Sunday, May 1, 2011

চুয়াডাঙ্গায় কৃমিনাশক ট্যাবলেট খেয়ে ৩০ ছাত্রছাত্রী অসুস্থ

চুয়াডাঙ্গার শংকরচন্দ্র সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কৃমিনাশক ট্যাবলেট খেয়ে কমপক্ষে ৩০ শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়েছে। এদের মধ্যে ১৩ জনকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, গতকাল বেলা ১২টার দিকে ওই স্কুলের শিক্ষার্থীদের কৃমিনাশক ট্যাবলেট খেতে দেয় কর্তৃপক্ষ। ট্যাবলেট খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ে প্রায় ৩০ জন। তাদের বুকের ভেতর যন্ত্রণা শুরু হয়। অসুস্থদের মধ্যে সুরাইয়া (১০), শর্মিলা (১০), সাথী (১০), মিলি (১০), মরিয়ম (৮), আর্জিনা (১১), অন্তরা (১২), শুকতারা (১১), ময়ূরী (১১), দীপ্তি (৮), হৃদয় (৮), ফাহিমা (৮) ও বর্ণাকে (৮) চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। চুয়াডাঙ্গার ভারপ্রাপ্ত সিভিল সার্জন ডা. কামরুল হুদা জানান, খালিপেটে কৃমিনাশক ট্যাবলেট খাওয়ানোয় তাদের বমি বমি ভাব হয়েছে। অসুস্থ ১৩ জনকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের চিকিৎসা চলছে। বাকিরা সুস্থ রয়েছে।

নাটোরে পুলিশের কাছ থেকে আসামি ছিনতাই

নাটোরের সিংড়া উপজেলার লেংগুইন এলাকায় পুলিশের ওপর হামলা চালিয়ে হাতকড়াসহ এক মাদক ব্যবসায়ীকে ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এ সময় সন্ত্রাসীদের ইটপাটকেলের আঘাতে সিংড়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সৈকত হাসান ও নূর আলম মারাত্মক আহত হন। ঘটনার প্রায় দুই ঘণ্টা পরে আবারও হাতকড়াসহ মাদক ব্যবসায়ী জনাব আলীকে আটক করা হয়।
সিংড়া থানার এক পুলিশ কর্মকর্তা জানান, শুক্রবার রাত ৯টার দিকে সিংড়ার লেংগুইন এলাকার মৃত হোসেন আলীর ছেলে ও মাদক ব্যবসায়ী জনাব আলীকে (৩৫) ১৩ পুরিয়া হেরোইনসহ আটক করে দুটি মোটরসাইকেলযোগে থানায় ফিরছিলেন। এ সময় স্থানীয় বেশ কয়েকজন সন্ত্রাসী পুলিশের ওপর হামলা চালিয়ে হাতকড়া পরা আসামি জনাব আলীকে ছিনিয়ে নেয়। সন্ত্রাসীদের ইটপাটকেলের আঘাতে মারাত্মক আহত হন এসআই সৈকত হোসেন ও নূর আলম। পরে রাত ১১টার দিকে থানা থেকে অতিরিক্ত পুলিশ গিয়ে লেংগুইন এলাকায় অভিযান চালিয়ে হাতকড়া পরা মাদক ব্যবসায়ী জনাব আলীকে আবারও আটক করে। নাটোরের ভারপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তা নাসিরুল ইসলাম জানান, পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে। পাশাপাশি হামলাকারীদের আটকে বিশেষ অভিযান চলছে।

