Saturday, May 11, 2013

একটানা ৪৮ দিন চলবে আশা ৫০১!

মধ্যম ঘরানার নকিয়া স্মার্টফোনের আশা সিরেজের নতুন অতিথি ‘৫০১’ মডেল। এ মডেল এ ঘোষাণাতেই বাজারে আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। একটানা ৪৮ দিনের স্ট্যানবাই ব্যাটারি লাইফ এ ফোনকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছে। সংবাদমাধ্যম সূত্র এ তথ্য দিয়েছে।

বিশেষ সুবিধার মধ্যে আছে টুজি নেটওয়ার্ক। পাল্ম (খুদে চৌকা) আকৃতির এ ফোনে আছে ১৭ ঘণ্টার টকটাইম এবং ৫৬ ঘণ্টার মিউজিক প্লেব্যাক সুবিধা।

উইন্ডোজ ঘরানার এ ফোনে আছে ৬টি ভিন্ন রঙয়ের বৈচিত্র্য। এ রঙগুলো হচ্ছে লাল, নীল, কালো, হলুদ, সাদা এবং সবুজ। আছে মাল্টিটাচ স্ক্রিন, ওয়াইফাই এবং ব্লুটুথ সংযোগ। ৩.২ মেগাপিক্সেল ক্যামেরা এবং মাইক্রোএসডি মেমোরি অপশন। এটি ৩২ জিবি পর্যন্ত বাড়িয়ে নেওয়া যাবে।

তবে নকিয়ার আশা ৫০১ থ্রিজি বা ফোরজি সমর্থন করে না। আছে নকিয়া এক্সপ্রেস ব্রাউজার এবং ইন্টারনেট থেকে লাইভ ডাটা ব্রাউজিং সুবিধা। এটি দ্রুত ইন্টারনেট ডাটা অ্যাকসেস করার সামর্থ্য রাখে।

নকিয়ার এ নব্য ঘরানার আশা স্মার্টফোন এ বছরের জুনেই বিশ্ববাজারে বাণিজ্যিকভাবে বাজারে আসবে। তবে শুরুতেই দক্ষিণ এশিয়া, ভারত, মধ্যপ্রাচ্যে, আফ্রিকা, ল্যাটিন আমেরিকা এবং ইউরোপের বাজারে এ ফোন পাওয়া যাবে।

মোহাম্মদপুরে ৫ তলা ভবন হেলে পড়েছে

রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকার শের-শাহ-সুরী রোডে ৪৩ নম্বর বাড়ি হেলে পাশের বাড়িতে আটকে যাওয়ায় ব্যাপক আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে।

ডিএমপি’র মোহাম্মদপুর জোনের এসি মুক্তা ধর বাংলানিউজকে বলেন, বাড়িটি নির্মাণে রাজউক ৪ তলা পর্যন্ত অনুমোদন দিলেও নিয়ম ভেঙ্গে ৫ তলা করা হয়।

শনিবার বিকালে বাড়িটি পূর্ব পাশে ধ্বসে গিয়ে পাশের একটি বাড়িতে আটকে যায়। এ ঘটনায় বাড়িটির পূর্ব দিকের প্রাচীর ভেঙে যায় এবং অন্যান্য জায়গাতেও ফাটল দেখা দিয়েছে। বাড়ির নিচে ১টি হোটেলসহ ৪টি দোকান রয়েছে। বড় ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে ফায়ার সার্ভিসের পরামর্শে ২ ঘণ্টা সময় দেওয়া হয়েছে বাড়িটি খালি করে দেওয়ার জন্য। ইতিমধ্যে বাড়িটির বৈদ্যুতিক সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়েছে।

