Sunday, July 3, 2011

একা থাকাই ভালো

একাই ভালো আছেন বলিউড অভিনেত্রী বিপাশা বসু। জন আব্রাহামের সঙ্গে নয় বছরের প্রেমের সম্পর্ক ভেঙে গেছে নয় মাস আগে। এখন একাই আছেন। বিপাশা বলেন, 'আমি এখন একাই থাকতে চাই। কারণ একা থাকতেই ভালো লাগছে। আমি এখন শুধু কাজ নিয়ে ব্যস্ত থাকতে চাই। এর বাইরে আর কিছু
ভাবছি না।'
যে জনকে ছেড়ে বিপাশা এখন একা থাকতে চাইছেন সেই জনকে ছাড়া কোনোকিছুই একসময় ভাবতে পারতেন না। ম্যাচিং করে পোশাক পরতেন। চুলের রংও দু'জন মিলিয়ে করতেন। কিন্তু এখন তারা উল্টোমুখী হয়ে আছেন। সে যাই হোক, জনের সঙ্গে সম্পর্কের ইতি টানার পর বিপাশা এখন একটি নতুন জিনিস উপলব্ধি করছেন। তাকে নিয়ে অনেক পুরুষই নাকি মনোযোগী। তারা বিপাশার কাছে ঘেঁষতে চাইছেন, মনোযোগ আকর্ষণের চেষ্টা করছেন। কিন্তু বিপাশা আপাতত কোনো সম্পর্কে জড়াতে চাইছেন না।

পোশাকের কারণে ছবি নিষিদ্ধ!

হূদয় ভাঙ্গা ঢেউ ছবির খলনায়ক যে পোশাক ব্যবহার করেছেন, তা বাংলাদেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতি ও নেতাদের ব্যবহূত পোশাকের সঙ্গে মিলে যায়। এ ধরনের পোশাক নেতিবাচক চরিত্রে ব্যবহার করলে অনেকের মনেই আঘাত লাগতে পারে। সেন্সর বোর্ড মনে করে, চলচ্চিত্রে এ ধরনের পোশাকের ব্যবহার গ্রহণযোগ্য নয়। তাই ছবিটিকে প্রদর্শনের অযোগ্য বলে ঘোষণা করা হয়েছে।’ হূদয় ভাঙ্গা ঢেউ ছবিটিকে অযোগ্য ঘোষণা করার কারণ হিসেবে এভাবেই বললেন সেন্সর বোর্ডের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন সদস্য।
সম্প্রতি সেন্সর বোর্ড পোশাকের কারণে ব্যয়বহুল ছবি হূদয় ভাঙ্গা ঢেউকে নিষিদ্ধ করেছে। ছবিটির পরিচালক গাজী মাজহারুল আনোয়ার বলেন, ‘খলনায়কের গায়ের একটি পোশাকের ব্যাপারে সেন্সর বোর্ড আপত্তি জানিয়েছে। এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আমরা আপিল করেছি। আপিল বোর্ড এখন হূদয় ভাঙ্গা ঢেউ ছবির ভাগ্য নির্ধারণ করবেন।’
ব্যয়বহুল এই ছবির কারিগরি সুবিধা দিয়েছে ভারতের মুম্বাইয়ের একাধিক প্রতিষ্ঠান। নাচের দৃশ্যগুলোর নির্দেশনা দিয়েছেন বলিউডের ছবির কোরিওগ্রাফার। মারপিটের দৃশ্যায়ন করা হয়েছে বলিউডের সহযোগিতা নিয়ে। গানের দৃশ্যায়নের পেছনে খরচ করা হয়েছে অর্ধকোটি টাকারও বেশি।
ছবির বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন অনন্ত, বর্ষা, আলমগীরসহ আরও অনেকে।

