Thursday, September 2, 2010

জি-মেইল থেকে পাঠানো ই-মেইল ফিরিয়ে আনুন

গুগল প্রতিনিয়তই জি-মেইলে নতুন নতুন বৈশিষ্ট্য সংযোজন করার কাজ করে যাচ্ছে। সেইসঙ্গে জি-মেইলে এমন কিছু বৈশিষ্ট্য রয়েছে যেগুলো পরীক্ষামূলক পর্যায়ে রয়েছে। এ ধরনের সুবিধাগুলো ডিফল্টভাবে অন্তর্ভুক্ত করা না হলেও গুগল ল্যাবসের মাধ্যমে এগুলো ব্যবহার করা যায়। এর একটি হলো আনডু সেন্ড। যেকোনো ই-মেইল থেকে সেন্ড বাটন চাপার সঙ্গে সঙ্গেই ই-মেইলটি পাঠানো হয়ে যায়।
তবে দ্রুত কাজ করার সময় ভুল করে কাজ শেষ করার আগেই যদি ই-মেইল পাঠিয়ে দেন সে ক্ষেত্রে ই-মেইলে গুরুত্বপূর্ণ কোনো অংশ বাদ পড়ে যেতে পারে। আর খুব সাধারণ একটি ভুল প্রায় সময় অনেকেই করে থাকেন, সেটি হলো সংযুক্ত ফাইল হিসেবে ফাইল যুক্ত করার কথা থাকলেও সেটি যুক্ত না করেই পাঠিয়ে দেওয়া। ইচ্ছাকৃতভাবেই হোক আর অসাবধানতাবশতই হোক একবার পাঠানো হয়ে গেলে সেটি আর ফিরিয়ে আনা যায় না। ফলে ভুল সংশোধন করার কোনো সুযোগ পাওয়া যায় না। জি-মেইল ল্যাবস ব্যবহার করে এই সমস্যার সমাধান পাওয়া যাবে। http://mail.google.com/ mail/#settings/labs ঠিকানা থেকে জি-মেইলের ল্যাবস অপশনগুলো ব্যবহার করা যাবে। undo send নামের ল্যাবসটি চালু করলে পাঠিয়ে দেওয়া ই-মেইলগুলো আবার ফিরিয়ে আনা যাবে।
এই অপশনটি চালু করার পর থেকে কোনো ই-মেইল পাঠানো হলে জি-মেইল ইনবক্সের ওপরের অংশে একটি বার্তা দেখানো হবে যে ই-মেইলটি পাঠানো হয়েছে আপনি সেটি ফিরিয়ে আনতে চান কি না। সেখানে undo নামের লিংকটি ক্লিক করলে ই-মেইলটি আবার এডিটরে দেখা যাবে। তবে ই-মেইলটি ফিরিয়ে আনা যাবে একটি নির্দিষ্ট সময়ের ভেতর।
এই অপশনটি যখন প্রথম চালু করা হয় তখন সময়টি নির্ধারিত ছিল ৫ সেকেন্ড। এখন এই সময়টি পরিবর্তন করে ১০, ২০, ৩০ সেকেন্ড থেকে যেকোনোটি নির্বাচন করা যাবে। ধরা যাক যদি ৩০ সেকেন্ড নির্ধারণ করা হয়, তবে কোনো ই-মেইল পাঠানোর পরবর্তী ৩০ সেকেন্ডের ভেতর ই-মেইলটি ফিরিয়ে আনা যাবে।

