Sunday, March 24, 2013

ওয়ানডে সিরিজ দক্ষিণ আফ্রিকার

দক্ষিণ আফ্রিকা ও পাকিস্তানের মধ্যকার ওয়ানডে সিরিজের শেষ ম্যাচটি শুরু হয়েছিল ২-২ ব্যবধানে সমতা নিয়ে। সেটি ছিল ওয়ানডে সিরিজের শ্রেষ্ঠত্ব নির্ধারণের ফাইনাল ম্যাচ। আর চূড়ান্ত এই লড়াইয়ে শেষ হাসি হেসেছে স্বাগতিক দক্ষিণ আফ্রিকা। ৬ উইকেটের সহজ জয় দিয়ে ওয়ানডে সিরিজেও নিজেদের সেরা প্রমাণিত করেছে প্রোটিয়ারা। অধিনায়ক এবি ডি ভিলিয়ার্সের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে ছয় ওভার বাকি থাকতেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় দক্ষিণ আফ্রিকা। ১১১ বলে ৯৫ রানের চমত্কার এক ইনিংস খেলে শেষ পর্যন্ত অপরাজিত ছিলেন ডি ভিলিয়ার্স।
জয়ের জন্য ২০৬ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালোভাবে করতে পারেনি দক্ষিণ আফ্রিকা। প্রথম ১১ ওভারের মধ্যে মাত্র ৩৪ রান জমা করতেই সাজঘরে ফেরেন কুইন্টন ডি কক ও কলিন ইনগ্রাম। তৃতীয় উইকেটে ৪৯ রানের জুটি গড়ে প্রাথমিক ধাক্কাটা সামলে নেন হাশিম আমলা ও এবি ডি ভিলিয়ার্স। দলীয় ৮৩ রানের মাথায় আমলাকে সাজঘরে ফিরিয়ে ম্যাচের মোড় ঘোরানোর চেষ্টা করে পাকিস্তান। কিন্তু এরপর প্রতিপক্ষকে আর কোন সুযোগ দেননি ডি ভিলিয়ার্স ও ফারহান বেহারডেন। ৩৬ বলে ৩৫ রানের একটি সময়োপযোগী ইনিংস খেলে বেহারডেন যখন সাজঘরে ফিরছিলেন, তখন দলের জয় প্রায় নিশ্চিতই হয়ে গিয়েছিল। জয়ের জন্য তখন প্রয়োজন ছিল ৭৮ বলে ৩৬ রান। সহজ এই কাজটি অনায়াসেই করে ফেলেন ডি ভিলিয়ার্স ও ডেভিড মিলার। পাকিস্তানের পক্ষে দুইটি উইকেট শিকার করেন মোহাম্মদ ইরফান।
এর আগে এ ম্যাচে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় পাকিস্তান। তবে শুরুটা প্রত্যাশামতো হয়নি। ৩১ রানের মধ্যেই দুটি উইকেট হারায় পাকিস্তান। তবে তৃতীয় উইকেটে কিছুটা প্রতিরোধ গড়ে তোলেন কামরান আকমল ও ইউনুস খান।
কামরান-ইউনুস জুটিতে আসে ৬৬ রান। দলীয় সর্বোচ্চ ৪৮ রান করেন কামরান। ইউনুস আউট হন ব্যক্তিগত ২৯ রানে। অধিনায়ক মিসবাহ-উল-হক ও শোয়েব মালিকের সংগ্রহ যথাক্রমে ২৪ ও ২৮ রান। শেষের দিকে ২৬ রানের ইনিংস খেলে পাকিস্তানের সংগ্রহ দুই শর ওপরে নিয়ে যান জুনায়েদ খান।
দক্ষিণ আফ্রিকার সফলতম বোলার রায়ান ম্যাকক্লারেন। ৩১ রান খরচায় তিনটি উইকেট শিকার করেন তিনি। দুটি উইকেট নেন মরনে মরকেল।
সিরিজের প্রথম ও তৃতীয় ম্যাচে জয় পেয়েছিল স্বাগতিক দক্ষিণ আফ্রিকা। দ্বিতীয় ও চতুর্থ ম্যাচে জয় দিয়ে সিরিজের সমতা ফিরিয়েছিল পাকিস্তান।