অ্যালবামের জন্য মুঠোফোনে গান আহ্বান

সোলসের নতুন অ্যালবামের ১২ নম্বর গানের জন্য মুঠোফোনে গান ও সুর আহ্বান করা হচ্ছে। রোজার ঈদেই আসছে সোলসের নতুন অ্যালবাম জ্যাম। শুরুতে অ্যালবামের গানগুলো শোনা যাবে মুঠোফোনে, আর এই সুযোগটি পাবেন গ্রামীণফোনের যেকোনো গ্রাহক। পরে তা পাওয়া যাবে সিডি আকারে। এ ব্যাপারে সম্প্রতি সোলসের সঙ্গে মুঠোফোন প্রতিষ্ঠান গ্রামীণফোনের চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে।
জানা গেছে, আগামী ১৭ আগস্ট গ্রামীণফোনের মিউজিক রেডিওর মাধ্যমে ডিজিটাল পদ্ধতিতে প্রকাশিত হবে জ্যাম। প্রথম দুই মাস শ্রোতারা গ্রামীণফোন মিউজিক রেডিওতে শুনতে পাবেন গানগুলো। মুঠোফোনের মাধ্যমে গানগুলো ডাউনলোড করা যাবে। দুই মাস পর অ্যালবামটি সিডি আকারে পাওয়া যাবে।
সোলসের অন্যতম সদস্য পার্থ বড়ুয়া বললেন, ‘আমাদের অ্যালবামের ১১টি গান তৈরি হয়েছে। গ্রামীণফোনের মাধ্যমে শ্রোতাদের কাছ থেকে গানের কথা ও সুর আহ্বানের মধ্য দিয়ে আমরা অনেক নতুন গীতিকার ও সুরকার পাব। এটা এক ধরনের ট্যালেন্ট হান্ট। সোলসের পরবর্তী অ্যালবামেও এখান থেকে গান রাখা হবে।’
মুঠোফোনের মাধ্যমে অ্যালবাম প্রকাশের ব্যাপারে পার্থ বড়ুয়া বলেন, ‘পাইরেসির দোহাই দিয়ে প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানগুলো কিন্তু ঠিকই ব্যবসা করে যাচ্ছে। আর এখানে প্রতারিত হচ্ছেন শুধু শিল্পী, সুরকার ও গীতিকার। নিজেদের রক্ষা করতে আমরা মুঠোফোনে অ্যালবাম প্রকাশের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’
গ্রামীণফোনের উপপরিচালক (মার্কেট কমিউনিকেশনস) সাজিদ রিজওয়ান বললেন, ‘আগামী ১২ থেকে ৩০ জুলাই গ্রামীণফোনের মিউজিক রেডিওর মাধ্যমে গ্রাহকদের কাছ থেকে সোলসের জ্যাম অ্যালবামের দ্বাদশ গানটির জন্য কথা ও সুর আহ্বান করা হবে। আগ্রহীরা এ সময় নিজেদের কাজগুলো মুঠোফোনের মাধ্যমে পাঠাতে পারবেন। এরপর একটি অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে কথা ও সুর চূড়ান্ত করা হবে।’
জ্যাম অ্যালবামে গানের কথা লিখেছেন লতিফুল ইসলাম শিবলী, কবির বকুল, আশরাফ বাবু, টি আই অন্তর, রানা ও রনি।

দ্রাবিড়ের ‘৪০০’

