Saturday, March 9, 2013

১৮ মার্চ রাজধানীতে আওয়ামী লীগের বিক্ষোভ সমাবেশ

আগামী ১৮ মার্চ রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনের সামনে বড় আকারে বিক্ষোভ সমাবেশ করবে আওয়ামী লীগ। এ ছাড়া জামায়াত-শিবিরের সহিংসতায় ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা এবং যেসব এলাকায় সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা হয়েছে, সেসব এলাকাও পরিদর্শনে যাওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এ জন্য এলাকাভিত্তিক কয়েকটি দল গঠন করা হয়েছে। পাশাপাশি সারা দেশের মসজিদগুলোর ইমামদের সঙ্গেও বৈঠক করবেন দলীয় নেতারা।
আজ শনিবার ধানমন্ডির দলীয় কার্যালয়ে ঢাকার পাশের জেলাগুলোর নেতাদের সঙ্গে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতাদের বৈঠকে এসব কর্মসূচি নেওয়া হয়। বৈঠক শেষে দলীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ সংবাদ ব্রিফিংয়ে কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
বৈঠকে আলোচ্য বিষয়
বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ সম্প্রতি বেশ কয়েকটি জেলায় বিএনপি-জামায়াত জোটের হাতে একরকম অসহায়ভাবে আত্মসমর্পণ করেছে। ক্ষমতাসীন দল হলেও এসব এলাকায় দলীয় নেতা-কর্মীরা আতঙ্কগ্রস্ত এবং কোথাও কোথাও বাড়ি-ঘর ছাড়া। এ অবস্থায় দলীয় অবস্থান সুসংহত করা এবং নেতা-কর্মীদের মনোবল চাঙা করতে এ কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে।

কাদের নেতৃত্বে প্রতিনিধিদল
সংবাদ সম্মেলনে মাহবুব উল আলম হানিফ জানান, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতাদের নেতৃত্বে প্রতিনিধিদলগুলো গঠন করা হয়েছে। প্রতিনিধিদলগুলোর মধ্যে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মতিয়া চৌধুরীর নেতৃত্বে বগুড়া, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোহাম্মদ নাসিমের নেতৃত্বে জয়পুরহাট, সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের নেতৃত্বে চট্টগ্রামের সাতকানিয়া, উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য তোফায়েল আহমেদের নেতৃত্বে কক্সবাজার, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ওবায়দুল কাদেরের নেতৃত্বে নোয়াখালী, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আব্দুল লতিফ সিদ্দিকীর নেতৃত্বে রংপুর, শেখ ফজলুল করিম সেলিমের নেতৃত্বে সাতক্ষীরা-খুলনা, উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমির হোসেন আমুর নেতৃত্বে রাজশাহী, আবুল মাল আবদুল মুহিত ও সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের নেতৃত্বে সিলেটের ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা সফর করবে এসব প্রতিনিধিদল।

প্রতিনিধি দলের প্রতিবেদন অনুযায়ী ব্যবস্থা
সফর প্রসঙ্গে মাহবুব উল আলম হানিফ বলেন, সফর শেষে আওয়ামী লীগের এসব প্রতিনিধিদলের দেওয়া প্রতিবেদন অনুযায়ী ক্ষতিগ্রস্ত লোকজনের পুনর্বাসন এবং অপরাধীদের শাস্তির আওতায় আনার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ইমামদের সঙ্গে বৈঠক
মসজিদের ইমামদের সঙ্গে বৈঠক সম্পর্কে মাহবুব উল আলম হানিফ বলেন, ইসলামকে ধর্ম ব্যবসায়ীদের হাত থেকে রক্ষা করার জন্য প্রতিটি মসজিদের ইমামের সঙ্গে বৈঠক করা হবে। ইসলামের মান মর্যাদা রক্ষায় এ বৈঠক করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
শাহবাগে ককটেল বিস্ফোরণের জন্য বিএনপি-জামায়াত দায়ী
মাহবুব উল আলম হানিফ বলেন, ইসলামের সঙ্গে স্বাধীনতাবিরোধীদের কোনো সম্পর্ক নেই। তারা ধর্মকে ব্যবহার করে বারবার রাজনৈতিক ফায়দা নেওয়া চেষ্টা করেছে। শাহবাগের নারী জাগরণ সমাবেশে ককটেল বিস্ফোরণের জন্য বিএনপি-জামায়াতকে দায়ী করে তিনি বলেন, শাহবাগের বোমা হামলার জন্য বিএনপি ও জামায়াত দায়ী বলে মানুষ মনে করে। শাহবাগের তরুণ প্রজন্ম স্বাধীন বিচার বিভাগকে খাটো করছে বলে বক্তব্য দিয়ে বিএনপি অজ্ঞতার পরিচয় দিয়েছে। কারণ, শাহবাগ যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসি দাবি করেছে, ফাঁসির রায় ঘোষণা করেনি।
সংবাদ ব্রিফিংয়ে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক, সাংগঠনিক সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। জেলা নেতাদের মধ্যে ঢাকার মাহবুবুর রহমান, নারায়ণগঞ্জের আনোয়ার হোসেন, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন মেয়র সেলিনা হায়াত্ আইভী, গাজীপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আজমত উল্লাহ খানসহ মানিকগঞ্জ, মুন্সিগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকেরা উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশে পাচারের সময় ভারতে বিপুল অস্ত্র ও গুলি আটক

