Saturday, March 9, 2013

প্রক্রিয়াজাত করা মাংসে মৃত্যুঝুঁকি!

যুক্তরাজ্যের গবেষকেরা সতর্ক করে বলেছেন, প্রক্রিয়াজাত করা মাংস খেলে কম বয়সে মৃত্যুঝুঁকি বেড়ে যেতে পারে। সসেজ, হ্যাম, বেকনের মতো খাবারের সঙ্গে যে প্রক্রিয়াজাত করা মাংস ব্যবহার করা হয়, তা খাওয়ার সঙ্গে অল্প বয়সে মৃত্যুর সম্পর্ক খুঁজে পেয়েছেন তাঁরা। বিবিসি অনলাইনের খবরে এ তথ্য জানানো হয়।
‘বিএমসি মেডিসিন’ সাময়িকীতে প্রকাশিত এক নিবন্ধে গবেষকেরা জানান, মাংস প্রক্রিয়াজাত করতে যে লবণ ও রাসায়নিক ব্যবহার করা হয়, তা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর।
গবেষকেরা ইউরোপের ১০টি দেশের পাঁচ লাখেরও বেশি মানুষের ওপর ১৩ বছর ধরে গবেষণা করে এ ফল পেয়েছেন।
গবেষকেরা সতর্ক করে জানিয়েছেন, খাবার হিসেবে অতিরিক্ত প্রক্রিয়াজাত মাংস গ্রহণ করলে হূদরোগ, ক্যানসারসহ কম বয়সে মৃত্যুঝুঁকি বেড়ে যেতে পারে।
গবেষকেরা জানান, যাঁরা প্রক্রিয়াজাত মাংস বেশি খান, তারা ধূমপানে আসক্ত হন, শরীরে মেদসহ নানা শারীরিক সমস্যার মধ্যে পড়েন।
প্রক্রিয়াজাত মাংস খাওয়া কমিয়ে সুষম খাবার খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন গবেষকেরা। তাঁদের পরামর্শ, স্বাস্থ্য সচেতন মানুষের প্রক্রিয়াজাত মাংস এড়িয়ে চলা প্রয়োজন।

