Saturday, May 11, 2013

সর্তকতার দুদিনের মাথায় টিলা ধস!

সিলেট নগরীর হাজারীবাগে একটি টিলা ধসে গেছে। এতে অল্পের জন্য রক্ষা পেয়েছে কয়েকটি পরিবার। ভূমিধসের আশঙ্কা প্রকাশ করে আবহাওয়া অধিদফতরের বিশেষ বুলেটিন দেওয়ার দু’দিনের মাথায় শনিবার এ ঘটনা ঘটলো।

দু’দিন আগে আবহওয়া অধিদফতরের বিশেষ বুলেটিনে বলা হয়েছে, ভারী বর্ষণের ফলে সিলেটের পাহাড়ি এলাকায় ভূমিধসের আশঙ্কা রয়েছে।

বুলেটিনে জানানো হয়, কালবৈশাখীর প্রভাবে ভারী বৃষ্টি হচ্ছে। ভারী বৃষ্টির ফলে সিলেট বিভাগের পাহাড়ি এলাকায় ভূমিধসের আশঙ্কা রয়েছে।

সিলেটের নবনিযুক্ত জেলা প্রশাসক শহিদুল ইসলাম বাংলানিউজকে জানিয়েছেন, হাজারীবাগে ধসে পড়া টিলা পরিদর্শন করেছেন তিনি। এ ব্যাপারে ঝুঁকি এড়াতে ওই স্থানের বসবাসরতদের সড়ে যেতে নির্দেশ দিয়েছেন।

ঘটনার পরই টিলা সংলগ্ন দু’টি পরিবার বসতভিটা ছেড়ে গেছে বলে স্থানীয় সূত্র জানিয়েছে।

শুধু হাজারীবাগই নয়, নগরীর সকল পাহাড় ও টিলার পাদদেশে ঝুঁকি নিয়ে বসবাস বেড়েছে। ধসের আশঙ্কা সত্ত্বেও নগরী ও আশপাশের কয়েক হাজার মানুষ মৃত্যুঝুঁকি নিয়েই বসবাস করছেন পাহাড়-টিলার পাদদেশে।

ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলোর মধ্যে রয়েছে- নগরীর উপকণ্ঠের বালুচর, হাজারীবাগ, বিমানবন্দর সড়ক, খাদিমপাড়া, খাদিমনগর, মেজরটিলা, মংলিরপাড় ও ইসলামপুর। এসব এলাকার বিভিন্ন টিলার পাদদেশে ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাস করছে কয়েকশ’ পরিবার।

গত বছরের জানুয়ারিতে সেভ দ্য হেরিটেজের এক জরিপে দেখা গেছে, সিলেটে টিলার পাদদেশে বাড়ি নির্মাণ করে বসবাস করায় ১০ হাজার লোক ঝুঁকিতে রয়েছেন।
এ ছাড়া জৈন্তাপুর উপজেলার নয়াখেল, আঞ্জা গ্রাম ফেঞ্চুগঞ্জ, গোলাপগঞ্জ ও বিয়ানীবাজার উপজেলায় বিভিন্ন টিলা ও পাহাড়ের পাদদেশে ঝুঁকি নিয়ে বসবাস করছেন আরও কয়েক সহস্রাধিক লোক।

তবে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সংশ্লিষ্ট প্রশাসন ও কোথাও পাহাড়- টিলার পাদদেশে বসতকারী ঘর-বাড়ির কোনো তালিকা নেই।

জানা গেছে, প্রতি বর্ষা মৌসুম এলেই টানা বৃষ্টিতে দেখা দেয় টিলাধসের ঝুঁকি। বিভিন্ন সময়ে টিলাধসে প্রাণহানির ঘটনাও ঘটেছে। ঝুঁকিপূর্ণ বসবাসকারীদের উচ্ছেদে বিচ্ছিন্ন কিছু অভিযান চালানো হলেও তাদের পুনর্বাসনে নেওয়া হয়নি কোনো উদ্যোগ। ফলে ফের টিলার পাদদেশে ঘর নির্মাণ করেছেন ভূমিহীনরা।

গত কয়েক দিনের টানা বর্ষণে সিলেটে টিলাধসের যে আশঙ্কা দেখা দিয়েছে এতে দুর্ঘটনা ঘটলে উদ্ধার কার্যক্রম চালানোর মতো সরঞ্জামাদিও সিলেটে নেই বলে জানিয়েছেন ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের সহকারী পরিচালক পরিমল কুণ্ডু।