মিয়ানমার থেকে ভারতের ওপর দিয়ে বাংলাদেশে পাচারের সময় বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও গুলি আটক এবং তিন বাংলাদেশিকে গ্রেপ্তারের দাবি করেছে ভারতের পুলিশ।
দেশটির পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) এসপি জোসেফ লালছুয়ানার বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা পিটিআই প্রকাশিত প্রতিবেদনে গতকাল শুক্রবার এ তথ্য জানানো হয়েছে।
ওই পুলিশ কর্মকর্তা জানান, মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে পাচারের সময় গত দুই দিনে ভারতের মিজোরাম বিমানবন্দরের কাছ থেকে ৩১টি একে-৪৭ রাইফেল, একটি একটি ব্রাউনিং স্বয়ংক্রিয় রাইফেল ও একটি হালকা মেশিনগান আটক করা হয়েছে। এ ছাড়া একে-৪৭ রাইফেলের ৮৬টি, এলএমজির ২৪টি এবং ব্রাউনিং স্বয়ংক্রিয় রাইফেলের ৬৯৯টি গুলি উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে মনি ত্রিপুরা, রবি চাকমা ও সবুজ চাকমা নামের তিন বাংলাদেশিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁরা পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির সদস্য বলে জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছেন।

Friday, March 8, 2013

মঞ্চের কাছে ককটেল বিস্ফোরণ, র‌্যাব সদস্য আহত

শাহবাগের প্রজন্ম চত্বরের নারী জাগরণী সমাবেশস্থলের কাছেই আজ শুক্রবার বিকেল পাঁচটা ৫০ মিনিটে পর দুটি ককটেল বিস্ফোরিত হয়েছে।
এ ঘটনায় সেখানে দায়িত্বরত র‌্যাব সদস্য ডিএডি জালাল উদ্দিন আহত হয়েছেন। তাঁকে বারডেম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
ঘটনার সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার সন্দেহে এক ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে বলে গণজাগরণ মঞ্চ থেকে জানানো হয়েছে।
ককটেল বিস্ফোরণের পর প্রজন্ম চত্বরে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। তবে কিছুক্ষণের মধ্যেই পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসে।
ঘটনার প্রতিবাদে তাত্ক্ষণিকভাবে সেখানে উপস্থিত নারীরা প্রতিবাদ মিছিল বের করেন। পরে পুরুষেরাও মিছিলে যোগ দেন। নারী-পুরুষের সম্মিলিত লাঠি মিছিল বারবার সমাবেশের চারদিক প্রদক্ষিণ করছেন। আর গণজাগরণ মঞ্চে চলছে নারী জাগরণী সমাবেশ।
মঞ্চ থেকে এ ঘটনার নিন্দা জানানো হয়েছে। একই সঙ্গে সেখানে উপস্থিত নারীরা দৃঢ় কণ্ঠে জানিয়ে দিয়েছেন, কোনো ধরনের হামলা বা ভয় দেখিয়ে যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসিসহ ছয় দফার আন্দোলন নত্সাত করা যাবে না।
সন্ধ্যা পৌনে ছয়টার দিকে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার বেনজীর আহমেদ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এ সময় উপস্থিত সাংবাদিকদের তিনি বলেন, এটা কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। গত দুই সপ্তাহ ধরে সারা দেশে যেসব অরাজকতা চলছে, এটা তারই অংশ। মুষ্টিমেয় কিছু লোক এই কাজগুলো করছে। আমরা সবাই মিলে ঐক্যবদ্ধভাবে তাদের প্রতিরোধ করব।
এদিকে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) বোমা বিশেষজ্ঞ একটি দল ককটেল বিস্ফোরণের স্থান ঘিরে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছে।
আন্তর্জাতিক নারী দিবসে শাহবাগের প্রজন্ম চত্বরে পূর্বঘোষিত এই সমাবেশ নারীরাই পরিচালনা করছেন। তবে সেখানে সব শ্রেণী-পেশার নারীর পাশাপাশি পুরুষেরাও উপস্থিত হয়েছেন।