ই-মেইল ঠিকানা রক্ষা করুন হ্যাকিং থেকে

ই-মেইল ঠিকানা সাধারণত দুই ভাবে চুরি হয়। যার মধ্যে রয়েছে সহজ গোপন নম্বর ব্যবহার এবং নিরাপত্তা প্রশ্নের উত্তর উল্লেখযোগ্য। অনেকেই তাদের ই-মেইল, ফেসবুকের ঠিকানার গোপন নম্বরে ব্যবহার করেন নিজের নাম, নামের প্রথম অংশ, নামের শেষ অংশ, বছর, ঘনিষ্ঠ বন্ধুর নাম, মোবাইল নম্বর, abcdef, ১২৩৪৫৬ ইত্যাদি। এসব গোপন নম্বর ব্যবহার করলে ই-মেইলের ঠিকানা চুরি হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। নিচের নিয়মগুলো অনুসরণ করলে নিরাপদ থাকা সম্ভব:
 ই-মেইল ঠিকানা সবচেয়ে বেশি চুরি হয় নিরাপত্তা প্রশ্নের মাধ্যমে। ই-মেইল ঠিকানায় কিছু কমন নিরাপত্তা প্রশ্ন থাকে। যেমন আপনার প্রিয় লেখকের নাম, আপনার প্রথম স্কুলের নাম, আপনার প্রথম ফোন নম্বর ইত্যাদি। এগুলোর উত্তরও সাধারণত একই রকম হয়। এ জন্য আপনার প্রিয় লেখকের নামের উত্তরে অন্য কোনো নাম লিখতে পারেন। নামটি যত বড় হয় ততই ভালো।
 গোপন নম্বর নির্বাচনের ক্ষেত্রেও বড় গোপন নম্বর লিখবেন এবং তাতে বর্ণ, সংখ্যা, ডট, কমা, ডলার সাইন ইত্যাদির মিশ্রণ থাকলে ভালো হয়।
যেসব কম্পিউটার একাধিক মানুষ ব্যবহার করে সেসব কম্পিউটারে লগইন করার সময় ব্রাউজার থেকে ‘আপনার পাসওয়ার্ড সংরক্ষণ করতে চান কি না’ বার্তা এলে No তে ক্লিক করবেন এবং কাজ শেষে করে লগআউট করতে ভুলবেন না।
 ই-মেইল ও ফেসবুকের ঠিকানায় বিকল্প ই-মেইল নামে একটি অপশন থাকে। সেখানে আপনার অন্য একটি ই-মেইল আইডি দিন। তাহলে কেউ যদি আপনার ই-মেইল আইডি বা ফেসবুক অ্যাকাউন্ট হ্যাক করে তখন সঙ্গে সঙ্গে আপনার অন্য ই-মেইলে মেসেজ চলে আসবে। তখন আপনি আপনার অ্যাকাউন্ট পুনরুদ্ধার করতে পারবেন। তবে খেয়াল রাখবেন যাতে দুটি ই-মেইল ঠিকানার গোপন নম্বর এবং নিরাপত্তা প্রশ্নের উত্তর একই না হয়।

মোবাইলফোনকে শক্তিশালী করতে ইন্টেলের উদ্যোগ

শীর্ষস্থানীয় চিপ প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান ইনটেল মোবাইল ফোনকে আরও শক্তিশালী করতে চাইছে। এ লক্ষ্যে তারা একটি নতুন ধরনের মোবাইল ফোন তৈরি করার পরিকল্পনা করছে। এ মোবাইল ফোন অ্যাপলের আইফোনের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করবে। কয়েক দিন আগেই ইনটেল চিপ প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান ইনফিনিয়ন টেকনোলজি এবং সফটওয়্যারের নিরাপত্তা সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান ম্যাকআফি অধিগ্রহণ করে। এর পরই ইনটেল মোবাইল ফোনকে শক্তিশালী করার এ পরিকল্পনার কথা ঘোষণা করল।
গবেষণা-প্রতিষ্ঠান গার্টনারের একজন বিশ্লেষক কেন ডুলানে বলেন, ইনটেল এখনো কোনো মোবাইল ফোন তৈরি করতে পারেনি। অতীতে তারা এ ধরনের চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছে। কাজেই প্রতিষ্ঠানটির এবারের উদ্যোগও শক্ত প্রতিযোগিতার মুখে পড়বে বলে মনে করা হচ্ছে।
কোয়ালকম এবং অন্যান্য চিপ প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে ইনটেলকে প্রতিযোগিতা করতে হবে। কারণ, এসব প্রতিষ্ঠানের তৈরি চিপ ইতিমধ্যে স্মার্ট ফোনগুলোয় ব্যবহূত হচ্ছে। কেন ডুলানে বলেন, ‘ইনটেল যতটা হাঁকডাক দিয়ে বাজারে নামছে, সেভাবে সাফল্য পাবে না বলেই আমার ধারণা। অবশ্য উল্টোটাও হতে পারে। সে জন্য আমাদের আরও কিছুদিন অপেক্ষা করতে হবে।’ ইনটেল ১৪০ কোটি ডলারে ইনফিনিয়ন এবং ৭৭০ কোটি ডলারে ম্যাকআফি অধিগ্রহণ করে। এর আগে গত বছর প্রতিষ্ঠানটি ৮৮ কোটি ৪০ লাখ ডলারে সফটওয়্যার প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান ওয়াইন্ডরিভার সিস্টেম কিনে নেয়

