Showing posts with label সারা দেশ. Show all posts
Showing posts with label সারা দেশ. Show all posts

Monday, May 13, 2013

কবরস্থানে ভোজ!

কবরস্থানে বসে থাকা তো দূরের কথা, সেখানে আবার ভোজ! প্রস্তাব পাওয়ার আগেই অনেকে বলে ‍উঠবেন ‘ওরে বাবা’।

এশিয়া ও পশ্চিমা বিশ্বের অনেক দেশেই কবরস্থানকে অশুভ বা ভয়ঙ্কর বলা মনে করা হয়। কিন্তু সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের জর্জিয়ায় বিষয়টি কিন্তু ব্যতিক্রম।

জর্জিয়ার লোকেরা তাদের মৃত পূর্বসুরীদের সম্মান জানাতে কবরস্থানের পাশে খাবার ও মদ পান করে। এমনকি রাতে খাবার গ্রহণকে সম্মানজনক মনে করেন তারা।

পুরো বছর জুড়ে এই রীতির প্রয়োগ দেখা গেলেও ইস্টার সানডেতে কবরস্থান গুলোতে সবচেয়ে বেশি ভিড় লক্ষ্য করা যায়।

১৪১০ কিলোমিটার দূরে ঘূর্ণিঝড় ‘মহাসেন’

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ‘মহাসেন’ উপকূলের দিকে এগিয়ে আসছে। চট্টগ্রাম থেকে এক হাজার ৪১০ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করা ঘূর্ণিঝড়টি আরও ঘণীভূত হয়ে উত্তর- উত্তর পশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে পারে।

নিম্নচাপ থেকে শনিবার সৃষ্ট এই ঘূর্ণিঝড়ের কারণে সমুদ্রবন্দরে তিন নম্বর সতর্কতা সঙ্কেত জারি করা হয়েছে। শনিবার চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে এক হাজার ৮০০ কি.মি. দক্ষিণ-দক্ষিণ পশ্চিমে অবস্থান করা নিম্নচাপ একশ’ ১০ কিলোমিটার এগিয়ে ঘূর্ণিঝড় মহাসেনে রূপ নেয়, যা উৎপত্তিস্থল থেকে বর্তমানে চারশ’ কি.মি. এগিয়ে এসেছে।

তৃতীয় শতকে শ্রীলঙ্কা শাসন করা রাজা মহাসেনের নামে এই ঝড়ের নামকরণ ‘মহাসেন’ করেছে এস্কাপ (ইএসসিএপি) প্যানেল। তথ্য সংরক্ষণ ও বোঝানোর সুবিধার জন্য ঝড়গুলোর নাম আগেই ঠিক করে রাখা হয়।

নিম্নচাপ সৃষ্টি হওয়ার পর থেকেই আবহাওয়া অধিদপ্তর বিশেষ বুলেটিন প্রচার করতে শুরু করে।

রোববার রাতে আবহাওয়ার বিশেষ বুলেটিনে (ক্রমিক নম্বর-৮) বলা হয়, “দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় ‘মহাসেন’ উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে একই এলাকায় অবস্থান করছে। সন্ধ্যা ৬টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে এক হাজার ৪১০ কিমি দক্ষিণ-দক্ষিণ পশ্চিম, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে এক হাজার ৩৩০ কি.মি. দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিম এবং মংলা সমুদ্রবন্দর থেকে এক হাজার ৩৪৫ কি.মি. দক্ষিণে অবস্থান করছিল।

ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৫৪ কি.মি.-এর মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২ কি.মি., যা দমকা অথবা ঝড়োহাওয়ার আকারে ৮৮ কি.মি. পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের কাছে সাগর খুবই উত্তাল রয়েছে।

বায়ুচাপের তারতম্যের আধিক্যের কারণে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা এবং সমুদ্র বন্দরসমূহের উপর দিয়ে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যাওয়ার শঙ্কা রয়েছে।

চট্টগ্রাম, কক্সবাজার ও মংলা সমুদ্র বন্দরসমূহকে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্কতা সংকেত  দেখিয়ে যেতে  বলা হয়েছে।

উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারসমূহকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের  কাছাকাছি  থেকে  সাবধানে চলাচল ও তাদের গভীর সাগরে বিচরণ না করার জন্য পরামর্শ দিয়েছে আবহাওয়া অফিস।

যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনী সাইক্লোনের আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেছে, “মঙ্গলবার বিকেল নাগাদ মহাসেন মিয়ানমারের রাখাইন প্রদেশ এবং সংলগ্ন বাংলাদেশ উপকূলের ওপর দিয়ে বয়ে যেতে পারে।”

দেশটির নৌ ও বিমান বাহিনীর যৌথ টাইফুন সতর্কতা কেন্দ্রের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, এ সময় বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ১৬৬ কি.মি. পর্যন্ত উঠতে পারে।

মহাসেন মোকাবিলায় প্রস্তুতি
এদিকে ‘মহাসেন’ দুর্যোগ মোকাবেলায় প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারে। দুই জেলায় নিয়ন্ত্রণ কক্ষ খোলা হয়েছে। চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক একটি বিশেষ কমিটি গঠন করেছে।

অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) এসএম আবদুল কাদেরের নেতৃত্বে চট্টগ্রামে গঠিত কমিটিতে সেনাবাহিনী, সিটি কর্পোরেশন, ফায়ার সার্ভিসসহ ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কমিটির প্রতিনিধিদের রাখা হয়েছে।

জেলা প্রশাসক আবদুল মান্নান বলেন, “উপকূলে মহাসেনের আঘাত হানার আশঙ্কায় ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।”

ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলায় কক্সবাজারে স্বাস্থ্য বিভাগের সব কর্মকর্তার ছুটি বাতিল করা হয়েছে। সিভিল সার্জন ডা. কাজল কান্তি বড়ুয়া জানান, জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের উদ্যোগে ১১৩টি জরুরি মেডিকেল টিম প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

জেলা প্রশাসক মো. রুহুল আমিন বলেন, “দুর্যোগ মোকাবেলায় আগাম প্রস্তুতি হিসেবে বিভিন্ন দপ্তরের সমন্বয়ে মাইকিংয়ের পাশাপাশি সকল প্রকার ট্রলার সাগরে না যাওয়ার জন্য উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।”

দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলার উপকূলে ফিরতে শুরু করেছে।

Sunday, May 12, 2013

উপকূলমুখী ঘূর্ণিঝড় ‘মহাসেন’

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় মহাসেন ধেয়ে আসছে উপকূলের দিকে। এখন অবস্থান করছে চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে এক হাজার ৪৪৫ কিলোমিটার দূরে।

মহাসেন ঘণীভূত হয়ে উত্তর-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। উত্তাল সাগরে বহাল রয়েছে তিন নম্বর সতর্কতা সংকেত।

রোববার দুপুরে আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়, ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৫৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২ কি.মি., যা দমকা অথবা ঝড়োহাওয়ার আকারে ৮৮ কি.মি. পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের কাছে সাগর প্রচণ্ড উত্তাল।

শনিবার চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে এক হাজার ৮০০ কি.মি. দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে অবস্থান করা নিম্নচাপ একশ’ দশ কিলোমিটার এগিয়ে ঘূর্ণিঝড় মহাসেনে রূপ নেয়, যা উৎপত্তিস্থল থেকে বর্তমানে চারশ’ কি.মি. অগ্রসর হয়েছে।

তৃতীয় শতকে শ্রীলংকা শাসন করা রাজা মহাসেনের নামে এই ঝড়ের নামকরণ ‘মহাসেন’ করেছে এস্কাপ (ইএসসিএপি) প্যানেল। তথ্য সংরক্ষণ ও বোঝানোর সুবিধার জন্য ঝড়গুলোর নাম আগেই ঠিক করে রাখা হয়।

শনিবার দুপুরে আবহাওয়া অধিদপ্তরের বিশেষ বুলেটিনে বলা হয়, দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত মহাসেন উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে একই এলাকায় অবস্থান করছে। দুপুর ১২টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে এক হাজার ৪৪৫ কি.মি. দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিম, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে এক হাজার ৩৬০ কি.মি. দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিম এবং মংলা সমুদ্রবন্দর থেকে এক হাজার ৩৯০ কি.মি. দক্ষিণে অবস্থান করছিল।

যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনী সাইক্লোনের আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেছে, মঙ্গলবার বিকেল নাগাদ মহাসেন মিয়ানমারের রাখাইন প্রদেশ এবং সংলগ্ন বাংলাদেশ উপকূলের ওপর দিয়ে বয়ে যেতে পারে।

যুক্তরাষ্ট্রের নৌ ও বিমান বাহিনীর যৌথ টাইফুন সতর্কতা কেন্দ্রের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, এ সময় বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ১৬৬ কি.মি. পর্যন্ত উঠতে পারে।

এদিকে আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাসে বলা হয়, বায়ুচাপের তারতম্যের আধিক্যের কারণে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা এবং সমুদ্র বন্দরসমূহের উপর দিয়ে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।

চট্টগ্রাম, কক্সবাজার ও মংলা সমুদ্রবন্দরগুলোকে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্কতা সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।

উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলার সমূহকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হযেছে। সেই সঙ্গে তাদের গভীর সাগরে বিচরণ না করার জন্য পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর

‘এরা নাকি অনলাইন সাংবাদিক’

সাংবাদিক পরিচয়ে নগরীর কোতয়ালী থানার দেবপাহাড় এলাকায় অনলাইন সংবাদপত্রের অফিস খুলেছিলেন কয়েকজন যুবক। অনলাইন সংবাদপত্রের নাম ‘মোহনা টুয়েণ্টিফোর.কম’। একইসঙ্গে ছিল সংবাদ মোহনা নামে একটি প্রতিষ্ঠানের কার্যালয়ও। ভূইফোঁড় এসব প্রতিষ্ঠানের পরিচয়ে সরকারী-বেসরকারী, রাজনৈতিক বিভিন্ন কর্মসূচীও কাভার করতেন তারা।

কিন্তু শুক্রবার রাতে একটি অপহরণের ঘটনা তাদের মুখোশ উন্মোচন করেছে।

শুক্রবার রাতে ‍কথিত অনলাইন সাংবাদিক নামধারী কয়েকজন দুর্বৃত্ত বেল্লাল হোসেন নামে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারের একজন কারারক্ষীকে আটকে রেখে দু’লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করে। জানতে পেরে পুলিশ হানা দেয় কথিত ওই ‍অনলাইন সংবাদপত্র অফিসের কার্যালয়ে। পুলিশ দেখে পাশের বাড়ির ছাদে উঠে পালিয়ে যায় কথিত ওই অনলাইন সংবাদপত্রের কথিত ব্যুরো প্রধান। ধরা পড়েন সাংবাদিক নামধারী তিন প্রতারক।

কোতয়ালী থানার ওসি একেএম মহিউদ্দিন সেলিম বাংলানিউজকে বলেন, ‘অনলাইন সংবাদপত্রের নামে অফিস খুলে তারা মাদকের ব্যবসা করত। বিভিন্ন ধরনের মেয়ে নিয়ে আসত ‍অফিসের ভেতর। লোকজনকে জিম্মি করে টাকাপয়সা আদায় করত। এরা নাকি অনলাইন সাংবাদিক।’

চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারের জেল সুপার ছগীর মিয়া বাংলানিউজকে জানান, কারারক্ষী বেল্লাল শুক্রবার বিকেল ৩টার দিকে তার বাসা থেকে বের হয়ে রুবেল নামে তার এক ভাতিজাকে খোঁজার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের দিকে যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে কৌশলে বেল্লালকে অপহরণ করে নিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা।

রাত ৮টার দিকে রাত ৮টার দিকে কারারক্ষী বেলাল ফোন করে আরেক কারারক্ষীকে জানায়, তিনজন সাংবাদিক তাকে নগরীর দেবপাহাড় এলাকায় মোহনা সংবাদ নামে একটি পত্রিকার অফিসে আটকে রেখেছে। দু’লক্ষ টাকা না দিলে তাকে ছাড়বেনা বলে জানিয়েছে ওই সাংবাদিকরা। এসময় কারারক্ষী বেলাল তাকে ‌উদ্ধারের আকুতি জানায়। ঘটনাটি জানতে পেরে জেল সুপার তাৎক্ষণিকভাবে কোতয়ালী থানার ওসিকে অবহিত করেন।

বেল্লাল তার স্ত্রীকেও একইভাবে ঘটনাটি জানায়। বেল্লালের স্ত্রীও কোতয়ালী থানার ওসিকে বিষয়টি অবহিত করেন।

এরপর রাতে ওসি’র নেতৃত্বে একদল পুলিশ দেবপাহাড় এলাকায় কথিত অনলাইন সংবাদপত্র কার্যালয়ে অভিযান চালায়। অভিযানের বিষয়টি আঁচ করতে পেরে কথিত ব্যুরো প্রধান জাহাঙ্গীরসহ ৬-৭জন পাশের বাসার ছাদে লাফিয়ে পড়ে পালিয়ে যান। পুলিশ ওই কার্যালয় থেকে তিনজনকে আটক করেন এবং বেল্লালকে মুক্ত করেন।

আটক তিন দুর্বৃত্ত হল, কুতুব উদ্দিন (৩৫), ওয়াসিম (২৯) এবং কফিল উদ্দিন (২৫)।

কোতয়ালী থানার ওসি একেএম মহিউদ্দিন সেলিম বাংলানিউজকে বলেন, ‘প্রথমে যখন পুলিশ ওই কার্যালয়ে যায় তখন তারা সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে হুমকি ধমকি দেয়া শুরু করেন। এরপর তারা যখন বুঝতে পারে, পুলিশের হাত থেকে এবার তাদের রক্ষা ‍নাই, তখন পালাতে শুরু করে।’

ওসি জানান, সাংবাদিক নামধারী এসব দুর্বৃত্তের কারণে এলাকাবাসীও বিরক্ত ছিল। আটকের পর এলাকার লোকজন কথিত তিন সাংবাদিককে গণপিটুনি দেয়ার চেষ্টা করেন। পুলিশ এসময় উপস্থিত জনতাকে সরিয়ে তাদের জনরোষের হাত থেকে রক্ষা করেন।

কোতয়ালী থানার ওসি (তদন্ত) সদীপ কুমার দাশ বাংলানিউজকে বলেন, ‘ভাতিজা রুবেলকে খুঁজতে গিয়ে চকবাজার এলাকায় অপসাংবাদিকদের কবলে পড়েন কারারক্ষী বেল্লাল। তারা ভাতিজার জন্য নিখোঁজ বিজ্ঞপ্তি দেওয়ার কথা বলে কৌশলে তাকে অফিসে নিয়ে গিয়ে জিম্মি করে রাখে। অবশ্য পরে রুবেল ফিরে এসেছেন।’

কথিত অনলাইন সংবাদপত্র কার্যালয় থেকে উদ্ধার করা মালামালের মধ্যে আছে, ৮ বোতল ফেনসিডিল, ৩২০ পিস ইয়াবা, নগদ ৩২ হাজার ৪’শ টাকা, একটি কম্পিউটার, একটি নোটবুক ও একটি ল্যাপটপ, একটি স্ক্যানার, একটি ডিজিটাল ক্যামেরা, রেভিনিউ স্ট্যাম্প, দু’টি ক্রিকেটের স্ট্যাম্প সাইজের লাঠিসহ আরও বিভিন্ন জিনিসপত্র।