তামিমের শ্রীলঙ্কা সফর শেষ

চোট যেন পিছু ছাড়ছে না তামিম ইকবালের। কবজির চোট কাটিয়ে মাঠে ফিরতে না ফিরতেই আবার মাঠের বাইরে চলে যেতে হচ্ছে বাংলাদেশ দলের এই মারকুটে তারকাকে। কাল শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে অসাধারণ সেঞ্চুরি হাঁকানো তামিম ফিল্ডিংয়ের সময় হাতে ব্যথা পেয়েছিলেন। সেই ব্যথা শেষ পর্যন্ত তামিমকে ছিটকে দিয়েছে সিরিজের বাকি ম্যাচগুলো থেকে।
বাংলাদেশ দলের ফিজিও বিভব সিং জানিয়েছেন, তামিমের আঘাতটা গুরুতর হওয়ায় তিনি শ্রীলঙ্কা সফরে আর মাঠে নামতে পারবেন না।
গত ফেব্রুয়ারিতে বিপিএলের সময়ই কবজিতে চোট পেয়েছিলেন তামিম। ওই চোটই শ্রীলঙ্কা সফরে গল টেস্টে তাঁকে বসিয়ে রেখেছিল মাঠের বাইরে। কলম্বো টেস্ট খেলেছেন, পেয়েছেন ফিফটিও। কাল হাম্বানটোটায় প্রথম ওয়ানডেতে দারুণ এক সেঞ্চুরি হাঁকানোর পরপরই চোটের কারণে তামিমের মাঠের বাইরে চলে যাওয়াটা বাংলাদেশ দলের জন্য ভয়ানক এক দুর্ভাগ্যই।

অস্ট্রেলিয়া ধবলধোলাই


আশঙ্কাটাই শেষ পর্যন্ত সত্যি হলো। ভারত সফরে এসে ৪-০-তে ‘ধবলধোলাই’ হলো অস্ট্রেলিয়া। অসিরা এর আগে চার টেস্টের সিরিজে ধবলধোলাই হওয়ার লজ্জা পেয়েছিল কেবল একবারই, সেটা ১৯৬৯ সালের ঘটনা। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে। ভারত এই প্রথমবারের মতো অস্ট্রেলিয়াকে ডোবাল এই ভয়ংকর লজ্জায়।
দিল্লিতে অস্ট্রেলিয়াকে ধবলধোলাই করার টেস্টে আজ রোববার ছয় উইকেটে জিতেছে ভারত। জয়ের জন্য দ্বিতীয় ইনিংসে প্রয়োজন ছিল ১৫৫ রান। সহজ এই লক্ষ্যে মাত্র চারটি উইকেট হারিয়েই পৌঁছে যায় স্বাগতিকেরা। দলকে জয়ের বন্দরে নিয়ে চেতেশ্বর পূজারা ৮২ ও মহেন্দ্র সিং ধোনি ১২ রানে অপরাজিত থাকেন। বিরাট কোহলি করেন ৪১ রান।
প্রতিপক্ষকে ধবলধোলাইয়ের লজ্জায় ডুবানোর কৃতিত্ব তো আছেই, এবার নিজেদের ইতিহাসটাও নতুন করে গড়ল মহেন্দ্র সিং ধোনির ভারত। এর আগে এক সিরিজে চার টেস্টে কখনোই জেতেনি ভারতীয় দল। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে তো নয়ই, সব মিলিয়ে ৮১ বছরের টেস্ট ইতিহাসে ভারতীয় দল টানা চারটি টেস্ট জিতেছে এর আগে মাত্র দুবার।
৮ উইকেটে ২৬৬ রান নিয়ে আজ টেস্টের তৃতীয় দিনের খেলা শুরু করে ভারত। স্বাগতিকদের প্রথম ইনিংসটা শেষ পর্যন্ত বেশি দূর এগোয়নি। ২৭২ রানেই গুটিয়ে যায় ভারতীয় দল।
প্রথম ইনিংসে ভারতের চেয়ে ১০ রানে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করে অস্ট্রেলিয়া। তবে শুরুটা হয় বাজেভাবে। দলীয় ১৫ রানে প্রথম উইকেটের পতন। দলীয় সংগ্রহ শতরান স্পর্শ করার আগে পতন ঘটে সাতটি উইকেটের। ভাগ্যিস শেষের দিকে ৫০ রানের এক ধৈর্যশীল ইনিংস খেলেন পিটার সিডল। না হলে দ্বিতীয় ইনিংসে অসিদের সংগ্রহটা ১৬৪-ও হতো না।
প্রথম ইনিংসের মতো দ্বিতীয় ইনিংসেও অসি ব্যাটসম্যানরা নাকাল হন ভারতীয় স্পিনে। ১০ উইকেটের নয়টিই যায় স্পিনারদের ঝুলিতে। সর্বোচ্চ পাঁচটি উইকেট নেন রবীন্দ্র জাদেজা। দুটি করে উইকেট নেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন ও প্রজ্ঞান ওঝা।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:
অস্ট্রেলিয়া প্রথম ইনিংস: ২৬২/১০
সিডল ৫১, স্মিথ ৪৬, হিউজ ৪৫, কোয়ান ৩৮
অশ্বিন ৫/৫৭, জাদেজা ২/৪০, ইশান্ত ২/৩৫
ভারত প্রথম ইনিংস: ২৭২/১০
বিজয় ৫৭, পূজারা ৫২, জাদেজা ৪৩, শচীন ৩২
লায়ন ৭/৯৪
অস্ট্রেলিয়া দ্বিতীয় ইনিংস: ১৬৪/১০
সিডল ৫০, কোয়ান ২৪, ওয়েড ১৯, স্মিথ ১৮
জাদেজা ৫/৫৮, অশ্বিন ২/৫৫, ওঝা ২/১৯
ভারত দ্বিতীয় ইনিংস: ১৫৮/৪
পূজারা ৮২*, কোহলি ৪১, ধোনি ১২*
লায়ন ২/৭১ , ম্যাক্সওয়েল ২/৫৪
ফল: ভারত ছয় উইকেটে জয়ী।
সিরিজ: ভারত ৪-০-তে জয়ী।