জামায়াত নেতা সেলিমসহ দুজন গ্রেপ্তার

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ঢাকা মহানগর শাখার সহকারী সেক্রেটারি সেলিম উদ্দিনসহ দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)-২-এর একটি দল। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত দুইটার দিকে রাজধানীর কারওয়ান বাজারের একটি বাসা থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার হওয়া অপরজন হলেন উত্তরা থানা জামায়াতের নায়েবে আমির মাহমুদুর রহমান।
র্যাব-২-এর অধিনায়ক লে. কর্নেল আনিস প্রথম আলো ডটকমকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করছেন।
সেলিম উদ্দিন ও মাহমুদুর রহমানকে গ্রেপ্তারের পর র্যাব-২-এর আগারগাঁও কার্যালয়ে রাখা হয়েছে। এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য পরে বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানানো হবে বলে র্যাবের পক্ষ থেকে জানানো হয়।
তিন দফা সময় নিয়েও আদালত অবমাননার বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে সশরীরে হাজির না হওয়ায় ৬ মার্চ সেলিম উদ্দিনসহ তিনজনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২। তাঁদের ২১ মার্চের মধ্যে গ্রেপ্তারের নির্দেশ দেওয়া হয়। বাকি দুই জামায়াত নেতা হলেন: দলের ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল রফিকুল ইসলাম খান এবং ঢাকা মহানগর শাখার নায়েবে আমির ও সাংসদ হামিদুর রহমান আযাদ।
পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুসারে, গত ৪ ফেব্রুয়ারি জামায়াত নেতা সেলিম উদ্দিন এক জনসভায় বলেন, ‘দেশকে গৃহযুদ্ধ থেকে বাঁচাতে হলে বিতর্কিত ট্রাইব্যুনাল থেকে রায় দেওয়ার সুযোগ নেই।’ হামিদুর রহমান আযাদ বলেন, ‘...এ ট্রাইব্যুনাল আর এক মুহূর্তও চলতে পারে না।’ রফিকুল ইসলাম খান এক বিবৃতিতে বলেন, ‘...ট্রাইব্যুনালের “প্রতিহিংসাপরায়ণ রায়কে” প্রতিহত করতে মানুষ রক্তও ঢেলে দেবে।’
ট্রাইব্যুনাল-২ এসব বক্তব্য আমলে নিয়ে স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে গত ৭ ফেব্রুয়ারি ওই তিনজনের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগে নোটিশ দেন। ওই দিন আদেশে বলা হয়, ২০ ফেব্রুয়ারির মধ্যে তাঁদের ট্রাইব্যুনালে সশরীরে হাজির হয়ে জবাব দিতে হবে। নির্ধারিত দিনে তাঁরা হাজির না হয়ে সময়ের আবেদন জানালে ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সময় বাড়ানো হয়। সেদিনও তাঁরা হাজির না হওয়ায় ৬ মার্চ হাজিরের শেষ সুযোগ দেওয়া হয়। কিন্তু সেদিনও তাঁরা হাজির না হলে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়।

