উইলিয়াম-কেট দম্পতির মধুচন্দ্রিমার দিকে এখন সবার চোখ। এই সেদিন শুক্রবার সম্পন্ন হলো তাদের ঐতিহাসিক বিয়ে। এমন রাজকীয় এক বিয়ের পর সবার প্রশ্ন, কোথায় কাটাবেন একান্ত সময় এ দম্পতি?
মধুচন্দ্রিমায় উইলিয়াম-কেট দম্পতি যাবেন এতে সন্দেহ নেই। কারণ, আগেই বলা হয়েছে বিয়ের পর ঠিক হবে কোথায় কাটাবেন তারা মধুচন্দ্রিমা। সে অনুযায়ী গতকাল এ সিদ্ধান্ত পাকাপোক্ত হওয়ার কথা। তবে এ ক্ষেত্রে নাকি কেটের প্রস্তাবিত স্থানকেই গুরুত্ব দেবেন প্রিন্স উইলিয়াম। দীর্ঘ ১০ বছর টানা প্রণয়ের পর উইলিয়ামের সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধেছেন কেট। রানী এলিজাবেথও তাদের এ ভালোবাসার মূল্য দিয়েছেন যথাযথ। অথচ উইলিয়ামের মা-বাবা প্রিন্সেস ডায়ানা আর প্রিন্স চার্লসের ক্ষেত্রে চিত্রটা ছিল পুরোপুরি ভিন্ন। তাদের অনেক দিনের ভালোবাসার পরিণতিটা যদিও আনুষ্ঠানিক বিয়েতে রূপ নেয়, কিন্তু এ ভালোবাসাকে প্রথম দিকে মেনে নিতে পারেননি রানী এলিজাবেথ। সেদিক দিয়ে উইলিয়াম-কেটের ভাগ্যটা ভালোই বলা চলে। বিয়ের আগের যে অধ্যায়, তাতে লুকিয়ে-চুরিয়ে বিভিন্ন জায়গায় সময়ও কাটিয়েছেন তারা। তাই বলে তা তো আর মধুচন্দ্রিমা নয়। তাই মধুচন্দ্রিমার আনন্দ থেকে নিজেকে বঞ্চিত করতে চান না দুজনের কেউ। সে অনুযায়ী কোথায় মধুচন্দ্রিমায় একান্তে সময় কাটানো যায়, এ নিয়ে নিজেদের মধ্যে কথাও হয়েছে। তবে সময়টা যেখানেই কাটান না কেন, তা হতে হবে কোনো একটা দ্বীপ। তাও আবার হতে হবে নির্জন। নতুন কোনো সিদ্ধান্ত না হলে জায়গাটি হতে পারে সিসিলি, কেনিয়া বা ওয়েস্ট ইন্ডিজের মুজতিক দ্বীপ। অবশ্য তালিকায় আছে আরও নাম_অস্ট্রেলিয়ার গ্রেট ব্যারিয়ার রিফ এলাকার দ্বীপ এলাকা, গ্রিসের কোর্ফু দ্বীপ, তাসকানের অবকাশ যাপন কেন্দ্র এবং নিজ দেশেরই দক্ষিণ-পশ্চিম উপকূলের সিলি দ্বীপপুঞ্জ। কোথায় মধুচন্দ্রিমায় যাবেন এ নিয়ে ঔৎসুক্যের শেষ নেই মানুষের মধ্যে। বাজিকররা এ নিয়ে ধরেছেন বাজিও। এরই মধ্যে তারা মুজতিককে শীর্ষ পছন্দ ধরে বাজির খাতা খুলেছেন। এর পরই রয়েছে জর্ডান, সিসিলি ও অস্ট্রেলিয়ার নাম। ব্রিটেনের ইতিহাসে ৩০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে জাঁকজমকপূর্ণ আনুষ্ঠানিকতায় শুক্রবার উইলিয়াম স্ত্রী হিসেবে বরণ করে নেন বান্ধবী কেট মিডলটনকে। মধুচন্দ্রিমার বিষয়টি সুরাহা হলে ফলাফল হয়ে যাবে বাজিকরদের মধ্যেও। তাই তো অনেক বাজিকরেরই ঘুম হারাম হয়ে গেছে এ নিয়ে। কারণ এখনো যে মধুচন্দ্রিমার বিষয়টি খোলামেলা হয়নি। তবে যা-ই ঘটুক, গণমাধ্যম যেন পিছু ছাড়ছে না কেট-উইলিয়ামকে। তাদের প্রতি গণমাধ্যমের এমন আগ্রহ মনে করিয়ে দেয় প্রিন্সেস ডায়ানার কথা। কারণ এর চেয়েও খানিকটা বেশিই গণমাধ্যমের আগ্রহ ছিল তার প্রতি। ব্রিটিশ রাজপরিবারের সাড়ে ৩০০ বছরের ইতিহাসে রাজবধূদের মধ্যে কেট মিডলটন সবচেয়ে সৌভাগ্যশালী। কারণ তিনিই প্রথম নারী, যিনি রাজপরিবারে জায়গা করে নিয়েছেন একেবারে সাধারণ এক পরিবার থেকে। আর শুধু এ জন্যই নাকি ব্রিটিশদের কাছে জনপ্রিয়তা বেড়েছে প্রিন্স উইলিয়ামের। অবশ্য প্রিন্সেস ডায়ানাও এসেছিলেন সাধারণ পরিবার থেকেই। তবে ব্রিটেনে তাদের পরিবারের ছিল আলাদা আভিজাত্য। যত সাধারণ পরিবার থেকেই কেট আসুন না কেন, তিনি যে এখন রাজপরিবারের অংশ। আর এমন একটি বিয়েতে মধুচন্দ্রিমা থাকবে না, তা কি হয়? তাই তো বিশ্বের নজর এখন সেদিকেই। দেখা যাক কবে আসে সেই শুভক্ষণ। সূত্র : স্কাইনিউজ ও বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডট কম।
No comments:
Post a Comment