পিপিপির পদ ছাড়লেন জারদারি

পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট আসিফ আলী জারদারি পাকিস্তান পিপলস পার্টির (পিপিপি) কো-চেয়ারম্যানের পদ ছেড়ে দিয়েছেন। দেশটির বিচার বিভাগের নির্দেশনা অনুযায়ী তিনি এ সিদ্ধান্ত নিলেন। এ ছাড়া ছেলে বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারিকে পিপিপির প্রধান পৃষ্ঠপোষক নির্বাচিত করেছেন জারদারি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জারদারির ঘনিষ্ঠ একটি সূত্রের বরাত দিয়ে আজ শনিবার ‘দ্য হিন্দু’ জানায়, ‘প্রেসিডেন্ট জারদারি পিপিপির কো-চেয়ারম্যানের পদ ছেড়ে দিয়েছেন। পিপিপির মূল কমিটি বিলুপ্ত করা হয়েছে এবং জারদারি তাঁর ছেলে বিলাওয়ালকে পার্টির প্রধান পৃষ্ঠপোষক নির্বাচিত করেছেন।’ এর আগে বিলাওয়াল পিপিপির চেয়ারম্যান ছিলেন। ওই সূত্রটি জানায়, ‘আমরা আশা করি পিপিপির পদ ছাড়ার পর প্রেসিডেন্ট হাইকোর্টের নির্দেশনা থেকে মুক্তি পাবেন।’
‘দ্য হিন্দু’ জানায়, লাহোর হাইকোর্ট এক আদেশে জারদারিকে প্রেসিডেন্ট হিসেবে নিরপেক্ষ ভূমিকা পালনের জন্য পার্টির পদ ছেড়ে দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছিল। এ ছাড়া প্রেসিডেন্টকে রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ না করার জন্যও হাইকোর্টের ওই নির্দেশনায় বলা হয়েছিল। এর পরিপ্রেক্ষিতে জারদারি পার্টির পদ থেকে ইস্তফা দিলেন।
‘দ্য হিন্দু’ আরও জানায়, লাহোর হাইকোর্টে ওই মামলার শুনানি চলার সময় ওয়াসিম সাজ্জাদ নামের এক সরকারি কৌঁসুলি বলেন, পিপিপি হচ্ছে একটি ‘ব্যক্তিগত প্রতিষ্ঠান’ এবং এর সঙ্গে রাজনীতির কোনো সম্পর্ক নেই। তিনি বলেন, পার্টির যে অংশ সরকার পরিচালনা করে, তাঁরা পিপিপির সাংসদ এবং এটি নির্বাচন কমিশন কর্তৃক নিবন্ধিত।
পিপিপির নেতারা বিলাওয়ালকে পার্টির প্রধান পৃষ্ঠপোষক নির্বাচিত করার পর ২৫ মার্চের মধ্যে নির্বাচন কমিশনে দলটির নিবন্ধনের জন্য আবেদন করারও পরিকল্পনা করছেন।

দিল্লিই শচীনের শেষ?

