Friday, March 8, 2013

ঈশ্বরদীর টমেটো চাষিদের মাথায় হাত

লাগাতার হরতাল ও অবরোধের কারণে ঈশ্বরদীর টমেটো চাষিরা চরম বেকায়দায় পড়েছেন। বিপুল পরিমাণ আর্থিক ক্ষতির কারণে ব্যাংক ও এনজিও-এর ঋণ ও কিস্তি পরিশোধ করতে পারছেন না। দেনার দায়ে ভিটে-মাটি চলে যাওয়ার আশংকায় চাষিরা শংকিত। ঈশ্বরদীতে উত্পাদিত বিপুল পরিমাণ টমেটোর ভোক্তা ঈশ্বরদীতে নেই। রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে সরবরাহের জন্য ঈশ্বরদীতে বিগত কয়েক বছর যাবত্ বাণিজ্যিক ভিত্তিতে টমেটোর আবাদ হচ্ছে। বর্তমানে স্থানীয়ভাবে টমেটোর কোন ক্রেতা পাওয়া যাচ্ছে না। হরতাল-অবরোধের কারণে ঢাকাসহ অন্যান্য এলাকা হতে কোন পাইকার আসতে পারছে না। টমেটোর পূর্ণ মৌসুমে দ্রুত টমেটো পেকে যাচ্ছে। অথচ ক্রেতা পাওয়া যাচ্ছে না। ক্রেতা সংকটের কারণে জমিতেই টমেটো পেকে পচন ধরছে।

চাষিরা জানান, প্রায় এক মাস আগে থেকে টমেটোর পূর্ণ মৌসুম শুরু হয়েছে। ঋতু পরিবর্তনের কারণে রোদের প্রখর তাপ এবং গরম পড়ে যাওয়ায় টমেটো দ্রুত পেকে যাচ্ছে। অন্যান্য বছর এই সময়ে প্রতিদিনই ঈশ্বরদী হতে ১৫-২০ ট্রাক টমেটো ঢাকাসহ অন্যান্য স্থানে সরবরাহ হয়ে থাকে। এবারে শুরুতে শীতের প্রকোপ বেশি থাকায় টমেটো ক্ষতিগ্রস্ত ও নাবলা হয়ে যায়। ঈশ্বরদীতে মৌসুমের প্রথম দিকে ১৬০০-১৮০০ টাকা মণ দরে টমেটো বিক্রি হয়। বাজারে আমদানি বেড়ে যাবার পর দাম কমতে কমতে ৭০০-৮০০ টাকা মণ দরে বিক্রি হচ্ছিল। দাম কমলেও বিপুল ফলন পাওয়া যায়। চাষিরা বলেন, এবারে টমেটোর দাম অন্যান্য বারের তুলনায় বেশি পাওয়ায় অনেকেই আশান্বিত ছিল। কিন্তু ঘন ঘন হরতাল-অবরোধে চাষিদের এখন মাথায় হাত। হরতালের কারণে ঢাকা বা অন্য কোন শহরেও টমেটো পাঠাতে পারছেন না। পাইকারি বাজারে ক্রেতা/ফড়িয়া নেই। টমেটো সংরক্ষণেরও কোন ব্যবস্থা না থাকায় টমেটো চাষিরা আর্থিকভাবে চরম ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।