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর

Saturday, May 11, 2013

রেশমা এখন পুরোপুরি সুস্থ

সাভারের রানা প্লাজার ধ্বংসস্তূপের ভেতর থেকে ১৭তম দিনে জীবিত উদ্ধার হওয়া রেশমা পুরোপুরি সুস্থ আছেন বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকেরা। তিনি স্বাভাবিক খাবার খেতে শুরু করেছেন। তবে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে যেতে আরও কয়েকটা দিন তাঁকে হাসপাতালে থাকতে হবে।
রেশমা এখন সাভারের সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালের (সিএমএইচ) নিবিড় পরিচর্যাকেন্দ্রে চিকিত্সাধীন।
সিএমএইচের উপসহকারী পরিচালক মেজর ফখরুল আলম সকাল ১০টায় প্রথম আলো ডটকমকে বলেন, ‘রেশমার সব অঙ্গপ্রত্যঙ্গ স্বাভাবিক আছে। তাঁর সব ধরনের শারীরিক পরীক্ষা শেষ হয়েছে। সব রিপোর্ট ভালো। তিনি স্বাভাবিক খাওয়া-দাওয়া শুরু করেছেন। সব মিলিয়ে তাঁর অবস্থা চমৎকার।’
এর আগে সকাল সাতটায় রেশমার সঙ্গে দেখা করেন তাঁর ছোট ভাই সাদেকুল। তিনি পেশায় একজন রিকশাচালক।
সাদেকুল প্রথম আলো ডটকমকে জানান, তিনি রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকায় রিকশা চালান। রেশমার উদ্ধার হওয়ার খবর পেয়ে গতকাল রাতে তিনি ঢাকা থেকে সাভারের উদ্দেশে রওনা হন। তবে সাভারে পৌঁছাতে অনেক রাত হয়ে যাওয়ায় গতকাল তিনি রেশমার সঙ্গে দেখা করতে পারেননি।
আজ সকাল সাতটার দিকে তিনি রেশমার সঙ্গে দেখা করেন। রেশমা তাঁকে দেখে আনন্দিত হয়ে কিছুক্ষণ হাসেন। এর পরই কেঁদে ওঠেন রেশমা। সুস্থ স্বাভাবিক অবস্থায় বোনকে ফিরে পাওয়ায় সরকারসহ সবাইকে ধন্যবাদ জানান সাদেকুল। পাঁচ ভাইবোনের মধ্যে রেশমা সবার ছোট।

মতিঝিলে বিদেশি পিস্তলসহ আটক ৩

রাজধানীর মতিঝিল এলাকা থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, ২টি ম্যাগজিন ও ৫ রাউন্ড গুলিসহ ৩ যুবককে আটক করেছে র‌্যাব।

শনিবার দুপুরের এ ঘটনা রাতে নিশ্চিত করে ৠাব।

আটককৃতরা হচ্ছেন, রাজু (২৪), আতিকুল ইসলাম (২২) ও তৌফিক (২৩)।

র‌্যাব ১০-এর মেজর মামুন বাংলানিউজকে জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে দুপুরে অস্ত্র বেচাকেনার সময় একটি বিদেশি পিস্তল, ২টি ম্যাগজিন ও ৫ রাউন্ড গুলিসহ ৩ জনকে আটক করা হয়। তিন যুবকের মধ্যে রাজু ও আতিকুল চাপাইনবাবগঞ্জ থেকে এগুলো বিক্রির উদ্দেশ্যে মতিঝিল এলাকার তৌফিকের কাছে নিয়ে আসেন। এ সময় র‌্যাবের একটি দল তাদের আটক করে।

৬ জুন পবিত্র শবে মেরাজ

আরবী মাস রজব এর চাঁদ দেখা গেছে । সে হিসেবে শনিবার জমাদিউস সানি মাস শেষ হয়ে আগামীকাল রোববার থেকে শুরু হচ্ছে রজব মাস। আর এ মাসের বিশেষ তাৎপর্য হচ্ছে, এ মাসেই ইসলাম ধর্মের মহামহিমান্বিত রজনী শবে মে’রাজ। আগামী ৬ জুন পবিত্র শবে মেরাজ পালিত হবে।

শনিবার সন্ধ্যায় ইসলামিক ফাউন্ডেশনের বায়তুল মোকাররমের সভাকক্ষে জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির এক সভায় এ কথা জানানো হয়।

সভায় ১৪৩৪ হিজরি সনের পবিত্র রজব মাসের চাঁদ দেখা সম্পর্কে প্রাপ্ত সব তথ্য পর্যালোচনা করা হয়।

টেকনাফে ৯ লক্ষাধিক টাকার মাদকদ্রব্য জব্দ

কক্সবাজারের টেকনাফে ৯ লাখ ১৬ হাজার টাকা মূল্যের মিয়ানমারে তৈরি মাদকদ্রব্য জব্দ করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।

রোববার বিকাল ৫টার দিকে টেকনাফের নাফ নদীর ২ নং সুইচ গেইট এলাকায় এ অভিযান চালানো হয়।

জব্দ করা মাদকদ্রব্যের মধ্যে রয়েছে ১ হাজার ৩২০ ক্যান আন্দামান গোল্ড বিয়ার, ৩২ বোতল ম্যান্ডেলা বিয়ার, ২৪ বোতল ম্যান্ডেলা রাম মদ, ১৬ বোতল ড্রাগন মদ, ২৩৭ বোতল গোল্ডেন কান্ট্রি ড্রাইজিং।

এসময় একটি নৌকা ও ২৭টি পানির ফিল্টারও জব্দ করা হয়েছে।

বিজিবি‘র টেকনাফস্থ ৪২ ব্যাটালিয়নের উপ-পরিচালক ক্যাপ্টন এইচ কামরুল হাসান বাংলানিউজকে জানিয়েছেন, বিজিবি’র টেকনাফ বিওপির হাবিলদার মো. জসিম উদ্দিনের নেতৃত্বে বিশেষ টহল দল নাফ নদীতে অভিযান চালিয়ে এসব মাদকদ্রব্য জব্দ করে। এ ঘটনায় ২ জনকে পলাতক আসামী করে টেকনাফ থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।

অভিযুক্তরা হলেন, টেকনাফের নাজির পাড়ার মৃত আব্দুল বাশার নাগুর ছেলে মোহাম্মদ জাকির (৩০) ও মৃত আব্দুল হোসেনের ছেলে সাবের আহমেদ (৩২)।

সর্তকতার দুদিনের মাথায় টিলা ধস!

সিলেট নগরীর হাজারীবাগে একটি টিলা ধসে গেছে। এতে অল্পের জন্য রক্ষা পেয়েছে কয়েকটি পরিবার। ভূমিধসের আশঙ্কা প্রকাশ করে আবহাওয়া অধিদফতরের বিশেষ বুলেটিন দেওয়ার দু’দিনের মাথায় শনিবার এ ঘটনা ঘটলো।

দু’দিন আগে আবহওয়া অধিদফতরের বিশেষ বুলেটিনে বলা হয়েছে, ভারী বর্ষণের ফলে সিলেটের পাহাড়ি এলাকায় ভূমিধসের আশঙ্কা রয়েছে।

বুলেটিনে জানানো হয়, কালবৈশাখীর প্রভাবে ভারী বৃষ্টি হচ্ছে। ভারী বৃষ্টির ফলে সিলেট বিভাগের পাহাড়ি এলাকায় ভূমিধসের আশঙ্কা রয়েছে।

সিলেটের নবনিযুক্ত জেলা প্রশাসক শহিদুল ইসলাম বাংলানিউজকে জানিয়েছেন, হাজারীবাগে ধসে পড়া টিলা পরিদর্শন করেছেন তিনি। এ ব্যাপারে ঝুঁকি এড়াতে ওই স্থানের বসবাসরতদের সড়ে যেতে নির্দেশ দিয়েছেন।

ঘটনার পরই টিলা সংলগ্ন দু’টি পরিবার বসতভিটা ছেড়ে গেছে বলে স্থানীয় সূত্র জানিয়েছে।

শুধু হাজারীবাগই নয়, নগরীর সকল পাহাড় ও টিলার পাদদেশে ঝুঁকি নিয়ে বসবাস বেড়েছে। ধসের আশঙ্কা সত্ত্বেও নগরী ও আশপাশের কয়েক হাজার মানুষ মৃত্যুঝুঁকি নিয়েই বসবাস করছেন পাহাড়-টিলার পাদদেশে।

ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলোর মধ্যে রয়েছে- নগরীর উপকণ্ঠের বালুচর, হাজারীবাগ, বিমানবন্দর সড়ক, খাদিমপাড়া, খাদিমনগর, মেজরটিলা, মংলিরপাড় ও ইসলামপুর। এসব এলাকার বিভিন্ন টিলার পাদদেশে ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাস করছে কয়েকশ’ পরিবার।