ক্যারিয়ারে অনেক মাইলফলক ছুঁয়েছেন, ব্যাট হাতে অর্জন করেছেন অনেক কিছু। পরশু ব্যতিক্রমী আর অদ্ভুত এক মাইলফলক ছুঁলেন রাহুল দ্রাবিড়। টেস্ট ইতিহাসের প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে উইকেটের এক প্রান্ত থেকে দেখেছেন আরেক প্রান্তে ৪০০তম উইকেটের পতন। শুরুটা ছিল সৌরভ গাঙ্গুলীর আউট দেখে, ১৯৯৬ সালে লর্ডসে অভিষেক ইনিংসে নন-স্ট্রাইক প্রান্ত থেকে সৌরভকে বোল্ড হতে দেখেছিলেন অ্যালান মুলালির বলে। ২৬৩তম ইনিংসে ‘দর্শক’ দ্রাবিড়ের ৪০০তম উইকেট অভিনব মুকুন্দ। সঙ্গী ব্যাটসম্যানকে আউট হতে দেখলে কারও নিশ্চয়ই ভালো লাগে না। তবে ওই ‘৪০০’ সংখ্যাটাই আবার ব্যাট হাতে দ্রাবিড়ের অসাধারণ মনোযোগ আর দৃঢ়তার প্রতীক। রেকর্ডটা তাই গর্বেরও। এমনি কি আর তিনি ‘দ্য ওয়াল’!
৫৫ রানে আউট হয়ে নিজের ওপর নিশ্চয়ই বিরক্ত হয়েছেন দ্রাবিড়, তবে এই ইনিংসটা পরশু আরেকটি রেকর্ডের দিকেও আরেক ধাপ এগিয়ে নিয়েছে তাঁকে। শচীন টেন্ডুলকারকে (৫৯) ছাড়িয়ে টেস্ট ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ফিফটি আপাতত এককভাবে দ্রাবিড়ের (৬০)। দীর্ঘদিন ধরে রেকর্ডটি ধরে রাখা অ্যালান বোর্ডার এখন ঢিলছোড়া দূরত্বে (৬৩)। ‘ছোট্ট’ আরেকটা অর্জনও এসেছে পরশু। লক্ষ্মণের সঙ্গে ৬৫ রানের জুটির পথে পেছনে ফেলেছেন ডেসমন্ড হেইন্স ও রিচি রিচার্ডসনের জুটিকে (৩৬৫০)। দ্রাবিড়-লক্ষ্মণ জুটির চেয়ে (৩৬৮২) বেশি রান আছে এখন আর ১০ জুটির। এর একটিতেও আছেন দ্রাবিড়। শচীন টেন্ডুলকারের সঙ্গে জুটিতে তাঁর রান ৬৩৫২, আর মাত্র ১৩১ রান করলেই হেইন্স-গ্রিনিজ জুটিকে পেছনে ফেলে টেস্ট ইতিহাসের সফলতম জুটি হয়ে যাবেন দুই ভারতীয় গ্রেট। ওই রেকর্ডটা স্রেফ সময়ের ব্যাপার।
‘দর্শক ব্যাটসম্যান’ রেকর্ডের ৪০০ ক্লাবে খুব শিগগির একজন সঙ্গী পেয়ে যাবেন দ্রাবিড়। বারবাডোজ টেস্টের চতুর্থ ইনিংসের আগ পর্যন্ত ৩৯৪ জন ব্যাটসম্যানকে আউট হতে দেখেছেন শিবনারায়ণ চন্দরপল। সেরা পাঁচজনের তালিকা পাশে দেওয়া হলো। অনেকের কৌতূহল থাকতে পারে, তালিকার ষষ্ঠ জনের নামটাও তাই জানানো যাক—৩১৮ সঙ্গীকে আউট হতে দেখেছেন শচীন টেন্ডুলকার।

ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার মধ্য দিয়ে পার হলো অর্থবছরের শেষ সপ্তাহ

