আকর্ণ বিস্তৃত হাসি দিয়ে আবদুল করিম মাস্টার জানালেন, তার ছোট্ট বাগান থেকে এরই মধ্যে ৫০ হাজার টাকার লিচু বিক্রি হয়েছে, বাগানে এখনো যে লিচু আছে তাতে পাওয়া যাবে অন্তত আরও ২০ হাজার টাকা। একই রকম হাসিমুখে শ্রীরামপুর গ্রামের শান্তি বেগম বললেন, তার ২০টি গাছের ছোট্ট বাগান থেকে লিচু বিক্রি করে যা পাওয়া যাবে তাতে তার বছরের সংসার খরচ উঠে আসবে। আবদুল করিম মাস্টার, শান্তি বেগম ছাড়াও আক্কাস আলী, নাজমুল ইসলাম, ইউসুফ আলীসহ জামালপুরের লিচু গ্রাম বলে খ্যাত শ্রীরামপুর, রঘুনাথপুর, রাঙ্গা মাটিয়াসহ আশপাশের গ্রামের প্রায় সব লিচু বাগান মালিকের মুখে এখন এমনই সাফল্যের হাসি। জামালপুর সদরের শ্রীরামপুর, রঘুনাথপুর, রাঙ্গামাটিয়াসহ আশপাশের গ্রামে ঢুকলেই চোখে পড়বে বাড়ির উঠোন, আঙিনা আর ছোট ছোট বাগান ভরে উঠেছে লাল টসটসে রসালো লিচুতে। প্রতিটি গাছে থোকায় থোকায় ঝুলছে পাকা লিচু। ইতিমধ্যে এসব গ্রামের লিচু বাজারে উঠতে শুরু করেছে। লিচু চাষিরা জানিয়েছেন, শুরুতে ঝড়-বৃষ্টিতে কিছু ক্ষতি হলেও এবার ফলন হয়েছে গত বছরের চেয়ে অনেক ভালো। তাছাড়া বাজারে লিচুর দামও এবার বেশি। প্রতিবারের মতো এবারও স্থানীয় বাজার ছাড়াও এখানকার লিচু যাচ্ছে আশপাশের জেলাগুলোতে। গত বছর পাইকারি হিসাবে প্রতি হাজার লিচু বিক্রি হয়েছিল ৮০০ থেকে ১০০০ টাকা। এবার প্রতি হাজার লিচু বিক্রি হচ্ছে ১৩০০ থেকে ১৪০০ টাকায়। তাই খরচ পুষিয়ে এবার দুপয়সা ঘরে তোলার আশা করছে এসব গ্রামের লিচু চাষিরা।
No comments:
Post a Comment