Sunday, March 31, 2013
বোমায় কবজি উড়ে গেল পুলিশের
রাজশাহীতে আজ রোববার সকালে সংঘর্ষের সময় জামায়াত-শিবিরের বোমা হামলায় পুলিশের এক উপপরিদর্শকের (এসআই) হাতের কবজি উড়ে গেছে। তাঁকে প্রথমে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিত্সা দেওয়া হয়। পরে হেলিকপ্টারে করে ঢাকায় পঙ্গু হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। সংঘর্ষে পুলিশের আরও ছয় সদস্যসহ অন্তত ৩২ জন আহত হয়েছে।
আহত এসআইয়ের নাম মকবুল হোসেন (২১)। তিনি রাজশাহী মহানগরের মতিহার থানার একজন শিক্ষানবিশ এসআই। প্রশিক্ষণ শেষ করে মাস খানেক আগে তিনি এই থানায় যোগ দেন। তাঁর বাবা আনসার আলী রাজশাহী মহানগর পুলিশের হাবিলদার (নিরস্ত্র) হিসেবে কর্মরত। তাঁর বাড়ি সিরাজগঞ্জে।
পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, জামায়াত-শিবিরের ছোড়া বোমার আঘাতে মকবুলের হাতের কবজি উড়ে গেছে। আর ছাত্রশিবিরের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, নিজেদের গ্রেনেড ছুড়তে গিয়ে পুলিশের ওই সদস্য আহত হয়েছেন।
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অর্থোপেডিক সার্জারি বিভাগের চিকিত্সক বি কে দাম প্রথম আলো ডটকমকে বলেন, মকবুল হোসেনের ডান হাতের কবজি ও বাম হাতের তিনটি আঙুল উড়ে গেছে। বাম হাতের বাকি দুটি আঙুলও ক্ষতবিক্ষত হয়েছে। তাঁর শরীরের বিভিন্ন স্থান থেকে বোমার বেশ কিছু স্প্লিন্টার বের করা হয়েছে।
চিকিত্সক বি কে দাম আরও জানান, স্বাস্থ্যমন্ত্রী আ ফ ম রুহুল হক ফোন করে মকবুল হোসেনের চিকিত্সার খোঁজ নেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে তাঁকে উন্নত চিকিত্সার জন্য দ্রুত হেলিকপ্টারে করে ঢাকায় পঙ্গু হাসপাতালে পাঠানো হয়।
মকবুল হোসেন চিকিত্সকদের জানিয়েছেন, তাঁর মাথা বরাবর বোমাটি আসছিল। তিনি মাথা বাঁচাতে দুই হাত দিয়ে সেটি ঠেকানোর চেষ্টা করেন। তখনই এই দুর্ঘটনা ঘটে।
মকবুল হোসেনের বাবা আনসার আলী ছেলের সঙ্গে ঢাকায় যান। মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ছেলে তাঁর সঙ্গে কোনো কথা বলেননি। শুধু কয়েকবার চোখে মেলে তাকিয়েছেন। তবে ছেলের একজন সহকর্মী তাঁকে (আনসার) জানিয়েছেন, স্যার (মকবুল) মাথা বাঁচাতে দুই হাত দিয়ে বোমা ঠেকাতে গিয়েছিলেন।
এ ছাড়া সংঘর্ষের ঘটনায় গুরুতর আহত পুলিশের দাঙ্গা দমন বিভাগের (আরসিডি) কনস্টেবল রফিকুল ইসলামকে (২২) হাসপাতালের ৩১ নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছে। বোমার আঘাতে তাঁর বাম হাতের কুনুই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তাঁর অস্ত্রোপচার করা হয়েছে। তিনি এখন শঙ্কামুক্ত। আহত অন্য পুলিশ সদস্যরা প্রাথমিক চিকিত্সা নিয়েছেন।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, আজ সকাল সাড়ে ১০টার দিকে নগরের বাটারমোড় এলাকায় জামায়াত-শিবিরের প্রায় ৩০০ নেতা-কর্মী মিছিল বের করেন। তাঁরা আমান ট্রেডিং করপোরেশনের সামনে এসে ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটান। পুলিশ তাঁদের ধাওয়া দিতে গেলে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। জামায়াত-শিবিরের কর্মীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল, ককটেল ও হাত বোমা ছুড়তে থাকেন। পুলিশও পাল্টা রাবারের গুলি, সাউন্ড গ্রেনেড ও কাঁদানে গ্যাসের শেল নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে। একপর্যায়ে সংঘর্ষ রানীবাজার এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে।
রানীবাজারের মোমিন সাইকেল স্টোরের স্বত্বাধিকারী সাজ্জাদ হোসেন বলেন, ১০ থেকে ১২ মিনিট এমন তুমুল সংঘর্ষ হয়েছে যে তাঁরা বোমা আর সাউন্ড গ্রেনেডের বিকট শব্দে কিছু শুনতে পাননি। ধোঁয়ায় কিছু দেখাও যাচ্ছিল না। তাঁর দোকানের সামনে একটি বোমার বিস্ফোরণ ঘটেছে। অল্পের জন্য তিনি প্রাণে বেঁচে গেছেন। তিনি বলেন, ২১ বছর ধরে তিনি এই এলাকায় ব্যবসা করছেন। এমন ভয়ানক সংঘর্ষ কোনোদিন দেখেননি। তিনি জানান, জামায়াত-শিবিরের কর্মীদের হাতে বাটুলও দেখা গেছে।
বাজারের মারুফ ইলেকট্রনিকসের স্বত্বাধিকারী ইসা শেখ বলেন, সংঘর্ষ এত দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে যে তিনি দোকানের পুরো শার্টারও নামাতে পারেননি। দোকানের ভেতরে দাঁড়িয়েই একজনের আর্তনাদ শুনেছেন তিনি। সংঘর্ষ থেমে গেলে বাইরে গিয়ে তিনি রাস্তায় রক্ত ও মাংস ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকতে দেখেন।
রাজশাহী মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আলমগীর হোসেন বলেন, পুলিশ যে সাউন্ড গ্রেনেড ও কাঁদানে গ্যাসের শেল ব্যবহার করে, তাতে কেউ আহত হয় না। শিবিরের শক্তিশালী বোমার আঘাতেই পুলিশ আহত হয়েছেন।
আর এ ব্যাপারে শিবিরের রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখার প্রচার সম্পাদক মহসিন আলম মুঠোফোনে প্রথম আলো ডটকমের কাছে দাবি করেন, শিবিরের কাছে হাত উড়িয়ে দেওয়ার মতো কোনো অস্ত্র নেই। নিজের গ্রেনেড ছুড়তে গিয়েই পুলিশ আহত হয়েছে।
CLICK THIS PIC :
রেকর্ড শিরোপা সেরেনার
২০০২, ২০০৩, ২০০৪, ২০০৭, ২০০৮ সালের পর এবার ২০১৩। রেকর্ড ষষ্ঠবারের মতো
মায়ামি শিরোপা জিতলেন যুক্তরাষ্ট্রের টেনিস তারকা সেরেনা উইলিয়ামস।
মায়ামিতে রেকর্ড শিরোপা জয়ের পথে কাল শনিবার রাশিয়ার মারিয়া শারাপোভাকে ৪-৬, ৬-৩, ৬-০ গেমে হারান সেরেনা। ম্যাচশেষে নিজের প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে সেরেনা জানিয়েছেন, ‘ষষ্ঠবারের মতো শিরোপা জেতাটা দারুণ। এই পর্যায়ে আসতে পারব, প্রতিযোগিতার শুরুতে সত্যি ভাবিনি আমি। তবে শেষ পর্যন্ত সব বাধা অতিক্রম করতে পেরেছি বলে ভালো লাগছে।’
মেয়েদের টেনিস র্যাঙ্কিংয়ে বর্তমানে সেরেনা শীর্ষে। শারাপোভার অবস্থান দ্বিতীয়। স্বাভাবিকভাবেই ম্যাচের আগে দারুণ একটা লড়াইয়ের আভাস পাওয়া যাচ্ছিল। তবে সেটা হয়নি। শারাপোভার বিপক্ষে টানা ১১তম জয় পেতে মোটেই বেগ পেতে হয়নি সেরেনাকে।
ম্যাচশেষে শারাপোভা বলেন, ‘আমি বেশ কিছু সুযোগ পেয়েছি। কিন্তু ম্যাচটা জিততে পারিনি। আমি খেলছিলাম, তবে অবশ্যই তা জয় পাওয়ার জন্য যথেষ্ট ছিল না।
CLICK THIS PIC :
মায়ামিতে রেকর্ড শিরোপা জয়ের পথে কাল শনিবার রাশিয়ার মারিয়া শারাপোভাকে ৪-৬, ৬-৩, ৬-০ গেমে হারান সেরেনা। ম্যাচশেষে নিজের প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে সেরেনা জানিয়েছেন, ‘ষষ্ঠবারের মতো শিরোপা জেতাটা দারুণ। এই পর্যায়ে আসতে পারব, প্রতিযোগিতার শুরুতে সত্যি ভাবিনি আমি। তবে শেষ পর্যন্ত সব বাধা অতিক্রম করতে পেরেছি বলে ভালো লাগছে।’
মেয়েদের টেনিস র্যাঙ্কিংয়ে বর্তমানে সেরেনা শীর্ষে। শারাপোভার অবস্থান দ্বিতীয়। স্বাভাবিকভাবেই ম্যাচের আগে দারুণ একটা লড়াইয়ের আভাস পাওয়া যাচ্ছিল। তবে সেটা হয়নি। শারাপোভার বিপক্ষে টানা ১১তম জয় পেতে মোটেই বেগ পেতে হয়নি সেরেনাকে।
ম্যাচশেষে শারাপোভা বলেন, ‘আমি বেশ কিছু সুযোগ পেয়েছি। কিন্তু ম্যাচটা জিততে পারিনি। আমি খেলছিলাম, তবে অবশ্যই তা জয় পাওয়ার জন্য যথেষ্ট ছিল না।
CLICK THIS PIC :
কথা বলছেন রাইডার
কথা বলতে পারছেন নিউজিল্যান্ডের ক্রিকেটার জেসি রাইডার। কোমার ধকল কাটিয়ে তিনি গতকাল কথা বলেছেন তার ম্যানেজার অ্যারোন ক্লে, তার মা এবং মেয়ে বন্ধুর সঙ্গে। তবে আক্রমণের সময়ের কথা তিনি কিছুই মনে করতে পারছেন না। শুধু সন্ত্রাসীদের হামলার দিন ওয়েলিংটনের হয়ে ব্যাট হাতে ক্যান্টরবুরির বিপক্ষে ‘ডাক’ মেরেছিলেন এতটুকুই তার মনে আছে। এরপর আর কি হয়েছে তিনি কিছুই বলতে পারছেন না। অ্যারোন ক্লে বলেন, কোন ধরনের সমস্যা ছাড়াই রাইডার এখন শ্বাস নিতে পারছেন। তবে পূর্ণ সুস্থ হতে তাকে আরও কিছুদিন হাসপাতালে থাকতে হবে। কয়েক দিন আমার মুখে হাসি ছিল না। আজ আমি হাসতে পারছি। বুধবার রাত সাড়ে ১২টার পর আইকম্যান নামক একটি পানশালার সামনে দুষ্কৃতকারীদের নৃশংস হামলার স্বীকার হন তিনি। এতে তার মাথা ফেটে যায় ও ফুসফুসে মারাত্মক জখম হয়। হাসপাতালে নেয়ার পর গভীর কোমায় চলে যান তিনি। জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণ থেকে ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে উঠছেন তিনি। ভিডিও ফুটজ দেখে তার ওপর হামলার সন্দেহে ২০ ও ৩৭ বছর বয়সী আটক দু’জনকে ৪ঠা এপ্রিল আদালতে হাজির করা হবে।
CLICK THIS PIC :
Want to end tour with another win: Mushfiq
Bangladesh captain Mushfiqur Rahim wants to utilize the tour-ending
Twenty20 against Sri Lanka to cure a number of ills that prevail in his
side, especially with the home side fielding a young squad without some
influential players, reports Cricinfo.
The biggest absentees, to the
relief of Bangladesh, are Tillakaratne Dilshan and Kumar Sangakkara, two
batsmen who scored heavily over the past month. To be excused the sight
of these two has given Mushfiqur reason to plan differently and psyche
his teammates appropriately. Also missing is Mahela Jayawardene, who was
not picked despite recovering from a fractured finger.
“It is a big
opportunity for us to be competitive against them, the No. 1 team in
Twenty20s, and push for a win,” Mushfiqur said. “They are without
[Kumar] Sangakkara and [Tillekaratne] Dilshan, who have troubled us all
tour.”
Sri Lanka have included five young uncapped players for the
T20 and another player, Kithuruwan Vithanage, who made his Test debut
against Bangladesh earlier this month, is yet to play in the shortest
format for his country.
“They have a quite a young side, but they’re
playing at home,” Mushfiqur said. “They definitely have the potential to
do well. I know some of the new players from the time I played in the
Sri Lanka Premier League. I shared my thoughts regarding their skills
with my team-mates. There are also a few who played in the warm-up
matches so we know quite a bit.”
The other factor in Bangladesh’s
favour is the momentum from the ODI series which they managed to draw
1-1 through a frenetic chase in the final game after rain took away more
than two hours from their innings. The interruption left them with an
asking-rate of than eight runs an over, which they overcame.
“The
last game had a Twenty20-type run chase. So you can say we had some
practice, which I see as a positive. No one is a favourite in Twenty20
cricket, but we would like to carry over the momentum from the rest of
the tour.”
More than the rookie opponents, the Bangladesh captain was
concerned about the team’s inability to close out tours properly and
the overall shortage of Twenty20 skills in the side. Over the last
decade one feature that has been noticed is how poorly Bangladesh have
played when their departure is near. It has even afflicted them during a
short Twenty20 tour to the Netherlands last year when they lost to the
hosts in the last game.
“It has happened in the past that we end
tours on a bad note. This is a huge opportunity to reverse the trend. We
have had a lot of positives from this tour, so I would like to go back
home with another win. We want to grab this chance with both hands,
because we don’t have a good record in Twenty20s. We will have to get
our basics right, results are for later.”
Indeed it will be the
basics that they would have to correct as they have often gone missing
in the rush of a Twenty20 game. The bowlers often suffer, delivering
poor lengths during the first six overs of the Powerplay as well as
towards the end when they are usually facing big hitters. Mushfiqur
brought to notice the diverse skills of Lasith Malinga when compared to
the deficiency of skills among his bowlers in this format.
“We lack
in skills and mentality in Twenty20s compared to other teams and
individuals. But we are changing in the last two years in terms of
mental and physical strength and skills. Our team is doing well without
big performers, which is a good sign.
“Malinga has three or four
variations and if he uses it in 24 balls, it is not easy to score
against him. Our bowlers are developing new skills, but it will take
time. The more Twenty20s we play, we will know what areas we need to
work on.”
Jayasuriya defends minister’s son
Sanath Jayasuriya, Sri Lanka’s chairman of selectors, has justified
the selection of a minister’s son in the national squad for the one-off
Twenty20 against Bangladesh, after his panel attracted sharp criticism
in some parts of the local media. Allrounder Ramith Rambukwella, is the
son of media and information minister Keheliya Rambukwella, reports
Cricinfo.
“Ramith is a left-hand batsman who bowls right arm offspin,
who can clear the boundaries and can hit hard,” Jayasuriya said. “He’s
someone who can play Twenty20 cricket in the middle order, and you need
players like that in this format. We’re bringing him on as a batting
allrounder who can bowl offspin.”
Rambukwella, 21, has played club
cricket since 2011, but has hit only two half-centuries in 28 innings,
across all formats. He has scored 135 runs at an average of 16.87 in
List A games and 122 at 17.42 in T20s. He has been more successful with
the ball, having taken 10 wickets at an average of 23.60 in List A and
eight wickets in T20s at an economy-rate of 7.28. He developed his
reputation for big hitting during a successful school cricket career,
during which he played for Royal College in Colombo.
“We don’t just
bring in players who perform, we also bring in players with talent,”
Jayasuriya said. “There are plenty of players who haven’t performed that
well in club matches, but have played well in internationals. I’ve seen
a lot of players like that.
“I’m not saying you can get picked even
if you don’t bat well in domestic cricket, I’m saying if you are
talented, or you’ve made runs in the past, we will give those players an
opportunity. We will consider any player. They don’t just have to be
under 23, even 28 to 30-year olds are considered, and we will try to
take those players to the place they need to go.” Whatever happens on
Sunday night, Sri Lanka will look back on this tour and feel it has not
gone as they would have liked. Bangladesh had never taken a Test to the
fifth day in Sri Lanka, but they bettered even that achievement by
keeping the hosts to a draw. Sri Lanka were made to fight hard in the
second Test, and though they triumphed handsomely there in the end, they
were embarrassed in the ODI series, when Bangladesh stormed home in
Pallekele. Sri Lanka may have been missing Mahela Jayawardene, who has
made home series a specialty, but Bangladesh have been without their
star player in Shakib Al Hasan throughout the tour, and lost Tamim Iqbal
after the first ODI.
Saturday, March 30, 2013
Islami Bank denies terror finance link
Islami Bank Bangladesh Ltd has no relation with terror financing, its
Chairman Prof Abu Nasser Muhammad Abduz Zaher said yesterday.
“Our regulator may ban our banking activities if it finds any of our transactions are related to terror financing,” he said.
“Islami Bank does not belong to any political party and is a bank of 16 million people, he continued, “Over the last few months, our deposit accounts and deposits have been increasing thanks to our clients’ trust.”
He also said the bank was not against Bangladesh and its flag.
Prof Zaher was speaking at the bank’s 30th anniversary ceremony of banking services at Ruposhi Bangla Hotel in the capital.
Islami Bank started its journey in 1983 with 70 percent stake belonging to foreign sponsors, 5 percent to the government, 15 percent to local sponsors and 10 percent to general shareholders, its officials said.
Islamic Development Bank is the biggest foreign sponsor of the bank, said the officials, adding that institutional investor JP Morgan also has a stake in the bank.
According to the banks website, three ministries of Kuwait — Public Institution for Social Security, Ministry of Awqaf and Islamic Affairs, and Ministry of Justice and Department of Minors Affairs Kuwait Finance House — Jordan Islami Bank, Dubai Islami Bank and Al-Rajhi Company for Currency Exchange and Commerce, Saudi Arabia are also the leading sponsors of the bank.
“We have no plan to sell our stakes, rather we want to buy more if any one wishes to sell,” said Salauddin Ahmed, representative of Kuwait Finance House, Kuwait and an elected director of Islami Bank. He said this referring to news reports that the bank’s foreign sponsors were selling their shares in the wake of Shahbagh movement.
“We are proud to be a shareholder of a leading bank that runs under Sharia law, he said.
Two basic principals of Islami banking are: sharing profit and loss with the client and most significantly prohibition on collection and payment of interest. Charging interest on loans is not permitted in Islamic law.
Chairman of IFIC Bank Salman F Rahman, who was present at the ceremony, said “Finance Ministers of America and Europe have opined that they could have avoided the recession had they followed Sharia banking system.”
Aftab ul Islam, president of American Chamber of Commerce in Bangladesh, said Islami Bank was the best compliance bank in the country.
Speaking of the bank’s performance in many financial areas, Managing Director of Islami Bank Mohammad Abdul Mannan said the bank was playing a significant role in socio-economic development of the country by contributing to higher growth in remittance, industrialisation and export-import businesses.
The bank was listed in Dhaka Stock Exchange in 1985. Its share traded at Tk 43.3 on Thursday, according to DSE website.
“Our regulator may ban our banking activities if it finds any of our transactions are related to terror financing,” he said.
“Islami Bank does not belong to any political party and is a bank of 16 million people, he continued, “Over the last few months, our deposit accounts and deposits have been increasing thanks to our clients’ trust.”
He also said the bank was not against Bangladesh and its flag.
Prof Zaher was speaking at the bank’s 30th anniversary ceremony of banking services at Ruposhi Bangla Hotel in the capital.
Islami Bank started its journey in 1983 with 70 percent stake belonging to foreign sponsors, 5 percent to the government, 15 percent to local sponsors and 10 percent to general shareholders, its officials said.
Islamic Development Bank is the biggest foreign sponsor of the bank, said the officials, adding that institutional investor JP Morgan also has a stake in the bank.
According to the banks website, three ministries of Kuwait — Public Institution for Social Security, Ministry of Awqaf and Islamic Affairs, and Ministry of Justice and Department of Minors Affairs Kuwait Finance House — Jordan Islami Bank, Dubai Islami Bank and Al-Rajhi Company for Currency Exchange and Commerce, Saudi Arabia are also the leading sponsors of the bank.
“We have no plan to sell our stakes, rather we want to buy more if any one wishes to sell,” said Salauddin Ahmed, representative of Kuwait Finance House, Kuwait and an elected director of Islami Bank. He said this referring to news reports that the bank’s foreign sponsors were selling their shares in the wake of Shahbagh movement.
“We are proud to be a shareholder of a leading bank that runs under Sharia law, he said.
Two basic principals of Islami banking are: sharing profit and loss with the client and most significantly prohibition on collection and payment of interest. Charging interest on loans is not permitted in Islamic law.
Chairman of IFIC Bank Salman F Rahman, who was present at the ceremony, said “Finance Ministers of America and Europe have opined that they could have avoided the recession had they followed Sharia banking system.”
Aftab ul Islam, president of American Chamber of Commerce in Bangladesh, said Islami Bank was the best compliance bank in the country.
Speaking of the bank’s performance in many financial areas, Managing Director of Islami Bank Mohammad Abdul Mannan said the bank was playing a significant role in socio-economic development of the country by contributing to higher growth in remittance, industrialisation and export-import businesses.
The bank was listed in Dhaka Stock Exchange in 1985. Its share traded at Tk 43.3 on Thursday, according to DSE website.
Five killed in clashes
At least five people were killed and 50 others, including eight policemen, were injured during clashes between opposition activists and law enforcers in Chapainawabganj and Sirajganj yesterday over arresting Jamaat men.Protesting the deaths of three people in “police firing” at Shibganj of the district, BNP-led 18-party opposition alliance has called a daylong shutdown in Chapainawabganj tomorrow.The clash at Shibganj began when a police team went to Gopalnagar village around 3:00am to arrest Jamaat activists in connection with the torching of Kansat Palli Bidyut sub-station on February 28, police sources claimed.
Our Chapainawabganj correspondent reports: activists of Jamaat-e-Islami and Islami Chhatra Shibir set off a few firecrackers when the police team reached the village.
Sources said the crackers were used to notify people of the arrival of police. Several hundred people from nearby villages then surrounded the law enforcers and started throwing brick chips at them, witnesses said.
On information, additional police force, and Rab and Border Guard Bangladesh personnel went to the spot around 4:00am and retaliated with fire. They fired several bullets to relieve the pinned down police team, witnesses said.
After the law enforcers left the scene, locals found Waliullah, 18, and Rabiul Islam, 25, lying dead on the spot. Injured Matiur Rahman, 45, succumbed to his injuries later.Villagers claimed that Waliullah and Matiur were Jamaat adherents while Rabiul was of BNP. At least 20 others, including four policemen, also sustained injuries in the clash. Police arrested 21 people from the spot, said Sub-Inspector Abdur Razzak of Shibganj Police Station.At around 10:30am, the violence spread to the district town.
Jamaat men and pro-Jamaat student body Islami Chhatra Shibir activists vandalised several roadside shops in the town and tried to block the road between Chapainawabganj and Sona Masjid Land Port with electric poles and logs.
They brought out processions at Swarupnagar, Shibtala and Mohananda Bridge Toll Plaza areas and exploded several homemade bombs.
They fought pitched battles with law enforcers, who fired several bullets but brought the situation under control later.
No casualties were reported there.
BNP district unit president Shahjahan Mia, also coordinator of the 18-party alliance of the district, at a press briefing yesterday called hartal in the district for Sunday.
District Superintendent of Police Bashir Ahmed refused to make any comments on the matter.
In Sirajganj, the clash erupted after Belkuchi police arrested Jamaat leader Habibur Rahman at Modhupur village around 9:00am in connection with torching the Belkuchi Upazila Awami League office on March 3.
Officer-in-Charge Samsul Haque of Belkuchi Police Station said police arrested Habibur and took him to the police station without any trouble, reports our Pabna correspondent.
As the news of Habibur’s arrest spread, Jamaat-Shibir men started attacking shops and homes of ruling Awami League adherents.
Samsul said, “When police went to the village again, unruly Jamaat men spread a rumour that police were attacking innocent villagers and asked them to gather on Kalyanpur High School ground.
“The Jamaat-Shibir men then surrounded us and started firing on us,” the officer-in-charge claimed.
Four policemen were injured.
Police tried to disperse them with teargas but they would not leave. Police then resorted to firing shotgun shells. At least 70 shells were fired, including 47 rubber bullets.
Police recovered two bodies from the spot and sent them to Pabna Medical College Hospital morgue for autopsies.
The deceased were identified as BNP activist Faridul, 19, and Shibir activist Yunus, 18.
During the hour-long clash at least 30 people were injured, including Sirajganj district correspondent of Bangladesh Television Gazi Shahadat Hossain Firozi. He was admitted to Sirajganj General Hospital.
A reporter of MyTV was also injured during the clash.
4 Pakistanis among 16 held with bombs in city
Plainclothes police arrested 16 people, including four Pakistani
nationals, along with eight bombs and 12.9 million Indian Rupees “while
planning subversive activities in the city”.
Acting on a tip-off, a team of Detective Branch of police conducted simultaneous drives in several areas of the city, including Paltan, Nikunja, Kalabagan and Bangshal, from 2:30pm Friday to 4:30am Saturday and arrested the 16 people.
Contacted, Additional Deputy Commissioner Mashiur Rahman confirmed the arrest.
Apart from eight bombs and the Indian currencies, several passports were recovered from the arrestees’ possession, he added.
A Bangladeshi eye specialist was among the arrestees, said a DB official.
He said that the detainees might be the members of an outfit trying to carry out subversive activities in the capital or elsewhere in the country.
Acting on a tip-off, a team of Detective Branch of police conducted simultaneous drives in several areas of the city, including Paltan, Nikunja, Kalabagan and Bangshal, from 2:30pm Friday to 4:30am Saturday and arrested the 16 people.
Contacted, Additional Deputy Commissioner Mashiur Rahman confirmed the arrest.
Apart from eight bombs and the Indian currencies, several passports were recovered from the arrestees’ possession, he added.
A Bangladeshi eye specialist was among the arrestees, said a DB official.
He said that the detainees might be the members of an outfit trying to carry out subversive activities in the capital or elsewhere in the country.
