সম্প্রতি এক জরিপে দেখা গেছে, ব্রিটেনের প্রায় ৭০ শতাংশ মানুষের দেশটির
সংবাদ মাধ্যমের প্রতি কোনো আস্থা নেই। সেখানকার সাধারণ মানুষ মনে করেন,
সংবাদ মাধ্যমগুলো সত্য খবর প্রকাশের চেয়ে মুনাফা অর্জনকে বেশি গুরুত্ব দিয়ে
থাকে।আইপিএসওএস/এমওআরআই সমগ্র ব্রিটেনে এ জরিপ চালিয়েছে এবং এতে ১০১৮ জন
প্রাপ্তবয়স্ক ব্রিটিশ নাগরিক অংশগ্রহণ করেছেন। জরিপে অংশগ্রহণকারীদের মাত্র
২১ শতাংশ বলেছেন, তারা ব্রিটিশ সংবাদ মাধ্যম ও সাংবাদিকদের সত্যনিষ্ঠ বলে
মনে করেন।
Saturday, February 23, 2013
ব্রিটেনের বেশির ভাগ মানুষ গণমাধ্যমে বিশ্বাস করে না
Friday, February 22, 2013
রাজধানীতে অশ্লীল ছবি ও পোস্টার
রাজধানীর গুলিস্তান শপিং কমপ্লেঙ্ থেকে বুধবার রাতে বিপুল পরিমাণ অশ্লীল
ছবির রিল, পোস্টার, ফটোসেটসহ ছয়জনকে গ্রেফতার করেছে র্যাব। তারা হলেন
সাজ্জাদ হোসেন, ইকবাল হোসেন মিলন, আবু তাহের, সুরুজ সরদার, শাজাহান ও
বিশ্বনাথ সাহা। তাদের বিরুদ্ধে পল্টন মডেল থানায় মামলা হয়েছে। র্যাব-৩ এর
কমান্ডার অতিরিক্ত ডিআইজি মলি্লক ফখরুল ইসলাম জানান, বুধবার রাতে গুলিস্তান
শপিং কমপ্লেঙ্রে ষষ্ঠ তলায় অভিযান চালানো হয়। এ সময় বিভিন্ন ছায়াছবির
অশ্লীল দৃশ্য সংবলিত ২৫১ ক্যান রিল, ১০ হাজার পোস্টার, ৪০০টি ফটোসেট উদ্ধার
করা হয়। ঘটনায় জড়িত অভিযোগে ওই ছয়জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ক্যাপ্টেন
এনামুল হকের নেতৃত্বে র্যাবের একটি দল এ অভিযান পরিচালনা করে বলে জানান
তিনি।
বইমেলায়ও জনস্রোত
একুশের চেতনায় প্রাণের বইমেলা গতকাল তার চিরাচরিত
রূপ ফিরে পায়। মাতৃভাষার চেতনায় উদ্দীপ্ত হয়ে মেলায় আসেন অগণিত
আবালবৃদ্ধবনিতা। রাষ্ট্রভাষা বাংলা চাই, আ ম রি বাংলা ভাষাসহ নানা ধরনের
স্লোগানে অঙ্কিত লাল-সবুজের পোশাক আর আলপনায় গোটা মেলা প্রাঙ্গণে ছিল
একুশের আবহ। এ ছাড়া যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসির দাবিতে এবারের মেলায় একাত্তরের
চেতনাও প্রতিফলিত হয়েছে। সকালে শহীদ মিনার থেকেই জনস্রোত নেমেছিল মেলা
প্রাঙ্গণে। সারিবদ্ধ হয়ে মেলায় ঢুকার পাশাপাশি স্টলগুলোতে ছিল উপচে পড়া
ভিড়। শহীদ মিনারের বেদিতে শহীদদের পুষ্পার্ঘ্য নিবেদন শেষে অনেকেই ছুটে
আসেন বইমেলায়। সকাল ৮টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত ছিল বইপ্রেমীদের উপচে পড়া
ভিড়। বিক্রি বাড়ায় প্রকাশকদের মুখে ছিল হাসি। তবে বরাবরের মতো এবারও
নন্দিত লেখক হুমায়ূন আহমেদের বই বেশি বিক্রি হয়েছে। অন্যপ্রকাশের স্টলে
হুমায়ূন আহমেদের 'দেয়াল' কিনতে ক্রেতাদের ভিড় দেখা গেছে।