Wednesday, September 1, 2010

একটি হল ফিরে পাচ্ছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়

অবশেষে বেদখল হওয়া ১১টি হলের মধ্যে হাবিবুর রহমান হলের দখল শিগগিরই ফিরে পেতে যাচ্ছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়। সম্প্রতি হাইকোর্টের আপিল বিভাগের রায়ে এ সম্পর্কিত আইনি জটিলতা শেষ হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য গতকাল মঙ্গলবার দাবি করেছেন, হলটি বুঝে পাওয়া এখন শুধুই সময়ের ব্যাপার।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্র জানায়, গত মে মাসে ঢাকার জেলা প্রশাসক বিশ্ববিদ্যালয়কে ৯ দশমিক ৩৯ কাঠার বংশাল এলাকার হাবিবুর রহমান হলটি এক বছরের জন্য ইজারা দেয়। ইজারার ৬৮ হাজার টাকাও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন পরিশোধ করে। কিন্তু হাইকোর্টের আপিল বিভাগ বর্তমান দখলদারদের তিন মাসের সময় দেওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয় হলটি বুঝে পায়নি। গত বৃহস্পতিবার এই সময়সীমা শেষ হওয়ার পর দখলদারেরা আবারও সময় চেয়ে আবেদন করলে আপিল বিভাগ তা মঞ্জুর করেননি।
গতকাল বিশ্ববিদ্যালয়ের হল উদ্ধার কমিটির সদস্যরা উচ্চ আদালতের রায়ের কপি নিয়ে ঢাকার জেলা প্রশাসক মুহিবুল হকের সঙ্গে দেখা করেন। জেলা প্রশাসক হলটি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে বুঝিয়ে দিতে সবুজ সংকেত দেন।
হল উদ্ধার উপকমিটির আহ্বায়ক মো. নুরুল মোমেন প্রথম আলোকে বলেন, ‘ইজারা পাওয়ার পর আইনগত জটিলতার কারণে আমরা হলটির নিয়ন্ত্রণ নিতে পারিনি। তবে উচ্চ আদালতের রায় আমাদের পক্ষে এসেছে।’ তিনি বলেন, জেলা প্রশাসক আশ্বাস দিয়েছেন কাল বৃহস্পতিবার হলটি বুঝিয়ে দিতে তিনি ব্যবস্থা নেবেন।
উপাচার্য মেসবাহউদ্দিন আহমেদ প্রথম আলোকে বলেন, ‘এ বিষয়ে আর কোনো আইনি জটিলতা নেই। হলটি বুঝে পেলেই শিক্ষার্থীদের আবাসন-সংকট নিরসন হবে।