দেশের শেয়ারবাজারে ঊর্ধ্বমুখী ভাবের মধ্য দিয়ে ২০১০-১১ অর্থবছর শেষ হয়েছে। চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে শেয়ারবাজারে মন্দাভাব শুরু হয়। কিন্তু জুন মাসের শেষ সপ্তাহে বাজারে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা দেখা যায়। এ সময়ে বাজারে মূল্য সূচক, দৈনিক লেনদেনের পরিমাণ ও বাজার মূলধন বেশ খানিকটা বেড়েছে। এ সময় লেনদেন করা বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের দামও বেড়েছে।
বাজার সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানিয়েছেন, বাজারে তারল্য সংকটের পাশাপাশি বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আস্থার অভাবে দীর্ঘদিন ধরে বাজারে মন্দাভাব ছিল। কিন্তু সদ্য শুরু হওয়া ২০১১-১২ অর্থবছরে ঘোষিত বাজেটে শেয়ারবাজারে বিনিয়োগের মাধ্যমে অপ্রদর্শিত আয় বিনিয়োগের সুযোগ দেওয়ায় বাজারে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা দেখা গেছে। একই সঙ্গে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ঋণ আমানতের হারের ক্ষেত্রে কিছুটা শিথিলতা দেখানোয় বাজারে তারল্য সংকট কিছুটা কেটে যাবে এমন আশা করছেন বিনিয়োগকারীরা। আর এসব কারণে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে কিছুটা আস্থা বেড়েছে। এর ফলে বাজারে ইতিবাচক প্রভাব পড়েছে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, অপ্রদর্শিত আয় বিনিয়োগের মাধ্যমে বৈধ করার সুযোগ দেওয়ায় বাজারে সাময়িকভাবে ঊর্ধ্বমুখীভাব দেখা যেতে পারে। তবে বাজারে স্থিতিশীলতা ধরে রাখতে হলে তারল্য সংকট কাটানোর পাশাপাশি ভালো শেয়ারের সরবরাহ বাড়াতে হবে। তা না হলে দীর্ঘমেয়াদে বাজারে স্থিতিশীলতা ধরে রাখা যাবে না। তারা বাজারে স্থিতিশীলতা আনার স্বার্থে ধীরে ধীরে সরকারি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার বাজারে ছাড়ার পরামর্শ দিয়েছেন। একই সঙ্গে যেসব কোম্পানির শেয়ার বাজারে আসার অপেক্ষায় রয়েছে, সেগুলো দ্রুত বাজারে আনার ব্যবস্থা করতে হবে।
বাজার বিশ্লেষণে দেখা গেছে, গত সপ্তাহে পাঁচ দিনে ডিএসইতে চার হাজার দুই কোটি ৭৯ লাখ টাকার ৪১ কোটি ৯০ লাখ শেয়ার লেনদেন হয়েছে। যা আগের সপ্তাহের মোট লেনদেন দুই হাজার ২১৪ কোটি ৪৮ লাখ টাকার ২৪ কোটি ৫৫ লাখ টাকার তুলনায় ৮০ দশমিক ৭৬ শতাংশ বেশি। অর্থবছরের শেষ সপ্তাহে অর্থাৎ গত সপ্তাহে প্রতিদিন গড়ে ৮০০ কোটি টাকার বেশি লেনদেন হয়েছে। যা আগের সপ্তাহের গড় লেনদেনের পরিমাণ ছিল প্রায় ৪৪২ কোটি টাকা।
সপ্তাহের শুরুর দিন রোববার ডিএসইর বাজার মূলধন ছিল দুই লাখ ৭০ হাজার কোটি টাকা। সপ্তাহের শেষ দিন বৃহস্পতিবার তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে দুই লাখ ৮৫ হাজার কোটি টাকায়। আর সপ্তাহের শুরুতে ডিএসইর সাধারণ মূল্যসূচক ছিল পাঁচ হাজার ৮৪৭ দশমিক ২৬ পয়েন্ট। সপ্তাহের শেষে তা বেড়ে ছয় হাজার ১১৭ দশমিক ২৩ পয়েন্টে উন্নীত হয়েছে। এ হিসাবে মূল্যসূচক ২৩৪ দশমিক ৬৬ পয়েন্ট বেড়েছে। শতাংশের হিসাবে যা ৪ দশমিক ৬২ শতাংশ। এ সপ্তাহে লেনদেন হওয়া বেশির ভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দর বেড়েছে। এ সময়ে দাম বেড়েছে ২২৩টির, কমেছে ৩৯টি এবং অপরিবর্তিত রয়েছে সাতটি কোম্পানির শেয়ারের দর।
সপ্তাহের লেনদেনের শীর্ষ ১০ কোম্পানির মধ্যে ছিল ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক, মবিল যমুনা, সাউথইস্ট ব্যাংক, এমআই সিমেন্ট, গ্রামীণফোন, বেক্সিমকো লিমিটেড, আফতাব অটোমোবাইল, ওয়ান ব্যাংক, লংকা বাংলা ফাইন্যান্স ও ন্যাশনাল ব্যাংক।
দাম বাড়ার দিক থেকে শীর্ষে ছিল ফেডারেল ইন্স্যুরেন্স, বাংলাদেশ জেনারেল ইন্স্যুরেন্স, স্কয়ার টেক্সটাইল, বিচ হ্যাচারি, এমআই সিমেন্ট, কর্ণফুলী ইন্স্যুরেন্স, পিপলস ইন্স্যুরেন্স, সাউথইস্ট ব্যাংক এবং মার্কেন্টাইল ব্যাংক।

গ্র্যাজুয়েট ডিপ্লোমা ইন ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজে ভর্তি

