শ্রীলঙ্কা সফরের দলে প্রথমে সুযোগই পাননি মোহাম্মদ আশরাফুল। শাহরিয়ার
নাফীসের চোট দলে জায়গা করে দিয়েছিল তাঁকে। শেষ মুহূর্তে পাওয়া সুযোগটির
সদ্ব্যবহার করতে একদমই সময় নিলেন না আশরাফুল। প্রিয় প্রতিপক্ষ শ্রীলঙ্কার
বিপক্ষে গল টেস্টেই দিয়ে দিলেন নির্বাচকদের উপেক্ষার জবাবটা। হ্যাঁ, জবাবই।
লঙ্কানদের বিপক্ষে পঞ্চম ও ক্যারিয়ারের ষষ্ঠ সেঞ্চুরিটি পূর্ণ করার পর
তাঁর অভিব্যক্তি জুড়ে থাকল অমন কিছুই। গল টেস্টের তৃতীয় দিনে আশরাফুল
অপরাজিত আছেন 155 রানে। কাল বিকেল থেকে এখন পর্যন্ত আশরাফুলের ব্যাটিংটা
যেন ঠিক তেমনই—যেমনটা তাঁর কাছে প্রত্যাশিত।
ফলোঅন এড়াতে আরও 10 রান দরকার বাংলাদেশের। শ্রীলঙ্কার ৫৭০ রানের পাহাড়ে
চড়তে এখনো করতে হবে ২৭০ রান। এমন একটি কঠিন পরিস্থিতিতেও যেন আশরাফুলের
ব্যাটিং জুগিয়ে যাচ্ছে নির্ভরতা। বাকি সবকিছু বাদ, তিনি উইকেটে আরও
দীর্ঘক্ষণ থাকুন। এটাই এই মুহূর্তের প্রার্থনা। ফলোঅন-টলোঅন অনেক পরের
ব্যাপার।
আশরাফুলের সঙ্গে কাল বিকেল থেকেই দারুণ এক জুটি গড়েছিলেন মমিনুল। অভিষিক্ত
এই তরুণ নিজের জাতটি পুরোমাত্রায় চিনিয়ে দিয়েছেন শ্রীলঙ্কার মাটিতে।
ধীরস্থির ব্যাটিংয়ের অনুপম প্রদর্শনীতে তাঁর ব্যাট থেকে এসেছে ৫৫ রান।
অভিষেকে পাওয়া তাঁর এই ফিফটিটি আরও বড় হতে পারত, যদি নুয়ান কুলাসেকেরার আউট
সুইঙ্গারটি আর এক মুহূর্ত আগে বুঝতে পারতেন। অফস্টাম্পের বাইরে বেরিয়ে
যেতে থাকা বলটিতে মমিনুল খোঁচা না দিলে হয়তো স্বপ্নের পরিধিটা আরও বড় হতে
পারত।
মমিনুলের বিদায়ের পর উইকেটে আসা মাহমুদউল্লাহ বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি।
রঙ্গনা হেরাথের বলে বাইরে বেরিয়ে এসে মারতে গিয়ে নিজের বিপদ তো ডেকেছেনই,
দলকেও ফেলে গেছেন বিপদের মধ্যে।
এই মুহূর্তে মোহাম্মদ আশরাফুলের সঙ্গে জুটি বেঁধেছেন অধিনায়ক মুশফিকুর
রহিম। অধিনায়ক অপরাজিত আছেন 105 রান নিয়ে। ১২২ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটিটিও
স্বপ্ন দেখাতে শুরু করেছে।
এই দুজন স্বপ্নের পরিধিকে কত বিস্তৃত করেন—এখন এটাই দেখার বিষয়।
Sunday, March 10, 2013
Saturday, March 9, 2013
ভরসা সেই আশরাফুল
নিছক ভাগ্যের জোরে টেস্ট দলে জায়গা পেয়েছিলেন। ত বে মোহাম্মদ আশরাফুলই এই
মুহূর্তে বাংলাদেশ দলের ভরসা। প্রস্তুতি ম্যাচে সেঞ্চুরি করেছেন। গল
টেস্টেও আশরাফুল খেলছেন দুর্দান্ত।
টেস্টের দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ২ উইকেটে ১৩৫ রান।
আশরাফুল অপরাজিত আছেন ৬৫ রানে। তাঁর সঙ্গে ৩৫ রান নিয়ে অপরাজিত আছেন
প্রথমবারের মতো টেস্ট দলে জায়গা পাওয়া মমিনুল হক। এর আগে ৪ উইকেটে ৫৭০ রান
তুলে নিজেদের প্রথম ইনিংস ঘোষণা করে স্বাগতিক শ্রীলঙ্কা।দলীয় ২৩ রানে প্রথম উইকেট হারায় বাংলাদেশ। শামিন্দা এরাঙ্গার বলে উইকেটরক্ষক দীনেশ চান্দিমালের হাতে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন ব্যক্তিগত ২০ রানে থাকা জহুরুল ইসলাম। এ পর্যায়ে উইকেটে আসেন আশরাফুল। এক প্রান্ত আগলে রেখে দলের রানের চাকা সচল রাখেন তিনি।
এনামুল হকের টেস্ট অভিষেকটা সুখকর হয়নি। মাত্র ১৩ রানে সাজঘরে ফেরেন তিনি। তখন দলীয় সংগ্রহ ৬৫ রান। এত দ্রুত দুই উইকেট পড়ে যাওয়াটা বাংলাদেশের জন্য বেশ অস্বস্তির ছিল। তবে সেই অস্বস্তি কাটে আশরাফুল ও মমিনুল হকের অবিচ্ছিন্ন ৭০ রানের জুটিতে।
