পরিবারের বাইরে গিয়েই জঙ্গি সংগঠন আল-কায়েদার শীর্ষ নেতায় পরিণত হন ওসামা বিন লাদেন। সৌদি আরবে ১৯৫৭ সালে তার জন্ম। ধনকুবের মুহাম্মদ বিন লাদেনের ৫০ সন্তানের একজন তিনি। ১৭ বছর বয়সে ওসামা প্রথমবারের মতো দূরসম্পর্কের এক সিরীয় বোনকে বিয়ে করেন। এরপর তিনি আরও চারটি বিয়ে করেন। তার কমপক্ষে ২৩ জন সন্তানের কথা জানা যায়। খবর রয়টার্স, বিবিসি ও আল-জাজিরা। মুসলমানরা যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে সন্ত্রাসবাদের শিকার হচ্ছে বলে বিশ্বাস করতেন ওসামা। যদিও এর আগে তিনি ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম সহযোগী। যুক্তরাষ্ট্রের অর্থায়নে ১৯৮০ এর দশকে আফগানিস্তানে সোভিয়েত বাহিনীর বিরুদ্ধে জঙ্গি তৎপরতায় অংশ নেন ওসামা।
১৯৯০ এর দশকে আফ্রিকা ও মধ্যপ্রাচ্যে বিভিন্ন মার্কিন স্থাপনায় হামলার পরিকল্পনাকারী হিসেবে অভিযুক্ত ছিলেন তিনি। এরপর তাকে পরিবার থেকে ত্যাজ্য করা হয়, বাতিল হয় সৌদি আরবের নাগরিকত্বও। ওই সময়ই আল-কায়েদা গঠন করেন তিনি। নব্বইয়ের দশকে তিনি আবার আফগানিস্তানে ফিরে আসেন। এখানে তালেবান শাসনের ছত্রছায়ায় বিভিন্ন ক্যাম্পে সারা বিশ্ব থেকে আসা ইসলামী জঙ্গিদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার কাজ চালিয়ে যান তিনি। ১৯৯৮ সালে পূর্ব আফ্রিকায় যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাসে বোমা হামলার পর আফগানিস্তানের ক্যাম্পে যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় অক্ষত ছিলেন ওসামা। ২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর যুক্তরাষ্ট্রে বিশ্ব বাণিজ্য কেন্দ্র ও পেন্টাগনে হামলায় প্রায় তিন হাজার মানুষ নিহত হন। লাদেন এ হামলার দায় স্বীকার করেন। তিনি গোপন স্থান থেকে এক বক্তব্যে বলেন, এ হামলা তার প্রত্যাশা ছাড়িয়ে গেছে। এরপর গত এক দশক ধরে লাদেনকে ধরতে পৃথিবীর সবচেয়ে বড় অভিযান চলেছে। ধরিয়ে দিলে আড়াই কোটি ডলার পুরস্কারের খাঁড়া মাথায় নিয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর চোখে ধুলো দিয়ে ছিলেন ওসামা।
২০০৯ সালের ডিসেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা জানান, লাদেনের অবস্থান ও কার্যক্রম সম্পর্কেও তাদের কাছে কোনো তথ্য নেই। ২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বরের ঘটনার পরে বিন লাদেন ও আল-কায়েদার দ্বিতীয় প্রধান আইমান আল-জাওয়াহিরির বক্তব্যসহ ৬০টির বেশি ভিডিও প্রকাশিত হয়, যাতে যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন দেশে আরও ভয়াবহ হামলার হুমকি দেওয়া হয়।
১৯৯০ এর দশকে আফ্রিকা ও মধ্যপ্রাচ্যে বিভিন্ন মার্কিন স্থাপনায় হামলার পরিকল্পনাকারী হিসেবে অভিযুক্ত ছিলেন তিনি। এরপর তাকে পরিবার থেকে ত্যাজ্য করা হয়, বাতিল হয় সৌদি আরবের নাগরিকত্বও। ওই সময়ই আল-কায়েদা গঠন করেন তিনি। নব্বইয়ের দশকে তিনি আবার আফগানিস্তানে ফিরে আসেন। এখানে তালেবান শাসনের ছত্রছায়ায় বিভিন্ন ক্যাম্পে সারা বিশ্ব থেকে আসা ইসলামী জঙ্গিদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার কাজ চালিয়ে যান তিনি। ১৯৯৮ সালে পূর্ব আফ্রিকায় যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাসে বোমা হামলার পর আফগানিস্তানের ক্যাম্পে যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় অক্ষত ছিলেন ওসামা। ২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর যুক্তরাষ্ট্রে বিশ্ব বাণিজ্য কেন্দ্র ও পেন্টাগনে হামলায় প্রায় তিন হাজার মানুষ নিহত হন। লাদেন এ হামলার দায় স্বীকার করেন। তিনি গোপন স্থান থেকে এক বক্তব্যে বলেন, এ হামলা তার প্রত্যাশা ছাড়িয়ে গেছে। এরপর গত এক দশক ধরে লাদেনকে ধরতে পৃথিবীর সবচেয়ে বড় অভিযান চলেছে। ধরিয়ে দিলে আড়াই কোটি ডলার পুরস্কারের খাঁড়া মাথায় নিয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর চোখে ধুলো দিয়ে ছিলেন ওসামা।
২০০৯ সালের ডিসেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা জানান, লাদেনের অবস্থান ও কার্যক্রম সম্পর্কেও তাদের কাছে কোনো তথ্য নেই। ২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বরের ঘটনার পরে বিন লাদেন ও আল-কায়েদার দ্বিতীয় প্রধান আইমান আল-জাওয়াহিরির বক্তব্যসহ ৬০টির বেশি ভিডিও প্রকাশিত হয়, যাতে যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন দেশে আরও ভয়াবহ হামলার হুমকি দেওয়া হয়।
No comments:
Post a Comment