পরিচালকই তা স্বীকার করেছেন। সিডন্স সেই সব নোংরামি তুলে ধরলে বিশ্ব দরবারে ক্রিকেট বোর্ডের ইমেজ কি আর থাকবে। আকরাম, নান্নু, বাশারের মতো হাইপ্রোফাইল ক্রিকেটারদের নিয়ে নতুন সিলেকশন কমিটি গঠন হয়েছে। তারপরও অনেকে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন তারা স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারবে কিনা। কেননা বোর্ড বরাবরই দল গঠনে হস্তক্ষেপ করে থাকে। কে যোগ্য তা বড় নয়_আওয়ামী লীগ না বিএনপি সেটা গুরুত্ব দিয়ে অযোগ্যদের সুযোগ করে দেওয়া হয়। নতুন নির্বাচক কমিটি স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারবে কিনা যেখানে শঙ্কা প্রকাশ করা হচ্ছে সেখানে সিডন্স বললে দোষ কোথায়। ক্রিকেট অনেক দূর এগিয়েছে তারপরও আরও এগুতে পারত যদি না কর্মকর্তারা রাজনীতির পথ বেছে না নিতেন।
নিজ দেশ অস্ট্রেলিয়াতে ফেরার পর গত বৃহস্পতিবার ক্রিক্রোনফোকে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে সিডন্স বাংলাদেশে তার দায়িত্ব পালনে অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরেছেন। বিশ্বকাপে আশানরূপ ফল না পেলেও তিনি সাকিবদের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন। তিনি বলেন, প্রকৃত নিয়মকানুন মেনে চললে বাংলাদেশের ক্রিকেট অনেক দূর এগিয়ে যেত। কিন্তু কিছু বাধা দলকে বিপর্যস্ত করে তুলছে। এর মধ্যে তিনি রাজনীতির প্রসঙ্গ ভালোভাবে টেনেছেন। সাক্ষাৎকারে সিডন্স স্পষ্ট করেই বলেছেন, বাংলাদেশের ক্রিকেট রাজনীতিমুক্ত নয়। কেন মুক্ত নয় এ নিয়ে সাবেক এ অস্ট্রেলীয় কোচ কোনো খোলাখুলি মন্তব্য করেননি। অথচ রাজনীতি শব্দটি শুনেই তেলেবেগুনে জ্বলে উঠেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড। বোর্ড সভাপতি আহম মুস্তফা কামাল ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেছেন, সিডন্সের এ ধরনের মন্তব্য কোনোভাবে মেনে নেওয়া যায় না। কারণ তিনি সভাপতি দায়িত্ব নেওয়ার পর ক্রিকেটে কোনো রাজনীতির ছোঁয়া লাগেনি। শুধু তাই নয় তিনি বলেন, সাবেক কোচ হিসেবে সিডন্স এ ধরনের আপত্তিকর কোনো মন্তব্য করতে পারেন কিনা আইসিসির সঙ্গে আলাপ করার কথা বলেছেন। যদি বিধি ভঙ্গ করে তাহলে অবশ্যই বাংলাদেশ সিডন্সের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে। এর আগে বিসিবির সভাপতি মনোনয়ন নিয়ে কমবেশি বিতর্ক উঠলেও মুস্তফা কামালের সময় কেউ কিন্তু টু-শব্দ করেননি। কারণ প্রকৃত ক্রিকেট সংগঠকের যে গুণাবলী থাকা দরকার তার পুরোটা ছিল তার ভেতর। অথচ সিডন্সের মন্তব্যকে কেন্দ্র করে বর্তমান বোর্ড সভাপতি যে বক্তব্য দিয়েছেন তাতে সচেতন ক্রীড়ামহল বিস্ময় না হয়ে পারেননি। কেননা কোনো কোচ যখন দায়িত্ব ছেড়ে দেন বা তাকে অব্যাহতি দেওয়া হয় তখন সংশ্লিষ্ট ফেডারেশন তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার হুমকি দিতে পারে কিনা। দায়িত্ব পালনের সময় বিধি নিষেধ থাকে। কিন্তু দায়িত্ব ছাড়ার পর সে তো স্বাধীন। যেকোনো মিডিয়াতে তিনি যে