Saturday, May 11, 2013

টি-টোয়েন্টিতেও হারে শুরু বাংলাদেশের

জিম্বাবুয়ের ছুড়ে দেয়া ১৬৯ রানের লক্ষ্যে নেমে জয়ের কাছে গিয়েও ব্যর্থ হলো বাংলাদেশ। প্রথম টি-টোয়েন্টিতে ৬ রানে হেরেছে তারা। জিম্বাবুয়ে: ১৬৮/৫ (২০ ওভার)
বাংলাদেশ: ১৬২/৮ (২০ ওভার)
ফল: জিম্বাবুয়ে ৬ রানে জয়ী
২ রানে তামিমকে প্রথম ওভারেই আউট করেন ব্রায়ান ভিটরি। এরপর শামসুর রহমানকে নিয়ে দারুণ ব্যাট করছেন সাকিব। ৩৪ বলে আট চারে তৃতীয় টি-টোয়েন্টি ফিফটি পেয়েছেন তিনি। ৪০ বলে আট চার ও দুই ছয়ে ৬৫ রানে প্রসপার উতসেয়ার শিকার হন সাকিব। পরের বলে ‍অভিষেক ফিফটি পান শামসুর, ৪৮ বলে সাত চার ও এক ছয়ে এ অর্জন করেন। আর বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি, উতসেয়ার দ্বিতীয় শিকার হন ৫৩ রানে।
পরের ওভারে প্রথম ও শেষ বলে মুশফিকুর রহিম সিঙ্গেল নিতে গেলে নাসির হোসেন ও মাহমুদ উল্লাহ রান আউট হন। জিয়াউর রহমান ২ রানে উইকেট হারান। শেষ ওভারের প্রথম বলে মাঠ ছাড়েন মুশফিক। পাঁচ বলে ১০ রানের দরকার থাকলেও আব্দুর রাজ্জাক ও সোহাগ গাজী সফল হননি।
এর আগে টস জিতে ব্যাট করতে নামে জিম্বাবুয়ে। হ্যামিল্টন মাসাকাদজা ও ব্রেন্ডন টেলরের ব্যাটে পাঁচ উইকেটে ১৬৮ রান করে তারা।
প্রথম ওভারের তৃতীয় বলে ওপেনার ভুসি সিবান্দাকে সাজঘরে পাঠান সোহাগ গাজী। এরপর মাসাকাদজাকে নিয়ে অধিনায়ক টেলর ৭৫ রানের দারুণ এক জুটি গড়েন। ২৫ বলে ছয় চার ও এক ছয়ে সাকিব আল হাসানের কাছে উইকেট হারান টেলর। ৬ রানে মাহমুদ উল্লাহর শিকার হন শন উইলিয়ামস। শফিউল ইসলামের পেসে সাকিবের তালুবন্দি হন সিকান্দার রাজা (১৪)।
সপ্তম টি-টোয়েন্টি ফিফটি গড়ে খুব বেশি এগোতে পারেননি হ্যামিল্টন মাসাকাদজা। ৪৮ বলে চারটি চার ও এক ছক্কায় ৫৯ রানে সাকিবকে উইকেট দেন তিনি। ১৪ বলে তিন চার ও এক ছয়ে ২৬ রানে ম্যালকম ওয়ালার টিকে ছিলেন। অপর প্রান্তে টিনোটেন্ডা মুতুম্বজি ১২ রানে অপরাজিত ছিলেন।
সাকিব সর্বোচ্চ দুটি উইকেট দখল করেন। একটি করে পেয়েছেন মাহমুদ উল্লাহ, শফিউল ও গাজী।
মোহাম্মদ আশরাফুলের পরিবর্তে দলে অন্তর্ভুক্তি হয়েছে শামসুর রহমানের।
জিম্বাবুয়ে দল: ব্রেন্ডন টেলর (অধিনায়ক), টেন্ডাই চাতারা, হ্যামিল্টন মাসাকাদজা, মুতুম্বজি, পানিআঙ্গারা, ভুসি সিবান্দা, সিকান্দার রাজা, প্রসপার উতসেয়া, ব্রায়ান ভিটরি, ম্যালকম ওয়ালার ও শন উইলিয়ামস।
বাংলাদেশ দল: মুশফিকুর রহিম (অধিনায়ক), আব্দুর রাজ্জাক, সাকিব আল হাসান, মাহমুদ উল্লাহ, নাসির হোসেন, শফিউল ইসলাম, সাজিদুল ইসলাম, শামসুর রহমান, সোহাগ গাজী, তামিম ইকবাল ও জিয়াউর রহমান।