২৩৪৭ নতুন বই : প্রাপ্ত তথ্যানুযায়ী, ২১ দিনে মেলায় ২৩৪৭টি নতুন বই প্রকাশিত হয়েছে। গতবার এ সময়ে প্রকাশ হয়েছিল ২৭৯২টি। সে হিসাবে গতবারের তুলনায় এবার ৪৪৫টি বই কম প্রকাশ হয়েছে। এর আগে ২০১১ সালে ২২৭৩টি, ২০১০ সালে ২৬৩০টি, ২০০৯ সালে ২১৯৭টি, ২০০৮ সালে ১৯৫৫টি, ২০০৭ সালে ১৪৬৪টি ও ২০০৬ সালে ১৬৬০টি প্রকাশ হয়। এ বছর প্রকাশের দিক থেকে এখন পর্যন্ত এগিয়ে রয়েছে কবিতার বই (৫৭৫টি)। এ ছাড়া গল্প ৩০৮, উপন্যাস ৪২৪, প্রবন্ধ ১৫৯, গবেষণা ৩২, ছড়া ৭৩, শিশুসাহিত্য ৮২, জীবনী/ স্মৃতিচারণ ৭৩, রচনাবলি ১, ভাষা আন্দোলন/ মুক্তিযুদ্ধ ৪৭, নাটক ১৪, গণিত/ বিজ্ঞান ৪২, ভ্রমণ ৪১, ইতিহাস ৩২, রাজনীতি ১৬, চিকিৎসা/স্বাস্থ্য ২১, কম্পিউটার ২, রম্য/ ধাঁধা ৪৯, ধর্মীয় ১৭, অনুবাদ ২৭, অভিধান ১, বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনী ও গোয়েন্দা ১৯ এবং অন্যান্য বিষরের ওপর ২৮৭টি বই।
গতকাল নজরুল মঞ্চে ১৩টি বইয়ের মোড়ক উন্মোচিত হয়েছে। এর মধ্যে আবদুস সোবহান সিকদারের 'দুই পাখি এক বনে'; আবদুর রউফের 'পর্বতকন্যা' ও গীতালী হাসানের 'বিগ ফাইভ আর পাখির দেশে' অন্যতম। এদিকে ২২৫টি নতুন বই এসেছে। এর মধ্যে গল্প ৩৯, উপন্যাস ৩৬, প্রবন্ধ ১৫, কবিতা ৫২, গবেষণা ৪, ছড়া ১০, শিশুসাহিত্য ৬, জীবনী ৬, মুক্তিযুদ্ধ ২, নাটক ১, বিজ্ঞান ৩, ভ্রমণ ৪, ইতিহাস ২, রাজনীতি ১, চিকিৎসা/স্বাস্থ্য ৪, কম্পিউটার ১, রম্য/ধাঁধা ৫, ধর্মীয় ২, অনুবাদ ২, অভিধান ১ এবং অন্যান্য বিষয়ের ওপর ২৯টি। সকালে মেলার মূলমঞ্চে অনুষ্ঠিত স্বরচিত কবিতা পাঠের আসরে সভাপতিত্ব করেন কবি আসাদ চৌধুরী। সন্ধ্যার সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে সাড়া জাগানো 'কাঁদতে আসিনি ফাঁসির দাবি নিয়ে এসেছি' কবিতার কবি মাহবুব উল আলম চৌধুরীকে নিয়ে নির্মিত তথ্যচিত্র প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়। পরে সংগীত পরিবেশন করেন ফকির আলমগীর, আবদুল জব্বার, তিমির নন্দী, নমিতা ঘোষ, মহাদেব ঘোষ, শ্রেয়সী রায়, বিমান চন্দ্র বিশ্বাস, আবদুল হালিম খান ও দীপঙ্কর মণ্ডল
২৩৪৭ নতুন বই : প্রাপ্ত তথ্যানুযায়ী, ২১ দিনে মেলায় ২৩৪৭টি নতুন বই প্রকাশিত হয়েছে। গতবার এ সময়ে প্রকাশ হয়েছিল ২৭৯২টি। সে হিসাবে গতবারের তুলনায় এবার ৪৪৫টি বই কম প্রকাশ হয়েছে। এর আগে ২০১১ সালে ২২৭৩টি, ২০১০ সালে ২৬৩০টি, ২০০৯ সালে ২১৯৭টি, ২০০৮ সালে ১৯৫৫টি, ২০০৭ সালে ১৪৬৪টি ও ২০০৬ সালে ১৬৬০টি প্রকাশ হয়। এ বছর প্রকাশের দিক থেকে এখন পর্যন্ত এগিয়ে রয়েছে কবিতার বই (৫৭৫টি)। এ ছাড়া গল্প ৩০৮, উপন্যাস ৪২৪, প্রবন্ধ ১৫৯, গবেষণা ৩২, ছড়া ৭৩, শিশুসাহিত্য ৮২, জীবনী/ স্মৃতিচারণ ৭৩, রচনাবলি ১, ভাষা আন্দোলন/ মুক্তিযুদ্ধ ৪৭, নাটক ১৪, গণিত/ বিজ্ঞান ৪২, ভ্রমণ ৪১, ইতিহাস ৩২, রাজনীতি ১৬, চিকিৎসা/স্বাস্থ্য ২১, কম্পিউটার ২, রম্য/ ধাঁধা ৪৯, ধর্মীয় ১৭, অনুবাদ ২৭, অভিধান ১, বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনী ও গোয়েন্দা ১৯ এবং অন্যান্য বিষরের ওপর ২৮৭টি বই।