গত বছরের জানুয়ারিতে সেভ দ্য হেরিটেজের এক জরিপে দেখা গেছে, সিলেটে টিলার পাদদেশে বাড়ি নির্মাণ করে বসবাস করায় ১০ হাজার লোক ঝুঁকিতে রয়েছেন।
এ ছাড়া জৈন্তাপুর উপজেলার নয়াখেল, আঞ্জা গ্রাম ফেঞ্চুগঞ্জ, গোলাপগঞ্জ ও বিয়ানীবাজার উপজেলায় বিভিন্ন টিলা ও পাহাড়ের পাদদেশে ঝুঁকি নিয়ে বসবাস করছেন আরও কয়েক সহস্রাধিক লোক।

তবে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সংশ্লিষ্ট প্রশাসন ও কোথাও পাহাড়- টিলার পাদদেশে বসতকারী ঘর-বাড়ির কোনো তালিকা নেই।

জানা গেছে, প্রতি বর্ষা মৌসুম এলেই টানা বৃষ্টিতে দেখা দেয় টিলাধসের ঝুঁকি। বিভিন্ন সময়ে টিলাধসে প্রাণহানির ঘটনাও ঘটেছে। ঝুঁকিপূর্ণ বসবাসকারীদের উচ্ছেদে বিচ্ছিন্ন কিছু অভিযান চালানো হলেও তাদের পুনর্বাসনে নেওয়া হয়নি কোনো উদ্যোগ। ফলে ফের টিলার পাদদেশে ঘর নির্মাণ করেছেন ভূমিহীনরা।

গত কয়েক দিনের টানা বর্ষণে সিলেটে টিলাধসের যে আশঙ্কা দেখা দিয়েছে এতে দুর্ঘটনা ঘটলে উদ্ধার কার্যক্রম চালানোর মতো সরঞ্জামাদিও সিলেটে নেই বলে জানিয়েছেন ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের সহকারী পরিচালক পরিমল কুণ্ডু।

তিনি বাংলানিউজকে বলেন, ‘‘দুর্ঘটনা ঘটার আগে বসতি সরিয়ে দিতে হবে। আর উদ্ধার তৎপরতা চালানো জন্য দরকার বড় কোনো সরঞ্জাম।”

তিনি বলেন, “মাটি কাটতে যে কঠিন সরঞ্জামগুলো দরকার, সিলেটে সেগুলোও নেই। সিলেটে রয়েছে শুধু কোদাল আর বেলচা।”

বেলা’র সিলেটের আঞ্চলিক সমন্বয়কারী শাহ সাহেদা আখতার বাংলানিউজকে বলেন, টিলা কাটার ফলে ধস হচ্ছে। সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের দায়িত্বহীনতা এর জন্য দায়ী বলে উল্লেখ করেন তিনি।

সাহেদা বলেন, ‘‘সিলেটে নির্বিচারে টিলা কাটা হচ্ছে। এ অবস্থায় অনবরত বৃষ্টিপাতে টিলার ধস ঘটছে।’’

ছাত্রীকে যৌনহয়রানি: বিরলে তিন শিক্ষক সাময়িক বরখাস্ত

দিনাজপুরের বিরল উপজেলার সীমান্তবর্তী বেকুড়া দ্বিমুখি উচ্চ বিদ্যালয়ের এক ছাত্রীকে যৌনহয়রানির অভিযোগে সংশ্লিষ্ট শিক্ষকসহ তিন শিক্ষককে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করেছে স্কুল পরিচালনা কমিটি।

প্রাইভেট পড়ানোর ফাঁকে শনিবার সকাল ১১টার দিকে ওই ছাত্রীকে যৌনহয়রানি করে স্কুলের ইংরেজি বিষয়ক শিক্ষক আবুল বাশার। এ সময় অভিযুক্তের শাস্তির দাবিতে অভিভাবকসহ হাজার খানেক নারী পুরুষ বিকেল ৩টা পর্যন্ত ঘেরাও করে রাখে স্কুলটি।পরে পরিচালনা কমিটি অভিযুক্ত তিন শিক্ষককে সাময়িক বহিষ্কার করে।

বহিষ্কার হওয়া শিক্ষকরা হলেন- আবুল বাশার, সহিদুল ইসলাম ও আব্দুল আজিজ।

জানা গেছে, সকাল থেকে স্কুলের একটি কক্ষে প্রাইভেট পড়ছিল ওই স্কুলের আটক জন ছাত্রী। এ সময় এক ছাত্রীকে পাশের কক্ষে ডেকে নেন স্কুল শিক্ষক আবুল বাশার। এ সময় তাকে যৌনহয়রানি করলে ছাত্রীর চিৎকার শুনে অন্যরা ওই শিক্ষকের ওপর চড়াও হয়।

খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যায় বিরল থানা পুলিশ। এ পরিস্থিতিতে জরুরি সভায় বসেন স্কুল পরিচালনা কমিটির সদস্যরা। এতে বেরিয়ে আসে শিক্ষক আবুল বাশারের অপরাধের ঘটনাসহ অন্য দুই শিক্ষক সহিদুল ইসলাম এবং আব্দুল আজিজের ছাত্রীদের সঙ্গে যৌনহয়রানির কাহিনী।

এ বিষয়ে স্কুল পরিচালনা কমিটির সভাপতি রমাকান্ত রায় বাংলানউজকে জানান, অভিযুক্ত ওই তিন শিক্ষককে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে।

বিরল থানার (তদন্ত) পরিদর্শক আনিসুর রহমান বাংলানিউজকে জানান, অভিযুক্ত শিক্ষককে আটক করা হয়েছে। সাময়িক বরখাস্তের লিখিত আদেশের দাবিতে স্কুলটিতে চড়াও হয়েছিল স্থানীয় মানুষ।

মোহাম্মদপুরে ৫ তলা ভবন হেলে পড়েছে

রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকার শের-শাহ-সুরী রোডে ৪৩ নম্বর বাড়ি হেলে পাশের বাড়িতে আটকে যাওয়ায় ব্যাপক আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে।

ডিএমপি’র মোহাম্মদপুর জোনের এসি মুক্তা ধর বাংলানিউজকে বলেন, বাড়িটি নির্মাণে রাজউক ৪ তলা পর্যন্ত অনুমোদন দিলেও নিয়ম ভেঙ্গে ৫ তলা করা হয়।

শনিবার বিকালে বাড়িটি পূর্ব পাশে ধ্বসে গিয়ে পাশের একটি বাড়িতে আটকে যায়। এ ঘটনায় বাড়িটির পূর্ব দিকের প্রাচীর ভেঙে যায় এবং অন্যান্য জায়গাতেও ফাটল দেখা দিয়েছে। বাড়ির নিচে ১টি হোটেলসহ ৪টি দোকান রয়েছে। বড় ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে ফায়ার সার্ভিসের পরামর্শে ২ ঘণ্টা সময় দেওয়া হয়েছে বাড়িটি খালি করে দেওয়ার জন্য। ইতিমধ্যে বাড়িটির বৈদ্যুতিক সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়েছে।

ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড় ধেয়ে আসছে

ভারত মহাসাগরের একটি বিরাট এলাকাজুড়ে আবহাওয়ার অস্থিতিশীলতার কারণে চলতি সপ্তাহে নতুন উষ্ণমণ্ডলীয় ঘূর্ণিঝড়ের উৎপত্তি হয়েছে। সম্ভাব্য এই ঘূর্ণিঝড় বাংলাদেশ, ভারতের উত্তর-পূর্ব, শ্রীলঙ্কার পূর্ব ও মিয়ানমারের উপকূলে আঘাত হানতে পারে।

আবহাওয়া পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আগামী বুধবার বাংলাদেশ উপকূলের দিকে ধেয়ে আসবে ঘূর্ণিঝড় ০১বি (বাংলাদেশি আবহাওয়াবিদদের মতে ‘মহাসেন’)। নতুন করে গঠিত এ উষ্ণমণ্ডলীয় ঝড় চলতি সপ্তাহে ভারত মহাসাগরের দক্ষিণে প্রবাহিত হবে এবং এই সময়ে পশ্চিম অভিমুখেও প্রবাহ থাকবে।