সফরের দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজের ২৫ সদস্যের প্রাথমিক দলে ছিলেন না মোহাম্মদ আশরাফুল। এনামুল হক জুনিয়র ও নাঈম ইসলাম চোটের কারণে সিরিজ থেকে ছিটকে পড়ার পরও নেওয়া হয়নি তাঁকে। অবশেষে আশরাফুল ডাক পান শাহরিয়ার নাফীস শ্রীলঙ্কায় না যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর। প্রস্তুতি ম্যাচে সেঞ্চুরির পর আজকের হার না মানা ইনিংস—এটাকে নির্বাচকদের প্রতি আশরাফুলের জবাব বললেও বোধ হয় ভুল হবে না।
এ টেস্টে প্রথমে ব্যাট করা শ্রীলঙ্কার তিনজন ব্যাটসম্যান সেঞ্চুরি করেন। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ১৫৫ রান করে অপরাজিত থাকেন লাহিরু থিরিমান্নে। দীনেশ চান্দিমাল অপরাজিত থাকেন ব্যক্তিগত ১১৬ রানে। গতকাল ১৪২ রান করে আউট হন কুমার সাঙ্গাকারা। শ্রীলঙ্কার উদ্বোধনী দুই ব্যাটসম্যান দিমুথ করুণারত্নে ও তিলকরত্নে দিলশানের সংগ্রহ যথাক্রমে ৪১ ও ৫৪ রান। অধিনায়ক অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুস করেন ২৭ রান। বাংলাদেশের হয়ে সোহাগ গাজী তিনটি ও আবুল হাসান একটি উইকেট নেন।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
শ্রীলঙ্কা প্রথম ইনিংস: ৫৭০/৪, ঘোষণা
থিরিমান্নে ১৫৫*, সাঙ্গাকারা ১৪২, চান্দিমাল ১১৬*
সোহাগ গাজী ৩/১৬৪, আবুল ১/১১২
বাংলাদেশ প্রথম ইনিংস: ১৩৫/২
(দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষে)
আশরাফুল ৬৫*, মমিনুল ৩৫*, জহুরুল ২০
এরাঙ্গা ১/২৫, মেন্ডিস ১/২৮
টস: শ্রীলঙ্কা
শিক্ষকেরা ক্লাসে যাবেন অস্ত্র হাতে
গত এক বছরে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন স্কুলে শিক্ষার্থী বা দুর্বৃত্তদের
গুলিতে স্কুলের শিক্ষার্থী ছাড়াও অনেক মানুষ প্রাণ হারিয়েছে। ভয়ংকর এ
প্রবণতা থামাতে করণীয় বিষয়ে আলোচনা ও বিতর্কের অন্ত নেই। একদল বলছে অস্ত্র
আইন কড়াকড়ি করতে, আরেক দল বলছে পাঠ্যসূচি বদলাতে। কিন্তু নতুন একটি আইন
নতুন বিতর্কের অবতারণা করেছে।
এখন থেকে শিক্ষক ও অন্যান্য কর্মচারীদের হাতে অস্ত্র তুলে দিতে পারবে স্কুল
কর্তৃপক্ষ। বিবিসি বলছে, এ জন্য যুক্তরাষ্ট্রের সাউথ ডাকোটা অঙ্গরাজ্যের
সরকার এক নতুন আইন জারি করেছে। আইনটির সমর্থকেরা বলছেন, শিক্ষকদের হাতে
অস্ত্র থাকলে গত ডিসেম্বর মাসে কানেকটিকাট শহরের স্কুলে যে হত্যাকাণ্ড
হয়েছে, তার পুনরাবৃত্তি হবে না। ওই হত্যাকাণ্ডে শিক্ষার্থীসহ ২৬ জন প্রাণ
হারায়।কেন্দ্রীয় সরকার যখন বন্দুক ব্যবহার সীমিত করার জন্য আইন প্রণয়নের চেষ্টা করছে, তখন সাউথ ডাকোটা সরকার নতুন বিধি জারি করল। এতে দেশটিতে অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ নিয়ে বিভক্তি স্পষ্ট হয়ে উঠেছে।
তবে নতুন বিধি মোতাবেক শিক্ষক-কর্মকর্তাদের অস্ত্র দিতে স্কুলগুলো বাধ্য থাকবে না। শিক্ষকরাও অস্ত্র ব্যবহার করতে বাধ্য হবেন না। তবে চাইলে কোনো স্কুল কর্তৃপক্ষ শিক্ষকদের সশস্ত্র করতে পারবে।
সাউথ ডাকোটার রিপাবলিকান পার্টির সরকার বিধিটি পাস করেছে। এতে শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্য থেকে ‘স্কুল রক্ষীদের’ তৈরি করার সুযোগ থাকছে।
বিভিন্ন স্কুলের পরিচালনা পরিষদের কয়েকজন সদস্য, শিক্ষক ও অন্যান্য কর্মকর্তারা বলছেন, শ্রেণিকক্ষে বন্দুক নিয়ে প্রবেশের অনুমতি দিলে ফল ভালো হবে না।