কোটিপতি বাড়ছে ভারতে

মার্কিন পত্রিকা ফোর্বসের তালিকা মতে বিশ্বের ধনী ব্যক্তিদের প্রথম ১০ জনের মধ্যেই দুইজন ভারতীয়। এ ছাড়াও প্রথম একশতে আছেন উইপ্রোর প্রধান আজিম প্রেমজী, এসার গোষ্ঠীর মালিক শশী ও রবি রুইয়া, রিলায়েন্স কোম্পানির কর্ণধার অনিল আম্বানির মতো ভারতীয় শিল্পপতিরা। এরই পাশাপাশি ভারতের শিল্প, চলচ্চিত্র ও ক্রীড়া জগতের নামি তারকারাও তাদের বিশাল সম্পদ বাড়িয়ে চলেছেন। এই অর্থ তারা কখনও বিলাস-ব্যাসনে, কখনও বিদেশে সম্পত্তি কেনার জন্য ব্যবহার করে থাকেন। শচীন টেন্ডুলকার, মহেন্দ্র সিং ধোনি, যুবরাজের মতো ক্রিকেটাররা আইপিএল এবং বিজ্ঞাপনে অংশ নিয়ে শত শত কোটি রুপি আয় করেন। এই অর্থ তারা ব্যয় করেন দামি খামার বাড়ি ও আবাসন কিংবা দামি গাড়ি কেনার পেছনে। চলচ্চিত্র জগতের নক্ষত্ররাও অনেকেই কোটিপতি। সমপ্রতি 'ভেনিজ চিকেন' নামে একটি ভারতীয় সংস্থা ইংল্যান্ডে একটি নামি ফুটবল ক্লাব কিনেছে ৩৭ কোটি ডলার দিয়ে। ভারতের মতো একটি দেশে কোটি কোটি রুপি খরচ করে ফুটবল ও চলচ্চিত্র জগতের বিদেশি তারকাদের আনা হচ্ছে বিশেষ বিনোদন অনুষ্ঠানের জন্য। ২০১০ অক্টোবরে একটি বিদেশি সংস্থা ভারতে 'বুগাত্তি ভেরণ' নামে মোটর গাড়ি বিক্রি শুরু করেছে, যার একটির দাম ১৬ কোটি রুপি। এতো দামি গাড়িরও ক্রেতার অভাব নেই ভারতে। অথচ ভারতেই ৭০ শতাংশ অর্থাৎ ৮৩ কোটির বেশি মানুষের দৈনিক আয় মাত্র ২০ রুপি।

ঢাকায় আসছে আর্জেন্টিনা-নাইজেরিয়া

আর্জেন্টিনা ও নাইজেরিয়া দল ঢাকায় আসছে। আগামী সেপ্টেম্বরে কলকাতা সফর শেষে দুই দল ঢাকায় উড়ে আসবে তা অনেকটা চূড়ান্ত হয়ে গেছে। অর্থ মূল ফ্যাক্টর হলেও তা জোগাড় করে ফেলেছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন। বেক্সিমকো দুই দলের ট্যুরে পৃষ্ঠপোষকতা করবে। গতকাল ফুটবল ফেডারেশনের সঙ্গে বেক্সিমকোর চূড়ান্ত চুক্তি হয়ে গেছে। মেসিদের খেলা স্বচক্ষে ঢাকাবাসী দেখবে এরচেয়ে বড় আনন্দ আর কি হতে পারে।
কিন্তু প্রশ্ন উঠেছে বেক্সিমকো কোম্পানির স্পন্সরশিপ অর্থ নিয়ে। দুই দলকে আনতে প্রচুর অর্থ খরচ হবে। কিন্তু নির্দিষ্ট করে কত খরচ পড়বে তা ফেডারেশন এখনো জানাতে পারেনি। গতকাল বাফুফের সংবাদ সম্মেলনে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন এ ব্যাপারে কিছুই বলেননি। তবে কোনো কোনো কর্মকর্তা ধারণা করে বলেছেন ৩০ বা ৩৫ কোটি টাকা খরচ পড়বে। এর পুরোটা দেবে বেক্সিমকো কোম্পানি। দুই পক্ষের মধ্যে একটা চুক্তি হয়েছে, এটা যদি মিডিয়ার সামনে তুলে ধরা হয় তাতে ক্ষতি কি। সন্দেহটা অযথা বাফুফে সৃষ্টি করেছে। অনেকে তো বলেই ফেলেছেন দুই দলের সফরকে কেন্দ্র করে হরিলুটের সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেওয়া যায় না।