সাঙ্গাকারার সেঞ্চুরি, দিনশেষে শ্রীলঙ্কা ৩৬১/৩

ইনজুরির সমস্যা ছিল। সংশয় ছিল—বাংলাদেশের বিপক্ষে গল টেস্টে বোধ হয় খেলতেই পারবেন না কুমার সাঙ্গাকারা। কিন্তু সংশয় দূর করে মাঠে নামলেন তারকা এই ব্যাটসম্যান। নেমেই করলেন দুর্দান্ত এক সেঞ্চুরি।
সাঙ্গাকারা করেন ১৪২ রান। তাঁর ২২৬ বলের ইনিংসটিতে ছিল ১৬টি চার ও তিনটি ছয়ের মার। সেঞ্চুরির পথে এগিয়ে চলেছেন লাহিরু থিরিমান্নেও। সব মিলিয়ে গলে বেশ বড় সংগ্রহ গড়তে চলেছে স্বাগতিক শ্রীলঙ্কা।
আজ শুক্রবার টেস্টের প্রথম দিনের খেলা শেষে লঙ্কানদের সংগ্রহ ৩ উইকেটে ৩৬১ রান। বৃষ্টি দিনের শেষের কয়েকটি ওভার কেড়ে না নিলে সংগ্রহটা আরও বড় হতো স্বাগতিকদের। থিরিমান্নে ৭৪ ও অধিনায়ক অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুস ২৫ রানে অপরাজিত আছেন। শ্রীলঙ্কার পতন ঘটা তিনটি উইকেটই শিকার করেন অফস্পিনার সোহাগ গাজী।
ব্যাটিং-সহায়ক উইকেটে সকালে টসে জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন শ্রীলঙ্কার নতুন টেস্ট অধিনায়ক অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুস। শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করতে থকেন উদ্বোধনী দুই ব্যাটসম্যান দিমুথ করুণারত্নে ও তিলকরত্নে দিলশান। ইনিংসের নবম ওভারে শাহাদাত হোসেনের বলে কনুইয়ে চোট পেয়ে মাঠ ছাড়েন করুণারত্নে। তাঁর পরিবর্তে উইকেটে আসেন কুমার সাঙ্গাকারা।
দলীয় ১১৪ রানে প্রথম উইকেট হারায় শ্রীলঙ্কা। সাজঘরে ফেরেন ব্যক্তিগত ৫৪ রানে থাকা দিলশান। এ পর্যায়ে চোট কাটিয়ে আবার উইকেটে ফেরেন করুণারত্নে। তবে বেশিদূর যেতে পারেননি তিনি। আউট হন ব্যক্তিগত ৪১ রানে।
শ্রীলঙ্কা সফররত দলে আগে থেকেই ছিলেন না সাকিব আল হাসান ও মাশরাফি বিন মোর্তজা। ইনজুরি সমস্যার কারণে দলের অন্যতম প্রধান ব্যাটিং ভরসা তামিম ইকবালও মাঠে নামতে পারেননি। মাশরাফির অনুপস্থিতিতে বোলিং আক্রমণের নেতৃত্ব দিচ্ছেন শাহাদাত হোসেন ও আবুল হাসান। এই টেস্ট দিয়ে টেস্ট অভিষেক হয়েছে তরুণ ব্যাটসম্যান এনামুল হক ও মমিনুল হকের।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:
শ্রীলঙ্কা প্রথম ইনিংস: ৩৬১/৩
(প্রথম দিনের খেলা শেষে)
সাঙ্গাকারা ১৪২, থিরিমান্নে ৭৪*, দিলশান ৫৪, করুণারত্নে ৪১
সোহাগ গাজী ৩/১০১
টস: শ্রীলঙ্কা