টেকনাফে ৯ লক্ষাধিক টাকার মাদকদ্রব্য জব্দ

কক্সবাজারের টেকনাফে ৯ লাখ ১৬ হাজার টাকা মূল্যের মিয়ানমারে তৈরি মাদকদ্রব্য জব্দ করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।

রোববার বিকাল ৫টার দিকে টেকনাফের নাফ নদীর ২ নং সুইচ গেইট এলাকায় এ অভিযান চালানো হয়।

জব্দ করা মাদকদ্রব্যের মধ্যে রয়েছে ১ হাজার ৩২০ ক্যান আন্দামান গোল্ড বিয়ার, ৩২ বোতল ম্যান্ডেলা বিয়ার, ২৪ বোতল ম্যান্ডেলা রাম মদ, ১৬ বোতল ড্রাগন মদ, ২৩৭ বোতল গোল্ডেন কান্ট্রি ড্রাইজিং।

এসময় একটি নৌকা ও ২৭টি পানির ফিল্টারও জব্দ করা হয়েছে।

বিজিবি‘র টেকনাফস্থ ৪২ ব্যাটালিয়নের উপ-পরিচালক ক্যাপ্টন এইচ কামরুল হাসান বাংলানিউজকে জানিয়েছেন, বিজিবি’র টেকনাফ বিওপির হাবিলদার মো. জসিম উদ্দিনের নেতৃত্বে বিশেষ টহল দল নাফ নদীতে অভিযান চালিয়ে এসব মাদকদ্রব্য জব্দ করে। এ ঘটনায় ২ জনকে পলাতক আসামী করে টেকনাফ থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।

অভিযুক্তরা হলেন, টেকনাফের নাজির পাড়ার মৃত আব্দুল বাশার নাগুর ছেলে মোহাম্মদ জাকির (৩০) ও মৃত আব্দুল হোসেনের ছেলে সাবের আহমেদ (৩২)।

সর্তকতার দুদিনের মাথায় টিলা ধস!

সিলেট নগরীর হাজারীবাগে একটি টিলা ধসে গেছে। এতে অল্পের জন্য রক্ষা পেয়েছে কয়েকটি পরিবার। ভূমিধসের আশঙ্কা প্রকাশ করে আবহাওয়া অধিদফতরের বিশেষ বুলেটিন দেওয়ার দু’দিনের মাথায় শনিবার এ ঘটনা ঘটলো।

দু’দিন আগে আবহওয়া অধিদফতরের বিশেষ বুলেটিনে বলা হয়েছে, ভারী বর্ষণের ফলে সিলেটের পাহাড়ি এলাকায় ভূমিধসের আশঙ্কা রয়েছে।

বুলেটিনে জানানো হয়, কালবৈশাখীর প্রভাবে ভারী বৃষ্টি হচ্ছে। ভারী বৃষ্টির ফলে সিলেট বিভাগের পাহাড়ি এলাকায় ভূমিধসের আশঙ্কা রয়েছে।

সিলেটের নবনিযুক্ত জেলা প্রশাসক শহিদুল ইসলাম বাংলানিউজকে জানিয়েছেন, হাজারীবাগে ধসে পড়া টিলা পরিদর্শন করেছেন তিনি। এ ব্যাপারে ঝুঁকি এড়াতে ওই স্থানের বসবাসরতদের সড়ে যেতে নির্দেশ দিয়েছেন।

ঘটনার পরই টিলা সংলগ্ন দু’টি পরিবার বসতভিটা ছেড়ে গেছে বলে স্থানীয় সূত্র জানিয়েছে।

