মারাত্মক ঝুঁকির মধ্যে মেঘনা ও মেঘনা-গোমতী সেতু দুটি। মেঘনা সেতুর ৫ ও ১০নং পিলারের (পেয়ার) চারপাশ থেকে মাটি সরে গিয়ে নদীতে গভীর গর্তের (স্কার) সৃষ্টি হয়েছে। এ ছাড়া মেঘনা ও মেঘনা-গোমতী সেতুর ওপরের কংক্রিটের পাটাতনকে (ডেক বা উপরিভাগ) সংযুক্তির জন্য পিলারগুলোর (পেয়ার) ওপরে বসানো রাবারের বিয়ারিংও অতিরিক্ত যানবাহন চলাচলের কারণে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। দুটি সেতুর উপরিভাগই (ডেক) অনেক ক্ষেত্রে ক্ষয় হয়ে গেছে। নদী শাসন ছাড়াই এ দুটি সেতু নির্মিত হওয়ায় বন্যার কারণে নদীর তীর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
সড়কপথে রাজধানীর সঙ্গে বন্দরনগরী চট্টগ্রামের সরাসরি সংযোগে মেঘনা এবং মেঘনা-গোমতীর কোনো বিকল্প নেই। ফলে গুরুত্বপূর্ণ এ সেতু দুটির মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থা ঢাকা-চট্টগ্রামের সরাসরি যোগাযোগকে ঝুঁকিপূর্ণ করে তুলেছে। এটা যে কতটা গণদুর্ভোগের কারণ হতে পারে তা ২০০৮ সালের মে-জুন মাসে যাত্রী সাধারণ হাড়ে হাড়ে টের পেয়েছিল। সে সময় দাউদকান্দি প্রান্তে মেঘনা-গোমতী সেতুতে যান চলাচল বন্ধ রেখে এবং কখনো একপাশ দিয়ে যান চলাচলের সুযোগ দিয়ে সেতুর এক্সপানশন জয়েন্ট মেরামত-প্রতিস্থাপন করা হয়। কিন্তু এবার দুটি সেতুরই বড় ধরনের মেরামত কাজ করতে হবে। তবে অর্থাভাবে এ কাজ এক বছরেরও বেশি সময় বিলম্বিত হয়েছে। এখন জাপানের আন্তর্জাতিক সহযোগিতা সংস্থার (জাইকা) কাছে এ জন্য পৌনে ২শ কোটি টাকা চাওয়া হবে। এ জন্য একটি উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাব (ডিপিপি) তৈরি করা হলেও তা অনুমোদিত হয়নি। ১৯৯১ সালে ৯০৩ মিটার মেঘনা সেতু এবং ১৯৯৫ সালে ১৪১০ মিটার দীর্ঘ মেঘনা-গোমতী সেতু যান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করা হয়। টপোগ্রাফিক সার্ভে ও কন্ডিশন সার্ভে পরিচালনার মাধ্যমে সেতুর অবস্থা সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করা হয়। প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী সেতু দুটি ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় ঝুঁকির ব্যাপকতা নির্ণয় ও একে যান চলাচলের জন্য নিরাপদ করতে গত বছরের এপ্রিলে একটি পরামর্শক সংস্থা নিয়োগ করা হয়। পরামর্শক সংস্থার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সেতু দুটিতে অতিরিক্ত যান চলাচলের কারণে ব্রিজ ডেকের হিন্স বিয়ারিং ও এক্সপানশন জয়েন্ট সিস্টেম মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ইতিপূর্বে বন্যার কারণে নদীর তীর ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় সেতুর ৫ ও ১০নং পিলারের চারদিকে গভীর গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এ ছাড়া সেতু দুটির উপরিভাগই অনেক ক্ষেত্রে ক্ষয় হয়েছে। পরামর্শক সংস্থা সেতু দুটিকে ঝুঁকিমুক্ত করার জন্য কয়েকটি কার্যক্রম চিহ্নিত করেছে। ব্যয় ধরা হয়েছে ১৮১ কোটি ৮২ লাখ টাকা। এ জন্য মেঘনা ও মেঘনা-গোমতী সেতুর পুনর্বাসন নামে একটি উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাব (ডিপিপি) প্রণয়ন করা হয়েছে। গত ৩ মে সড়ক ও রেলপথ বিভাগের সচিবের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এক সভায় প্রকল্প প্রস্তাব থেকে কিছু অপ্রয়োজনীয় ব্যয় বাদ দিয়ে ১৭০ কোটি ৭০ লাখ ৬০ হাজার টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