গতকাল নজরুল মঞ্চে ১৩টি বইয়ের মোড়ক উন্মোচিত হয়েছে। এর মধ্যে আবদুস সোবহান সিকদারের 'দুই পাখি এক বনে'; আবদুর রউফের 'পর্বতকন্যা' ও গীতালী হাসানের 'বিগ ফাইভ আর পাখির দেশে' অন্যতম। এদিকে ২২৫টি নতুন বই এসেছে। এর মধ্যে গল্প ৩৯, উপন্যাস ৩৬, প্রবন্ধ ১৫, কবিতা ৫২, গবেষণা ৪, ছড়া ১০, শিশুসাহিত্য ৬, জীবনী ৬, মুক্তিযুদ্ধ ২, নাটক ১, বিজ্ঞান ৩, ভ্রমণ ৪, ইতিহাস ২, রাজনীতি ১, চিকিৎসা/স্বাস্থ্য ৪, কম্পিউটার ১, রম্য/ধাঁধা ৫, ধর্মীয় ২, অনুবাদ ২, অভিধান ১ এবং অন্যান্য বিষয়ের ওপর ২৯টি। সকালে মেলার মূলমঞ্চে অনুষ্ঠিত স্বরচিত কবিতা পাঠের আসরে সভাপতিত্ব করেন কবি আসাদ চৌধুরী। সন্ধ্যার সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে সাড়া জাগানো 'কাঁদতে আসিনি ফাঁসির দাবি নিয়ে এসেছি' কবিতার কবি মাহবুব উল আলম চৌধুরীকে নিয়ে নির্মিত তথ্যচিত্র প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়। পরে সংগীত পরিবেশন করেন ফকির আলমগীর, আবদুল জব্বার, তিমির নন্দী, নমিতা ঘোষ, মহাদেব ঘোষ, শ্রেয়সী রায়, বিমান চন্দ্র বিশ্বাস, আবদুল হালিম খান ও দীপঙ্কর মণ্ডল
Thursday, February 21, 2013
আজ অমর একুশে
অগ্নিকাণ্ডে এসএসসি পরীক্ষার ২৫০ খাতা পুড়ে ছাই
চট্টগ্রামের ফটিকছড়িতে অগ্নিকাণ্ডে এসএসসি পরীক্ষার ২৫০টি খাতা পুড়ে ছাই
হয়েছে। গতকাল বুধবার রাত ৯টায় জাফত নগর ইউনিয়নের বড়ুয়া পাড়ায় এই
অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়। খবর পেয়ে হাটহাজারী ফায়ার সার্ভিস ষ্টেশনের
কর্মীরা দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণ করেন।
জাফতনগর ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল হালিম জানান, জাহানপুর বড়ুয়া পাড়ার প্রকৌশলী
মিনাল কান্তি বড়ুয়ার বাড়িতে নানুপুর আবু সোবহান উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক
শান্তি বড়ুয়া ভাড়া থাকেন। তাদের বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে সৃষ্ট আগুনে
এসএসসি পরীক্ষার ২৫০টি খাতা, একটি মোটরসাইকেল, একটি সাইকেল, নগদ ৪৫ হাজার
টাকা, টিভি, ফ্রিজ, ব্যাংকের চেক বইসহ বিভিন্ন মুল্যবান জিনিস পত্র পুড়ে
ছাই হয়েছে। এতে প্রায় ২০ লক্ষ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। অগ্নিকাণ্ডের খবর
পেয়ে স্থানীয় লোকজন ও হাটহাজারী ফায়ার সার্ভিস ষ্টেশনের কর্মকর্তারা দ্রুত
এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন।
নানুপুর আবু সোবহান উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক শান্তি বড়ুয়া বলেন, চট্টগ্রাম
শিক্ষা বোর্ডের এসএসসি পরীক্ষার বাংলা দ্বিতীয় পত্রের ২৫০টি খাতার অধিকাংশ