শুধু হাজারীবাগই নয়, নগরীর সকল পাহাড় ও টিলার পাদদেশে ঝুঁকি নিয়ে বসবাস বেড়েছে। ধসের আশঙ্কা সত্ত্বেও নগরী ও আশপাশের কয়েক হাজার মানুষ মৃত্যুঝুঁকি নিয়েই বসবাস করছেন পাহাড়-টিলার পাদদেশে।

ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলোর মধ্যে রয়েছে- নগরীর উপকণ্ঠের বালুচর, হাজারীবাগ, বিমানবন্দর সড়ক, খাদিমপাড়া, খাদিমনগর, মেজরটিলা, মংলিরপাড় ও ইসলামপুর। এসব এলাকার বিভিন্ন টিলার পাদদেশে ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাস করছে কয়েকশ’ পরিবার।

গত বছরের জানুয়ারিতে সেভ দ্য হেরিটেজের এক জরিপে দেখা গেছে, সিলেটে টিলার পাদদেশে বাড়ি নির্মাণ করে বসবাস করায় ১০ হাজার লোক ঝুঁকিতে রয়েছেন।
এ ছাড়া জৈন্তাপুর উপজেলার নয়াখেল, আঞ্জা গ্রাম ফেঞ্চুগঞ্জ, গোলাপগঞ্জ ও বিয়ানীবাজার উপজেলায় বিভিন্ন টিলা ও পাহাড়ের পাদদেশে ঝুঁকি নিয়ে বসবাস করছেন আরও কয়েক সহস্রাধিক লোক।

তবে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সংশ্লিষ্ট প্রশাসন ও কোথাও পাহাড়- টিলার পাদদেশে বসতকারী ঘর-বাড়ির কোনো তালিকা নেই।

জানা গেছে, প্রতি বর্ষা মৌসুম এলেই টানা বৃষ্টিতে দেখা দেয় টিলাধসের ঝুঁকি। বিভিন্ন সময়ে টিলাধসে প্রাণহানির ঘটনাও ঘটেছে। ঝুঁকিপূর্ণ বসবাসকারীদের উচ্ছেদে বিচ্ছিন্ন কিছু অভিযান চালানো হলেও তাদের পুনর্বাসনে নেওয়া হয়নি কোনো উদ্যোগ। ফলে ফের টিলার পাদদেশে ঘর নির্মাণ করেছেন ভূমিহীনরা।

গত কয়েক দিনের টানা বর্ষণে সিলেটে টিলাধসের যে আশঙ্কা দেখা দিয়েছে এতে দুর্ঘটনা ঘটলে উদ্ধার কার্যক্রম চালানোর মতো সরঞ্জামাদিও সিলেটে নেই বলে জানিয়েছেন ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের সহকারী পরিচালক পরিমল কুণ্ডু।

তিনি বাংলানিউজকে বলেন, ‘‘দুর্ঘটনা ঘটার আগে বসতি সরিয়ে দিতে হবে। আর উদ্ধার তৎপরতা চালানো জন্য দরকার বড় কোনো সরঞ্জাম।”

তিনি বলেন, “মাটি কাটতে যে কঠিন সরঞ্জামগুলো দরকার, সিলেটে সেগুলোও নেই। সিলেটে রয়েছে শুধু কোদাল আর বেলচা।”

বেলা’র সিলেটের আঞ্চলিক সমন্বয়কারী শাহ সাহেদা আখতার বাংলানিউজকে বলেন, টিলা কাটার ফলে ধস হচ্ছে। সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের দায়িত্বহীনতা এর জন্য দায়ী বলে উল্লেখ করেন তিনি।

সাহেদা বলেন, ‘‘সিলেটে নির্বিচারে টিলা কাটা হচ্ছে। এ অবস্থায় অনবরত বৃষ্টিপাতে টিলার ধস ঘটছে।’’

ছাত্রীকে যৌনহয়রানি: বিরলে তিন শিক্ষক সাময়িক বরখাস্ত

দিনাজপুরের বিরল উপজেলার সীমান্তবর্তী বেকুড়া দ্বিমুখি উচ্চ বিদ্যালয়ের এক ছাত্রীকে যৌনহয়রানির অভিযোগে সংশ্লিষ্ট শিক্ষকসহ তিন শিক্ষককে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করেছে স্কুল পরিচালনা কমিটি।