উইকেট শিকারে শুরু বাংলাদেশের

বাংলাদেশের বিপক্ষে প্রথম টি-টোয়েন্টিতে টস জিতেছে জিম্বাবুয়ে। ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা। তৃতীয় বলে সোহাগ গাজীর কাছে প্রথম উইকেট হারিয়েছে স্বাগতিকরা। এক ওভার শেষে এক উইকেটে পাঁচ রান সংগ্রহ তাদের। রানের খাতা না খুলে সাজিদুল ইসলামের তালুবন্দি হন ওপেনার ভুসি সিবান্দা। ব্রেন্ডন টেলর ৪ ও হ্যামিল্টন মাসাকাদজা ১ রানে খেলছেন।
মোহাম্মদ আশরাফুলের পরিবর্তে দলে অন্তর্ভুক্তি হয়েছে শামসুর রহমানের।
জিম্বাবুয়ে দল: ব্রেন্ডন টেলর (অধিনায়ক), টেন্ডাই চাতারা, হ্যামিল্টন মাসাকাদজা, মুতুম্বজি, পানিআঙ্গারা, ভুসি সিবান্দা, সিকান্দার রাজা, প্রসপার উতসেয়া, ব্রায়ান ভিটরি, ম্যালকম ওয়ালার ও শন উইলিয়ামস।
বাংলাদেশ দল: মুশফিকুর রহিম (অধিনায়ক), আব্দুর রাজ্জাক, সাকিব আল হাসান, মাহমুদ উল্লাহ, নাসির হোসেন, শফিউল ইসলাম, সাজিদুল ইসলাম, শামসুর রহমান, সোহাগ গাজী, তামিম ইকবাল ও জিয়াউর রহমান।

ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড় ধেয়ে আসছে

ভারত মহাসাগরের একটি বিরাট এলাকাজুড়ে আবহাওয়ার অস্থিতিশীলতার কারণে চলতি সপ্তাহে নতুন উষ্ণমণ্ডলীয় ঘূর্ণিঝড়ের উৎপত্তি হয়েছে। সম্ভাব্য এই ঘূর্ণিঝড় বাংলাদেশ, ভারতের উত্তর-পূর্ব, শ্রীলঙ্কার পূর্ব ও মিয়ানমারের উপকূলে আঘাত হানতে পারে।

আবহাওয়া পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আগামী বুধবার বাংলাদেশ উপকূলের দিকে ধেয়ে আসবে ঘূর্ণিঝড় ০১বি (বাংলাদেশি আবহাওয়াবিদদের মতে ‘মহাসেন’)। নতুন করে গঠিত এ উষ্ণমণ্ডলীয় ঝড় চলতি সপ্তাহে ভারত মহাসাগরের দক্ষিণে প্রবাহিত হবে এবং এই সময়ে পশ্চিম অভিমুখেও প্রবাহ থাকবে।

উষ্ণমণ্ডলীয় ঘূর্ণিঝড় (০১বি) আগামী কয়েকদিনে উত্তর অভিমুখে প্রবাহ সৃষ্টি করে শক্তিশালী রূপ নেবে। এই ঝড়েই ভারতের উত্তর, বাংলাদেশ, এমনকি মিয়ানমারের উপকূলীয় মানুষের জীবন হুমকির মুখে পড়বে। এর আগে আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছিলেন, ঘূর্ণিঝড় ‘জামালা’ আঘাত হানতে যাচ্ছে।

উপগ্রহ থেকে তোলা শুক্রবারের ছবিতে ভারতের দক্ষিণে উষ্ণমণ্ডলীয় ঘূর্ণিঝড়  ‘জামালা’র সঙ্গে সন্নিহিত মেঘ দেখা গেছে। এতে শ্রীলঙ্কার দক্ষিণ-পূর্ব উপকূলে নতুন করে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড়েরও (০১বি) অস্তিত্ব পাওয়া গেছে।

আবহাওয়া পূর্বাভাসে আরেকটি উদ্বেগের কথাও বলা হয়েছে। বাংলাদেশ ও উত্তর-পূর্ব ভারতে গত সপ্তাহে ৬ থেকে ১২ ইঞ্চি বৃষ্টিপাত হয়। এ কারণে সম্ভাব্য উষ্ণম-লীয় ঘূর্ণিঝড়ে অতিরিক্ত ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে ব্যাপক বন্যা ও ভূমিধসও ঘটতে পারে।

এসব অঞ্চলে এর আগে আঘাত হানা ঘূর্ণিঝড়ে প্রাণহানিসহ ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ২০০৮ সালে উষ্ণমণ্ডলীয় ঝড় নার্গিসের আঘাতে মিয়ানমারের আনুমানিক লক্ষাধিক মানুষের প্রাণহানি হয়। ১৯৯১ সালে এমনই আরেকটি ঘূর্ণিঝড় বাংলাদেশের তিন লক্ষাধিক মানুষের প্রাণ কেড়ে নিয়ে যায়।

