বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ঢাকা মহানগর শাখার সহকারী সেক্রেটারি সেলিম
উদ্দিনসহ দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)-২-এর
একটি দল। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত দুইটার দিকে রাজধানীর কারওয়ান বাজারের একটি
বাসা থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার হওয়া অপরজন হলেন উত্তরা থানা জামায়াতের নায়েবে আমির মাহমুদুর রহমান। র্যাব-২-এর অধিনায়ক লে. কর্নেল আনিস প্রথম আলো ডটকমকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করছেন।
সেলিম উদ্দিন ও মাহমুদুর রহমানকে গ্রেপ্তারের পর র্যাব-২-এর আগারগাঁও কার্যালয়ে রাখা হয়েছে। এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য পরে বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানানো হবে বলে র্যাবের পক্ষ থেকে জানানো হয়।
তিন দফা সময় নিয়েও আদালত অবমাননার বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে সশরীরে হাজির না হওয়ায় ৬ মার্চ সেলিম উদ্দিনসহ তিনজনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২। তাঁদের ২১ মার্চের মধ্যে গ্রেপ্তারের নির্দেশ দেওয়া হয়। বাকি দুই জামায়াত নেতা হলেন: দলের ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল রফিকুল ইসলাম খান এবং ঢাকা মহানগর শাখার নায়েবে আমির ও সাংসদ হামিদুর রহমান আযাদ।
পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুসারে, গত ৪ ফেব্রুয়ারি জামায়াত নেতা সেলিম উদ্দিন এক জনসভায় বলেন, ‘দেশকে গৃহযুদ্ধ থেকে বাঁচাতে হলে বিতর্কিত ট্রাইব্যুনাল থেকে রায় দেওয়ার সুযোগ নেই।’ হামিদুর রহমান আযাদ বলেন, ‘...এ ট্রাইব্যুনাল আর এক মুহূর্তও চলতে পারে না।’ রফিকুল ইসলাম খান এক বিবৃতিতে বলেন, ‘...ট্রাইব্যুনালের “প্রতিহিংসাপরায়ণ রায়কে” প্রতিহত করতে মানুষ রক্তও ঢেলে দেবে।’
ট্রাইব্যুনাল-২ এসব বক্তব্য আমলে নিয়ে স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে গত ৭ ফেব্রুয়ারি ওই তিনজনের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগে নোটিশ দেন। ওই দিন আদেশে বলা হয়, ২০ ফেব্রুয়ারির মধ্যে তাঁদের ট্রাইব্যুনালে সশরীরে হাজির হয়ে জবাব দিতে হবে। নির্ধারিত দিনে তাঁরা হাজির না হয়ে সময়ের আবেদন জানালে ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সময় বাড়ানো হয়। সেদিনও তাঁরা হাজির না হওয়ায় ৬ মার্চ হাজিরের শেষ সুযোগ দেওয়া হয়। কিন্তু সেদিনও তাঁরা হাজির না হলে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়।