বিদ্যালয়ের পথে পথে অশ্লীল পোস্টার
কিশোরগঞ্জের ভৈরব পৌর শহরের প্রাচীন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ রেলওয়ে
উচ্চবিদ্যালয়। বিদ্যালয়সংলগ্ন ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের কালভার্ট। কালভার্টের
নিচে বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থীর জটলা। তাদের দৃষ্টি সেতুর দেয়ালে। ওই স্থানে
ইংরেজি ও বাংলা ছবির অশ্লীল পোস্টার সাঁটা।
‘কী দেখছ?’ জিগ্যেস করতেই মাথা নিচু করে বিদ্যালয়ের দিকে রওনা হয় শিক্ষার্থীরা। এটি গত বৃহস্পতিবার সকালের ঘটনা।
ওই বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক এ টি এম খলিলুর রহমান বলেন, ‘অশ্লীল পোস্টার সাঁটার স্থান হিসেবে চলচ্চিত্র ব্যবসায়ীদের স্কুল-কলেজের সড়কগুলো যেন বেশি পছন্দ। আমার স্কুলের চারপাশে একই অবস্থা। কোমলমতি শিক্ষার্থীরা এসব দেখে আকৃষ্ট হচ্ছে। সর্বনাশ যা হওয়ার তা তো হয়েই যাচ্ছে।’
জানা গেছে, ভৈরব বাণিজ্যিক শহর। এখানে নৌবন্দর ও রেলওয়ে জংশন রয়েছে। কাজের প্রয়োজনে চারপাশের কয়েক হাজার মানুষ প্রতিদিন ভৈরবে আসা-যাওয়া করে।
ফলে স্বাধীনতার আগে থেকেই প্রেক্ষাগৃহগুলোর ব্যবসা সফল। ঢাকার সঙ্গে তাল মিলিয়ে বাণিজ্যিক ছবি প্রদর্শন করা হয় এখানকার প্রেক্ষাগৃহগুলোতে; একইসঙ্গে ইংরেজি ছবির দর্শকও প্রচুর। প্রচার হিসেবে শহরের একাধিক স্থানে পোস্টার সাঁটা হয়, যার বেশির ভাগই অশ্লীল।
বৃহস্পতিবার সরেজমিনে দেখা গেছে, শহরের ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের কালভার্ট, শহীদ জিয়া তোরণ, মনামারা সেতু, বঙ্গবন্ধু সরণি সেতু, নতুন গলি, মালগুদাম, স্টেশন সড়ক, বাসস্ট্যান্ড ও ঋষিপট্টি সড়কে অশ্লীল পোস্টারের আধিক্য। এর মধ্যে ইংরেজি ছবির পোস্টারও রয়েছে। প্রতিটি পোস্টারে নারীদের অরুচিকর ও বিকৃতভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে।
এসব স্থান দিয়ে বাংলাদেশ রেলওয়ে উচ্চবিদ্যালয়, কে বি পাইলট উচ্চবিদ্যালয়, এম পি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়, জিল্লুর রহমান মহিলা ডিগ্রি কলেজ ও রফিকুল ইসলাম মহিলা কলেজের শিক্ষার্থীরা যাতায়াত করে।
রফিকুল ইসলাম মহিলা কলেজর অধ্যাপক মো. শহীদুল্লাহ বলেন, এমন স্থানে পোস্টার সাঁটা হয়েছে, চোখ পড়বেই। এমন পরিবেশে সন্তানের ভবিষ্যৎ নিয়ে দুশ্চিন্তা বাড়ছে।
উপজেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, আজ থেকে আট বছর আগে ভৈরবে অশ্লীল পোস্টারের বিরুদ্ধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে উঠেছিল। তখন এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তি ও প্রেক্ষাগৃহের মালিকদের নিয়ে উপজেলা প্রশাসন সভা করে।
সিদ্ধান্ত হয়, পোস্টার সাঁটার আগে তা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) নজরে আনা হবে। অনুমোদনের পর সাঁটা হবে। উদ্যোগের কয়েক বছর নীতিমালার যথাযথ প্রয়োগ হয়। কিন্তু দুই বছর ধরে তা আর মানা হচ্ছে না।
জানতে চাইলে ভৈরবের ইউএনও সেলিম আহমেদ প্রথম আলোকে বলেন, ‘ভৈরবে আমি নবাগত। এ কারণে বিষয়টি নজরে আসেনি। মালিকদের সঙ্গে কথা বলে প্রতিকারে যাব। না শুনলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
‘কী দেখছ?’ জিগ্যেস করতেই মাথা নিচু করে বিদ্যালয়ের দিকে রওনা হয় শিক্ষার্থীরা। এটি গত বৃহস্পতিবার সকালের ঘটনা।
ওই বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক এ টি এম খলিলুর রহমান বলেন, ‘অশ্লীল পোস্টার সাঁটার স্থান হিসেবে চলচ্চিত্র ব্যবসায়ীদের স্কুল-কলেজের সড়কগুলো যেন বেশি পছন্দ। আমার স্কুলের চারপাশে একই অবস্থা। কোমলমতি শিক্ষার্থীরা এসব দেখে আকৃষ্ট হচ্ছে। সর্বনাশ যা হওয়ার তা তো হয়েই যাচ্ছে।’
জানা গেছে, ভৈরব বাণিজ্যিক শহর। এখানে নৌবন্দর ও রেলওয়ে জংশন রয়েছে। কাজের প্রয়োজনে চারপাশের কয়েক হাজার মানুষ প্রতিদিন ভৈরবে আসা-যাওয়া করে।
ফলে স্বাধীনতার আগে থেকেই প্রেক্ষাগৃহগুলোর ব্যবসা সফল। ঢাকার সঙ্গে তাল মিলিয়ে বাণিজ্যিক ছবি প্রদর্শন করা হয় এখানকার প্রেক্ষাগৃহগুলোতে; একইসঙ্গে ইংরেজি ছবির দর্শকও প্রচুর। প্রচার হিসেবে শহরের একাধিক স্থানে পোস্টার সাঁটা হয়, যার বেশির ভাগই অশ্লীল।
বৃহস্পতিবার সরেজমিনে দেখা গেছে, শহরের ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের কালভার্ট, শহীদ জিয়া তোরণ, মনামারা সেতু, বঙ্গবন্ধু সরণি সেতু, নতুন গলি, মালগুদাম, স্টেশন সড়ক, বাসস্ট্যান্ড ও ঋষিপট্টি সড়কে অশ্লীল পোস্টারের আধিক্য। এর মধ্যে ইংরেজি ছবির পোস্টারও রয়েছে। প্রতিটি পোস্টারে নারীদের অরুচিকর ও বিকৃতভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে।
এসব স্থান দিয়ে বাংলাদেশ রেলওয়ে উচ্চবিদ্যালয়, কে বি পাইলট উচ্চবিদ্যালয়, এম পি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়, জিল্লুর রহমান মহিলা ডিগ্রি কলেজ ও রফিকুল ইসলাম মহিলা কলেজের শিক্ষার্থীরা যাতায়াত করে।
রফিকুল ইসলাম মহিলা কলেজর অধ্যাপক মো. শহীদুল্লাহ বলেন, এমন স্থানে পোস্টার সাঁটা হয়েছে, চোখ পড়বেই। এমন পরিবেশে সন্তানের ভবিষ্যৎ নিয়ে দুশ্চিন্তা বাড়ছে।
উপজেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, আজ থেকে আট বছর আগে ভৈরবে অশ্লীল পোস্টারের বিরুদ্ধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে উঠেছিল। তখন এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তি ও প্রেক্ষাগৃহের মালিকদের নিয়ে উপজেলা প্রশাসন সভা করে।
সিদ্ধান্ত হয়, পোস্টার সাঁটার আগে তা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) নজরে আনা হবে। অনুমোদনের পর সাঁটা হবে। উদ্যোগের কয়েক বছর নীতিমালার যথাযথ প্রয়োগ হয়। কিন্তু দুই বছর ধরে তা আর মানা হচ্ছে না।
জানতে চাইলে ভৈরবের ইউএনও সেলিম আহমেদ প্রথম আলোকে বলেন, ‘ভৈরবে আমি নবাগত। এ কারণে বিষয়টি নজরে আসেনি। মালিকদের সঙ্গে কথা বলে প্রতিকারে যাব। না শুনলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
আবাসিক হোটেল থেকে ৫৬ জন গ্রেপ্তার
গাজীপুর সদর উপজেলার চান্দনা চৌরাস্তা এলাকায় গতকাল শুক্রবার রজনীগন্ধা ও
ঈশা খাঁ আবাসিক হোটেলে অভিযান চালিয়ে যৌনকর্মীসহ ৫৬ জনকে গ্রেপ্তার করেছে
পুলিশ। তাঁদের মধ্যে হোটেল দুটির ব্যবস্থাপকও রয়েছেন।
এলাকাবাসী সূত্র জানায়, সদর উপজেলার চান্দনা চৌরাস্তা ও ভোগড়া এলাকায় বেশ কয়েকটি আবাসিক হোটেল গড়ে উঠেছে। এসব হোটেলে মাদক ও দেহ ব্যবসা করা হয় বলে এলাকাবাসী একাধিকবার থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন।
গতকালের অভিযানে নেতৃত্ব দেওয়া অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সঞ্জিত কুমার রায় প্রথম আলোকে বলেন, ‘আবাসিক হোটেলের নামে কেউ অবৈধ ব্যবসা করলেই আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এখন থেকে হোটেলগুলোয় নিয়মিত তদারকি করা হবে।’
এলাকাবাসী সূত্র জানায়, সদর উপজেলার চান্দনা চৌরাস্তা ও ভোগড়া এলাকায় বেশ কয়েকটি আবাসিক হোটেল গড়ে উঠেছে। এসব হোটেলে মাদক ও দেহ ব্যবসা করা হয় বলে এলাকাবাসী একাধিকবার থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন।
গতকালের অভিযানে নেতৃত্ব দেওয়া অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সঞ্জিত কুমার রায় প্রথম আলোকে বলেন, ‘আবাসিক হোটেলের নামে কেউ অবৈধ ব্যবসা করলেই আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এখন থেকে হোটেলগুলোয় নিয়মিত তদারকি করা হবে।’
ইউরোপের শীর্ষ পর্বতশৃঙ্গ জয় করলেন ওয়াসফিয়া
বাংলাদেশের এভারেস্ট বিজয়ী পর্বতারোহী ওয়াসফিয়া নাজরীন এবার জয় করলেন
ইউরোপের সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গ মাউন্ট এলব্রুস। গত বৃহস্পতিবার রাশিয়ার
স্থানীয় সময় সকাল সাতটা ৫১ মিনিটে তিনি এলব্রুস চূড়ায় আরোহণ করে বাংলাদেশের
লাল-সবুজ পতাকা ওড়ান। মাউন্ট এলব্রুস জয়ের মাধ্যমে ওয়াসফিয়া সাত মহাদেশের
সাতটি সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গ অর্থাৎ সেভেন সামিটের মধ্যে পাঁচটিতে আরোহণ
সম্পন্ন করলেন।
পাঁচ হাজার ৬৪২ মিটার (১৮ হাজার ৫১০ ফুট) উচ্চতার এলব্রুস পর্বতশৃঙ্গ রাশিয়ায় ইউরোপ ও এশিয়া মহাদেশের সীমান্তে অবস্থিত। চূড়ায় ওঠার পরপরই ফোনে ওয়াসফিয়া কথা বলেন তাঁর ‘বাংলাদেশ অন সেভেন সামিট’ কর্মসূচির মুখপাত্র করভি রাখসান্দের সঙ্গে। গতকাল শুক্রবার করভি প্রথম আলোকে বলেন, ‘ওয়াসফিয়া এলব্রুসে তাঁর এই সফল অভিযান ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের স্মৃতি এবং শাহবাগের চেতনা ও ন্যায়বিচারের প্রতি উৎসর্গ করেছেন।’
১৬ মার্চ শুরু হয়েছিল ওয়াসফিয়ার এলব্রুস অভিযান। অভিযানের বেশির ভাগ সময়ই প্রতিকূল আবহাওয়ার মধ্য দিয়ে এগোতে হয়েছে তাঁকে। ওয়াসফিয়ার ফেসবুক পাতা থেকে জানা যায়, চূড়া জয় করার সময় সেখানে বাতাসের গতিবেগ ছিল প্রতি ঘণ্টায় ৫০ কিলোমিটার এবং তাপমাত্রা ছিল মাইনাস ৩৫ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড। পর্বত চূড়ায় ওঠার সময় ওয়াসফিয়ার গাইড ছিলেন আনা পেত্রোভা।
সেভেন সামিটের অংশ হিসেবে এলব্রুসের আগে ওয়াসফিয়া এশিয়ার মাউন্ট এভারেস্ট, আফ্রিকার কিলিমানজারো, দক্ষিণ আমেরিকার অ্যাকোনকাগুয়া ও অ্যান্টার্কটিকার ভিনসন ম্যাসিফ পর্বতশৃঙ্গ জয় করেছেন। ২০১১ সালে এলব্রুস অভিযানে গেলেও বিরূপ আবহাওয়ায় সেবার চূড়ায় আরোহণ করতে পারেননি।
পাঁচ হাজার ৬৪২ মিটার (১৮ হাজার ৫১০ ফুট) উচ্চতার এলব্রুস পর্বতশৃঙ্গ রাশিয়ায় ইউরোপ ও এশিয়া মহাদেশের সীমান্তে অবস্থিত। চূড়ায় ওঠার পরপরই ফোনে ওয়াসফিয়া কথা বলেন তাঁর ‘বাংলাদেশ অন সেভেন সামিট’ কর্মসূচির মুখপাত্র করভি রাখসান্দের সঙ্গে। গতকাল শুক্রবার করভি প্রথম আলোকে বলেন, ‘ওয়াসফিয়া এলব্রুসে তাঁর এই সফল অভিযান ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের স্মৃতি এবং শাহবাগের চেতনা ও ন্যায়বিচারের প্রতি উৎসর্গ করেছেন।’
১৬ মার্চ শুরু হয়েছিল ওয়াসফিয়ার এলব্রুস অভিযান। অভিযানের বেশির ভাগ সময়ই প্রতিকূল আবহাওয়ার মধ্য দিয়ে এগোতে হয়েছে তাঁকে। ওয়াসফিয়ার ফেসবুক পাতা থেকে জানা যায়, চূড়া জয় করার সময় সেখানে বাতাসের গতিবেগ ছিল প্রতি ঘণ্টায় ৫০ কিলোমিটার এবং তাপমাত্রা ছিল মাইনাস ৩৫ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড। পর্বত চূড়ায় ওঠার সময় ওয়াসফিয়ার গাইড ছিলেন আনা পেত্রোভা।
সেভেন সামিটের অংশ হিসেবে এলব্রুসের আগে ওয়াসফিয়া এশিয়ার মাউন্ট এভারেস্ট, আফ্রিকার কিলিমানজারো, দক্ষিণ আমেরিকার অ্যাকোনকাগুয়া ও অ্যান্টার্কটিকার ভিনসন ম্যাসিফ পর্বতশৃঙ্গ জয় করেছেন। ২০১১ সালে এলব্রুস অভিযানে গেলেও বিরূপ আবহাওয়ায় সেবার চূড়ায় আরোহণ করতে পারেননি।
উড়াল সেতুতে উড়ন্ত উল্লাস
ফাগুনের পড়ন্ত বিকেলে গতকাল শুক্রবার উত্সবের দোলায় দুলেছে সদ্য উদ্বোধন
হওয়া ‘জিল্লুর রহমান উড়াল সেতু’ এলাকা। উড়াল সেতুকে ঘিরে এর ওপর তো
বটেই, আশপাশেও ছিল আনন্দ আর উল্লাসের আমেজ।
গত ২৭ মার্চ উদ্বোধনের দিন বিকেলেই উত্সুক মানুষের ঢেউ আছড়ে পড়ে এই উড়ালসেতুতে। তবে হরতাল থাকায় এই কয়েকদিন রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে বিনোদন পিপাসুদের ভিড় তুলনামূলকভাবে কম ছিল। গত বৃহস্পতিবার ছিল সপ্তাহের শেষ কর্মদিবস। তাই আনন্দের মাত্রা ছিল খানিকটা কম । কিন্তু সপ্তাহের ছুটির দিন হওয়ায় গতকাল বিকেলে ছিল উপচে পড়া ভিড়। কেউ এসেছেন মিরপুর থেকে, কেউ খিলক্ষেত, কেউ বনানী, আর কেউবা ক্যান্টনমেন্ট এলাকা থেকে। রাজপথ ফাঁকা থাকায় সবাই চোখের পলকে চলে এসেছেন উড়াল সেতুতে।
উড়াল সেতুর আশপাশের চিরসবুজ বৃক্ষরাজি, কিছুটা দূরে বিমানবন্দর থেকে উড়াল দেওয়া বিমানগুলোর নীলাকাশ ভেদ করে ওঠানামার দৃশ্য ঝিমিয়ে পড়া ঢাকাবাসীকে যেন জাগিয়ে তুলেছে। পিচঢালা পথে পাশে রেলগাড়িগুলোর যাওয়া-আসা তো আছেই। এজন্য ঘরের কোণে অলস বসে না থেকে, যে যার মতো করে চলে এসেছেন উড়ালসেতুর প্রান্তরে। স্ত্রী, সন্তান নিয়ে এসেছেন অনেকে। অনেকে আবার মা-বাবার সঙ্গে। আর প্রিয় মানুষকে সঙ্গে নিয়ে হেঁটে চলেছেন অবিরত উড়াল সেতুর এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে। এ ছাড়া ব্যক্তিগত গাড়ি বা মোটরসাইকেল নিয়ে ছোটাছুটি তো আছেই।
গতকাল মিরপুর ১১ নম্বর সেকশন থেকে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা মাসুদুর রহমান এসেছিলেন স্ত্রী ও দুই বছরের মেয়ে নওশীনকে সঙ্গে নিয়ে। তিনি প্রথম আলো ডটকমকে জানান, গাড়ি নিয়ে বাসা থেকে বের হয়েছি বিকেল চারটায়। প্রশস্ত রাস্তা থাকায় মাত্র ১৫ মিনিটে আসতে পেরেছেন উড়াল সেতুর একেবারে মাঝামাঝি।
বিকেলের দিকে ভিড় বেশি না থাকলেও সন্ধ্যার পর থেকে লোক সমাগম বাড়তে থাকে উড়াল সেতুতে। তবে হাঁটার সুনির্দিষ্ট পথ না থাকায় সুবিশাল উড়াল সেতুর একেবারে মাঝখানে চলাচল করতে দেখা গেছে অনেককেই। মনের আনন্দে ছবি তুলছেন যে যাঁর মতো করে। চালকেরা সুযোগ পেলেই দ্রুত গাড়ি চালিয়ে যাচ্ছেন। অনেকে আবার সব উপেক্ষা করে উড়াল সেতুর ডিভাইডারে বসে পড়েছেন।
এ ছাড়া আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর উপস্থিতি না থাকায় মোটরসাইকেলে কোনো কোনো তরুণ বিভিন্ন ধরনের কসরত প্রদর্শন করেছেন উড়াল সেতুর ওপর। তাই বিনোদনপ্রেমীদের শঙ্কা, এতে ঘটে যেতে পারে বড় কোনো দুর্ঘটনা। চোখের পলকে আনন্দ হতে পারে বেদনার রঙে নীল।
গত ২৭ মার্চ উদ্বোধনের দিন বিকেলেই উত্সুক মানুষের ঢেউ আছড়ে পড়ে এই উড়ালসেতুতে। তবে হরতাল থাকায় এই কয়েকদিন রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে বিনোদন পিপাসুদের ভিড় তুলনামূলকভাবে কম ছিল। গত বৃহস্পতিবার ছিল সপ্তাহের শেষ কর্মদিবস। তাই আনন্দের মাত্রা ছিল খানিকটা কম । কিন্তু সপ্তাহের ছুটির দিন হওয়ায় গতকাল বিকেলে ছিল উপচে পড়া ভিড়। কেউ এসেছেন মিরপুর থেকে, কেউ খিলক্ষেত, কেউ বনানী, আর কেউবা ক্যান্টনমেন্ট এলাকা থেকে। রাজপথ ফাঁকা থাকায় সবাই চোখের পলকে চলে এসেছেন উড়াল সেতুতে।
উড়াল সেতুর আশপাশের চিরসবুজ বৃক্ষরাজি, কিছুটা দূরে বিমানবন্দর থেকে উড়াল দেওয়া বিমানগুলোর নীলাকাশ ভেদ করে ওঠানামার দৃশ্য ঝিমিয়ে পড়া ঢাকাবাসীকে যেন জাগিয়ে তুলেছে। পিচঢালা পথে পাশে রেলগাড়িগুলোর যাওয়া-আসা তো আছেই। এজন্য ঘরের কোণে অলস বসে না থেকে, যে যার মতো করে চলে এসেছেন উড়ালসেতুর প্রান্তরে। স্ত্রী, সন্তান নিয়ে এসেছেন অনেকে। অনেকে আবার মা-বাবার সঙ্গে। আর প্রিয় মানুষকে সঙ্গে নিয়ে হেঁটে চলেছেন অবিরত উড়াল সেতুর এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে। এ ছাড়া ব্যক্তিগত গাড়ি বা মোটরসাইকেল নিয়ে ছোটাছুটি তো আছেই।
গতকাল মিরপুর ১১ নম্বর সেকশন থেকে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা মাসুদুর রহমান এসেছিলেন স্ত্রী ও দুই বছরের মেয়ে নওশীনকে সঙ্গে নিয়ে। তিনি প্রথম আলো ডটকমকে জানান, গাড়ি নিয়ে বাসা থেকে বের হয়েছি বিকেল চারটায়। প্রশস্ত রাস্তা থাকায় মাত্র ১৫ মিনিটে আসতে পেরেছেন উড়াল সেতুর একেবারে মাঝামাঝি।
বিকেলের দিকে ভিড় বেশি না থাকলেও সন্ধ্যার পর থেকে লোক সমাগম বাড়তে থাকে উড়াল সেতুতে। তবে হাঁটার সুনির্দিষ্ট পথ না থাকায় সুবিশাল উড়াল সেতুর একেবারে মাঝখানে চলাচল করতে দেখা গেছে অনেককেই। মনের আনন্দে ছবি তুলছেন যে যাঁর মতো করে। চালকেরা সুযোগ পেলেই দ্রুত গাড়ি চালিয়ে যাচ্ছেন। অনেকে আবার সব উপেক্ষা করে উড়াল সেতুর ডিভাইডারে বসে পড়েছেন।
এ ছাড়া আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর উপস্থিতি না থাকায় মোটরসাইকেলে কোনো কোনো তরুণ বিভিন্ন ধরনের কসরত প্রদর্শন করেছেন উড়াল সেতুর ওপর। তাই বিনোদনপ্রেমীদের শঙ্কা, এতে ঘটে যেতে পারে বড় কোনো দুর্ঘটনা। চোখের পলকে আনন্দ হতে পারে বেদনার রঙে নীল।
রিকশা চালিয়ে লাখপতি!
চলে আমার রিকশা হাওয়ার বেগে... ঝড়ের বেগে তিন চাকার রিকশা ছুটিয়েছেন এতকাল
কিন্তু ভাড়া সেই ১০-২০ টাকার বেশি নয়। আর রিকশা চালিয়ে লাখপতি? ঢাকার রিকশাওয়ালারা নিশ্চয়ই স্বপ্নেও ভাবেন না। রিকশাওয়ালাদের সেই অসম্ভব স্বপ্নকেই পূরণ করল প্রথম ঢাকা রিকশা ফিয়েস্তা। বিশ্বাস না হয় জিগ্যেস করুন রিকশাওয়ালা আবদুর রহিমকেই। ‘ঢাহাতে ছয় বছর রিকশা চালাইছি কিন্তু এত টাহা এক লগে পাই নাই।’ বলছিলেন রিকশাচালক আবদুর রহিম। ১৫ মার্চ আবদুর রহিম আর তিন সঙ্গী মিলে সত্যিকার অর্থেই হাওয়ার বেগে রিকশা চালিয়েছেন। জিতে নিয়েছেন রিকশা দৌড় প্রতিযোগিতার প্রথম পুরস্কার এক লাখ টাকা। টিভি ক্যামেরার সামনে সাক্ষাৎকারও দিয়েছেন রাতারাতি ‘সেলিব্রেটি’ আবদুর রহিম।
জাতীয় সংসদ ভবন থেকে পুরান ঢাকা হয়ে আবার জাতীয় সংসদ ভবন। এই ছিল দূরত্ব। রিলে রেসের আদলে এই প্রতিযোগিতায় অংশ নেন ৮৪ জন রিকশাচালক। এই আয়োজনে সহযোগী হিসেবে ছিল বাংলাদেশ জাপান দূতাবাস ও জাপান আন্তর্জাতিক সাহায্য সংস্থা (জাইকা)। আয়োজনে সহযোগিতা করে মোজো।
রিকশাপ্রেমী
রিকশা আর রিকশাওয়ালাদের ঘিরেই এমন ভরপুর আয়োজন? চোখে পড়ার মতো ঘটনা তো বটেই।
এই আয়োজনের পেছনের মানুষদের মধ্যে অন্যতম সিসিলিয়া আমি কিটাজিমা। কিতাজিমার জন্ম আর্জেন্টিনায়। বাবা-মা দুজনেই জাপানি। বছর দুয়েক আগে প্রথমবার বাংলাদেশে এসেছিলেন এই চিত্রনির্মাতা। সেবারই বাংলাদেশি ঘরানার রিকশার সঙ্গে প্রথম পরিচয় কিতাজিমার। যাকে বলে প্রথম দেখাতেই প্রেম। কিতাজিমা মনে মনে তাঁর পরবর্তী তথ্যচিত্রের বিষয় খুঁজছিলেন। তথ্যচিত্রের বিষয় হিসেবে তিনি বেছে নেন রিকশাকে। কিতাজিমার সহায়তায় এগিয়ে আসেন এক জাপান-প্রবাসী বাংলাদেশি সলিমুল্লাহ কাজল। চারুকলা অনুষদের পড়ালেখা শেষে কাজল পাড়ি জমিয়েছিলেন জাপানে।
জাপানে দীর্ঘদিন কাজ করছেন টেলিভিশন প্রযোজক হিসেবে। কাজ করেছেন জাপানের এন টিভি, টিভি আশাহি, টিভি টোকিও এবং ফুজি টিভির সঙ্গে।
কিতাজিমার সঙ্গে আলাপ হওয়ার পর তাঁরা শুরু করেন রিকশা উৎসব আয়োজনের ভাবন-চিন্তা। তারই সুবাদে এই রিকশা ফিয়েস্তা।
রিকশা উৎসবের দ্বিতীয় দিনে কথা হয় আমি কিতাজিমার সঙ্গে। কাজল এবং কিতাজিমা দুজনই তখন ব্যস্ত সম্পাদনার কাজে। সম্পাদনার ফাঁকেই কিতাজিমা শোনালেন রিকশা নিয়ে তাঁর স্বপ্নের কথা। এই মুহূর্তে বাংলাদেশের রিকশা নিয়ে তৈরি তথ্যচিত্রটির কাজ মাঝামাঝি পর্যায়ে আছে। রিকশাকে সামনে রেখেই বাংলাদেশকে বাইরের দুনিয়ার মানুষের কাছে ইতিবাচকভাবে তুলে ধরতে চান তিনি। সামনে একটি পূর্ণদের্ঘ্য কাহিনিচিত্র তৈরি করতে চান কিতাজিমা। সেটিরও বিষয় বাংলাদেশের রিকশা এবং রিকশাওয়ালা। ছবির কাহিনিও মোটামুটি তৈরি।
বাংলাদেশের রিকশার কোন দিকটি বেশি ভালো লাগে কিতাজিমার?
‘এই রিকশাগুলো খুব দারুণভাবে সাজানো হয়। রঙিন আর ঝলমলে নতুন রিকশা দেখতে খুব ভালো লাগে’। বলছিলেন আমি কিতাজিমা।
রিকশার সৌন্দর্যে মুগ্ধ হয়েছেন সত্যি। কিন্তু শেষ পর্যন্ত আমি কিতাজিমার রিকশার চেয়ে বেশি পছন্দ বাংলাদেশের রিকশাওয়ালাদেরই।
রিকশাওয়ালার স্বপ্ন
রিকশা হাঁকিয়ে যাচ্ছে বাঘ মামা। আর তার পেছনে সওয়ারি শিয়াল পণ্ডিত।
বনের পশুপাখির এমন চিত্রায়ন চোখে পড়বে আমাদের রিকশাচিত্রেই। রিকশা ফিয়েস্তার অংশ হিসেবে ‘রিকশাওয়ালার স্বপ্ন’ শিরোনামে সপ্তাহব্যাপী রিকশাচিত্রের প্রদর্শনী ছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের জয়নুল গ্যালারিতে।
জাপানি চিত্রনির্মাতা সিসিলিয়া আমি কিতাজিমা
লটারি জিতে হাজার কোটি টাকা!