পশ্চিমা আবহাওয়াবিদদের ধারণা, ঘূর্ণিঝড় ‘জামালা’র আঘাতে স্থলভাগে সেই তুলনায় কম ক্ষয়ক্ষতি হবে।

এ ব্যাপারে আবহাওয়া অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক শামসুদ্দিন আহমেদ বাংলানিউজকে বলেন, “জামালা নামের কোনো ঘূর্ণিঝড় বাংলাদেশে আঘাত হানার সম্ভাবনা নেই। কারণ এটা উত্তর গোলার্ধের ঝড়।” তবে তিনি জানান, ০১বি নামের যে ঝড়টির কথা বলা হয়েছে, সেটা ‘মহাসেন’ নামে এই অঞ্চলে পরিচিত।

নারী সমাবেশ শুরু

নারী নেত্রী ও সমাবেশের সভাপতি আয়েশা খানমের স্বাগত বক্তব্যের মধ্য দিয়ে শুরু হলো নারী সমাবেশ।

শনিবার বিকেল সাড়ে ৩টায় এ সমাবেশ শুরু হয়।

নারীদের পদচারণায় ধীরে ধীরে জমতে শুরু করেছে সমাবেশ স্থল। মঞ্চ এবং মঞ্চের পাশ থেকে চলছে স্লোগান। বিভিন্ন নারী সংগঠন ও নারীদের উপস্থিতি বাড়ছে।

জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনের রাস্তায় দু’টি মিনি ট্রাকের ওপর তৈরি করা হয়েছে সমাবেশের মূল মঞ্চ।

সমাবেশে অধিক নারী সংগঠন সমবেত হওয়ায় উদ্যোক্তারা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মঞ্চে একসঙ্গে ২০টি করে সংগঠনের নেত্রীরা উঠে বক্তৃতা করে নেমে যাবেন।

প্রস্তুতি প্রসঙ্গে জানতে চাইলে উদ্যোক্তদের একজন শাহনাজ সুমি বাংলানিউজকে বলেন, “একটি সমাবেশে যে ধরনের প্রস্তুতি থাকা দরকার, আমরা সবই নিয়েছি। সমাবেশে অংশ নিতে আসা নারীদের পানি খাওয়ানো, রাস্তা চিনিয়ে দেওয়া, অসুস্থ হলে মেডিকেল টিমের কাছে পৌঁছে দেওয়া ইত্যাদি কাজের জন্য প্রায় ২’শ স্বেচ্ছাসেবক কাজ করছে।”

তিনি বলেন, “আমরা আশা করেছিলাম লাখো নারীর জমায়েত হবে আজকের সমাবেশে। তবে আগামীকালের হরতাল এবং বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণে এতটা নাও হতে পারে। আমরা মনে করছি ৫০ হাজারের মতো নারী সমাগম হবে।”

উদ্যোক্তাদের আরেকজন মাহবুবা বেগম বাংলানিউজকে বলেন, “এদেশের জনসংখ্যার অর্ধেক নারী। এ শক্তি ব্যবহার করতে না পারলে দেশের উন্নয়ন স্থবির হয়ে যাবে। নারী শক্তিতে দক্ষভাবে কাজে লাগানোর বিরুদ্ধে মৌলবাদী শক্তি কাজ করে চলেছে।”

তিনি আরও বলেন, “এ সমাবেশ থেকে আমরা জানাতে চাই নারীদের আজ ‍আর ঘরে বসে থাকার সময় নেই। এখন পুরুষের কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে দেশের উন্নয়নে ভূমিকা রাখার সময়।”

নিরাপত্তা প্রসঙ্গে শাহবাগ জোনের এসি পেট্রল এমাদুল বাংলানিউজকে বলেন, “যেকোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে সমাবেশ স্থল কাকরাইল-পল্টন-সচিবালয়সহ মোট ২২টি পয়েন্টে দু’শতাধিক নারী পুলিশসহ বিভিন্ন স্তরের পাঁচ শতাধিক পুলিশ টহলে নিয়জিত রয়েছে।”

এসএসসিতে ফেল করায় গাংনীতে কিশোরের আত্মহত্যা

এসএসসি পরীক্ষায় ফেল করায় হিরক (১৬) নামে এক কিশোর আত্মহত্যা করেছে।

শনিবার দুপুর ২টার দিকে হিরক তার নিজ কক্ষের আড়ার সঙ্গে গলায় রশি দিয়ে আত্মহত্যা করে। হিরক গাংনী উপজেলার বাওট গ্রামের রুহুল আমিনের ছেলে।