খাতা মুল্যায়ন করা হয়েছিল। বাকিগুলো অগ্নিকাণ্ডে নষ্ট হয়েছে।
ফটিকছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অঞ্জনা মজলিশ বলেন, অগ্নিকাণ্ডের খবর
পেয়েছি। পরীক্ষার খাতার মুল্যায়নের দায়িত্বপ্রাপ্ত শিক্ষককে এ ব্যাপারে
থানায় জিডি করতে বলা হয়েছে এবং শিক্ষা বোর্ডকে অবহিত করতে বলা হয়েছে।
বোর্ড এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবেন।
ঢাকায় আর্টিকুলেটেড বাস চলাচল শুরু
দেশে প্রথমবারের মতো যাত্রী পরিবহনকারী বিশেষ ধরনের আর্টিকুলেটেড বাস
চলাচল শুরু হয়েছে। গতকাল বুধবার সকালে রাজধানীর ফার্মগেটে নতুন ধরনের এই
বাস চলাচলের উদ্বোধন করেন যোগাযোগমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। আপাতত ঢাকায় এ রকম
১০টি বাস চলবে বলে জানা গেছে।
গতকাল উদ্বোধনের পর যোগাযোগমন্ত্রী টিকিট কেটে আর্টিকুলেটেড বাসে চড়ে
ফার্মগেট থেকে বনানী সেতু ভবন পর্যন্ত যান। উদ্বোধনকালে মন্ত্রী বলেন, ঢাকা
মহানগরীতে যাত্রীসাধারণের পরিবহন সংকট নিরসনে এ বাস ভূমিকা রাখবে। পরে তা
চট্টগ্রাম, রাজশাহী, খুলনা, সিলেট, বরিশাল ও রংপুরে চালু করা হবে।
অনুষ্ঠানে বিআরটিসি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ হেল করিম, সড়ক বিভাগের
যুগ্ম সচিব মঈনউদ্দিনসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। বিআরটিসি
সূত্রে জানা গেছে, এপ্রিলের মধ্যে আরো ৪০টি বাস দেশে পৌঁছানোর কথা। এগুলো
পর্যায়ক্রমে সব বিভাগীয় শহরে চালু করা হবে। প্রতিটি আর্টিকুলেটেড বাসে
আসনসংখ্যা ১৩০। রাজধানীতে আর্টিকুলেটেড বাস সার্ভিস জয়দেবপুর
চৌরাস্তা-ঢাকা বাইপাস-জাতীয়
বিশ্ববিদ্যালয়-টঙ্গী-আবদুল্লাহপুর-উত্তরা-হাজিক্যাম্প-আর্মি
স্টেডিয়াম-কাকলী-বিজয় সরণি-ফার্মগেট-শাহবাগ-মৎস্য ভবন- প্রেসক্লাব-জিরো
পয়েন্ট রুটে চলাচল করবে।
কফির ভুসিতে চলে গাড়ি
অকেজো মনে করে যেসব জিনিস আমরা ফেলে দিই, সেসব জিনিসকে কাজে লাগানোর
চেষ্টা এখন বিশ্বজুড়ে বেশ জনপ্রিয়। তেমনই একটি বাতিল জিনিসকে গাড়ির
জ্বালানি হিসেবে অনায়াসে কাজে লাগানো হচ্ছে। সেই গাড়ির গতিও কম নয়। ঘণ্টায়
সর্বোচ্চ ৬৫ মাইল। গাড়িটির জ্বালানি হিসেবে কাজে লাগানো সেই জিনিসটি আসলে
কফি বীজের ভুসি। কফির ভুসিচালিত এই গাড়িটির মালিক উত্তর-পূর্ব ইংল্যান্ডের
অধিবাসী মার্টিন বেকন। এ ধরনের গাড়ি ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৬৫ মাইল গতিতে চলার
ঘটনাও এটাই প্রথম। ফলে গাড়িটি ইতিমধ্যেই গিনেজ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস
কর্তৃপক্ষের নজরে পড়েছে।
মূলত, কফি প্রক্রিয়াজাতকরণ কারখানা থেকে উৎপাদিত ভুসির গুটিগুলো এ ধরনের
গাড়ির জ্বালানি হিসেবে কাজ করা হয়। গাড়ির পেছনের একটি অংশে চারকোলের আগুন