শিকে ছিঁড়েছে তো ছিঁড়েছে, লটারি জিতে এক লাফে হাজার কোটি টাকার বেশি
অর্থের মালিক বনে গেছেন ফ্রান্সের এক ব্যক্তি। গতকাল শুক্রবার এই লটারির ফল
ঘোষণা করা হয় বলে ‘টাইমস অব ইন্ডিয়া’র খবরে জানানো হয়।
ভাগ্যবান ওই ব্যক্তির নাম প্রকাশ না করে খবরে জানানো হয়, লটারিতে জয়ী হয়ে বাংলাদেশি মুদ্রায় তিনি এক হাজার ২৯৬ কোটি ৬২ লাখ টাকা (১৩ কোটি ২৪ লাখ ৮৬ হাজার ৭৪৪ ইউরো) পেয়েছেন।
ওই ব্যক্তি নিয়মিত লটারির কুপন কিনে ভাগ্য পরীক্ষা করতেন। গত শুক্রবার লটারির ফল ঘোষণার সময় বিজয়ী হিসেবে তাঁর নাম ঘোষিত হয়।
ভাগ্যবান ওই ব্যক্তির নাম প্রকাশ না করে খবরে জানানো হয়, লটারিতে জয়ী হয়ে বাংলাদেশি মুদ্রায় তিনি এক হাজার ২৯৬ কোটি ৬২ লাখ টাকা (১৩ কোটি ২৪ লাখ ৮৬ হাজার ৭৪৪ ইউরো) পেয়েছেন।
ওই ব্যক্তি নিয়মিত লটারির কুপন কিনে ভাগ্য পরীক্ষা করতেন। গত শুক্রবার লটারির ফল ঘোষণার সময় বিজয়ী হিসেবে তাঁর নাম ঘোষিত হয়।
লঙ্কা জয়ের পর...
‘আমরা করব জয়’ গাইতে সোহাগ গাজীকে একটুও অপেক্ষা করতে হয়নি। ওয়ানডে
অভিষেকেই ড্রেসিংরুমে সুর মিলিয়েছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের বিজয় সংগীতের
সঙ্গে। পরের ম্যাচে আবারও। তার পরও শ্রীলঙ্কায় এসে ‘আমরা করব জয়’ গাইতে
পারার মহিমাটা আলাদা হয়ে ধরা দিচ্ছে এই অফ স্পিনারের কাছে, ‘কী যে ভালো
লেগেছে, বলে বোঝাতে পারব না।’
শেন জার্গেনসেনও ‘আমরা করব জয়’ গাইতে শিখে গেছেন। চর্চা করার সুযোগ যে খুব ঘন ঘনই মিলছে! বাংলাদেশ দলের অস্ট্রেলিয়ান কোচের এখন পর্যন্ত দুর্দান্ত রেকর্ড। প্রথম সিরিজেই ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে তিনটি জয়। শ্রীলঙ্কায় প্রথম সাফল্যের ইতিহাসেও লেখা থাকল তাঁর নাম। কাল দুপুরে টিম হোটেলে হাসতে হাসতে বললেন, ‘কথা-টথা বোধ হয় ভুল হয়ে যায়, তবে দলের সঙ্গে আমিও গলা ছেড়ে গাই।’
একটা সুবিধা তো আছেই। কথা আলাদা হতে পারে, সুরটা তো বিশ্বজনীন। ‘উই শ্যাল ওভারকাম’ তো কতই গেয়েছেন জীবনে! একজন কোচের জীবনে সবচেয়ে বড় আনন্দ হলো খেলোয়াড়দের ভালো করতে দেখা, জয় যেটির চূড়ান্ত পুরস্কার। জয়ের প্রতিক্রিয়া থেকে বাংলাদেশের খেলোয়াড়দের মধ্যে পরিবর্তনটাও খুব ভালো বুঝতে পারছেন জার্গেনসেন, ‘আগে জেতার পর খেলোয়াড়েরা যেন বুঝতে পারত না, কী করবে। এখন উদ্যাপনটা খুব স্বতঃস্ফূর্ত হয়। কাল (পরশু) তো ড্রেসিংরুমে আমরা কোচিং স্টাফরাও ইচ্ছামতো লাফালাফি করেছি।’
তা লাফালাফি করার মতোই এক জয়। শ্রীলঙ্কায় এর আগের সব কটি সফর যেখানে লজ্জা আর লাঞ্ছনার প্রতিশব্দ হয়ে আছে, সেখানে এসে এবার ওয়ানডে সিরিজে ড্র। বৃষ্টি হয়তো আশীর্বাদ হয়েই এসেছিল, তার পরও ৮০ বলে ১০৫ রানও একেবারে সহজ ব্যাপার ছিল না। আবেগের আতিশয্যে মুশফিকুর রহিম যে এটিকে ‘দেশের বাইরে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় জয়’ বলে ফেললেন, সেটি নিয়েও তাই ভ্রু কোঁচকানোর কিছু নেই। এই দিনে কোনো কিছুই ধরতে নেই। নইলে মুশফিকুরকে কার্ডিফের কথা মনে করিয়ে দেওয়া যেত। পোর্ট অব স্পেন বা গায়ানার কথাও।
২০০৫ সালে কার্ডিফের জয়টা এমন এক সময়ে, অস্ট্রেলিয়াকে যখন অন্য দলগুলো শুধু স্বপ্নেই হারাতে পারত। ২০০৭ বিশ্বকাপে পোর্ট অব স্পেনে ভারতের বিপক্ষে জয়টা তো সম্ভবত বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসে সবচেয়ে তাৎপর্যময়। সেই জয়ের তরীতে ভেসে সুপার এইটে গিয়ে গায়ানায় যখন গ্রায়েম স্মিথের দলকে হারাল বাংলাদেশ, দক্ষিণ আফ্রিকা তখন ওয়ানডে র্যাঙ্কিংয়ে এক নম্বর।
কার্ডিফের রূপকথা ড্রেসিংরুম থেকে দেখেছেন। তবে পোর্ট অব স্পেন ও গায়ানায় মাঠেই জয়োল্লাস করেছেন মুশফিকুর নিজেও। সেসব ভুলে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে জয়টাকে এক নম্বর বলে ফেলার কারণ হয়তো একটাই—শ্রীলঙ্কায় এর আগে কখনোই কিছু জিততে না পারা।
২০০৬ সালে বাংলাদেশ সফরের সময় সনাৎ জয়াসুরিয়া বাংলাদেশ কোন কোন বড় দলকে হারিয়েছে শোনার পর গর্ব করে বলেছিলেন, ‘তোমরা এখনো আমাদের হারাতে পারোনি।’ নিয়তির কী খেলা, সেই সিরিজেই শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে বাংলাদেশের প্রথম জয়। সাত বছরের মধ্যে শ্রীলঙ্কা বলতে গেলে বাংলাদেশের প্রিয় প্রতিপক্ষে পরিণত! বড় দলগুলোর মধ্যে শ্রীলঙ্কাকেই সবচেয়ে বেশিবার হারিয়েছে বাংলাদেশ। গত পরশুর আগ পর্যন্ত শ্রীলঙ্কার সঙ্গী ছিল ভারত। এখন বাংলাদেশের ‘দৈত্য বধ’-এর তালিকায় শ্রীলঙ্কার নাম আসছে চারবার। তিনবার ভারতের।
‘দৈত্য বধ’ কথাটাও বোধ হয় এখন আর খাটছে না। আবদুর রাজ্জাক তো বলেই দিলেন, ‘ওয়ানডেতে এমন কোনো দল নেই, যাদের আমরা হারাতে পারি না।’ শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে আগের তিনটি জয়ের প্রথম দুটিতে ছিলেন না। ২০০৯ সালের দ্বিতীয় জয়ের সময় বোলিং অ্যাকশনের কারণে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নিষিদ্ধ ছিলেন। তাই তাঁর আনন্দটা একটু বেশি, ‘৫ উইকেট পেলাম। ২০০ উইকেটও হলো। টিমও জিতল। এই ম্যাচ থেকে আমি আর কীই-বা চাইতে পারতাম!’
মুশফিকুর রহিম এশিয়া কাপের সাফল্যভাস্বর ২০১২ শেষ হওয়ার পর নতুন বছরের লক্ষ্য ঠিক করেছিলেন দেশের বাইরে ভালো খেলা। বছরের প্রথম সফরেই সেই লক্ষ্যে যাত্রায় অবিস্মরণীয় এক সূচনা। প্রথমবারের মতো শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টেস্ট ড্র, শ্রীলঙ্কায় প্রথম শ্রীলঙ্কা-বধ—আগামীকালের টি-টোয়েন্টিটাও জিতে গেলে হয়েই গেল!
তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডের মাহাত্ম্য তো শুধু জয়ে শেষ নয়, টি-টোয়েন্টির প্র্যাকটিসটাও তো সেরে ফেলা গেছে তাতে!
শেন জার্গেনসেনও ‘আমরা করব জয়’ গাইতে শিখে গেছেন। চর্চা করার সুযোগ যে খুব ঘন ঘনই মিলছে! বাংলাদেশ দলের অস্ট্রেলিয়ান কোচের এখন পর্যন্ত দুর্দান্ত রেকর্ড। প্রথম সিরিজেই ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে তিনটি জয়। শ্রীলঙ্কায় প্রথম সাফল্যের ইতিহাসেও লেখা থাকল তাঁর নাম। কাল দুপুরে টিম হোটেলে হাসতে হাসতে বললেন, ‘কথা-টথা বোধ হয় ভুল হয়ে যায়, তবে দলের সঙ্গে আমিও গলা ছেড়ে গাই।’
একটা সুবিধা তো আছেই। কথা আলাদা হতে পারে, সুরটা তো বিশ্বজনীন। ‘উই শ্যাল ওভারকাম’ তো কতই গেয়েছেন জীবনে! একজন কোচের জীবনে সবচেয়ে বড় আনন্দ হলো খেলোয়াড়দের ভালো করতে দেখা, জয় যেটির চূড়ান্ত পুরস্কার। জয়ের প্রতিক্রিয়া থেকে বাংলাদেশের খেলোয়াড়দের মধ্যে পরিবর্তনটাও খুব ভালো বুঝতে পারছেন জার্গেনসেন, ‘আগে জেতার পর খেলোয়াড়েরা যেন বুঝতে পারত না, কী করবে। এখন উদ্যাপনটা খুব স্বতঃস্ফূর্ত হয়। কাল (পরশু) তো ড্রেসিংরুমে আমরা কোচিং স্টাফরাও ইচ্ছামতো লাফালাফি করেছি।’
তা লাফালাফি করার মতোই এক জয়। শ্রীলঙ্কায় এর আগের সব কটি সফর যেখানে লজ্জা আর লাঞ্ছনার প্রতিশব্দ হয়ে আছে, সেখানে এসে এবার ওয়ানডে সিরিজে ড্র। বৃষ্টি হয়তো আশীর্বাদ হয়েই এসেছিল, তার পরও ৮০ বলে ১০৫ রানও একেবারে সহজ ব্যাপার ছিল না। আবেগের আতিশয্যে মুশফিকুর রহিম যে এটিকে ‘দেশের বাইরে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় জয়’ বলে ফেললেন, সেটি নিয়েও তাই ভ্রু কোঁচকানোর কিছু নেই। এই দিনে কোনো কিছুই ধরতে নেই। নইলে মুশফিকুরকে কার্ডিফের কথা মনে করিয়ে দেওয়া যেত। পোর্ট অব স্পেন বা গায়ানার কথাও।
২০০৫ সালে কার্ডিফের জয়টা এমন এক সময়ে, অস্ট্রেলিয়াকে যখন অন্য দলগুলো শুধু স্বপ্নেই হারাতে পারত। ২০০৭ বিশ্বকাপে পোর্ট অব স্পেনে ভারতের বিপক্ষে জয়টা তো সম্ভবত বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসে সবচেয়ে তাৎপর্যময়। সেই জয়ের তরীতে ভেসে সুপার এইটে গিয়ে গায়ানায় যখন গ্রায়েম স্মিথের দলকে হারাল বাংলাদেশ, দক্ষিণ আফ্রিকা তখন ওয়ানডে র্যাঙ্কিংয়ে এক নম্বর।
কার্ডিফের রূপকথা ড্রেসিংরুম থেকে দেখেছেন। তবে পোর্ট অব স্পেন ও গায়ানায় মাঠেই জয়োল্লাস করেছেন মুশফিকুর নিজেও। সেসব ভুলে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে জয়টাকে এক নম্বর বলে ফেলার কারণ হয়তো একটাই—শ্রীলঙ্কায় এর আগে কখনোই কিছু জিততে না পারা।
২০০৬ সালে বাংলাদেশ সফরের সময় সনাৎ জয়াসুরিয়া বাংলাদেশ কোন কোন বড় দলকে হারিয়েছে শোনার পর গর্ব করে বলেছিলেন, ‘তোমরা এখনো আমাদের হারাতে পারোনি।’ নিয়তির কী খেলা, সেই সিরিজেই শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে বাংলাদেশের প্রথম জয়। সাত বছরের মধ্যে শ্রীলঙ্কা বলতে গেলে বাংলাদেশের প্রিয় প্রতিপক্ষে পরিণত! বড় দলগুলোর মধ্যে শ্রীলঙ্কাকেই সবচেয়ে বেশিবার হারিয়েছে বাংলাদেশ। গত পরশুর আগ পর্যন্ত শ্রীলঙ্কার সঙ্গী ছিল ভারত। এখন বাংলাদেশের ‘দৈত্য বধ’-এর তালিকায় শ্রীলঙ্কার নাম আসছে চারবার। তিনবার ভারতের।
‘দৈত্য বধ’ কথাটাও বোধ হয় এখন আর খাটছে না। আবদুর রাজ্জাক তো বলেই দিলেন, ‘ওয়ানডেতে এমন কোনো দল নেই, যাদের আমরা হারাতে পারি না।’ শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে আগের তিনটি জয়ের প্রথম দুটিতে ছিলেন না। ২০০৯ সালের দ্বিতীয় জয়ের সময় বোলিং অ্যাকশনের কারণে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নিষিদ্ধ ছিলেন। তাই তাঁর আনন্দটা একটু বেশি, ‘৫ উইকেট পেলাম। ২০০ উইকেটও হলো। টিমও জিতল। এই ম্যাচ থেকে আমি আর কীই-বা চাইতে পারতাম!’
মুশফিকুর রহিম এশিয়া কাপের সাফল্যভাস্বর ২০১২ শেষ হওয়ার পর নতুন বছরের লক্ষ্য ঠিক করেছিলেন দেশের বাইরে ভালো খেলা। বছরের প্রথম সফরেই সেই লক্ষ্যে যাত্রায় অবিস্মরণীয় এক সূচনা। প্রথমবারের মতো শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টেস্ট ড্র, শ্রীলঙ্কায় প্রথম শ্রীলঙ্কা-বধ—আগামীকালের টি-টোয়েন্টিটাও জিতে গেলে হয়েই গেল!
তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডের মাহাত্ম্য তো শুধু জয়ে শেষ নয়, টি-টোয়েন্টির প্র্যাকটিসটাও তো সেরে ফেলা গেছে তাতে!
তেঁতুলিয়ায় ১৪৪ ধারা জারি
পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনকে কেন্দ্র করে
বিবদমান দুই পক্ষের নেতা-কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের আশঙ্কায় ১৪৪ ধারা জারি
করা হয়েছে। সংঘর্ষ এড়াতে ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির আশঙ্কায় গতকাল
শুক্রবার রাত ১২টা থেকে উপজেলা প্রশাসন আজ শনিবার রাত ১২টা পর্যন্ত ১৪৪
ধারা জারি করে।
পুলিশ জানায়, দীর্ঘদিন ধরে তেঁতুলিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের দুটি পক্ষের মধ্যে কোন্দল চলছে। আহ্বায়ক কমিটি আজ তেঁতুলিয়া সদর এলাকার চৌরাস্তায় দলীয় কার্যালয় চত্বরে উপজেলা আওয়ামী লীগের দ্বিবার্ষিক সম্মেলন ডাকে। উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের নেতৃত্বে অপর পক্ষ এই সম্মেলন প্রতিহত করার ঘোষণা দেয়। এতে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মনিরুজ্জামান প্রথম আলো ডটকমকে জানান, অপ্রীতিকর অবস্থা এড়াতে আজ রাত ১২টা পর্যন্ত তেঁতুলিয়া চৌরাস্তা ও আশপাশে ৫০০ মিটার এলাকাজুড়ে ১৪৪ ধারা বহাল থাকবে।
পুলিশ জানায়, দীর্ঘদিন ধরে তেঁতুলিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের দুটি পক্ষের মধ্যে কোন্দল চলছে। আহ্বায়ক কমিটি আজ তেঁতুলিয়া সদর এলাকার চৌরাস্তায় দলীয় কার্যালয় চত্বরে উপজেলা আওয়ামী লীগের দ্বিবার্ষিক সম্মেলন ডাকে। উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের নেতৃত্বে অপর পক্ষ এই সম্মেলন প্রতিহত করার ঘোষণা দেয়। এতে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মনিরুজ্জামান প্রথম আলো ডটকমকে জানান, অপ্রীতিকর অবস্থা এড়াতে আজ রাত ১২টা পর্যন্ত তেঁতুলিয়া চৌরাস্তা ও আশপাশে ৫০০ মিটার এলাকাজুড়ে ১৪৪ ধারা বহাল থাকবে।
রাজধানীতে পাকিস্তানি ও জামায়াত নেতাসহ গ্রেপ্তার ১৬
রাজধানীর কাঁঠালবাগান, নিকুঞ্জ ও বংশালে অভিযান চালিয়ে চার পাকিস্তানিসহ
১৬ জনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। গতকাল
সন্ধ্যা সাতটা থেকে আটটা পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।
আজ শনিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ ব্রিফিংয়ে ডিএমপি কমিশনারের মুখপাত্র মনিরুল ইসলাম এ কথা জানান।
ডিএমপি কমিশনারের মুখপাত্র জানান, আটক চার পাকিস্তানি হলেন: সাঈদ উদ্দিন, মোহাম্মদ ফারহান, রুবিনা বেগম ও নার্গিস আক্তার। এ ছাড়া, জামায়াতের নেতা চিকিত্সক ফরিদ উদ্দিন আহমদ, ফরিদ উদ্দিন মাসুদ, মিজানুর রহমান, মাহফুজুর রহমানসহ আরও ১২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
সংবাদ ব্রিফিংয়ে মনিরুল ইসলাম দাবি করেন, হরকাতুল জিহাদ, হরকাতুল মুজাহিদীনসহ যেসব জঙ্গি সংগঠনের কর্মকাণ্ড স্থবির ও বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছিল, তাদের আবার চাঙা করার চেষ্টা করছিলেন ফরিদ উদ্দিন আহমদ। তিনি তাঁর অনুসারীদের কাছে ‘তাত্ত্বিক গুরু’ হিসেবে পরিচিত। তিনি সিলেটের ওসমানী মেডিকেল কলেজ থেকে চিকিত্সাবিদ্যায় পড়াশোনা শেষ করেন। সেখানকার ছাত্র থাকা অবস্থায় তিনি মেডিকেল কলেজ ছাত্রশিবিরের সভাপতি ছিলেন। পরে ফরিদ উদ্দিন আহমদ সিলেট মহানগর জামায়াতের সঙ্গে সম্পৃক্ত হন। এরপর তিনি মাদারীপুরে প্রায় এক যুগ জেলা জামায়াতের আমির ছিলেন।
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর পক্ষে তিনি প্রার্থী হয়ে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেন। তিনি দেশে বড় ধরনের নাশকতা সৃষ্টির জন্য জঙ্গিদের সংগঠিত করার চেষ্টা করছিলেন।
গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিরা পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে এসব তথ্য দিয়েছেন বলে দাবি করেন মনিরুল ইসলাম। জিজ্ঞাসাবাদে পাওয়া তথ্যের ব্যাপারে তাঁর ভাষ্য, গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিদের উদ্দেশ্য ছিল বিভিন্ন ব্যাংকে ডাকাতি করে অর্থ জোগাড় করার পর তা দিয়ে পাকিস্তান থেকে অস্ত্র কেনা। এ ছাড়া, চার পাকিস্তানি জাল অর্থ ব্যবসায়ী তাঁদের আয়ের একটা অংশ জঙ্গিদের সংগঠিত করার কাজে ব্যয় করতে ফরিদ উদ্দিন আহমদকে দিতেন।
ডিএমপি কমিশনারের মুখপাত্রের দাবি, গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিদের কাছ থেকে আটটি হাতবোমা, প্রায় দেড় কোটি ভারতীয় ও পাকিস্তানি জাল রুপি, বিপুল পরিমাণ বোমা তৈরির সরঞ্জাম ইত্যাদি উদ্ধার করা হয়েছে।
ডিবি পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার মসিউর রহমান প্রথম আলো ডটকমকে জানান, এই ১৬ ব্যক্তির বিরুদ্ধে রাজধানীর কলাবাগান, খিলক্ষেত ও বংশাল থানায় তিনটি মামলা হয়েছে। এসব মামলায় তাঁদের গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
আজ শনিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ ব্রিফিংয়ে ডিএমপি কমিশনারের মুখপাত্র মনিরুল ইসলাম এ কথা জানান।
ডিএমপি কমিশনারের মুখপাত্র জানান, আটক চার পাকিস্তানি হলেন: সাঈদ উদ্দিন, মোহাম্মদ ফারহান, রুবিনা বেগম ও নার্গিস আক্তার। এ ছাড়া, জামায়াতের নেতা চিকিত্সক ফরিদ উদ্দিন আহমদ, ফরিদ উদ্দিন মাসুদ, মিজানুর রহমান, মাহফুজুর রহমানসহ আরও ১২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
সংবাদ ব্রিফিংয়ে মনিরুল ইসলাম দাবি করেন, হরকাতুল জিহাদ, হরকাতুল মুজাহিদীনসহ যেসব জঙ্গি সংগঠনের কর্মকাণ্ড স্থবির ও বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছিল, তাদের আবার চাঙা করার চেষ্টা করছিলেন ফরিদ উদ্দিন আহমদ। তিনি তাঁর অনুসারীদের কাছে ‘তাত্ত্বিক গুরু’ হিসেবে পরিচিত। তিনি সিলেটের ওসমানী মেডিকেল কলেজ থেকে চিকিত্সাবিদ্যায় পড়াশোনা শেষ করেন। সেখানকার ছাত্র থাকা অবস্থায় তিনি মেডিকেল কলেজ ছাত্রশিবিরের সভাপতি ছিলেন। পরে ফরিদ উদ্দিন আহমদ সিলেট মহানগর জামায়াতের সঙ্গে সম্পৃক্ত হন। এরপর তিনি মাদারীপুরে প্রায় এক যুগ জেলা জামায়াতের আমির ছিলেন।
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর পক্ষে তিনি প্রার্থী হয়ে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেন। তিনি দেশে বড় ধরনের নাশকতা সৃষ্টির জন্য জঙ্গিদের সংগঠিত করার চেষ্টা করছিলেন।
গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিরা পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে এসব তথ্য দিয়েছেন বলে দাবি করেন মনিরুল ইসলাম। জিজ্ঞাসাবাদে পাওয়া তথ্যের ব্যাপারে তাঁর ভাষ্য, গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিদের উদ্দেশ্য ছিল বিভিন্ন ব্যাংকে ডাকাতি করে অর্থ জোগাড় করার পর তা দিয়ে পাকিস্তান থেকে অস্ত্র কেনা। এ ছাড়া, চার পাকিস্তানি জাল অর্থ ব্যবসায়ী তাঁদের আয়ের একটা অংশ জঙ্গিদের সংগঠিত করার কাজে ব্যয় করতে ফরিদ উদ্দিন আহমদকে দিতেন।
ডিএমপি কমিশনারের মুখপাত্রের দাবি, গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিদের কাছ থেকে আটটি হাতবোমা, প্রায় দেড় কোটি ভারতীয় ও পাকিস্তানি জাল রুপি, বিপুল পরিমাণ বোমা তৈরির সরঞ্জাম ইত্যাদি উদ্ধার করা হয়েছে।
ডিবি পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার মসিউর রহমান প্রথম আলো ডটকমকে জানান, এই ১৬ ব্যক্তির বিরুদ্ধে রাজধানীর কলাবাগান, খিলক্ষেত ও বংশাল থানায় তিনটি মামলা হয়েছে। এসব মামলায় তাঁদের গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
Friday, March 29, 2013
লিস্টারশায়ারে সাকিব
সাকিব
আল হাসানকে চুক্তিবদ্ধ করেছে ইংলিশ কাউন্টি দল লিস্টারশায়ার। ফ্রেন্ডস
লাইফ টি-টোয়েন্টি প্রতিযোগিতার এবারের মৌসুমে লিস্টারশায়ারের হয়ে দেখা
যাবে বাংলাদেশের তারকা এই অলরাউন্ডারকে।
ক্রিকইনফোর খবরে বলা হয়, এ মৌসুমে দ্বিতীয় বিদেশি ক্রিকেটার হিসেবে সাকিবকে চুক্তিবদ্ধ করেছে লিস্টারশায়ার। তবে খবরে চুক্তির বিস্তারিত জানানো হয়নি। এর আগে সাকিব খেলেছেন কাউন্টি দল উস্টারশায়ারের হয়ে।
আইসিসির সর্বশেষ প্রকাশিত ওয়ানডে অলরাউন্ডারের তালিকায় সবার ওপরে সাকিব। টেস্টে আছেন দুই নম্বরে। আর টি-টোয়েন্টির অলরাউন্ডারের তালিকায় সাকিবের অবস্থান সপ্তম। এমন একজন ক্রিকেটারকে পেয়ে উচ্ছ্বসিত লিস্টারশায়ারের প্রধান কোচ ফিল হুইটিকেস। তিনি বলেন, ‘আমি সত্যি আনন্দিত। আমরা এমন একজনকে চুক্তিবদ্ধ করতে পেরেছি, যে ওয়ানডেতে বিশ্বের সেরা অলরাউন্ডার।’
২৬ বছর বয়সী সাকিবকে পেয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন দলের প্রধান নির্বাহী মাইক সিডালও। তিনি বলেন, ‘সাকিবের মতো অভিজ্ঞ ও প্রতিভাধর একজন ক্রিকেটারকে চুক্তিবদ্ধ করতে পেরে আমরা আনন্দিত। টি-টোয়েন্টিতে তাঁর রেকর্ড অসাধারণ। দলে তাঁকে দেখার অপেক্ষায় আছি আমি।’
পায়ে অস্ত্রোপচার হওয়ায় আপাতত ক্রিকেটের বাইরে আছেন সাকিব। অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে গত ২৬ ফেব্রুয়ারি ডান পায়ের কাফ মাসলে অস্ত্রোপচার হয় তাঁর। এ কারণে শ্রীলঙ্কা সফরে ছিলেন না। সফল অস্ত্রোপচার শেষে ৬ মার্চ সন্ধ্যায় দেশে ফেরেন তিনি। আগামী মাসের মাঝামাঝি সময়ে জিম্বাবুয়ে সফরে দেশের হয়ে মাঠে নামতে আশাবাদী সাকিব।
ক্রিকইনফোর খবরে বলা হয়, এ মৌসুমে দ্বিতীয় বিদেশি ক্রিকেটার হিসেবে সাকিবকে চুক্তিবদ্ধ করেছে লিস্টারশায়ার। তবে খবরে চুক্তির বিস্তারিত জানানো হয়নি। এর আগে সাকিব খেলেছেন কাউন্টি দল উস্টারশায়ারের হয়ে।
আইসিসির সর্বশেষ প্রকাশিত ওয়ানডে অলরাউন্ডারের তালিকায় সবার ওপরে সাকিব। টেস্টে আছেন দুই নম্বরে। আর টি-টোয়েন্টির অলরাউন্ডারের তালিকায় সাকিবের অবস্থান সপ্তম। এমন একজন ক্রিকেটারকে পেয়ে উচ্ছ্বসিত লিস্টারশায়ারের প্রধান কোচ ফিল হুইটিকেস। তিনি বলেন, ‘আমি সত্যি আনন্দিত। আমরা এমন একজনকে চুক্তিবদ্ধ করতে পেরেছি, যে ওয়ানডেতে বিশ্বের সেরা অলরাউন্ডার।’
২৬ বছর বয়সী সাকিবকে পেয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন দলের প্রধান নির্বাহী মাইক সিডালও। তিনি বলেন, ‘সাকিবের মতো অভিজ্ঞ ও প্রতিভাধর একজন ক্রিকেটারকে চুক্তিবদ্ধ করতে পেরে আমরা আনন্দিত। টি-টোয়েন্টিতে তাঁর রেকর্ড অসাধারণ। দলে তাঁকে দেখার অপেক্ষায় আছি আমি।’
পায়ে অস্ত্রোপচার হওয়ায় আপাতত ক্রিকেটের বাইরে আছেন সাকিব। অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে গত ২৬ ফেব্রুয়ারি ডান পায়ের কাফ মাসলে অস্ত্রোপচার হয় তাঁর। এ কারণে শ্রীলঙ্কা সফরে ছিলেন না। সফল অস্ত্রোপচার শেষে ৬ মার্চ সন্ধ্যায় দেশে ফেরেন তিনি। আগামী মাসের মাঝামাঝি সময়ে জিম্বাবুয়ে সফরে দেশের হয়ে মাঠে নামতে আশাবাদী সাকিব।
নিয়ম ভেঙে তরুণীর পা ধুয়ে দিলেন পোপ
চার্চের নিয়ম ভেঙে হলি থার্সডের আনুষ্ঠানিকতার সময় কিশোরদের পাশাপাশি দুই
তরুণীর পা ধুয়ে দিয়েছেন নতুন পোপ ফ্রান্সিস। এরপর তাঁদের পায়ে চুমুও
খেয়েছেন। এ নিয়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, রোমের ক্যাসেল দেল মারমো কিশোর অপরাধ কেন্দ্রে গতকাল বৃহস্পতিবার দুই তরুণী ও ১০ জন কিশোরের পা ধুয়ে দিয়েছেন পোপ ফ্রান্সিস। এরপর তিনি তাঁদের পা মুছে চুমু খেয়েছেন।
এর আগে কোনো পোপ কোনো নারীর পা ধুয়ে দেননি এবং পায়ে চুমুও খাননি। পোপ ফ্রান্সিসের এই পদক্ষেপ রক্ষণশীলদের মধ্যে বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। সমালোচকেরা বলছেন, পোপ একটি প্রশ্নবিদ্ধ উদাহরণ স্থাপন করেছেন।
ভ্যাটিকান থেকে প্রকাশ করা একটি ভিডিওতে দেখা যায়, ৭৬ বছর বয়সী ফ্রান্সিস মেঝেতে হাঁটু গেড়ে বসে কয়েকজন কিশোর-কিশোরীর পায়ে পানি ঢালছেন। তাঁদের মধ্যে কৃষ্ণাঙ্গ-শ্বেতাঙ্গ, নারী ও পুরুষ রয়েছে। এমনকি কারও কারও পায়ে উল্কিও ছিল। এরপর পোপ তাঁদের পা মুছে দিয়েছেন এবং ঝুঁকে তাঁদের পায়ে চুমু দিয়েছেন।
কিশোর অপরাধীদের উদ্দেশে দেওয়া বক্তৃতায় পোপ ফ্রান্সিস বলেন, ‘ভালোবাসা ও সেবার উদাহরণ হিসেবে ক্রুশবিদ্ধ হওয়ার প্রাক্কালে যিশু তাঁর ভক্তদের পা ধুয়ে দিয়েছেন। এটা একটা প্রতীক। একটা চিহ্ন। তোমাদের পা ধুয়ে দেওয়ার অর্থ আমি তোমাদের সেবায় নিয়োজিত।’
১৪ থেকে ২১ বছর বয়সী ওই অপরাধীদের উদ্দেশে ফ্রান্সিস বলেন, ‘পরস্পরকে সাহায্য করো। এটাই যিশুর শিক্ষা। আমি তাই করছি। আমি আমার অন্তর থেকেই এটা করছি। কারণ, এটা আমার দায়িত্ব। একজন যাজক হিসেবে আপনাদের সেবা করা আমার দায়িত্ব।’
বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, রোমের ক্যাসেল দেল মারমো কিশোর অপরাধ কেন্দ্রে গতকাল বৃহস্পতিবার দুই তরুণী ও ১০ জন কিশোরের পা ধুয়ে দিয়েছেন পোপ ফ্রান্সিস। এরপর তিনি তাঁদের পা মুছে চুমু খেয়েছেন।
এর আগে কোনো পোপ কোনো নারীর পা ধুয়ে দেননি এবং পায়ে চুমুও খাননি। পোপ ফ্রান্সিসের এই পদক্ষেপ রক্ষণশীলদের মধ্যে বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। সমালোচকেরা বলছেন, পোপ একটি প্রশ্নবিদ্ধ উদাহরণ স্থাপন করেছেন।
ভ্যাটিকান থেকে প্রকাশ করা একটি ভিডিওতে দেখা যায়, ৭৬ বছর বয়সী ফ্রান্সিস মেঝেতে হাঁটু গেড়ে বসে কয়েকজন কিশোর-কিশোরীর পায়ে পানি ঢালছেন। তাঁদের মধ্যে কৃষ্ণাঙ্গ-শ্বেতাঙ্গ, নারী ও পুরুষ রয়েছে। এমনকি কারও কারও পায়ে উল্কিও ছিল। এরপর পোপ তাঁদের পা মুছে দিয়েছেন এবং ঝুঁকে তাঁদের পায়ে চুমু দিয়েছেন।
কিশোর অপরাধীদের উদ্দেশে দেওয়া বক্তৃতায় পোপ ফ্রান্সিস বলেন, ‘ভালোবাসা ও সেবার উদাহরণ হিসেবে ক্রুশবিদ্ধ হওয়ার প্রাক্কালে যিশু তাঁর ভক্তদের পা ধুয়ে দিয়েছেন। এটা একটা প্রতীক। একটা চিহ্ন। তোমাদের পা ধুয়ে দেওয়ার অর্থ আমি তোমাদের সেবায় নিয়োজিত।’
১৪ থেকে ২১ বছর বয়সী ওই অপরাধীদের উদ্দেশে ফ্রান্সিস বলেন, ‘পরস্পরকে সাহায্য করো। এটাই যিশুর শিক্ষা। আমি তাই করছি। আমি আমার অন্তর থেকেই এটা করছি। কারণ, এটা আমার দায়িত্ব। একজন যাজক হিসেবে আপনাদের সেবা করা আমার দায়িত্ব।’
পুলিশ কি আঙুল চুষবে—প্রশ্ন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহীউদ্দীন খান আলমগীর বলেছেন, ‘পুলিশের সামনে, নিরাপত্তা
কর্মীদের সামনে যদি সাধারণ মানুষকে খুন করা হয়, তবে কি পুলিশ আঙুল চুষবে?
পুলিশকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে এগুলো বন্ধ করার জন্য।’ আজ শুক্রবার
দুপুরে চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলার আলিয়ারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের
নতুন ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা
বলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
এর আগে ভিত্তিপ্রস্তর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘চাঁদের মধ্যে ছবি রেখে এত বড় একটি মিথ্যা কথা বলে দেশের মধ্যে এতগুলো লোক তারা মারল। এর ক্ষতিপূরণ কে দেবে? এর ক্ষতিপূরণ বিরোধীদলীয় নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া আর জামায়াতে ইসলামীকে দিতে হবে।’ জামায়াতে ইসলামী নিষিদ্ধ করা প্রসঙ্গে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সারা দেশে দাবি উঠলে জামায়াত নিষিদ্ধ করা হবে।
ভিত্তিপ্রস্তর উদ্বোধন অনুষ্ঠান শেষে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কচুয়ার বিতারা ইউনিয়নের উত্তর শিবপুর গ্রামে বিদ্যুত্সংযোগ উদ্বোধন করেন। এ সময় চাঁদপুরের পুলিশ সুপার আমির জাফর, কচুয়া উপজেলা চেয়ারম্যান আইয়ুব আলী পাটোয়ারী, ভাইস চেয়ারম্যান কামরুন নাহার, ৩ নম্বর বিতারা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইসহাক শিকদার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে ভিত্তিপ্রস্তর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘চাঁদের মধ্যে ছবি রেখে এত বড় একটি মিথ্যা কথা বলে দেশের মধ্যে এতগুলো লোক তারা মারল। এর ক্ষতিপূরণ কে দেবে? এর ক্ষতিপূরণ বিরোধীদলীয় নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া আর জামায়াতে ইসলামীকে দিতে হবে।’ জামায়াতে ইসলামী নিষিদ্ধ করা প্রসঙ্গে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সারা দেশে দাবি উঠলে জামায়াত নিষিদ্ধ করা হবে।
ভিত্তিপ্রস্তর উদ্বোধন অনুষ্ঠান শেষে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কচুয়ার বিতারা ইউনিয়নের উত্তর শিবপুর গ্রামে বিদ্যুত্সংযোগ উদ্বোধন করেন। এ সময় চাঁদপুরের পুলিশ সুপার আমির জাফর, কচুয়া উপজেলা চেয়ারম্যান আইয়ুব আলী পাটোয়ারী, ভাইস চেয়ারম্যান কামরুন নাহার, ৩ নম্বর বিতারা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইসহাক শিকদার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
রাজ্জাকের ২০০
টেস্টে ব্যাটসম্যানদের জন্য যা সেঞ্চুরি, বোলারদের জন্য তা ইনিংসে ৫ উইকেট। কিন্তু ওয়ানডেতে কি দ্বিতীয়টিকে একটু এগিয়ে রাখা উচিত?
টেস্টের বিচার এক রকম, ওয়ানডের অন্য রকম। টেস্টে যতক্ষণ ইচ্ছা ব্যাটিং-বোলিং করা যায়। ওয়ানডেতে তা ওভার-নির্দিষ্ট। তা ৫০ ওভারের মধ্যে সেঞ্চুরি করা বেশি কঠিন নাকি ১০ ওভারের মধ্যে ৫ উইকেট নেওয়া? তর্ক হতেই পারে। সাহায্যে আসতে পারে একটা তথ্য। টেস্টে ইনিংসে ৪ উইকেটের হিসাব থাকে না। ওয়ানডেতে কিন্তু থাকে। তার মানে কি ওয়ানডেতে ৪ উইকেটই টেস্টে ৫ উইকেটের সমান?
তা-ই যদি হয়, তাহলে ৫ উইকেট নেওয়ার কৃতিত্ব টেস্টের চেয়ে ওয়ানডেতে বড় হয়ে যায়। তার মানে তো সেঞ্চুরির চেয়েও। এই বিচারে কাল পাল্লেকেলেতে তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডেতে শ্রীলঙ্কার ইনিংস শেষে তিলকরত্নে দিলশানের চেয়ে আবদুর রাজ্জাকই এগিয়ে!
সেঞ্চুরি বা ৫ উইকেট উদ্যাপন করার মতোই ব্যাপার। দুজনই তা করলেন। তবে রাজ্জাকের উদ্যাপনটা ৫ উইকেট পাওয়ার আনন্দ ছাপিয়ে আরও বৃহত্তর মাত্রা পেল। এই ৫ উইকেটেই যে ছুঁয়ে ফেললেন ওয়ানডেতে ২০০ উইকেটের মাইলফলক।
ওয়ানডে ইতিহাসে রাজ্জাকের এই অর্জন বুদ্বুদ তুলেই মিলিয়ে যাবে। খুব বড় কিছু তো নয়, তাঁর আগে আরও ৩৩ জন বোলার সদস্যপদ পেয়েছেন এই ‘টু হান্ড্রেড ক্লাব’-এর। তবে শুধুই বাংলাদেশ ক্রিকেটের আয়নায় আবদুর রাজ্জাকের এই অর্জন প্রতিবিম্বিত ‘কীর্তি’ বলে। বাংলাদেশের কোনো বোলারের ২০০ উইকেট তো এই প্রথম।
শুধু বাঁহাতি স্পিনারের প্রজাতিটা আলাদা করে নিলে রাজ্জাক ছাড়া আর মাত্র দুজন আছেন এই ক্লাবে। সবার ওপরে যাঁর নাম, তিনি কাল ম্যাচের মাঝখানে সংবাদ সম্মেলন করলেন। শ্রীলঙ্কার টি-টোয়েন্টি দলে রামিথ রামবুকওয়ালে নামের এক তরুণকে নেওয়া হয়েছে। ঘরোয়া ক্রিকেটে বলার মতো তেমন পারফরম্যান্স নেই। তথ্যমন্ত্রীর ছেলে পরিচয়টাই তাঁর দলভুক্তিতে বড় ভূমিকা রেখেছে সাধারণ ধারণা। স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে তীব্র সমালোচনাও হয়েছে। সেটির জবাব দিতেই সংবাদ সম্মেলন ডেকেছিলেন প্রধান নির্বাচক সনাৎ জয়াসুরিয়া। ‘জবাব’ যা দিলেন, তাতে অবশ্য স্থানীয় সাংবাদিকদের কেউই আগের ধারণা থেকে সরে আসার কোনো কারণ দেখছেন না।
বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ের আড়ালে তাঁর বোলার পরিচয়টা প্রায়ই হারিয়ে যায়। অথচ বাঁহাতি স্পিনে জয়াসুরিয়ার ৩২৩ উইকেট। কালকের আগ পর্যন্ত জয়াসুরিয়া ছাড়া আর যে একজন বাঁহাতি স্পিনারের ২০০ উইকেট ছিল, তাঁর নাম ড্যানিয়েল ভেট্টোরি (২৮২)। রাজ্জাকের গল্পটা এই দুজনের চেয়ে অনেক বেশি রোমাঞ্চকর। অনেক বেশি সংগ্রামমুখরও। মুত্তিয়া মুরালিধরনকে যে যন্ত্রণার মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছে, সেটির সঙ্গে তুলনা চলে না। কিন্তু মুরালির দেশে রাজ্জাকের ২০০ উইকেটের কীর্তি মনে করিয়ে দিচ্ছে দুজনের মিলটা। বোলিং অ্যাকশন নিয়ে রাজ্জাককেও তো কম ভুগতে হয়নি। এক দিক থেকে তো একটু বেশিই। মুরালি তো আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে কখনো ‘নিষিদ্ধ’ হননি, যে বিড়ম্বনা বিনিদ্র অনেক রাত্রি উপহার দিয়েছে রাজ্জাককে।
রাজ্জাককে আবিষ্কারের কৃতিত্বটা সাবেক প্রধান নির্বাচক ফারুক আহমেদের। নিজে ঘরোয়া ক্রিকেটে খেলার সময় দেখেছেন, রাজ্জাককে মারা কত কঠিন। ২০০৪ সালের ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরের ওয়ানডে দলে তাই নিয়ে নিলেন তাঁকে। পরদিন গ্রেনাডায় সিরিজের শেষ ম্যাচে অভিষেক হচ্ছে জেনে রাতে ঘুমুতে গেলেন রাজ্জাক। সকালে বৃষ্টিতে ম্যাচ কমে গেল ২৫ ওভারে। পেস-সহায়ক কন্ডিশনে একজন বাড়তি পেসার খেলানোর সিদ্ধান্তে রাজ্জাকের আর খেলাই হলো না। শুধু যাওয়া আর আসাই হয়ে থাকল তাঁর সেই ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরের স্মৃতি।
ওয়ানডে অভিষেকের জন্য বেশি দিন অবশ্য অপেক্ষা করতে হয়নি। সেটি এই মুরালির দেশেই। এশিয়া কাপে হংকংয়ের বিপক্ষে অভিষেকেই ৩ উইকেট। পাকিস্তানের বিপক্ষে পরের ম্যাচে ১০ ওভারে ৩৬ রানে ২ উইকেট, কিন্তু সেই ম্যাচের পর প্রশ্ন উঠল বোলিং অ্যাকশন নিয়ে। সেটি শুধরে-টুধরে ফিরলেন। ওয়ানডেতে বাংলাদেশের এক নম্বর বোলারের স্বীকৃতি এবং চাপ দুটিই বয়ে চলারও সেই শুরু। বড় ধাক্কাটা ২০০৮ সালে। যখন দ্বিতীয়বার ‘রিপোর্টেড’ হয়ে সাময়িকভাবে নিষিদ্ধ হয়ে গেলেন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে। ১৫ ডিগ্রি পর্যন্ত হাত বাঁকানো আইনসিদ্ধ, তাঁর বেঁকে যায় ২৮ ডিগ্রি। ক্যারিয়ার নিয়েই তখন বড় প্রশ্ন।
কিন্তু আবদুর রাজ্জাক বড় শক্ত ধাতুতে গড়া। ঘণ্টার পর ঘণ্টা নেটে কাটিয়ে আবারও শুধরেছেন নিজেকে। ফিরতে পারবেন কিনা, সংশয় ছিল অনেকের মনেই। রাজ্জাকের নিজের বুকও কি দুরুদুরু করেনি! শেষ পর্যন্ত দুঃসহ সেই সময়কে জয় করে ঠিকই ফিরেছেন এবং বলতে গেলে ফেরার দিন থেকেই আবার বাংলাদেশের এক নম্বর স্পিনার।
রেকর্ডই তাঁর পক্ষে কথা বলে। কিন্তু পুরোটা কি বলে? মারদাঙ্গা ক্রিকেটের এই যুগে ৪.৪৮ ইকোনমি রেটকে যথেষ্টই ভালো বলতে হবে। কিন্তু এতে তো আর লেখা নেই যে, রাজ্জাক তাঁর ১০ ওভারের ৬/৭ ওভারই করেন পাওয়ার প্লেতে। পেসাররা মার খাচ্ছেন, অধিনায়কের সহায় রাজ্জাক। কোনো ব্যাটসম্যান ঝড় তুলছেন, রাজ্জাককে ডাকো। দিনে দিনে রাজ্জাকের নামের প্রতিশব্দ হয়ে উঠেছে ‘নির্ভরতা’।
২০০ উইকেটের মালাটা তাঁর চেয়ে ভালো আর কার গলায় মানাত!
ওয়ানডেতে বাংলাদেশের সেরা চার বোলার
ম্যাচ রান উইকেট সেরা গড় ইকোনমি ৪/৫
আবদুর রাজ্জাক ১৪১ ৫৪৯৩ ২০০ ৫/২৯ ২৭.৪৬ ৪.৪৮ ৫/৪
মাশরাফি বিন মুর্তজা ১২৬ ৪৮৮২ ১৬১ ৬/২৬ ৩০.৩২ ৪.৬৩ ৫/১
সাকিব আল হাসান ১২৬ ৪৬১৭ ১৬০ ৪/১৬ ২৮.৮৫ ৪.২৯ ৪/০
মোহাম্মদ রফিক ১২৩ ৪৬১২ ১১৯ ৫/৪৭ ৩৮.৭৫ ৪.৩৯ ২/১
টেস্টের বিচার এক রকম, ওয়ানডের অন্য রকম। টেস্টে যতক্ষণ ইচ্ছা ব্যাটিং-বোলিং করা যায়। ওয়ানডেতে তা ওভার-নির্দিষ্ট। তা ৫০ ওভারের মধ্যে সেঞ্চুরি করা বেশি কঠিন নাকি ১০ ওভারের মধ্যে ৫ উইকেট নেওয়া? তর্ক হতেই পারে। সাহায্যে আসতে পারে একটা তথ্য। টেস্টে ইনিংসে ৪ উইকেটের হিসাব থাকে না। ওয়ানডেতে কিন্তু থাকে। তার মানে কি ওয়ানডেতে ৪ উইকেটই টেস্টে ৫ উইকেটের সমান?
তা-ই যদি হয়, তাহলে ৫ উইকেট নেওয়ার কৃতিত্ব টেস্টের চেয়ে ওয়ানডেতে বড় হয়ে যায়। তার মানে তো সেঞ্চুরির চেয়েও। এই বিচারে কাল পাল্লেকেলেতে তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডেতে শ্রীলঙ্কার ইনিংস শেষে তিলকরত্নে দিলশানের চেয়ে আবদুর রাজ্জাকই এগিয়ে!
সেঞ্চুরি বা ৫ উইকেট উদ্যাপন করার মতোই ব্যাপার। দুজনই তা করলেন। তবে রাজ্জাকের উদ্যাপনটা ৫ উইকেট পাওয়ার আনন্দ ছাপিয়ে আরও বৃহত্তর মাত্রা পেল। এই ৫ উইকেটেই যে ছুঁয়ে ফেললেন ওয়ানডেতে ২০০ উইকেটের মাইলফলক।
ওয়ানডে ইতিহাসে রাজ্জাকের এই অর্জন বুদ্বুদ তুলেই মিলিয়ে যাবে। খুব বড় কিছু তো নয়, তাঁর আগে আরও ৩৩ জন বোলার সদস্যপদ পেয়েছেন এই ‘টু হান্ড্রেড ক্লাব’-এর। তবে শুধুই বাংলাদেশ ক্রিকেটের আয়নায় আবদুর রাজ্জাকের এই অর্জন প্রতিবিম্বিত ‘কীর্তি’ বলে। বাংলাদেশের কোনো বোলারের ২০০ উইকেট তো এই প্রথম।
শুধু বাঁহাতি স্পিনারের প্রজাতিটা আলাদা করে নিলে রাজ্জাক ছাড়া আর মাত্র দুজন আছেন এই ক্লাবে। সবার ওপরে যাঁর নাম, তিনি কাল ম্যাচের মাঝখানে সংবাদ সম্মেলন করলেন। শ্রীলঙ্কার টি-টোয়েন্টি দলে রামিথ রামবুকওয়ালে নামের এক তরুণকে নেওয়া হয়েছে। ঘরোয়া ক্রিকেটে বলার মতো তেমন পারফরম্যান্স নেই। তথ্যমন্ত্রীর ছেলে পরিচয়টাই তাঁর দলভুক্তিতে বড় ভূমিকা রেখেছে সাধারণ ধারণা। স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে তীব্র সমালোচনাও হয়েছে। সেটির জবাব দিতেই সংবাদ সম্মেলন ডেকেছিলেন প্রধান নির্বাচক সনাৎ জয়াসুরিয়া। ‘জবাব’ যা দিলেন, তাতে অবশ্য স্থানীয় সাংবাদিকদের কেউই আগের ধারণা থেকে সরে আসার কোনো কারণ দেখছেন না।
বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ের আড়ালে তাঁর বোলার পরিচয়টা প্রায়ই হারিয়ে যায়। অথচ বাঁহাতি স্পিনে জয়াসুরিয়ার ৩২৩ উইকেট। কালকের আগ পর্যন্ত জয়াসুরিয়া ছাড়া আর যে একজন বাঁহাতি স্পিনারের ২০০ উইকেট ছিল, তাঁর নাম ড্যানিয়েল ভেট্টোরি (২৮২)। রাজ্জাকের গল্পটা এই দুজনের চেয়ে অনেক বেশি রোমাঞ্চকর। অনেক বেশি সংগ্রামমুখরও। মুত্তিয়া মুরালিধরনকে যে যন্ত্রণার মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছে, সেটির সঙ্গে তুলনা চলে না। কিন্তু মুরালির দেশে রাজ্জাকের ২০০ উইকেটের কীর্তি মনে করিয়ে দিচ্ছে দুজনের মিলটা। বোলিং অ্যাকশন নিয়ে রাজ্জাককেও তো কম ভুগতে হয়নি। এক দিক থেকে তো একটু বেশিই। মুরালি তো আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে কখনো ‘নিষিদ্ধ’ হননি, যে বিড়ম্বনা বিনিদ্র অনেক রাত্রি উপহার দিয়েছে রাজ্জাককে।
রাজ্জাককে আবিষ্কারের কৃতিত্বটা সাবেক প্রধান নির্বাচক ফারুক আহমেদের। নিজে ঘরোয়া ক্রিকেটে খেলার সময় দেখেছেন, রাজ্জাককে মারা কত কঠিন। ২০০৪ সালের ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরের ওয়ানডে দলে তাই নিয়ে নিলেন তাঁকে। পরদিন গ্রেনাডায় সিরিজের শেষ ম্যাচে অভিষেক হচ্ছে জেনে রাতে ঘুমুতে গেলেন রাজ্জাক। সকালে বৃষ্টিতে ম্যাচ কমে গেল ২৫ ওভারে। পেস-সহায়ক কন্ডিশনে একজন বাড়তি পেসার খেলানোর সিদ্ধান্তে রাজ্জাকের আর খেলাই হলো না। শুধু যাওয়া আর আসাই হয়ে থাকল তাঁর সেই ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরের স্মৃতি।
ওয়ানডে অভিষেকের জন্য বেশি দিন অবশ্য অপেক্ষা করতে হয়নি। সেটি এই মুরালির দেশেই। এশিয়া কাপে হংকংয়ের বিপক্ষে অভিষেকেই ৩ উইকেট। পাকিস্তানের বিপক্ষে পরের ম্যাচে ১০ ওভারে ৩৬ রানে ২ উইকেট, কিন্তু সেই ম্যাচের পর প্রশ্ন উঠল বোলিং অ্যাকশন নিয়ে। সেটি শুধরে-টুধরে ফিরলেন। ওয়ানডেতে বাংলাদেশের এক নম্বর বোলারের স্বীকৃতি এবং চাপ দুটিই বয়ে চলারও সেই শুরু। বড় ধাক্কাটা ২০০৮ সালে। যখন দ্বিতীয়বার ‘রিপোর্টেড’ হয়ে সাময়িকভাবে নিষিদ্ধ হয়ে গেলেন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে। ১৫ ডিগ্রি পর্যন্ত হাত বাঁকানো আইনসিদ্ধ, তাঁর বেঁকে যায় ২৮ ডিগ্রি। ক্যারিয়ার নিয়েই তখন বড় প্রশ্ন।
কিন্তু আবদুর রাজ্জাক বড় শক্ত ধাতুতে গড়া। ঘণ্টার পর ঘণ্টা নেটে কাটিয়ে আবারও শুধরেছেন নিজেকে। ফিরতে পারবেন কিনা, সংশয় ছিল অনেকের মনেই। রাজ্জাকের নিজের বুকও কি দুরুদুরু করেনি! শেষ পর্যন্ত দুঃসহ সেই সময়কে জয় করে ঠিকই ফিরেছেন এবং বলতে গেলে ফেরার দিন থেকেই আবার বাংলাদেশের এক নম্বর স্পিনার।
রেকর্ডই তাঁর পক্ষে কথা বলে। কিন্তু পুরোটা কি বলে? মারদাঙ্গা ক্রিকেটের এই যুগে ৪.৪৮ ইকোনমি রেটকে যথেষ্টই ভালো বলতে হবে। কিন্তু এতে তো আর লেখা নেই যে, রাজ্জাক তাঁর ১০ ওভারের ৬/৭ ওভারই করেন পাওয়ার প্লেতে। পেসাররা মার খাচ্ছেন, অধিনায়কের সহায় রাজ্জাক। কোনো ব্যাটসম্যান ঝড় তুলছেন, রাজ্জাককে ডাকো। দিনে দিনে রাজ্জাকের নামের প্রতিশব্দ হয়ে উঠেছে ‘নির্ভরতা’।
২০০ উইকেটের মালাটা তাঁর চেয়ে ভালো আর কার গলায় মানাত!