শচীন টেন্ডুলকার কি দিল্লিতে তাঁর শেষ টেস্ট খেলতে নেমেছেন? আজ শনিবার ভারতের বিখ্যাত ইংরেজি দৈনিক ‘টাইমস অব ইন্ডিয়া’র এক প্রতিবেদনে এমনই আভাস দেওয়া হয়েছে। পত্রিকাটির এই পূর্বাভাসের মূল কারণ দিল্লির ফিরোজ শাহ কোটলা মাঠে শচীন টেন্ডুলকারের বড় ভাই অজিত টেন্ডুলকারের উপস্থিতি।
শচীন তাঁর বড় ভাই অজিতকে এক অর্থে গুরুই মানেন। যেকোনো পরিস্থিতিতে অজিত টেন্ডুলকারের পরামর্শ তাঁর জীবনের পাথেয়। ‘গুরু’ হলেও অজিত শচীনের দীর্ঘ ক্যারিয়ারে কোনোদিনই মাঠে বসে ভাইয়ের খেলা দেখেননি। কোটলায় শচীন শেষ টেস্ট খেলতে নেমেছেন কি না, ‘টাইমস অব ইন্ডিয়া’ তাদের প্রতিবেদনে এই প্রশ্নটি রেখেছে মাঠে অজিত টেন্ডুলকারের উপস্থিতির সূত্র ধরে। যে মানুষটি কোনোদিনই ভাইয়ের খেলা দেখতে মাঠে যাননি, তিনি আজ হঠাত্ মাঠে কেন?
আগামী ১৫ মাস ঘরের মাঠে ভারতের আর কোনো টেস্ট ম্যাচ নেই—এই বিষয়টি মাথায় নিলে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে দিল্লি টেস্ট ৪০ বছর বয়স্ক শচীন টেন্ডুলকারের শেষ টেস্ট হলেও অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না।
ব্যাপারটি নিয়ে সুনীল গাভাস্কারকে প্রশ্ন করেছিল ‘টাইমস অব ইন্ডিয়া’। তিনি বলেছেন, ‘হলেও হতে পারে। কিন্তু কবে শচীন শেষ টেস্ট খেলবে, সেটা একমাত্র জানে শচীনই।’

Saturday, March 23, 2013

দিলশানের সেঞ্চুরিতে শ্রীলঙ্কার সহজ জয়

দুর্দান্ত এক সেঞ্চুরি করে শ্রীলঙ্কাকে সহজ জয় এনে দিয়েছেন তিলকারত্নে দিলশান। জয়ের জন্য ৪১ ওভারে ২৩৮ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে মাত্র ২ উইকেট হারিয়ে ৫ ওভার বাকি থাকতেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় শ্রীলঙ্কা। ১০৮ বলে ১১৩ রানের ম্যাচজেতানো ইনিংস খেলে শেষপর্যন্ত অপরাজিত ছিলেন দিলশান। আর ৮ উইকেটের এই জয় দিয়ে তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল শ্রীলঙ্কা।
শুরু থেকেই ঝড়োগতির ব্যাটিং করে বাংলাদেশী বোলারদের নাজেহাল করে দিয়েছেন দুই লঙ্কান ওপেনার তিলকারত্নে দিলশান ও জানিথ পেরেরা। উদ্বোধনী জুটিতেই ১০৬ রান সংগ্রহ করে দলকে জয়ের ভিত্তি গড়ে দেন এই দুই ব্যাটসম্যান। ১৩তম ওভারে বল হাতে প্রথম সফলতার দেখা পায় বাংলাদেশ। সোহাগ গাজীর শিকারে পরিণত হয়ে ফিরে যান পেরেরা। তার আগে তিনি করেছিলেন ৪২ রান। তবে এরপরও তাণ্ডব চালিয়ে যাচ্ছেন আরেক ওপেনার দিলশান। দ্বিতীয় উইকেটে কুমার সাঙ্গাকারাকে নিয়ে তিনি গড়েন ১২৮ রানের জুটি। ৩৫তম ওভারে রুবেল হোসেনকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে আউট হন সাঙ্গাকারা। তখন শ্রীলঙ্কা জয় থেকে মাত্র ৪ রান দূরে ছিল। পরের ওভারেই জয় পেয়ে যায় লঙ্কানরা।
এর আগে দিবা-রাত্রির এই ম্যাচে টস জিতে বাংলাদেশকে ব্যাট করতে পাঠায় শ্রীলঙ্কা। সেই আমন্ত্রণে সাড়া দিয়ে ৮ উইকেটে ২৫৯ রানের চ্যালেঞ্জিং স্কোর গড়ে বাংলাদেশ। ১১২ রানের অসাধারণ এক ইনিংস খেলেন তামিম ইকবাল। ৫৯ বলে ৭৩ রানে অপরাজিত থাকেন নাসির হোসেন।
হাম্বানটোটায় বাংলাদেশের ইনিংস চলার সময় ফ্লাডলাইট সমস্যার কারণে খেলা কিছুক্ষণ বন্ধ থাকে। তখন সেটা ঠিক হয়ে গেলেও বাংলাদেশের ইনিংস শেষ হওয়ার পর আবারও দেখা দেয় বিপত্তি। তবে শেষপর্যন্ত ফ্লাডলাইট সমস্যা কাটিয়ে খেলা পুনরায় শুরু হতে পারলেও ম্যাচের দৈর্ঘ্য কমিয়ে ফেলতে হয় নয় ওভার। ডাকওয়ার্থ-লুইস পদ্ধতিতে শ্রীলঙ্কার সামনে নতুন লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয় ৪১ ওভারে ২৩৮ রান।