রিপাবলিকান পার্টির নেতা স্কট ক্রেইগ বিবিসিকে বলেন, বিভিন্ন স্কুলের বেশ কিছু কর্মকর্তা নতুন বিধি চাইছেন। তিনি আরও বলেন, ছোট শহরের স্কুলগুলোর এমন সামর্থ্য নেই যে তারা সারাক্ষণ পুলিশ পুষবে।
যে ডাকঘরের সব কর্মী নারী
ভারতে
প্রথমবারের মতো শুধু নারীদের জন্য একটি ডাকঘর খোলা হয়েছে। রাজধানী
নয়াদিল্লির এ ডাকঘরে সব পদেই নারী কর্মী নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। আন্তর্জাতিক
নারী দিবস উপলক্ষে গতকাল শুক্রবার টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক
মন্ত্রী কপিল সিবাল ডাকঘরটি উদ্বোধন করেন।
উদ্বোধনের পর মন্ত্রী বলেন, নতুন ডাকঘরটির সব কিছু নারী কর্মীরা পরিচালনা করবেন। আর দশটা ডাকঘরে গ্রাহকরা যেসব সেবা পান তার সবই এখানেও থাকবে। নারীদের সুবিধার্থে আগামী দিনে দেশজুড়ে কেবল নারীদের জন্যই আরো অনেক ডাকঘর খোলা হবে।
কপিল সিবাল বলেন, 'পুরো ভারতে এটাই প্রথম ডাকঘর, যেখানে সব কর্মীই নারী। নারীরা প্রতিনিয়ত যেসব সমস্যার মুখোমখি হন, সেগুলো নিরসনের উপায় খুঁজছে সরকার। সে পথে নতুন ডাকঘর একটি প্রতীকী পদক্ষেপ মাত্র।' ভারতের ডাক সচিব পি গোপীনাথ জানান, সব মহানগরীতে এ ধরনের ডাকঘর খোলার পরিকল্পনা আছে সরকারের। শুরুতেই খোলা হবে মুম্বাই, চেন্নাই, চণ্ডিগড়, লক্ষ্নৌ, হায়দরাবাদ ও ব্যাঙ্গালুরুতে। এ ছাড়া অসংখ্য নারী কর্মী আছেন_এমন বড় শহরগুলোতেও এরকম ডাকঘর থাকবে। আগামী ১৫ দিনের মধ্যেই পুরনো দিল্লির বিভিন্ন এলাকায় নারীদের জন্য আরো কয়েকটি ডাকঘর খোলা হবে। নারীদের সুবিধার্থে ইতিমধ্যে সরকার শুধু নারীদের জন্য একটি ব্যাংক প্রতিষ্ঠার ঘোষণা দিয়েছে। আগামী অক্টোবরের শেষ নাগাদ এ ব্যাংক চালুর পরিকল্পনা রয়েছে।
উদ্বোধনের পর মন্ত্রী বলেন, নতুন ডাকঘরটির সব কিছু নারী কর্মীরা পরিচালনা করবেন। আর দশটা ডাকঘরে গ্রাহকরা যেসব সেবা পান তার সবই এখানেও থাকবে। নারীদের সুবিধার্থে আগামী দিনে দেশজুড়ে কেবল নারীদের জন্যই আরো অনেক ডাকঘর খোলা হবে।
কপিল সিবাল বলেন, 'পুরো ভারতে এটাই প্রথম ডাকঘর, যেখানে সব কর্মীই নারী। নারীরা প্রতিনিয়ত যেসব সমস্যার মুখোমখি হন, সেগুলো নিরসনের উপায় খুঁজছে সরকার। সে পথে নতুন ডাকঘর একটি প্রতীকী পদক্ষেপ মাত্র।' ভারতের ডাক সচিব পি গোপীনাথ জানান, সব মহানগরীতে এ ধরনের ডাকঘর খোলার পরিকল্পনা আছে সরকারের। শুরুতেই খোলা হবে মুম্বাই, চেন্নাই, চণ্ডিগড়, লক্ষ্নৌ, হায়দরাবাদ ও ব্যাঙ্গালুরুতে। এ ছাড়া অসংখ্য নারী কর্মী আছেন_এমন বড় শহরগুলোতেও এরকম ডাকঘর থাকবে। আগামী ১৫ দিনের মধ্যেই পুরনো দিল্লির বিভিন্ন এলাকায় নারীদের জন্য আরো কয়েকটি ডাকঘর খোলা হবে। নারীদের সুবিধার্থে ইতিমধ্যে সরকার শুধু নারীদের জন্য একটি ব্যাংক প্রতিষ্ঠার ঘোষণা দিয়েছে। আগামী অক্টোবরের শেষ নাগাদ এ ব্যাংক চালুর পরিকল্পনা রয়েছে।
ভবন থেকে পড়ে ড্যাফোডিল ইউনিভার্সিটির ছাত্রীর মৃত্যু
রাজধানীর শেরে বাংলা নগর থানা এলাকায় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ড্যাফোডিল
ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি ভবন থেকে নিচে পড়ে শাহিমা আক্তার ওরফে শারমিন
(২০) নামের একই বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রী মারা গেছেন। আজ শুক্রবার এ ঘটনা
ঘটে।
শাহিমা ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের বিবিএর ছাত্রী। পুলিশ বলছে, ওই ছাত্রী আত্মহত্যা
করেছেন। এতে প্ররোচনার অভিযোগে সাদেকুর রহমান নামে ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের এক