তিলকারত্নের মন্তব্যে ক্ষুব্ধ জয়াবর্ধনে

১৯৯২ সাল থেকে লঙ্কান ক্রিকেটে ম্যাচ ফিক্সিং হয়ে আসছে _শ্রীলঙ্কার সাবেক অধিনায়ক হাসান তিলকারত্নের এমন মন্তব্যের পর নড়েচড়ে বসেছে সে দেশের ক্রিকেট বোর্ড। তবে তিলকারত্নের এমন মন্তব্যে ক্ষুব্ধ তার এক সময়ের সতীর্থ মাহেলা জয়াবর্ধনে। কোথায়, কখন কিভাবে ফিক্সিং হয়েছে তার তথ্যপ্রমাণ উপস্থাপনের আহ্বান জানিয়েছেন মাহেলা। তিলকারত্নের বোমা ফাটানোর মতো মন্তব্যে তিনি বলেন, 'শুধুই খবর দেখেছি। আমরা অপেক্ষায় আছি, তিনি (হাসান) কি বলেন আর কি তথ্য উপাত্ত সবার সামনে তুলে ধরেন। এর আগে কোনো মন্তব্য করা ঠিক হবে না।'
ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (আইপিএল)'র কোচ টাস্কাসের অধিনায়ক মাহেলা জয়াবর্ধনে ম্যাচপূর্ব সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন। হাসান আরও বলেছেন, 'ম্যাচ ফিক্সিংয়ের সঙ্গে রথি মহারথিরাও জড়িত ছিলেন।' এমন মন্তব্যে লঙ্কান ক্রিকেট বোর্ডের (এসএলসি) যেন মাথা খারাপ হওয়ার জোগাড়। তাই অভিযোগের বিষয়ে আলোচনা করতে গতকাল বিশেষ সভার আয়োজন করেছিল বোর্ড কর্মকর্তারা।

শেবাগ ঝড়ে দিল্লির জয়

বিরেন্দর শেবাগের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে কোচি টাস্কার্সকে ৩৮ রানে হারাল দিল্লির ডেয়ারডেভিলস। এ জয়ে পয়েন্ট তালিকার তলানি থেকে দিলি্ল উঠে গেল সপ্তম স্থানে। আট ম্যাচে তাদের পয়েন্ট ৬।
গতকাল নেহেরু স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন দিলি্লর অধিনায়ক বিরেন্দর শেবাগ। কিন্তু শুরুটা ভালো হয়নি। মাত্র চার রানেই দুই উইকেট হারিয়ে চরম বিপর্যয়ে পড়ে দিলি্ল। ৩৫ রানের মাথায় তৃতীয় উইকেটের পতন ঘটলেও শেবাগ ছিলেন তার ছন্দে। এক পাশে নিয়মিত বিরতিতে উইকেটের পতন ঘটতে থাকে। আর অন্য প্রান্তে উইকেট আগলে রেখে রানের চাকা সচল রাখেন শেবাগ। সাজঘরে ফেরার আগে ৪৭ বলে আটটি চার ও পাঁচটি ছয়ের সাহায্যে ৮০ রান করেন তিনি। মূলত শেবাগের ব্যাটিং তাণ্ডবেই শুরুর ধাক্কা সামল দেয় দিলি্ল। বীর'র দুর্দান্ত ব্যাটিংয়েই ১৫৭ রানের লড়াকু ইনিংস গড়ে তারা। ১০ রানে দুটি উইকেট নেন শ্রীশান্ত। এছাড়া একটি করে উইকেট নেন রমেশ পাওয়ার, রবিন্দ্র জাদেজা ও বিনয় কুমার। জবাবে ব্যাট করতে নেমে দিলি্লর বোলারদের তোপের মুখে পড়ে কোচি। দলের ২৮ রানের মধ্যে আউট হন টপ অর্ডারের তিন ব্যাটসম্যান। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে পরে ম্যাচে ফিরতে পারেনি মাহেলা জয়াবর্ধনের দল। ঘরের মাঠে শেষপর্যন্ত ১১৯ রান তুলেই গুটিয়ে যায় কোচির ইনিংস। মারউই ও মর্কেল তিনটি করে উইকেট নিয়ে ধস নামান কোচির ইনিংসে। এছাড়া দুটি করে উইকেট শিকার করেন ইরফান পাঠান ও অজিত আগারকার।