দিয়ে ভুসিতে তাপ দেওয়া হয়। এর ফলে কার্বন মনোঙ্াইড এবং হাইড্রোজেন গ্যাস
উৎপন্ন হয়। এ গ্যাস ঠাণ্ডা করে গাড়ির জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করা হয়।
ঠাণ্ডা মাথায় খুন
প্রথম ছবিতে দেখা যাচ্ছে, তামিল গেরিলা নেতা ভেলুপিল্লাই প্রভাকরণের ছেলে
বালাচন্দ্রন প্রভাকরণ (১২) শ্রীলঙ্কার কোনো এক বাঙ্কারে আটকাবস্থায় বসে
আছে। গায়ে লুঙ্গির মতো কিছু একটা জড়ানো। হাতে খাবারের প্যাকেট। পাশে পানির
মগ। পরের ছবিতে প্যাকেট থেকে বের করে কিছু একটা মুখে পুরছে সে। শেষ ছবিতে
মাটিতে নিথর পড়ে আছে তার দেহ। বুকে পাঁচটি গুলির চিহ্ন।
তিনটি ছবিই তোলা হয়েছে ২০০৯ সালের ১৯ মে, সকাল ১০টা ১৪ মিনিট থেকে দুপুর
১২টা ১ মিনিটের মধ্যে। এদিন প্রায় একই সময়ে প্রভাকরণকেও হত্যা করা হয় এবং
তার হত্যার মধ্য দিয়েই তামিলদের পরাস্ত করে বিজয়ী হয় সরকারি বাহিনী।
ব্রিটিশ পরিচালক ক্যালাম ম্যাক্রে নির্মিত 'নো ফায়ার জোন' তথ্যচিত্রের
সুবাদে গত মঙ্গলবার ছবিগুলো সবার সামনে এসেছে। একই সঙ্গে তামিলবিরোধী
অভিযানে সরকারি বাহিনীর সংঘটিত মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগটিও নতুন করে
সামনে এসেছে।
শুরু থেকেই সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, ক্রস ফায়ারে পড়ে মারা গেছে
বালাচন্দ্রন। তবে ম্যাক্রের দাবি, বালাচন্দ্রনকে ঠাণ্ডা মাথায় খুন করা
হয়েছে।
Wednesday, February 20, 2013
সোনার চেয়ে দামি উল্কার খোঁজে মানুষের ঢল!
এক খণ্ড উল্কাপিণ্ড সোনার চেয়েও দামি হতে পারে। আর তাই উল্কাপিণ্ডের খোঁজে
রাশিয়ার উরাল পাহাড়ের দিকে ছুটছে মানুষ। এক খবরে এ তথ্য জানিয়েছে বার্তা
সংস্থা রয়টার্স।
রাশিয়ার মধ্যাঞ্চলীয় উরাল এলাকায় ১৫ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার সকালে প্রচণ্ড বিস্ফোরণের পর আকাশ থেকে জলন্ত একটি বস্তু এসে পড়েছে। বিস্ফোরণের ধাক্কায় জানালার কাঁচ ভেঙে এক হাজার ২০০ জন মানুষ আহত হয়েছে এবং তিন কোটি ডলারেরও বেশি ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছিলেন দেশটির কর্মকর্তারা। এ বস্তুটি উল্কাপিণ্ড বলে নিশ্চিত করেছেন গবেষকেরা।
মস্কো থেকে ১৫শ’ কিলোমিটার পূবের শিল্প শহর চেলিয়াবিনস্কে আকাশে উজ্জ্বল আলো ছড়িয়ে উল্কাপিণ্ডটি কাছাকাছি কোথাও মাটিতে এসে আঘাত হানে। পরে জানা যায়, চেলিয়াবিনস্কের শহর চেবারকুলের কাছে একটি লেকে এসে পড়েছে বৃহদাকারের এ উল্কা। উল্কাটি সাদা ধোঁয়ার একটি দীর্ঘ রেখা রেখে যায়, যা ২শ’ কিলোমিটার দূরের ইয়েকেটেরিনবার্গ শহর থেকেও দেখা গেছে। উল্কাপিণ্ডের ছোটো ছোটো টুকরার সন্ধানে এখন মানুষ ছুটছে ওই এলাকায়।
ধারণা করা হচ্ছে, প্রতিখণ্ড উল্কা অনেক দামে বিক্রি করা যাবে। তাই উল্কা সন্ধানী অনেক মানুষ বরফ, তুষারের মধ্যেও খুঁজে ফিরছেন দামি এক টুকরো উল্কাপিণ্ড।
