Thursday, May 9, 2013

Kaspersky Keys All version 08 May 2013

Kaspersky Keys All version 08 May 2013 | Kaspersky Pure And Kaspersky 2013 Activation Keys Kav And Kis | 3 MB
This Kaspersky Key Pack contain

1. Kaspersky Anti-Virus(KAV) 2013 and 2012 Activation Key File
2. Kaspersky Internet Security(KIS) 2013 and 2012 Activation Key File
3. How To Activate Kaspersky 2011,2012,2013
 

আবারও সেই দুঃস্বপ্নই

ব্রেন্ডন টেলর-হ্যামিল্টন মাসাকাদজাদের কথাই তাহলে ঠিক। বুলাওয়ে-জুজু বলে কিছু নেই, ‘ইটস অল অ্যাবাউট ক্রিকেট’। বল-ব্যাটের লড়াইয়ে যে ভালো, সে-ই জেতে ম্যাচ। খেলাটা বুলাওয়েতেই হোক কিংবা হারারে অথবা বাংলাদেশের পাড়ার কোনো মাঠে।
এবার বুলাওয়েতে আসার আগে কুইন্স স্পোর্টস ক্লাব মাঠে ৮টি ওয়ানডেতে বাংলাদেশের জয় ছিল ৬টি। ২০১১ সালের সফরে হারারেতে সর্বস্ব হারানোর পর বুলাওয়েতেই পাওয়া গিয়েছিল সান্ত্বনার দুটি জয়। হারারে থেকে ৪৪২ কিলোমিটার দূরের এই শহরে এত দিন তাই ‘নিজ ভূমে পরবাসী’ ছিল জিম্বাবুয়ে। ‘স্বাগতিক’ যেন বাংলাদেশ! জয়ের সংখ্যায় বাংলাদেশ এখনো এগিয়ে থাকলেও দাবিটা বোধ হয় এখন আর করা যাবে না। ২-১ এ সিরিজ জিতে এবার বুলাওয়েতেও নিজেদের অধিকার প্রতিষ্ঠা করে নিয়েছে জিম্বাবুয়ে দল।
প্রথম ওয়ানডেতে ২৬৯ রান করে জিতেছিল বাংলাদেশ। পরের দুই ম্যাচে ওটাকেই (২৭০) নিরাপদ স্কোর মনে করলেও কোনো ম্যাচেই সে পর্যন্ত যাওয়া হয়নি। দ্বিতীয় ম্যাচে ২৫২, কাল শেষটাতে ২৪৭। যা ৩ উইকেট হারিয়ে ১৭ বল বাকি থাকতেই টপকে গেল জিম্বাবুয়ে। বাংলাদেশ অবশ্য এখন বলতে পারে, বুলাওয়ের উইকেট আর আগের মতো নেই, এখানে আগে ব্যাট করলে জেতা কঠিন ইত্যাদি ইত্যাদি। কিন্তু বিদেশে এসেও যদি ‘স্বাগতিক’-এর সুবিধা পেতে হয়, তাহলে তো শুধু হোম সিরিজ খেলাই ভালো! আর টসই যদি প্রতি ম্যাচে জয়-পরাজয় নির্ধারণ করে দেবে, তাহলে ক্রিকেটটা সবাই-ই খেলতে পারে। প্রশ্নগুলোর উত্তর সম্ভবত অধিনায়ক মুশফিকুর রহিমের কাছেও নেই। ম্যাচ শেষের সংবাদ সম্মেলনে সে কারণেই দুম করে ঘোষণা দিলেন, ‘টি-টোয়েন্টি সিরিজের পর আমি আর অধিনায়কত্ব করব না।’