কেঁচো খুঁড়লে সাপ বের হবে

কোচ জেমি সিডন্স দীর্ঘদিন বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের দায়িত্ব পালন করেছেন জাতীয় দলের কোচ মানেই সে খেলার সঙ্গে ভালোমতো জড়িয়ে যাওয়া। কোনটা ভালো বা খারাপ তা তিনি কাছে থেকেই দেখতে পান। জেমি ক্রিকেটারদের যেমন ধমক দিয়েছেন তেমনিভাবে কাছেও টেনেছেন। বিশ্বকাপ ছাড়াও বাংলাদেশ বেশ ক'টি ওয়ানডে বা টেস্ট সিরিজ খেলেছে সিডন্সের প্রশিক্ষণে। সাফল্যের পাশাপাশি ব্যর্থতাও এসেছে। মেয়াদ শেষ হওয়ার পর বিসিবি তার সঙ্গে নতুন আর চুক্তি করেনি। এ জন্য এখন নতুন মুখ খোঁজা হচ্ছে। ওয়েবসাইটে বিজ্ঞাপনও দেওয়া হয়েছে। যে কোনো মুহূর্তে নতুন কোচের সন্ধান মিলে যাবে। সিডন্স কোচ নেই বলে তিনি যে বাংলাদেশের ক্রিকেট নিয়ে কোনো কথা বলতে পারবেন না তাতো হতে পারে না। দেশি-বিদেশি মিডিয়া বাংলাদেশের ক্রিকেট সম্পর্কে তার কাছে অনেক কিছু জানতেই পারে।
নিজ দেশ অস্ট্রেলিয়াতে ফেরার পর গত বৃহস্পতিবার ক্রিক্রোনফোকে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে সিডন্স বাংলাদেশে তার দায়িত্ব পালনে অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরেছেন। বিশ্বকাপে আশানরূপ ফল না পেলেও তিনি সাকিবদের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন। তিনি বলেন, প্রকৃত নিয়মকানুন মেনে চললে বাংলাদেশের ক্রিকেট অনেক দূর এগিয়ে যেত। কিন্তু কিছু বাধা দলকে বিপর্যস্ত করে তুলছে। এর মধ্যে তিনি রাজনীতির প্রসঙ্গ ভালোভাবে টেনেছেন। সাক্ষাৎকারে সিডন্স স্পষ্ট করেই বলেছেন, বাংলাদেশের ক্রিকেট রাজনীতিমুক্ত নয়। কেন মুক্ত নয় এ নিয়ে সাবেক এ অস্ট্রেলীয় কোচ কোনো খোলাখুলি মন্তব্য করেননি। অথচ রাজনীতি শব্দটি শুনেই তেলেবেগুনে জ্বলে উঠেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড। বোর্ড সভাপতি আহম মুস্তফা কামাল ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেছেন, সিডন্সের এ ধরনের মন্তব্য কোনোভাবে মেনে নেওয়া যায় না। কারণ তিনি সভাপতি দায়িত্ব নেওয়ার পর ক্রিকেটে কোনো রাজনীতির ছোঁয়া লাগেনি। শুধু তাই নয় তিনি বলেন, সাবেক কোচ হিসেবে সিডন্স এ ধরনের আপত্তিকর কোনো মন্তব্য করতে পারেন কিনা আইসিসির সঙ্গে আলাপ করার কথা বলেছেন। যদি বিধি ভঙ্গ করে তাহলে অবশ্যই বাংলাদেশ সিডন্সের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে। এর আগে বিসিবির সভাপতি মনোনয়ন নিয়ে কমবেশি বিতর্ক উঠলেও মুস্তফা কামালের সময় কেউ কিন্তু টু-শব্দ করেননি। কারণ প্রকৃত ক্রিকেট সংগঠকের যে গুণাবলী থাকা দরকার তার পুরোটা ছিল তার ভেতর। অথচ সিডন্সের মন্তব্যকে কেন্দ্র করে বর্তমান বোর্ড সভাপতি যে বক্তব্য দিয়েছেন তাতে সচেতন ক্রীড়ামহল বিস্ময় না হয়ে পারেননি। কেননা কোনো কোচ যখন দায়িত্ব ছেড়ে দেন বা তাকে অব্যাহতি দেওয়া হয় তখন সংশ্লিষ্ট ফেডারেশন তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার হুমকি দিতে পারে কিনা। দায়িত্ব পালনের সময় বিধি নিষেধ থাকে। কিন্তু দায়িত্ব ছাড়ার পর