ছাত্রকে আটক করা হয়েছে।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও বিশ্ববিদ্যালয় সূত্র জানায়, শেরে বাংলা নগর
থানার সোবহানবাগে নয় তলার প্রিন্স প্লাজা ভবনের দুই তলা থেকে আট তলা
পর্যন্ত ইউনিভার্সিটি ক্যাম্পাস। আজ বেলা সোয়া দুইটার দিকে ওই ভবন থেকে
নিচে পড়ে গুরুতর আহত হন শাহিমা। শিক্ষার্থীরা তাঁকে উদ্ধার করে ঢাকা
মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে তিনি
মারা যান।
হরতালের কারণে স্থগিত হওয়া একটি পরীক্ষা দিতে বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়েছিলেন
শাহিমা। তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া সাদেকুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, তিনিও
বিবিএর ছাত্র। শাহিমার সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক ছিল। পরীক্ষা শেষে শাহিমাসহ
তাঁরা কয়েকজন বন্ধু নিচে আড্ডা দেন। পরে শাহিমা উপরে চলে যান। এর কিছুক্ষণ
পরই শাহিমা উপর থেকে তাঁদের সামনে নিচে পড়ে যান।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা জানান, শাহিমা পাঁচ তলায় থাকা একটি ফাঁকা
জায়গা দিয়ে নিচে লাফ দিয়েছেন। তবে শেরে বাংলা নগর থানার পরিদর্শক (তদন্ত)
মারুফ আহমেদ বলেন, প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, বন্ধু সাদেকুরের সঙ্গে কথা
কাটকাটির এক পর্যায়ে শাহিমা ওই ভবনের ছাদ থেকে লাফিয়ে পড়ে আত্মহত্যা
করেছেন। এ ঘটনায় সাদেকুরকে আটক করা হয়েছে। মামলার প্রস্তুতি চলছে।
প্রক্রিয়াজাত করা মাংসে মৃত্যুঝুঁকি!
যুক্তরাজ্যের
গবেষকেরা সতর্ক করে বলেছেন, প্রক্রিয়াজাত করা মাংস খেলে কম বয়সে
মৃত্যুঝুঁকি বেড়ে যেতে পারে। সসেজ, হ্যাম, বেকনের মতো খাবারের সঙ্গে যে
প্রক্রিয়াজাত করা মাংস ব্যবহার করা হয়, তা খাওয়ার সঙ্গে অল্প বয়সে মৃত্যুর
সম্পর্ক খুঁজে পেয়েছেন তাঁরা। বিবিসি অনলাইনের খবরে এ তথ্য জানানো হয়।
‘বিএমসি মেডিসিন’ সাময়িকীতে প্রকাশিত এক নিবন্ধে গবেষকেরা জানান, মাংস প্রক্রিয়াজাত করতে যে লবণ ও রাসায়নিক ব্যবহার করা হয়, তা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর।
গবেষকেরা ইউরোপের ১০টি দেশের পাঁচ লাখেরও বেশি মানুষের ওপর ১৩ বছর ধরে গবেষণা করে এ ফল পেয়েছেন।
গবেষকেরা সতর্ক করে জানিয়েছেন, খাবার হিসেবে অতিরিক্ত প্রক্রিয়াজাত মাংস গ্রহণ করলে হূদরোগ, ক্যানসারসহ কম বয়সে মৃত্যুঝুঁকি বেড়ে যেতে পারে।
গবেষকেরা জানান, যাঁরা প্রক্রিয়াজাত মাংস বেশি খান, তারা ধূমপানে আসক্ত হন, শরীরে মেদসহ নানা শারীরিক সমস্যার মধ্যে পড়েন।
প্রক্রিয়াজাত মাংস খাওয়া কমিয়ে সুষম খাবার খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন গবেষকেরা। তাঁদের পরামর্শ, স্বাস্থ্য সচেতন মানুষের প্রক্রিয়াজাত মাংস এড়িয়ে চলা প্রয়োজন।
‘বিএমসি মেডিসিন’ সাময়িকীতে প্রকাশিত এক নিবন্ধে গবেষকেরা জানান, মাংস প্রক্রিয়াজাত করতে যে লবণ ও রাসায়নিক ব্যবহার করা হয়, তা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর।
গবেষকেরা ইউরোপের ১০টি দেশের পাঁচ লাখেরও বেশি মানুষের ওপর ১৩ বছর ধরে গবেষণা করে এ ফল পেয়েছেন।
গবেষকেরা সতর্ক করে জানিয়েছেন, খাবার হিসেবে অতিরিক্ত প্রক্রিয়াজাত মাংস গ্রহণ করলে হূদরোগ, ক্যানসারসহ কম বয়সে মৃত্যুঝুঁকি বেড়ে যেতে পারে।