পুরো সিরিজের ধারাবাহিকতা ধরে রেখে কালও দায়িত্বজ্ঞানহীন ব্যাটিং করেছে বাংলাদেশের টপ অর্ডার। সব ছাপিয়ে পরাজয়ের সবচেয়ে বড় কারণ ওটাই। ম্যাচের শেষ ভাগে এই উইকেট পুরোই ব্যাটিংবান্ধব হয়ে যায় বলে বাংলাদেশের বোলিং নিয়ে একটা লাইনই যথেষ্ট—প্রতিকূলতাকে জয় করার মতো বোলিং করতে পারেননি কোনো বোলারই। হ্যামিল্টন মাসাকাদজার সঙ্গে ৭৯ রানের উদ্বোধনী জুটি দিয়ে শুরু, এর পরও জিম্বাবুয়েকে বলতে গেলে একাই জয়ের দিকে টেনে নিয়ে গেছেন ভুসিমুজি সিবান্দা। ২০১১ সালে হারারেতে বাংলাদেশের বিপক্ষে ৪ রানের জন্য সেঞ্চুরি মিস করেছিলেন। কাল ওয়ানডেতে নিজের দ্বিতীয় সেঞ্চুরিটা করার পর সে দুঃখ কিছুটা হলেও ভুললেন। কে জানে, কাল রাতে শন উইলিয়ামসের বাড়িতে এ সাফল্যে একটা পার্টিও দিয়ে দিয়েছেন কি না!
ব্যক্তিগত জীবনে খুবই ভালো বন্ধু শন উইলিয়ামস আর সিবান্দা। বুলাওয়েতে বেড়াতে এলে নাকি উইলিয়ামসের বাড়িতেই ওঠেন সিবান্দা। কাল মাঠেও দেখা গেল প্রগাঢ় সেই বন্ধুত্ব। ইনিংসের ৪৭তম ওভারের প্রথম বলে শফিউলকে বাউন্ডারি মেরে ফিফটি পূর্ণ করলেন উইলিয়ামস। কিন্তু তাতে যে দলের রানটাও হয়ে গেল ২৪৭! আর ১ রান করলেই জিতে যাবে জিম্বাবুয়ে। পরের পাঁচ বলে ১ রান হবে না, এটা যেমন অস্বাভাবিক, তেমনি অন্য প্রান্তে ৯৯ রানে অপরাজিত সিবান্দা সেই ১ রান চেয়ে চেয়ে দেখবেন, সেটাও কি মানা যায়! দর্শক, প্রেসবক্সের জিম্বাবুইয়ান সাংবাদিকেরা, এমনকি দুই আম্পায়ারও যেন দাঁড়িয়ে গেলেন সিবান্দার পাশে। শফিউলের বলগুলো শুধু ঠেকিয়েই গেলেন উইলিয়ামস, রান নিলেন না। রান না নিয়ে এত হাততালি মনে হয় না এর আগে কোনো ব্যাটসম্যান পেয়েছেন। বাউন্সারের মতো ওঠা পঞ্চম বলে চাইলেই ‘নো’ ডাকতে পারতেন আম্পায়ার। কিন্তু ডাকলেন না। হাততালি পেলেন তিনিও।
পরের ওভারের প্রথম বলটা অফ স্টাম্পের বাইরে করেছিলেন রবিউল। ব্যাটের কানায় লাগিয়ে থার্ডম্যান দিয়ে চার। সিবান্দার উল্লাসটাকে যেভাবে কাছে এসে বাহুডোরে নিয়ে নিলেন উইলিয়ামস, মনে হচ্ছিল সেঞ্চুরিটা বোধ হয় তিনিই করেছেন। ব্যক্তিগত সাফল্য ছাপিয়ে এই সাফল্য যে পুরো জিম্বাবুয়েরই। ম্যাচ শেষে ট্রফি হাতে উল্লাসরত জিম্বাবুয়ে দলের সঙ্গে দর্শকদেরও উল্লাস জানিয়ে দিচ্ছিল সেটাই।