হিরকের বাবা রুহুল আমীন বাংলানিউজকে জানান, হিরক এসকেএস মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে এ বছর এসএসসি পরীক্ষা দিয়েছিল। এসএসসি পরীক্ষার ফলাফলে সে গণিত বিষয়ে ফেল করে।

সকাল থেকেই সে মন খারাপ করে বসে ছিল। কোনো এক সময়ে সে ঘরের মধ্যে ঢুকে আত্মহত্যা করেছে।দুপুরের খাবার খাওয়ার জন্য ডাকতে গিয়ে তার ঝুলন্ত লাশ পাওয়া যায়।

গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)আলমগীর হোসেন এ বিষয়টি বাংলানিউজকে নিশ্চিত করেছেন।

সাভারের ভবন ধস: বিশ্বে দ্বিতীয় বৃহত্তম শিল্প দুর্ঘটনা

সাভারের রানা প্লাজার ধসকে এর আগে দক্ষিণ এশিয়ার সবচেয়ে বড় শিল্প দুর্ঘটনা হিসেবে ধরা হলেও বর্তমানে মৃতের সংখ্যা এক হাজার ছাড়িয়ে যাওয়ায় এটিকে এখন বিশ্বের সবচেয়ে ভয়াবহ শিল্প দুর্ঘটনাগুলোর মধ্যে দ্বীতিয় বৃহত্তম হিসেবে ধরা হচ্ছে।

এর আগে ইকোনোমিস্ট পত্রিকা তাদের অনলাইন সংস্করণে সাভারের ভবন ধসে নিহতের ঘটনায় ‘বাংলাদেশে বিপর্যয়: ধ্বংসস্তূপে ছিন্নবস্ত্র’ শিরোনামে একটি নিবন্ধ ছেপেছে এবং এটাকে সবচেয়ে ভয়াবহ বিপর্যয় হিসেবে উল্লেখ করেছে।

তারা তাদের নিবন্ধে এটিকে ১৯৮৪ সালের ২ ও ৩ ডিসেম্বর ভারতের মধ্য প্রদেশের ভুপাল ইউনিয়ন কারবাইড ইন্ডিয়া লিমিটেডে গ্যাস বিস্ফোরণে ৩ হাজার ৭৮৭ জন নিহত হওয়ার ঘটনার সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে।

নিয়ম ভঙ্গ করে ভবন নির্মাণের বিষয়টিও উঠে আসে ইকোনোমিস্টের ওই নিবন্ধে। তাতে বলা হয়েছে, পাঁচ তলার অনুমতি নিয়ে নির্মাণ করা হয়েছে আটতলা ভবন।

এছাড়া বাংলাদেশে পোশাক কারখানার “বিস্ফোরণ” ঘটেছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে নিবন্ধে। আর এর অন্যতম কারণ হিসেবে সস্তায় শ্রমিকের সহজলভ্যতাকে উল্লেখ করেছে ইকোনোমিস্ট। বাংলাদেশে একজন শ্রমিকের বেতন মাত্র তিন হাজার টাকা, যা চীনের চেয়ে এক পঞ্চমাংশ।

গত বছর পাকিস্তানের পোশাক কারখানায় অগ্নিকান্ডে ২৬০ জন নিহত হয়েছিল। একই বছর বাংলাদেশের “তাজরীন ফ্যাশনে” অগ্নিকান্ডে ১১২ জন নিহত হন। সম্প্রতি (৮ মে) ঢাকার মিরপুরে ‘তুন হাই’ একটি নামক তৈরি পোশাক কারখানায় অগ্নিকান্ডে পুলিশের ডিআইজিসহ ৮ জন নিহত হয়েছেন। এছাড়া ‘স্পেকটাম’ গার্মেন্টসে ধসের ঘটনায় অনেক শ্রমিকের প্রাণহনি ঘটে।

সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞদের মতে, একের পর এক ভয়াবহ দুর্ঘটনার কারণে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক কারখানায় বিপর্যয় নেমে আসতে পারে। বিদেশি ক্রেতারা বাংলাদেশ থেকে মুখ ফিরিয়ে নিতে পারে। চীনের পরে সবচেয়ে বড় তৈরি পোশাক শিল্পের বাজার বাংলাদেশে। এরকম দুর্ঘটনা বন্ধ না করা গেলে বাংলাদেশ তৈরি পোশাক শিল্পের বিশাল এ বাজার হারাতে পারে বলে সংশ্লিষ্ট বোদ্ধাদের ধারণা।