গবেষকেরা জানান, যাঁরা প্রক্রিয়াজাত মাংস বেশি খান, তারা ধূমপানে আসক্ত হন, শরীরে মেদসহ নানা শারীরিক সমস্যার মধ্যে পড়েন।
প্রক্রিয়াজাত মাংস খাওয়া কমিয়ে সুষম খাবার খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন গবেষকেরা। তাঁদের পরামর্শ, স্বাস্থ্য সচেতন মানুষের প্রক্রিয়াজাত মাংস এড়িয়ে চলা প্রয়োজন।
পুলিশের হাতে ফুল দিয়ে অন্যরকম শ্রদ্ধা
দুপুরের প্রখর রোদে রাজধানীর সড়কে দাঁড়িয়ে থাকা পুলিশ সদস্যদের সামনে এগিয়ে
গেলেন কয়েকজন তরুণ। তাঁদের হাতে থাকা গোলাপ ফুল দিয়ে পুলিশ সদস্যদের
শুভেচ্ছা জানালেন তাঁরা। ফুল হাতে পেয়ে পুলিশ সদস্যরা রীতিমতো অবাক। আজ
শুক্রবার এ দৃশ্য দেখা গেল মত্স্য ভবনের সামনের সড়কে। উত্সুক পথচারীরা এ
দৃশ্য দেখে চমকিত হলেন।
এই উদ্যোগের শুরু হয় সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ফেসবুকের ‘স্যালুট’ গ্রুপের মাধ্যমে। এর অন্যতম উদ্যোক্তা একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী জিনাত জোয়ার্দার। তিনি বলেন, ‘সাধারণ মানুষের সঙ্গে পুলিশের সবচেয়ে বেশি সম্পৃক্ততা। আমাদের বিপদে তারাই সবার আগে এগিয়ে আসে। সাম্প্রতিক সময়ে দেশের বিভিন্ন সহিংস ঘটনায় নিজের জীবন বিপন্ন করে পুলিশই সবার আগে এগিয়ে এসেছে। কিন্তু আমরা তাদের শ্রদ্ধা দেখাই না। এ ছাড়া তাদের সম্পর্কে আমাদের অনেকেরই নেতিবাচক ধারণা। এই ধারণা বদলে দিতে এবং পুলিশ সদস্যদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাতে আমাদের এই উদ্যোগ।’
উদ্যোক্তারা জানিয়েছেন, আজ বেলা সাড়ে ১১টায় শাহবাগ থেকে তাঁরা দেড় হাজার গোলাপ ফুল কিনে আনেন। প্রথমে মত্স্য ভবন থেকে ফুল দেওয়া আরম্ভ হয়। পরে বেইলি রোডে রমনা থানা, পুলিশ কমিশনারের কার্যালয়ে দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যদের ফুল দেন তাঁরা। সেখান থেকে তাঁরা রাজারবাগ কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালে আহত পুলিশ সদস্য শরীফাকে দেখতে যান। তাঁর খোঁজখবর নিয়ে তাঁরা রাজারবাগ পুলিশ লাইনে দায়িত্বরত পুলিশ কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান।
এর পর উদ্যোক্তারা রাজারবাগ পুলিশ লাইনের ভেতরে একাত্তরের শহীদ পুলিশদের স্মৃতিস্তম্ভে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান। তাঁরা বলেন, রাজধানীতে পুলিশদের ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানানোর এই উদ্যোগ শুরু হয়েছে গত সোমবার থেকে। ওই দিনে তাঁরা শাহবাগ থানা, নিউমার্কেট থানা, নীলক্ষেত, কাঁটাবন, কারওয়ান বাজার এবং ফার্মগেট এলাকায় দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যদের ফুল দেন।
জিনাত জোয়ার্দার জানান, এই উদ্যোগে স্বেচ্ছাসেবকেরা নিজেরাই চাঁদা তুলে ফুল কেনেন। ফুল পেয়ে অনেক পুলিশ সদস্য আনন্দে কেঁদেও ফেলেছেন। তিনি বলেন, এই ফুল দেওয়ার উদ্যোগ এখানেই শেষ নয়। এখন থেকে সপ্তাহে অন্তত এক দিন করে প্রতিটি থানায় ও ওই এলাকায় দায়িত্বে থাকা পুলিশ সদস্যদের শুভেচ্ছা জানানো হবে। মানুষের জীবন বাঁচাতে পুলিশদের সম্মান প্রাপ্য। তাই তাঁদের শ্রদ্ধা জানাতে এবং মানুষের সঙ্গে তাঁদের বন্ধুত্ব বৃদ্ধি করতে এই উদ্যোগ।