ওয়ানডেতে বাংলাদেশের সেরা চার বোলার
ম্যাচ রান উইকেট সেরা গড় ইকোনমি ৪/৫
আবদুর রাজ্জাক ১৪১ ৫৪৯৩ ২০০ ৫/২৯ ২৭.৪৬ ৪.৪৮ ৫/৪
মাশরাফি বিন মুর্তজা ১২৬ ৪৮৮২ ১৬১ ৬/২৬ ৩০.৩২ ৪.৬৩ ৫/১
সাকিব আল হাসান ১২৬ ৪৬১৭ ১৬০ ৪/১৬ ২৮.৮৫ ৪.২৯ ৪/০
মোহাম্মদ রফিক ১২৩ ৪৬১২ ১১৯ ৫/৪৭ ৩৮.৭৫ ৪.৩৯ ২/১
ভারতে হোলি ও দোল চলাকালে ৬১ জনের মৃত্যু
ভারতে গত বুধবার ও গতকাল বৃহস্পতিবার হোলি ও দোল উৎসব উদযাপনের সময় বিভিন্ন ঘটনায় ৬১ জনের মৃত্যু হয়েছে।
এর মধ্যে রাজধানী দিল্লিতে আটজন, ওডিশায় ১০ জন, অন্ধ্র প্রদেশ, গুজরাট ও উত্তর প্রদেশে ২৫ জন এবং পশ্চিমবঙ্গে ১০ জনসহ মোট ৫৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। রং খেলা কেন্দ্র করে সংঘর্ষ, জোর করে রং দেওয়া, রং খেলার পর গোসল করতে গিয়ে পানিতে ডুবে এবং মদ্যপ অবস্থায় গাড়ি চালাতে গিয়ে এসব মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। এ ছাড়া উত্তর প্রদেশে বিষাক্ত মিষ্টি খেয়ে আটজনের মৃত্যু হয়।
হোলি উত্সবের দিন দিল্লিতে ১০ হাজার ৩৩৯ জনের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ঘটনায় আইনি ব্যবস্থা নিয়েছে দিল্লি পুলিশ। পশ্চিমবঙ্গের কলকাতা শহরে প্রকাশ্যে মদ্যপান, জোর করে রং দেওয়া, বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অভিযোগে পুলিশ ৯৬৭ জনকে গ্রেপ্তার করেছে।
এর মধ্যে রাজধানী দিল্লিতে আটজন, ওডিশায় ১০ জন, অন্ধ্র প্রদেশ, গুজরাট ও উত্তর প্রদেশে ২৫ জন এবং পশ্চিমবঙ্গে ১০ জনসহ মোট ৫৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। রং খেলা কেন্দ্র করে সংঘর্ষ, জোর করে রং দেওয়া, রং খেলার পর গোসল করতে গিয়ে পানিতে ডুবে এবং মদ্যপ অবস্থায় গাড়ি চালাতে গিয়ে এসব মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। এ ছাড়া উত্তর প্রদেশে বিষাক্ত মিষ্টি খেয়ে আটজনের মৃত্যু হয়।
হোলি উত্সবের দিন দিল্লিতে ১০ হাজার ৩৩৯ জনের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ঘটনায় আইনি ব্যবস্থা নিয়েছে দিল্লি পুলিশ। পশ্চিমবঙ্গের কলকাতা শহরে প্রকাশ্যে মদ্যপান, জোর করে রং দেওয়া, বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অভিযোগে পুলিশ ৯৬৭ জনকে গ্রেপ্তার করেছে।
ককটেলের স্প্লিন্টারে স্কুলছাত্রী আহত
‘রাস্তায় কয়েকজন পিকেটার টায়ারে আগুন দিচ্ছিল। পরিস্থিতি দেখে তাড়াহুড়ো করে
হাঁটতে শুরু করি। আমি ছিলাম বাম দিকে। মেয়ে আমার ডান হাত ধরে হাঁটছিল।
হঠাৎ পর পর দুইটা বিকট শব্দ। তারপর আমার মেয়ে ডান চোখ চেপে ধরে কান্না শুরু
করে। দেখি ওর চোখ থেকে রক্ত ঝরছে।’
গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চক্ষু বিভাগে কান্নাজড়িত কণ্ঠে প্রথম আলোকে এসব কথা বলেন ককটেল বিস্ফোরণে আহত স্কুলছাত্রী অন্তু বড়ুয়ার (১৪) মা শিল্পী বড়ুয়া। তিনি বলেন, ‘প্রতিদিনের মতো সকালে অন্তু আমার হাত ধরে চেরাগী পাহাড় এলাকার কোচিং সেন্টারে যাচ্ছিল। এ সময় আমার মেয়ে হরতালের নির্মম শিকার হয়।’
জানা গেছে, অন্তু নগরের অপর্ণাচরণ সিটি করপোরেশন বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের নবম শ্রেণীর বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্রী। ১৮-দলীয় জোটের ডাকা ৩৬ ঘণ্টার হরতালের দ্বিতীয় দিন সকালে চট্টগ্রাম নগরের কোতোয়ালি থানার মোমিন রোডের হেমসেন লেনের মুখে টায়ারে আগুন দেওয়া হয়। এ সময় ওই পথ দিয়ে মায়ের সঙ্গে সে কোচিং সেন্টারে যাচ্ছিল।
ঘটনার পর অন্তুকে স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চক্ষু বিভাগে ৪৮ নম্বর বেডে ভর্তি করানো হয়। দুপুরে চিকিৎসকেরা অস্ত্রোপচার করেন।
অন্তুর বাবা অঞ্জন বড়ুয়া ক্ষুব্ধ কণ্ঠে বলেন, ‘আমার কপালের দোষ। আমি ঈশ্বরের কাছে বিচার চাই। যারা এসব করছে তাদের যেন সুমতি হয়।’
গতকাল বিকেলে হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায়, বিছানায় চোখ বুজে শুয়ে আছে অন্তু। কেমন লাগছে জানতে চাইলে মুখ দিয়ে শুধু গোঙানির মতো শব্দ করে আবার নীরব হয়ে যায় সে। হাসপাতালের চক্ষু বিভাগের সহকারী রেজিস্ট্রার সুব্রত দাশ প্রথম আলোকে বলেন, ‘স্প্লিন্টারের আঘাতে অন্তুর ডান চোখের কর্নিয়ায় কিছুটা আঁচড় লেগেছে। চোখের ভ্রুতে সেলাই দিতে হয়েছে। ডান গাল থেকে স্প্লিন্টার বের করা হয়েছে। সে অসম্ভব ভয় পেয়েছে। ভয় না কাটায় সে কথা বলছে না।’
কোতোয়ালি অঞ্চলের সহকারী পুলিশ কমিশনার (এসি) মির্জা সায়েম মাহমুদ বলেন, ‘হরতাল-সমর্থকেরা যে টায়ারটিতে আগুন দেয়, তার ভেতরে একটি ককটেল ছিল। অন্য একটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটানো হয় রাস্তায়। ককটেলের স্প্লিন্টারে স্কুলছাত্রী আহত হয়। এ ঘটনায় কাউকে আটক করা যায়নি।’
গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চক্ষু বিভাগে কান্নাজড়িত কণ্ঠে প্রথম আলোকে এসব কথা বলেন ককটেল বিস্ফোরণে আহত স্কুলছাত্রী অন্তু বড়ুয়ার (১৪) মা শিল্পী বড়ুয়া। তিনি বলেন, ‘প্রতিদিনের মতো সকালে অন্তু আমার হাত ধরে চেরাগী পাহাড় এলাকার কোচিং সেন্টারে যাচ্ছিল। এ সময় আমার মেয়ে হরতালের নির্মম শিকার হয়।’
জানা গেছে, অন্তু নগরের অপর্ণাচরণ সিটি করপোরেশন বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের নবম শ্রেণীর বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্রী। ১৮-দলীয় জোটের ডাকা ৩৬ ঘণ্টার হরতালের দ্বিতীয় দিন সকালে চট্টগ্রাম নগরের কোতোয়ালি থানার মোমিন রোডের হেমসেন লেনের মুখে টায়ারে আগুন দেওয়া হয়। এ সময় ওই পথ দিয়ে মায়ের সঙ্গে সে কোচিং সেন্টারে যাচ্ছিল।
ঘটনার পর অন্তুকে স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চক্ষু বিভাগে ৪৮ নম্বর বেডে ভর্তি করানো হয়। দুপুরে চিকিৎসকেরা অস্ত্রোপচার করেন।
অন্তুর বাবা অঞ্জন বড়ুয়া ক্ষুব্ধ কণ্ঠে বলেন, ‘আমার কপালের দোষ। আমি ঈশ্বরের কাছে বিচার চাই। যারা এসব করছে তাদের যেন সুমতি হয়।’
গতকাল বিকেলে হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায়, বিছানায় চোখ বুজে শুয়ে আছে অন্তু। কেমন লাগছে জানতে চাইলে মুখ দিয়ে শুধু গোঙানির মতো শব্দ করে আবার নীরব হয়ে যায় সে। হাসপাতালের চক্ষু বিভাগের সহকারী রেজিস্ট্রার সুব্রত দাশ প্রথম আলোকে বলেন, ‘স্প্লিন্টারের আঘাতে অন্তুর ডান চোখের কর্নিয়ায় কিছুটা আঁচড় লেগেছে। চোখের ভ্রুতে সেলাই দিতে হয়েছে। ডান গাল থেকে স্প্লিন্টার বের করা হয়েছে। সে অসম্ভব ভয় পেয়েছে। ভয় না কাটায় সে কথা বলছে না।’
কোতোয়ালি অঞ্চলের সহকারী পুলিশ কমিশনার (এসি) মির্জা সায়েম মাহমুদ বলেন, ‘হরতাল-সমর্থকেরা যে টায়ারটিতে আগুন দেয়, তার ভেতরে একটি ককটেল ছিল। অন্য একটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটানো হয় রাস্তায়। ককটেলের স্প্লিন্টারে স্কুলছাত্রী আহত হয়। এ ঘটনায় কাউকে আটক করা যায়নি।’
মালালার মিলিয়ন ডলারের জীবনী
তালেবানের গুলি মালালা ইউসুফজাইকে আরও শাণিত করেছে। পাকিস্তানি এ কিশোরীকে
যেন আরও তাতিয়ে দিয়েছে জঙ্গিদের হামলা। এবার সে স্মৃতিকথা প্রকাশের মাধ্যমে
তার নারীশিক্ষা আন্দোলনকে আরও বেগবান করার পথ ধরেছে। আসছে শরতেই স্মৃতিকথা
প্রকাশিত হতে যাচ্ছে তার। বইটির নাম আই অ্যাম মালালা।
জীবনী প্রকাশের জন্য মালালা ইতিমধ্যে প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান ওয়েইডেনফেল্ড অ্যান্ড নিকলসনের সঙ্গে একটি বড় অঙ্কের চুক্তি সই করেছে, যার মূল্যমান প্রায় ৩০ লাখ মার্কিন ডলার (২৩ কোটি ৪৫ লাখ টাকা)। এর মধ্য দিয়ে মাত্র ১৫ বছর বয়সেই ‘মিলিওনিয়ার’ বনে গেছে মালালা।
যুক্তরাজ্যভিত্তিক পত্রিকা দ্য গার্ডিয়ান জানিয়েছে, এ বছরের শেষ নাগাদ মালালার স্মৃতিকথা প্রকাশিত হবে। যুক্তরাজ্য ও কমনওয়েলথভুক্ত দেশগুলোয় বইটি প্রকাশ করবে ওয়েইডেনফেল্ড অ্যান্ড নিকলসন; বাকি বিশ্বে লিটল ব্রাউন।
স্মৃতিকথা প্রকাশের বিষয়ে মালালা বলেছে, ‘আমি আমার গল্প বলতে চাই। তবে এটা শুধু আমার একার গল্প নয়, এটা পৃথিবীর ছয় কোটি ১০ লাখ শিশুর গল্প, যারা শিক্ষার আলো থেকে বঞ্চিত।’ সে আরও বলেছে, ‘আমি সেই প্রচারণার অংশ হতে চাই, যার মাধ্যমে পৃথিবীর সব শিশু স্কুলে যাওয়ার সুযোগ পাবে। এটি তাদের মৌলিক অধিকার।’
মালালার কথা, ‘আমি আশা করছি, বইটি বিশ্বের সব প্রান্তের মানুষের কাছে পৌঁছাবে। এর মধ্য দিয়ে তারা জানতে পারবে, কিছু শিশুর জন্য শিক্ষার সুযোগ পাওয়া কতটা কঠিন।’
২০১২ সালের ৯ অক্টোবর তালেবানের গুলিতে মারাত্মক আহত হয় মালালা। প্রথমে কিছুদিন পাকিস্তানে চিকিৎসা দেওয়ার পর যুক্তরাজ্যে নেওয়া হয় তাকে। লন্ডনের কুইন এলিজাবেথ হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে গত মাসে সে বাসায় ফিরে যায়। বর্তমানে সপরিবারে যুক্তরাজ্যে বসবাস করছে সে। সেখানকার একটি স্কুলেও সে ভর্তি হয়েছে।
মালালার স্মৃতিকথা প্রকাশের বিষয়ে ওয়েইডেনফেল্ড অ্যান্ড নিকলসনের ডেপুটি প্রকাশনা পরিচালক আরজু তাহসিন বলেন, সাহস আর ভিশনের প্রতীক হয়ে থাকবে এই বই। মালালা অনেক ছোট বয়সেই বেশি অভিজ্ঞলব্ধ হয়েছে। তিনি আরও বলেন, ‘আমার এ ব্যাপারে কোনো সন্দেহ নেই যে তার জীবনের গল্প সব প্রজন্মের পাঠক, বিশেষ করে যারা শিক্ষার অধিকার ও স্বাধীনতায় বিশ্বাসী, তাদের মধ্যে অনুপ্রেরণা সৃষ্টি করবে।’
তালেবানের গুলিতে আহত হওয়ার পর সাহসিকতার জন্য মালালার ঝুলিতে এখন পর্যন্ত বেশ কিছু অর্জন যুক্ত হয়েছে। শান্তিতে নোবেল পুরস্কারের মনোনয়ন তালিকায়ও তার নাম উঠেছে। এ ছাড়া ১২ জুলাইকে মালালা দিবস হিসেবে ঘোষণা করেছে জাতিসংঘ। টাইম সাময়িকীর বর্ষসেরা ব্যক্তিত্বের সংক্ষিপ্ত তালিকায়ও উঠে এসেছে তার নাম। এপি, ডন ও গার্ডিয়ান।
জীবনী প্রকাশের জন্য মালালা ইতিমধ্যে প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান ওয়েইডেনফেল্ড অ্যান্ড নিকলসনের সঙ্গে একটি বড় অঙ্কের চুক্তি সই করেছে, যার মূল্যমান প্রায় ৩০ লাখ মার্কিন ডলার (২৩ কোটি ৪৫ লাখ টাকা)। এর মধ্য দিয়ে মাত্র ১৫ বছর বয়সেই ‘মিলিওনিয়ার’ বনে গেছে মালালা।
যুক্তরাজ্যভিত্তিক পত্রিকা দ্য গার্ডিয়ান জানিয়েছে, এ বছরের শেষ নাগাদ মালালার স্মৃতিকথা প্রকাশিত হবে। যুক্তরাজ্য ও কমনওয়েলথভুক্ত দেশগুলোয় বইটি প্রকাশ করবে ওয়েইডেনফেল্ড অ্যান্ড নিকলসন; বাকি বিশ্বে লিটল ব্রাউন।
স্মৃতিকথা প্রকাশের বিষয়ে মালালা বলেছে, ‘আমি আমার গল্প বলতে চাই। তবে এটা শুধু আমার একার গল্প নয়, এটা পৃথিবীর ছয় কোটি ১০ লাখ শিশুর গল্প, যারা শিক্ষার আলো থেকে বঞ্চিত।’ সে আরও বলেছে, ‘আমি সেই প্রচারণার অংশ হতে চাই, যার মাধ্যমে পৃথিবীর সব শিশু স্কুলে যাওয়ার সুযোগ পাবে। এটি তাদের মৌলিক অধিকার।’
মালালার কথা, ‘আমি আশা করছি, বইটি বিশ্বের সব প্রান্তের মানুষের কাছে পৌঁছাবে। এর মধ্য দিয়ে তারা জানতে পারবে, কিছু শিশুর জন্য শিক্ষার সুযোগ পাওয়া কতটা কঠিন।’
২০১২ সালের ৯ অক্টোবর তালেবানের গুলিতে মারাত্মক আহত হয় মালালা। প্রথমে কিছুদিন পাকিস্তানে চিকিৎসা দেওয়ার পর যুক্তরাজ্যে নেওয়া হয় তাকে। লন্ডনের কুইন এলিজাবেথ হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে গত মাসে সে বাসায় ফিরে যায়। বর্তমানে সপরিবারে যুক্তরাজ্যে বসবাস করছে সে। সেখানকার একটি স্কুলেও সে ভর্তি হয়েছে।
মালালার স্মৃতিকথা প্রকাশের বিষয়ে ওয়েইডেনফেল্ড অ্যান্ড নিকলসনের ডেপুটি প্রকাশনা পরিচালক আরজু তাহসিন বলেন, সাহস আর ভিশনের প্রতীক হয়ে থাকবে এই বই। মালালা অনেক ছোট বয়সেই বেশি অভিজ্ঞলব্ধ হয়েছে। তিনি আরও বলেন, ‘আমার এ ব্যাপারে কোনো সন্দেহ নেই যে তার জীবনের গল্প সব প্রজন্মের পাঠক, বিশেষ করে যারা শিক্ষার অধিকার ও স্বাধীনতায় বিশ্বাসী, তাদের মধ্যে অনুপ্রেরণা সৃষ্টি করবে।’
তালেবানের গুলিতে আহত হওয়ার পর সাহসিকতার জন্য মালালার ঝুলিতে এখন পর্যন্ত বেশ কিছু অর্জন যুক্ত হয়েছে। শান্তিতে নোবেল পুরস্কারের মনোনয়ন তালিকায়ও তার নাম উঠেছে। এ ছাড়া ১২ জুলাইকে মালালা দিবস হিসেবে ঘোষণা করেছে জাতিসংঘ। টাইম সাময়িকীর বর্ষসেরা ব্যক্তিত্বের সংক্ষিপ্ত তালিকায়ও উঠে এসেছে তার নাম। এপি, ডন ও গার্ডিয়ান।
বিন লাদেনকে কে গুলি করেছিলেন?
গত ফেব্রুয়ারিতে মার্কিন নৌবাহিনীর বিশেষ শাখা নেভি সিলের এক সদস্যের দীর্ঘ
একটি সাক্ষাৎকার এস্কয়ার সাময়িকীতে ছাপা হয়। এতে নেভি সিলের ওই সদস্য দাবি
করেছিলেন, তিনিই আল-কায়েদার নেতা ওসামা বিন লাদেনকে গুলি করে হত্যা
করেছেন। কিন্তু সিএনএনের জাতীয় নিরাপত্তা ও আল-কায়েদা বিশেষজ্ঞ পিটার
বারগেন নেভি সিলের ওই সদস্যের দাবি সম্পূর্ণ মিথ্যা বলে উড়িয়ে দিয়েছেন।
তিনি বলেন, নেভি সিলের অন্য আরেক সদস্য বিন লাদেনকে প্রথমে গুলি করেন। আর
এতেই তিনি মারাত্মক আহত হন।
২০১১ সালের ১ মে পাকিস্তানের অ্যাবোটাবাদে মার্কিন নৌবাহিনীর একটি বিশেষ অভিযানে নিহত হন বিন লাদেন। পরে তাঁর লাশ সাগরে ভাসিয়ে দেওয়া হয়।
নেভি সিলের ওই সদস্য দাবি করেছিলেন, অ্যাবোটাবাদের আস্তানায় তিনিই প্রথম বিন লাদেনের কক্ষে প্রবেশ করেন এবং তাঁর মাথায় দুটি গুলি করেন। কিন্তু এস্কয়ার সাময়িকীতে ছাপানো এই সাক্ষাৎকারে নেভি সিলের অন্য সদস্যরা আপত্তি জানান। তাঁরা ক্ষোভ প্রকাশ করেন ওই সদস্যের এই বক্তব্যে। শুধু তাই নয়, বিন লাদেনকে গুলি করে দাম্ভিকতা প্রকাশ করায় ওই সদস্যকে নেভি সিল থেকে অব্যাহতিও দেওয়া হয়।
সিল টিম-৬-এর একজন সদস্য বারগেনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে জানান, নেভি সিলের তিন সদস্য প্রথমে অ্যাবোটাবাদের কম্পাউন্ডের ওপরতলায় যান। এঁদের মধ্যে ‘গুলিবর্ষণকারী’ ও ‘পয়েন্টম্যান’ও ছিলেন।
বারগেন বলেন, ‘পয়েন্টম্যানই’ প্রথমে সিঁড়ি বেয়ে ওপরে যান এবং সেখানে গিয়ে দেখতে পান, বিন লাদের তাঁর শয়নকক্ষের দরজা দিয়ে চারদিকে উঁকিঝুঁকি দিচ্ছেন। পরে বিন লাদেনকে তিনিই প্রথম গুলি করেন। এতে আল-কায়েদার নেতা মারাত্মক জখম হন।
বারগেন বলেন, এরপর ‘পয়েন্টম্যান’ দ্রুত ওই কক্ষে অবস্থান করা দুই নারীকে জাপটে ধরেন। তিনি আশঙ্কা করেছিলেন, ওই দুই নারীর শরীরে আত্মঘাতী হামলার বিস্ফোরক রয়েছে। তাই বিস্ফোরণ ঘটানোর আগেই তাঁদের নিজ কব্জায় নেন ‘পয়েন্টম্যান’। এরপর অন্য দুই কমান্ডো কক্ষে ঢুকে বিন লাদেনের বুকে গুলি করে তাঁকে হত্যা করেন।
২০১১ সালের ১ মে পাকিস্তানের অ্যাবোটাবাদে মার্কিন নৌবাহিনীর একটি বিশেষ অভিযানে নিহত হন বিন লাদেন। পরে তাঁর লাশ সাগরে ভাসিয়ে দেওয়া হয়।
নেভি সিলের ওই সদস্য দাবি করেছিলেন, অ্যাবোটাবাদের আস্তানায় তিনিই প্রথম বিন লাদেনের কক্ষে প্রবেশ করেন এবং তাঁর মাথায় দুটি গুলি করেন। কিন্তু এস্কয়ার সাময়িকীতে ছাপানো এই সাক্ষাৎকারে নেভি সিলের অন্য সদস্যরা আপত্তি জানান। তাঁরা ক্ষোভ প্রকাশ করেন ওই সদস্যের এই বক্তব্যে। শুধু তাই নয়, বিন লাদেনকে গুলি করে দাম্ভিকতা প্রকাশ করায় ওই সদস্যকে নেভি সিল থেকে অব্যাহতিও দেওয়া হয়।
সিল টিম-৬-এর একজন সদস্য বারগেনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে জানান, নেভি সিলের তিন সদস্য প্রথমে অ্যাবোটাবাদের কম্পাউন্ডের ওপরতলায় যান। এঁদের মধ্যে ‘গুলিবর্ষণকারী’ ও ‘পয়েন্টম্যান’ও ছিলেন।
বারগেন বলেন, ‘পয়েন্টম্যানই’ প্রথমে সিঁড়ি বেয়ে ওপরে যান এবং সেখানে গিয়ে দেখতে পান, বিন লাদের তাঁর শয়নকক্ষের দরজা দিয়ে চারদিকে উঁকিঝুঁকি দিচ্ছেন। পরে বিন লাদেনকে তিনিই প্রথম গুলি করেন। এতে আল-কায়েদার নেতা মারাত্মক জখম হন।
বারগেন বলেন, এরপর ‘পয়েন্টম্যান’ দ্রুত ওই কক্ষে অবস্থান করা দুই নারীকে জাপটে ধরেন। তিনি আশঙ্কা করেছিলেন, ওই দুই নারীর শরীরে আত্মঘাতী হামলার বিস্ফোরক রয়েছে। তাই বিস্ফোরণ ঘটানোর আগেই তাঁদের নিজ কব্জায় নেন ‘পয়েন্টম্যান’। এরপর অন্য দুই কমান্ডো কক্ষে ঢুকে বিন লাদেনের বুকে গুলি করে তাঁকে হত্যা করেন।
এএফসির নির্মম রসিকতা
বাংলাদেশের সঙ্গে একটা নির্মম রসিকতাই করল এশীয় ফুটবলের সর্বোচ্চ
সংস্থা—এএফসি। চ্যালেঞ্জ কাপের চূড়ান্তপর্বে বাংলাদেশ জায়গা করে নিয়েছে—এমন
কথা গতকাল মৌখিকভাবে জানালেও আজ তারা তাদের ওয়েবসাইটে জানাচ্ছে, বাংলাদেশ
চূড়ান্তপর্বে জায়গা পায়নি!