হেরে অধিনায়কত্ব ছাড়ছেন মুশফিক

২০১১ সালে দুঃস্বপ্নের জিম্বাবুয়ে সফর শেষে দেশে ফিরে নেতৃত্ব হারিয়েছিলেন সাকিব আল হাসান। এবার মুশফিকুর রহিমের জন্যও তেমন কোনো পরিণতি অপেক্ষা করে আছে কি না, তা নিয়ে জল্পনা-কল্পনা শুরুর আগেই সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়ে বসলেন তিনি। কাল ৭ উইকেটের হারে সিরিজ খোয়ানোর পরপরই ব্যর্থতার দায় মাথায় নিয়ে দেওয়া মুশফিকের ঘোষণাটা ছিল আচমকাই।
ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনের শুরুতে হাজির হলেন সহ-অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ। সবাই ধরে নিলেন, মুশফিক হয়তো আসবেনই না। কারণ ক্রিকেট-সংশ্লিষ্ট সবারই কম-বেশি জানা যে, ব্যর্থতায় বড় বেশি মুষড়ে পড়েন তিনি। ২০১১ সালের সেই সফরেও এমন একবার হয়েছিল। হারারে স্পোর্টস ক্লাব মাঠে প্রথম দুটি ম্যাচ হারা বাংলাদেশ সিরিজের তৃতীয় ওয়ানডে খেলতে নেমেছিল। তাতে প্রথম ওয়ানডে সেঞ্চুরি করে দলকে জয়ের ধারে নিয়ে গিয়েও হারের হতাশায় মুশফিক এমনই ভেঙে পড়েছিলেন যে, সংবাদ সম্মেলনেই আর আসেননি। হারারেতে পাঁচ ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের তৃতীয় ম্যাচেও হারের পর ড্রেসিংরুমে কান্নায় ভেঙে পড়েছিলেন তিনি। তবে সেবার বুলাওয়েতে এসে ভাগ্য ফিরেছিল বাংলাদেশের। শেষ দুটো ওয়ানডেতে জয়ের সান্ত্বনা মিলেছিল এখানেই। কিন্তু এবার সেই বুলাওয়েতেই আরেকটি ব্যর্থতার পর সংবাদ সম্মেলনে না আসায় হতাশ মুশফিকের কল্পিত ছবিটাই যেন দেখছিলেন উপস্থিত সবাই। কিন্তু মাহমুদউল্লাহর সংবাদ সম্মেলনের মাঝামাঝি হুট করেই হাজির মুশফিক। বিলম্বের জন্য দুঃখ প্রকাশ যেমন করলেন, তেমনি সিরিজ হারের ময়নাতদন্ত করতে করতে এক পর্যায়ে দিয়ে দিলেন সরে দাঁড়ানোর আকস্মিক ঘোষণাটাও। জানিয়েছেন, দুই ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের পর আর অধিনায়ক পদে থাকছেন না তিনি। ব্যর্থতার দায় নিয়ে বলেছেন, 'দলও খারাপ খেলেছে। আমিও বাজে খেলেছি।'
এমন বিনা মেঘে বজ পাতের আধঘণ্টা পরও অন্ধকারে বাংলাদেশ দলের সঙ্গে জিম্বাবুয়েতে অবস্থানরত বিসিবির অ্যাডহক কমিটির সদস্য আহমেদ সাজ্জাদুল আলম। ম্যাচ শেষে পুরস্কার বিতরণীর আনুষ্ঠানিকতা শেষে হোটেলে ফিরে যাওয়া সাজ্জাদুলকে টেলিফোনে খবরটা দেওয়ার পর চমকে ওঠেন তিনি, 'তাই নাকি! কই, আমাকে তো কেউ কিছু বলেনি!' বোর্ড মনোনীত অধিনায়ক হিসেবে পদত্যাগের বিষয়টি যথাযথ স্থানে জানানো মুশফিকুর রহিমের দায়িত্বের মধ্যেই পড়ে। কিন্তু সেটি তিনি না করায় আরো বিস্মিত সাজ্জাদুলের প্রশ্ন, 'এটা কি সে বোর্ডকে জানিয়েছে?'