তিনি বাংলানিউজকে বলেন, ‘‘দুর্ঘটনা ঘটার আগে বসতি সরিয়ে দিতে হবে। আর উদ্ধার তৎপরতা চালানো জন্য দরকার বড় কোনো সরঞ্জাম।”

তিনি বলেন, “মাটি কাটতে যে কঠিন সরঞ্জামগুলো দরকার, সিলেটে সেগুলোও নেই। সিলেটে রয়েছে শুধু কোদাল আর বেলচা।”

বেলা’র সিলেটের আঞ্চলিক সমন্বয়কারী শাহ সাহেদা আখতার বাংলানিউজকে বলেন, টিলা কাটার ফলে ধস হচ্ছে। সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের দায়িত্বহীনতা এর জন্য দায়ী বলে উল্লেখ করেন তিনি।

সাহেদা বলেন, ‘‘সিলেটে নির্বিচারে টিলা কাটা হচ্ছে। এ অবস্থায় অনবরত বৃষ্টিপাতে টিলার ধস ঘটছে।’’

ছাত্রীকে যৌনহয়রানি: বিরলে তিন শিক্ষক সাময়িক বরখাস্ত

দিনাজপুরের বিরল উপজেলার সীমান্তবর্তী বেকুড়া দ্বিমুখি উচ্চ বিদ্যালয়ের এক ছাত্রীকে যৌনহয়রানির অভিযোগে সংশ্লিষ্ট শিক্ষকসহ তিন শিক্ষককে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করেছে স্কুল পরিচালনা কমিটি।

প্রাইভেট পড়ানোর ফাঁকে শনিবার সকাল ১১টার দিকে ওই ছাত্রীকে যৌনহয়রানি করে স্কুলের ইংরেজি বিষয়ক শিক্ষক আবুল বাশার। এ সময় অভিযুক্তের শাস্তির দাবিতে অভিভাবকসহ হাজার খানেক নারী পুরুষ বিকেল ৩টা পর্যন্ত ঘেরাও করে রাখে স্কুলটি।পরে পরিচালনা কমিটি অভিযুক্ত তিন শিক্ষককে সাময়িক বহিষ্কার করে।

বহিষ্কার হওয়া শিক্ষকরা হলেন- আবুল বাশার, সহিদুল ইসলাম ও আব্দুল আজিজ।

জানা গেছে, সকাল থেকে স্কুলের একটি কক্ষে প্রাইভেট পড়ছিল ওই স্কুলের আটক জন ছাত্রী। এ সময় এক ছাত্রীকে পাশের কক্ষে ডেকে নেন স্কুল শিক্ষক আবুল বাশার। এ সময় তাকে যৌনহয়রানি করলে ছাত্রীর চিৎকার শুনে অন্যরা ওই শিক্ষকের ওপর চড়াও হয়।

খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যায় বিরল থানা পুলিশ। এ পরিস্থিতিতে জরুরি সভায় বসেন স্কুল পরিচালনা কমিটির সদস্যরা। এতে বেরিয়ে আসে শিক্ষক আবুল বাশারের অপরাধের ঘটনাসহ অন্য দুই শিক্ষক সহিদুল ইসলাম এবং আব্দুল আজিজের ছাত্রীদের সঙ্গে যৌনহয়রানির কাহিনী।

এ বিষয়ে স্কুল পরিচালনা কমিটির সভাপতি রমাকান্ত রায় বাংলানউজকে জানান, অভিযুক্ত ওই তিন শিক্ষককে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে।

বিরল থানার (তদন্ত) পরিদর্শক আনিসুর রহমান বাংলানিউজকে জানান, অভিযুক্ত শিক্ষককে আটক করা হয়েছে। সাময়িক বরখাস্তের লিখিত আদেশের দাবিতে স্কুলটিতে চড়াও হয়েছিল স্থানীয় মানুষ।

জুনেই আসছে আইফোন ৬!