মৌখিকভাবে জানালেও এএফসি কাল বাংলাদেশকে চূড়ান্তপর্বে জায়গা করে নেওয়ার ব্যাপারটি চিঠি দিয়ে জানায়নি। চিঠি পাওয়ার জন্য আজ দিনভর চেষ্টা থাকলেও এএফসির ওয়েবসাইটের তথ্যে এখন বাফুফেকে হতাশই হতে হচ্ছে।
এএফসির ওয়েবসাইট আজ জানাচ্ছে, বাংলাদেশ নয়, লাওস ও তুর্কমেনিস্তান বাছাইপর্বে সেরা দুই রানার্সআপ হিসেবে টিকিট পাচ্ছে মালদ্বীপে অনুষ্ঠেয় চূড়ান্ত পর্বে। আগামী বছর মার্চ মাসে মালদ্বীপে এএফসি চ্যালেঞ্জ কাপের চূড়ান্তপর্ব অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।
ওয়েবসাইট সূত্রে জানা গেছে, ‘ই’ গ্রুপের বাছাইপর্ব শুরু হওয়ার আগের দিন ব্রুনাই নাম প্রত্যাহার করে নেওয়ার অর্থ বাকি চারটি গ্রুপে (বাংলাদেশের গ্রুপ ‘ডি’) দ্বিতীয় স্থানে থাকা দলটির (বাংলাদেশ ‘ডি’ গ্রুপে দ্বিতীয়) সঙ্গে চতুর্থ দলটির মধ্যকার শেষ ম্যাচটি হিসাবের বাইরে চলে যাচ্ছে। অর্থাত্ ডি গ্রুপের রানার্সআপ বাংলাদেশ গ্রুপের চতুর্থ মারিয়ানা আইল্যান্ডের বিপক্ষে ৪-০ গোলে যে ম্যাচটি জিতেছে, সেটা এএফসি হিসাবে ধরছে না। এএফসি এটা করছে বাইলজের আর্টিকেল ১৬.১ অনুযায়ী।
যেহেতু এই ম্যাচগুলো আর ধর্তব্যের মধ্যে নেই, তাই পয়েন্ট ও গোলগড়ের হিসাবে লাওসকে তারা সেরা রানার্সআপ হিসেবে চূড়ান্তপর্বে জায়গা করে দিচ্ছে। দ্বিতীয় সেরা রানার্সআপ হিসেবে যাচ্ছে তুর্কমেনিস্তান। রানার্সআপ দলগুলোর মধ্যে লাওসের পয়েন্ট ৪। তুর্কমেনিস্তান, বাংলাদেশ, ভারত ও তাজিকিস্তানের পয়েন্ট ৩ করে। গোলগড়ে চূড়ান্তপর্বে জায়গা করে নিচ্ছে লাওস ও তুর্কমেনিস্তান।
মৌখিকভাবে জানালেও এএফসি কাল বাংলাদেশকে চূড়ান্তপর্বে জায়গা করে নেওয়ার ব্যাপারটি চিঠি দিয়ে জানায়নি। চিঠি পাওয়ার জন্য আজ দিনভর চেষ্টা থাকলেও এএফসির ওয়েবসাইটের তথ্যে এখন বাফুফেকে হতাশই হতে হচ্ছে।
এএফসির ওয়েবসাইট আজ জানাচ্ছে, বাংলাদেশ নয়, লাওস ও তুর্কমেনিস্তান বাছাইপর্বে সেরা দুই রানার্সআপ হিসেবে টিকিট পাচ্ছে মালদ্বীপে অনুষ্ঠেয় চূড়ান্ত পর্বে। আগামী বছর মার্চ মাসে মালদ্বীপে এএফসি চ্যালেঞ্জ কাপের চূড়ান্তপর্ব অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।
ওয়েবসাইট সূত্রে জানা গেছে, ‘ই’ গ্রুপের বাছাইপর্ব শুরু হওয়ার আগের দিন ব্রুনাই নাম প্রত্যাহার করে নেওয়ার অর্থ বাকি চারটি গ্রুপে (বাংলাদেশের গ্রুপ ‘ডি’) দ্বিতীয় স্থানে থাকা দলটির (বাংলাদেশ ‘ডি’ গ্রুপে দ্বিতীয়) সঙ্গে চতুর্থ দলটির মধ্যকার শেষ ম্যাচটি হিসাবের বাইরে চলে যাচ্ছে। অর্থাত্ ডি গ্রুপের রানার্সআপ বাংলাদেশ গ্রুপের চতুর্থ মারিয়ানা আইল্যান্ডের বিপক্ষে ৪-০ গোলে যে ম্যাচটি জিতেছে, সেটা এএফসি হিসাবে ধরছে না। এএফসি এটা করছে বাইলজের আর্টিকেল ১৬.১ অনুযায়ী।
যেহেতু এই ম্যাচগুলো আর ধর্তব্যের মধ্যে নেই, তাই পয়েন্ট ও গোলগড়ের হিসাবে লাওসকে তারা সেরা রানার্সআপ হিসেবে চূড়ান্তপর্বে জায়গা করে দিচ্ছে। দ্বিতীয় সেরা রানার্সআপ হিসেবে যাচ্ছে তুর্কমেনিস্তান। রানার্সআপ দলগুলোর মধ্যে লাওসের পয়েন্ট ৪। তুর্কমেনিস্তান, বাংলাদেশ, ভারত ও তাজিকিস্তানের পয়েন্ট ৩ করে। গোলগড়ে চূড়ান্তপর্বে জায়গা করে নিচ্ছে লাওস ও তুর্কমেনিস্তান।
বাংলাদেশের শ্রীলঙ্কা জয়
১৯৮৬ সালের পর থেকে শ্রীলঙ্কার মাটিতে ১৫টি ওয়ানডে খেলেছে বাংলাদেশ।
প্রতিটিতেই দেখেছে হারের মুখ। অবশেষে আজ ১৬তম ম্যাচে এসে সফল হলো টাইগাররা।
জয় পেল শ্রীলঙ্কার মাটিতেও। আর পাল্লেকেলের বৃষ্টিবিঘ্নিত ম্যাচে ৩
উইকেটের দুর্দান্ত এই জয় দিয়ে ওয়ানডে সিরিজেও সমতা ফিরিয়েছে সফরকারী
বাংলাদেশ।
২৭ ওভারে ১৮৩ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিং করে এক ওভার হাতে রেখেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় মুশফিক বাহিনী। ৩৩ রানের ম্যাচ জেতানো ইনিংস খেলে শেষ পর্যন্ত অপরাজিত ছিলেন নাসির হোসেন। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৪০ রান এসেছে এনামুল হকের ব্যাট থেকে।
শ্রীলঙ্কা সফরের ওয়ানডে সিরিজের প্রতিটি ম্যাচেই ছিল বৃষ্টির বাধা। প্রথম ম্যাচে শ্রীলঙ্কা বাংলাদেশকে হারিয়েছিল ৮ উইকেটের ব্যবধানে। দ্বিতীয় ম্যাচটি পরিত্যক্তই ঘোষণা করতে হয়েছিল বৃষ্টির কারণে। আজ তৃতীয় ম্যাচও ছিল বৃষ্টিবিঘ্ন। বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ের সময় বৃষ্টির কারণে দীর্ঘসময় খেলা বন্ধ থাকে। অবশেষে খেলা পুণরায় শুরু হলেও ম্যাচের দৈর্ঘ্য কমিয়ে ফেলা হয় ২৩ ওভার। ডাকওয়ার্থ-লুইস পদ্ধতিতে বাংলাদেশের সামনে নতুন লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয় ২৭ ওভারে ১৮৩ রান। বৃষ্টি শুরু আগ পর্যন্ত ১৩.৪ ওভার শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ছিল ১ উইকেটে ৭৮ রান। সেই হিসেবে জয়ের জন্য ৮০ বলে ১০৫ রানের লক্ষ্য নিয়ে দ্বিতীয় দফা ব্যাটিংয়ে নামে বাংলাদেশ।
খেলা শুরুর কিছুক্ষণের মধ্যেই সাজঘরের পথ ধরেন এনামুল হক। ৪০ রান করে আউট হন এই ডানহাতি ওপেনার। উইকেটে নেমেই ঝড়ো ব্যাটিং করে ২৬ রানের একটা ইনিংস খেলেন জহুরুল ইসলাম। তিনি আউট হন দলীয় ১১৯ রানের মাথায়। এরপর খুব অল্প সময়ের মধ্যেই ফিরে যান অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম ও মাহমুদুল্লাহ। স্কোরবোর্ডের চেহারা দাঁড়ায় ৫ উইকেটে ১৪৪ রান। ষষ্ঠ উইকেটে ২২ রানের সময়োপযোগী জুটি গড়ে ভালোভাবেই জয়ের পথে এগিয়ে যাচ্ছিলেন নাসির হোসেন ও মমিনুল হক। কিন্তু নিজের শেষ ওভারে বাংলাদেশকে বড় একটা ধাক্কা দেন লাসিথ মালিঙ্গা। ঐ ওভারেই তিনি তুলে নেন মমিনুল ও জিয়াউর রহমানের উইকেট। ১১ রান করে ফিরে যান মমিনুল। জয়ের জন্য তখন প্রয়োজন ছিল ১২ বলে ১৭ রান। এই পর্যায়ে হয়তো জয়ের আশাই ভর করেছিল শ্রীলঙ্কান সমর্থকদের মনে। কিন্তু তাদেরকে চরমভাবে হতাশ করেন নাসির হোসেন। থিসারা পেরেরার করা পরবর্তী ওভারের তিনটি চার মেরে দলের জয় নিশ্চিত করেন এই ডানহাতি ব্যাটসম্যান। জয়টা বিলম্বিত করতে চাননি বলেই বোধহয় শেষ বলটাতেও চার মেরে বসলেন সোহাগ গাজী। সিরিজে সমতা আনল টাইগাররা।
বৃষ্টি শুরুর আগে শুরুটাও ভালোভাবেই করেছিল বাংলাদেশ। উদ্বোধনী জুটিতেই ৭৭ রান যোগ করেছিলেন দুই ওপেনার মোহাম্মদ আশরাফুল ও এনামুল হক। ১৩তম ওভারে বাংলাদেশ শিবিরে প্রথম আঘাত হানেন সেনানায়েকে। ২৯ রান করে সাজঘরে ফেরেন আশরাফুল। পরের ওভারেই খেলা বন্ধ করতে হয় বৃষ্টির বাধায়।
এর আগে টসে জিতে ব্যাট করতে নেমে তিলকারত্নে দিলশানের ১২৫ রানের ইনিংসটির সুবাদে ৩০২ রান সংগ্রহ করে স্বাগতিক শ্রীলঙ্কা। এছাড়া জানিথ পেরেরা ৫৬ ও কুমার সাঙ্গাকারা ৪৮ রান করেন। বাংলাদেশের পক্ষে পাঁচটি উইকেট শিকার করেছেন আব্দুর রাজ্জাক।
২৭ ওভারে ১৮৩ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিং করে এক ওভার হাতে রেখেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় মুশফিক বাহিনী। ৩৩ রানের ম্যাচ জেতানো ইনিংস খেলে শেষ পর্যন্ত অপরাজিত ছিলেন নাসির হোসেন। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৪০ রান এসেছে এনামুল হকের ব্যাট থেকে।
শ্রীলঙ্কা সফরের ওয়ানডে সিরিজের প্রতিটি ম্যাচেই ছিল বৃষ্টির বাধা। প্রথম ম্যাচে শ্রীলঙ্কা বাংলাদেশকে হারিয়েছিল ৮ উইকেটের ব্যবধানে। দ্বিতীয় ম্যাচটি পরিত্যক্তই ঘোষণা করতে হয়েছিল বৃষ্টির কারণে। আজ তৃতীয় ম্যাচও ছিল বৃষ্টিবিঘ্ন। বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ের সময় বৃষ্টির কারণে দীর্ঘসময় খেলা বন্ধ থাকে। অবশেষে খেলা পুণরায় শুরু হলেও ম্যাচের দৈর্ঘ্য কমিয়ে ফেলা হয় ২৩ ওভার। ডাকওয়ার্থ-লুইস পদ্ধতিতে বাংলাদেশের সামনে নতুন লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয় ২৭ ওভারে ১৮৩ রান। বৃষ্টি শুরু আগ পর্যন্ত ১৩.৪ ওভার শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ছিল ১ উইকেটে ৭৮ রান। সেই হিসেবে জয়ের জন্য ৮০ বলে ১০৫ রানের লক্ষ্য নিয়ে দ্বিতীয় দফা ব্যাটিংয়ে নামে বাংলাদেশ।
খেলা শুরুর কিছুক্ষণের মধ্যেই সাজঘরের পথ ধরেন এনামুল হক। ৪০ রান করে আউট হন এই ডানহাতি ওপেনার। উইকেটে নেমেই ঝড়ো ব্যাটিং করে ২৬ রানের একটা ইনিংস খেলেন জহুরুল ইসলাম। তিনি আউট হন দলীয় ১১৯ রানের মাথায়। এরপর খুব অল্প সময়ের মধ্যেই ফিরে যান অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম ও মাহমুদুল্লাহ। স্কোরবোর্ডের চেহারা দাঁড়ায় ৫ উইকেটে ১৪৪ রান। ষষ্ঠ উইকেটে ২২ রানের সময়োপযোগী জুটি গড়ে ভালোভাবেই জয়ের পথে এগিয়ে যাচ্ছিলেন নাসির হোসেন ও মমিনুল হক। কিন্তু নিজের শেষ ওভারে বাংলাদেশকে বড় একটা ধাক্কা দেন লাসিথ মালিঙ্গা। ঐ ওভারেই তিনি তুলে নেন মমিনুল ও জিয়াউর রহমানের উইকেট। ১১ রান করে ফিরে যান মমিনুল। জয়ের জন্য তখন প্রয়োজন ছিল ১২ বলে ১৭ রান। এই পর্যায়ে হয়তো জয়ের আশাই ভর করেছিল শ্রীলঙ্কান সমর্থকদের মনে। কিন্তু তাদেরকে চরমভাবে হতাশ করেন নাসির হোসেন। থিসারা পেরেরার করা পরবর্তী ওভারের তিনটি চার মেরে দলের জয় নিশ্চিত করেন এই ডানহাতি ব্যাটসম্যান। জয়টা বিলম্বিত করতে চাননি বলেই বোধহয় শেষ বলটাতেও চার মেরে বসলেন সোহাগ গাজী। সিরিজে সমতা আনল টাইগাররা।
বৃষ্টি শুরুর আগে শুরুটাও ভালোভাবেই করেছিল বাংলাদেশ। উদ্বোধনী জুটিতেই ৭৭ রান যোগ করেছিলেন দুই ওপেনার মোহাম্মদ আশরাফুল ও এনামুল হক। ১৩তম ওভারে বাংলাদেশ শিবিরে প্রথম আঘাত হানেন সেনানায়েকে। ২৯ রান করে সাজঘরে ফেরেন আশরাফুল। পরের ওভারেই খেলা বন্ধ করতে হয় বৃষ্টির বাধায়।
এর আগে টসে জিতে ব্যাট করতে নেমে তিলকারত্নে দিলশানের ১২৫ রানের ইনিংসটির সুবাদে ৩০২ রান সংগ্রহ করে স্বাগতিক শ্রীলঙ্কা। এছাড়া জানিথ পেরেরা ৫৬ ও কুমার সাঙ্গাকারা ৪৮ রান করেন। বাংলাদেশের পক্ষে পাঁচটি উইকেট শিকার করেছেন আব্দুর রাজ্জাক।
Thursday, March 28, 2013
হরতালে দুটি স্কুলে হামলা, শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ আহত ১৪
লালমনিরহাট সদর উপজেলার খুনিয়াগাছ ইউনিয়নের দুটি স্কুলে আজ বৃহস্পতিবার
সকালে হামলা চালিয়েছে হরতালের সমর্থকেরা। এতে তিন শিক্ষক ও ১১ জন
শিক্ষার্থী আহত হয়েছে।
হরতালে স্কুল খোলা রাখায় ইউনিয়ন বিএনপির এক নেতার নেতৃত্বে এ হামলার ঘটনা ঘটেছে বলে সংশ্লিষ্ট শিক্ষক ও স্থানীয় লোকজন অভিযোগ করেছেন।
স্থানীয় লোকজন জানান, লালমনিরহাট জেলা শহর থেকে ১২-১৩ কিলোমিটার দূরে তিস্তা নদীর পাড়ে খুনিয়াগাছ ইউনিয়নে পাশাপাশি স্কুল দুটি অবস্থিত। আজ ১৮ দলীয় জোটের ডাকা হরতালের দ্বিতীয় দিনে খুনিয়াগাছ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও খুনিয়াগাছ উচ্চবিদ্যালয় খোলা ছিল।
স্কুল সূত্র ও স্থানীয় লোকজন জানান, সকাল সাড়ে ১০টার দিকে হরতালের সমর্থক একদল দুর্বৃত্ত লাঠিসোঁটা নিয়ে স্কুল দুটিতে হামলা চালায়। এ সময় তাদের হামলায় খুনিয়াগাছ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আবদুল হাই, শিক্ষক নাজনীন জাহান ও সাবিনা ইয়াসমিন এবং অন্তত ১১ শিশু শিক্ষার্থী আহত হয়। আহত শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের প্রাথমিক চিকিত্সা দেওয়া হয়েছে।
স্কুল এলাকায় বিএনপির স্থাপন করা দুটি বিলবোর্ড নষ্ট হওয়া এবং হরতালের দিন স্কুল খোলা রাখার অভিযোগে এ হামলার ঘটনা ঘটে। হামলাকারীরা শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের চড়-থাপ্পড়, কিল-ঘুষি ও লাঠি দিয়ে মারধর করে।
ঘটনা সম্পর্কে খুনিয়াগাছ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আবদুল হাই বলেন, ‘হামলাকারীরা অমানুষের মতো ক্লাস চলাকালীন সকাল সাড়ে ১০টায় বিদ্যালয়ে প্রবেশ করে। তারা বিদ্যালয়টিতে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে। শ্রেণীকক্ষের বেঞ্চ, অফিসকক্ষের চেয়ার-টেবিলসহ অন্যান্য আসবাব ভাঙচুর করে হামলাকারীরা। তারা অফিসের কাগজপত্র ও ফাইল ছিঁড়ে ফেলে।’
আবদুল হাই বলেন, ‘হামলাকারীদের বাধা দিতে গিয়ে আমি এবং স্কুলের অপর দুই শিক্ষক সাবিনা ইয়াছমিন ও তাজনীন জাহান লাঞ্ছিত হয়েছি। স্কুলের কমপক্ষে ১১ জন শিক্ষার্থী আহত হয়েছে। অনেকে ভয়ে বই-খাতা ও স্যান্ডেল ফেলে চলে যায়।’
একই সময় হামলাকারীদের অপর একটি দল খুনিয়াগাছ উচ্চবিদ্যালয়ে হামলা চালায়। এ সময় সেখানে অ্যাসেম্বলি চলছিল। হামলাকারীরা স্কুলের জাতীয় পতাকা নামিয়ে সেই বাঁশ দিয়ে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের তাড়া করে। এ সময় স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মধ্যে ভীতি নেমে আসে।
খুনিয়াগাছ উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোশারফ হোসেন বলেন, ‘স্কুল এলাকায় লাগানো বিএনপির কয়েকটি বিলবোর্ড কে বা কারা নষ্ট করেছে। সেই কারণে এবং হরতালের দিন বিদ্যালয় খোলা রাখার অভিযোগে আমাদের ওপর হামলা হয়েছে। এই হামলায় স্কুলের ষষ্ঠ শ্রেণীর এক ছাত্রী আহত হয়েছে।’
হামলার ঘটনার একপর্যায়ে খুনিয়াগাছ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা নাজনীন জাহান স্কুলের মাইকে গ্রামবাসী ও অভিভাবকদের সাহায্য চান। মাইকিং শুনে শত শত অভিভাবক ও স্থানীয় লোকজন ছুটে এলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়।
শিক্ষিকা নাজনীন জাহান বলেন, ‘নিজের নিরাপত্তার কথা না ভেবে স্কুলের আমানত এবং দেশ ও জাতিসহ পরিবারের সম্পদ শিশু শিক্ষার্থীদের হামলার হাত থেকে বাঁচাতে বিদ্যালয়ের মাইকে এলাকাবাসীসহ অভিভাবকদের এগিয়ে আসতে বলেছি।’ তিনি বলেন, ‘আমি বলেছি, স্কুলে হামলা হয়েছে। ওরা আমাদের লাঞ্ছিত করছে। ছাত্র-ছাত্রীদের মারছে। আমরা কিছুই করতে পারছি না। দয়া করে অভিভাবক ও এলাকাবাসী এখানে আসুন। হামলাকারীদের ঠেকান। আমাদের বাঁচান।’
নাজনীন জাহান বলেন, এই মাইকিংয়ের পর স্কুলের চারদিক থেকে গ্রামবাসী, অভিভাবক ও অন্যরা এগিয়ে এলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়।
হামলার শিকার খুনিয়াগাছ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণীর ছাত্র আহত মাসুদ রানা বলে, ‘ওরা স্কুলের স্যারোক মারছে, মোকো থাপড়াইছে, ধাক্কেয়া ফেলে দিছে, কইছে হরতালের দিনত স্কুলে আসলে আবার মারিম, তোমরা কন তাইলে আমরা কি স্কুলত পড়বার পাবারনং।’
মাইকিং শুনে এগিয়ে আসা অভিভাবক মো. নুরুন্নবী বলেন, ‘স্কুলের আপার মাইকিং শুনিয়া স্কুলোত আসি দেখোং সে এক ধুলায় অন্ধকার, ছাওয়া পাওয়া যায় যেদিকে পাবারনাকছে কান্দাকাটি করি দৌড়ে পালাবার নাগছে। আমরা আসলে হামলাকারীরা পালেয়া গেইছে।’
এ ঘটনায় জেলার শিক্ষক ও অভিভাবকসহ শিক্ষার্থীদের মাঝে আতঙ্কের পাশাপাশি ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
সংবাদ পেয়ে লালমনিরহাট সদর থানার পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। লালমনিরহাট সদর থানার ওসি জমির উদ্দিন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ‘ঘটনার সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। জেলা শহর থেকে সেখানে শিক্ষকতা করতে যাওয়া শিক্ষকদের পুলিশের গাড়িতে করে শহরে নিয়ে আসা হয়েছে। স্কুল দুটির পক্ষ থেকে মামলার প্রস্তুতি চলছে।’
লালমনিরহাট জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা এস এম মোসলেম উদ্দিন এবং জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মো. নবেজ উদ্দিন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন। তাঁরা বলেন, এ ধরনের ঘটনা নজিরবিহীন ও ন্যক্কারজনক। ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা নেওয়া না হলে হরতালের দিন বিদ্যালয় খোলা রাখা কঠিন হয়ে দাঁড়াবে।
হামলার ঘটনার সময় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী ও স্থানীয় সাংসদ মোতাহার হোসেন লালমনিরহাট জেলায় ছিলেন।
ঘটনা সম্পর্কে জানতে চাইলে লালমনিরহাট জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হাফিজুর রহমান প্রথম আলো ডটকমকে বলেন, ‘ওই স্কুল এলাকায় আমাদের দলের বিলবোর্ড আওয়ামী লীগের লোকজন নষ্ট করেছে।’ তিনি দাবি করেন, ‘আজকের ঘটনার সঙ্গে বিএনপি বা এর অঙ্গসংগঠনের কেউ জড়িত নয়। বিএনপির লোকজন হরতালের সমর্থনে পিকেটিং করলেও কেউ হামলা বা ভাঙচুর করেনি। তারা নিজেরাই নিজেদের ওপর হামলা চালিয়ে আমাদের দোষারোপ করছে।’
হরতালে স্কুল খোলা রাখায় ইউনিয়ন বিএনপির এক নেতার নেতৃত্বে এ হামলার ঘটনা ঘটেছে বলে সংশ্লিষ্ট শিক্ষক ও স্থানীয় লোকজন অভিযোগ করেছেন।
স্থানীয় লোকজন জানান, লালমনিরহাট জেলা শহর থেকে ১২-১৩ কিলোমিটার দূরে তিস্তা নদীর পাড়ে খুনিয়াগাছ ইউনিয়নে পাশাপাশি স্কুল দুটি অবস্থিত। আজ ১৮ দলীয় জোটের ডাকা হরতালের দ্বিতীয় দিনে খুনিয়াগাছ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও খুনিয়াগাছ উচ্চবিদ্যালয় খোলা ছিল।
স্কুল সূত্র ও স্থানীয় লোকজন জানান, সকাল সাড়ে ১০টার দিকে হরতালের সমর্থক একদল দুর্বৃত্ত লাঠিসোঁটা নিয়ে স্কুল দুটিতে হামলা চালায়। এ সময় তাদের হামলায় খুনিয়াগাছ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আবদুল হাই, শিক্ষক নাজনীন জাহান ও সাবিনা ইয়াসমিন এবং অন্তত ১১ শিশু শিক্ষার্থী আহত হয়। আহত শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের প্রাথমিক চিকিত্সা দেওয়া হয়েছে।
স্কুল এলাকায় বিএনপির স্থাপন করা দুটি বিলবোর্ড নষ্ট হওয়া এবং হরতালের দিন স্কুল খোলা রাখার অভিযোগে এ হামলার ঘটনা ঘটে। হামলাকারীরা শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের চড়-থাপ্পড়, কিল-ঘুষি ও লাঠি দিয়ে মারধর করে।
ঘটনা সম্পর্কে খুনিয়াগাছ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আবদুল হাই বলেন, ‘হামলাকারীরা অমানুষের মতো ক্লাস চলাকালীন সকাল সাড়ে ১০টায় বিদ্যালয়ে প্রবেশ করে। তারা বিদ্যালয়টিতে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে। শ্রেণীকক্ষের বেঞ্চ, অফিসকক্ষের চেয়ার-টেবিলসহ অন্যান্য আসবাব ভাঙচুর করে হামলাকারীরা। তারা অফিসের কাগজপত্র ও ফাইল ছিঁড়ে ফেলে।’
আবদুল হাই বলেন, ‘হামলাকারীদের বাধা দিতে গিয়ে আমি এবং স্কুলের অপর দুই শিক্ষক সাবিনা ইয়াছমিন ও তাজনীন জাহান লাঞ্ছিত হয়েছি। স্কুলের কমপক্ষে ১১ জন শিক্ষার্থী আহত হয়েছে। অনেকে ভয়ে বই-খাতা ও স্যান্ডেল ফেলে চলে যায়।’
একই সময় হামলাকারীদের অপর একটি দল খুনিয়াগাছ উচ্চবিদ্যালয়ে হামলা চালায়। এ সময় সেখানে অ্যাসেম্বলি চলছিল। হামলাকারীরা স্কুলের জাতীয় পতাকা নামিয়ে সেই বাঁশ দিয়ে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের তাড়া করে। এ সময় স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মধ্যে ভীতি নেমে আসে।
খুনিয়াগাছ উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোশারফ হোসেন বলেন, ‘স্কুল এলাকায় লাগানো বিএনপির কয়েকটি বিলবোর্ড কে বা কারা নষ্ট করেছে। সেই কারণে এবং হরতালের দিন বিদ্যালয় খোলা রাখার অভিযোগে আমাদের ওপর হামলা হয়েছে। এই হামলায় স্কুলের ষষ্ঠ শ্রেণীর এক ছাত্রী আহত হয়েছে।’
হামলার ঘটনার একপর্যায়ে খুনিয়াগাছ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা নাজনীন জাহান স্কুলের মাইকে গ্রামবাসী ও অভিভাবকদের সাহায্য চান। মাইকিং শুনে শত শত অভিভাবক ও স্থানীয় লোকজন ছুটে এলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়।
শিক্ষিকা নাজনীন জাহান বলেন, ‘নিজের নিরাপত্তার কথা না ভেবে স্কুলের আমানত এবং দেশ ও জাতিসহ পরিবারের সম্পদ শিশু শিক্ষার্থীদের হামলার হাত থেকে বাঁচাতে বিদ্যালয়ের মাইকে এলাকাবাসীসহ অভিভাবকদের এগিয়ে আসতে বলেছি।’ তিনি বলেন, ‘আমি বলেছি, স্কুলে হামলা হয়েছে। ওরা আমাদের লাঞ্ছিত করছে। ছাত্র-ছাত্রীদের মারছে। আমরা কিছুই করতে পারছি না। দয়া করে অভিভাবক ও এলাকাবাসী এখানে আসুন। হামলাকারীদের ঠেকান। আমাদের বাঁচান।’
নাজনীন জাহান বলেন, এই মাইকিংয়ের পর স্কুলের চারদিক থেকে গ্রামবাসী, অভিভাবক ও অন্যরা এগিয়ে এলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়।
হামলার শিকার খুনিয়াগাছ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণীর ছাত্র আহত মাসুদ রানা বলে, ‘ওরা স্কুলের স্যারোক মারছে, মোকো থাপড়াইছে, ধাক্কেয়া ফেলে দিছে, কইছে হরতালের দিনত স্কুলে আসলে আবার মারিম, তোমরা কন তাইলে আমরা কি স্কুলত পড়বার পাবারনং।’
মাইকিং শুনে এগিয়ে আসা অভিভাবক মো. নুরুন্নবী বলেন, ‘স্কুলের আপার মাইকিং শুনিয়া স্কুলোত আসি দেখোং সে এক ধুলায় অন্ধকার, ছাওয়া পাওয়া যায় যেদিকে পাবারনাকছে কান্দাকাটি করি দৌড়ে পালাবার নাগছে। আমরা আসলে হামলাকারীরা পালেয়া গেইছে।’
এ ঘটনায় জেলার শিক্ষক ও অভিভাবকসহ শিক্ষার্থীদের মাঝে আতঙ্কের পাশাপাশি ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
সংবাদ পেয়ে লালমনিরহাট সদর থানার পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। লালমনিরহাট সদর থানার ওসি জমির উদ্দিন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ‘ঘটনার সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। জেলা শহর থেকে সেখানে শিক্ষকতা করতে যাওয়া শিক্ষকদের পুলিশের গাড়িতে করে শহরে নিয়ে আসা হয়েছে। স্কুল দুটির পক্ষ থেকে মামলার প্রস্তুতি চলছে।’
লালমনিরহাট জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা এস এম মোসলেম উদ্দিন এবং জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মো. নবেজ উদ্দিন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন। তাঁরা বলেন, এ ধরনের ঘটনা নজিরবিহীন ও ন্যক্কারজনক। ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা নেওয়া না হলে হরতালের দিন বিদ্যালয় খোলা রাখা কঠিন হয়ে দাঁড়াবে।
হামলার ঘটনার সময় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী ও স্থানীয় সাংসদ মোতাহার হোসেন লালমনিরহাট জেলায় ছিলেন।
ঘটনা সম্পর্কে জানতে চাইলে লালমনিরহাট জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হাফিজুর রহমান প্রথম আলো ডটকমকে বলেন, ‘ওই স্কুল এলাকায় আমাদের দলের বিলবোর্ড আওয়ামী লীগের লোকজন নষ্ট করেছে।’ তিনি দাবি করেন, ‘আজকের ঘটনার সঙ্গে বিএনপি বা এর অঙ্গসংগঠনের কেউ জড়িত নয়। বিএনপির লোকজন হরতালের সমর্থনে পিকেটিং করলেও কেউ হামলা বা ভাঙচুর করেনি। তারা নিজেরাই নিজেদের ওপর হামলা চালিয়ে আমাদের দোষারোপ করছে।’
চিকিৎসক হয়ে ৩০০ রোগীকে হত্যা!
হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র বা আইসিইউয়ের বিছানা খালি করতে ৭ রোগীকে
হত্যা করেছেন নারী চিকিৎসক ভার্জিনিয়া সোয়ারেস ডি সুজা। এমন অভিযোগ আগেই
আনা হয়েছে। ব্রাজিলের ৫৬ বছর বয়সী এ চিকিৎসক তার উদ্দেশ্য চরিতার্থ করতে
৩০০ রোগীকে হত্যা করে থাকতে পারেন বলে মনে করছেন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের
তদন্ত কর্মকর্তারা। এ ঘটনা ঘটেছে ব্রাজিলের দক্ষিণাঞ্চলীয় কিউরিটিবা
অঞ্চলের ইভানজেলিকো হাসপাতালে। গত মাসে ৭ রোগীকে হত্যার অভিযোগে গ্রেপ্তার
করা হয় তাকে। ভার্জিনিয়ার বিরুদ্ধে এ পর্যন্ত ২০টি অভিযোগ আনা হয়েছে। আরও
৩০০ অভিযোগ আনা হতে পারে তার বিরুদ্ধে। একা নয়, সহযোগীদের নিয়ে এ হত্যাযজ্ঞ
চালিয়েছেন তিনি। ৩ চিকিৎসক ও ৩ নার্সের বিরুদ্ধে তাকে সহায়তার অভিযোগ আনা
হয়েছে। তিনি ও তার সহযোগীরা রোগীদের দেহে পেশী শিথিল করা ওষুধ প্রয়োগ ও
অক্সিজেন সরবরাহ কমিয়ে তাদের মৃত্যু নিশ্চিত করেছেন। এ খবর দিয়েছে বার্তা
সংস্থা রয়টার্স। টেলিফোনে রেকর্ড করা কথোপকথন থেকে তার এ ভয়াবহ ইচ্ছার কথা
জানতে পেরেছেন তদন্ত কর্মকর্তারা। অবশ্য ভার্জিনিয়ার আইনজীবী তার মক্কেলকে
নির্দোষ প্রমাণের চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছেন।
স্পিন প্রতিরোধের পরেও শ্রীলঙ্কা ৩০২
শুরুটা ভালো না হলেও শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে তৃতীয় ম্যাচের শেষপর্যায়ে
ভালোভাবেই ঘুরে দাঁড়িয়েছিল বাংলাদেশ। প্রথম ৩৬ ওভার পর্যন্ত দিলশান, জানিথ
পেরেরা ও সাঙ্গাকারা যেভাবে ব্যাটিং করেছিলেন তাতে সংগ্রহটা আরও বড় হতে
পারত শ্রীলঙ্কার। কিন্তু শেষপর্যায়ে বোলারদের সাফল্যে শ্রীলঙ্কার সংগ্রহকে
৩০২ রানেই সীমাবদ্ধ রাখা গেছে।
আজ ওয়ানডে সিরিজের তৃতীয় ম্যাচে উইকেটে প্রায় পুরোটা সময়ই বাংলাদেশের বোলারদের ‘সমস্যা’ হয়ে ছিলেন তিলকরত্নে দিলশান। ১২৫ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংস খেলে ৪৭তম ওভারে আউট হন এই ডানহাতি ব্যাটসম্যান। তাঁর এই শতকে ভর করে শেষপর্যন্ত ৩০২ রান সংগ্রহ করে ইনিংস শেষ করে স্বাগতিক শ্রীলঙ্কা। আরেক ওপেনার জানিথ পেরেরার ব্যাট থেকে এসেছে ৫৬ রান। কুমার সাঙ্গাকারা করেছেন ৪৮ রান। বাংলাদেশের পক্ষে পাঁচটি উইকেট শিকার করেছেন আব্দুর রাজ্জাক। বাংলাদেশের প্রথম বোলার হিসেবে ওয়ানডেতে ২০০ উইকেটের মাইলফলকও স্পর্শ করেছেন এই বামহাতি অফস্পিনার।
টসে জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন লঙ্কান অধিনায়ক অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুস। অধিনায়কের এই সিদ্ধান্তের যথার্থতা প্রমাণের কঠোর মিশন নিয়েই যেন মাঠে নেমেছেন দুই শ্রীলঙ্কান ওপেনার দিলশান ও পেরেরা। বাংলাদেশি বোলারদের নাজেহাল করে শুরুটা দুর্দান্ত করেছিলেন দুই লঙ্কান ওপেনার তিলকরত্নে দিলশান ও জেনিথ পেরেরা। দু’জনই অর্ধশতক হাঁকিয়ে মাত্র ১৯ ওভারের মধ্যে দলের সংগ্রহ একশ পার করিয়েছিলেন। বাইশতম ওভারে এসে অবশেষে হাসির উপলক্ষ্য তৈরি করেন মাহমুদউল্লাহ। তাঁর বলে পয়েন্টে নাসিরের হাতে ক্যাচ দিয়ে প্যাভিলিয়নে ফেরেন জেনিথ পেরেরা। দ্বিতীয় উইকেটে আবার ৮৯ রানের জুটি গড়ে বাংলাদেশের উপরে চাপ সৃষ্টি করেন দিলশান ও কুমার সাঙ্গাকারা। ৩৬তম ওভারে দলীয় ২০৩ রানের মাথায় এই জুটি ভাঙ্গতে সক্ষম হন আবদুর রাজ্জাক। ৪৮ রান করে ফিরে যান সাঙ্গাকারা। নিজের পরবর্তী দুই ওভারে থিসারা পেরেরা ও লঙ্কান অধিনায়ক অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুসকেও সাজঘরে ফেরান বামহাতি স্পিনার রাজ্জাক। জিভান মেন্ডিসকে বোল্ড করেন সোহাগ গাজী। চান্দিমাল ফেরেন জিয়ার বলে বোল্ড হয়ে। দুই ওভার পরে সবচেয়ে কাঙ্ক্ষিত উইকেটটির দেখা পায় বাংলাদেশ। শাহদাত হোসেনের শিকারে পরিণত হয়ে ফিরে যান তিলকারত্নে দিলশান। তবে তার আগে ১২৫ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলে শ্রীলঙ্কাকে বড় সংগ্রহ এনে দিয়েছেন এই ডানহাতি ওপেনার। ইনিংসের শেষ ওভারে দুর্দান্ত বোলিং করে নতুন এক মাইলফলক স্পর্শ করেছেন আব্দুর রাজ্জাক। বাংলাদেশের প্রথম বোলার হিসেবে ওয়ানডেতে ২০০ উইকেট শিকারের অনবদ্য কীর্তি গড়লেন এই বামহাতি স্পিনার।
বাংলাদেশের পক্ষে পাঁচটি উইকেট তুলে নিয়েছেন রাজ্জাক। একটি করে উইকেট পেয়েছেন মাহমুদউল্লাহ, সোহাগ গাজী ও জিয়াউর রহমান ও শাহাদাত হোসেন।
আজ ওয়ানডে সিরিজের তৃতীয় ম্যাচে উইকেটে প্রায় পুরোটা সময়ই বাংলাদেশের বোলারদের ‘সমস্যা’ হয়ে ছিলেন তিলকরত্নে দিলশান। ১২৫ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংস খেলে ৪৭তম ওভারে আউট হন এই ডানহাতি ব্যাটসম্যান। তাঁর এই শতকে ভর করে শেষপর্যন্ত ৩০২ রান সংগ্রহ করে ইনিংস শেষ করে স্বাগতিক শ্রীলঙ্কা। আরেক ওপেনার জানিথ পেরেরার ব্যাট থেকে এসেছে ৫৬ রান। কুমার সাঙ্গাকারা করেছেন ৪৮ রান। বাংলাদেশের পক্ষে পাঁচটি উইকেট শিকার করেছেন আব্দুর রাজ্জাক। বাংলাদেশের প্রথম বোলার হিসেবে ওয়ানডেতে ২০০ উইকেটের মাইলফলকও স্পর্শ করেছেন এই বামহাতি অফস্পিনার।
টসে জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন লঙ্কান অধিনায়ক অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুস। অধিনায়কের এই সিদ্ধান্তের যথার্থতা প্রমাণের কঠোর মিশন নিয়েই যেন মাঠে নেমেছেন দুই শ্রীলঙ্কান ওপেনার দিলশান ও পেরেরা। বাংলাদেশি বোলারদের নাজেহাল করে শুরুটা দুর্দান্ত করেছিলেন দুই লঙ্কান ওপেনার তিলকরত্নে দিলশান ও জেনিথ পেরেরা। দু’জনই অর্ধশতক হাঁকিয়ে মাত্র ১৯ ওভারের মধ্যে দলের সংগ্রহ একশ পার করিয়েছিলেন। বাইশতম ওভারে এসে অবশেষে হাসির উপলক্ষ্য তৈরি করেন মাহমুদউল্লাহ। তাঁর বলে পয়েন্টে নাসিরের হাতে ক্যাচ দিয়ে প্যাভিলিয়নে ফেরেন জেনিথ পেরেরা। দ্বিতীয় উইকেটে আবার ৮৯ রানের জুটি গড়ে বাংলাদেশের উপরে চাপ সৃষ্টি করেন দিলশান ও কুমার সাঙ্গাকারা। ৩৬তম ওভারে দলীয় ২০৩ রানের মাথায় এই জুটি ভাঙ্গতে সক্ষম হন আবদুর রাজ্জাক। ৪৮ রান করে ফিরে যান সাঙ্গাকারা। নিজের পরবর্তী দুই ওভারে থিসারা পেরেরা ও লঙ্কান অধিনায়ক অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুসকেও সাজঘরে ফেরান বামহাতি স্পিনার রাজ্জাক। জিভান মেন্ডিসকে বোল্ড করেন সোহাগ গাজী। চান্দিমাল ফেরেন জিয়ার বলে বোল্ড হয়ে। দুই ওভার পরে সবচেয়ে কাঙ্ক্ষিত উইকেটটির দেখা পায় বাংলাদেশ। শাহদাত হোসেনের শিকারে পরিণত হয়ে ফিরে যান তিলকারত্নে দিলশান। তবে তার আগে ১২৫ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলে শ্রীলঙ্কাকে বড় সংগ্রহ এনে দিয়েছেন এই ডানহাতি ওপেনার। ইনিংসের শেষ ওভারে দুর্দান্ত বোলিং করে নতুন এক মাইলফলক স্পর্শ করেছেন আব্দুর রাজ্জাক। বাংলাদেশের প্রথম বোলার হিসেবে ওয়ানডেতে ২০০ উইকেট শিকারের অনবদ্য কীর্তি গড়লেন এই বামহাতি স্পিনার।
বাংলাদেশের পক্ষে পাঁচটি উইকেট তুলে নিয়েছেন রাজ্জাক। একটি করে উইকেট পেয়েছেন মাহমুদউল্লাহ, সোহাগ গাজী ও জিয়াউর রহমান ও শাহাদাত হোসেন।
জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে জেসি রাইডার
ব্যক্তিজীবনে খুব সুনাম নেই নিউজিল্যান্ড ব্যাটসম্যান জেসি রাইডারের।
মাত্রাতিরিক্ত মদ্যপান ও মাঠের বাইরে খবরের শিরোনাম হওয়ার জন্য কুখ্যাত এই
প্রতিভাবান ব্যাটসম্যান। কিন্তু বৃহস্পতিবার মাঠের বাইরের এক ঘটনা তাঁকে
নিয়ে দাঁড় করিয়েছে ‘জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে। নিউজিল্যান্ডের
দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর ক্রাইস্টচার্চে একটি বারের বাইরে মারামারির ঘটনায়
মাথায় আঘাত পেয়ে এখন ‘কোমা’য় আছেন এই কিউই ক্রিকেটার।
রাইডার আসলে কী কারণে ওই মারামারির সঙ্গে নিজেকে জড়িয়েছেন, তার আদ্যোপান্ত জানা না গেলেও খবরে প্রকাশ, ক্রাইস্টচার্চের একটি বারের বাইরে কয়েকজন অজ্ঞাতনামা ব্যক্তির আঘাতে মাথায় মারাত্মক আঘাত পেয়ে তিনি এখন হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছেন।
‘ব্যক্তিগত কারণে’ রাইডার এই মুহূর্তে নিজেকে স্বেচ্ছায় নিউজিল্যান্ড দলের বাইরে রেখেছেন। আপাতত নিজেকে ব্যস্ত রেখেছিলেন নিউজিল্যান্ডের ঘরোয়া ক্রিকেটে। ঘরোয়া ক্রিকেটের সমাপনী উদযাপন করতে তিনি নিজের দল ওয়েলিংটনের কয়েকজন সতীর্থকে নিয়ে ক্রাইস্টচার্চের ওই বারে গিয়েছিলেন মদ পান করতে। মদ্যপান সেরে বার থেকে বেরোতেই কয়েকজনের সঙ্গে বচসার জের ধরে মারমারির ঘটনা ঘটে। বেশ কয়েকজন মিলে রাইডারকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। অজ্ঞাত ওই কয়েকজনের হামলায় মাথায় মারাত্মক আঘাত পেয়ে সংজ্ঞা হারান রাইডার। এই মুহূর্তে ক্রাইস্টচার্চের একটি হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যাকেন্দ্রে চিকিত্সাধীন তিনি।
রাইডারের ঘটনাটি মাত্রাতিরিক্ত মদ্যপানের কারণে ঘটেছে—এমনটা অবশ্য মনে করেন না ক্রাইস্টচার্চের গোয়েন্দা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ব্রায়ান আর্চার। তিনি বলেছেন, ‘বার থেকে বের হওয়ার পর দুই-তিনজন লোকের সঙ্গে রাইডারের কথা-কাটাকাটি হয়। এর পরপরই ঘটনাটি ঘটে।’
এদিকে, রাইডারকে ক্রাইস্টচার্চের যে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে, সেখানকার দায়িত্বরত চিকিৎসকের উদ্ধৃতি দিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, এই মুহূর্তে রাইডার্সের অবস্থা সংকটাপন্ন।’
একজন প্রত্যক্ষদর্শী পুরো ঘটনাটির বর্ণনা করতে গিয়ে জানান, দুই-তিনজন লোকের সঙ্গে প্রথমে রাইডারের কিছু বিষয় নিয়ে কথা-কাটাকাটি হয়; এর পরই তারা রাইডারকে নির্দয়ভাবে পেটাতে থাকে।’
প্রত্যক্ষদর্শী অবশ্য বলতে পারেননি ওই ‘তিন-চারজন লোক’ জেসি রাইডারের পূর্বপরিচিত ছিল কি না।’
জেসি রাইডার সম্প্রতি মদ্যপান বাড়িয়ে দিয়েছিলেন বলে জানিয়েছেন নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট প্লেয়ার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি হিথ মিল। তবে ক্রাইস্টচার্চের ঘটনাটি রাইডারের মদ্যপানকেন্দ্রিক কোনো কিছু নয় বলেই মনে করেন মিল।
প্রায় এক বছর আগে সর্বশেষ নিউজিল্যান্ডের হয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে মাঠে নেমেছিলেন জেসি রাইডার। সম্প্রতি, ব্যক্তিগত কিছু ব্যাপার সমাধানের লক্ষ্যে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে নিজেকে দূর রেখেছিলেন তিনি। টেস্ট ক্রিকেটে ৪০.৯৩ গড় ও একটি ডাবল সেঞ্চুরির মালিক রাইডার সম্প্রতি দুই লাখ ৬০ হাজার ডলারে নাম লিখিয়েছিলেন আইপিএল ফ্র্যাঞ্চাইজি দিল্লি ডেয়ারডেভিলসে। গতবার তিনি পুনে ওয়ারিয়র্সের হয়ে আইপিএলে খেলার সময় সঙ্গে করে একজন ব্যক্তিগত মনোবিদ নিয়ে এসেছিলেন।
রাইডার আসলে কী কারণে ওই মারামারির সঙ্গে নিজেকে জড়িয়েছেন, তার আদ্যোপান্ত জানা না গেলেও খবরে প্রকাশ, ক্রাইস্টচার্চের একটি বারের বাইরে কয়েকজন অজ্ঞাতনামা ব্যক্তির আঘাতে মাথায় মারাত্মক আঘাত পেয়ে তিনি এখন হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছেন।
‘ব্যক্তিগত কারণে’ রাইডার এই মুহূর্তে নিজেকে স্বেচ্ছায় নিউজিল্যান্ড দলের বাইরে রেখেছেন। আপাতত নিজেকে ব্যস্ত রেখেছিলেন নিউজিল্যান্ডের ঘরোয়া ক্রিকেটে। ঘরোয়া ক্রিকেটের সমাপনী উদযাপন করতে তিনি নিজের দল ওয়েলিংটনের কয়েকজন সতীর্থকে নিয়ে ক্রাইস্টচার্চের ওই বারে গিয়েছিলেন মদ পান করতে। মদ্যপান সেরে বার থেকে বেরোতেই কয়েকজনের সঙ্গে বচসার জের ধরে মারমারির ঘটনা ঘটে। বেশ কয়েকজন মিলে রাইডারকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। অজ্ঞাত ওই কয়েকজনের হামলায় মাথায় মারাত্মক আঘাত পেয়ে সংজ্ঞা হারান রাইডার। এই মুহূর্তে ক্রাইস্টচার্চের একটি হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যাকেন্দ্রে চিকিত্সাধীন তিনি।
রাইডারের ঘটনাটি মাত্রাতিরিক্ত মদ্যপানের কারণে ঘটেছে—এমনটা অবশ্য মনে করেন না ক্রাইস্টচার্চের গোয়েন্দা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ব্রায়ান আর্চার। তিনি বলেছেন, ‘বার থেকে বের হওয়ার পর দুই-তিনজন লোকের সঙ্গে রাইডারের কথা-কাটাকাটি হয়। এর পরপরই ঘটনাটি ঘটে।’
এদিকে, রাইডারকে ক্রাইস্টচার্চের যে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে, সেখানকার দায়িত্বরত চিকিৎসকের উদ্ধৃতি দিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, এই মুহূর্তে রাইডার্সের অবস্থা সংকটাপন্ন।’
একজন প্রত্যক্ষদর্শী পুরো ঘটনাটির বর্ণনা করতে গিয়ে জানান, দুই-তিনজন লোকের সঙ্গে প্রথমে রাইডারের কিছু বিষয় নিয়ে কথা-কাটাকাটি হয়; এর পরই তারা রাইডারকে নির্দয়ভাবে পেটাতে থাকে।’
প্রত্যক্ষদর্শী অবশ্য বলতে পারেননি ওই ‘তিন-চারজন লোক’ জেসি রাইডারের পূর্বপরিচিত ছিল কি না।’
জেসি রাইডার সম্প্রতি মদ্যপান বাড়িয়ে দিয়েছিলেন বলে জানিয়েছেন নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট প্লেয়ার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি হিথ মিল। তবে ক্রাইস্টচার্চের ঘটনাটি রাইডারের মদ্যপানকেন্দ্রিক কোনো কিছু নয় বলেই মনে করেন মিল।
প্রায় এক বছর আগে সর্বশেষ নিউজিল্যান্ডের হয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে মাঠে নেমেছিলেন জেসি রাইডার। সম্প্রতি, ব্যক্তিগত কিছু ব্যাপার সমাধানের লক্ষ্যে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে নিজেকে দূর রেখেছিলেন তিনি। টেস্ট ক্রিকেটে ৪০.৯৩ গড় ও একটি ডাবল সেঞ্চুরির মালিক রাইডার সম্প্রতি দুই লাখ ৬০ হাজার ডলারে নাম লিখিয়েছিলেন আইপিএল ফ্র্যাঞ্চাইজি দিল্লি ডেয়ারডেভিলসে। গতবার তিনি পুনে ওয়ারিয়র্সের হয়ে আইপিএলে খেলার সময় সঙ্গে করে একজন ব্যক্তিগত মনোবিদ নিয়ে এসেছিলেন।
Wednesday, March 27, 2013
আজ থেকে উন্মুক্ত মিরপুর-বিমানবন্দর উড়ালসড়ক
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ বুধবার সকালে মিরপুর-বিমানবন্দর উড়ালসড়কের
উদ্বোধন করেছেন। নির্ধারিত সময়ের তিন মাস আগেই এটি উদ্বোধন করা হলো। এরপর
প্রধানমন্ত্রী উড়ালসড়কটি পরিদর্শন করেন। এ সময় তাঁর সঙ্গে ছিলেন
যোগাযোগমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের ও বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রধান ইকবাল করিম
ভূঁইয়া। উড়ালসড়কটি সর্বসাধারণের যান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া
হয়।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর স্পেশাল ওয়ার্কস অর্গানাইজেশনের অধীনে ১৬ ইঞ্জিনিয়ার কনস্ট্রাকশন ব্যাটালিয়ন এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছে। প্রকল্পের ঠিকাদার হিসেবে কাজ করে মীর আক্তার অ্যান্ড কোম্পানি লিমিটেড।
উড়ালসড়কটি মিরপুরের মাটিকাটা থেকে শুরু হয়ে বিমানবন্দর সড়কে (জিয়া কলোনিসংলগ্ন) শেষ হয়েছে। এর দৈর্ঘ্য এক হাজার ৭৯৩ মিটার। সেনাবাহিনীর অধীনে এই প্রকল্পের আওতায় মিরপুর-বিমানবন্দর সড়ক উড়ালসড়ক, সংযোগ-সেতু এবং বনানী রেলক্রসিংয়ের ওপর আরেকটি উড়ালসড়ক নির্মিত হয়েছে। সব কটি প্রকল্পের ব্যয় ৩৬০ কোটি ১৬ লাখ টাকা। রেলক্রসিংয়ের ওপর নির্মিত উড়ালসড়কটি গত ডিসেম্বর মাসে চালু হয়। আজ মিরপুর-বিমানবন্দর সড়ক উড়ালসড়ক ও সংযোগ সড়কটি চালু হলো।
৫৬১ মিটার সংযোগ সেতুটি বনানী রেলক্রসিংয়ের ওপর নির্মিত ৮০৪ মিটার দীর্ঘ উড়ালসড়কের সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করবে। প্রকল্পসংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, প্রকল্পটি বাস্তবায়নের ফলে বনানীর রেলক্রসিংয়ে ট্রেন চলাচলের সময় যানবাহনগুলোর অপেক্ষায় থাকতে হচ্ছে না। এতে মিরপুর থেকে সেনানিবাসের ওপর দিয়ে উড়ালসড়ক ধরে বিমানবন্দর সড়কের দূরত্ব দাঁড়াবে তিন কিলোমিটার। এই পথ পাড়ি দিতে সময় লাগবে ১৫-২০ মিনিট। বর্তমানে মিরপুর থেকে বিমানবন্দর যেতে হলে আগারগাঁও হয়ে প্রায় ১১ কিলোমিটার পথ ঘুরতে হয়।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর স্পেশাল ওয়ার্কস অর্গানাইজেশনের অধীনে ১৬ ইঞ্জিনিয়ার কনস্ট্রাকশন ব্যাটালিয়ন এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছে। প্রকল্পের ঠিকাদার হিসেবে কাজ করে মীর আক্তার অ্যান্ড কোম্পানি লিমিটেড।
উড়ালসড়কটি মিরপুরের মাটিকাটা থেকে শুরু হয়ে বিমানবন্দর সড়কে (জিয়া কলোনিসংলগ্ন) শেষ হয়েছে। এর দৈর্ঘ্য এক হাজার ৭৯৩ মিটার। সেনাবাহিনীর অধীনে এই প্রকল্পের আওতায় মিরপুর-বিমানবন্দর সড়ক উড়ালসড়ক, সংযোগ-সেতু এবং বনানী রেলক্রসিংয়ের ওপর আরেকটি উড়ালসড়ক নির্মিত হয়েছে। সব কটি প্রকল্পের ব্যয় ৩৬০ কোটি ১৬ লাখ টাকা। রেলক্রসিংয়ের ওপর নির্মিত উড়ালসড়কটি গত ডিসেম্বর মাসে চালু হয়। আজ মিরপুর-বিমানবন্দর সড়ক উড়ালসড়ক ও সংযোগ সড়কটি চালু হলো।
৫৬১ মিটার সংযোগ সেতুটি বনানী রেলক্রসিংয়ের ওপর নির্মিত ৮০৪ মিটার দীর্ঘ উড়ালসড়কের সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করবে। প্রকল্পসংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, প্রকল্পটি বাস্তবায়নের ফলে বনানীর রেলক্রসিংয়ে ট্রেন চলাচলের সময় যানবাহনগুলোর অপেক্ষায় থাকতে হচ্ছে না। এতে মিরপুর থেকে সেনানিবাসের ওপর দিয়ে উড়ালসড়ক ধরে বিমানবন্দর সড়কের দূরত্ব দাঁড়াবে তিন কিলোমিটার। এই পথ পাড়ি দিতে সময় লাগবে ১৫-২০ মিনিট। বর্তমানে মিরপুর থেকে বিমানবন্দর যেতে হলে আগারগাঁও হয়ে প্রায় ১১ কিলোমিটার পথ ঘুরতে হয়।
রেলে ৯২টি নাশকতা, নয় কোটি টাকা ক্ষতি
দুটি অঞ্চল নিয়ে গঠিত বাংলাদেশ রেলওয়েতে ৬ মার্চ থেকে গতকাল পর্যন্ত আরও
৩৩টি নাশকতার ঘটনা ঘটেছে। এ নিয়ে গত ২৮ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হওয়া সহিংসতায়
মোট ৯২টি নাশকতার ঘটনা ঘটেছে। এতে বাংলাদেশ রেলের ক্ষতির পরিমাণ নয় কোটি
টাকা ছাড়িয়ে গেছে।
ধারাবাহিক নাশকতার ঘটনায় মন্ত্রণালয় রেল পুলিশ ও নিজস্ব নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে থানার পুলিশ ও র্যাবের সদস্যদের যুক্ত করেছে বলে জানা গেছে।
ঢাকা, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগ নিয়ে রেলওয়ে পূর্বাঞ্চল এবং দেশের উত্তর ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল নিয়ে পশ্চিমাঞ্চল গঠিত। গত ৬ ফেব্রুয়ারি থেকে পূর্বাঞ্চলে আরও ২৬টি এবং পশ্চিমাঞ্চলে ১০টি নাশকতার ঘটনা ঘটেছে। নাশকতা শুরু হয় ২৮ ফেব্রুয়ারি থেকে। ওই দিন থেকে গতকাল পর্যন্ত পূর্বাঞ্চলে ৮২টি এবং পশ্চিমাঞ্চলে ১০টি নাশকতার ঘটনা ঘটে। রেলের ইতিহাসে এমন তাণ্ডব আর কখনো হয়নি বলে রেল কর্মকর্তারা জানান। তাঁরা বলেন, এই দুর্বৃত্তরা যাত্রীদের জীবনেরও পরোয়া করছে না। সর্বশেষ গত মঙ্গলবার ভোরে কুলাউড়ায় রেললাইনের ফিসপ্লেট কেটে ফেলে দুর্বৃত্তরা। এতে ছয়টি কোচ ও ইঞ্জিন লাইনচ্যুত হলে ঢাকা ও চট্টগ্রামের সঙ্গে সিলেটের নয় ঘণ্টা ট্রেন যোগাযোগ বন্ধ থাকে।