পুলিশের হাতে ফুল দিয়ে অন্যরকম শ্রদ্ধা

দুপুরের প্রখর রোদে রাজধানীর সড়কে দাঁড়িয়ে থাকা পুলিশ সদস্যদের সামনে এগিয়ে গেলেন কয়েকজন তরুণ। তাঁদের হাতে থাকা গোলাপ ফুল দিয়ে পুলিশ সদস্যদের শুভেচ্ছা জানালেন তাঁরা। ফুল হাতে পেয়ে পুলিশ সদস্যরা রীতিমতো অবাক। আজ শুক্রবার এ দৃশ্য দেখা গেল মত্স্য ভবনের সামনের সড়কে। উত্সুক পথচারীরা এ দৃশ্য দেখে চমকিত হলেন।
এই উদ্যোগের শুরু হয় সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ফেসবুকের ‘স্যালুট’ গ্রুপের মাধ্যমে। এর অন্যতম উদ্যোক্তা একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী জিনাত জোয়ার্দার। তিনি বলেন, ‘সাধারণ মানুষের সঙ্গে পুলিশের সবচেয়ে বেশি সম্পৃক্ততা। আমাদের বিপদে তারাই সবার আগে এগিয়ে আসে। সাম্প্রতিক সময়ে দেশের বিভিন্ন সহিংস ঘটনায় নিজের জীবন বিপন্ন করে পুলিশই সবার আগে এগিয়ে এসেছে। কিন্তু আমরা তাদের শ্রদ্ধা দেখাই না। এ ছাড়া তাদের সম্পর্কে আমাদের অনেকেরই নেতিবাচক ধারণা। এই ধারণা বদলে দিতে এবং পুলিশ সদস্যদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাতে আমাদের এই উদ্যোগ।’
উদ্যোক্তারা জানিয়েছেন, আজ বেলা সাড়ে ১১টায় শাহবাগ থেকে তাঁরা দেড় হাজার গোলাপ ফুল কিনে আনেন। প্রথমে মত্স্য ভবন থেকে ফুল দেওয়া আরম্ভ হয়। পরে বেইলি রোডে রমনা থানা, পুলিশ কমিশনারের কার্যালয়ে দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যদের ফুল দেন তাঁরা। সেখান থেকে তাঁরা রাজারবাগ কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালে আহত পুলিশ সদস্য শরীফাকে দেখতে যান। তাঁর খোঁজখবর নিয়ে তাঁরা রাজারবাগ পুলিশ লাইনে দায়িত্বরত পুলিশ কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান।
এর পর উদ্যোক্তারা রাজারবাগ পুলিশ লাইনের ভেতরে একাত্তরের শহীদ পুলিশদের স্মৃতিস্তম্ভে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান। তাঁরা বলেন, রাজধানীতে পুলিশদের ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানানোর এই উদ্যোগ শুরু হয়েছে গত সোমবার থেকে। ওই দিনে তাঁরা শাহবাগ থানা, নিউমার্কেট থানা, নীলক্ষেত, কাঁটাবন, কারওয়ান বাজার এবং ফার্মগেট এলাকায় দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যদের ফুল দেন।
জিনাত জোয়ার্দার জানান, এই উদ্যোগে স্বেচ্ছাসেবকেরা নিজেরাই চাঁদা তুলে ফুল কেনেন। ফুল পেয়ে অনেক পুলিশ সদস্য আনন্দে কেঁদেও ফেলেছেন। তিনি বলেন, এই ফুল দেওয়ার উদ্যোগ এখানেই শেষ নয়। এখন থেকে সপ্তাহে অন্তত এক দিন করে প্রতিটি থানায় ও ওই এলাকায় দায়িত্বে থাকা পুলিশ সদস্যদের শুভেচ্ছা জানানো হবে। মানুষের জীবন বাঁচাতে পুলিশদের সম্মান প্রাপ্য। তাই তাঁদের শ্রদ্ধা জানাতে এবং মানুষের সঙ্গে তাঁদের বন্ধুত্ব বৃদ্ধি করতে এই উদ্যোগ।
ব্যতিক্রমধর্মী উদ্যোগের সঙ্গে আরও আছেন, স্টামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মাহামুদুল ইসলাম, আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল বিশ্বাবদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ফারাবি বিন জহির, ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী তুষার।
উদ্যোক্তা সূত্রে জানা গেছে, উদ্যোগে শামিল হতে প্রতিদিনই স্বেচ্ছাসেবকদের সংখ্যা বাড়ছে। তরুণদের পাশাপাশি নানা বয়সের মানুষ এতে যুক্ত হচ্ছেন।

১০ নারীর মধ্যে নয়জনই অনিরাপদ!

ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লির প্রতি ১০ জন নারীর মধ্যে নয়জনই মনে করেন দিল্লিতে তাঁরা নিরাপদ নন। এর মধ্যে এক-তৃতীয়াংশ নারীরই রয়েছে শহরের রাস্তাঘাটে চলাফেরার সময় অসদাচরণের শিকার হওয়ার অভিজ্ঞতা।
দিল্লিতে নারীদের কর্মজীবন ও ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে টাইমস অব ইন্ডিয়ার পরিচালিত একটি জরিপের ফলাফলে এসব তথ্য উঠে এসেছে। আজ শুক্রবার পত্রিকাটির অনলাইন সংস্করণে এ-বিষয়ক একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, একসময় নিরাপত্তার কথা ভেবে বলা হতো, ‘দিল্লি ফর ওমেন’। আর সেই দিল্লিই আজ ভারতে নারীদের জন্য সবচেয়ে অনিরাপদ রাজ্যগুলোর মধ্যে একটি।
প্রতিবেদনে বলা হয়, দিল্লিতে নারীদের দুই-তৃতীয়াংশই বিভিন্ন দপ্তরে কাজ করে থাকেন। কিন্তু সেখানে যৌন হয়রানি মোকাবিলার জন্য কোনো নিয়মকানুন নেই। আর নারীদের প্রায় অর্ধেকই মনে করেন, বাবার সম্পত্তি ভাগের সময় তাঁদের সঙ্গে বৈষম্য করা হয়।
জরিপের ফলাফলে দেখা গেছে, বাড়িতে বা কর্মস্থলে কিছু কিছু জিনিস পরিবর্তন করা হলেও দিল্লি শহরে চলাফেরা ও জীবনধারণকে এখনো চ্যালেঞ্জ হিসেবেই দেখছেন নারীরা। জরিপটি দিল্লির প্রধান প্রধান শহর ও উপশহরে বিভিন্ন বয়সী নারীদের ওপর চালানো হয়।
জরিপের একটি গ্রাফচিত্রে দেখানো হয়েছে, দিল্লির ৯৪ শতাংশ নারী দিল্লিকে অনিরাপদ বা মারাত্মক অনিরাপদ মনে করেন। ৯৬ শতাংশ নারী সূর্যাস্তের পর নিজেদের নিরাপদ মনে করেন না। ৬৩ শতাংশ নারীই জানান, তাঁদের কর্মস্থলে যৌন হয়রানি মোকাবিলায় নিজস্ব কোনো নিয়মনীতি নেই।
জরিপে দিল্লিতে নারীর চলাফেরা, কর্মস্থল, বাড়ি অথবা অবসর সময়ে কীভাবে বিভিন্ন সমস্যার মুখোমুখি হন, তা পর্যালোচনা করা হয়। পত্রিকাটি আশা করে এসব সমস্যার সমাধানের উপায় খুঁজতে প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে এই জরিপটি কাজ করবে।
সম্প্রতি নয়াদিল্লিতে বাসে গণধর্ষণের শিকার হয়ে মেডিকেলের এক ছাত্রীর মৃত্যু হয়েছে। এর প্রতিবাদে দিল্লিসহ পুরো ভারতে নারী-পুরুষ সবাই বিক্ষোভে ফেটে পড়ে। এরপর সরকার নারী নির্যাতন প্রতিরোধে নতুন আইন প্রণয়ন করতে বাধ্য হয়।