এতিম ও প্রতিবন্ধীদের জন্য ইফতার ও রাতের খাবার

সিলেটে এতিম ও প্রতিবন্ধীদের জন্য যৌথভাবে ইফতার এবং রাতের খাবারের আয়োজন করেছে প্রথম আলো বন্ধুসভা ও এইচএসবিসি ব্যাংক। গতকাল মঙ্গলবার সিলেটের বাগবাড়ি শিশু পরিবার (বালক এতিমখানা), রায়নগর শিশু পরিবার (বালিকা এতিমখানা) এবং খাদিমনগর এলাকার সামাজিক প্রতিবন্ধী মেয়েদের প্রশিক্ষণ ও পুনর্বাসন কেন্দ্রে এ ইফতার এবং রাতের খাবারের আয়োজন করা হয়। মোট সাড়ে তিন শ ছেলেমেয়ে এ আয়োজনে শামিল হয়।
ইফতার ও রাতের খাবার বিতরণের পুরো প্রক্রিয়াটি সমন্বয় করেন এইচএসবিসি ব্যাংকের মার্কেটিং ও কমিউনিকেশন ব্যবস্থাপক এম সামি হাফিজ, প্রথম আলো সিলেটের নিজস্ব প্রতিবেদক উজ্জ্বল মেহেদী, এইচএসবিসি ব্যাংক কর্মকর্তা এম রফিকুল ইসলাম, অলি এ চৌধুরী, সোনারতরী শিশু পাঠাগারের পরিচালক প্রবীর দেবনাথ, সানিয়া সানজিদা এবং প্রথম আলো বন্ধুসভার সিলেট শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয় ও এমসি কলেজ শাখার সদস্যরা।
এইচএসবিসি ব্যাংকের আমানাহ নামে পরিচালিত ইসলামী ব্যাংকিং কার্যক্রমের আওতায় এতিম ও প্রতিবন্ধীদের জন্য এ ইফতার এবং রাতের খাবারের আয়োজন করা হয়।

আইজিপির দায়িত্ব নিলেন হাসান মাহমুদ খন্দকার

পুলিশের নতুন মহাপরিদর্শক (আইজিপি) হাসান মাহমুদ খন্দকার দায়িত্ব নিয়েছেন। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে বর্তমান আইজিপি নূর মোহাম্মদ আনুষ্ঠানিকভাবে তাঁর কাছে দায়িত্ব হস্তান্তর করেন। এরপর বাদ্য বাজিয়ে বিদায়ী আইজিপিকে বহনকারী গাড়িটি কর্মকর্তারা রশি দিয়ে টেনে পুলিশ সদর দপ্তরের বাইরে নিয়ে যান। রেওয়াজ অনুযায়ী এভাবেই বিদায় নিলেন নূর মোহাম্মদ।
এর আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা করেন নূর মোহাম্মদ ও হাসান মাহমুদ খন্দকার। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত ওই বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী নতুন আইজিপিকে নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালনের নির্দেশ দেন।
গত সোমবার দুপুরে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক আদেশে হাসান মাহমুদ খন্দকারকে নতুন আইজিপি হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। রাষ্ট্রদূত হিসেবে নিয়োগ দেওয়ার জন্য নূর মোহাম্মদের চাকরি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ন্যস্ত করা হয়।
যোগদানের পর বিকেলে সদর দপ্তরে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে হাসান মাহমুদ বলেন, ‘মানুষের প্রত্যাশিত সেবা দিতে পারব কি না সেটাই চিন্তার বিষয়। প্রত্যাশিত মানে পুলিশ যাতে সেবা দিতে পারে, সে ব্যাপারে সচেষ্ট থাকব।’ তিনি বলেন, ‘রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত থেকে নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালন করব।’ মানুষ যাতে হয়রানির শিকার না হয়, সে ব্যাপারে সতর্ক হওয়ার জন্য তিনি পুলিশ কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেন। পুলিশ সংস্কার প্রকল্পের অগ্রগতির ব্যাপারে এক প্রশ্নের জবাবে নতুন আইজিপি বলেন, সংস্কার চলমান প্রক্রিয়া। এটা সরকারের বিবেচনায় আছে। পুলিশের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগের ব্যাপারে জানতে চাইলে নতুন আইজিপি বলেন, কারও কারও নৈতিক স্খলন হতে পারে। তবে সেটা পুরো বাহিনীর নয়। দু-একজনের কর্মকাণ্ড দিয়ে পুরো বাহিনীকে বিচার করা ঠিক হবে না। সংবাদ সম্মেলনের পর নতুন আইজি রাজারবাগ পুলিশ লাইন স্মৃতিসৌধে ও ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান।
বর্তমান আইজির বিদায় ও নতুন আইজির দায়িত্ব গ্রহণ অনুষ্ঠানে পুলিশ সদর দপ্তরের অধিকাংশ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। তবে অতিরিক্ত মহাপুলিশ পরিদর্শক নব বিক্রম ত্রিপুরা ও ফণীভূষণ চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন না। নতুন আইজি নিয়োগের পর নব বিক্রম ত্রিপুরা ১০ দিন ও ফণীভূষণ চৌধুরী সাত দিনের ছুটির আবেদন করেন। পুলিশের আইজি হওয়ার তালিকায় ওই দুজনের নামও আলোচনায় ছিল।