প্রাইভেট পড়ানোর ফাঁকে শনিবার সকাল ১১টার দিকে ওই ছাত্রীকে যৌনহয়রানি করে স্কুলের ইংরেজি বিষয়ক শিক্ষক আবুল বাশার। এ সময় অভিযুক্তের শাস্তির দাবিতে অভিভাবকসহ হাজার খানেক নারী পুরুষ বিকেল ৩টা পর্যন্ত ঘেরাও করে রাখে স্কুলটি।পরে পরিচালনা কমিটি অভিযুক্ত তিন শিক্ষককে সাময়িক বহিষ্কার করে।

বহিষ্কার হওয়া শিক্ষকরা হলেন- আবুল বাশার, সহিদুল ইসলাম ও আব্দুল আজিজ।

জানা গেছে, সকাল থেকে স্কুলের একটি কক্ষে প্রাইভেট পড়ছিল ওই স্কুলের আটক জন ছাত্রী। এ সময় এক ছাত্রীকে পাশের কক্ষে ডেকে নেন স্কুল শিক্ষক আবুল বাশার। এ সময় তাকে যৌনহয়রানি করলে ছাত্রীর চিৎকার শুনে অন্যরা ওই শিক্ষকের ওপর চড়াও হয়।

খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যায় বিরল থানা পুলিশ। এ পরিস্থিতিতে জরুরি সভায় বসেন স্কুল পরিচালনা কমিটির সদস্যরা। এতে বেরিয়ে আসে শিক্ষক আবুল বাশারের অপরাধের ঘটনাসহ অন্য দুই শিক্ষক সহিদুল ইসলাম এবং আব্দুল আজিজের ছাত্রীদের সঙ্গে যৌনহয়রানির কাহিনী।

এ বিষয়ে স্কুল পরিচালনা কমিটির সভাপতি রমাকান্ত রায় বাংলানউজকে জানান, অভিযুক্ত ওই তিন শিক্ষককে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে।

বিরল থানার (তদন্ত) পরিদর্শক আনিসুর রহমান বাংলানিউজকে জানান, অভিযুক্ত শিক্ষককে আটক করা হয়েছে। সাময়িক বরখাস্তের লিখিত আদেশের দাবিতে স্কুলটিতে চড়াও হয়েছিল স্থানীয় মানুষ।

জুনেই আসছে আইফোন ৬!

নতুন আইফোন বাজারে আসবে আর গুজব ছড়াবে না এমনটা হয়নি। এবারও আইফোনপ্রেমীরা গুনছেন অপেক্ষার প্রহর। আর তাতে কিছু তথ্য বেরিয়েও আসতে শুরু করেছে। পরের আইফোনের মডেল হচ্ছে ৬। তবে বাজারে খবর আছে ৫এস আসার। সংবাদমাধ্যম সূত্র এ তথ্য দিয়েছে।

তরে চতুর্থ প্রজন্মের ফোরজি আইফোন ৬ নিয়ে অনেক তথ্যই পরিস্কার হয়ে যাচ্ছে। আসছে ২০ জুনেই নতুন আইফোন ৬ সম্পর্কে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসতে পারে।

বিশেষ বৈশিষ্ট্যের মধ্যে আছে ১৩ মেগাপিক্সেল ক্যামেরা আর আইওএস-৭ অপারেটিং সিস্টেম। এ ছাড়াও আইফোন তৈরির দেশ চীনের অনলাইন সূত্র থেকেও বেশ কিছু সুনির্দিষ্ট তথ্য প্রকাশ পেয়েছে।

প্রসঙ্গত, ২০১০ সালে আইফোন ৪ আত্মপ্রকাশের সময়ও এ ধরনের নানামুখী গুজবে মুখর ছিল অ্যাপল ভক্তরা। কেজিআই সিকিউরিটির গবেষক মিঙ্গ চি কুয়ো বলেন, অ্যাপল এ বছরের তৃতীয় ত্রৈমাসিকেই আইফোন ৬ মডেল আত্মপ্রকাশের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিতে পারে।

একটানা ৪৮ দিন চলবে আশা ৫০১!