নতুন আইফোন বাজারে আসবে আর গুজব ছড়াবে না এমনটা হয়নি। এবারও আইফোনপ্রেমীরা গুনছেন অপেক্ষার প্রহর। আর তাতে কিছু তথ্য বেরিয়েও আসতে শুরু করেছে। পরের আইফোনের মডেল হচ্ছে ৬। তবে বাজারে খবর আছে ৫এস আসার। সংবাদমাধ্যম সূত্র এ তথ্য দিয়েছে।

তরে চতুর্থ প্রজন্মের ফোরজি আইফোন ৬ নিয়ে অনেক তথ্যই পরিস্কার হয়ে যাচ্ছে। আসছে ২০ জুনেই নতুন আইফোন ৬ সম্পর্কে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসতে পারে।

বিশেষ বৈশিষ্ট্যের মধ্যে আছে ১৩ মেগাপিক্সেল ক্যামেরা আর আইওএস-৭ অপারেটিং সিস্টেম। এ ছাড়াও আইফোন তৈরির দেশ চীনের অনলাইন সূত্র থেকেও বেশ কিছু সুনির্দিষ্ট তথ্য প্রকাশ পেয়েছে।

প্রসঙ্গত, ২০১০ সালে আইফোন ৪ আত্মপ্রকাশের সময়ও এ ধরনের নানামুখী গুজবে মুখর ছিল অ্যাপল ভক্তরা। কেজিআই সিকিউরিটির গবেষক মিঙ্গ চি কুয়ো বলেন, অ্যাপল এ বছরের তৃতীয় ত্রৈমাসিকেই আইফোন ৬ মডেল আত্মপ্রকাশের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিতে পারে।

একটানা ৪৮ দিন চলবে আশা ৫০১!

মধ্যম ঘরানার নকিয়া স্মার্টফোনের আশা সিরেজের নতুন অতিথি ‘৫০১’ মডেল। এ মডেল এ ঘোষাণাতেই বাজারে আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। একটানা ৪৮ দিনের স্ট্যানবাই ব্যাটারি লাইফ এ ফোনকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছে। সংবাদমাধ্যম সূত্র এ তথ্য দিয়েছে।

বিশেষ সুবিধার মধ্যে আছে টুজি নেটওয়ার্ক। পাল্ম (খুদে চৌকা) আকৃতির এ ফোনে আছে ১৭ ঘণ্টার টকটাইম এবং ৫৬ ঘণ্টার মিউজিক প্লেব্যাক সুবিধা।

উইন্ডোজ ঘরানার এ ফোনে আছে ৬টি ভিন্ন রঙয়ের বৈচিত্র্য। এ রঙগুলো হচ্ছে লাল, নীল, কালো, হলুদ, সাদা এবং সবুজ। আছে মাল্টিটাচ স্ক্রিন, ওয়াইফাই এবং ব্লুটুথ সংযোগ। ৩.২ মেগাপিক্সেল ক্যামেরা এবং মাইক্রোএসডি মেমোরি অপশন। এটি ৩২ জিবি পর্যন্ত বাড়িয়ে নেওয়া যাবে।

তবে নকিয়ার আশা ৫০১ থ্রিজি বা ফোরজি সমর্থন করে না। আছে নকিয়া এক্সপ্রেস ব্রাউজার এবং ইন্টারনেট থেকে লাইভ ডাটা ব্রাউজিং সুবিধা। এটি দ্রুত ইন্টারনেট ডাটা অ্যাকসেস করার সামর্থ্য রাখে।

নকিয়ার এ নব্য ঘরানার আশা স্মার্টফোন এ বছরের জুনেই বিশ্ববাজারে বাণিজ্যিকভাবে বাজারে আসবে। তবে শুরুতেই দক্ষিণ এশিয়া, ভারত, মধ্যপ্রাচ্যে, আফ্রিকা, ল্যাটিন আমেরিকা এবং ইউরোপের বাজারে এ ফোন পাওয়া যাবে।

মোহাম্মদপুরে ৫ তলা ভবন হেলে পড়েছে

রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকার শের-শাহ-সুরী রোডে ৪৩ নম্বর বাড়ি হেলে পাশের বাড়িতে আটকে যাওয়ায় ব্যাপক আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে।

ডিএমপি’র মোহাম্মদপুর জোনের এসি মুক্তা ধর বাংলানিউজকে বলেন, বাড়িটি নির্মাণে রাজউক ৪ তলা পর্যন্ত অনুমোদন দিলেও নিয়ম ভেঙ্গে ৫ তলা করা হয়।

