Showing posts with label Health Tips. Show all posts
Showing posts with label Health Tips. Show all posts

Saturday, April 6, 2013

জন্মবিরতিকরণ বড়ি নিয়ে ৫ প্রশ্ন

জন্মবিরতিকরণ বড়ি সেবন নিয়ে নারীদের মধ্যে রয়েছে নানা দ্বিধা, প্রশ্ন ও সংশয়। এমন ৫ প্রশ্ন নিয়ে এ আয়োজন।
১: জন্মবিরতিকরণ বড়ি সেবন করলে কি পরে গর্ভধারণ করতে সমস্যা হয়?
জন্মবিরতিকরণ বড়ি নিয়মিত খেলে তা ডিম্বাশয় থেকে ডিম্বাণু উৎপাদন সাময়িকভাবে বন্ধ রাখে। বড়ি খাওয়া ছেড়ে দেওয়ার পর ডিম্বাশয় আবার নিয়মিত ডিম্বাণু উৎপাদন শুরু করতে পারে। কেউ টানা বেশ কয়েক বছর বড়ি খেলে এই উৎপাদন-প্রক্রিয়া পরিপূর্ণভাবে শুরু হতে কয়েক মাস লেগে যেতে পারে এবং গর্ভধারণে কয়েক মাস দেরি হতে পারে। বড়ি খাওয়া ছেড়ে দিয়ে অন্তত দু-তিনবার নিয়মিত রজঃস্রাব হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করে গর্ভধারণের চেষ্টা করা ভালো।
২: বড়ি খেলে মেয়েরা মোটা হয়ে যায়?
পুরোনো দিনের উচ্চমাত্রার প্রজেস্টেরন হরমোনযুক্ত বড়িগুলো খেলে মোটা হওয়ার আশঙ্কা থাকত। কিন্তু বর্তমানে স্বল্পমাত্রার চর্বিবান্ধব হরমোনযুক্ত বড়ি ব্যবহার করা হয়। এতে ওজন বৃদ্ধির আশঙ্কা অনেকটাই কম। ৬০ থেকে ৭০ শতাংশ নারীর ওজন এতে বড়জোর দু-এক কেজি বাড়তে-কমতে পারে।
৩: এটি কি ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ায়?
জন্মবিরতিকরণ বড়ি মেয়েদের ডিম্বাশয় ও জরায়ুর ভেতরের আবরণ বা অ্যান্ডোমেট্রিয়ামের ক্যানসারের ঝুঁকি বরং অনেক কমিয়ে দেয়। তবে দীর্ঘদিন খেলে জরায়ুর মুখ ও স্তন ক্যানসারের ঝুঁকি কিছুটা বাড়ে বলে মনে করা হলেও শক্ত কোনো তথ্য-প্রমাণ এখনো পাওয়া যায়নি।
৪: বড়ি খেলে কি মাসিকের সময় বেশি রক্তক্ষরণ হওয়ার প্রবণতা বাড়ে?
বড়ি খেতে শুরু করার পর প্রথম দু-এক মাস অনিয়মিত রক্ত যাওয়ার মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে। নিয়মিত কিছুদিন খেলে এবং প্রতিদিন একই সময় খেলে দু-এক মাসের মধ্যে এটি ঠিক হয়ে যায়। আবার একেবারে শুরুর দিকে বমি বমি ভাব বা মাথা ঘোরার মতো সমস্যাও হতে পারে। অচিরেই এটি মানিয়ে যায়। বর্তমানে এ-জাতীয় সমস্যা হয় না বললেই চলে।
৫: বড়ি সেবনের আগে চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করা উচিত?
পরিবারে কারও অল্প বয়সে স্ট্রোক বা মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ, স্তন ক্যানসার, তীব্র মাইগ্রেন, হাঁপানি, গত এক বছরে জন্ডিস ও যকৃতের প্রদাহ, অনিয়ন্ত্রিত উচ্চ রক্তচাপ ও অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস ইত্যাদি থাকলে বড়ি সেবনের আগে আপনার চিকিৎসককে অবহিত করুন।
স্ত্রীরোগ ও প্রসুতিবিদ্যা বিভাগ, স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ।
ডা. মুনা সালিমা জাহান