আর তাই সরকারকে এ ব্যাপারে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে বলে তারা মত ব্যক্ত করেন।

এদিকে, ধসে পড়া রানা প্লাজার ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে ১৭তম দিন শুক্রবার ভোর ৬টা থেকে সকাল দুপুর পর্যন্ত আরও ২০টি মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ নিয়ে ভবন ধসের উদ্ধার করা মরদেহের মোট সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৩৩ জনে। এর মধ্যে ৭১০ জনের মৃতদেহ শনাক্ত হওয়ার পর স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

ঘটনাস্থলে স্থাপিত সেনাবাহিনীর কন্ট্রোলরুম থেকে এসব তথ্য জানা যায়।

উদ্ধারকর্মীরা জানান, এখন যেসব লাশ উদ্ধার করা হচ্ছে, সেগুলোর অধিকাংশই গলিত, অর্ধগলিত। ফলে মরদেহ শনাক্ত ও হস্তান্তর করা প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়ছে।

উল্লেখ্য, গত ২৪ এপ্রিল সকাল পৌনে ৯টার দিকে সাভার বাসস্ট্যান্ড বাজারে যুবলীগ নেতা সোহেল রানার মালিকানাধীন নয়তলা বাণিজ্যিক ভবন ‘রানা প্লাজা’ ধসে পড়ে। এতে হাজারের অধিক প্রাণহানির এ ভয়বহ ঘটনা ঘটে। এছাড়া আহত ও জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা হয় দুই হাজার ৪৩৭ জন শ্রমিককে।

সাভারের মর্মান্তিক এ ঘটনায়  আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়ে দেশের পোশাক শিল্প। আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও, জাতিসংঘ ও মানবাধিকার সংস্থাগুলো পোশাকশিল্পের সমালোচনায় মুখর হয়ে উঠেছে। এমনকি বিদেশি ক্রেতা প্রতিষ্ঠান কয়েকটি পোশাক কারখানার পরিবেশ ও মান নিয়ে প্রশ্ন তুলে বাংলাদেশের সঙ্গে ব্যবসা করবে না বলে জানিয়ে দিয়েছে।

এর আগে গত নভেম্বর মাসে সাভারের আশুলিয়ায় তাজরীন ফ্যাশনে অগ্নিকাণ্ডে শতাধিক পোশাক শ্রমিকের প্রাণহানি হয়।

২০ জুন একইসাথে কমদামি আইফোন এবং আইফোন ফাইভএস!

এ বছরেই অ্যাপলের সুলভ মূল্যের আইফোন উন্মুক্ত হচ্ছে এমন নিশ্চিত খবর পুনরায় প্রতিবেদনে উঠে এসছে। গত বছর জনপ্রিয় আইপ্যাডের সারিতে সুলভ মূল্য ও ছোট আকৃতির পণ্যটি রাখার পর থেকেই খবর রটে যে কমদামি আইফোন আনছে অ্যাপল। যখন থেকেই পণ্যটি যেমন চরম আলোচিত সেরকমই প্রত্যাশিত। বর্তমানে ইটিরেড সাপ্লাই প্রতিবেদনের তথ্য মতে, বিশ্বের বৃহত্তম প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানের কমদামি আইফোন এ বছরেই বাজারে আসবে।

অ্যাপলের আইফোন প্রস্ততকারী প্রতিষ্ঠান ফক্সকনের ইট্রেড সাপ্লাই সুত্র জানিয়েছে, বাজেট-স্মার্টফোন প্রকাশে অ্যাপল ভিষণ চেষ্টা চালাচ্ছে।

উল্লেখ্য, গত বছরও ইট্রেড সাপ্লাই সুত্র আসন্ন অ্যাপল পণ্যাদি সম্পর্কে সঠিক তথ্য ফাঁস করেছিল যখন তাদের তালিকার প্রথমেই ছিল আইফোন ফাইভের নাম।