পুঠিয়ায় শিশুকে ধর্ষণের পর হত্যা!

রাজশাহীর পুঠিয়ায় গতকাল শুক্রবার সকালে ভুট্টাখেত থেকে আট বছরের এক শিশুর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এ সময় শিশুটির গায়ে কাদামাটি মাখানো ছিল। শরীরে কোনো কাপড় ছিল না।
পরিবারের অভিযোগ, তাকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে। শিশুটির নাম রাজিয়া খাতুন। বাবার নাম আবদুর রাজ্জাক। বাড়ি উপজেলার সাধনপুর গ্রামে। রাজিয়া সাধনপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দ্বিতীয় শ্রেণীতে পড়ত। তার বাবা দরিদ্র কৃষক।
রাজিয়ার মামা তায়েজ উদ্দিন বলেন, স্কুল থেকে গত বৃহস্পতিবার দুপুরে বাড়ি ফিরে খাওয়াদাওয়া করে রাজিয়া বাড়ির পাশে খেলতে যায়। এ সময় তার খালি গা ও পরনে হাফপ্যান্ট ছিল। বিকেলের দিকে সে বাড়ি ফিরে না আসায় খোঁজাখুঁজি শুরু হয়। তাকে কোথাও না পেয়ে মাইকিং করা হয়। সকালে তিনি খুঁজতে খুঁজতে বাড়ি থেকে প্রায় ৫০০ গজ দূরে ভুট্টাখেতে গিয়ে রাজিয়ার লাশ দেখতে পান।
তিনি আরও বলেন, কারও সঙ্গে তাঁদের শত্রুতা নেই। কেউ শত্রুতা করে হত্যা করতে পারে—এটা তাঁরা ভাবতে পারছেন না। ধর্ষণের পর ঘটনা জানাজানি হাওয়ার ভয়ে তাকে হত্যা করা হয়েছে বলে ধারণা করছেন তাঁরা। খবর পেয়ে পুঠিয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) রেজাউল করিম ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধারের পর সুরতহাল করেন।
তিনি বলেন, শিশুটির মুখে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। মুখ দিয়ে রক্ত বের হয়েছে। তিনি আরও বলেন, ভুট্টাখেতের পাশেই একটি পুকুর রয়েছে। তাকে হত্যার আগে বা পরে পুকুরের পানিতে ডুবিয়ে কাদামাটিসহ লাশ এনে খেতে ফেলে রাখা হয়েছে।