দিমিত্রি কাচকেইন নামের এক শৌখিন উল্কাসন্ধানীর ভাষ্য, এক টুকরো বা স্রেফ এক গ্রাম উল্কা বা মহাজাগতিক পদার্থের একটি ক্ষুদ্র খন্ডের দাম হতে পারে ৬৬ হাজার রুবল বা প্রায় আড়াই হাজার মার্কিন ডলার যা সোনার চেয়ে ৪০ গুণ দামি। তবে শুধু বাজার মূল্য হিসেবেই উল্কাকে বিবেচনা করা যাবে না। যত বেশি খণ্ড সংগ্রহ করা যাবে দাম তত বেশি চড়া হবে।
সবার আগে উরাল ফেডারেল ইউনিভার্সিটির গবেষকেরা ৫৩ খণ্ড উল্কা খুঁজে পাওয়ার ঘোষণা দেন। গবেষকেরা পরীক্ষা করে নিশ্চিত হয়েছেন যে, ছোটো একটি উল্কাপিণ্ডের টুকরো এগুলো।
গবেষকেরা যে টুকরোগুলো পেয়েছেন সেগুলোর আকার খুবই ছোটো। তবে গবেষকেরা আশা করছেন, উল্কাখণ্ডটির আরও বড় টুকরা হয়ত তাঁরা খুঁজে পাবেন।
রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চেলিয়াবিনস্কের আশপাশের এলাকা থেকে ২০ হাজারের বেশি মানুষ উল্কাপিণ্ডের খোঁজে নেমেছে। উল্কাসন্ধানীরা অনেকেই এ বস্তুটিকে মহামূল্যবান মনে করছেন। তাই তাঁরা কোনো টুকরো পেলে বিক্রি করতে নারাজ। তাঁরা উল্কাপিণ্ডের টুকরা খুঁজে পেলে স্মারক হিসেবে নিজের কাছে রেখে দিতে চান।
এদিকে, উল্কা নিয়ে অনলাইনে কেনা-বেচা বেশ জমজমাট হওয়ার বিষয়টিও চোখে পড়ছে।
রাশিয়ার মধ্যাঞ্চলীয় উরাল এলাকায় ১৫ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার সকালে প্রচণ্ড বিস্ফোরণের পর আকাশ থেকে জলন্ত একটি বস্তু এসে পড়েছে। বিস্ফোরণের ধাক্কায় জানালার কাঁচ ভেঙে এক হাজার ২০০ জন মানুষ আহত হয়েছে এবং তিন কোটি ডলারেরও বেশি ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছিলেন দেশটির কর্মকর্তারা। এ বস্তুটি উল্কাপিণ্ড বলে নিশ্চিত করেছেন গবেষকেরা।
মস্কো থেকে ১৫শ’ কিলোমিটার পূবের শিল্প শহর চেলিয়াবিনস্কে আকাশে উজ্জ্বল আলো ছড়িয়ে উল্কাপিণ্ডটি কাছাকাছি কোথাও মাটিতে এসে আঘাত হানে। পরে জানা যায়, চেলিয়াবিনস্কের শহর চেবারকুলের কাছে একটি লেকে এসে পড়েছে বৃহদাকারের এ উল্কা। উল্কাটি সাদা ধোঁয়ার একটি দীর্ঘ রেখা রেখে যায়, যা ২শ’ কিলোমিটার দূরের ইয়েকেটেরিনবার্গ শহর থেকেও দেখা গেছে। উল্কাপিণ্ডের ছোটো ছোটো টুকরার সন্ধানে এখন মানুষ ছুটছে ওই এলাকায়।
ধারণা করা হচ্ছে, প্রতিখণ্ড উল্কা অনেক দামে বিক্রি করা যাবে। তাই উল্কা সন্ধানী অনেক মানুষ বরফ, তুষারের মধ্যেও খুঁজে ফিরছেন দামি এক টুকরো উল্কাপিণ্ড।
দিমিত্রি কাচকেইন নামের এক শৌখিন উল্কাসন্ধানীর ভাষ্য, এক টুকরো বা স্রেফ এক গ্রাম উল্কা বা মহাজাগতিক পদার্থের একটি ক্ষুদ্র খন্ডের দাম হতে পারে ৬৬ হাজার রুবল বা প্রায় আড়াই হাজার মার্কিন ডলার যা সোনার চেয়ে ৪০ গুণ দামি। তবে শুধু বাজার মূল্য হিসেবেই উল্কাকে বিবেচনা করা যাবে না। যত বেশি খণ্ড সংগ্রহ করা যাবে দাম তত বেশি চড়া হবে।