পান্নুকে বাঁচাতে এগিয়ে আসুন

পান্নু নামে পরিচিত স্বশিক্ষিত চিত্রশিল্পী আনিসুর রহমান এখন মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছেন। তাঁর গ্রামের বাড়ি পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার রূপপুরে। ১৭ আগস্ট এই শিল্পী মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণের কারণে অসুস্থ হয়ে পড়েন। বর্তমানে তিনি ঢাকার দিলু রোডের এসপিআরসি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তাঁকে সুস্থ করে তুলতে আনুমানিক ১০ লাখ টাকা প্রয়োজন। আনিসুর এলাকায় ‘সু-জ-কা’ নামে শিশুদের ছবি আঁকার একটি স্কুল পরিচালনা করেন। (এস এম সুলতান, জয়নুল আবেদিন ও কাজী নজরুলের আদ্যক্ষর নিয়ে প্রতিষ্ঠিত ‘সু-জ-কা’)। এ ছাড়া তাঁর পরিবারে আয়ের আর কোনো সংস্থান নেই। ফলে তাঁর পরিবারের পক্ষে এত টাকা জোগাড় করা কোনোভাবেই সম্ভব নয়। আপনাদের সামান্য সাহায্যই বাঁচাতে পারে এই কৃতী শিল্পীকে। সাহায্য পাঠানোর ঠিকানা: মোসা. নাসিমা বেগম, সঞ্চয়ী হিসাব নম্বর: ৩৮৮৭, সোনালী ব্যাংক, বাঘইল শাখা, ঈশ্বরদী।

স্নাতক প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষার আবেদনপত্র বিতরণ শুরু আজ

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০১০-১১ শিক্ষাবর্ষের প্রথম বর্ষ স্নাতক (সম্মান) শ্রেণীর ভর্তি পরীক্ষার আবেদনপত্র বিতরণ আজ বুধবার শুরু হচ্ছে। ২৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত আবেদনপত্র বিতরণ চলবে।
প্রথমবারের মতো এবার অনলাইনে আবেদন করা যাবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব ওয়েবসাইট .িলঁহরা.বফঁ থেকে আবেদনপত্র পাওয়া যাবে। আগামী ২৩ অক্টোবর ভর্তি পরীক্ষা শুরু হয়ে ২৭ অক্টোবর পর্যন্ত চলবে। এবার প্রথমবারের মতো ইউনিটভিত্তিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। এমসিকিউ পদ্ধতিতে এ পরীক্ষায় ভুল উত্তরের কারণে দশমিক ৩০ নম্বর কাটা হবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ে ছুটি শুরু: জন্মাষ্টমী, পবিত্র শবে কদর, জুমাতুল বিদা ও ঈদুল ফিতর উপলক্ষে আজ বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ে ছুটি শুরু হচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার আবু বকর সিদ্দিক স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ১ থেকে ১৬ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সব ক্লাস বন্ধ থাকবে। এ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন কার্যালয় ৭ থেকে ১৬ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বন্ধ থাকবে। তবে পূর্বঘোষিত সব পরীক্ষা যথাসময়ে অনুষ্ঠিত হবে।