মধ্যম ঘরানার নকিয়া স্মার্টফোনের আশা সিরেজের নতুন অতিথি ‘৫০১’ মডেল। এ মডেল এ ঘোষাণাতেই বাজারে আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। একটানা ৪৮ দিনের স্ট্যানবাই ব্যাটারি লাইফ এ ফোনকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছে। সংবাদমাধ্যম সূত্র এ তথ্য দিয়েছে।

বিশেষ সুবিধার মধ্যে আছে টুজি নেটওয়ার্ক। পাল্ম (খুদে চৌকা) আকৃতির এ ফোনে আছে ১৭ ঘণ্টার টকটাইম এবং ৫৬ ঘণ্টার মিউজিক প্লেব্যাক সুবিধা।

উইন্ডোজ ঘরানার এ ফোনে আছে ৬টি ভিন্ন রঙয়ের বৈচিত্র্য। এ রঙগুলো হচ্ছে লাল, নীল, কালো, হলুদ, সাদা এবং সবুজ। আছে মাল্টিটাচ স্ক্রিন, ওয়াইফাই এবং ব্লুটুথ সংযোগ। ৩.২ মেগাপিক্সেল ক্যামেরা এবং মাইক্রোএসডি মেমোরি অপশন। এটি ৩২ জিবি পর্যন্ত বাড়িয়ে নেওয়া যাবে।

তবে নকিয়ার আশা ৫০১ থ্রিজি বা ফোরজি সমর্থন করে না। আছে নকিয়া এক্সপ্রেস ব্রাউজার এবং ইন্টারনেট থেকে লাইভ ডাটা ব্রাউজিং সুবিধা। এটি দ্রুত ইন্টারনেট ডাটা অ্যাকসেস করার সামর্থ্য রাখে।

নকিয়ার এ নব্য ঘরানার আশা স্মার্টফোন এ বছরের জুনেই বিশ্ববাজারে বাণিজ্যিকভাবে বাজারে আসবে। তবে শুরুতেই দক্ষিণ এশিয়া, ভারত, মধ্যপ্রাচ্যে, আফ্রিকা, ল্যাটিন আমেরিকা এবং ইউরোপের বাজারে এ ফোন পাওয়া যাবে।

মোহাম্মদপুরে ৫ তলা ভবন হেলে পড়েছে

রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকার শের-শাহ-সুরী রোডে ৪৩ নম্বর বাড়ি হেলে পাশের বাড়িতে আটকে যাওয়ায় ব্যাপক আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে।

ডিএমপি’র মোহাম্মদপুর জোনের এসি মুক্তা ধর বাংলানিউজকে বলেন, বাড়িটি নির্মাণে রাজউক ৪ তলা পর্যন্ত অনুমোদন দিলেও নিয়ম ভেঙ্গে ৫ তলা করা হয়।

শনিবার বিকালে বাড়িটি পূর্ব পাশে ধ্বসে গিয়ে পাশের একটি বাড়িতে আটকে যায়। এ ঘটনায় বাড়িটির পূর্ব দিকের প্রাচীর ভেঙে যায় এবং অন্যান্য জায়গাতেও ফাটল দেখা দিয়েছে। বাড়ির নিচে ১টি হোটেলসহ ৪টি দোকান রয়েছে। বড় ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে ফায়ার সার্ভিসের পরামর্শে ২ ঘণ্টা সময় দেওয়া হয়েছে বাড়িটি খালি করে দেওয়ার জন্য। ইতিমধ্যে বাড়িটির বৈদ্যুতিক সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়েছে।