শনিবার বিকালে বাড়িটি পূর্ব পাশে ধ্বসে গিয়ে পাশের একটি বাড়িতে আটকে যায়। এ ঘটনায় বাড়িটির পূর্ব দিকের প্রাচীর ভেঙে যায় এবং অন্যান্য জায়গাতেও ফাটল দেখা দিয়েছে। বাড়ির নিচে ১টি হোটেলসহ ৪টি দোকান রয়েছে। বড় ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে ফায়ার সার্ভিসের পরামর্শে ২ ঘণ্টা সময় দেওয়া হয়েছে বাড়িটি খালি করে দেওয়ার জন্য। ইতিমধ্যে বাড়িটির বৈদ্যুতিক সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়েছে।

উইকেট শিকারে শুরু বাংলাদেশের

বাংলাদেশের বিপক্ষে প্রথম টি-টোয়েন্টিতে টস জিতেছে জিম্বাবুয়ে। ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা। তৃতীয় বলে সোহাগ গাজীর কাছে প্রথম উইকেট হারিয়েছে স্বাগতিকরা। এক ওভার শেষে এক উইকেটে পাঁচ রান সংগ্রহ তাদের। রানের খাতা না খুলে সাজিদুল ইসলামের তালুবন্দি হন ওপেনার ভুসি সিবান্দা। ব্রেন্ডন টেলর ৪ ও হ্যামিল্টন মাসাকাদজা ১ রানে খেলছেন।
মোহাম্মদ আশরাফুলের পরিবর্তে দলে অন্তর্ভুক্তি হয়েছে শামসুর রহমানের।
জিম্বাবুয়ে দল: ব্রেন্ডন টেলর (অধিনায়ক), টেন্ডাই চাতারা, হ্যামিল্টন মাসাকাদজা, মুতুম্বজি, পানিআঙ্গারা, ভুসি সিবান্দা, সিকান্দার রাজা, প্রসপার উতসেয়া, ব্রায়ান ভিটরি, ম্যালকম ওয়ালার ও শন উইলিয়ামস।
বাংলাদেশ দল: মুশফিকুর রহিম (অধিনায়ক), আব্দুর রাজ্জাক, সাকিব আল হাসান, মাহমুদ উল্লাহ, নাসির হোসেন, শফিউল ইসলাম, সাজিদুল ইসলাম, শামসুর রহমান, সোহাগ গাজী, তামিম ইকবাল ও জিয়াউর রহমান।

ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড় ধেয়ে আসছে

ভারত মহাসাগরের একটি বিরাট এলাকাজুড়ে আবহাওয়ার অস্থিতিশীলতার কারণে চলতি সপ্তাহে নতুন উষ্ণমণ্ডলীয় ঘূর্ণিঝড়ের উৎপত্তি হয়েছে। সম্ভাব্য এই ঘূর্ণিঝড় বাংলাদেশ, ভারতের উত্তর-পূর্ব, শ্রীলঙ্কার পূর্ব ও মিয়ানমারের উপকূলে আঘাত হানতে পারে।

আবহাওয়া পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আগামী বুধবার বাংলাদেশ উপকূলের দিকে ধেয়ে আসবে ঘূর্ণিঝড় ০১বি (বাংলাদেশি আবহাওয়াবিদদের মতে ‘মহাসেন’)। নতুন করে গঠিত এ উষ্ণমণ্ডলীয় ঝড় চলতি সপ্তাহে ভারত মহাসাগরের দক্ষিণে প্রবাহিত হবে এবং এই সময়ে পশ্চিম অভিমুখেও প্রবাহ থাকবে।

উষ্ণমণ্ডলীয় ঘূর্ণিঝড় (০১বি) আগামী কয়েকদিনে উত্তর অভিমুখে প্রবাহ সৃষ্টি করে শক্তিশালী রূপ নেবে। এই ঝড়েই ভারতের উত্তর, বাংলাদেশ, এমনকি মিয়ানমারের উপকূলীয় মানুষের জীবন হুমকির মুখে পড়বে। এর আগে আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছিলেন, ঘূর্ণিঝড় ‘জামালা’ আঘাত হানতে যাচ্ছে।