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় উন্নয়ন অধ্যয়ন বিভাগ গ্র্যাজুয়েট ডিপ্লোমা ইন ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ কোর্সে শিক্ষার্থী ভর্তির সুযোগ দিচ্ছে। ২০১১-১২ শিক্ষাবর্ষে এসব শিক্ষার্থী ভর্তি করা হবে। আবেদন করতে হবে আগামী ৭ জুলাইয়ের মধ্যে। ৩০ ক্রেডিটের এই কোর্সে ইংরেজি মাধ্যমে পাঠদান করা হবে। এই কোর্সের ক্লাস অনুষ্ঠিত হবে প্রতি শুক্র ও শনিবার। যেকোনো শিক্ষার্থী ডিগ্রি বা স্নাতক পাস করলেই এই কোর্সে ভর্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন। তবে কোনো শিক্ষার্থীর যদি শিক্ষাজীবনে তৃতীয় শ্রেণী থাকে, তিনি ভর্তির জন্য বিবেচিত হবেন না। আবেদনপত্র সংশ্লিষ্ট বিভাগ থেকে ৮০০ টাকা দিয়ে সংগ্রহ করতে হবে। এই কোর্সের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে আগামী ৮ জুলাই শুক্রবার সকাল ১০টায়।
এই কোর্স বিষয়ে বিস্তারিত জানতে চেয়ারম্যান, ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগ, কক্ষ নম্বর: ৫০১০, কলাভবন, পঞ্চম তলা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ফোন: ৯৬৬১৯০০-৭৩, বর্ধিত: ৬৭৯১।
ওয়েবসাইট: www.devstud-udhaka.ac.bd

টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে মাস্টার্স কোর্সে ভর্তি

মওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে মাস্টার্স কোর্সে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হবে। আবেদন করতে হবে আগামী ১০ জুলাইয়ের মধ্যে। হায়ার এডুকেশন কোয়ালিটি এনহ্যান্সমেন্ট প্রজেক্টের আওতায় ২০১১-১২ শিক্ষাবর্ষে এমএসসি ইন টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্সে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হবে। এ কোর্সে ভর্তির জন্য শিক্ষার্থীদের যেকোনো স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিএসসি ইন টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রি থাকতে হবে। আবেদনপত্র সংশ্লিষ্ট বিভাগ থেকে সংগ্রহ করা যাবে। তা ছাড়া www.mbstu.ac.bd থেকে আবেদনপত্র ডাউনলোড করে প্রার্থীরা আবেদন করতে পারবেন। ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে ১২ জুলাই মঙ্গলবার। বিস্তারিত তথ্য বিজ্ঞপ্তি এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট (www.mbstu.ac.bd) থেকে জানা যাবে। ফোন: ০৯২১-৬২৪০৫, ০১৭১১-২৬৯৬৩০, ০১৭১১-৪৫১৬২৮

মাস্টার ইন ইনফরমেশন টেকনোলজিতে শিক্ষার্থী ভর্তি

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ইনস্টিটিউট অব ইনফরমেশন টেকনোলজি (আইআইটি) ২০১১-১২ শিক্ষাবর্ষে মাস্টার ইন ইনফরমেশন টেকনোলজিতে শিক্ষার্থী ভর্তি করবে। আবেদন করতে হবে আগামী ১ জুনের মধ্যে। কম্পিউটার বিজ্ঞান বা সমমানের বিষয়ে চার বছরের ব্যাচেলর ডিগ্রিধারী হলে এই কোর্সে ভর্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন। আবেদনপত্র ইনস্টিটিউট থেকে ৫০০ টাকা দিয়ে সংগ্রহ করতে হবে।
এই কোর্সে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে আগামী ৩ জুন আর ফল প্রকাশ করা হবে ৫ জুন। ২ জুলাই থেকে এই কোর্সের ক্লাস শুরু হবে। এই কোর্স বিষয়ে আরও বিস্তারিত জানতে ইনস্টিটিউট ইন ইনফরমেশন টেকনোলজি (আইআইটি), ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা ১০০০, ফোন: ৯৬৬১৯২০-৬৩০৪, ৯৬৭৫২১৫ ই-মেইল: iit@univdhaka.edu

সাঁকো ভেঙে পড়ে শিশুর মৃত্যু

বরগুনার আমতলী উপজেলার কচুপাত্রা গ্রামে গতকাল শনিবার সাঁকো ভেঙে খালের পানিতে পড়ে মেহেদী (৭) নামের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে।
মেহেদী খলিল মিয়ার ছেলে এবং কচুপাত্রা রেজিস্টার্ড প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রথম শ্রেণীর ছাত্র। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গতকাল দুপুর ১২টার দিকে কচুপাত্রা বাজারে মেহেদী তার দাদার মাছের আড়ত থেকে মাছ নিয়ে বাড়ি ফেরার পথে বিদ্যালয়সংলগ্ন সাঁকো পার হওয়ার সময় সেটি ভেঙে খালের পানিতে পড়ে তলিয়ে যায়। স্থানীয় লোকজন ছুটে এসে খোঁজাখুঁজির প্রায় এক ঘণ্টা পর খাল থেকে তাকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করে।