উষ্ণমণ্ডলীয় ঘূর্ণিঝড় (০১বি) আগামী কয়েকদিনে উত্তর অভিমুখে প্রবাহ সৃষ্টি করে শক্তিশালী রূপ নেবে। এই ঝড়েই ভারতের উত্তর, বাংলাদেশ, এমনকি মিয়ানমারের উপকূলীয় মানুষের জীবন হুমকির মুখে পড়বে। এর আগে আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছিলেন, ঘূর্ণিঝড় ‘জামালা’ আঘাত হানতে যাচ্ছে।

উপগ্রহ থেকে তোলা শুক্রবারের ছবিতে ভারতের দক্ষিণে উষ্ণমণ্ডলীয় ঘূর্ণিঝড়  ‘জামালা’র সঙ্গে সন্নিহিত মেঘ দেখা গেছে। এতে শ্রীলঙ্কার দক্ষিণ-পূর্ব উপকূলে নতুন করে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড়েরও (০১বি) অস্তিত্ব পাওয়া গেছে।

আবহাওয়া পূর্বাভাসে আরেকটি উদ্বেগের কথাও বলা হয়েছে। বাংলাদেশ ও উত্তর-পূর্ব ভারতে গত সপ্তাহে ৬ থেকে ১২ ইঞ্চি বৃষ্টিপাত হয়। এ কারণে সম্ভাব্য উষ্ণম-লীয় ঘূর্ণিঝড়ে অতিরিক্ত ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে ব্যাপক বন্যা ও ভূমিধসও ঘটতে পারে।

এসব অঞ্চলে এর আগে আঘাত হানা ঘূর্ণিঝড়ে প্রাণহানিসহ ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ২০০৮ সালে উষ্ণমণ্ডলীয় ঝড় নার্গিসের আঘাতে মিয়ানমারের আনুমানিক লক্ষাধিক মানুষের প্রাণহানি হয়। ১৯৯১ সালে এমনই আরেকটি ঘূর্ণিঝড় বাংলাদেশের তিন লক্ষাধিক মানুষের প্রাণ কেড়ে নিয়ে যায়।

পশ্চিমা আবহাওয়াবিদদের ধারণা, ঘূর্ণিঝড় ‘জামালা’র আঘাতে স্থলভাগে সেই তুলনায় কম ক্ষয়ক্ষতি হবে।

এ ব্যাপারে আবহাওয়া অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক শামসুদ্দিন আহমেদ বাংলানিউজকে বলেন, “জামালা নামের কোনো ঘূর্ণিঝড় বাংলাদেশে আঘাত হানার সম্ভাবনা নেই। কারণ এটা উত্তর গোলার্ধের ঝড়।” তবে তিনি জানান, ০১বি নামের যে ঝড়টির কথা বলা হয়েছে, সেটা ‘মহাসেন’ নামে এই অঞ্চলে পরিচিত।

নারী সমাবেশ শুরু

নারী নেত্রী ও সমাবেশের সভাপতি আয়েশা খানমের স্বাগত বক্তব্যের মধ্য দিয়ে শুরু হলো নারী সমাবেশ।

শনিবার বিকেল সাড়ে ৩টায় এ সমাবেশ শুরু হয়।

নারীদের পদচারণায় ধীরে ধীরে জমতে শুরু করেছে সমাবেশ স্থল। মঞ্চ এবং মঞ্চের পাশ থেকে চলছে স্লোগান। বিভিন্ন নারী সংগঠন ও নারীদের উপস্থিতি বাড়ছে।

জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনের রাস্তায় দু’টি মিনি ট্রাকের ওপর তৈরি করা হয়েছে সমাবেশের মূল মঞ্চ।

সমাবেশে অধিক নারী সংগঠন সমবেত হওয়ায় উদ্যোক্তারা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মঞ্চে একসঙ্গে ২০টি করে সংগঠনের নেত্রীরা উঠে বক্তৃতা করে নেমে যাবেন।

প্রস্তুতি প্রসঙ্গে জানতে চাইলে উদ্যোক্তদের একজন শাহনাজ সুমি বাংলানিউজকে বলেন, “একটি সমাবেশে যে ধরনের প্রস্তুতি থাকা দরকার, আমরা সবই নিয়েছি। সমাবেশে অংশ নিতে আসা নারীদের পানি খাওয়ানো, রাস্তা চিনিয়ে দেওয়া, অসুস্থ হলে মেডিকেল টিমের কাছে পৌঁছে দেওয়া ইত্যাদি কাজের জন্য প্রায় ২’শ স্বেচ্ছাসেবক কাজ করছে।”

তিনি বলেন, “আমরা আশা করেছিলাম লাখো নারীর জমায়েত হবে আজকের সমাবেশে। তবে আগামীকালের হরতাল এবং বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণে এতটা নাও হতে পারে। আমরা মনে করছি ৫০ হাজারের মতো নারী সমাগম হবে।”

উদ্যোক্তাদের আরেকজন মাহবুবা বেগম বাংলানিউজকে বলেন, “এদেশের জনসংখ্যার অর্ধেক নারী। এ শক্তি ব্যবহার করতে না পারলে দেশের উন্নয়ন স্থবির হয়ে যাবে। নারী শক্তিতে দক্ষভাবে কাজে লাগানোর বিরুদ্ধে মৌলবাদী শক্তি কাজ করে চলেছে।”

তিনি আরও বলেন, “এ সমাবেশ থেকে আমরা জানাতে চাই নারীদের আজ ‍আর ঘরে বসে থাকার সময় নেই। এখন পুরুষের কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে দেশের উন্নয়নে ভূমিকা রাখার সময়।”

নিরাপত্তা প্রসঙ্গে শাহবাগ জোনের এসি পেট্রল এমাদুল বাংলানিউজকে বলেন, “যেকোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে সমাবেশ স্থল কাকরাইল-পল্টন-সচিবালয়সহ মোট ২২টি পয়েন্টে দু’শতাধিক নারী পুলিশসহ বিভিন্ন স্তরের পাঁচ শতাধিক পুলিশ টহলে নিয়জিত রয়েছে।”

এসএসসিতে ফেল করায় গাংনীতে কিশোরের আত্মহত্যা

এসএসসি পরীক্ষায় ফেল করায় হিরক (১৬) নামে এক কিশোর আত্মহত্যা করেছে।

শনিবার দুপুর ২টার দিকে হিরক তার নিজ কক্ষের আড়ার সঙ্গে গলায় রশি দিয়ে আত্মহত্যা করে। হিরক গাংনী উপজেলার বাওট গ্রামের রুহুল আমিনের ছেলে।

হিরকের বাবা রুহুল আমীন বাংলানিউজকে জানান, হিরক এসকেএস মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে এ বছর এসএসসি পরীক্ষা দিয়েছিল। এসএসসি পরীক্ষার ফলাফলে সে গণিত বিষয়ে ফেল করে।

সকাল থেকেই সে মন খারাপ করে বসে ছিল। কোনো এক সময়ে সে ঘরের মধ্যে ঢুকে আত্মহত্যা করেছে।দুপুরের খাবার খাওয়ার জন্য ডাকতে গিয়ে তার ঝুলন্ত লাশ পাওয়া যায়।

গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)আলমগীর হোসেন এ বিষয়টি বাংলানিউজকে নিশ্চিত করেছেন।

সাভারের ভবন ধস: বিশ্বে দ্বিতীয় বৃহত্তম শিল্প দুর্ঘটনা

সাভারের রানা প্লাজার ধসকে এর আগে দক্ষিণ এশিয়ার সবচেয়ে বড় শিল্প দুর্ঘটনা হিসেবে ধরা হলেও বর্তমানে মৃতের সংখ্যা এক হাজার ছাড়িয়ে যাওয়ায় এটিকে এখন বিশ্বের সবচেয়ে ভয়াবহ শিল্প দুর্ঘটনাগুলোর মধ্যে দ্বীতিয় বৃহত্তম হিসেবে ধরা হচ্ছে।

এর আগে ইকোনোমিস্ট পত্রিকা তাদের অনলাইন সংস্করণে সাভারের ভবন ধসে নিহতের ঘটনায় ‘বাংলাদেশে বিপর্যয়: ধ্বংসস্তূপে ছিন্নবস্ত্র’ শিরোনামে একটি নিবন্ধ ছেপেছে এবং এটাকে সবচেয়ে ভয়াবহ বিপর্যয় হিসেবে উল্লেখ করেছে।