উপগ্রহ থেকে তোলা শুক্রবারের ছবিতে ভারতের দক্ষিণে উষ্ণমণ্ডলীয় ঘূর্ণিঝড়  ‘জামালা’র সঙ্গে সন্নিহিত মেঘ দেখা গেছে। এতে শ্রীলঙ্কার দক্ষিণ-পূর্ব উপকূলে নতুন করে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড়েরও (০১বি) অস্তিত্ব পাওয়া গেছে।

আবহাওয়া পূর্বাভাসে আরেকটি উদ্বেগের কথাও বলা হয়েছে। বাংলাদেশ ও উত্তর-পূর্ব ভারতে গত সপ্তাহে ৬ থেকে ১২ ইঞ্চি বৃষ্টিপাত হয়। এ কারণে সম্ভাব্য উষ্ণম-লীয় ঘূর্ণিঝড়ে অতিরিক্ত ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে ব্যাপক বন্যা ও ভূমিধসও ঘটতে পারে।

এসব অঞ্চলে এর আগে আঘাত হানা ঘূর্ণিঝড়ে প্রাণহানিসহ ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ২০০৮ সালে উষ্ণমণ্ডলীয় ঝড় নার্গিসের আঘাতে মিয়ানমারের আনুমানিক লক্ষাধিক মানুষের প্রাণহানি হয়। ১৯৯১ সালে এমনই আরেকটি ঘূর্ণিঝড় বাংলাদেশের তিন লক্ষাধিক মানুষের প্রাণ কেড়ে নিয়ে যায়।

পশ্চিমা আবহাওয়াবিদদের ধারণা, ঘূর্ণিঝড় ‘জামালা’র আঘাতে স্থলভাগে সেই তুলনায় কম ক্ষয়ক্ষতি হবে।

এ ব্যাপারে আবহাওয়া অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক শামসুদ্দিন আহমেদ বাংলানিউজকে বলেন, “জামালা নামের কোনো ঘূর্ণিঝড় বাংলাদেশে আঘাত হানার সম্ভাবনা নেই। কারণ এটা উত্তর গোলার্ধের ঝড়।” তবে তিনি জানান, ০১বি নামের যে ঝড়টির কথা বলা হয়েছে, সেটা ‘মহাসেন’ নামে এই অঞ্চলে পরিচিত।

নারী সমাবেশ শুরু

নারী নেত্রী ও সমাবেশের সভাপতি আয়েশা খানমের স্বাগত বক্তব্যের মধ্য দিয়ে শুরু হলো নারী সমাবেশ।

শনিবার বিকেল সাড়ে ৩টায় এ সমাবেশ শুরু হয়।

নারীদের পদচারণায় ধীরে ধীরে জমতে শুরু করেছে সমাবেশ স্থল। মঞ্চ এবং মঞ্চের পাশ থেকে চলছে স্লোগান। বিভিন্ন নারী সংগঠন ও নারীদের উপস্থিতি বাড়ছে।

জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনের রাস্তায় দু’টি মিনি ট্রাকের ওপর তৈরি করা হয়েছে সমাবেশের মূল মঞ্চ।

সমাবেশে অধিক নারী সংগঠন সমবেত হওয়ায় উদ্যোক্তারা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মঞ্চে একসঙ্গে ২০টি করে সংগঠনের নেত্রীরা উঠে বক্তৃতা করে নেমে যাবেন।

প্রস্তুতি প্রসঙ্গে জানতে চাইলে উদ্যোক্তদের একজন শাহনাজ সুমি বাংলানিউজকে বলেন, “একটি সমাবেশে যে ধরনের প্রস্তুতি থাকা দরকার, আমরা সবই নিয়েছি। সমাবেশে অংশ নিতে আসা নারীদের পানি খাওয়ানো, রাস্তা চিনিয়ে দেওয়া, অসুস্থ হলে মেডিকেল টিমের কাছে পৌঁছে দেওয়া ইত্যাদি কাজের জন্য প্রায় ২’শ স্বেচ্ছাসেবক কাজ করছে।”

তিনি বলেন, “আমরা আশা করেছিলাম লাখো নারীর জমায়েত হবে আজকের সমাবেশে। তবে আগামীকালের হরতাল এবং বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণে এতটা নাও হতে পারে। আমরা মনে করছি ৫০ হাজারের মতো নারী সমাগম হবে।”