কোনো ধরনের সাক্ষাৎকার দিতে পারেন। এখন সিডন্স তার সাক্ষাৎকারে বাংলাদেশের ক্রিকেট নিয়ে নানা কথা বলতেই পারেন। এখানে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা উঠবে কেন? তছাড়া আহম মুস্তফার মতো জ্ঞানী সংগঠক কিভাবে বলেন, তিনি ব্যাপারটি নিয়ে আইসিসির সঙ্গে কথা বলবেন। তাছাড়া তিনি নিজে তো আইসিসির বড় পদে বসে আছেন। তার তো ভালোমতো জানা আছে আইসিসি সাক্ষাৎকারকে কেন্দ্র করে সাবেক কোনো কোচের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে পারে কিনা।
আর সিডন্স যে অভিযোগ তুলেছেন তা কি পুরোপুরি মিথ্যা। রাজনীতি কি ক্রিকেটের মধ্যে নেই। সংগঠকরা সব সময় বড় গলায় বলেন, ক্রীড়াঙ্গন রাজনীতিমুক্ত। বাস্তবে কি তাই। বাংলাদেশে প্রতিটি ফেডারেশনে তো রাজনীতি মহামারী আকারে ধারণ করেছে। যখন যে দল ক্ষমতায় থাকে তখন তাদেরই লোকদের দিয়ে ক্রীড়াঙ্গন শাসন করা হয়। আর ক্রিকেট যেহেতু সম্মান আসনে বসে গেছে সেখানে তো রাজনীতি আরও বেশি হয়। বোর্ড সভাপতি হয়তো নিরপেক্ষ থাকতে চাচ্ছেন। তারপরও কি ক্রিকেট রাজনীতির বাইরে থাকছে। সদ্য সমাপ্ত বিশ্বকাপ ক্রিকেটে বাংলাদেশে লোকাল আয়োজন কমিটির প্রধান দায়িত্বে যিনি ছিলেন, তার কি কোনো যোগ্যতা ছিল এত বড় দায়িত্ব পালনে। বর্তমান বোর্ডে তো আরও যোগ্য সংগঠক ছিলেন। তাদের পরিবর্তে অযোগ্য ও বিতর্কিত একজনকে লোকাল আয়োজন কমিটির চেয়ারম্যান করা হলো কিভাবে। এখানে কি রাজনীতির আশ্রয় নেওয়া হয়নি। তিনি আওয়ামী লীগের সঙ্গে সরাসরি জড়িত বলেই তো অন্য যোগ্য সংগঠকদের পাশ কাটানো হয়েছে। সত্যি কথা বলতে কি, বোর্ড সভাপতি নিজেই তার ওপর বিরক্ত ছিলেন। সিডন্স তো শুধু রাজনীতির কথা উচ্চারণ করেছেন। কিভাবে ক্রিকেটকে রাজনীতিকরণ করা হয়েছে তাতো বিস্তারিত খুলে বলেননি। এখন তার ওপর বোর্ড সভাপতি যেভাবে ক্ষেপেছেন তাতে আগামী কোনো সাক্ষাৎকারে সিডন্স যদি কিভাবে বাংলাদেশের ক্রিকেটে রাজনীতিকরণ করা হয়েছে তা তুলে ধরেন তখনতো মনে হয় কেঁচোর গর্ত থেকে সাপ বের হওয়ার আশঙ্কা থাকবে। বিশ্বকাপে দল গঠন নিয়েতো কম রাজনীতি করা হয়নি। বর্তমান বোর্ডের অনেক পরিচালকই তা স্বীকার করেছেন। সিডন্স সেই সব নোংরামি তুলে ধরলে বিশ্ব দরবারে ক্রিকেট বোর্ডের ইমেজ কি আর থাকবে। আকরাম, নান্নু, বাশারের মতো হাইপ্রোফাইল ক্রিকেটারদের নিয়ে নতুন সিলেকশন কমিটি গঠন হয়েছে। তারপরও অনেকে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন তারা স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারবে কিনা। কেননা বোর্ড বরাবরই দল গঠনে হস্তক্ষেপ করে থাকে। কে যোগ্য তা বড় নয়_আওয়ামী লীগ না বিএনপি সেটা গুরুত্ব দিয়ে অযোগ্যদের সুযোগ করে দেওয়া হয়। নতুন নির্বাচক কমিটি স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারবে কিনা যেখানে শঙ্কা প্রকাশ করা হচ্ছে সেখানে সিডন্স বললে দোষ কোথায়। ক্রিকেট অনেক দূর এগিয়েছে তারপরও আরও এগুতে পারত যদি না কর্মকর্তারা রাজনীতির পথ বেছে না নিতেন।
No comments:
Post a Comment