Tuesday, May 14, 2013

নাজমুলের চিকিৎসা হবে তবে..

বোর্ড মিটিং বাতিল হয়ে গিয়েও শেষপর্যন্ত সেটা হলো। দ্রুত কয়েকটি সিদ্ধান্ত দিয়ে সভা মূলতবি করে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে চলে গেছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) সভাপতি নাজমুল হাসান। তড়িৎ নেওয়া সিদ্ধান্তগুলোর একটি চোটাক্রান্ত পেসার নাজমুল হোসেনকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠাবে বিসিবি।

নাজমুলকে কবে চিকিৎসার জন্য বিদেশে যাবেন তা চূড়ান্ত হয়নি। তাকে কোথায় চিকিৎসার জন্য পাঠানো হবে সেটাও পুনরায় ঠিক করতে বলা হয়েছে বিসিবি মেডিক্যাল কমিটিকে। দুটো দেশ অস্ট্রেলিয়া এবং ভারত, যেকোনো একটিতে চিকিৎসা হবে নাজমুলের এটা নিশ্চিত।

অস্ট্রেলিয়ায় মাশরাফি বিন মুর্তজার চিকিৎসক ডেভিড ইয়াংয়ের কাছে নাজমুলকে পাঠানোর ব্যাপারে সুপারিশ ছিল বিসিবি মেডিক্যাল টিমের। কিন্তু বোর্ড হয়তো খরচ কমাতে নাজমুলকে ভারতে পাঠাতে আগ্রহী। সেজন্যই অস্ট্রেলিয়ার পাশাপাশি ভারতের কথাও উঠেছে বৈঠকে।

চিকিৎসা যেখানেই হোক, এনিয়ে আপত্তি নেই নাজমুলের। চিকিৎসার পর খেলতে পারলেই তিনি খুশি,‘ভারতে হলেও কোনো সমস্যা নেই। ওখানে ভালো চিকিৎসা হলেই ভালো। চিকিৎসা নিয়ে আমি যাতে খেলতে পারি সেটাই আসল।’

অস্ট্রেলিয়ার ভিসাও নিয়ে রেখেছেন নাজমুল। বিসিবি ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগ থেকেই ভিসা করিয়েছে। এখন হয়তো ভারতের ভিসা নিতে হবে জাতীয় দলের এই পেসারকে।

পেসার মাশরাফি বিন মুর্তজা, সাকিব আল হাসান, তামিম ইকবালের চিকিৎসা হয়েছে অস্ট্রেলিয়া। রুবেল হোসেনের কাঁধে অস্ত্রোপচার হয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকায়। নাসির হোসনে এবং শফিউল ইসলাম দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে চিকিৎসা নিয়ে দেশে ফিরবেন। আবুল হাসান রাজু একটি বিশেষ ক্লাবে খেলার সুবাদে জাতীয় দলের ক্রিকেটার না হয়েও অস্ট্রেলিয়ায় চিকিৎসার সুযোগ পেয়েছিলেন। কিন্তু নাজমুল জাতীয় দলে এত বছর খেলার পরও বোর্ডের কাছে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠতে পারেননি!
 
জাতীয় দলের এই পেসার শ্রীলঙ্কা সফরে নেটে বোলিং করার সময় বাঁ হাঁটুতে চোট পান। তরুনাস্থি এবং পারশিয়ার টিআর ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় তার হাঁটুতে অস্ত্রোপচার লাগবে বলে জানিয়েছেন, অস্ট্রেলিয়ান বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ডেভিড ইয়াং।

বাগেরহাটে নববধূকে হত্যা, স্বামীর আত্মসমর্পণ

বাগেরহাটের মোল্লাহাটে নববধূ শরীফাকে (২০) ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে ও গলা কেটে করে হত্যা করেছে পাষণ্ড স্বামী। পরে স্বামী নিজেই পুলিশের কাছে ধরা দিয়েছে।

মঙ্গলবার ভোরে মোল্লারহাট উপজেলার উদয়পুর দৈবকান্তি গ্রামে এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে।

ঘাতক স্বামী মাহমুদ সিকদার নিজেই পুলিশের কাছে হত্যাকাণ্ডের ঘটনা স্বীকার করেছেন।

মোল্লাহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খায়রুল আনাম বাংলানিউজকে জানান, উদয় পুর গ্রামের আবু দাউদ সেখের মেয়ে শরীফার সঙ্গে মাহমুদ শিকদারের তিন দিন আগে বিয়ে হয়।