মল্লিকাদের মা হওয়ার ঝক্কিতে থাইল্যান্ড

থাইল্যান্ডের ব্যাংককে একটি স্কুলে পড়ত ১৭ বছরের তরুণী মল্লিকা। একদিন বাবা-মাকে জানাল, সে মা হতে যাচ্ছে। অপরিণত বয়সে মেয়ে সন্তানসম্ভবা হওয়ার বিষয়টি বেশ দুশ্চিন্তায় ফেলে দেয় মল্লিকার বাবা-মাকে। লজ্জায় তাঁরা মল্লিকার স্কুল যাওয়া বন্ধ করে দেন। মল্লিকাকে তাঁরা এই অনাগত সন্তানের বাবাকে বিয়ে করতে বলেন। কিন্তু দুজনই অপ্রাপ্তবয়স্ক বলে ওই ছেলের পরিবার এই বিয়েতে রাজি নয়। তাঁরা মল্লিকার মুখ বন্ধ করতে অর্থ দিতে চেয়েছিলেন। তাকে তাঁদের কাছ থেকে অনেক দূরে চলে যেতে পরামর্শও দেন। শেষে বাবা-মায়ের কাছেই ফিরে আসে মল্লিকা।
এ ঘটনা শুধু মল্লিকার একার জীবনের নয়। থাইল্যান্ডের বেশির ভাগ কিশোরী-তরুণীর জীবনের ঘটনা এটি। কারণ, সম্প্রতি দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় এশিয়ার মধ্যে থাইল্যান্ডে কিশোরী-তরুণীদের সন্তানসম্ভবা হওয়ার হার অসম্ভব বেড়েছে। প্রতিবেশী দেশ লাওসের পরই এখন থাইল্যান্ডের অবস্থান বলে দেশটির গণস্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের প্রজনন স্বাস্থ্য ব্যুরোর তথ্যে জানা গেছে।
রয়টার্সের এক খবরে জানানো হয়, থাইল্যান্ডে কম বয়সী মেয়েদের গর্ভবতী হওয়ার হার দিন দিন বেড়ে চলেছে। জন্ম নেওয়া প্রতি এক হাজার জীবিত শিশুর মধ্যে ৫৪টির মা কিশোরী-তরুণী, যাদের বয়স ১৫ থেকে ১৯ বছরের মধ্যে। তাদের মা হওয়ার এই হার যুক্তরাষ্ট্রের চেয়েও বেশি এবং সিঙ্গাপুরের চেয়ে তা প্রায় ১০ গুণ বেশি।
থাইল্যান্ডের বার্ষিক গণস্বাস্থ্য প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০০০ থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত থাইল্যান্ডে কিশোরী-তরুণীদের অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার হার ৪৩ শতাংশ বেড়ে গেছে।
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা এর পেছনে বিভিন্ন কারণের কথা বলছেন। সামাজিক ও সাংস্কৃতিক লোকাচারের কারণেই এমনটি ঘটছে। এসব বিষয়ে খোলাখুলি আলাপ-আলোচনা না হওয়ায়ও একটি কারণ।
থাই ন্যাশনাল হিউম্যান রাইটস কাউন্সিলের (এনএইচআরসি) কমিশনার ভিসা বেঞ্জামানো বলেন, ‘নারীদের কৌমার্য রক্ষা করার কথা বলা হয়, কিন্তু যাঁরা বিভিন্ন ধরনের যৌনাচারে লিপ্ত, এ ব্যাপারে তাঁদের কোনো ভাবনা নেই।’ তিনি আরও বলেন, ‘নারীরা তাঁদের যৌন স্বাস্থ্য নিয়ে অন্যের সঙ্গে কথা বলতে এখনো লজ্জা পান। থাইল্যান্ডে স্কুলের পাঠ্যবইয়ে যৌন শিক্ষার একটি অংশ থাকলেও তা অপর্যাপ্ত। বছরে এ বিষয়ে মাত্র আট ঘণ্টা পাঠ দেওয়ার নির্দেশনা দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
ইউনাইটেড ন্যাশনস পপুলেশন ফান্ড (ইউএনএফপিএ) ও থাইল্যান্ডের ন্যাশনাল অ্যান্ড ইকনমিক অ্যান্ড সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট বোর্ডের (এনইএসডিবি) ২০১১ সালের একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শুধু গর্ভপাত ঘটানোর জন্যই অনেক নারী হাসপাতালে আসেন। এই হার ১৯৯৪ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত ১৬ শতাংশ বেড়েছে। আর ২০০৯ সালেই ৬০ হাজার নারী গর্ভপাত ঘটিয়েছেন। যদিও দেশটিতে গর্ভপাত ঘটানো অবৈধ, তবে অনূর্ধ্ব ১৫ বছর বয়সী কিশোরীদের ক্ষেত্রে ধর্ষণ ও নিকট আত্মীয়ের মাধ্যমে সন্তানসম্ভবা হলে শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের কথা ভেবে গর্ভপাতে অনুমতি মেলে। এ ছাড়া গর্ভপাত ঘটালে তা অবৈধ এবং এর শাস্তি হিসেবে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড বা ৩৪০ মার্কিন ডলার জরিমানা হতে পারে। এমন আইন থাকার পরও থাইল্যান্ডের অলিগলিতে গর্ভপাত ঘটানোর জন্য অবৈধ হাসপাতাল ও ক্লিনিক এখনো গড়ে উঠছে।
অধিক হারে বেড়ে যাওয়া কিশোরীদের সন্তানসম্ভবা হওয়া রোধে থাইল্যান্ড বেশ কিছু পদক্ষেপ নেওয়া শুরু করেছে। দেশটির সরকার গর্ভনিরোধক জন্মনিয়ন্ত্রক সামগ্রী ও কনডম খুব সহজলভ্য করে মানুষের হাতের নাগালে পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা করছে। তবে এ ক্ষেত্রেও বেশ কিছু সমস্যা আছে। যেমন—যখন কোনো কিশোরী মেয়ে ওইসব গর্ভনিরোধক সামগ্রী কিনতে আসে, তখন আশপাশের মানুষ তাদের দিকে ভিন্ন দৃষ্টিতে তাকায়। আর ওই কিশোরী এতে লজ্জা পেয়ে তা না কিনেই ফিরে যায়।