সবার আগে উরাল ফেডারেল ইউনিভার্সিটির গবেষকেরা ৫৩ খণ্ড উল্কা খুঁজে পাওয়ার ঘোষণা দেন। গবেষকেরা পরীক্ষা করে নিশ্চিত হয়েছেন যে, ছোটো একটি উল্কাপিণ্ডের টুকরো এগুলো।
গবেষকেরা যে টুকরোগুলো পেয়েছেন সেগুলোর আকার খুবই ছোটো। তবে গবেষকেরা আশা করছেন, উল্কাখণ্ডটির আরও বড় টুকরা হয়ত তাঁরা খুঁজে পাবেন।
রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চেলিয়াবিনস্কের আশপাশের এলাকা থেকে ২০ হাজারের বেশি মানুষ উল্কাপিণ্ডের খোঁজে নেমেছে। উল্কাসন্ধানীরা অনেকেই এ বস্তুটিকে মহামূল্যবান মনে করছেন। তাই তাঁরা কোনো টুকরো পেলে বিক্রি করতে নারাজ। তাঁরা উল্কাপিণ্ডের টুকরা খুঁজে পেলে স্মারক হিসেবে নিজের কাছে রেখে দিতে চান।
এদিকে, উল্কা নিয়ে অনলাইনে কেনা-বেচা বেশ জমজমাট হওয়ার বিষয়টিও চোখে পড়ছে।
কোপারনিকাস স্মরণে গুগলের ডুডল
১৯ ফেব্রুয়ারি ছিল প্রখ্যাত জ্যোতির্বিদ নিকোলাস কোপারনিকাসের জন্মদিন।
অনুসন্ধান সেবাদাতা গুগল হোমপেজে তাঁর জন্মদিন উপলক্ষে বিশেষ একটি ডুডল
তৈরি করেছিল। এ ডুডলে সূর্যকে কেন্দ্র করে গ্রহের আবর্তন দেখানো হয়। খবর
‘গার্ডিয়ান’-এর।
জ্যোতির্বিজ্ঞানের এ প্রবাদপুরুষের জন্ম হয়েছিল ১৪৭৩ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি, পোল্যান্ডে—এমন ধারণাই প্রচলিত। পোল্যান্ডের তুরিন শহরে ধনী এক ব্যবসায়ী পরিবারে তাঁর জন্ম।
১৭ বছর বয়সে কোপারনিকাস ক্রাকাউ বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেন। এরপর তিনি ইতালির বলোনিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ধর্ম আইন পড়া শেষ করার পাশাপাশি বিখ্যাত গণিতবিদ ও পণ্ডিতদের কাছ থেকে গণিত ও জ্যোতির্বিদ্যা বিষয়েও পারদর্শিতা অর্জন করেন। পরে তিনি পদুয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে দর্শন ও চিকিত্সাবিজ্ঞানে পড়াশোনা করেন।
১৬ শতকেই জ্যোতির্বিদ নিকোলাস কোপারনিকাস জানিয়েছিলেন, পৃথিবী সূর্যের চারদিকে আবর্তিত হয়। ওই সময় ধারণা করা হতো, বিশ্বের কেন্দ্রেই আছে আমাদের পৃথিবী।
কোপারনিকাসের এ বৈপ্লবিক ধারণা সেসময়ের যাজকেরা মানতে পারেননি। ১৫৪৩ সালের মে মাসে গবেষণারত অবস্থায় তাঁকে হত্যা করা হয়। মারা যাওয়ার সময় তাঁর বৈপ্লবিক এ গবেষণাপত্র তাঁর হাতে ধরিয়ে দেওয়া হয়েছিল।
পোল্যান্ডের বাল্টিক কোস্টের ফ্রমব্রোক ক্যাথেড্রালের মেঝের নিচে তাঁকে সমাহিত করা হয়। সেসময়ের ধর্মযাজকেরা কোপারনিকাসের নতুন তত্ত্ব ধর্মবিরোধী বলে মানতে না পারলেও পরে তাঁর সে গবেষণা সত্য প্রমাণিত করেছেন গবেষকেরা। গবেষকেরা প্রমাণ করেছেন, সৌরজগতের প্রাণকেন্দ্র সূর্য। আর সূর্যকে কেন্দ্র করেই ঘুরছে পৃথিবীসহ অন্যান্য গ্রহ। কোপারনিকাসের গবেষণায় কোনো ভুল ছিল না।