সড়কপথে রাজধানীর সঙ্গে বন্দরনগরী চট্টগ্রামের সরাসরি সংযোগে মেঘনা এবং মেঘনা-গোমতীর কোনো বিকল্প নেই। ফলে গুরুত্বপূর্ণ এ সেতু দুটির মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থা ঢাকা-চট্টগ্রামের সরাসরি যোগাযোগকে ঝুঁকিপূর্ণ করে তুলেছে। এটা যে কতটা গণদুর্ভোগের কারণ হতে পারে তা ২০০৮ সালের মে-জুন মাসে যাত্রী সাধারণ হাড়ে হাড়ে টের পেয়েছিল। সে সময় দাউদকান্দি প্রান্তে মেঘনা-গোমতী সেতুতে যান চলাচল বন্ধ রেখে এবং কখনো একপাশ দিয়ে যান চলাচলের সুযোগ দিয়ে সেতুর এক্সপানশন জয়েন্ট মেরামত-প্রতিস্থাপন করা হয়। কিন্তু এবার দুটি সেতুরই বড় ধরনের মেরামত কাজ করতে হবে। তবে অর্থাভাবে এ কাজ এক বছরেরও বেশি সময় বিলম্বিত হয়েছে। এখন জাপানের আন্তর্জাতিক সহযোগিতা সংস্থার (জাইকা) কাছে এ জন্য পৌনে ২শ কোটি টাকা চাওয়া হবে। এ জন্য একটি উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাব (ডিপিপি) তৈরি করা হলেও তা অনুমোদিত হয়নি। ১৯৯১ সালে ৯০৩ মিটার মেঘনা সেতু এবং ১৯৯৫ সালে ১৪১০ মিটার দীর্ঘ মেঘনা-গোমতী সেতু যান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করা হয়। টপোগ্রাফিক সার্ভে ও কন্ডিশন সার্ভে পরিচালনার মাধ্যমে সেতুর অবস্থা সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করা হয়। প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী সেতু দুটি ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় ঝুঁকির ব্যাপকতা নির্ণয় ও একে যান চলাচলের জন্য নিরাপদ করতে গত বছরের এপ্রিলে একটি পরামর্শক সংস্থা নিয়োগ করা হয়। পরামর্শক সংস্থার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সেতু দুটিতে অতিরিক্ত যান চলাচলের কারণে ব্রিজ ডেকের হিন্স বিয়ারিং ও এক্সপানশন জয়েন্ট সিস্টেম মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ইতিপূর্বে বন্যার কারণে নদীর তীর ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় সেতুর ৫ ও ১০নং পিলারের চারদিকে গভীর গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এ ছাড়া সেতু দুটির উপরিভাগই অনেক ক্ষেত্রে ক্ষয় হয়েছে। পরামর্শক সংস্থা সেতু দুটিকে ঝুঁকিমুক্ত করার জন্য কয়েকটি কার্যক্রম চিহ্নিত করেছে। ব্যয় ধরা হয়েছে ১৮১ কোটি ৮২ লাখ টাকা। এ জন্য মেঘনা ও মেঘনা-গোমতী সেতুর পুনর্বাসন নামে একটি উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাব (ডিপিপি) প্রণয়ন করা হয়েছে। গত ৩ মে সড়ক ও রেলপথ বিভাগের সচিবের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এক সভায় প্রকল্প প্রস্তাব থেকে কিছু অপ্রয়োজনীয় ব্যয় বাদ দিয়ে ১৭০ কোটি ৭০ লাখ ৬০ হাজার টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
No comments:
Post a Comment