আজ রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের জন্মদিন

রাষ্ট্রপতি মো. জিল্লুর রহমানের ৮৫তম জন্মদিন আজ ৯ মার্চ।
মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক জিল্লুর রহমান ১৯২৯ সালের এই দিনে কিশোরগঞ্জের ভৈরব থানার একটি সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন, ১৯৬২ সালের সামরিক শাসনবিরোধী আন্দোলন, ১৯৬৬ সালের ছয় দফা আন্দোলন, ১৯৬৯-এর গণ-অভ্যুত্থানসহ প্রতিটি গণ-আন্দোলনে সক্রিয় অংশ নিয়েছেন। তিনি ১৯৭০ সালে তৎকালীন পাকিস্তান জাতীয় পরিষদের সদস্য এবং ২০০৮ সালে ষষ্ঠবারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ২০০৯ সালে তিনি বাংলাদেশের ১৯তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ নেন।
জিল্লুর রহমান পারিবারিক জীবনে এক ছেলে ও দুই মেয়ের জনক। ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে গ্রেনেড হামলায় নিহত আওয়ামী লীগের নেত্রী আইভী রহমান তাঁর স্ত্রী।

মিসবাহ-হাফিজের বিবাদ !

বিবাদে জড়িয়েছেন মিসবাহ-উল-হক ও মোহাম্মদ হাফিজ! গণমাধ্যমে এমন গুঞ্জনই চলছে। তবে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) দাবি, গুঞ্জনটা সত্যি নয়।
গণমাধ্যমের খবর, ওয়ানডে সিরিজ সামনে রেখে অনুশীলন করার সময় সম্প্রতি দল নির্বাচন নিয়ে কথা-কাটাকাটি হয় মিসবাহ ও হাফিজের মধ্যে। তবে ব্যাপারটা বেশি দূর এগোনোর আগেই দলের খেলোয়াড়েরা তাঁদের থামিয়ে দেন।
বার্তা সংস্থা পিটিআইয়ের খবর, ওয়ানডে অধিনায়ক মিসবাহ নাকি স্পষ্ট জানিয়ে দেন, ব্যাটিং অর্ডারে তিন নম্বরে খেলতে হবে হাফিজকে। তবে তাতে রাজি না হয়ে উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলতে চান হাফিজ। এ ছাড়া দলের দুই সিনিয়র অলরাউন্ডার শোয়েব মালিক ও শহীদ আফ্রিদিকে একসঙ্গে খেলাতে চেয়েছিলেন মিসবাহ। কিন্তু তাতে অসম্মতি জানিয়ে তিন থেকে চারজন ফাস্ট বোলার খেলানোর পক্ষে যুক্তি দেন হাফিজ।
গণমাধ্যমের খবর ‘মিথ্যা’ দাবি করে এক বিবৃতিতে পিসিবি জানিয়েছে, গণমাধ্যমের খবরকে গুরুত্ব সহকারে নিয়ে ব্যাপারটা অনুসন্ধান করেছে পিসিবি। কিন্তু এর কোনো সত্যতা পাওয়া যায়নি। দলের ম্যানেজমেন্ট দক্ষিণ আফ্রিকায় যোগাযোগ করে জেনেছে, দল নির্বাচন নিয়ে মিসবাহ ও হাফিজের মধ্যে কোনো ধরনের বিবাদ হয়নি।