তারা তাদের নিবন্ধে এটিকে ১৯৮৪ সালের ২ ও ৩ ডিসেম্বর ভারতের মধ্য প্রদেশের ভুপাল ইউনিয়ন কারবাইড ইন্ডিয়া লিমিটেডে গ্যাস বিস্ফোরণে ৩ হাজার ৭৮৭ জন নিহত হওয়ার ঘটনার সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে।

নিয়ম ভঙ্গ করে ভবন নির্মাণের বিষয়টিও উঠে আসে ইকোনোমিস্টের ওই নিবন্ধে। তাতে বলা হয়েছে, পাঁচ তলার অনুমতি নিয়ে নির্মাণ করা হয়েছে আটতলা ভবন।

এছাড়া বাংলাদেশে পোশাক কারখানার “বিস্ফোরণ” ঘটেছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে নিবন্ধে। আর এর অন্যতম কারণ হিসেবে সস্তায় শ্রমিকের সহজলভ্যতাকে উল্লেখ করেছে ইকোনোমিস্ট। বাংলাদেশে একজন শ্রমিকের বেতন মাত্র তিন হাজার টাকা, যা চীনের চেয়ে এক পঞ্চমাংশ।

গত বছর পাকিস্তানের পোশাক কারখানায় অগ্নিকান্ডে ২৬০ জন নিহত হয়েছিল। একই বছর বাংলাদেশের “তাজরীন ফ্যাশনে” অগ্নিকান্ডে ১১২ জন নিহত হন। সম্প্রতি (৮ মে) ঢাকার মিরপুরে ‘তুন হাই’ একটি নামক তৈরি পোশাক কারখানায় অগ্নিকান্ডে পুলিশের ডিআইজিসহ ৮ জন নিহত হয়েছেন। এছাড়া ‘স্পেকটাম’ গার্মেন্টসে ধসের ঘটনায় অনেক শ্রমিকের প্রাণহনি ঘটে।

সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞদের মতে, একের পর এক ভয়াবহ দুর্ঘটনার কারণে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক কারখানায় বিপর্যয় নেমে আসতে পারে। বিদেশি ক্রেতারা বাংলাদেশ থেকে মুখ ফিরিয়ে নিতে পারে। চীনের পরে সবচেয়ে বড় তৈরি পোশাক শিল্পের বাজার বাংলাদেশে। এরকম দুর্ঘটনা বন্ধ না করা গেলে বাংলাদেশ তৈরি পোশাক শিল্পের বিশাল এ বাজার হারাতে পারে বলে সংশ্লিষ্ট বোদ্ধাদের ধারণা।

আর তাই সরকারকে এ ব্যাপারে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে বলে তারা মত ব্যক্ত করেন।

এদিকে, ধসে পড়া রানা প্লাজার ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে ১৭তম দিন শুক্রবার ভোর ৬টা থেকে সকাল দুপুর পর্যন্ত আরও ২০টি মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ নিয়ে ভবন ধসের উদ্ধার করা মরদেহের মোট সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৩৩ জনে। এর মধ্যে ৭১০ জনের মৃতদেহ শনাক্ত হওয়ার পর স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

ঘটনাস্থলে স্থাপিত সেনাবাহিনীর কন্ট্রোলরুম থেকে এসব তথ্য জানা যায়।

উদ্ধারকর্মীরা জানান, এখন যেসব লাশ উদ্ধার করা হচ্ছে, সেগুলোর অধিকাংশই গলিত, অর্ধগলিত। ফলে মরদেহ শনাক্ত ও হস্তান্তর করা প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়ছে।

উল্লেখ্য, গত ২৪ এপ্রিল সকাল পৌনে ৯টার দিকে সাভার বাসস্ট্যান্ড বাজারে যুবলীগ নেতা সোহেল রানার মালিকানাধীন নয়তলা বাণিজ্যিক ভবন ‘রানা প্লাজা’ ধসে পড়ে। এতে হাজারের অধিক প্রাণহানির এ ভয়বহ ঘটনা ঘটে। এছাড়া আহত ও জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা হয় দুই হাজার ৪৩৭ জন শ্রমিককে।

সাভারের মর্মান্তিক এ ঘটনায়  আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়ে দেশের পোশাক শিল্প। আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও, জাতিসংঘ ও মানবাধিকার সংস্থাগুলো পোশাকশিল্পের সমালোচনায় মুখর হয়ে উঠেছে। এমনকি বিদেশি ক্রেতা প্রতিষ্ঠান কয়েকটি পোশাক কারখানার পরিবেশ ও মান নিয়ে প্রশ্ন তুলে বাংলাদেশের সঙ্গে ব্যবসা করবে না বলে জানিয়ে দিয়েছে।

এর আগে গত নভেম্বর মাসে সাভারের আশুলিয়ায় তাজরীন ফ্যাশনে অগ্নিকাণ্ডে শতাধিক পোশাক শ্রমিকের প্রাণহানি হয়।

মুখ দিয়ে লিখে এসএসসি পাস!

হাত দুটি’র আঙ্গুল অচল। তবুও শৈশবে মা-বাবার কাছে বায়না ধরে স্কুলে যাওয়ার। সেই শৈশবে প্রথম শ্রেণী।

এরপর প্রাথমিকের গণ্ডি পেরিয়ে মাধ্যমিক। এবার মাধ্যমিকের গণ্ডি পেরোনোর জন্য এসএসসি পরীক্ষা দিয়ে জিপিএ ৩.৫০ পেয়েছে ফিরোজ। মুখে কলম আঁকড়ে লিখে ভালো রেজাল্ট করায় সহপাঠীরা খুশি।

পুরো নাম ফেরদৌস আলম ফিরোজ। সাহাবুদ্দিন-ফিরোজা দম্পতির চার সন্তানের মধ্যে সবার বড় সে। বাড়ি লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার শ্রীরামপুর গ্রামে। স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদে চতুর্থ শ্রেণীর  চাকরি করেন বাবা সাহাবুদ্দিন। সেখান থেকে যা পান তা দিয়ে সংসার চলে কোনো মতো।

এসএসসি পরীক্ষায় উপজেলার কাউয়ামারী আপ্তার উদ্দিন প্রধান উচ্চ বিদ্যালয় থেকে পরীক্ষা দিয়েছিল সে।

ফিরোজের মা ফিরোজা বেগম বাংলানিউজকে জানান, হাত দুটি দিয়ে কোনো কাজ করতে পারে না তার ছেলে। শুধু ডান হাতের বুড়ো আঙ্গুলগুলো একটু-আধটু শক্তি আছে। ভাত খেতে পারে না। তাই পরিবারের অন্যদের সহযোগিতায় খেতে হয়।

প্রতিবন্ধী ফিরোজ বাংলানিউজকে বলেন, ‍“আমি লেখাপড়া করে প্রতিবন্ধী শব্দটিকে জয় করতে চাই। দোয়া করবেন আমি যেন ভালোভাবে পড়ালেখা শেষ করতে পারি।”

প্রধান শিক্ষক আখেরুজ্জামান বাংলানিউজকে বলেন, “শারীরিক অক্ষমতা বাধা হতে পারেনি তার। মুখের সাহায্যে কলম ধরে পরীক্ষায় অংশ নিয়ে জিপিএ ৩.৫০ পেয়ে আমাদের স্কুলের সম্মান বাড়িয়েছে।”

ধসের শঙ্কা নিয়ে ঢাবির কয়েক হাজার শিক্ষার্থীর হলবাস

হলের বিভিন্ন স্থানে অসংখ্য ফাটল, ঘন ঘন প্লাস্টার খসে পড়া আর মাঝারি মাত্রার ভূমিকম্প হলেই যেকোনো সময় ধসে পরতে পারে হলের পুরো কাঠামো— এভাবেই আতঙ্কের মধ্যে হলবাস করছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকটি হলের হাজার হাজার শিক্ষার্থী। সম্প্রতি মুহসীন হলের টিভি কক্ষের ছাদের একটি বড় অংশের প্লাস্টার ধসে ২ শিক্ষার্থী আহত হওয়ার ঘটনায় শিক্ষার্থীদের মধ্যে এ আতঙ্ক আরও বেড়ে যায়। আর আতঙ্ক বৃদ্ধির নতুন কারণ হিসেবে তো আগেই যোগ হয়েছে সাভারের রানা প্লাজা ধসে পড়ার মতো ভয়াবহ ঘটনা।