ফ্লাডলাইট সমস্যায় খেলা আপাতত বন্ধ

হাম্বানটোটায় ফ্লাডলাইট সমস্যার কারণে বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কার মধ্যকার ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচটি আপাতত বন্ধ রয়েছে।
বাংলাদেশের ইনিংস চলার সময় ফ্লাডলাইট সমস্যার কারণে খেলা কিছুক্ষণ বন্ধ থাকে। তখন সেটা ঠিক হয়ে গেলেও বাংলাদেশের ইনিংস শেষ হওয়ার পর আবারও দেখা দেয় বিপত্তি। এ কারণে শ্রীলঙ্কার ইনিংস এখন পর্যন্ত মাঠে গড়ানো সম্ভব হয়নি।
দিবা-রাত্রির এই ম্যাচে টস জিতে বাংলাদেশকে ব্যাট করতে পাঠায় শ্রীলঙ্কা। সেই আমন্ত্রণে সাড়া দিয়ে ৮ উইকেটে ২৫৯ রানের চ্যালেঞ্জিং স্কোর গড়ে বাংলাদেশ। ১১২ রানের অসাধারণ এক ইনিংস খেলেন তামিম ইকবাল। ৫৯ বলে ৭৩ রানে অপরাজিত থাকেন নাসির হোসেন।

মুন্সিগঞ্জে বৌদ্ধবিহারের সন্ধান

মুন্সিগঞ্জে প্রায় এক হাজার বছর আগের বৌদ্ধবিহারের সন্ধান মিলেছে। জেলার সদর উপজেলার রামপাল ইউনিয়নের রঘুরামপুর এলাকায় প্রাক-মধ্যযুগীয় এ স্থাপনার সন্ধান মেলে বলে আজ শনিবার সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুসন্ধানী দল ও অগ্রসর বিক্রমপুর ফাউন্ডেশনের কর্মকর্তারা যৌথভাবে এ সম্মেলনের আয়োজন করেন।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সুফি মোস্তাফিজুর রহমানের নেতৃত্বে একটি দল ২০১১ সাল থেকে প্রাচীন বিক্রমপুরের (বর্তমান মুন্সিগঞ্জ) প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শনের সন্ধানে খননকাজ শুরু করে। এ কাজে তাদের সহায়তা করছে অগ্রসর বিক্রমপুর ফাউন্ডেশন।
রঘুরামপুর এলাকায় যেখানে বৌদ্ধবিহারের অস্তিত্ব পাওয়া গেছে, তার পাশেই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। এতে জানানো হয়, এখানে একটি বৌদ্ধবিহার থাকতে পারে বলে এক বছর আগে ধারণা করা হয়। খননকাজ চালিয়ে এর সত্যতা পাওয়া যায়। এখন পর্যন্ত খনন করে বৌদ্ধবিহারের পাঁচটি কক্ষ পাওয়া গেছে, যেগুলো বর্গাকৃতির (সাড়ে তিন বর্গমিটার করে)। এগুলো বৌদ্ধ ভিক্ষুদের হতে পারে বলে বিশেষজ্ঞদের ধারণা।
সংবাদ সম্মেলনে খননকাজ পরিচালনাকারীদের পক্ষ থেকে জানানো হয়, বৌদ্ধবিহারটি অতীশ দীপঙ্করের আমলের হতে পারে। সে হিসাবে প্রায় এক হাজার বছর আগের প্রাক-মধ্যযুগীয় স্থাপনা এটি।