উইকেট শিকারে শুরু বাংলাদেশের

বাংলাদেশের বিপক্ষে প্রথম টি-টোয়েন্টিতে টস জিতেছে জিম্বাবুয়ে। ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা। তৃতীয় বলে সোহাগ গাজীর কাছে প্রথম উইকেট হারিয়েছে স্বাগতিকরা। এক ওভার শেষে এক উইকেটে পাঁচ রান সংগ্রহ তাদের। রানের খাতা না খুলে সাজিদুল ইসলামের তালুবন্দি হন ওপেনার ভুসি সিবান্দা। ব্রেন্ডন টেলর ৪ ও হ্যামিল্টন মাসাকাদজা ১ রানে খেলছেন।
মোহাম্মদ আশরাফুলের পরিবর্তে দলে অন্তর্ভুক্তি হয়েছে শামসুর রহমানের।
জিম্বাবুয়ে দল: ব্রেন্ডন টেলর (অধিনায়ক), টেন্ডাই চাতারা, হ্যামিল্টন মাসাকাদজা, মুতুম্বজি, পানিআঙ্গারা, ভুসি সিবান্দা, সিকান্দার রাজা, প্রসপার উতসেয়া, ব্রায়ান ভিটরি, ম্যালকম ওয়ালার ও শন উইলিয়ামস।
বাংলাদেশ দল: মুশফিকুর রহিম (অধিনায়ক), আব্দুর রাজ্জাক, সাকিব আল হাসান, মাহমুদ উল্লাহ, নাসির হোসেন, শফিউল ইসলাম, সাজিদুল ইসলাম, শামসুর রহমান, সোহাগ গাজী, তামিম ইকবাল ও জিয়াউর রহমান।

ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড় ধেয়ে আসছে

ভারত মহাসাগরের একটি বিরাট এলাকাজুড়ে আবহাওয়ার অস্থিতিশীলতার কারণে চলতি সপ্তাহে নতুন উষ্ণমণ্ডলীয় ঘূর্ণিঝড়ের উৎপত্তি হয়েছে। সম্ভাব্য এই ঘূর্ণিঝড় বাংলাদেশ, ভারতের উত্তর-পূর্ব, শ্রীলঙ্কার পূর্ব ও মিয়ানমারের উপকূলে আঘাত হানতে পারে।

আবহাওয়া পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আগামী বুধবার বাংলাদেশ উপকূলের দিকে ধেয়ে আসবে ঘূর্ণিঝড় ০১বি (বাংলাদেশি আবহাওয়াবিদদের মতে ‘মহাসেন’)। নতুন করে গঠিত এ উষ্ণমণ্ডলীয় ঝড় চলতি সপ্তাহে ভারত মহাসাগরের দক্ষিণে প্রবাহিত হবে এবং এই সময়ে পশ্চিম অভিমুখেও প্রবাহ থাকবে।

উষ্ণমণ্ডলীয় ঘূর্ণিঝড় (০১বি) আগামী কয়েকদিনে উত্তর অভিমুখে প্রবাহ সৃষ্টি করে শক্তিশালী রূপ নেবে। এই ঝড়েই ভারতের উত্তর, বাংলাদেশ, এমনকি মিয়ানমারের উপকূলীয় মানুষের জীবন হুমকির মুখে পড়বে। এর আগে আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছিলেন, ঘূর্ণিঝড় ‘জামালা’ আঘাত হানতে যাচ্ছে।

উপগ্রহ থেকে তোলা শুক্রবারের ছবিতে ভারতের দক্ষিণে উষ্ণমণ্ডলীয় ঘূর্ণিঝড়  ‘জামালা’র সঙ্গে সন্নিহিত মেঘ দেখা গেছে। এতে শ্রীলঙ্কার দক্ষিণ-পূর্ব উপকূলে নতুন করে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড়েরও (০১বি) অস্তিত্ব পাওয়া গেছে।

আবহাওয়া পূর্বাভাসে আরেকটি উদ্বেগের কথাও বলা হয়েছে। বাংলাদেশ ও উত্তর-পূর্ব ভারতে গত সপ্তাহে ৬ থেকে ১২ ইঞ্চি বৃষ্টিপাত হয়। এ কারণে সম্ভাব্য উষ্ণম-লীয় ঘূর্ণিঝড়ে অতিরিক্ত ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে ব্যাপক বন্যা ও ভূমিধসও ঘটতে পারে।

এসব অঞ্চলে এর আগে আঘাত হানা ঘূর্ণিঝড়ে প্রাণহানিসহ ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ২০০৮ সালে উষ্ণমণ্ডলীয় ঝড় নার্গিসের আঘাতে মিয়ানমারের আনুমানিক লক্ষাধিক মানুষের প্রাণহানি হয়। ১৯৯১ সালে এমনই আরেকটি ঘূর্ণিঝড় বাংলাদেশের তিন লক্ষাধিক মানুষের প্রাণ কেড়ে নিয়ে যায়।