সোমবার রাতে শরীফার সঙ্গে তার ফুফাতো ভাই সজীবের মোবাইল  ফোনে কথা হয়। এনিয়ে মাহমুদ পরকীয়া সর্ম্পকের আখ্যা দিয়ে ঝগড়ায় লিপ্ত হয়। এক পর্যায়ে ধারালো দা দিয়ে শরীফাকে কুপিয়ে ও জবাই করে হত্যা করে মাহমুদ।

হত্যাকাণ্ডের পর মাহামুদ শিকদার নিজে বিষ পান করে আত্মহত্যার চেষ্টা চালায়। পরে তিনি  নিজেই পুলিশের হাতে ধরা দেন। তাকে মোল্লাহাট হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

গৃহবধূ শরীফা বেগমের লাশ পুলিশ উদ্ধার করে বাগেরহাট সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করেছে বলে ওসি জানান।

গণজাগরণ মঞ্চে ফের ককটেল বিস্ফোরণ

ফের শাহবাগ গণজাগরন মঞ্চের পাশে দু’টি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে দুর্বৃত্তরা।

মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টায় এ ঘটনা ঘটে।

গণজাগরণ মঞ্চের সংগঠক শাকিল আহমেদ অরণ্য বাংলানিউজকে জানান, “আগের মতো নাশকতার উদ্দেশ্যে গণজাগরন মঞ্চের পাশে দু’টি ককটেল ছোঁড়ে দুর্বৃত্তরা। এসময় ১টি ককটেল বিস্ফোরিত হয় এবং অপরটি অবিস্ফোরিত অবস্থায় উদ্ধার করে শাহবাগ থানা পুলিশ।”

এ ঘটনার পরপরই একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয় শাহবাগ প্রজন্ম চত্বর থেকে। পাশাপাশি পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী হরতাল বিরোধী মিছিলের প্রস্তুতি নিচ্ছে গণজাগরন মঞ্চের সংগঠক-সদস্য এবং সাধারণ মানুষ।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে শাহবাগ থানার তদন্ত কর্মকর্তা এমএ জলিল বাংলানিউজকে বলেন, “কে বা কারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে তা নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। তবে হরতালকারীরা এই ঘটনা ঘটাতে পারে বলে আমরা আশঙ্কা করছি। দুর্বৃত্তরা দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করায় কাউকে আটক করা সম্ভব হয় নি।”

এর আগেও গণজাগরণ মঞ্চের মহাসমাবেশ চলাকালে মঞ্চের পাশে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে

গোপালগঞ্জে স্কুলের টিফিন খেয়ে শতাধিক ছাত্রী অসুস্থ

গোপালগঞ্জ সরকারি বীণাপানি উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ে টিফিন খেয়ে শতাধিক ছাত্রী অসুস্থ হয়ে পড়েছে।

মঙ্গলবার সকাল ১০টায় স্কুলে দেওয়া টিফিন খেয়ে এসব ছাত্রী অসুস্থ হয়ে পড়ে।

অসুস্থদের সরকারি-বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্স ও ডিসি পুলের গাড়িতে করে গোপালগঞ্জ সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। সেখানে অসুস্থ ছাত্রীদের বিভিন্ন ওয়ার্ডে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

অসুস্থ ছাত্রীরা সবাই ৬ষ্ঠ ও ৭ম শ্রেণীর ছাত্রী বলে জানা গেছে।

হেফাজত নিষিদ্ধ না হলে ২৩ মে ঢাকা অবরোধ

২০ মে’র মধ্যে হেফাজতে ইসলামকে নিষিদ্ধ না করা হলে ২৩ মে ঢাকা অবরোধের আল্টিমেটাম দিয়েছে বাংলাদেশ ইমাম-ওলামা সমন্বয় ঐক্য পরিষদ নামের একটি সংগঠন

মঙ্গলবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘হেফাজত ইসলাম কর্তৃক পবিত্র কোরআন ও হাদিস জ্বালিয়ে মুসলিম উম্মার ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত’ হানার প্রতিবাদে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ আল্টিমেটামের ঘোষণা দেয় সংগঠনটি।

সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা বলেন-৫ মে মতিঝিল শাপলা চত্বর এলাকায় শান্তিপূর্ণ অবস্থানের অনুমতি নিয়ে হেফাজতে ইসলাম বায়তুল মোকাররমের উত্তর ও দক্ষিণ গেট, পুরানা পল্টন, গোলাপ শাহ মাজার, বঙ্গবন্ধু এ্যভিনিউতে অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছিলো।

ঐ এলাকার ফুটপাতে থাকা গরীব হকারদের দোকানপাট-ভ্যানগাড়ি ও বাসে আগুন দিয়ে এবং আইল্যান্ড ভেঙে নিজেদের দানবীয় শক্তির প্রমাণ দিয়েছে তারা। তাদের তাণ্ডব থেকে রেহাই ‍পায়নি সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠানসহ সামাজিক-রাজনৈতিক স্থাপনাও।

একটি স্বাধীন গণতান্ত্রিক দেশে হেফাজতে ইসলাম ও জামায়াতে ইসলাম যে অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে তা দেশের সংবিধান পরিপন্থী।

বক্তারা অভিযোগ করে বলেন, এ ধরণের অপরাধ সংগঠিত করার জন্য হেফাজতে ইসলাম নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন হিজবুত তাহরির, হরকাতুল জিহাদ, জামায়াত-শিবির এবং বিএনপির বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদের একত্রিত করে ঢাকায় এনেছিলো।

এসব সংগঠনের সন্ত্রাসীদের দিয়েই হেফাজতে ইসলাম মধ্যযুগীয় তাণ্ডব চালিয়েছে। পাশাপাশি তারা সুপরিকল্পিতভাবে কোরআন শরীফে আগুন দিয়ে বাংলাদেশসহ গোটা বিশ্বের মুসলিম উম্মার ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করেছে।

তাই হেফাজতে ইসলামের সব কার্যক্রম বন্ধ এবং জামায়াতে ইসলামের নিবন্ধন বাতিলের দাবি জানিয়ে বক্তারা বলেন, দেশ ও গণতন্ত্রের স্বার্থে সরকারের এখনই পদক্ষেপ নেয়া উচিৎ।

সরকারকে আল্টিমেটাম জানিয়ে তারা বলেন, আগামী ২০ মে’র মধ্যে হেফাজতে ইসলামকে নিষিদ্ধ না করা হলে, ২১ মে সারাদেশের সকল মসজিদে দোয়া, ২২ মে বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেটে সমাবেশ এবং ২৩ মে ঢাকা অবরোধ করা হবে।

আয়োজক সংগঠনের চেয়ারম্যান মাওলানা মো. ইসমাইল হোসেনের সভাপতিত্বে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সংগঠনের মহাসচিব শাহ মো ওমর ফারুক, সদস্য নুর মোহাম্মদ, আহাদ আলী নিলফামারী, আরিফ উদ্দিন সোহরওয়ার্দী, ডা. আল ইমরান প্রমুখ।

‘রানা প্লাজা’র বেসমেন্ট থেকে অস্ত্র ও মাদক উদ্ধার

সাভারে যুবলীগ নেতা সোহেল রানার ধসে পড়া ‘রানা প্লাজা’র বেসমেন্ট থেকে অস্ত্র, মাদক ও শিকল উদ্ধার করা হয়েছে।

সোমবার দুপুরে বেসমেন্টে রানার অফিস সংলগ্ন স্টোর রুমের কংক্রিট সরানোর সময় এসব মালামাল পায় বলে র‌্যাব জানায়।

র‌্যাব-৪ এর সাভার ক্যাম্পের অধিনায়ক মেজর কে এম আরিফুল ইসলাম বলেন, বেসমেন্ট থেকে ১৫ ক্যান বিদেশি বিয়ার, ১৮ বোতল ফেন্সিডিল, তিনটি বড় রাম দা, চারটি চাপাতি এবং ১৩ ফুট লম্বা একটি শিকল উদ্ধার করা হয়েছে।

অস্ত্র ও মাদক উদ্ধারের এ ঘটনায় সাভার থানায় একটি মামলা হবে বলেও তিনি জানান।

এর আগে গত ২ মে রাতে ধ্বংসস্তূপের সামনের অংশে একটি পিস্তল ও পাঁচটি গুলি পাওয়া যায়।