৫ হাজার ১১৪ কোটি টাকা আত্মসাৎ

ডেসটিনি গ্রুপের পরিচালকেরা গ্রাহকদের পাঁচ হাজার ১১৩ কোটি ৯৫ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছেন। নগদ ও চেকের মাধ্যমে এ অর্থ গ্রুপের তিনটি প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক হিসাব থেকে সরিয়ে নিয়েছেন তাঁরা। তবে এ অর্থ কোন কোন খাতে ব্যয় করা হয়েছে, তার হদিস পাওয়া যাচ্ছে না।
বাংলাদেশ ব্যাংকের ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (এফআইইউ) বিস্তারিত অনুসন্ধান করেও ডেসটিনির শীর্ষস্থানীয় ব্যক্তিরা অর্থ কোথায় ব্যয় করেছেন বা পাচার করেছেন, তা উদ্ধার করতে পারেনি। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অনুসন্ধানে কিছু অর্থে জমি, প্লট ও ফ্ল্যাট কেনার হিসাব পাওয়া গেলেও অধিকাংশ অর্থের কোনো খোঁজ নেই। তবে ডেসটিনি গ্রুপের প্রধান ব্যক্তি চেয়ারম্যান রফিকুল আমীনের বিদেশি ব্যাংকে লেনদেন ও বিদেশে ব্যবসা রয়েছে।
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) কাছে সম্প্রতি ডেসটিনির অর্থ আত্মসাৎ নিয়ে চূড়ান্ত এ প্রতিবেদন পাঠিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রতারণামূলক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে জনগণের কাছ থেকে সংগৃহীত অর্থের উৎস গোপন করতে গ্রুপের পরিচালকেরা বিপুল পরিমাণ ওই অর্থ আত্মসাৎ করেছেন। ডেসটিনির মূল তিনটি প্রতিষ্ঠান হচ্ছে ডেসটিনি ২০০০ লিমিটেড, ডেসটিনি মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটি লিমিটেড (ডিএমসিএসএল) ও ডেসটিনি ট্রি প্ল্যান্টেশন। এ তিন প্রতিষ্ঠানের নামে বিভিন্ন ব্যাংকের মোট ২৮২টি ব্যাংক হিসাবের তথ্য পাওয়া গেছে।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, মোহাম্মদ রফিকুল আমীনের হংকংয়ের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান সফটক অনলাইন (এইচকে) লিমিটেডের মাধ্যমে ৫২ কোটি টাকা অর্থ পাচারের প্রমাণ পাওয়া গেছে। সফটকের ৫০ শতাংশ মালিক হচ্ছেন হংকংয়ের নাগরিক নোয়েল জি ক্যারি।
ডেসটিনি গ্রুপের সব রপ্তানি সম্পন্ন হয়েছে হংকংভিত্তিক প্রতিষ্ঠানটির মাধ্যমে। এ ছাড়া সিঙ্গাপুরে রফিকুল আমীনের নামে একটি ব্যাংক হিসাব পরিচালনার তথ্যও পাওয়া গেছে।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, ডেসটিনি ২০০০ লিমিটেডের ৬৫টি ব্যাংক হিসাবে জমা হওয়া দুই হাজার ৮১৩ কোটি ৩৫ লাখ টাকা থেকে তুলে নেওয়া হয়েছে দুই হাজার ৮০০ কোটি ২৭ লাখ টাকা। ডেসটিনি ট্রি প্ল্যান্টেশনের নামে করা ১৩৩টি ব্যাংক হিসাবের ৮৩৫ কোটি ১৭ লাখ টাকা থেকে তুলে নেওয়া হয়েছে ৮৩০ কোটি চার লাখ টাকা। একইভাবে ডেসটিনি কো-অপারেটিভের নামে করা ৮৪টি ব্যাংক হিসাবে জমা রাখা এক হাজার ৪৮৪ কোটি সাত লাখ টাকা থেকে তুলে নেওয়া হয়েছে এক হাজার ৪৮৩ কোটি ৫১ লাখ টাকা।
দুদকের চেয়ারম্যান গোলাম রহমান প্রথম আলোকে এ বিষয়ে বলেন, ডেসটিনি নিয়ে তদন্ত কার্যক্রম চলছে। ইতিমধ্যে এ ক্ষেত্রে অপরাধ সংঘটিত হওয়ার প্রমাণ মিলেছে। পরিচালকদের বিষয়-সম্পত্তি সব ক্রোক করার নির্দেশও পাওয়া গেছে। সম্পূর্ণ ঘটনা জানতে হলে আরও কিছুদিন পর্যালোচনা করার প্রয়োজন রয়েছে। কবে নাগাদ তদন্ত শেষ হবে জানতে চাইলে চেয়ারম্যান বলেন, আরও মাস খানেক সময় লাগতে পারে। তবে এ বিষয়টি সংশ্লিষ্ট তদন্ত কর্মকর্তাদের ওপর ছেড়ে দেওয়া ভালো হবে।