শিক্ষার্থীরা জানান, যেকোনো সময় ভূমিকম্প বা অন্য যেকোনো কারণে হল ধসে পড়তে পারে। তাই এখানে আমাদের সময় কাটাতে হয় এক ধরনের আতঙ্কের মধ্য দিয়ে। তাছাড়া মাঝে মাঝে প্লাস্টার ধসে আহতও হতে হচ্ছে কাউকে কাউকে। কম মাত্রার ভূমিকম্প হলেই শিক্ষার্থীরা আতঙ্কিত হয়ে হল থেকে বের হওয়ার জন্য ছোটাছুটি শুরু করে দেন । অনেকেই প্রাণভয়ে দু’তলা কিংবা তিন তলা থেকে লাফিয়েও পড়েন।

সংশ্লিষ্ট হলগুলোর প্রাধ্যক্ষরা জানান, শিক্ষার্থীদের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে তার‍া লিখিতভাবে হল ভবন সংস্কারের বিষয়টি জানান। কিন্তু আবেদনে প্রশাসন এতই সামান্য অর্থ দেয় যে, তা দিয়ে পুরোপুরি সংস্কার সম্ভব হয় না।

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সূত্র জানায়, অর্থের অভাবেই তারা পুরোপুরি সংস্কার করতে পারছেন না।

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও বিশেষজ্ঞরা বেশ কয়েকটি হলকে ঝুঁকিপূর্ণ চিহ্নিত করেছেন। এর মধ্যে রয়েছে— ‘৬৭ সালে নির্মিত মুহসীন হল, ’৬২ সালে নির্মিত মাস্টার দা সূর্যসেন হল, ’৫৭ সালে নির্মিত জহুরুল হক হল, ’৬৬ সালে নির্মিত স্যার পি জে হার্টস ইন্টারন্যাশনাল হল ও ’৬৩ সালে নির্মিত রোকেয়া হল।

এছাড়া ফজলুল হক মুসলিম হল, শহীদুল্লাহ হল, সলিমুল্লাহ মুসলিম হলও রয়েছে ঝুঁকিপূর্ণ হলের তালিকায়।

সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, মুহসীন হল, সূর্যসেন হল, ফজলুল হক হল, জহুরুল হক হলের বিভিন্ন স্থানে রয়েছে ফাটল। এসব হলের বিমগুলোতেও দেখা দিয়েছে গভীর ফাটল। প্রায়ই প্লাস্টার খসে পড়াও একটি আতঙ্ক উদ্রেককারী ঘটনা। হল প্রশাসনের কাছে বারবার জানিয়েও তারা এর কোনো স্থায়ী প্রতিকার পাচ্ছেন না। এর মধ্যে মুহসীন হলের অবস্থাই বেশি নাজুক।

বুয়েটের বিশেষজ্ঞ শিক্ষকরা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকৌশলীরা  মনে করেছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশ কয়েকটি হল ভূমিকম্প ঝুঁকিতে থাকলেও ’৭০ সালের আগে নির্মিত ভবনগুলোই তুলনামূলক বেশি ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে জগন্নাথ হলের পুরাতন ভবনসমূহ, এসএম হল, শহীদুল্লাহ হল, ফজলুল হক মুসলিম হল, মুহসীন হল, সার্জেন্ট জহুরুল হক হল এবং মাস্টার দা সূর্য সেন হল।

বুয়েটের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক মুজিবুর রহমান বলেন, “ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশ কয়েটি হল ঝুঁকিপূ্র্ণ, ভূমিকম্পের জন্য তো বটেই। কারণ এগুলো বেশির ভাগই নির্মাণের পর প্রায় ৬০-৭০ বছর অতিক্রম করেছে। আর যে সব হলে ফাটল দেখা দিয়েছে তার বেশির ভাগই অনেক আগে তৈরি, তখন ভবন নির্মাণে ভূমিকম্পের কথা চিন্তা করা হয়নি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান প্রকৌশলী মো. মফিজুল ইসলাম বলেন, “সাভার ট্রাজেডিতে সতর্ক হয়ে আমরা ইতোমধ্যে বিভিন্ন হলের স্থায়িত্ব এবং বর্তমান অবস্থার ওপর এক্সপার্টদের দ্বারা সার্ভে চালাচ্ছি। একটি বিখ্যাত বিদেশী কোম্পানির সহায়তায় খুব শীঘ্রই একটি সমীক্ষা চালানো হবে। তাদের রিপোর্টের ভিত্তিতে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”

তিনি আরও বলেন, “যে সব হলে ফাটল দেখা দিচ্ছে বা প্লাস্টার ধসে পড়ছে সেসব হলে আমরা মেরামত কাজ চালিয়ে যাচ্ছি। জিয়াউর রহমান ও বঙ্গবন্ধু হলে কাজ চলছে। মুহসীন হলের এক অংশের কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে, কিন্তু অর্থের অভাবে পুরোটা সম্পন্ন করা যায়নি। আমরা ২০১১ সালের দিকে সংস্কারের জন্য ১৬ কোটি টাকা পাই, এর পুরো অর্থ এখনো হাতে আসেনি। টাকা পেলে বাকিগুলোতে দ্রুত হাত দেওয়া হবে।”

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, ইন্টারন্যাশনাল হলে পিছনের স্টাফ কোয়ার্টার, আইবিএর হোস্টেল, ফজলুল হক হলের একটি ব্লক, জহুরুল হক হলের এক্সটেনশন বিল্ডিংয়ের অবস্থা অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। এসব ভবনে যেকোনো সময় বড় ধরণের দুর্ঘটনা ঘটার আশঙ্কা রয়েছে।

শিক্ষার্থীরা বলছেন, কিছু কিছু ভবন এতটাই অনুপযুক্ত হয়ে পড়েছে যেগুলো সংস্কার করলেও কোনো লাভ হবে না। সেজন্য নতুন কোনো হল নির্মিত হলে তাতে ঝঁকিপূর্ণ হলের শিক্ষার্থীদের স্থানান্তরিত করে সেটা ভেঙে ফেলে নতুন করে তৈরি করতে হবে। তা না হলে কেবল সংস্কার ভূমিকম্প রোধ করতে পারবে না।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য় অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বাংলানিউজকে বলেন, “আর্থিক সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও বিশ্ববিদ্যালয়ে সর্বত্রই সংস্কার কাজ চলছে।  নতুন নতুন হল নির্মাণ করা হচ্ছে। ধীরে ধীরে এসব সমস্যা কেটে যাবে।”

উল্লেখ্য, ১৯৮৫ সালের ১৫ই অক্টোবর জগন্নাথ হলের  টিভি কক্ষের ছাদ ধসে ৩৯ শিক্ষার্থীর প্রাণহানির ঘটনা ঘটে।

সাভারের ‘মৃত্যুকূপ’ থেকে ফেরা জিয়া জিপিএ-৫ পেয়েছে

গরিব ঘরের সন্তান জিয়াউর রহমান। একটি ভালো কলেজে ভর্তির টাকা জোগার করতেই সাভারের রানা প্লাজায় চাকরি নিয়েছিল সে। কিন্তু ভয়াবহ ভবন ধসে গুরুতর আহত জিয়া কবির কবিতার মতোই, মৃত্যুর মুখ থেকে জীবনের দিকে পালিয়ে আসে।

মৃত্যুকূপ থেকে ফিরে জীবনের চরম এ দুঃসময়ের মধ্যেও সুসংবাদ হচ্ছে, এবারের এসএসসি পরীক্ষায় এই মেধাবী জিপিএ-৫ পেয়েছে। কিন্তু পরম আনন্দের মধ্যেও দুঃশ্চিন্তা যেন পিছু ছাড়ছে না তার।

ভালো কলেজে ভর্তি অত:পর লেখাপড়া চালিয়ে যেতে প্রয়োজন টাকা। কিন্তু সেই টাকা কে দেবে, কিভাবে জোগার হবে, সেই চিন্তায় অস্থির জিয়া ও তার পরিবার।