প্রসঙ্গত, ধসে পড়া রানার প্লাজা’য় ভবনের মালিক সাভার পৌরসভা যুবলীগের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সোহেল রানার রাজনৈতিক কার্যালয় ছিল। সেখানে একটি টর্চার সেল ছিল বলেও অনেকে অভিযোগ করেছে।

হস্তান্তরের অপেক্ষায় ধ্বংসস্তূপ

রানা প্লাজার ধ্বংসস্তূপ বুঝে নিতে প্রস্তুত স্থানীয় প্রশাসন। কাঁটাতারে ঘিরে ‍রাখা সংরক্ষিত এলাকাটিকে ঘিরে অপেক্ষা করছেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। মঙ্গলবার সকাল ছ’টায় জেলা প্রশাসনকে এই ধ্বংসস্তূপ বুঝিয়ে দেওয়ার কথা ছিলো সেনাবানিহীর।

সকাল দশটাতেও অপেক্ষায় দেখা গেল তাদের। সোমবার রাতে সাঙ্গ হয়েছে উদ্ধার কাজ। শেষ হয়েছে টানা তিন সপ্তাহের লাশ টানার বিভীষিকা।

এরই মধ্যে উদ্ধার কাজে ব্যবহৃত ভারী যন্ত্রপাতি সরিয়ে নিয়েছে সেনাবাহিনী। ভাঙা ইট-পলেস্তারা সরিয়ে প্রস্তুত করা হচ্ছে আহত-নিহত ও ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য দোয়া-মাহফিলের স্থান। ধ্বংসস্তূপ হস্তান্তরের আনুষ্ঠানিকতা শেষে দুপুর নাগাদ মিলাদ হবে এখানে।

ঢাকা জেলার সহকারী পুলিশ সুপার ফারুক হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, “বাংলাদেশ পুলিশের প্রাথমিক দায়িত্ব হলো আইন-শৃঙ্খলা রক্ষ‍া করা। এরই অংশ হিসেবে আমরা ধ্বংসস্তূপের সামনে-পেছনেসহ চারদিকে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করেছি। যতদিন ধ্বংসস্তূপের বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত না হবে ততদিন পর্যন্ত আমরা নিরাপত্তা দিয়ে যাবো।”

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কামরুল হাসান মোল্লা বলেন, “মঙ্গলবার সকাল ৬টায় সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে ঢাকা জেলা প্রশাসনকে ধ্বংসস্তূপের দায়িত্ব বুঝিয়ে দেওয়ার কথা ছিল। এরই অংশ হিসেবে আমরা ইতোমধ্যে পুরো এলাকাটি কাঁটাতার দিয়ে ঘেরাও করে সংরক্ষিত এলাকা হিসেবে সর্বসাধারণের প্রবেশের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছি। পরবর্তীতে সেনাবাহিনী আনুষ্ঠানিকভাবে আমাদের দায়িত্ব বুঝিয়ে দিলে আমরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবো।”

সোনার মুদ্রায় শচীন

ক্রিকেট জগতের ‘লিটল মাস্টার’ শচীন টেনডুলকার এবার জায়গা পেলেন সোনার মুদ্রায়। মুদ্রার এক পাশে রয়েছে শচীনের মুখের প্রতিচ্ছবি ও অন্য পাশে তার স্বাক্ষর।
২৪ ক্যারেট সোনার মুদ্রা যে কেউ কিনতে পারবে। তবে আগ্রহী ব্যক্তিতে গাঁট থেকে খসাতে হবে ৩৪ হাজার রুপি।
হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের পবিত্র দিন ‘অক্ষয় তৃতীয়া’ উপলক্ষে সোমবার মুদ্রার মোড়ক উন্মোচন করেন শচীন নিজেই।
সীমিত সংখ্যক এসব সোনার মুদ্রা সরকারিভাবে তৈরি করা হয়নি। ভ্যালুমার্টগোল্ড নামের একটি জুয়েলারি কোম্পানির সঙ্গে চলতি বছর থেকে তিন বছরের জন্য ব্র্যান্ড দূত হিসেবে চুক্তি করেছেন শচীন। সেই চুক্তির আওতায় কোম্পানিটি তৈরি করেছে এসব মুদ্রা।
মুদ্রার মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে শচীন বলেন, “মাঠে আমার অনেক সোনালি মুহূর্ত রয়েছে। কিছু স্মৃতি খুবই চমৎকার কিন্তু এটি আসলেই ভিন্ন।”
অক্ষয় তৃতীয়ায় সবার মঙ্গল কামনা করে তিনি বলেন, “হিন্দুদের পঞ্জিকায় এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ দিন।”
হিন্দুদের বিশ্বাস মতে, এই দিনে ভগবান বিষ্ণুর ষষ্ঠ অবতার হিসেবে জন্ম গ্রহণ করেন পরশুরাম। এদিনেই বেদ ব্যাস ও গণেশ মহাভারত রচনা শুরু করেন।