পশ্চিমা আবহাওয়াবিদদের ধারণা, ঘূর্ণিঝড় ‘জামালা’র আঘাতে স্থলভাগে সেই তুলনায় কম ক্ষয়ক্ষতি হবে।

এ ব্যাপারে আবহাওয়া অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক শামসুদ্দিন আহমেদ বাংলানিউজকে বলেন, “জামালা নামের কোনো ঘূর্ণিঝড় বাংলাদেশে আঘাত হানার সম্ভাবনা নেই। কারণ এটা উত্তর গোলার্ধের ঝড়।” তবে তিনি জানান, ০১বি নামের যে ঝড়টির কথা বলা হয়েছে, সেটা ‘মহাসেন’ নামে এই অঞ্চলে পরিচিত।

নারী সমাবেশ শুরু

নারী নেত্রী ও সমাবেশের সভাপতি আয়েশা খানমের স্বাগত বক্তব্যের মধ্য দিয়ে শুরু হলো নারী সমাবেশ।

শনিবার বিকেল সাড়ে ৩টায় এ সমাবেশ শুরু হয়।

নারীদের পদচারণায় ধীরে ধীরে জমতে শুরু করেছে সমাবেশ স্থল। মঞ্চ এবং মঞ্চের পাশ থেকে চলছে স্লোগান। বিভিন্ন নারী সংগঠন ও নারীদের উপস্থিতি বাড়ছে।

জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনের রাস্তায় দু’টি মিনি ট্রাকের ওপর তৈরি করা হয়েছে সমাবেশের মূল মঞ্চ।

সমাবেশে অধিক নারী সংগঠন সমবেত হওয়ায় উদ্যোক্তারা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মঞ্চে একসঙ্গে ২০টি করে সংগঠনের নেত্রীরা উঠে বক্তৃতা করে নেমে যাবেন।

প্রস্তুতি প্রসঙ্গে জানতে চাইলে উদ্যোক্তদের একজন শাহনাজ সুমি বাংলানিউজকে বলেন, “একটি সমাবেশে যে ধরনের প্রস্তুতি থাকা দরকার, আমরা সবই নিয়েছি। সমাবেশে অংশ নিতে আসা নারীদের পানি খাওয়ানো, রাস্তা চিনিয়ে দেওয়া, অসুস্থ হলে মেডিকেল টিমের কাছে পৌঁছে দেওয়া ইত্যাদি কাজের জন্য প্রায় ২’শ স্বেচ্ছাসেবক কাজ করছে।”

তিনি বলেন, “আমরা আশা করেছিলাম লাখো নারীর জমায়েত হবে আজকের সমাবেশে। তবে আগামীকালের হরতাল এবং বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণে এতটা নাও হতে পারে। আমরা মনে করছি ৫০ হাজারের মতো নারী সমাগম হবে।”

উদ্যোক্তাদের আরেকজন মাহবুবা বেগম বাংলানিউজকে বলেন, “এদেশের জনসংখ্যার অর্ধেক নারী। এ শক্তি ব্যবহার করতে না পারলে দেশের উন্নয়ন স্থবির হয়ে যাবে। নারী শক্তিতে দক্ষভাবে কাজে লাগানোর বিরুদ্ধে মৌলবাদী শক্তি কাজ করে চলেছে।”

তিনি আরও বলেন, “এ সমাবেশ থেকে আমরা জানাতে চাই নারীদের আজ ‍আর ঘরে বসে থাকার সময় নেই। এখন পুরুষের কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে দেশের উন্নয়নে ভূমিকা রাখার সময়।”

নিরাপত্তা প্রসঙ্গে শাহবাগ জোনের এসি পেট্রল এমাদুল বাংলানিউজকে বলেন, “যেকোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে সমাবেশ স্থল কাকরাইল-পল্টন-সচিবালয়সহ মোট ২২টি পয়েন্টে দু’শতাধিক নারী পুলিশসহ বিভিন্ন স্তরের পাঁচ শতাধিক পুলিশ টহলে নিয়জিত রয়েছে।”