উদ্যোক্তাদের আরেকজন মাহবুবা বেগম বাংলানিউজকে বলেন, “এদেশের জনসংখ্যার অর্ধেক নারী। এ শক্তি ব্যবহার করতে না পারলে দেশের উন্নয়ন স্থবির হয়ে যাবে। নারী শক্তিতে দক্ষভাবে কাজে লাগানোর বিরুদ্ধে মৌলবাদী শক্তি কাজ করে চলেছে।”

তিনি আরও বলেন, “এ সমাবেশ থেকে আমরা জানাতে চাই নারীদের আজ ‍আর ঘরে বসে থাকার সময় নেই। এখন পুরুষের কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে দেশের উন্নয়নে ভূমিকা রাখার সময়।”

নিরাপত্তা প্রসঙ্গে শাহবাগ জোনের এসি পেট্রল এমাদুল বাংলানিউজকে বলেন, “যেকোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে সমাবেশ স্থল কাকরাইল-পল্টন-সচিবালয়সহ মোট ২২টি পয়েন্টে দু’শতাধিক নারী পুলিশসহ বিভিন্ন স্তরের পাঁচ শতাধিক পুলিশ টহলে নিয়জিত রয়েছে।”

এসএসসিতে ফেল করায় গাংনীতে কিশোরের আত্মহত্যা

এসএসসি পরীক্ষায় ফেল করায় হিরক (১৬) নামে এক কিশোর আত্মহত্যা করেছে।

শনিবার দুপুর ২টার দিকে হিরক তার নিজ কক্ষের আড়ার সঙ্গে গলায় রশি দিয়ে আত্মহত্যা করে। হিরক গাংনী উপজেলার বাওট গ্রামের রুহুল আমিনের ছেলে।

হিরকের বাবা রুহুল আমীন বাংলানিউজকে জানান, হিরক এসকেএস মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে এ বছর এসএসসি পরীক্ষা দিয়েছিল। এসএসসি পরীক্ষার ফলাফলে সে গণিত বিষয়ে ফেল করে।

সকাল থেকেই সে মন খারাপ করে বসে ছিল। কোনো এক সময়ে সে ঘরের মধ্যে ঢুকে আত্মহত্যা করেছে।দুপুরের খাবার খাওয়ার জন্য ডাকতে গিয়ে তার ঝুলন্ত লাশ পাওয়া যায়।

গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)আলমগীর হোসেন এ বিষয়টি বাংলানিউজকে নিশ্চিত করেছেন।

সাভারের ভবন ধস: বিশ্বে দ্বিতীয় বৃহত্তম শিল্প দুর্ঘটনা

সাভারের রানা প্লাজার ধসকে এর আগে দক্ষিণ এশিয়ার সবচেয়ে বড় শিল্প দুর্ঘটনা হিসেবে ধরা হলেও বর্তমানে মৃতের সংখ্যা এক হাজার ছাড়িয়ে যাওয়ায় এটিকে এখন বিশ্বের সবচেয়ে ভয়াবহ শিল্প দুর্ঘটনাগুলোর মধ্যে দ্বীতিয় বৃহত্তম হিসেবে ধরা হচ্ছে।

এর আগে ইকোনোমিস্ট পত্রিকা তাদের অনলাইন সংস্করণে সাভারের ভবন ধসে নিহতের ঘটনায় ‘বাংলাদেশে বিপর্যয়: ধ্বংসস্তূপে ছিন্নবস্ত্র’ শিরোনামে একটি নিবন্ধ ছেপেছে এবং এটাকে সবচেয়ে ভয়াবহ বিপর্যয় হিসেবে উল্লেখ করেছে।

তারা তাদের নিবন্ধে এটিকে ১৯৮৪ সালের ২ ও ৩ ডিসেম্বর ভারতের মধ্য প্রদেশের ভুপাল ইউনিয়ন কারবাইড ইন্ডিয়া লিমিটেডে গ্যাস বিস্ফোরণে ৩ হাজার ৭৮৭ জন নিহত হওয়ার ঘটনার সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে।

নিয়ম ভঙ্গ করে ভবন নির্মাণের বিষয়টিও উঠে আসে ইকোনোমিস্টের ওই নিবন্ধে। তাতে বলা হয়েছে, পাঁচ তলার অনুমতি নিয়ে নির্মাণ করা হয়েছে আটতলা ভবন।