বিএনপি-জামায়াত জোটের ডাকা হরতাল চলাকালীন একই দিন সকাল নয়টায় ফৌজদারহাট স্টেশন ভাঙচুর এবং রেললাইনে অগ্নিসংযোগ করা হয়। এতে চট্টগ্রামের সঙ্গে সারা দেশের ট্রেন যোগাযোগ দুই ঘণ্টা বন্ধ থাকে। একই দিন সকালে মিরসরাইয়ের বড়তাকিয়ায় এবং ব্রাহ্মবাড়িয়ায় রেললাইনে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। এতে ট্রেন চলাচলে বিঘ্ন ঘটে। এর আগে গত সোমবার নরসিংদীর বাদুয়ারচর এলাকায় রেলসেতুতে অগ্নিসংযোগ করা হয়।
রেলমন্ত্রী মো. মুজিবুল হক ধারাবাহিক নাশকতার জন্য আবারও জামায়াত-শিবিরকে দায়ী করেন। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, যুদ্ধাপরাধীদের বাঁচানোর জন্য স্বাধীনতাবিরোধী চক্র সহিংসতা চালাচ্ছে। একাত্তরের পর রেলের সম্পদ ধ্বংসের এই চিত্র দেশবাসী কখনো দেখেনি।
ধারাবাহিক নাশকতা প্রতিরোধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, জানতে চাইলে মন্ত্রী মুজিবুল হক বলেন, রেলযাত্রী ও রেলের সম্পদের নিরাপত্তায় রেল পুলিশ ও নিজস্ব নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে থানার পুলিশ ও র্যাবের সদস্যরা যুক্ত হয়েছেন। নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা মাঠে কাজ করছেন। দুর্বৃত্তদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারের জন্য কাজ চলছে।
রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলে নাশকতা বেশি হচ্ছে। কারণ, গুরুত্বপূর্ণ আন্তনগর ট্রেন এ পথেই বেশি চলাচল করে। যাত্রী পরিবহনও এ অঞ্চলে বেশি হয়। এ কারণে দুর্বৃত্তরা পূর্বাঞ্চলকে নাশকতার লক্ষ্যস্থলে পরিণত করেছে বলে মন্তব্য করেন রেলের একাধিক কর্মকর্তা।
পশ্চিমাঞ্চলে ২৮ ফেব্রুয়ারি ও ১ মার্চ সিল্কসিটি ট্রেনের কোচ এবং বগুড়া স্টেশন ভবন ও বামনডাঙ্গা স্টেশন পুড়িয়ে দেওয়ার ঘটনায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে। এরপর গতকাল পর্যন্ত আরও ১০টি নাশকতার ঘটনা ঘটেছে। এতে আরও সাত-আট লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানিয়েছেন।
পশ্চিমাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক মো. ফেরদৌস আলম বলেন, ‘২৮ ফেব্রুয়ারি ও ১ মার্চ পশ্চিমাঞ্চল রেলে বড় ধরনের নাশকতা হয়। সেটা কাটিয়ে উঠতে আমাদের অনেক সময় লাগবে।’
ধারাবাহিক নাশকতার ঘটনায় মন্ত্রণালয় রেল পুলিশ ও নিজস্ব নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে থানার পুলিশ ও র্যাবের সদস্যদের যুক্ত করেছে বলে জানা গেছে।
ঢাকা, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগ নিয়ে রেলওয়ে পূর্বাঞ্চল এবং দেশের উত্তর ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল নিয়ে পশ্চিমাঞ্চল গঠিত। গত ৬ ফেব্রুয়ারি থেকে পূর্বাঞ্চলে আরও ২৬টি এবং পশ্চিমাঞ্চলে ১০টি নাশকতার ঘটনা ঘটেছে। নাশকতা শুরু হয় ২৮ ফেব্রুয়ারি থেকে। ওই দিন থেকে গতকাল পর্যন্ত পূর্বাঞ্চলে ৮২টি এবং পশ্চিমাঞ্চলে ১০টি নাশকতার ঘটনা ঘটে। রেলের ইতিহাসে এমন তাণ্ডব আর কখনো হয়নি বলে রেল কর্মকর্তারা জানান। তাঁরা বলেন, এই দুর্বৃত্তরা যাত্রীদের জীবনেরও পরোয়া করছে না। সর্বশেষ গত মঙ্গলবার ভোরে কুলাউড়ায় রেললাইনের ফিসপ্লেট কেটে ফেলে দুর্বৃত্তরা। এতে ছয়টি কোচ ও ইঞ্জিন লাইনচ্যুত হলে ঢাকা ও চট্টগ্রামের সঙ্গে সিলেটের নয় ঘণ্টা ট্রেন যোগাযোগ বন্ধ থাকে।
বিএনপি-জামায়াত জোটের ডাকা হরতাল চলাকালীন একই দিন সকাল নয়টায় ফৌজদারহাট স্টেশন ভাঙচুর এবং রেললাইনে অগ্নিসংযোগ করা হয়। এতে চট্টগ্রামের সঙ্গে সারা দেশের ট্রেন যোগাযোগ দুই ঘণ্টা বন্ধ থাকে। একই দিন সকালে মিরসরাইয়ের বড়তাকিয়ায় এবং ব্রাহ্মবাড়িয়ায় রেললাইনে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। এতে ট্রেন চলাচলে বিঘ্ন ঘটে। এর আগে গত সোমবার নরসিংদীর বাদুয়ারচর এলাকায় রেলসেতুতে অগ্নিসংযোগ করা হয়।
রেলমন্ত্রী মো. মুজিবুল হক ধারাবাহিক নাশকতার জন্য আবারও জামায়াত-শিবিরকে দায়ী করেন। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, যুদ্ধাপরাধীদের বাঁচানোর জন্য স্বাধীনতাবিরোধী চক্র সহিংসতা চালাচ্ছে। একাত্তরের পর রেলের সম্পদ ধ্বংসের এই চিত্র দেশবাসী কখনো দেখেনি।
ধারাবাহিক নাশকতা প্রতিরোধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, জানতে চাইলে মন্ত্রী মুজিবুল হক বলেন, রেলযাত্রী ও রেলের সম্পদের নিরাপত্তায় রেল পুলিশ ও নিজস্ব নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে থানার পুলিশ ও র্যাবের সদস্যরা যুক্ত হয়েছেন। নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা মাঠে কাজ করছেন। দুর্বৃত্তদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারের জন্য কাজ চলছে।
রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলে নাশকতা বেশি হচ্ছে। কারণ, গুরুত্বপূর্ণ আন্তনগর ট্রেন এ পথেই বেশি চলাচল করে। যাত্রী পরিবহনও এ অঞ্চলে বেশি হয়। এ কারণে দুর্বৃত্তরা পূর্বাঞ্চলকে নাশকতার লক্ষ্যস্থলে পরিণত করেছে বলে মন্তব্য করেন রেলের একাধিক কর্মকর্তা।
পশ্চিমাঞ্চলে ২৮ ফেব্রুয়ারি ও ১ মার্চ সিল্কসিটি ট্রেনের কোচ এবং বগুড়া স্টেশন ভবন ও বামনডাঙ্গা স্টেশন পুড়িয়ে দেওয়ার ঘটনায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে। এরপর গতকাল পর্যন্ত আরও ১০টি নাশকতার ঘটনা ঘটেছে। এতে আরও সাত-আট লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানিয়েছেন।
পশ্চিমাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক মো. ফেরদৌস আলম বলেন, ‘২৮ ফেব্রুয়ারি ও ১ মার্চ পশ্চিমাঞ্চল রেলে বড় ধরনের নাশকতা হয়। সেটা কাটিয়ে উঠতে আমাদের অনেক সময় লাগবে।’
বন্ধু তুমি প্রেমিক নও
অর্ণব ও সেঁজুতি (ছদ্মনাম)। স্কুলজীবন থেকেই ওদের বন্ধুত্ব। একসঙ্গে টিফিন
ভাগাভাগি থেকে সুখ-দুঃখের ভাগাভাগিটা কখন যে শুরু হলো, তা কেউই টের পায়নি।
এর মধ্যে হঠাৎ করেই অর্ণব টের পেল সেঁজুতিকে শুধু যেন বন্ধু ভাবতে পারছে
না সে। বন্ধুত্বের চাহনিটা ক্রমেই পরিণত হয়ে উঠছে ভালো লাগায়।
একদিন বিকেলে কলেজ থেকে ফেরার পথে অর্ণব সেঁজুতিকে জানিয়ে দেয় ভালো লাগার কথা। বন্ধুর মুখে এমন কথা শুনে চমকে ওঠে সেঁজুতি। কী করবে বুঝে উঠতে পারে না। বন্ধুকে যে শুধু বন্ধু হিসেবেই চায় সে, প্রেমিক হিসেবে নয়।
আমাদের চারপাশে প্রতিনিয়তই ঘটছে এমন ঘটনা। কম বয়সের কোনো ছেলে বা মেয়ে ভবিষ্যতের কথা ভেবে বা বুঝে-শুনে যে বন্ধুর প্রতি ভালো লাগার কথা জানায় তা কিন্তু নয়। আবার যাকে ভালো লাগার বিষয়টি জানাচ্ছে, সেও তার মতো একই বয়সী বলে বুঝে উঠতে পারে না যে কী করবে। ‘তোমাকে না পেলে মরে যাব’ বন্ধুর এমন কথায় সে ভড়কে গিয়ে হয়তো না বুঝেই হ্যাঁ বলে ফেলে। আবার বন্ধুর পক্ষ থেকে উত্তরটি নেতিবাচক হলে ঘুমের ওষুধ খাওয়া, পরীক্ষা না দেওয়ার মতো ঘটনাও ঘটতে দেখা যায়। অপর পক্ষের বন্ধুর মানসিক অবস্থাও যে তখন খুব স্বাভাবিক থাকে তা নয়। কারণ, সে নিজেও তার বন্ধুর ভালো চায়। তাকে হারাতে চায় না।
এ প্রসঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক শাহ এহসান হাবীব বলেন, ‘আমাদের জীবনে অন্যতম নিরাপদ আশ্রয়স্থল হলো বন্ধু। কৈশোরে বা কম বয়সে বন্ধুত্বকে ছাপিয়ে ভালো লাগা তৈরি হলে তখন উভয় পক্ষেরই বিষয়টি গ্রহণ ও মোকাবিলা করার মানসিক প্রস্তুতি থাকে না। ফলে না বুঝে তারা নানা রকম ভুল করে ফেলে। এ জন্য বাড়িতে এমন পরিবেশ তৈরি করতে হবে, যেন সন্তান যেকোনো কথা এসে বলতে পারে। সন্তানকে ভুল না বুঝে তাকে সাহায্য করতে হবে।’
বন্ধুর প্রতি ভালো লাগা আসতেই পারে। এটি অপরাধও নয়, লজ্জা পাওয়ার মতো কোনো বিষয়ও নয়। এটি পরিবার ও শিক্ষকদের বোঝাতে হবে। তাহলে তারা সঠিক নির্দেশনা খুঁজে পাবে। বাবা-মায়ের পাশাপাশি শিক্ষকেরাও হয়ে উঠতে পারেন তাদের বন্ধু—মনে করেন সানিডেল স্কুলের জ্যেষ্ঠ শিক্ষক সালমা পারভীন।
ভালো লাগার অনুভূতিটা খুব সুন্দর। আবার বন্ধুত্বের সম্পর্কটিও খুব চমৎকার। বন্ধুকে না বলা নিয়ে মনে যে দ্বন্দ্ব শুরু হয়, তাকে মোকাবিলা করতে কিছু পরামর্শ দিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মেহজাবীন হক। যাতে বন্ধু বুঝতে পারে একসময়ের কাছের বন্ধুটি চায় তাদের বন্ধুত্বটা টিকে থাকুক।
কোনো বন্ধুকে বিশেষভাবে ভালো লাগলে আগে নিজের সঙ্গে বোঝাপড়া করতে হবে। কথাটি বলার উপযুক্ত সময় হয়েছে কি না তা বুঝতে হবে। যদি ভেবেই নেন না বলে থাকতে পারছেন না, তাহলে বলে ফেলুন। তবে এটিও মনে রাখতে হবে, যে বন্ধুকে ভালো লাগার কথা বলবেন তাঁর ব্যক্তিস্বাধীনতা আছে। তিনি প্রেমিক হিসেবে আপনাকে নাও মানতে পারেন। এটি মেনে নেওয়ার জন্য মানসিক প্রস্তুতি থাকতে হবে।
ভালো লাগা ভালোবাসায় জোর খাটে না, তাই বন্ধুকে কোনো প্রকার চাপ সৃষ্টি করা উচিত নয়। বন্ধুর যেকোনো সিদ্ধান্তের প্রতি সম্মান রেখে বন্ধুত্বের সম্পর্ক বজায় রাখা বুদ্ধিমানের কাজ।
সবকিছু ভাবাভাবির পর ধরা যাক বন্ধুটি বলেই দিল মনের না-বলা কথা। অপর পক্ষেরও তখন বন্ধু হিসেবে কিছু কর্তব্য আছে। যেকোনো ব্যর্থতাই মেনে নেওয়া কষ্টকর। নিজের অপারগতার কথা হঠাৎ করেই রূঢ়ভাবে প্রকাশ না করে বা তাঁকে এড়িয়ে না গিয়ে স্বাভাবিক থাকতে হবে। বন্ধুকে বোঝাতে হবে এ মুহূর্তে পড়ালেখায় মনোযোগী হওয়া বেশি জরুরি।
অন্য বন্ধুদের সামনে বন্ধুর ভালো লাগা নিয়ে হাসিঠাট্টা করা উচিত নয়। তাঁকে অপমানিত ও লজ্জিত না করে আগের মতো বন্ধু হয়ে পাশে আছেন, এটি বোঝাতে হবে।
বন্ধুকে সময় দিতে হবে। শুধু দুজন একসঙ্গে না থেকে দলের সঙ্গে সময় কাটাতে হবে।
বন্ধুর ভালোর জন্য সব বন্ধু মিলে আলোচনা করতে পারেন। তবে বন্ধু মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হলে মনোবিজ্ঞানীর শরণাপন্ন হতে হবে। আপনি যে তাঁর সত্যিকারের বন্ধু, তা প্রকাশ পাবে এভাবেই।
একদিন বিকেলে কলেজ থেকে ফেরার পথে অর্ণব সেঁজুতিকে জানিয়ে দেয় ভালো লাগার কথা। বন্ধুর মুখে এমন কথা শুনে চমকে ওঠে সেঁজুতি। কী করবে বুঝে উঠতে পারে না। বন্ধুকে যে শুধু বন্ধু হিসেবেই চায় সে, প্রেমিক হিসেবে নয়।
আমাদের চারপাশে প্রতিনিয়তই ঘটছে এমন ঘটনা। কম বয়সের কোনো ছেলে বা মেয়ে ভবিষ্যতের কথা ভেবে বা বুঝে-শুনে যে বন্ধুর প্রতি ভালো লাগার কথা জানায় তা কিন্তু নয়। আবার যাকে ভালো লাগার বিষয়টি জানাচ্ছে, সেও তার মতো একই বয়সী বলে বুঝে উঠতে পারে না যে কী করবে। ‘তোমাকে না পেলে মরে যাব’ বন্ধুর এমন কথায় সে ভড়কে গিয়ে হয়তো না বুঝেই হ্যাঁ বলে ফেলে। আবার বন্ধুর পক্ষ থেকে উত্তরটি নেতিবাচক হলে ঘুমের ওষুধ খাওয়া, পরীক্ষা না দেওয়ার মতো ঘটনাও ঘটতে দেখা যায়। অপর পক্ষের বন্ধুর মানসিক অবস্থাও যে তখন খুব স্বাভাবিক থাকে তা নয়। কারণ, সে নিজেও তার বন্ধুর ভালো চায়। তাকে হারাতে চায় না।
এ প্রসঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক শাহ এহসান হাবীব বলেন, ‘আমাদের জীবনে অন্যতম নিরাপদ আশ্রয়স্থল হলো বন্ধু। কৈশোরে বা কম বয়সে বন্ধুত্বকে ছাপিয়ে ভালো লাগা তৈরি হলে তখন উভয় পক্ষেরই বিষয়টি গ্রহণ ও মোকাবিলা করার মানসিক প্রস্তুতি থাকে না। ফলে না বুঝে তারা নানা রকম ভুল করে ফেলে। এ জন্য বাড়িতে এমন পরিবেশ তৈরি করতে হবে, যেন সন্তান যেকোনো কথা এসে বলতে পারে। সন্তানকে ভুল না বুঝে তাকে সাহায্য করতে হবে।’
বন্ধুর প্রতি ভালো লাগা আসতেই পারে। এটি অপরাধও নয়, লজ্জা পাওয়ার মতো কোনো বিষয়ও নয়। এটি পরিবার ও শিক্ষকদের বোঝাতে হবে। তাহলে তারা সঠিক নির্দেশনা খুঁজে পাবে। বাবা-মায়ের পাশাপাশি শিক্ষকেরাও হয়ে উঠতে পারেন তাদের বন্ধু—মনে করেন সানিডেল স্কুলের জ্যেষ্ঠ শিক্ষক সালমা পারভীন।
ভালো লাগার অনুভূতিটা খুব সুন্দর। আবার বন্ধুত্বের সম্পর্কটিও খুব চমৎকার। বন্ধুকে না বলা নিয়ে মনে যে দ্বন্দ্ব শুরু হয়, তাকে মোকাবিলা করতে কিছু পরামর্শ দিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মেহজাবীন হক। যাতে বন্ধু বুঝতে পারে একসময়ের কাছের বন্ধুটি চায় তাদের বন্ধুত্বটা টিকে থাকুক।
কোনো বন্ধুকে বিশেষভাবে ভালো লাগলে আগে নিজের সঙ্গে বোঝাপড়া করতে হবে। কথাটি বলার উপযুক্ত সময় হয়েছে কি না তা বুঝতে হবে। যদি ভেবেই নেন না বলে থাকতে পারছেন না, তাহলে বলে ফেলুন। তবে এটিও মনে রাখতে হবে, যে বন্ধুকে ভালো লাগার কথা বলবেন তাঁর ব্যক্তিস্বাধীনতা আছে। তিনি প্রেমিক হিসেবে আপনাকে নাও মানতে পারেন। এটি মেনে নেওয়ার জন্য মানসিক প্রস্তুতি থাকতে হবে।
ভালো লাগা ভালোবাসায় জোর খাটে না, তাই বন্ধুকে কোনো প্রকার চাপ সৃষ্টি করা উচিত নয়। বন্ধুর যেকোনো সিদ্ধান্তের প্রতি সম্মান রেখে বন্ধুত্বের সম্পর্ক বজায় রাখা বুদ্ধিমানের কাজ।
সবকিছু ভাবাভাবির পর ধরা যাক বন্ধুটি বলেই দিল মনের না-বলা কথা। অপর পক্ষেরও তখন বন্ধু হিসেবে কিছু কর্তব্য আছে। যেকোনো ব্যর্থতাই মেনে নেওয়া কষ্টকর। নিজের অপারগতার কথা হঠাৎ করেই রূঢ়ভাবে প্রকাশ না করে বা তাঁকে এড়িয়ে না গিয়ে স্বাভাবিক থাকতে হবে। বন্ধুকে বোঝাতে হবে এ মুহূর্তে পড়ালেখায় মনোযোগী হওয়া বেশি জরুরি।
অন্য বন্ধুদের সামনে বন্ধুর ভালো লাগা নিয়ে হাসিঠাট্টা করা উচিত নয়। তাঁকে অপমানিত ও লজ্জিত না করে আগের মতো বন্ধু হয়ে পাশে আছেন, এটি বোঝাতে হবে।
বন্ধুকে সময় দিতে হবে। শুধু দুজন একসঙ্গে না থেকে দলের সঙ্গে সময় কাটাতে হবে।
বন্ধুর ভালোর জন্য সব বন্ধু মিলে আলোচনা করতে পারেন। তবে বন্ধু মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হলে মনোবিজ্ঞানীর শরণাপন্ন হতে হবে। আপনি যে তাঁর সত্যিকারের বন্ধু, তা প্রকাশ পাবে এভাবেই।
শেখ হাসিনা রাষ্ট্রপতি নির্বাচন করলে এরশাদও লড়বেন!
জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ বলেছেন, রাষ্ট্রপতি
কে হবেন, তা দেশের গণতন্ত্র ও নির্বাচনের মতোই অস্পষ্ট। তবে, প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনা যদি রাষ্ট্রপতিশাসিত পদ্ধতি প্রবর্তন করে রাষ্ট্রপতি হতে চান,
তাহলে সে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে এরশাদও প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।
গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে রাজধানীর বনানীতে জাতীয় পার্টির কার্যালয়ে স্বাধীনতা দিবসের এক আলোচনা সভায় ক্ষমতাসীন মহাজোটের শরিক এরশাদ এসব কথা বলেন। জাপার ঢাকা মহানগর উত্তর শাখা এ আলোচনার আয়োজন করে।
এরশাদ বলেন, ‘অনেকে প্রশ্ন করেন, কে রাষ্ট্রপতি হবেন। একটু আগে একজন প্রশ্ন করলেন, “শুনেছি, প্রধানমন্ত্রী রাষ্ট্রপতি হবেন?” আমি বলেছি, যদি উনি (প্রধানমন্ত্রী) রাষ্ট্রপতিশাসিত পদ্ধতি প্রবর্তন করে রাষ্ট্রপতি হন, আমার কোনো আপত্তি নেই। আমি তাঁর সঙ্গে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করব। ইনশা আল্লাহ জয়ী হয়ে আসব।’ তিনি বলেন, ‘আমি রাষ্ট্রপতি ছিলাম, সরকারপ্রধান ছিলাম। সেই রাষ্ট্রপতি যদি হতে পারি, তাহলে রাষ্ট্রপতি হব, নইলে হব না।’
‘দেশের সবকিছুই অস্পষ্ট’ এ মন্তব্য করে জাপার চেয়ারম্যান বলেন, ‘এক শ্বাসরুদ্ধকর পরিস্থিতিতে আছে দেশ। এর থেকে বাঁচতে হলে নির্বাচন করতে হবে। কিন্তু নির্বাচনও অনিশ্চিত। দেশ অবশ্যম্ভাবী সংঘাতের দিকে এগোচ্ছে।’
মহাজোট ছাড়ার কথা পুনরুল্লেখ করে এরশাদ বলেন, ‘একা নির্বাচন করতে হলে অবশ্যই আমাদের মহাজোট ছাড়তে হবে। এর দায়িত্ব আপনারা আমাকে দিয়েছেন। জাস্ট ওয়েট ফর মাই ডিসিশন। আমি এ পর্যন্ত এমন সিদ্ধান্ত নিইনি, যা আমাদের জন্য বিপজ্জনক হবে। মনে রাখবেন, আমি সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নেব।’
শাহবাগের সমালোচনা: শাহবাগ চত্বর হওয়ার ফলে সরকারের অনেক ক্ষতি হয়েছে মন্তব্য করে এরশাদ বলেন, এ কারণে বিএনপি-জামায়াত অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ হয়ে গেছে। তাই শাহবাগের গণজাগরণ মঞ্চ যত তাড়াতাড়ি শেষ হবে, ততই সরকারের জন্য মঙ্গল হবে।
এরশাদ বলেন, ‘শাহবাগ চত্বরের ছেলেরা যখন স্লোগান দিল, আপসের রায় মানি না। তখন আমি সমর্থন দিয়েছিলাম। পরবর্তীকালে দলীয়করণ হয়ে গেল, তখন বিরিয়ানির প্যাকেট আসল, পুলিশ দিয়ে ঘেরাও করে রাখল। পুলিশ দিয়ে ঘেরাও করে কখনো গণজাগরণ সৃষ্টি হয় না।’
জাপার ঢাকা মহানগর (উত্তর) সভাপতি এস এম ফয়সাল চিশতীর সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য দেন দলের সভাপতিমণ্ডলীর জ্যেষ্ঠ সদস্য কাজী জাফর আহমদ, মহাসচিব এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদার, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কাজী ফিরোজ রশীদ, জিয়াউদ্দিন আহমেদ প্রমুখ।
গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে রাজধানীর বনানীতে জাতীয় পার্টির কার্যালয়ে স্বাধীনতা দিবসের এক আলোচনা সভায় ক্ষমতাসীন মহাজোটের শরিক এরশাদ এসব কথা বলেন। জাপার ঢাকা মহানগর উত্তর শাখা এ আলোচনার আয়োজন করে।
এরশাদ বলেন, ‘অনেকে প্রশ্ন করেন, কে রাষ্ট্রপতি হবেন। একটু আগে একজন প্রশ্ন করলেন, “শুনেছি, প্রধানমন্ত্রী রাষ্ট্রপতি হবেন?” আমি বলেছি, যদি উনি (প্রধানমন্ত্রী) রাষ্ট্রপতিশাসিত পদ্ধতি প্রবর্তন করে রাষ্ট্রপতি হন, আমার কোনো আপত্তি নেই। আমি তাঁর সঙ্গে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করব। ইনশা আল্লাহ জয়ী হয়ে আসব।’ তিনি বলেন, ‘আমি রাষ্ট্রপতি ছিলাম, সরকারপ্রধান ছিলাম। সেই রাষ্ট্রপতি যদি হতে পারি, তাহলে রাষ্ট্রপতি হব, নইলে হব না।’
‘দেশের সবকিছুই অস্পষ্ট’ এ মন্তব্য করে জাপার চেয়ারম্যান বলেন, ‘এক শ্বাসরুদ্ধকর পরিস্থিতিতে আছে দেশ। এর থেকে বাঁচতে হলে নির্বাচন করতে হবে। কিন্তু নির্বাচনও অনিশ্চিত। দেশ অবশ্যম্ভাবী সংঘাতের দিকে এগোচ্ছে।’
মহাজোট ছাড়ার কথা পুনরুল্লেখ করে এরশাদ বলেন, ‘একা নির্বাচন করতে হলে অবশ্যই আমাদের মহাজোট ছাড়তে হবে। এর দায়িত্ব আপনারা আমাকে দিয়েছেন। জাস্ট ওয়েট ফর মাই ডিসিশন। আমি এ পর্যন্ত এমন সিদ্ধান্ত নিইনি, যা আমাদের জন্য বিপজ্জনক হবে। মনে রাখবেন, আমি সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নেব।’
শাহবাগের সমালোচনা: শাহবাগ চত্বর হওয়ার ফলে সরকারের অনেক ক্ষতি হয়েছে মন্তব্য করে এরশাদ বলেন, এ কারণে বিএনপি-জামায়াত অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ হয়ে গেছে। তাই শাহবাগের গণজাগরণ মঞ্চ যত তাড়াতাড়ি শেষ হবে, ততই সরকারের জন্য মঙ্গল হবে।
এরশাদ বলেন, ‘শাহবাগ চত্বরের ছেলেরা যখন স্লোগান দিল, আপসের রায় মানি না। তখন আমি সমর্থন দিয়েছিলাম। পরবর্তীকালে দলীয়করণ হয়ে গেল, তখন বিরিয়ানির প্যাকেট আসল, পুলিশ দিয়ে ঘেরাও করে রাখল। পুলিশ দিয়ে ঘেরাও করে কখনো গণজাগরণ সৃষ্টি হয় না।’
জাপার ঢাকা মহানগর (উত্তর) সভাপতি এস এম ফয়সাল চিশতীর সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য দেন দলের সভাপতিমণ্ডলীর জ্যেষ্ঠ সদস্য কাজী জাফর আহমদ, মহাসচিব এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদার, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কাজী ফিরোজ রশীদ, জিয়াউদ্দিন আহমেদ প্রমুখ।
Subscribe to:
Posts (Atom)