সম্প্রতি জেপি মর্গানের দুজন বিশেষজ্ঞ গোকুল হরিহারান এবং মার্ক মসকোইটজ জানান, অ্যাপলের কমদামি আইফোন বাজেট-শ্রেণীর পণ্য হওয়ার সম্ভাবনা নেই। নি:সন্দেহে এটি মধ্য-সারির পণ্যের তালিকায় থাকবে যা স্যামসাং গ্যালাক্সি সিরিজ ব্যবসায় বাঁধা হয়ে দাড়াবে। তাদের মতে এ বছরে পণ্যটি বাজারে আসলে এ বিভাগের ২৫ ভাগ অ্যাপলের দখলে থাকবে।

এদিকে প্রযুক্তি ব্লগ টেকটাসে বলা হয়েছে অ্যাপলের অভ্যন্তরীণ নথিপত্র ফাঁসে জানা যায় কমদামি আইফোনের মূল্য প্রায় ৩০০ থেকে ৪০০ ডলারের আশপাশে থাকবে। এছাড়া প্রকাশ হওয়া ছবি দেখে জোরদিয়ে বলা হচ্ছে এতে গ্লোসি প্লাস্টিক থাকবে। বর্তমানে অনুমানকৃত তথ্যের ভিত্তিতে ব্যাপকভাবে সমালোচিত আসছে ২০ জুন ‌একইসাথে কমদামি আইফোন এবং আরও আধুনিক বৈশিষ্টযুক্ত আইফোন ফাইভএস অবমুক্ত হবে।

দাম কমেছে গ্যালাক্সি স্মার্টফোনে

বিশ্বে এখন জনপ্রিয় স্মার্টফোনের তালিকায় গ্যালাক্সি নোট টু, গ্যালাক্সি গ্র্যান্ড এবং গ্যালাক্সি এস ডুয়োস এগিয়ে আছে। এ ফোনগুলোর মাধ্যমে স্মার্টফোন বাজারে অপ্রত্যাশিত পরিবর্তন এসেছে।

সবার জন্য গ্যালাক্সি স্মার্টফোন কেনাকে আরও সহজ করতে স্যামসাং নিয়ে এসেছে দারুণ অফার। এখন গ্রাহকেরা ৯ থেকে সর্বোচ্চ ১২ মাসের কিস্তিতে কোনো প্রকার সুদ ছাড়াই কিনতে পারবেন এ তিন ঘরানার স্মার্টফোন।

এ অফারের আওতায় গ্রাহকদের খুব বেশি খরচও করতে হবে না। ১২ মাসের কিস্তিতে গ্যালাক্সি নোট টু মডেলের জন্য প্রতিমাসে দিতে হবে ৫,৪৬০ টাকা, গ্যালাক্সি গ্র্যান্ডের জন্য ২,৯৯০ টাকা এবং ৯ মাসের কিস্তিতি গ্যালাক্সি এস ডুয়োসের জন্য ২,২১০ টাকা।

এরই মধ্যে এ তিন ফোনের দাম কমিয়েছে স্যামসাং। গ্যালাক্সি নোট টু এখন ৬৫,৫০০ টাকা (আগে ৬৭,৫০০ টাকা), গ্যালাক্সি গ্র্যান্ড ৩৫,৯০০ টাকা (আগে ৩৯,৫০০ টাকা) এবং গ্যালাক্সি এস ডুয়োস ১৯,৯০০ টাকা (আগে ২৩,৫০০ টাকা)।

এসব স্মার্টফোনের আগ্রহী গ্রাহকেরা ব্র্যাক ব্যাংক, স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড এবং সিটি ব্যাংক অ্যামেক্স ক্রেডিট কার্ড ছাড়াও ব্যাংক এশিয়ার ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করতে পারবেন। এ ছাড়াও দেশজুড়ে শতাধিক স্যামসাং আউটলেট থেকে সহজ কিস্তিতে এ ক্রয় সুবিধা উপভোগ করা সম্ভব।

কমছে না মোবাইল ইন্টারনেটের দাম!

