Saturday, March 9, 2013

পুঠিয়ায় শিশুকে ধর্ষণের পর হত্যা!

রাজশাহীর পুঠিয়ায় গতকাল শুক্রবার সকালে ভুট্টাখেত থেকে আট বছরের এক শিশুর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এ সময় শিশুটির গায়ে কাদামাটি মাখানো ছিল। শরীরে কোনো কাপড় ছিল না।
পরিবারের অভিযোগ, তাকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে। শিশুটির নাম রাজিয়া খাতুন। বাবার নাম আবদুর রাজ্জাক। বাড়ি উপজেলার সাধনপুর গ্রামে। রাজিয়া সাধনপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দ্বিতীয় শ্রেণীতে পড়ত। তার বাবা দরিদ্র কৃষক।
রাজিয়ার মামা তায়েজ উদ্দিন বলেন, স্কুল থেকে গত বৃহস্পতিবার দুপুরে বাড়ি ফিরে খাওয়াদাওয়া করে রাজিয়া বাড়ির পাশে খেলতে যায়। এ সময় তার খালি গা ও পরনে হাফপ্যান্ট ছিল। বিকেলের দিকে সে বাড়ি ফিরে না আসায় খোঁজাখুঁজি শুরু হয়। তাকে কোথাও না পেয়ে মাইকিং করা হয়। সকালে তিনি খুঁজতে খুঁজতে বাড়ি থেকে প্রায় ৫০০ গজ দূরে ভুট্টাখেতে গিয়ে রাজিয়ার লাশ দেখতে পান।
তিনি আরও বলেন, কারও সঙ্গে তাঁদের শত্রুতা নেই। কেউ শত্রুতা করে হত্যা করতে পারে—এটা তাঁরা ভাবতে পারছেন না। ধর্ষণের পর ঘটনা জানাজানি হাওয়ার ভয়ে তাকে হত্যা করা হয়েছে বলে ধারণা করছেন তাঁরা। খবর পেয়ে পুঠিয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) রেজাউল করিম ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধারের পর সুরতহাল করেন।
তিনি বলেন, শিশুটির মুখে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। মুখ দিয়ে রক্ত বের হয়েছে। তিনি আরও বলেন, ভুট্টাখেতের পাশেই একটি পুকুর রয়েছে। তাকে হত্যার আগে বা পরে পুকুরের পানিতে ডুবিয়ে কাদামাটিসহ লাশ এনে খেতে ফেলে রাখা হয়েছে।