সে তো স্বাধীন। যেকোনো মিডিয়াতে তিনি যে কোনো ধরনের সাক্ষাৎকার দিতে পারেন। এখন সিডন্স তার সাক্ষাৎকারে বাংলাদেশের ক্রিকেট নিয়ে নানা কথা বলতেই পারেন। এখানে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা উঠবে কেন? তছাড়া আহম মুস্তফার মতো জ্ঞানী সংগঠক কিভাবে বলেন, তিনি ব্যাপারটি নিয়ে আইসিসির সঙ্গে কথা বলবেন। তাছাড়া তিনি নিজে তো আইসিসির বড় পদে বসে আছেন। তার তো ভালোমতো জানা আছে আইসিসি সাক্ষাৎকারকে কেন্দ্র করে সাবেক কোনো কোচের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে পারে কিনা।
আর সিডন্স যে অভিযোগ তুলেছেন তা কি পুরোপুরি মিথ্যা। রাজনীতি কি ক্রিকেটের মধ্যে নেই। সংগঠকরা সব সময় বড় গলায় বলেন, ক্রীড়াঙ্গন রাজনীতিমুক্ত। বাস্তবে কি তাই। বাংলাদেশে প্রতিটি ফেডারেশনে তো রাজনীতি মহামারী আকারে ধারণ করেছে। যখন যে দল ক্ষমতায় থাকে তখন তাদেরই লোকদের দিয়ে ক্রীড়াঙ্গন শাসন করা হয়। আর ক্রিকেট যেহেতু সম্মান আসনে বসে গেছে সেখানে তো রাজনীতি আরও বেশি হয়। বোর্ড সভাপতি হয়তো নিরপেক্ষ থাকতে চাচ্ছেন। তারপরও কি ক্রিকেট রাজনীতির বাইরে থাকছে। সদ্য সমাপ্ত বিশ্বকাপ ক্রিকেটে বাংলাদেশে লোকাল আয়োজন কমিটির প্রধান দায়িত্বে যিনি ছিলেন, তার কি কোনো যোগ্যতা ছিল এত বড় দায়িত্ব পালনে। বর্তমান বোর্ডে তো আরও যোগ্য সংগঠক ছিলেন। তাদের পরিবর্তে অযোগ্য ও বিতর্কিত একজনকে লোকাল আয়োজন কমিটির চেয়ারম্যান করা হলো কিভাবে। এখানে কি রাজনীতির আশ্রয় নেওয়া হয়নি। তিনি আওয়ামী লীগের সঙ্গে সরাসরি জড়িত বলেই তো অন্য যোগ্য সংগঠকদের পাশ কাটানো হয়েছে। সত্যি কথা বলতে কি, বোর্ড সভাপতি নিজেই তার ওপর বিরক্ত ছিলেন। সিডন্স তো শুধু রাজনীতির কথা উচ্চারণ করেছেন। কিভাবে ক্রিকেটকে রাজনীতিকরণ করা হয়েছে তাতো বিস্তারিত খুলে বলেননি। এখন তার ওপর বোর্ড সভাপতি যেভাবে ক্ষেপেছেন তাতে আগামী কোনো সাক্ষাৎকারে সিডন্স যদি কিভাবে বাংলাদেশের ক্রিকেটে রাজনীতিকরণ করা হয়েছে তা তুলে ধরেন তখনতো মনে হয় কেঁচোর গর্ত থেকে সাপ বের হওয়ার আশঙ্কা থাকবে। বিশ্বকাপে দল গঠন নিয়েতো কম রাজনীতি করা হয়নি। বর্তমান বোর্ডের অনেক পরিচালকই তা স্বীকার করেছেন। সিডন্স সেই সব নোংরামি তুলে ধরলে বিশ্ব দরবারে ক্রিকেট বোর্ডের ইমেজ কি আর থাকবে। আকরাম, নান্নু, বাশারের মতো হাইপ্রোফাইল ক্রিকেটারদের নিয়ে নতুন সিলেকশন কমিটি গঠন হয়েছে। তারপরও অনেকে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন তারা স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারবে কিনা। কেননা বোর্ড বরাবরই দল গঠনে হস্তক্ষেপ করে থাকে। কে যোগ্য তা বড় নয়_আওয়ামী লীগ না বিএনপি সেটা গুরুত্ব দিয়ে অযোগ্যদের সুযোগ করে দেওয়া হয়। নতুন নির্বাচক কমিটি স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারবে কিনা যেখানে শঙ্কা প্রকাশ করা হচ্ছে সেখানে সিডন্স বললে দোষ কোথায়। ক্রিকেট অনেক দূর এগিয়েছে তারপরও আরও এগুতে পারত যদি না কর্মকর্তারা রাজনীতির পথ বেছে না নিতেন।