আজ ধামরাইয়ের শ্রীশ্রী যশোমাধব রথযাত্রা

ঢাকার অদূরে ধামরাইয়ে আজ রোববার শুরু হচ্ছে ঐতিহ্যবাহী শ্রীশ্রীযশোমাধবের রথযাত্রা উৎসব। বিকেল পাঁচটায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাহারা খাতুন আনুষ্ঠানিকভাবে এ উৎসবের উদ্বোধন করবেন।
উৎসবের আয়োজক ও যশোমাধব মন্দির পরিচালনা কমিটি সূত্রে জানা গেছে, যশোমাধব মন্দির থেকে রথ টেনে প্রায় ২০০ গজ দূরের অপর একটি মন্দিরে নিয়ে যাওয়া হবে। ১১ জুলাই উল্টো রথযাত্রার মধ্য দিয়ে এ উৎসবের আনুষ্ঠানিক সমাপ্তি হবে। তবে লোকজ মেলা চলবে এক মাস ধরে।
যশোমাধবের এ রথযাত্রা মূলত সনাতন ধর্মাবলম্বীদের উৎসব। এ কারণে ধামরাইয়ের ঘরে ঘরে এখন উৎসবের আমেজ। এ উৎসব ঘিরে ধামরাই শহরের প্রধান সড়কের দুই পাশে বসেছে লোকজ মেলা। এতে কুটির শিল্পের পসরা সাজিয়ে বসেছেন দুই শর বেশি দোকানি। আয়োজন করা হয়েছে পুতুলনাচ ও সার্কাসের। এ লোকজ মেলায় সব ধর্মের মানুষ অংশ নেয়।
যশোমাধব মন্দির পরিচালনা কমিটির সদস্য সুকান্ত বণিক বলেন, ১০৭৯ সাল থেকে যশোমাধব রথযাত্রা উৎসব শুরু হয়। পালবংশের শেষ রাজা যশোবন্ত পালের সময় মাটির ঢিবি খুঁড়ে মাধব মূর্তির সন্ধান মেলে। রাজা তখনকার পণ্ডিত গৌর রায়কে এ মূর্তিপূজার দায়িত্ব দেন। একপর্যায়ে মাধবের নামের আগে রাজা যশোবন্ত পালের নামের অর্ধেক অংশ জুড়ে দিয়ে বিগ্রহটির নাম রাখা হয় ‘যশোমাধব’। পরে পণ্ডিত গৌর রায় এ ‘যশোমাধব’ মূর্তির পূজার দায়িত্ব তাঁর জামাতা রামজয় মৌলিককে দেন। এরপর এলাকাবাসী রামজয় মৌলিককে নিয়ে আসেন ধামরাইয়ে। তখন ‘যশোমাধবকে’ ঘিরে ধামরাইয়ে গড়ে ওঠে মন্দির। এরপর ওই মন্দির থেকে শুরু হয় রথাযাত্রার।
রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর বাণী: রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী পৃথক বাণী দিয়ে শ্রীশ্রীযশোমাধবের রথযাত্রা উৎসবের সাফল্য কামনা করেছেন। এ উপলক্ষে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন তাঁরা।
রাষ্ট্রপতি মো. জিল্লুর রহমান তাঁর বাণীতে বলেন, ‘বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ। এ দেশে বিভিন্ন ধর্মের মানুষ যুগ যুগ ধরে শান্তিপূর্ণভাবে সহাবস্থান করে নিজ নিজ ধর্ম ও অনুষ্ঠানাদি স্বাধীনভাবে পালন করছে। আমি আশা করি, এ রথযাত্রা সবার মধ্যে আরও সৌহার্দ্য ও সম্প্রীতি গড়ে তুলতে ভূমিকা রাখবে।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ রথযাত্রার সার্বিক সাফল্য কামনা করে বলেন, ‘জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে সব সম্প্রদায়ের মধ্যে পারস্পরিক আস্থা ও ভ্রাতৃত্বের বন্ধন গড়ে তুলতে এ রথযাত্রা উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখবে বলে আমি আশা করি।’