ঈশ্বরদীর টমেটো চাষিদের মাথায় হাত

লাগাতার হরতাল ও অবরোধের কারণে ঈশ্বরদীর টমেটো চাষিরা চরম বেকায়দায় পড়েছেন। বিপুল পরিমাণ আর্থিক ক্ষতির কারণে ব্যাংক ও এনজিও-এর ঋণ ও কিস্তি পরিশোধ করতে পারছেন না। দেনার দায়ে ভিটে-মাটি চলে যাওয়ার আশংকায় চাষিরা শংকিত। ঈশ্বরদীতে উত্পাদিত বিপুল পরিমাণ টমেটোর ভোক্তা ঈশ্বরদীতে নেই। রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে সরবরাহের জন্য ঈশ্বরদীতে বিগত কয়েক বছর যাবত্ বাণিজ্যিক ভিত্তিতে টমেটোর আবাদ হচ্ছে। বর্তমানে স্থানীয়ভাবে টমেটোর কোন ক্রেতা পাওয়া যাচ্ছে না। হরতাল-অবরোধের কারণে ঢাকাসহ অন্যান্য এলাকা হতে কোন পাইকার আসতে পারছে না। টমেটোর পূর্ণ মৌসুমে দ্রুত টমেটো পেকে যাচ্ছে। অথচ ক্রেতা পাওয়া যাচ্ছে না। ক্রেতা সংকটের কারণে জমিতেই টমেটো পেকে পচন ধরছে।

চাষিরা জানান, প্রায় এক মাস আগে থেকে টমেটোর পূর্ণ মৌসুম শুরু হয়েছে। ঋতু পরিবর্তনের কারণে রোদের প্রখর তাপ এবং গরম পড়ে যাওয়ায় টমেটো দ্রুত পেকে যাচ্ছে। অন্যান্য বছর এই সময়ে প্রতিদিনই ঈশ্বরদী হতে ১৫-২০ ট্রাক টমেটো ঢাকাসহ অন্যান্য স্থানে সরবরাহ হয়ে থাকে। এবারে শুরুতে শীতের প্রকোপ বেশি থাকায় টমেটো ক্ষতিগ্রস্ত ও নাবলা হয়ে যায়। ঈশ্বরদীতে মৌসুমের প্রথম দিকে ১৬০০-১৮০০ টাকা মণ দরে টমেটো বিক্রি হয়। বাজারে আমদানি বেড়ে যাবার পর দাম কমতে কমতে ৭০০-৮০০ টাকা মণ দরে বিক্রি হচ্ছিল। দাম কমলেও বিপুল ফলন পাওয়া যায়। চাষিরা বলেন, এবারে টমেটোর দাম অন্যান্য বারের তুলনায় বেশি পাওয়ায় অনেকেই আশান্বিত ছিল। কিন্তু ঘন ঘন হরতাল-অবরোধে চাষিদের এখন মাথায় হাত। হরতালের কারণে ঢাকা বা অন্য কোন শহরেও টমেটো পাঠাতে পারছেন না। পাইকারি বাজারে ক্রেতা/ফড়িয়া নেই। টমেটো সংরক্ষণেরও কোন ব্যবস্থা না থাকায় টমেটো চাষিরা আর্থিকভাবে চরম ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।