১৯৯৬ সাল। বাংলাদেশ প্রথম ভিস্যাটের মাধ্যমে ইন্টারনেটের সঙ্গে যুক্ত হয়। তখন প্রতি এমবিপিএস ইন্টারনেটের জন্য ব্যয় হতো ১ লাখ ২০ হাজার টাকা। কিন্তু সে সময় সরকারিভাবে বিটিসিএল কোনো ব্যান্ডউইথড বিক্রি করত না।

এ মুহূর্তে বিটিসিএল এবং ম্যাঙ্গো যৌথভাবে দেশে ব্যান্ডউইথড বিক্রি করছে। তবে দফায় দফায় ব্যান্ডউইথের দাম কমলেও প্রান্তিক ভোক্তাদের কাছে এর সুফল অধরাই রয়ে যাচ্ছে। এ নিয়ে মোবাইল অপারেটর এবং ইন্টারনেট সেবাদাতারা অবকাঠামোতে বিপুল বিনিয়োগের কথা সামনে তুলে ধরেছেন।

দেশের মোবাইল অপারেটর সেবাদাতাদের অনেকেই মনে করেন, এ ব্যয় কমে আসতে আরও কিছুটা সময় লাগবে। বাজারে বহুমুখী প্রতিযোগিতায় এখনও ইন্টারনেট সেবাদাতারা প্রত্যাশিত মুনাফা থেকে অনেক দূরে। আর সে কারণেই ইন্টারনেট ব্যয় কমিয়ে আনতে সরকারকেই আরও অগ্রণী ভূমিকা রাখতে হবে। প্রয়োজনে এ খাতে ভর্তূকি দেওয়ার কথাও চিন্তা করা যেতে পারে।

প্রসঙ্গত, দেশে ২০০৪ সালে মোবাইল ইন্টারনেট চালু হয়। তখন প্রতি মেগাবাইট পার সেকেন্ড (এমবিপিএস) ব্যান্ডউইথের দাম ৭২ হাজার টাকা ছিল। এর ৮ বছর পরে এসে দাম হয়েছে ৮ হাজার টাকা। কিন্তু দাম কমানোর বিপরীত চিত্রে কমেনি মোবাইলভিত্তিক ইন্টারনেট সেবার ব্যয়।

ইন্টারনেটের দাম সাশ্রয়ী করতে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) নির্দেশনা জারির প্রক্রিয়া শুরু করলেও এখনও তা বাস্তবায়ন হয়নি।

এ প্রসঙ্গে বিটিআরসি’র চেয়ারম্যান সুনীল কান্তি বোস জানান, ব্যান্ডউইথের দাম কমানো হলেও মোবাইল অপারেটরদের ইন্টারনেট সেবার মূল্য সে অনুযায়ী কমেনি। এ বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে। নির্দেশনা জারির প্রক্রিয়াও থেমে আছে। এ জটিলতাও অনুসন্ধানের দাবি রাখে।

২০০৪ সালে গ্রামীণফোন ‘পি১’ প্যাকেজের মাধ্যমে মোবাইলভিত্তিক ইন্টারনেট সেবা শুরু করে। এ মুহূর্তে গ্রাহকের প্রয়োজন অনুযায়ী বিভিন্ন অপারেটরের বেশ কিছু প্যাকেজ চালু করেছে। তবে এসব প্যাকেজের জটিল সব সমীকরণের পেছনের গ্রাহক হয়রানির অন্তহীন অভিযোগ রয়েছে।

গ্রামীণফোনের একজন গ্রাহক ‘পি১ প্যাকেজে’ যতটুকু ব্যান্ডউইথ ব্যবহার করেন, তাকে সে পরিমাণ বিল পরিশোধ করতে হয়। অর্থাৎ এটি গ্রাহকের ব্যবহারের ওপর নির্ভরশীল। শুরুতে পি১ প্যাকেজে প্রতি কিলোবাইট ইন্টারনেট ব্যবহারে গ্রাহককে ব্যয় করতে হতো ২ পয়সা।

২০০৮ সাল থেকে পর্যায়ক্রমে ব্যান্ডউইথের দাম কমে যথাক্রমে ১৮ হাজার, ২০০৯ সালে ১২ হাজার, ২০১১ সালে ১০ হাজার এবং সর্বশেষ ৮ হাজার টাকা নির্ধারণ করা হয়। বিগত আট বছরে পাঁচ দফায় ব্যান্ডউইথের মূল্য ৬৪ হাজার টাকা কমানো হলেও পি১ প্যাকেজে গ্রাহককে এখনও কিলোবাইট প্রতি সেই ২ পয়সা করেই দিতে হচ্ছে।