বাংলার বাঘ ও বাঘিনীর নাম উইলিয়াম-কেট!

ব্রিটিশ রাজ পরিবারের দ্বিতীয় উত্তরাধিকারি উইলিয়াম-কেটের বিয়ে নিয়ে যখন বিশ্বে বইছে আনন্দের ঢেউ তখন ব্রাজিলের চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ এক জোড়া বাঘ-বাঘিনীর নাম রেখেছেন উইলিয়াম-কেট। বাস্তবে যেমন উইলিয়াম কেটের চেয়ে বয়সে ছোট তেমনই বাঘিনী কেটের চেয়ে বাঘ উইলিয়াম ছোট। তবে মজার ব্যাপার হচ্ছে এ উইলিয়াম-কেট দুটি হচ্ছে বাংলাদেশি বংশদ্ভূত রয়েল বেঙ্গল টাইগার।
খবর বাংলানিউজ টুয়েন্টি ফোর ডট কমের।
জানা গেছে, ব্রাজিলের একটি চিড়িয়াখানার কর্তৃপক্ষ দর্শনার্থীদের জন্য দুটি রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আগামীকাল সোমবার এগুলো রাজধানী রিও ডি জেনিরোর চিড়িয়াখানায় পৌঁছাবে। আর ব্রিটিশ রাজ পরিবারের বিয়ে নিয়ে বিশ্ব জুড়ে আনন্দের ঢেউ বইয়ে যাওয়ায় এদের নাম উইলিয়াম-কেট রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। বাঘ উইলিয়ামের বয়স চার ও বাঘিনী কেটের পাঁচ। চিড়িয়াখানার কর্তৃপক্ষ আশা করছে, সেখানে যাওয়ার পর বাঘ-বাঘিনীর মিত্রতা হয়ে যাবে। ব্রাজিলের সবচেয়ে পুরনো চিড়িয়াখানাটি ৬৬ বছর ধরে চলছে। এর আয়তন প্রায় এক হাজার ৩৮ হাজার বর্গমিটার ও এর ভেতরে প্রায় দুই হাজার সরিসৃপ, স্তন্যপায়ী প্রাণী ও নানান জাতের পাখি রয়েছে।

আফ্রিদির জয়গান

নিজেদের মাটিতে খেলতে না পারা, অন্তর্কলহ এবং ম্যাচ ফিক্সিংয়ের মতো ঘটনায় সমালোচনার মুখে পড়ে পাকিস্তানের ক্রিকেট। তার পরও আফ্রিদির নেতৃত্বে বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল পর্যন্ত দুর্দান্ত লড়েছে তারা। ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে পাঁচ ম্যাচের তিনটিতে জিতে ইতোমধ্যে সিরিজ জয়ও নিশ্চিত করেছে পাকিস্তান। এতে নতুন করে আশার আলো দেখছেন দেশটির ক্রিকেটবোদ্ধারা। পাশাপাশি মিডিয়ায় চলছে আফ্রিদির জয়গান।