কক্সবাজারে বাবাকে বাঁচাতে গিয়ে মরল তোফায়েল

দুপুরে হাশেমিয়া মাদ্রাসার সামনে জামায়াত-শিবিরের সঙ্গে পুলিশের গুলিবিনিময় চলছিল। ওই সংঘর্ষে আটকে পড়া স্বামীকে (করিম উল্লাহ) উদ্ধারের জন্য পাঠিয়েছিলাম ছেলে তোফায়েলকে। কিন্তু কে জানত, বাবাকে উদ্ধার করতে গিয়ে গুলিতে ওর প্রাণ যাবে?’ এ কথা বলে কান্নায় ভেঙে পড়েন সুলতানা আরা বেগম।
গত ১৫ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার বেলা দুইটার দিকে কক্সবাজার শহরের রুমালিয়ারছড়ায় জামায়াত-শিবিরের কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের সময় তোফায়েল আহমদসহ (২০) তিনজনের মৃত্যু হয়। শহরের উত্তর রুমালিয়াছড়ার গুদারপাড়ায় করিম উল্লাহর বাড়ি।
গত বুধবার করিম উল্লাহর বাড়িতে গেলে স্ত্রী সুলতানা আরা বেগম (৪৮) ছেলে হত্যার বর্ণনা দিতে গিয়ে বারবার কান্নায় ভেঙে পড়েন। করিম উল্লাহ (৬৫) ওই দিনের সহিংসতার বর্ণনা তুলে ধরে বলেন, ‘হাশেমিয়া মাদ্রাসার সামনে তখন ব্যাপক গুলি হচ্ছিল। এরই ফাঁকে তোফায়েল এসে আমার এক হাত ধরে বাড়ির দিকে ছুটছিল। মনে চরম আতঙ্ক, কখন গুলিবিদ্ধ হই। ছিদ্দিক হাজির বাড়ির পাশে এলে বিকট শব্দে একটি গুলি এসে তোফায়েলের পেটে লাগে। গুলিটি পুলিশের বলে সন্দেহ হলো। তখন সে মাগো বলে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। এরপর পুলিশ এসে লাশ নিয়ে টানাটানি শুরু করে। হাসপাতালে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে। পরদিন কক্সবাজার সদর হাসপাতাল মর্গ থেকে লাশ এনে দাফন করি।’
ছেলে হত্যার দায়ে মামলা করলেন না কেন, জানতে চাইলে করিম উল্লাহ বলেন, ‘জীবনে কোনো দিন থানায় যাইনি। কার বিরুদ্ধে মামলা করব? আল্লাহর কাছে আমরা ছেলে হত্যার বিচার চাই।’ তিনি বলেন, ‘তোফায়েল কোনো রাজনীতি করত না। শহরের আলীরজাহান এলাকায় পানের দোকান করে সংসার চালাত। রাজনীতির বলী হলেও এ পর্যন্ত কোনো দলের নেতারা বাড়িতে এসে একটু সান্ত্বনা দেয়নি।’
করিম উল্লাহর ছয় সন্তানের মধ্যে তোফায়েল চতুর্থ। বড় তিন ছেলে প্রবাসী, কিন্তু সংসারের খোঁজ রাখেন না। তোফায়েলের মৃত্যুতে ছোট দুই ভাইবোনের লেখাপড়া অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। ছোট বোন হারেছা আকতার (১৪) টিএমসি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ে অষ্টম শ্রেণীতে পড়ে এবং ভাই আবদুল্লাহ আল নোমান (১২) সাহিত্যিকা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্র।
কক্সবাজার সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জসীম উদ্দিন বলেন, ওই দিন তোফায়েলসহ তিনজন শিবিরের গুলিতে মারা গেছে। এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে জামায়াত-শিবিরের প্রায় ছয় হাজার নেতা-কর্মী ও সমর্থকের বিরুদ্ধে হত্যাসহ পৃথক তিনটি মামলা করেছে। ইতিমধ্যে ১৩০ জনকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

Thursday, March 7, 2013

পাঁচবিবিতে তওবা পড়িয়ে 'নতুন মুসলমান'!

আওয়ামী লীগের সমর্থন করলে মুসলমানিত্ব থাকে না—এমন অপবাদ রটিয়ে আওয়ামী লীগ সমর্থক মুসলমানদের তওবা পড়িয়ে 'নতুন করে মুসলমান' বানানো হচ্ছে। এ পর্যন্ত এ রকম ১৬ জনকে নতুন মুসলমান হতে বাধ্য করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনা জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার জামায়াত-বিএনপি অধ্যুষিত প্রত্যন্ত পল্লী আওলাই ইউনিয়নের ভারাহুত গ্রামের।

অভিযোগ মতে স্থানীয় জামায়াত নেতা ভারাহুত গ্রামের মসজিদের ইমাম জফিরউদ্দিন (এলাকায় রাজাকার হিসেবে পরিচিত) ও পার্শ্ববর্তী জাবেকপুর গ্রামের মসজিদের ইমাম ময়েজউদ্দিন এই তওবা পড়ানোর কাজটি সম্পন্ন করেছেন।