অ্যানথ্রাক্স আতঙ্কে গরুর মাংস বিক্রি কমেছে

অ্যানথ্রাক্স আতঙ্কে গরুর মাংস খাওয়া ব্যাপকভাবে কমিয়ে দিয়েছেন রাজধানীবাসী। রেস্তোরাঁগুলোতেও গরুর মাংসের চাহিদা কমে গেছে। অনেকে ভয়ে খাসির মাংস কেনাও ছেড়ে দিয়েছেন।
গরুর মাংসে বিপদের ভয়ে চাহিদা বেড়েছে মুরগির। চাপ বেড়েছে মাছের বাজারেও।
সিরাজগঞ্জ ও পাবনার সাতটি উপজেলায় গরুর মধ্যে অ্যানথ্রাক্স রোগ ছড়িয়ে পড়ে বেশ কয়েকটি পশু মারা গেছে। সেখানে শতাধিক লোক এ পর্যন্ত অ্যানথ্রাক্সে আক্রান্ত হয়েছে।
সরকারি কর্তৃপক্ষ পশুর চালান ঢাকায় ঢোকার আগে পরীক্ষা হচ্ছে, অ্যানথ্রাক্স ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা নেই ইত্যাদি আশ্বাসের কথা শোনাচ্ছে। কিন্তু এতে দৃশ্যত নাগরিকেরা ভরসা পাচ্ছেন না। আর জবাইয়ের আগে পশুর যথাযথ স্বাস্থ্য পরীক্ষার নিশ্চয়তা না থাকাও গরু-খাসির মাংস এড়িয়ে চলার বড় কারণ। গরু, ছাগল ও ভেড়া এসব চতুষ্পদ গবাদিপশুরই অ্যানথ্রাক্স বা তড়কা রোগটি হয়।
রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে ঘুরে দেখা গেছে, কসাইয়ের দোকানে সকালে ঝুলিয়ে রাখা গরুর রান বিকেল পর্যন্ত ঝুলছে। মাথায় হাত দিয়ে বসে আছেন দোকানি। বিষণ্নমুখে খিলগাঁও কাঁচাবাজারের মাংসবিক্রেতা সোলেমান মিয়া প্রথম আলোকে জানান, সাধারণত রোজার মাসে গরুর মাংস বিক্রি হয় সবচেয়ে বেশি। কিন্তু এবার পরিস্থিতি ভিন্ন, অ্যানথ্রাক্সের ভয়ে ক্রেতা নেই। সোলেমান বলেন, ‘কিনবে কী? বাঁধা খদ্দেররাও এক মুহূর্তের জন্য দোকানে দাঁড়ায়ও না। পাছে রোগে ধরে!’
কারওয়ান বাজারের ‘চারুলতা’ রেস্তোরাঁয় খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গরুর মাংসের ঝোল ও ভুনা তরকারিসহ প্রতিটি আইটেমের চাহিদা কমে গেছে। কেউ বিরিয়ানির সঙ্গে গরুর টিকিয়া খাচ্ছেন না।
পুরান ঢাকার ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, খাসির কাচ্চি, খাসির বিরিয়ানি ও মোরগপোলাওয়ের যথেষ্ট চাহিদা থাকলেও দুই সপ্তাহ ধরে কমে গেছে গরুর মাংসের তেহারি ও অন্যান্য খাবারের চাহিদা।
রোববার নিউমার্কেটের গরুর মাংসের দোকানে মাছি আর বিক্রেতা নিজে ছাড়া কোনো প্রাণী দেখা যায়নি। বিক্রেতা মোহসীন জানালেন, তাঁরা সাধারণত দিনে কম করেও ১৫টি গরু রাখতেন। এখন সারা দিনেও পুরো একটি গরু বিক্রি হচ্ছে না। মোহসীন বলেন, কোনো কোনো রেস্তোরাঁ কম করে হলেও দিনে ১০০ কেজি মাংস নিত। গত দুই সপ্তাহে তা ৪০ থেকে ৪৫ কেজিতে নেমে এসেছে।
ঠিক উল্টো চিত্র মুরগির বাজারে। মাংস ছাড়া যাদের চলে না তাদের ভিড় এখন সেখানেই। ব্রয়লারের দাম কেজিপ্রতি ১০ থেকে ১৫ টাকা বেড়েছে। খিলগাঁও বাজারে ব্রয়লার মুরগির দাম কেজি ১৩০ থেকে ১৩৫ টাকা। এ ছাড়া গোড়ান কাঁচাবাজারে তা ১২০ থেকে ১২৫, নিউমার্কেট কাঁচাবাজারে ১৪০ থেকে ১৫০, কারওয়ান বাজারে ১২৫ থেকে ১৩৫ ও হাতিরপুল বাজারে ১৩০ থেকে ১৩৫ টাকা।
দেশি মুরগির দামও বেড়ে গেছে। মাঝারি আকারের একটি মুরগির (সর্বোচ্চ পৌনে এক কেজি) দাম সাড়ে ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা। আর এক হালি বাচ্চা মুরগি বিক্রি হচ্ছে এক হাজার টাকায়! দামাদামি করার সুযোগও দিচ্ছেন না বিক্রেতারা।