৫০০ বছর আগে জ্যোতির্বিদ নিকোলাস কোপারনিকাসের যে আবিষ্কারকে বাতিল করে দিয়েছিলেন রোমান ক্যাথলিক চার্চের যাজকেরা, ২০১০ সালে এসে সেই সময়ের একজন নায়ক হিসেবে তাঁকে আবার সম্মানের সঙ্গে পুনরায় সমাধিস্থ করেছেন পোলিশ যাজকেরা।
২০০৫ সালে খুঁজে পাওয়া তাঁর মাথার খুলি ও হাড়; যেখান থেকে উদ্ধার করা হয়েছিল, সেখানেই আবার ধর্মীয় রীতি মেনে তাঁকে সমাধিস্থ করেন যাজকেরা। প্রচলিত আছে, কোপারনিকাস ওই গির্জাতেই চিকিত্সক হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
জ্যোতির্বিজ্ঞানের এ প্রবাদপুরুষের জন্ম হয়েছিল ১৪৭৩ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি, পোল্যান্ডে—এমন ধারণাই প্রচলিত। পোল্যান্ডের তুরিন শহরে ধনী এক ব্যবসায়ী পরিবারে তাঁর জন্ম।
১৭ বছর বয়সে কোপারনিকাস ক্রাকাউ বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেন। এরপর তিনি ইতালির বলোনিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ধর্ম আইন পড়া শেষ করার পাশাপাশি বিখ্যাত গণিতবিদ ও পণ্ডিতদের কাছ থেকে গণিত ও জ্যোতির্বিদ্যা বিষয়েও পারদর্শিতা অর্জন করেন। পরে তিনি পদুয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে দর্শন ও চিকিত্সাবিজ্ঞানে পড়াশোনা করেন।
১৬ শতকেই জ্যোতির্বিদ নিকোলাস কোপারনিকাস জানিয়েছিলেন, পৃথিবী সূর্যের চারদিকে আবর্তিত হয়। ওই সময় ধারণা করা হতো, বিশ্বের কেন্দ্রেই আছে আমাদের পৃথিবী।
কোপারনিকাসের এ বৈপ্লবিক ধারণা সেসময়ের যাজকেরা মানতে পারেননি। ১৫৪৩ সালের মে মাসে গবেষণারত অবস্থায় তাঁকে হত্যা করা হয়। মারা যাওয়ার সময় তাঁর বৈপ্লবিক এ গবেষণাপত্র তাঁর হাতে ধরিয়ে দেওয়া হয়েছিল।
পোল্যান্ডের বাল্টিক কোস্টের ফ্রমব্রোক ক্যাথেড্রালের মেঝের নিচে তাঁকে সমাহিত করা হয়। সেসময়ের ধর্মযাজকেরা কোপারনিকাসের নতুন তত্ত্ব ধর্মবিরোধী বলে মানতে না পারলেও পরে তাঁর সে গবেষণা সত্য প্রমাণিত করেছেন গবেষকেরা। গবেষকেরা প্রমাণ করেছেন, সৌরজগতের প্রাণকেন্দ্র সূর্য। আর সূর্যকে কেন্দ্র করেই ঘুরছে পৃথিবীসহ অন্যান্য গ্রহ। কোপারনিকাসের গবেষণায় কোনো ভুল ছিল না।
৫০০ বছর আগে জ্যোতির্বিদ নিকোলাস কোপারনিকাসের যে আবিষ্কারকে বাতিল করে দিয়েছিলেন রোমান ক্যাথলিক চার্চের যাজকেরা, ২০১০ সালে এসে সেই সময়ের একজন নায়ক হিসেবে তাঁকে আবার সম্মানের সঙ্গে পুনরায় সমাধিস্থ করেছেন পোলিশ যাজকেরা।
২০০৫ সালে খুঁজে পাওয়া তাঁর মাথার খুলি ও হাড়; যেখান থেকে উদ্ধার করা হয়েছিল, সেখানেই আবার ধর্মীয় রীতি মেনে তাঁকে সমাধিস্থ করেন যাজকেরা। প্রচলিত আছে, কোপারনিকাস ওই গির্জাতেই চিকিত্সক হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
Subscribe to:
Posts (Atom)