এ মুহূর্তে মোবাইল ইন্টারনেটে গ্রামীণফোন ১৫ এমবি ৩৩ টাকা এবং রবি ২০ এমবিতে ২৩ টাকা চার্জ করছে। ফলে দেশের সাধারণ ইন্টারনেট ভোক্তাদের কাছে ব্যান্ডউইথের দাম কমে আসার সুফল উপভোগ্য হচ্ছে না।

ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার অব বাংলাদেশের নবনির্বাচিত কমিটির পরিচালক সুমন আহমেদ সাবির বাংলানিউজকে বলেন, ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের দাম কমানোর সঙ্গে ভোক্তাদের সেবাব্যয়ও কমিয়ে আনা হচ্ছে। তবে মোবাইল ইন্টারনেটের ক্ষেত্রে হিসাবটা একেবারেই ভিন্ন।

দেশের এখন ইন্টারনেটভিত্তিক কনটেন্টের (অডিও, ভিডিও, লাইভ খবর-মিডিয়া) ব্যাপক চাহিদা তৈরি হয়েছে। ফলে ইন্টারনেট চাহিদাও বেড়েছে বহুগুণ। কিন্তু ইন্টারনেট মোবাইলমুখী হওয়ায় তা ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের সঙ্গে পাল্লা দিচ্ছে।

এক্ষেত্রে বর্তমান দামের প্রেক্ষাপটে ১ হাজার টাকায় ব্রডব্যান্ড প্যাকেজের দাম ৭০০ টাকায় কমিয়ে আনা হয়েছে। তবে পাড়া-মহল্লাভিত্তিক ইন্টারনেট গতির প্রশ্নে অভিযোগ আছে, এটা সত্য।

দেশে ইন্টারনেটের সেবাব্যয় কমিয়ে আনলে কি ধরনের ব্যবসার সুযোগ তৈরি হবে এমন প্রশ্নে বেসিসের জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি শামীম আহসান বাংলানিউজকে বলেন, দেশের ৫০ হাজার মানুষ এখন আউটসোর্সিং নির্ভরশীল। এ খাতে বাংলাদেশের বার্ষিক আয় এখন ৩ কোটি ডলার। সুতরাং, ইন্টারনেটের ব্যয় কমিয়ে আনলে এ খাতের উদ্যোক্তারা প্রণোদনা পেতেন।

তিনি আরও বলেন, এর ফলে আগামী দুই বছরের মধ্যে দেশে লাখেরও বেশি আউটসোর্স কর্মী তৈরির সুযোগ সৃষ্টি হবে। আর এ খাতের আয় তখন ১৫ কোটি ডলার ছাড়িয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে। তাই দেশের আইসিটি শিল্পের দ্রুত বিকাশ এবং দক্ষ কর্মী গড়ে তুলতে ব্রডব্যান্ড এবং মোবাইল ইন্টারনেটের সেবাব্যয় সাশ্রয়ী, সেবাবান্ধব এবং সহজলভ্য করতে হবে। বিপরীতে ইন্টারনেটের গতি বাড়ানোর চেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে।

এ ছাড়াও দেশে ওয়াইম্যাক্স ইন্টারনেট সেবাদাতা কিউবি এবং বাংলালায়ন এখনও গ্রাহকবান্ধব সেবা নিশ্চিত করতে পারেনি। ঢাকা শহরেই বিভিন্ন স্থানে এখনও ইন্টারনেট সেবায় বেশ কিছু প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হচ্ছেন ওয়াইম্যাক্স গ্রাহকেরা। সুষ্ঠু নেটওয়ার্ক বিন্যাস ছাড়াই গ্রাহক বৃদ্ধির কারণে এ সমস্যা হচ্ছে বলে সংশ্লিষ্টরা অভিমত দিয়েছেন।

তবে এসবের বিপরীতে উচ্চমূল্যে সেবাব্যয় নেওয়ার নানামুখী অভিযোগ রয়েছে। এমনকি গ্রাহক সেবা নিয়েও ভোগান্তির কথা বাংলানিউজকে জানিয়েছেন অনেকেই। আরও একবার ব্যান্ডউইথের দাম কমে আসায় দেশের ইন্টারনেট গ্রাহকদের মধ্যে এখন নতুন উদ্দীপনা এসেছে। তবে সব ধরনের ইন্টারনেট সেবাদাতাদের বিক্রয়োত্তর সেবার ওপরই নির্ভর করবে এ সুফল কতটা ভোক্তা অনুকূলে যাচ্ছে।