হাতিরপুল বাজারের মুরগি বিক্রেতা আবদুল করিমের সহকারী খোকন (১২) জানায়, ‘আল্লায় আমাগো দিকে মুখ তুইলা তাকাইছে। হেইবার বার্ড ফ্লুর লাইগা বেচাবিক্রি বন্ধ হইছিল। সেমাই দিয়াই ঈদ সারছিলাম। এবার চাচায় বোনাস দিব কইছে। ’
নিউমার্কেটের মুরগি ব্যবসায়ী কাসেম আলী বলেন, ‘সাধারণত রমজানে কেনাবেচা তেমন হয় না। কিন্তু গত ১২-১৩ দিনে অসুখের ভয়ে সবাই মুরগি কিনছে। বেচাকেনাও যথেষ্ট ভালো।’ সব বাজারেই মুরগির দাম আরও বাড়বে বলে তাঁর ধারণা।
ক্রেতা মো. আরমান আলী সোমবার দুই হালি ব্রয়লার মুরগি কিনেছেন দেড় হাজার টাকায়। কেজিপ্রতি দাম পড়েছে ১৫০ টাকা। তিনি জানালেন, গত সপ্তাহেই মুরগি কিনেছেন কেজিপ্রতি ১২৫ টাকা করে। তার আগের সপ্তাহে কিনেছিলেন ১১৫ টাকায়।
কসাইখানায় চিকিৎসক নেই: সিটি করপোরেশন সূত্রে জানা গেছে, দিনে রাজধানীতে গড়ে ৭০০ গরু, ২৫০টি মহিষ ও চার-পাঁচ হাজার ছাগল-ভেড়া জবাই করা হয়। এর মধ্যে ডিসিসির আওতায় ঢাকার পাঁচ জায়গায় জবাই করা হয় প্রায় দেড় হাজার পশু। তবে এখন চিকিৎসক রয়েছেন শুধু দুটি স্থানে। অভিযোগ রয়েছে, কাগজ-কলমে সই থাকলেও ডিসিসির ওই পশু চিকিৎসকেরা প্রায়ই কসাইখানায় উপস্থিত থাকেন না। ফলে প্রায়শই কোনো রকম পরীক্ষা-নিরীক্ষা ছাড়াই পশু জবাই করা হয়। আর যথাযথ পরীক্ষার ব্যবস্থাও নেই।
সিটি করপোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা মো. নাসিরউদ্দিন প্রথম আলোকে জানালেন, সিটি করপোরেশনে মাত্র তিনজন চিকিৎসক ও ১০ জন পরিদর্শক রয়েছে। তিনি বলেন, ‘বাইরে থেকে দেখেই পশুটি জবাইয়ের উপযুক্ত কি না সে অনুমতি দেই আমরা। রোগ পরীক্ষার আধুনিক কোনো ব্যবস্থা নেই। প্রয়োজনীয় জনবলেরও ঘাটতি রয়েছে। এ অবস্থায় রোগাক্রান্ত পশু সব সময় চিহ্নিত করা সম্ভবও হয় না।’
বিশেষজ্ঞদের কথা: অ্যানথ্রাক্স আক্রান্ত পশু জবাই বা এর মাংস রান্নার জন্য তৈরি করতে গেলেই যেহেতু আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি থাকে, সেহেতু এর মাংস খাওয়ার প্রশ্নই ওঠে না। এ প্রসঙ্গে স্বাস্থ্যমন্ত্রী রুহুল হক বলেন, আক্রান্ত পশু নিধন করে মাটির ছয় ফুট নিচে পুঁতে ফেলতে হবে। মন্ত্রী বলেন, সিরাজগঞ্জ ও পাবনার সাতটি উপজেলায় অ্যানথ্রাক্স রোগ দেখা দিলেও এটি বর্তমানে নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। মানুষের মধ্যে ব্যাপক হারে ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা নেই।
ঢাকার পথে তল্লাশি চৌকি: মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী আবদুল লতিফ বিশ্বাস প্রথম আলোকে জানান, রাজধানীতে অ্যানথ্রাক্স আক্রান্ত পশুর চালান আসা ঠেকাতে নগরের প্রবেশপথগুলোতে তল্লাশি চৌকি বসানো হয়েছে। সেখানে স্বাস্থ্য ও প্রাণিসম্পদ বিভাগের কর্মী এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা পশুর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে ঢাকায় প্রবেশের অনুমতি দিচ্ছেন।
ডিসিসির প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা মো. নাসিরউদ্দিন অ্যানথ্রাক্স আক্রান্ত পশু শনাক্তকরণে একটি কমন করিডরের প্রয়োজনীয়তা উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, রাজধানীতে ঢোকার মুখে একটা নির্দিষ্ট স্থানে সব পশু এনে জমা করতে পারলে সবচেয়ে ভালো। এতে করে বাছাই করে পশু রাজধানীতে ঢোকানো যেত।