ধর্ষণের অভিযোগ থেকে অব্যাহতি পেলেন সুরকার ইমন

ধর্ষণের অভিযোগে বান্ধবী জিনাত কবিরের দায়ের করা মামলা থেকে অব্যাহতি পেলেন সুরকার শওকত আলী ইমন।

আদালতের একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র বাংলানিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

সূত্র জানায়, সকালে শুনানি শেষে বিকাল সাড়ে ৩টায় ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক এসএম রেজানুর রহমান এ মামলায় দাখিল করা চূড়ান্ত প্রতিবেদন গ্রহণ করে ইমনকে অব্যাহতি দেন।

এ সময় তিনি জিনাতের নারাজির আবেদন খারিজ করে দেন বলেও তিনি জানান।

শুনানির সময় জিনাত ও ইমন আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

গত ২৩ এপ্রিল জিনাত চূড়ান্ত প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে আদালতে নারাজি প্রদান করেন।

জিনাতের আইনজীবী নুর ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, ইমনকে অব্যাহতির বিষয়টি তিনি শুনেছেন। মঙ্গলবার আদালতে গিয়ে মামলার নথিপত্র দেখে পরবর্তী ব্যবস্থা সম্পর্কে সিদ্ধান্ত নেবেন।

উল্লেখ্য, গত বছরের ৫ ডিসেম্বর ধর্ষণের অভিযোগ এনে রমনা থানায় মামলাটি করেছিলেন ইমনের বান্ধবী জিনাত কবির।

এরপর ৬ ডিসেম্বর রমনা থানায় পুলিশের হেফাজতে থাকা অবস্থায় জিনাতকে বিয়ে করেন ইমন।

এ মামলায় ১১ ডিসেম্বর ইমন জামিন পান। জিনাতের আইনজীবী নুর ইসলাম খান ইমনের জামিনে আপত্তি নাই মর্মে ওইদিন আদালতকে জানিয়েছিলেন।

কিন্তু ইমন জামিনে বের হওয়ার কিছুদিন পরেই বিয়ে অস্বীকার করেন। এরপর তিনি এ বিয়ে বাতিলের জন্য মামলা করেন ঢাকার প্রথম যুগ্ম জেলা জজ আদালতে।

রমনা থানায় ইমনের বিরুদ্ধে করা মামলায় পুলিশ জিনাতের করা অভিযোগ প্রমাণিত হয়নি মর্মে আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন।

প্রতিবেদনে পুলিশ উল্লেখ করা হয়, ইমন ও জিনাত দুজনেই সস্কৃতিকর্মী। বিভিন্ন সময় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে তাদের দেখা ও বন্ধুত্ব হয়। এক পর্যায়ে জিনাত ইমনকে বিয়ের প্রস্তাব দিলে সে বিয়েতে রাজি না হওয়ায় জিনাত মনঃক্ষুণ্ণ হয়ে এ মামলা দায়ের করেন।

প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়, মামলা প্রমাণের মতো পর্যাপ্ত সাক্ষ্য প্রমাণ পাওয়া যায়নি।

কিন্তু জিনাত নারাজি প্রতিবেদনে উল্লেখ করেন যে, তার পক্ষের সাক্ষীদের জিজ্ঞাসাই করেনি পুলিশ। এছাড়া মামলার পর বাদীনির মেডিকেল পরীক্ষাও করা হয়নি।

নারাজিতে অভিযোগ করা হয়, পুলিশ ইমনের দ্বারা প্রভাবিত হয়ে এ চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেছে।