ব্যতিক্রমধর্মী উদ্যোগের সঙ্গে আরও আছেন, স্টামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মাহামুদুল ইসলাম, আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল বিশ্বাবদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ফারাবি বিন জহির, ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী তুষার।
উদ্যোক্তা সূত্রে জানা গেছে, উদ্যোগে শামিল হতে প্রতিদিনই স্বেচ্ছাসেবকদের সংখ্যা বাড়ছে। তরুণদের পাশাপাশি নানা বয়সের মানুষ এতে যুক্ত হচ্ছেন।
এই উদ্যোগের শুরু হয় সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ফেসবুকের ‘স্যালুট’ গ্রুপের মাধ্যমে। এর অন্যতম উদ্যোক্তা একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী জিনাত জোয়ার্দার। তিনি বলেন, ‘সাধারণ মানুষের সঙ্গে পুলিশের সবচেয়ে বেশি সম্পৃক্ততা। আমাদের বিপদে তারাই সবার আগে এগিয়ে আসে। সাম্প্রতিক সময়ে দেশের বিভিন্ন সহিংস ঘটনায় নিজের জীবন বিপন্ন করে পুলিশই সবার আগে এগিয়ে এসেছে। কিন্তু আমরা তাদের শ্রদ্ধা দেখাই না। এ ছাড়া তাদের সম্পর্কে আমাদের অনেকেরই নেতিবাচক ধারণা। এই ধারণা বদলে দিতে এবং পুলিশ সদস্যদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাতে আমাদের এই উদ্যোগ।’
উদ্যোক্তারা জানিয়েছেন, আজ বেলা সাড়ে ১১টায় শাহবাগ থেকে তাঁরা দেড় হাজার গোলাপ ফুল কিনে আনেন। প্রথমে মত্স্য ভবন থেকে ফুল দেওয়া আরম্ভ হয়। পরে বেইলি রোডে রমনা থানা, পুলিশ কমিশনারের কার্যালয়ে দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যদের ফুল দেন তাঁরা। সেখান থেকে তাঁরা রাজারবাগ কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালে আহত পুলিশ সদস্য শরীফাকে দেখতে যান। তাঁর খোঁজখবর নিয়ে তাঁরা রাজারবাগ পুলিশ লাইনে দায়িত্বরত পুলিশ কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান।
এর পর উদ্যোক্তারা রাজারবাগ পুলিশ লাইনের ভেতরে একাত্তরের শহীদ পুলিশদের স্মৃতিস্তম্ভে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান। তাঁরা বলেন, রাজধানীতে পুলিশদের ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানানোর এই উদ্যোগ শুরু হয়েছে গত সোমবার থেকে। ওই দিনে তাঁরা শাহবাগ থানা, নিউমার্কেট থানা, নীলক্ষেত, কাঁটাবন, কারওয়ান বাজার এবং ফার্মগেট এলাকায় দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যদের ফুল দেন।
জিনাত জোয়ার্দার জানান, এই উদ্যোগে স্বেচ্ছাসেবকেরা নিজেরাই চাঁদা তুলে ফুল কেনেন। ফুল পেয়ে অনেক পুলিশ সদস্য আনন্দে কেঁদেও ফেলেছেন। তিনি বলেন, এই ফুল দেওয়ার উদ্যোগ এখানেই শেষ নয়। এখন থেকে সপ্তাহে অন্তত এক দিন করে প্রতিটি থানায় ও ওই এলাকায় দায়িত্বে থাকা পুলিশ সদস্যদের শুভেচ্ছা জানানো হবে। মানুষের জীবন বাঁচাতে পুলিশদের সম্মান প্রাপ্য। তাই তাঁদের শ্রদ্ধা জানাতে এবং মানুষের সঙ্গে তাঁদের বন্ধুত্ব বৃদ্ধি করতে এই উদ্যোগ।
ব্যতিক্রমধর্মী উদ্যোগের সঙ্গে আরও আছেন, স্টামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মাহামুদুল ইসলাম, আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল বিশ্বাবদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ফারাবি বিন জহির, ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী তুষার।
উদ্যোক্তা সূত্রে জানা গেছে, উদ্যোগে শামিল হতে প্রতিদিনই স্বেচ্ছাসেবকদের সংখ্যা বাড়ছে। তরুণদের পাশাপাশি নানা বয়সের মানুষ এতে যুক্ত হচ্ছেন।
১০ নারীর মধ্যে নয়জনই অনিরাপদ!
ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লির প্রতি ১০ জন নারীর মধ্যে নয়জনই মনে করেন
দিল্লিতে তাঁরা নিরাপদ নন। এর মধ্যে এক-তৃতীয়াংশ নারীরই রয়েছে শহরের
রাস্তাঘাটে চলাফেরার সময় অসদাচরণের শিকার হওয়ার অভিজ্ঞতা।
দিল্লিতে নারীদের কর্মজীবন ও ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে টাইমস অব ইন্ডিয়ার পরিচালিত একটি জরিপের ফলাফলে এসব তথ্য উঠে এসেছে। আজ শুক্রবার পত্রিকাটির অনলাইন সংস্করণে এ-বিষয়ক একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, একসময় নিরাপত্তার কথা ভেবে বলা হতো, ‘দিল্লি ফর ওমেন’। আর সেই দিল্লিই আজ ভারতে নারীদের জন্য সবচেয়ে অনিরাপদ রাজ্যগুলোর মধ্যে একটি।
প্রতিবেদনে বলা হয়, দিল্লিতে নারীদের দুই-তৃতীয়াংশই বিভিন্ন দপ্তরে কাজ করে থাকেন। কিন্তু সেখানে যৌন হয়রানি মোকাবিলার জন্য কোনো নিয়মকানুন নেই। আর নারীদের প্রায় অর্ধেকই মনে করেন, বাবার সম্পত্তি ভাগের সময় তাঁদের সঙ্গে বৈষম্য করা হয়।
জরিপের ফলাফলে দেখা গেছে, বাড়িতে বা কর্মস্থলে কিছু কিছু জিনিস পরিবর্তন করা হলেও দিল্লি শহরে চলাফেরা ও জীবনধারণকে এখনো চ্যালেঞ্জ হিসেবেই দেখছেন নারীরা। জরিপটি দিল্লির প্রধান প্রধান শহর ও উপশহরে বিভিন্ন বয়সী নারীদের ওপর চালানো হয়।
জরিপের একটি গ্রাফচিত্রে দেখানো হয়েছে, দিল্লির ৯৪ শতাংশ নারী দিল্লিকে অনিরাপদ বা মারাত্মক অনিরাপদ মনে করেন। ৯৬ শতাংশ নারী সূর্যাস্তের পর নিজেদের নিরাপদ মনে করেন না। ৬৩ শতাংশ নারীই জানান, তাঁদের কর্মস্থলে যৌন হয়রানি মোকাবিলায় নিজস্ব কোনো নিয়মনীতি নেই।
জরিপে দিল্লিতে নারীর চলাফেরা, কর্মস্থল, বাড়ি অথবা অবসর সময়ে কীভাবে বিভিন্ন সমস্যার মুখোমুখি হন, তা পর্যালোচনা করা হয়। পত্রিকাটি আশা করে এসব সমস্যার সমাধানের উপায় খুঁজতে প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে এই জরিপটি কাজ করবে।
সম্প্রতি নয়াদিল্লিতে বাসে গণধর্ষণের শিকার হয়ে মেডিকেলের এক ছাত্রীর মৃত্যু হয়েছে। এর প্রতিবাদে দিল্লিসহ পুরো ভারতে নারী-পুরুষ সবাই বিক্ষোভে ফেটে পড়ে। এরপর সরকার নারী নির্যাতন প্রতিরোধে নতুন আইন প্রণয়ন করতে বাধ্য হয়।
দিল্লিতে নারীদের কর্মজীবন ও ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে টাইমস অব ইন্ডিয়ার পরিচালিত একটি জরিপের ফলাফলে এসব তথ্য উঠে এসেছে। আজ শুক্রবার পত্রিকাটির অনলাইন সংস্করণে এ-বিষয়ক একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, একসময় নিরাপত্তার কথা ভেবে বলা হতো, ‘দিল্লি ফর ওমেন’। আর সেই দিল্লিই আজ ভারতে নারীদের জন্য সবচেয়ে অনিরাপদ রাজ্যগুলোর মধ্যে একটি।
প্রতিবেদনে বলা হয়, দিল্লিতে নারীদের দুই-তৃতীয়াংশই বিভিন্ন দপ্তরে কাজ করে থাকেন। কিন্তু সেখানে যৌন হয়রানি মোকাবিলার জন্য কোনো নিয়মকানুন নেই। আর নারীদের প্রায় অর্ধেকই মনে করেন, বাবার সম্পত্তি ভাগের সময় তাঁদের সঙ্গে বৈষম্য করা হয়।
জরিপের ফলাফলে দেখা গেছে, বাড়িতে বা কর্মস্থলে কিছু কিছু জিনিস পরিবর্তন করা হলেও দিল্লি শহরে চলাফেরা ও জীবনধারণকে এখনো চ্যালেঞ্জ হিসেবেই দেখছেন নারীরা। জরিপটি দিল্লির প্রধান প্রধান শহর ও উপশহরে বিভিন্ন বয়সী নারীদের ওপর চালানো হয়।
জরিপের একটি গ্রাফচিত্রে দেখানো হয়েছে, দিল্লির ৯৪ শতাংশ নারী দিল্লিকে অনিরাপদ বা মারাত্মক অনিরাপদ মনে করেন। ৯৬ শতাংশ নারী সূর্যাস্তের পর নিজেদের নিরাপদ মনে করেন না। ৬৩ শতাংশ নারীই জানান, তাঁদের কর্মস্থলে যৌন হয়রানি মোকাবিলায় নিজস্ব কোনো নিয়মনীতি নেই।
জরিপে দিল্লিতে নারীর চলাফেরা, কর্মস্থল, বাড়ি অথবা অবসর সময়ে কীভাবে বিভিন্ন সমস্যার মুখোমুখি হন, তা পর্যালোচনা করা হয়। পত্রিকাটি আশা করে এসব সমস্যার সমাধানের উপায় খুঁজতে প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে এই জরিপটি কাজ করবে।
সম্প্রতি নয়াদিল্লিতে বাসে গণধর্ষণের শিকার হয়ে মেডিকেলের এক ছাত্রীর মৃত্যু হয়েছে। এর প্রতিবাদে দিল্লিসহ পুরো ভারতে নারী-পুরুষ সবাই বিক্ষোভে ফেটে পড়ে। এরপর সরকার নারী নির্যাতন প্রতিরোধে নতুন আইন প্রণয়ন করতে বাধ্য হয়।
পুঠিয়ায় শিশুকে ধর্ষণের পর হত্যা!