নিজস্ব হিসাবের অর্থ: বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুসন্ধানে আরও জানা গেছে, অধিকাংশ অর্থ রফিকুল আমীন ছাড়াও ডেসটিনি গ্রুপের পরিচালকসহ বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা নিজের বা স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন কোম্পানির ব্যক্তিগত হিসাবে স্থানান্তর করেছেন।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, গ্রুপের প্রেসিডেন্ট লে. জেনারেল (অব.) এম হারুন-অর-রশীদের নামে ব্যক্তি হিসাবে ১৯ কোটি ৮৩ লাখ টাকা, রফিকুল আমীন ও তাঁর স্ত্রী ফারাহ দীবার হিসাবে ৮১ কোটি ৬৫ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। এ ছাড়া অপর পরিচালক মোহাম্মদ হোসেনের ব্যক্তি হিসাবে এক কোটি ৯১ লাখ টাকা, মোহাম্মদ গোফরানুল হকের ব্যক্তি হিসাব ও তাঁর নিজস্ব প্রতিষ্ঠানের হিসাবে লেনদেন হয়েছে ৮৫ কোটি ৫৫ লাখ টাকা, মো. সাইদুর রহমান ও তাঁর স্ত্রী জাকিয়া রহমান এবং তাঁর নিজস্ব প্রতিষ্ঠানের হিসাবে লেনদেন করা হয়েছে ১৭৩ কোটি ৭৪ লাখ টাকা।
এ ছাড়া মো. মেসবাহউদ্দিনের নিজস্ব হিসাবে লেনদেন হয়েছে ৭৭ কোটি ৮৫ লাখ টাকা, শেখ তৈয়বুর রহমান ও তাঁর স্ত্রী সেলিনা রহমানের হিসাবে ৩৭ কোটি ৬৩ লাখ টাকা, সৈয়দ সাজ্জাদ হোসেনের ব্যক্তি হিসাবে ১৬ কোটি ৫৮ লাখ টাকা এবং মো. ইরফান আহমেদের ব্যক্তি হিসাবে এক কোটি আট লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। আবার নেপাল চন্দ্র বিশ্বাস ও তাঁর স্ত্রী মিতু রানী বিশ্বাসের ব্যক্তি হিসাবে লেনদেন ৩৪ কোটি এক লাখ টাকা, জামসেদ আরা চৌধুরীর ব্যক্তি হিসাবে ২১ কোটি ৯৫ লাখ টাকা এবং মো. ফরিদ আকতারের ব্যক্তি হিসাবে সাত কোটি ১৫ লাখ টাকা লেনদেন হয়েছে। কিন্তু বর্তমানে এসব ব্যাংক হিসাবের কোনোটাতেই ১৫ হাজার টাকার বেশি স্থিতি নেই। অর্থাৎ সব অর্থ সরিয়ে ফেলা হয়েছে।
দেউলিয়ার পথে কো-অপারেটিভ সোসাইটি: বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কমিশন বা লভ্যাংশ দেওয়ার মাধ্যমে আমানত সংগ্রহ এবং এর উল্লেখযোগ্য অংশ অন্য প্রতিষ্ঠানে জমা করার বিধান বিদ্যমান সমবায় সমিতি আইন, বিধি এবং ডেসটিনি মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটির নিবন্ধিত উপ-আইনে নেই। অথচ ডেসটিনি মাল্টিপারপাস ও ডেসটিনি ২০০০ লিমিটেডের পরিচালক ও ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য একই হওয়ায় তাঁরা মাল্টিপারপাসের নামে জনগণের কাছ থেকে সংগ্রহ করা অর্থের মাধ্যমে সুবিধা নিয়েছেন। গ্রুপের পরিচালকেরা আইন ও বিধি লঙ্ঘন করে ‘কমিশনের আবরণে’ নতুন উপায়ে এ বিপুল পরিমাণ অর্থ আত্মসাৎ করেছেন।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, পরিচালকদের কারণেই ডেসটিনি মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটি ৯৫৬ কোটি ৩৪ লাখ টাকা ক্ষতির সম্মুখীন, যার দায় গিয়ে পড়ে প্রতিষ্ঠানের নয় লাখ শেয়ারহোল্ডারের ঘাড়ে। এ ছাড়া সম্পত্তি কেনার জন্য আগাম পরিশোধ করা অর্থের বিপরীতে সম্পত্তির নিবন্ধন না হওয়ার কারণেও সমিতি বড় ধরনের ঝুঁকির সম্মুখীন। যেমন প্রচ্ছায়া লিমিটেডকে ৭৮ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে, কিন্তু সে অর্থের বিপরীতে কোনো সম্পত্তি সোসাইটির নামে নেই।
সবশেষে বলা হয়েছে, সমিতির দায়ভার অবশ্যই সমিতিকে পরিশোধ করতে হয়। কিন্তু সংগ্রহ করা অর্থের ৪৩ শতাংশ কমিশন সংগ্রহ করার সময়েই পরিচালকদের বেতন-ভাতা বা কমিশন হিসেবে উঠিয়ে নেওয়া হয়েছে। বাকি অর্থ আত্মসাৎ করা হয়েছে। এর ফলে সমিতি যেকোনো সময় বিনিয়োগকারী বা আমানতকারীদের দায়দেনা পরিশোধে ব্যর্থ হয়ে দেউলিয়া হতে পারে।