নারায়ণগঞ্জে মেধাবী কিশোর খুন

‘ওর কোনো শত্রু ছিল না। শত্রু সব আমার। আমার কাজে যারা ক্ষুব্ধ, তারাই আমার ছেলেকে খুন করেছে।’ সন্তানের মৃতদেহের সামনে দাঁড়িয়ে এসব কথা বলতে বলতে অঝোরে কাঁদছিলেন নারায়ণগঞ্জের গণজাগরণ মঞ্চের উদ্যোক্তা, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব রফিউর রাব্বি। যে প্রতিবাদী মানুষটিকে কেউ কখনো কাঁদতে দেখেনি, আজ তাঁর চোখে পানি দেখে চোখ ভিজে আসে সবার।
রফিউর রাব্বির বড় ছেলে তানভীর মুহাম্মদ ত্বকিকে খুন করা হয়েছে। দুই দিন নিখোঁজ থাকার পর গতকাল শুক্রবার সকালে ১৭ বছরের এই কিশোরের মৃতদেহ পাওয়া যায় নারায়ণগঞ্জের চারারগোপে শীতলক্ষ্যার নদীর নৌযান নোঙর করার খালের (হারবার) কাঁদা পানিতে। তানভীর এ বছর ‘এ’ লেভেল পরীক্ষায় কৃতিত্বের সঙ্গে উত্তীর্ণ হয়েছে। ফল বেরিয়েছে নিখোঁজ হওয়ার এক দিন পর গতকাল। ফল আর জেনে যেতে পারেনি সে।
নারায়ণগঞ্জের পুলিশ সুপার সৈয়দ নুরুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ছেলেটিকে পরিকল্পিতভাবে খুন করা হয়েছে। তার মুখে, ডান চোখে ও গলায় আঘাতের চিহ্ন আছে। তবে খুনের কারণ এবং খুনিদের শনাক্ত করা যায় এমন কোনো সূত্র এখনো মেলেনি।
নিরপরাধ কিশোরের এই নির্মম হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে নারায়ণগঞ্জের মানুষ। গতকাল দুপুরে জুমার নামাজের পর সর্বস্তরের মানুষ কালো পতাকা নিয়ে শহরে বিক্ষোভ মিছিল করেছে। সন্ধ্যার পর মশাল মিছিল করেছে জেলা সাংস্কৃতিক জোট। আজ সেখানে সকাল-সন্ধ্যা হরতালও ডেকেছে জোট। হরতালে সমর্থন দিয়েছে সিপিবি, বাসদ, ন্যাপ, ওয়ার্কার্স পার্টি, সাম্যবাদী দল ও গণসংহতি আন্দোলন।
রফিউর রাব্বি দুই ছেলে আর স্ত্রীকে নিয়ে থাকেন শায়েস্তা খান সড়কের পুরাতন কোর্ট রোডের বাসায়। দুই ভাইয়ের মধ্যে তানভীর বড়। ইংরেজি মাধ্যমের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবিসি ইন্টারন্যাশনাল স্কুল থেকে সে এবার ‘এ’ লেভেলে পাস করল। তার বন্ধুরা জানাল, সে খুব চুপচাপ স্বভাবের, পড়াশোনার বাইরে আর কিছুই করত না। বন্ধুও তেমন ছিল না। মা ছিল তার সবচেয়ে কাছের বন্ধু।
এবিসি ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের প্রশাসনিক কর্মকর্তা প্রদীপ কুমার সাহা প্রথম আলোকে বলেন, নিখোঁজ হওয়ার পরদিন বৃহস্পতিবার তার পরীক্ষার ফল বের হয়। পদার্থবিজ্ঞানে ৩০০ নম্বরের মধ্যে ২৯৭ পেয়েছে সে। এটা দেশের সর্বোচ্চ নম্বর। ‘ও’ লেভেল পরীক্ষায়ও সে পদার্থবিজ্ঞান ও রসায়নে সর্বোচ্চ নম্বর পেয়েছিল।
বাবা রফিউর রাব্বি প্রথম আলোকে বলেন, গত বুধবার বিকেলে বাসা থেকে বের হওয়ার পর আর ফেরেনি তাঁর ছেলে। তিনি বিষয়টি লিখিতভাবে র‌্যাব ও পুলিশকে জানান। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আশরাফউদ্দৌলা বলেন, গতকাল বেলা পৌনে ১১টার দিকে শহরের চারারগোপ শীতলক্ষ্যা নদীতে মৃতদেহ ভাসতে দেখে স্থানীয় লোকজন পুলিশকে খবর দেয়। পরে ওর বাবা মৃতদেহ শনাক্ত করেন। তার ব্যবহূত মুঠোফোনটি প্যান্টের পকেটেই ছিল।
মৃতদেহ নারায়ণগঞ্জ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়। ময়নাতদন্ত শেষে দুপুরের পর মৃতদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এ সময় মর্গে ছুটে আসেন নারায়ণগঞ্জের রাজনৈতিক-সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও ব্যবসায়ী মহলের লোকজন।