বোর্ডকে জানাননি, তবে মাঠ থেকে হোটেলে ফেরার পরপরই অধিনায়কের মত বদলাতে উদ্যোগী হয়েছেন এ বোর্ড সদস্যসহ নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন এবং জাতীয় দলের হেড কোচ শেন জার্গেনসেন। মুশফিকের সঙ্গে সে আলোচনায় ঢাকা থেকে টেলিফোনে যুক্ত হয়েছিলেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসানও। চতুর্মুখী আলোচনার ফল কখনও ইতিবাচক তো আবার পরক্ষণেই নেতিবাচক। সাজ্জাদুল একবার এসে বলে গেলেন, 'ওর সঙ্গে আমাদের কথা হয়েছে। আশা করি মত বদলাবে।' সেই সাজ্জাদুলই আবার কিছুক্ষণ পর মুশফিকের সিদ্ধান্ত পাল্টানো নিয়ে সন্দিহান, 'ভেরি আর্লি টু কমেন্ট।' গতকাল রাতে এ প্রতিবেদন লেখার সময় হোটেলের লবিতে পায়চারি করতে থাকা মুশফিকের শরীরি ভাষায়ও নিজের অবস্থান থেকে সরে আসার কোনো লক্ষণ দেখা গেল না। অর্থাৎ নিজের সিদ্ধান্তেই অনড় তিনি।
মাঠ থেকে ড্রেসিংরুমে ফিরেই সতীর্থদের নিজের সে সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন মুশফিকুর রহিম। ম্যানেজার তানজীব আহসান জানাচ্ছিলেন, 'ম্যাচের পর দেখি ড্রেসিংরুমে সবাই ওকে কী যেন বোঝাচ্ছে। কাছে গিয়ে জানতে পারি ওই সিদ্ধান্তের কথা।' দলীয় সূত্রে জানা গেছে, সিদ্ধান্ত পরিবর্তনের জন্য সতীর্থদের সবাই অনুরোধ করেছেন মুশফিককে। বরাবরের আবেগপ্রবণ অধিনায়ক যেন এ সিদ্ধান্ত মিডিয়াকে না জানিয়ে দেন, সে লক্ষ্যেই নাকি তাঁর পরিবর্তে কাল সংবাদ সম্মেলনে পাঠানো হয় মাহমুদউল্লাহকে। সে কারণেই সম্ভবত মুশফিককে পাশের চেয়ারে বসতে দেখে বিব্রত হয়ে পড়েছিলেন সহ-অধিনায়ক। বুঝে ফেলেছিলেন, আবেগী মুশফিক চমকে দেওয়া ঘোষণা দিতেই হাজির হয়েছেন সংবাদমাধ্যমের সামনে। সে ঘোষণা দেওয়ার পর যেমন মিলিয়ে নেওয়া গেল পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে নিজের অংশ শেষ হতেই তাঁর হুড়মুড়িয়ে ড্রেসিংরুমে ঢুকে পড়ার কারণও। পূর্বপ্রস্তুতি একরকম নেওয়াই ছিল। দলীয় একটি সূত্রের সন্দেহ, 'শুধু হারার কারণেই পদত্যাগ করেছেন মুশফিক- এটা বিশ্বাস হয় না। নিশ্চয়ই অন্য কোনো কারণ আছে।' কিন্তু সেটা কী, তা জানতে মুশফিকের অন্তর্যামী হওয়া ছাড়া উপায় নেই। আপাতত সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলার আগ্রহ অধিনায়কের নেই বলে কাল রাতে জানিয়ে দিয়েছেন ম্যানেজার তানজীব।
বিসিবির 'স্বীকৃতি' এখনো পায়নি মুশফিকুর রহিমের সিদ্ধান্ত। তবে তাঁর ঘোষণায় জিম্বাবুয়ে সফর এবং জিম্বাবুয়ের সঙ্গে খেলা কেমন যেন অভিশপ্ত হয়ে রইল বাংলাদেশ ক্রিকেটের জন্য! বিশেষ করে বাংলাদেশি অধিনায়কদের জন্য। ২০০১ সালের এপ্রিলে প্রথম জিম্বাবুয়ে সফরের অধিনায়ক নাঈমুর রহমান একই দলের বিপক্ষে একই বছরের নভেম্বরে দেশের মাটিতে দুই টেস্টের সিরিজের পর অধিনায়কত্ব হারান। ২০১১ সালে দেশে ফিরে নেতৃত্ব হারান সাকিব আল হাসানও। আর এবার নিজে থেকেই অধিনায়কত্ব ছাড়ার ঘোষণা দিলেন মুশফিকুর রহিম।