তামিম-নাসিরের দ্যুতিতে বাংলাদেশ ২৫৯

১৩৬ বলে ১১২ রান—১০ চার, এক ছয়। তামিম ইকবালের দুর্দান্ত সেঞ্চুরির ওপর ভর করে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে ৮ উইকেটে ২৫৯ রান করেছে বাংলাদেশ। তামিমের সেঞ্চুরির সঙ্গে নাসিরের অপরাজিত ৭৩। সব মিলিয়ে টস জিতে বাংলাদেশকে ব্যাটিংয়ে পাঠিয়ে ‘অপ্রত্যাশিত’ এক লক্ষ্যের মুখোমুখি শ্রীলঙ্কা।
তামিমের সেঞ্চুরি তো আছেই। দলের এই ‘চ্যালেঞ্জিং’ সংগ্রহে নাসিরের অবদানও দুর্দান্ত। ৫৯ বলে ৭৩ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলে তিনিই বাংলাদেশের সংগ্রহকে নিয়ে গেছেন অন্য উচ্চতায়।
তামিমের সেঞ্চুরিটা ছিল অসাধারণ। ৬৩ রানে ৩ উইকেট পড়ে যাওয়ার পর ধৈর্যের প্রতিমূর্তি হয়ে একদিক আগলে রেখে তিনি গড়েছেন তাঁর অসাধারণ ইনিংসটি। এই সেঞ্চুরির মাধ্যমে শ্রীলঙ্কার মাটিতে প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে ওয়ানডেতে তিন অঙ্ক ছোঁয়ার কৃতিত্ব অর্জন করলেন তিনি। আর তাঁর ১১২ রানের ইনিংসটি শ্রীলঙ্কার মাটিতে তো বটেই, লঙ্কানদের বিপক্ষেই ওয়ানডেতে বাংলাদেশি ক্রিকেটারদের মধ্যে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ইনিংস।
টস হেরে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশের শুরুটা একেবারে মন্দ ছিল না। এনামুল হককে নিয়ে দলকে এগিয়ে নিতে থাকেন তামিম। তবে দলীয় ৪৪ রানে এনামুলের বিদায়ের পর দ্রুত দুটি উইকেট হারায় বাংলাদেশ। একপর্যায়ে সংগ্রহ দাঁড়ায় তিন উইকেটে ৬৩ রান।
এ পর্যায়ে মাহমুদউল্লাহকে সঙ্গী করে এগোতে থাকেন তামিম। তাঁদের চতুর্থ উইকেট জুটিতে আসে ৬৬ রান। ২৯ রান করে মাহমুদউল্লাহ বিদায় নিলে তামিমকে যথার্থ সঙ্গ দেন নাসির হোসেন। তাঁদের পঞ্চম উইকেট জুটিতে আসে ৭৫ রান। দলীয় ২০৪ রানে রানআউট হন তামিম। নাসিরকে অবশ্য ফেরাতে পারেননি লঙ্কান বোলাররা। ইনিংসের শেষ পর্যন্ত এক প্রান্ত আগলে রাখেন তিনি।
শ্রীলঙ্কার পক্ষে লাসিথ মালিঙ্গা ও অধিনায়ক অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুস দুটি করে উইকেট নিয়েছেন। একটি করে উইকেট গেছে নুয়ান কুলাসেকারা, থিসারা পেরেরা ও সচিত্র সেনানায়েকের ঝুলিতে।