উল্লেখ্য, জিনাতের অভিযোগের প্রেক্ষিতে রমনা থানার ওসি শাহ আলমের নেতৃত্বে একদল পুলিশ গত বছর ৫ ডিসেম্বর ইমনকে গ্রেফতার করে।

Monday, May 13, 2013

‘মহাসেন’ মোকাবিলায় সরকারের প্রস্তুতি

ঘূর্ণিঝড় ‘মহাসেন’ আঘাত হানলে তা মোকাবিলায় প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নিয়েছে সরকার। উপকূলীয় এলাকায় মাঠে রয়েছে পঞ্চাশ হাজার স্বেচ্ছাসেবক। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সমন্বয়ের জন্য জাতীয় দুর্যোগ সমন্বয় সেলসহ (এনডিআরসিসি) বিভিন্ন দপ্তর রাখা হয়েছে ২৪ ঘণ্টা খোলা।

তবে এখনই আতঙ্কের কিছু নেই জানিয়ে আবহাওয়াবিদরা বলছেন, মহাসেনের গতিবিধি মঙ্গলবার বিস্তারিত জানা যাবে। এখনই আতঙ্কের কিছু নেই।

সোমবার বিকেলে সচিবালয়ে দুর্যোগ ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ঘূর্ণিঝড় কর্মসূচি বাস্তবায়ন বোর্ডের সভায় এসব তথ্য জানানো হয়।

সভা শেষে আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক শাহ আলম বলেন, “মহাসেন বাংলাদেশের উপকূলে আঘাত হানবে কি-না তা বোঝা যাবে মঙ্গলবার। তবে আগে থেকেই আতঙ্কের কিছু নেই।”

ঘূর্ণিঝড়টি কেন্দ্র থেকে ২০০ কিলোমিটার পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে জানিয়ে শাহ আলম বলেন, “এ অবস্থায় আঘাত হানলে বাতাসের গতিবেগ থাকবে ১২০ কিলোমিটার।”

ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় প্রস্তুতি সম্পর্কে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ সচিব মেছবা-উল আলম বলেন, “উপকূলীয় এলাকার বিভাগীয় কমিশনার ও জেলা প্রশাসকদের মাধ্যমে মাঠ পর্যায়ে সতর্ক করা হয়েছে। এনডিআরসিসি আজ থেকে ২৪ ঘণ্টা খোলা থাকবে। প্রত্যেক জেলা ও উপজেলায় সার্বক্ষণিক নিয়ন্ত্রণ কক্ষ খোলা রাখারও নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।”

তিনি আরও বলেন, “উপকূলীয় এলাকার ৩৫ উপজেলার ৩২২টি ইউনিয়নের তিন হাজার ২৯১টি ইউনিটের প্রায় পঞ্চাশ হাজার সেচ্ছাসেবক উপকূলবাসীকে সজাগ করতে মাঠে রয়েছে, যেন উপকূলবাসী খাদ্য ও পানীয় নিয়ে প্রস্তুত থাকে।”

সরকারের বিভিন্ন প্রস্তুতি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “রেডিও-টিভিতে আবহাওয়া সতর্ক বার্তা প্রচার, প্রত্যেক উপজেলায় দুর্যোগকালীন উদ্ধার তৎপরতার জন্য জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল, রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটিসহ বিভিন্ন সংস্থা প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে। আশ্রয় কেন্দ্রগুলোও প্রস্তুত। প্রয়োজনে তারা স্থানান্তর করতে পারবেন।”

সভায় জানানো হয়, মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরকে পর্যাপ্ত অর্থ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। বিশুদ্ধ পানি সরবরাহের জন্য উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে। মেডিকেল টিম গঠনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।

এছাড়া দুর্যোগ পরবর্তী উদ্ধার তৎপরতার জন্য সেনাবাহিনীসহ বিভিন্ন বাহিনী প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে।

দুর্যোগ পরবর্তী আইন-শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ ও দুর্যোগের পরে যোগাযোগ ব্যবস্থা সচল রাখতেও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।

‘মহাসেন’ পর্যবেক্ষণ সাপেক্ষে মঙ্গলবার সচিবালয়ে আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় আরও প্রয়োজনীয় পদেক্ষেপ নেওয়া হবে বলে জানান সচিব।

সভায় মন্ত্রণালয়সহ বিভিন্ন অধিদপ্তর ও বিভাগের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।