এছাড়া বাংলাদেশে পোশাক কারখানার “বিস্ফোরণ” ঘটেছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে নিবন্ধে। আর এর অন্যতম কারণ হিসেবে সস্তায় শ্রমিকের সহজলভ্যতাকে উল্লেখ করেছে ইকোনোমিস্ট। বাংলাদেশে একজন শ্রমিকের বেতন মাত্র তিন হাজার টাকা, যা চীনের চেয়ে এক পঞ্চমাংশ।

গত বছর পাকিস্তানের পোশাক কারখানায় অগ্নিকান্ডে ২৬০ জন নিহত হয়েছিল। একই বছর বাংলাদেশের “তাজরীন ফ্যাশনে” অগ্নিকান্ডে ১১২ জন নিহত হন। সম্প্রতি (৮ মে) ঢাকার মিরপুরে ‘তুন হাই’ একটি নামক তৈরি পোশাক কারখানায় অগ্নিকান্ডে পুলিশের ডিআইজিসহ ৮ জন নিহত হয়েছেন। এছাড়া ‘স্পেকটাম’ গার্মেন্টসে ধসের ঘটনায় অনেক শ্রমিকের প্রাণহনি ঘটে।

সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞদের মতে, একের পর এক ভয়াবহ দুর্ঘটনার কারণে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক কারখানায় বিপর্যয় নেমে আসতে পারে। বিদেশি ক্রেতারা বাংলাদেশ থেকে মুখ ফিরিয়ে নিতে পারে। চীনের পরে সবচেয়ে বড় তৈরি পোশাক শিল্পের বাজার বাংলাদেশে। এরকম দুর্ঘটনা বন্ধ না করা গেলে বাংলাদেশ তৈরি পোশাক শিল্পের বিশাল এ বাজার হারাতে পারে বলে সংশ্লিষ্ট বোদ্ধাদের ধারণা।

আর তাই সরকারকে এ ব্যাপারে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে বলে তারা মত ব্যক্ত করেন।

এদিকে, ধসে পড়া রানা প্লাজার ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে ১৭তম দিন শুক্রবার ভোর ৬টা থেকে সকাল দুপুর পর্যন্ত আরও ২০টি মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ নিয়ে ভবন ধসের উদ্ধার করা মরদেহের মোট সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৩৩ জনে। এর মধ্যে ৭১০ জনের মৃতদেহ শনাক্ত হওয়ার পর স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

ঘটনাস্থলে স্থাপিত সেনাবাহিনীর কন্ট্রোলরুম থেকে এসব তথ্য জানা যায়।

উদ্ধারকর্মীরা জানান, এখন যেসব লাশ উদ্ধার করা হচ্ছে, সেগুলোর অধিকাংশই গলিত, অর্ধগলিত। ফলে মরদেহ শনাক্ত ও হস্তান্তর করা প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়ছে।

উল্লেখ্য, গত ২৪ এপ্রিল সকাল পৌনে ৯টার দিকে সাভার বাসস্ট্যান্ড বাজারে যুবলীগ নেতা সোহেল রানার মালিকানাধীন নয়তলা বাণিজ্যিক ভবন ‘রানা প্লাজা’ ধসে পড়ে। এতে হাজারের অধিক প্রাণহানির এ ভয়বহ ঘটনা ঘটে। এছাড়া আহত ও জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা হয় দুই হাজার ৪৩৭ জন শ্রমিককে।

সাভারের মর্মান্তিক এ ঘটনায়  আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়ে দেশের পোশাক শিল্প। আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও, জাতিসংঘ ও মানবাধিকার সংস্থাগুলো পোশাকশিল্পের সমালোচনায় মুখর হয়ে উঠেছে। এমনকি বিদেশি ক্রেতা প্রতিষ্ঠান কয়েকটি পোশাক কারখানার পরিবেশ ও মান নিয়ে প্রশ্ন তুলে বাংলাদেশের সঙ্গে ব্যবসা করবে না বলে জানিয়ে দিয়েছে।

এর আগে গত নভেম্বর মাসে সাভারের আশুলিয়ায় তাজরীন ফ্যাশনে অগ্নিকাণ্ডে শতাধিক পোশাক শ্রমিকের প্রাণহানি হয়।