জানা গেছে, তওবার সময় যে বাক্য কয়টি পাঠ করতে আওয়ামী লীগ সমর্থকদের বাধ্য করা হয়েছে সেগুলো হচ্ছে— 'প্রতিজ্ঞাপূর্বক ওয়াদা করিতেছি যে, আমি আওয়ামী লীগ করায় অমুসলিম ছিলাম। বর্তমানে জামায়াত-বিএনপি দলের সাথে থাকার ওয়াদা করে মুসলমান হচ্ছি। আওয়ামী লীগ যে করে সে ইহুদি। আমি কোনদিন ওয়াদার বরখেলাফ করলে আবার অমুসলিম হয়ে যাব, আমিন'।

জানা যায়, গত রবিবার ফজরের নামাজের পর ওই গ্রামের আওয়ামী লীগ সমর্থক আব্দুল কাদের, আব্দুল কুদ্দুস, গোলাম, ইয়াসিন, হাসান, নূরুন্নবী, এনামুল, বকুল, আজিজুল হক, আব্দুল হাকিমসহ ১১ জন ও পরদিন ফজরের নামাজের পর আরও পাঁচজনকে তওবা পড়িয়ে 'নতুন করে মুসলমান' বানানো হয়। স্থানীয় একাধিক সূত্রের মতে গ্রামেরই মাতুব্বর আব্দুর রহিম, তার সহযোগী আব্দুল মালেক মাস্টার, ময়েজউদ্দিন, সিদ্দিক ও আশরাফ তওবা পড়ানোর ঘটনায় নেতৃত্ব দেন।

তওবাকারীরা জানান, জীবন রক্ষার্থে তারা বাধ্য হয়ে তওবা পড়ে আবার মুসলমান হতে রাজি হয়েছিলেন। তারা আরো জানান, গ্রামের বকুল নামের এক যুবক এ প্রস্তাবে রাজি না হলে গ্রামবাসীদের সামনে তাকে ভুল স্বীকার করে মাফ চাইতে হয়। এ অপমান সইতে না পেরে সে গ্রাম ছেড়ে পালিয়ে যায়।

মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধের মামলায় জামায়াত নেতা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর ফাঁসির রায় ঘোষণার পর এলাকায় জামায়াত-শিবির কর্তৃক অপবাদ ছড়ানো হয় যে, যারা আওয়ামী লীগ করে বা সমর্থন করে তাদের মুসলমান বলা যাবে না। তারা মুসলমান সম্প্রদায় থেকে খারিজ হয়ে গেছে।

এ ব্যাপারে আওলাই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান একরামুল হক চৌধুরী, এলাকার ফতেহপুর মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা আ. বারী সরদারের সঙ্গে কথা বললে তারা ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন। এ ব্যাপারে পাঁচবিবি উপজেলা সদরের দাখিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা আ. গফুর সরদার জানান, যারা এসব কাজ করেছে তারা ঠিক করেনি। কোন রাজনৈতিক দল করার জন্য ধর্ম চলে যাবে—এমন বিধান ইসলামে নেই।

জয়পুরহাট জেলা পুলিশ সুপার হামিদুল আলম, পাঁচবিবি উপজেলা নির্বাহী অফিসার রফিকুল ইসলাম, জয়পুরহাট র্যাব-৫ কমান্ডার স্কোয়াড্রন লিডার আ. রাজ্জাক ও অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আহসানুল হক গতকাল বুধবার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। স্থানীয় গোড়না সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে জনসভা করে তারা জনগণকে ধর্মীয় ভাবমূর্তি অক্ষুণ্ন রেখে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখার আহ্বান জানান।

Wednesday, March 6, 2013

নোবেল পুরস্কারের জন্য রেকর্ড ২৫৯ মনোনয়ন

২০১৩ সালে নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য রেকর্ড সংখ্যক ২৫৯টি মনোনয়ন দেয়া হয়েছে। ২০৯ জন বিশিষ্ট ব্যক্তি ও ৫০টি সংগঠন এ তালিকায় স্থান করে নিয়েছে। এ বছরের অক্টোবরে অসলোয় নোবেল বিজয়ী ব্যক্তিবর্গ ও প্রতিষ্ঠানসমূহের নাম ঘোষণা করা হবে। আর বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গের সে তালিকায় থাকছেন পাকিস্তানের মালালা ইউসুফজাই ও সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন। গতকাল নোবেল ইনস্টিটিউটের এক ঘোষণায় এ তথ্য দেয়া হয়েছে। এ খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা এএফপি। এর আগে ২০১১ সালে নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য মনোনীত হয়েছিলেন ২৪১ জন। তবে এবার সে রেকর্ডও ছাড়িয়ে গেছে।