চার বছরের জেল হয়ে যেতে পারে


বেপরোয়া গাড়ি চালানোর দায়ে ২০০৭ সালে তিন সপ্তাহ লস অ্যাঞ্জেলেসের একটি জেলে কাটাতে হয়েছিল তাঁকে। গেল বিশ্বকাপ ফুটবলে দক্ষিণ আফ্রিকায় পুলিশের হাতে ধরা পড়েছিলেন। তাঁর বিরুদ্ধে মাদক মারিজুয়ানা রাখার অভিযোগ উঠেছিল। পরে সে অভিযোগ থেকে মুক্তি পান। এবার বোধহয় আর রেহাই পাচ্ছেন না প্যারিস হিলটন। গত সোমবার তাঁর বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। অভিযোগে বলা হয়েছে, গত শুক্রবার মধ্যরাতে লাস ভেগাসে পুলিশ প্যারিস হিলটনকে বহনকারী গাড়িটি থামায়। এ সময় গাড়ির ভেতর থেকে মারিজুয়ানার গন্ধ ভেসে আসছিল। গাড়িতে হিলটনের এক বন্ধুও ছিলেন। পুলিশ তল্লাশি চালিয়ে হিলটনের ব্যাগ থেকে দশমিক আট গ্রাম পাউডার কোকেন উদ্ধার করে। কিন্তু প্যারিস হিলটনের দাবি, ব্যাগটি তাঁর নয়, তাঁর এক বন্ধুর। দাবি তিনি যা-ই করুন, অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেলে তাঁর চার বছরের জেল হয়ে যেতে পারে বলে আইনজীবীরা মন্তব্য করেছেন। ওয়েবসাইট।