হাসপাতালে তানভীরের চাচা কবি ওয়াহিদ রেজা বলেন, ওর কোনো শত্রু ছিল না। এ রকম একটি ছেলেকে কারা খুন করল?
খুনের কারণ নিয়ে ভাবনা: নারায়ণগঞ্জ সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি প্রদীপ ঘোষ বলেন, গণজাগরণ মঞ্চের উদ্যোক্তা ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব রফিউর রাব্বি নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন নাগরিক আন্দোলনের সঙ্গে সম্পৃক্ত। নারায়ণগঞ্জে বাসভাড়া বৃদ্ধিসহ বিভিন্ন অন্যায়-অত্যাচারের বিরুদ্ধে সব সময় তিনি সোচ্চার।
মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভী বলেন, ‘বাসভাড়া কমানোর দাবিতে আন্দোলনের নেতৃত্ব দেওয়ায় একটি মহল রাব্বির প্রতি ক্ষুব্ধ। রাব্বি সিটি করপোরেশন নির্বাচনের সময় আমার পাশে থেকে আমাকে সাহস জুগিয়েছেন। তা ছাড়া সব ধরনের অন্যায়ের বিরুদ্ধে আন্দোলনে তিনি নেতৃত্ব দেন। এ কারণে স্থানীয় একটি প্রভাবশালী মহল তাঁর ওপর ক্ষুব্ধ। এই মহলটিই এ হত্যাকাণ্ড ঘটাতে পারে।’ মেয়র বলেন, এর আগে আশিক ও চঞ্চল নামের দুই যুবককেও একই কায়দায় খুন করা হয়। তিনজনের লাশই শীতলক্ষ্যা থেকে উদ্ধার করা হয়েছে।
খুনের কারণ সম্পর্কে জানতে চাইলে স্থানীয় লোকজন বলেন, রফিউর রাব্বির সামাজিক কর্মকাণ্ড নিয়ে জামায়াত-শিবির যেমন ক্ষুব্ধ, তেমনি ক্ষুব্ধ নারায়ণগঞ্জের একটি প্রভাবশালী মহলও। এ খুনের পেছনে এ দুই গোষ্ঠীর যেকোনো একটির হাত থাকতে পারে।
হরতালে সমর্থন: নারায়ণগঞ্জ-৫ (শহর-বন্দর) আসনের জাপাদলীয় সাংসদ নাসিম ওসমান গতকাল এক বিবৃতিতে তানভীর হত্যাকারীদের বিচারের দাবি করেন। তাঁর মেজো ভাই নারায়ণগঞ্জ চেম্বার ও বিকেএমইএর সভাপতি সেলিম ওসমান বিকেলে শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে লাশ দেখতে গিয়ে আজকের হরতালের প্রতি সমর্থন জানিয়ে দোকানপাট বন্ধ রাখার আহ্বান জানান। চেম্বারের ব্যানারে আজ চাষাঢ়া এলাকায় প্রতিবাদ সমাবেশ ডেকেছেন সেলিম ওসমান।
পুলিশ যা বলছে: জেলা পুলিশ সুপার সৈয়দ নুরুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, তানভীরের বাবা রাব্বির প্রতি ক্ষুব্ধ কোনো গোষ্ঠী এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে কি না, পুলিশ তা খতিয়ে দেখছে। তিনি জানান, নিহত কিশোর নিখোঁজ হওয়ার আগ পর্যন্ত তার মোবাইল ব্যবহার করে চলতি মাসে মাত্র তিনটি কল করেছে। দুবার কথা বলেছে মায়ের সঙ্গে। তবে তার ফেসবুক, ই-মেইল ও মোবাইলের খুদে বার্তা পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে, নিখোঁজ হওয়ার আগে বাসা থেকে কেউ তাকে ডেকে নিয়েছিল কি না।
মিছিল: ময়নাতদন্ত শেষে দুপুরে লাশ ও কালো পতাকা নিয়ে মিছিল করে সাংস্কৃতিক জোট। মিছিলে অংশ নেন সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি নাসির উদ্দীন ইউসুফসহ অন্য নেতারা। মিছিলে স্লোগান ছিল, ‘আমার ভাই মরল কেন, প্রশাসন জবাব চাই’, ‘খুন হয়েছে আমার ভাই, খুনি তোদের রক্ষা নাই’। মরদেহ বাসায় নেওয়া হলে সমাজের বিভিন্ন স্তরের শত শত মানুষ ভিড় জমায়। বিকেলে শহরের চাষাঢ়া কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয়। বাদ মাগরিব শহরের আমলাপাড়া জামে মসজিদে জানাজা শেষে বন্দরে সিরাজ শাহ্র আস্তানায় পারিবারিক কবরস্থানে তার মৃতদেহ দাফন করা হয়।