রাজশাহীর পুঠিয়ায় গতকাল শুক্রবার সকালে ভুট্টাখেত থেকে আট বছরের এক শিশুর
লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এ সময় শিশুটির গায়ে কাদামাটি মাখানো ছিল। শরীরে কোনো
কাপড় ছিল না।
পরিবারের অভিযোগ, তাকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে। শিশুটির নাম রাজিয়া খাতুন। বাবার নাম আবদুর রাজ্জাক। বাড়ি উপজেলার সাধনপুর গ্রামে। রাজিয়া সাধনপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দ্বিতীয় শ্রেণীতে পড়ত। তার বাবা দরিদ্র কৃষক।
রাজিয়ার মামা তায়েজ উদ্দিন বলেন, স্কুল থেকে গত বৃহস্পতিবার দুপুরে বাড়ি ফিরে খাওয়াদাওয়া করে রাজিয়া বাড়ির পাশে খেলতে যায়। এ সময় তার খালি গা ও পরনে হাফপ্যান্ট ছিল। বিকেলের দিকে সে বাড়ি ফিরে না আসায় খোঁজাখুঁজি শুরু হয়। তাকে কোথাও না পেয়ে মাইকিং করা হয়। সকালে তিনি খুঁজতে খুঁজতে বাড়ি থেকে প্রায় ৫০০ গজ দূরে ভুট্টাখেতে গিয়ে রাজিয়ার লাশ দেখতে পান।
তিনি আরও বলেন, কারও সঙ্গে তাঁদের শত্রুতা নেই। কেউ শত্রুতা করে হত্যা করতে পারে—এটা তাঁরা ভাবতে পারছেন না। ধর্ষণের পর ঘটনা জানাজানি হাওয়ার ভয়ে তাকে হত্যা করা হয়েছে বলে ধারণা করছেন তাঁরা। খবর পেয়ে পুঠিয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) রেজাউল করিম ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধারের পর সুরতহাল করেন।
তিনি বলেন, শিশুটির মুখে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। মুখ দিয়ে রক্ত বের হয়েছে। তিনি আরও বলেন, ভুট্টাখেতের পাশেই একটি পুকুর রয়েছে। তাকে হত্যার আগে বা পরে পুকুরের পানিতে ডুবিয়ে কাদামাটিসহ লাশ এনে খেতে ফেলে রাখা হয়েছে।
পরিবারের অভিযোগ, তাকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে। শিশুটির নাম রাজিয়া খাতুন। বাবার নাম আবদুর রাজ্জাক। বাড়ি উপজেলার সাধনপুর গ্রামে। রাজিয়া সাধনপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দ্বিতীয় শ্রেণীতে পড়ত। তার বাবা দরিদ্র কৃষক।
রাজিয়ার মামা তায়েজ উদ্দিন বলেন, স্কুল থেকে গত বৃহস্পতিবার দুপুরে বাড়ি ফিরে খাওয়াদাওয়া করে রাজিয়া বাড়ির পাশে খেলতে যায়। এ সময় তার খালি গা ও পরনে হাফপ্যান্ট ছিল। বিকেলের দিকে সে বাড়ি ফিরে না আসায় খোঁজাখুঁজি শুরু হয়। তাকে কোথাও না পেয়ে মাইকিং করা হয়। সকালে তিনি খুঁজতে খুঁজতে বাড়ি থেকে প্রায় ৫০০ গজ দূরে ভুট্টাখেতে গিয়ে রাজিয়ার লাশ দেখতে পান।
তিনি আরও বলেন, কারও সঙ্গে তাঁদের শত্রুতা নেই। কেউ শত্রুতা করে হত্যা করতে পারে—এটা তাঁরা ভাবতে পারছেন না। ধর্ষণের পর ঘটনা জানাজানি হাওয়ার ভয়ে তাকে হত্যা করা হয়েছে বলে ধারণা করছেন তাঁরা। খবর পেয়ে পুঠিয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) রেজাউল করিম ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধারের পর সুরতহাল করেন।
তিনি বলেন, শিশুটির মুখে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। মুখ দিয়ে রক্ত বের হয়েছে। তিনি আরও বলেন, ভুট্টাখেতের পাশেই একটি পুকুর রয়েছে। তাকে হত্যার আগে বা পরে পুকুরের পানিতে ডুবিয়ে কাদামাটিসহ লাশ এনে খেতে ফেলে রাখা হয়েছে।
আজ রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের জন্মদিন
মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক জিল্লুর রহমান ১৯২৯ সালের এই দিনে কিশোরগঞ্জের
ভৈরব থানার একটি সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ১৯৫২
সালের ভাষা আন্দোলন, ১৯৬২ সালের সামরিক শাসনবিরোধী আন্দোলন, ১৯৬৬ সালের ছয়
দফা আন্দোলন, ১৯৬৯-এর গণ-অভ্যুত্থানসহ প্রতিটি গণ-আন্দোলনে সক্রিয় অংশ
নিয়েছেন। তিনি ১৯৭০ সালে তৎকালীন পাকিস্তান জাতীয় পরিষদের সদস্য এবং ২০০৮
সালে ষষ্ঠবারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ২০০৯ সালে তিনি বাংলাদেশের
১৯তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ নেন।
জিল্লুর রহমান পারিবারিক জীবনে এক ছেলে ও দুই মেয়ের জনক। ২০০৪ সালের ২১
আগস্ট বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে গ্রেনেড হামলায় নিহত আওয়ামী লীগের নেত্রী আইভী
রহমান তাঁর স্ত্রী।
Subscribe to:
Posts (Atom)