Saturday, April 30, 2011

২০ টাকায় লাইন

একগাদা হলদে খাম হাতে অজগরের মতো লম্বা সারিতে দাঁড়িয়ে বেসরকারি ব্যাংকের কর্মকর্তা রাশেদ আনোয়ার। না, ন্যায্যমূল্যে মোটা চাল কেনার জন্য নয়। মহানগরী ঢাকার জিপিওর ১৩ নম্বর কাউন্টারে দাঁড়িয়েছেন চিঠিতে প্রয়োজনীয় স্ট্যাম্প লাগাতে। ফ্রাঙ্কিং মেশিনের ঘটাং ঘটাং শব্দে সংকুচিত হয় লাইনের অগ্রভাগ। যতটুকু কমে-পেছনে যোগ হয় তার চেয়ে বেশি। তাই এ সারি কিছুক্ষণের মধ্যেই নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে_ এমনটি আশা করা যায় না। সারির অগ্রজের কাজ শেষ হয় সকাল ১০টা ১৯ মিনিটে। ২৭ মিনিটের মাথায় শেষ হয় রাশেদের কাজ। অথচ কুরিয়ার সার্ভিসে এটি পাঁচ-সাত মিনিটের ব্যাপার। সময়ের চড়া দামে অর্থ সাশ্রয়। অভিযোগ উঠেছে, একশ্রেণীর অসাধু কর্মচারী সারির সিরিয়াল ১০-২০ টাকায় বিক্রি করেন। অভিযোগ বাক্স থাকলেও এটির গায়ে ধুলোর স্তর জমে আছে। ধুলোতে বাক্সের ওপর লেখা 'অভিযোগ' শব্দটি ঢেকে গেছে। দু-চার মাসের মধ্যে খোলা হয়েছে এমন তথ্য পাওয়া যায়নি। রাজধানীর জিরো পয়েন্ট সংলগ্ন বিশাল এ ভবনে নিত্যদিন হাজার হাজার মানুষের আনাগোনা। ৫৫টি কাউন্টারের বেশির ভাগেই ব্যস্ততা ও ভিড় লেগে থাকতে দেখা গেছে। অস্তিত্বের লড়াইয়ে ২২টি সেবা দিতে হচ্ছে ডাক বিভাগকে। এর মধ্যে ডাকঘর সঞ্চয় ব্যাংক, প্রাইজ বন্ড বিক্রি ও ভাঙানো, মানি অর্ডার ও পোস্টাল অর্ডার ইস্যু। আরও রয়েছে যানবাহন কর আদায়, ড্রাইভিং লাইসেন্স নবায়ন, চিঠি রেজিস্ট্রেশন, নন জুডিশিয়াল স্ট্যাম্প, ডাকমাশুল ও স্মারক ডাকটিকিট বিক্রি করা অন্যতম।
এসব নিয়ে বিশাল কর্মযজ্ঞ চলে সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৩টা পর্যন্ত। এরপর ৬টা পর্যন্ত চলে সান্ধ্যকালীন কার্যক্রম। অন্য রকম পরিবেশ। ভেতরে ঢুকতেই দৃষ্টি কাড়ে বিরাট হলরুমে মানুষের ছোটাছুটি। কেউ লাইনে দাঁড়ানো, কেউ খাম হাতে ছুটছেন আঠার সন্ধানে। কেউ বা পূরণ করছেন ফরম। কেউবা গন্তব্যের ঠিকানায় শেষবারের মতো বুলিয়ে নিচ্ছেন চোখ।
তরুণ-যুবা-বৃদ্ধ সব বয়সী মানুষের অতি প্রয়োজনীয় স্থান জিপিও। আগে চাপ আরও বেশি ছিল। প্রযুক্তির উন্নয়নে কমেছে অনেকটা। তারপরও লোকজনের কমতি নেই। লম্বা কাচের দেয়ালঘেরা অসংখ্য কাউন্টার। ধানমন্ডির বাসিন্দা ইয়াকুব হোসেন অভিযোগ করে বলেন, কানাডায় পার্সেল করার জন্য লম্বা সারিতে দাঁড়াই। পরে এক কর্মচারীর হাতে ২০ টাকা গুঁজে দিয়ে সিরিয়াল নিতে হয়েছে। জিপিওতে ব্রিটিশ আমলের পুরনো আসবাব। আধুনিকতার ছোঁয়া লাগেনি। নিচতলার একপাশে গন্তব্যভেদে স্থাপিত লাল-নীল-হলুদ ডাকবাক্স। দেয়ালে নানা নির্দেশিকা। পোস্টাল মিউজিয়াম পরিদর্শন করুন। উত্তম সেবা প্রদানে সহযোগিতার জন্য লাইনে দাঁড়ান। পোস্টকোড ব্যবহার করুন। চিঠি লিখুন। হেল্প ডেস্ক একটি থাকলেও দায়িত্বপ্রাপ্ত লোকটি ব্যস্ত অন্য কাজে। ডাক বিভাগের সহকারী পরিচালক মাসুদ বিন তারেক বলেন, সীমাবদ্ধতার মাঝে কাজ করতে হয়। সেজন্য কিছুসময় বেশি লাগতে পারে। ডাক গ্রহণ ও বিলি প্রধান কাজ। প্রতিদিন গড়ে ১৫ হাজার চিঠি গ্রহণ করতে হয়, এর মধ্যে রেজিস্টার্ড চার হাজারের মতো। অবশিষ্ট আড়াই হাজার বৈদেশিক চিঠি।