১৮ মার্চ রাজধানীতে আওয়ামী লীগের বিক্ষোভ সমাবেশ

আগামী ১৮ মার্চ রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনের সামনে বড় আকারে বিক্ষোভ সমাবেশ করবে আওয়ামী লীগ। এ ছাড়া জামায়াত-শিবিরের সহিংসতায় ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা এবং যেসব এলাকায় সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা হয়েছে, সেসব এলাকাও পরিদর্শনে যাওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এ জন্য এলাকাভিত্তিক কয়েকটি দল গঠন করা হয়েছে। পাশাপাশি সারা দেশের মসজিদগুলোর ইমামদের সঙ্গেও বৈঠক করবেন দলীয় নেতারা।
আজ শনিবার ধানমন্ডির দলীয় কার্যালয়ে ঢাকার পাশের জেলাগুলোর নেতাদের সঙ্গে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতাদের বৈঠকে এসব কর্মসূচি নেওয়া হয়। বৈঠক শেষে দলীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ সংবাদ ব্রিফিংয়ে কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
বৈঠকে আলোচ্য বিষয়
বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ সম্প্রতি বেশ কয়েকটি জেলায় বিএনপি-জামায়াত জোটের হাতে একরকম অসহায়ভাবে আত্মসমর্পণ করেছে। ক্ষমতাসীন দল হলেও এসব এলাকায় দলীয় নেতা-কর্মীরা আতঙ্কগ্রস্ত এবং কোথাও কোথাও বাড়ি-ঘর ছাড়া। এ অবস্থায় দলীয় অবস্থান সুসংহত করা এবং নেতা-কর্মীদের মনোবল চাঙা করতে এ কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে।

কাদের নেতৃত্বে প্রতিনিধিদল
সংবাদ সম্মেলনে মাহবুব উল আলম হানিফ জানান, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতাদের নেতৃত্বে প্রতিনিধিদলগুলো গঠন করা হয়েছে। প্রতিনিধিদলগুলোর মধ্যে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মতিয়া চৌধুরীর নেতৃত্বে বগুড়া, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোহাম্মদ নাসিমের নেতৃত্বে জয়পুরহাট, সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের নেতৃত্বে চট্টগ্রামের সাতকানিয়া, উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য তোফায়েল আহমেদের নেতৃত্বে কক্সবাজার, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ওবায়দুল কাদেরের নেতৃত্বে নোয়াখালী, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আব্দুল লতিফ সিদ্দিকীর নেতৃত্বে রংপুর, শেখ ফজলুল করিম সেলিমের নেতৃত্বে সাতক্ষীরা-খুলনা, উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমির হোসেন আমুর নেতৃত্বে রাজশাহী, আবুল মাল আবদুল মুহিত ও সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের নেতৃত্বে সিলেটের ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা সফর করবে এসব প্রতিনিধিদল।

প্রতিনিধি দলের প্রতিবেদন অনুযায়ী ব্যবস্থা
সফর প্রসঙ্গে মাহবুব উল আলম হানিফ বলেন, সফর শেষে আওয়ামী লীগের এসব প্রতিনিধিদলের দেওয়া প্রতিবেদন অনুযায়ী ক্ষতিগ্রস্ত লোকজনের পুনর্বাসন এবং অপরাধীদের শাস্তির আওতায় আনার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ইমামদের সঙ্গে বৈঠক
মসজিদের ইমামদের সঙ্গে বৈঠক সম্পর্কে মাহবুব উল আলম হানিফ বলেন, ইসলামকে ধর্ম ব্যবসায়ীদের হাত থেকে রক্ষা করার জন্য প্রতিটি মসজিদের ইমামের সঙ্গে বৈঠক করা হবে। ইসলামের মান মর্যাদা রক্ষায় এ বৈঠক করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
শাহবাগে ককটেল বিস্ফোরণের জন্য বিএনপি-জামায়াত দায়ী
মাহবুব উল আলম হানিফ বলেন, ইসলামের সঙ্গে স্বাধীনতাবিরোধীদের কোনো সম্পর্ক নেই। তারা ধর্মকে ব্যবহার করে বারবার রাজনৈতিক ফায়দা নেওয়া চেষ্টা করেছে। শাহবাগের নারী জাগরণ সমাবেশে ককটেল বিস্ফোরণের জন্য বিএনপি-জামায়াতকে দায়ী করে তিনি বলেন, শাহবাগের বোমা হামলার জন্য বিএনপি ও জামায়াত দায়ী বলে মানুষ মনে করে। শাহবাগের তরুণ প্রজন্ম স্বাধীন বিচার বিভাগকে খাটো করছে বলে বক্তব্য দিয়ে বিএনপি অজ্ঞতার পরিচয় দিয়েছে। কারণ, শাহবাগ যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসি দাবি করেছে, ফাঁসির রায় ঘোষণা করেনি।
সংবাদ ব্রিফিংয়ে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক, সাংগঠনিক সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। জেলা নেতাদের মধ্যে ঢাকার মাহবুবুর রহমান, নারায়ণগঞ্জের আনোয়ার হোসেন, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন মেয়র সেলিনা হায়াত্ আইভী, গাজীপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আজমত উল্লাহ খানসহ মানিকগঞ্জ, মুন্সিগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকেরা উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশে পাচারের সময় ভারতে বিপুল অস্ত্র ও গুলি আটক