মেধাবী জিয়ার সোজাসাপ্টা ভাষ্য, “আমি ভালো কলেজে ভর্তি হতে চাই। লেখাপড়া করে বড় চিকিৎসক হতে চাই।”

জানা গেছে, ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার বড়হিত ইউনিয়নের নওপাড়া গ্রামের মজুর আব্দুল হেলিমের ৪ সন্তানের মধ্যে জিয়া তৃতীয়। ঢাকায় তার বাবা দিনমজুর ও মা জুলেখা খাতুন গৃহ পরিচারিকার কাজ করেন।

প্রতিকূল পরিস্থিতিতে দারিদ্র্যের যাতাকলে পিষ্ট হয়েও এবারের এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ ৫ পেয়েছে জিয়া।

জিয়া বলেন, “আমার আত্মবিশ্বাস ছিল ভালো করবো। সেই বিশ্বাস থেকেই এইচএসসি’তে ভালো কলেজে ভর্তির টাকা জোগার করতে সাভারের রানা প্লাজার পোশাক কারখানায় কাজ নিয়েছিলাম। ২৫ এপ্রিল আল্লাহ’র অশেষ রহমতে ‘ভয়ঙ্কর মৃত্যুকূপ’ থেকে প্রাণে রক্ষা পেয়েছি। কিন্তু এখন আমার স্বপ্ন কিভাবে পূরণ হবে কিছুই জানি না।”

অদম্য এ মেধাবী’র বাবা-মায়ের স্বপ্ন তাদের ছেলে চিকিৎসক হবে।

এ প্রসঙ্গে জিয়া বলেন, “বাবা-মায়ের ভীষণ ইচ্ছা আমি ভালো কলেজে পড়বো। চিকিৎসক হবো। মানবতার সেবা করবো। কিন্তু এরজন্য তো প্রয়োজন অর্থ। সেই অর্থই তো আমাদের নেই।”

দারিদ্র্যের অন্ধকার ঘরে এক টুকরো আশার আলো জ্বালিয়েছেন জিয়া। ছেলের এ ফলাফলে খুশি বাবা আব্দুল হেলিম ও মা জুলেখা বেগমও। কিন্তু তাদের মুখে হাসি নেই।

সংসার চালাতেই যেখানে চরম হিমশিম খেতে হয়, সেখানে ছেলের শিক্ষা খরচ কিভাবে চালাবেন, এ নিয়ে ভীষণ চিন্তিত জিয়ার বাবা-মা।

জিয়ার বাবা আব্দুল হেলিম বলেন, “আমরা দরিদ্র মানুষ। কেউ যদি আমার ছেলেকে পড়াশোনা চালিয়ে যেতে সাহায্যের জন্যে এগিয়ে আসতেন তবে আমাদের সেই স্বপ্ন পূরণ হতো।”

জিয়ার কৃতিত্বের প্রশংসা করে ঈশ্বরগঞ্জ বিশ্বেশ্বরী পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হাসিম উদ্দিন জানান, “শত অভাব ও দুঃখ জিয়াকে দমিয়ে রাখতে পারেনি। প্রতি ক্লাসেই সে মেধার স্বাক্ষর রেখেছে। মেধাবী এ তরুণকে অভিষ্ট লক্ষ্যে পৌছাঁতে সবার সহযোগিতার প্রয়োজন।”

কক্সবাজারে পর্ণো ভিডিও চক্রের ৫ নারীসহ আটক ১৫

কক্সবাজার শহরের কলাতলীর হোটেল মোটেল জোনের সি ভিউ অ্যাপার্টম্যান্ট থেকে বৃহস্পতিবার রাতে পর্ণো ভিডিও তৈরি চক্রের  ৫ নারী সদস্যসহ ১৫ জনকে আটক করেছে পুলিশ।

আটকদের মধ্যে রয়েছেন এ চক্রের প্রধান হোতা কক্সবাজার হোটের মোটেল  ও গেস্ট হাউস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেম সিকদারের ছোট ভাই জসিম উদ্দিন। জমিস উদ্দিন কক্সবাজার শহরের বাহারছড়া এলাকার মৃত আশরাফজ্জামানের ছেলে।

আটক অন্যান্যরা হলেন, লাইট হাউজ এলাকার মৃত আমির হোসেনের ছেলে আবদুর রাজ্জাক, পোকখালী নতুন বাজার এলাকার অজি উল্লাহ ছেলে মো. সেলিম উল্লাহ, র্পূব পোকখালী এলাকার মো. ইলিয়াছের ছেলে আইয়ুব, একই এলাকার মোজাফ্ফর আহমদের ছেলে এনামুল কবির, লাইট হাউজ এলাকার মৃত আলমের ছেলে শুক্কুর আলী, বিডিআর ক্যাম্প এলাকার ইয়াদ করিমের ছেলে সাদেকুর রহমান, ভারুয়াখালি এলাকার মৃত এমদাদুলের ছেলে সেলিম উল্লাহ, বরগুনার আব্দু রহমান ব্যাপারীর ছেলে সুমন এবং বড় মহেশখালী নুর মোহাম্মদের ছেলে সাইদ।

আটক চক্রের নারী সদস্যরা হলেন, রোহিঙ্গা আমেনা, চকরিয়ার সুমি, রামুর ইয়াসমিন, চকরিয়ার সায়েমা এবং লোহাগড়ার রুজিনা।

সিভিউ অ্যাপার্টমেন্টির এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বাংলানিউজকে জানিয়েছেন, কক্সবাজার হোটের মোটেল  ও গেস্ট হাউস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেম সিকদারের ছোট ভাই জসিম উদ্দিন ও তার সহযোগী সেলিম মিলে একটি চক্র পর্ণো ছবি তৈরি করে আসছে। রাতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে পর্ণো ভিডিওসহ এদের আটক করে।

কক্সবাজার সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জমিস উদ্দিন জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ওই অ্যাপার্টমেন্টে অভিযান চালিয়ে অসামাজিক কাজ করার সময় ৫ নারী সহ ১৫ জনকে আটক করা হয়।

এদিকে খোদ কক্সবাজার হোটের মোটেল ও গেস্ট হাউস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদকের ছোট ভাইকে হোটেল মোটেল জোনে অসামাজিক কার্যকলাপ ও পর্ণো ফ্লিম তৈরির সঙ্গে জড়িত থাকায়ে আটক হওয়ায় শহরে জুড়ে তুমুল সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে, কক্সবাজার হোটের মোটেল ও গেস্ট হাউস মালিক সমিতির সাধারণ
 সম্পাদক আবুল কাশেম সিকদার কিছুই জানেন না বলে জানিয়েছেন।

অনুসন্ধানে জানা যায়, একটি চক্র দীর্ঘদিন ধরে কক্সবাজারের আবাসিক হোটেল কেন্দ্রিক পর্ণো ভিডিও তৈরি করে তা বাজারজাত করে আসছে। কক্সবাজারের প্রায় ৩০টি হোটেল এ চক্রটির নিরাপদ আশ্রয়স্থলে পরিণত হয়েছে। চক্রটির সঙ্গে রয়েছে নারী সদস্যরাও। এতে হোটেল মোটেল ব্যক্তিগত নিরাপত্তা নিয়ে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।

কোহিনূর কেমিক্যাল কম্পানি


পদ ও যোগ্যতা : শিক্ষানবিস বিক্রয় প্রতিনিধি। স্নাতক।
অভিজ্ঞতা : নিষ্প্রয়োজন।
বেতন : আলোচনা সাপেক্ষে।
উচ্চতা : পাঁচ ফুট চার ইঞ্চি (ন্যূনতম)।
বয়সসীমা : সর্বোচ্চ ৩০ বছর।
কাজের জায়গা : নোয়াখালী।
আবেদনের শেষ তারিখ : ১৪ মে।
ছবি এবং পূর্ণাঙ্গ সিভিসহ নিম্নঠিকানায় সকাল সাড়ে ১০টায় সরাসরি উপস্থিত হয়ে সাক্ষাৎকার দিন।
ঠিকানা : নোয়াখালী রিজিওনাল অফিস, কোহিনূর কেমিক্যাল কম্পানি, কবির উদ্দিন (মেসার্স আজমীর হোটেলের উপরে), বড় পুল, চৌমুহনী, নোয়াখালী।
সূত্র : www.bdjobs.com