মিয়ানমার থেকে ভারতের ওপর দিয়ে বাংলাদেশে পাচারের সময় বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও গুলি আটক এবং তিন বাংলাদেশিকে গ্রেপ্তারের দাবি করেছে ভারতের পুলিশ।
দেশটির পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) এসপি জোসেফ লালছুয়ানার বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা পিটিআই প্রকাশিত প্রতিবেদনে গতকাল শুক্রবার এ তথ্য জানানো হয়েছে।
ওই পুলিশ কর্মকর্তা জানান, মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে পাচারের সময় গত দুই দিনে ভারতের মিজোরাম বিমানবন্দরের কাছ থেকে ৩১টি একে-৪৭ রাইফেল, একটি একটি ব্রাউনিং স্বয়ংক্রিয় রাইফেল ও একটি হালকা মেশিনগান আটক করা হয়েছে। এ ছাড়া একে-৪৭ রাইফেলের ৮৬টি, এলএমজির ২৪টি এবং ব্রাউনিং স্বয়ংক্রিয় রাইফেলের ৬৯৯টি গুলি উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে মনি ত্রিপুরা, রবি চাকমা ও সবুজ চাকমা নামের তিন বাংলাদেশিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁরা পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির সদস্য বলে জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছেন।

Friday, March 8, 2013

মঞ্চের কাছে ককটেল বিস্ফোরণ, র‌্যাব সদস্য আহত

শাহবাগের প্রজন্ম চত্বরের নারী জাগরণী সমাবেশস্থলের কাছেই আজ শুক্রবার বিকেল পাঁচটা ৫০ মিনিটে পর দুটি ককটেল বিস্ফোরিত হয়েছে।
এ ঘটনায় সেখানে দায়িত্বরত র‌্যাব সদস্য ডিএডি জালাল উদ্দিন আহত হয়েছেন। তাঁকে বারডেম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
ঘটনার সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার সন্দেহে এক ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে বলে গণজাগরণ মঞ্চ থেকে জানানো হয়েছে।
ককটেল বিস্ফোরণের পর প্রজন্ম চত্বরে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। তবে কিছুক্ষণের মধ্যেই পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসে।
ঘটনার প্রতিবাদে তাত্ক্ষণিকভাবে সেখানে উপস্থিত নারীরা প্রতিবাদ মিছিল বের করেন। পরে পুরুষেরাও মিছিলে যোগ দেন। নারী-পুরুষের সম্মিলিত লাঠি মিছিল বারবার সমাবেশের চারদিক প্রদক্ষিণ করছেন। আর গণজাগরণ মঞ্চে চলছে নারী জাগরণী সমাবেশ।
মঞ্চ থেকে এ ঘটনার নিন্দা জানানো হয়েছে। একই সঙ্গে সেখানে উপস্থিত নারীরা দৃঢ় কণ্ঠে জানিয়ে দিয়েছেন, কোনো ধরনের হামলা বা ভয় দেখিয়ে যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসিসহ ছয় দফার আন্দোলন নত্সাত করা যাবে না।
সন্ধ্যা পৌনে ছয়টার দিকে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার বেনজীর আহমেদ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এ সময় উপস্থিত সাংবাদিকদের তিনি বলেন, এটা কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। গত দুই সপ্তাহ ধরে সারা দেশে যেসব অরাজকতা চলছে, এটা তারই অংশ। মুষ্টিমেয় কিছু লোক এই কাজগুলো করছে। আমরা সবাই মিলে ঐক্যবদ্ধভাবে তাদের প্রতিরোধ করব।
এদিকে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) বোমা বিশেষজ্ঞ একটি দল ককটেল বিস্ফোরণের স্থান ঘিরে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছে।
আন্তর্জাতিক নারী দিবসে শাহবাগের প্রজন্ম চত্বরে পূর্বঘোষিত এই সমাবেশ নারীরাই পরিচালনা করছেন। তবে সেখানে সব শ্রেণী-পেশার নারীর পাশাপাশি পুরুষেরাও উপস্থিত হয়েছেন।