আগুনে পোশাক কারখানার মালিক ও পুলিশ কর্মকর্তাসহ নিহত ৮

মিরপুর ১ নম্বর সেকশনে বাঙলা কলেজের পাশে তুংহাই গার্মেন্টসে গতকাল বুধবার রাতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় ওই কারখানার মালিক ও বিজিএমইএর পরিচালক মাহবুবুর রহমান, পুলিশের অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক (অতিরিক্ত ডিআইজি) জেড এ মোর্শেদসহ আটজন মারা গেছেন। গতকাল রাত সাড়ে ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
মারা যাওয়া অন্য ব্যক্তিরা হলেন অতিরিক্ত ডিআইজির গাড়িচালক রিপন চাকমা, মাহবুবুর রহমানের তিন বন্ধু নাজমুল ইসলাম, মোস্তফা স্বপন, বাদল ও মাহবুবুর রহমানের অফিস সহকারী শিহাব উদ্দিন। নিহত আরেক যুবকের পরিচয় পাওয়া যায়নি।
ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা গেছে, ১২ তলা ভবনটির তৃতীয় তলায় বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে আগুন লাগে। দ্রুতই তা দোতলা ও চতুর্থ তলায় ছড়িয়ে পড়ে। এ সময় কারখানাটি বন্ধ ছিল। কারখানার মালিক, পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজিসহ আরও কয়েকজন ওই সময় ভবনটির ভেতর ছিলেন।
ফায়ার সার্ভিসের ভাষ্য, ধারণা করা হচ্ছে, আগুন লাগার ঘটনা টের পেয়ে তাঁরা নিচে নেমে আসার চেষ্টা করেন। কিন্তু বিপুল পরিমাণ ধোঁয়ার মধ্যে তাঁরা নামতে পারেননি। পরে তাঁরা ছাদে ওঠার চেষ্টা করেন। কিন্তু ছাদের দরজায় তালা থাকায় তাঁরা সিঁড়িতে আটকা পড়ে যান। একপর্যায়ে ধোঁয়ায় শ্বাসরোধ হয়ে তাঁদের মৃত্যু হয়। আগুন লাগার খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের ১৩টি ইউনিট ঘটনাস্থলে যায়। দুই ঘণ্টার চেষ্টায় তারা আগুন নেভায়।
পরে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা সেখান থেকে সাতজনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান। কর্তব্যরত চিকিত্সকেরা তাঁদের মৃত ঘোষণা করেন। কারখানার ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাহবুবুর রহমানকে সোহরাওয়ার্দী হাসপাতাল ও পুলিশের ডিআইজি জেড এ মোর্শেদকে স্কয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয়েছিল। ঘটনাস্থল থেকে আরও এক অজ্ঞাতনামা যুবকের লাশ উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ।
ফায়ার সার্ভিসের নিয়ন্ত্রণকক্ষের অপারেটর বাবুল মিয়ার ভাষ্য, অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় আনুমানিক এক কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ওই ভবন থেকে নগদ আরও ১০ কোটি টাকা উদ্ধার করা হয়েছে।
মিরপুর অঞ্চলের পুলিশের উপকমিশনার ইমতিয়াজ আহমেদ প্রথম আলো ডটকমকে জানান, মারা যাওয়া ওই ব্যক্তিরা ভবন থেকে বের হওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। অতিরিক্ত ধোঁয়ায় তাঁদের মৃত্যু হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

মাধ্যমিকের ফলাফলে মাইলফলক

চলতি বছর মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমানের পরীক্ষার ফলাফলে মাইলফলক সৃষ্টি হয়েছে। এত ভালো ফল কখনো হয়নি। এবার পাসের হার ও জিপিএ-৫ দুটিই বেড়েছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
আজ বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে এ ফলাফলের কপি তুলে দেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। এ সময় বিভিন্ন শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানরা উপস্থিত ছিলেন।
এবার এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় গড় উত্তীর্ণের হার ৮৯ দশমিক শূন্য ৩ শতাংশ, যা গতবারের চেয়ে ২ দশমিক ৭১ শতাংশ বেশি। ২০১২ সালে এসএসসি পরীক্ষায় গড় উত্তীর্ণের হার ছিল ৮৬ দশমিক ৩২ শতাংশ। ২০১১ সালে পাসের হার ছিল ৮২ দশমিক ১৬ শতাংশ।
গতবারের চেয়ে এবার সেরা মেধাবীর সংখ্যা, অর্থাত্ জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা বেড়েছে ২৫ হাজার ৯৭৪। এবার জিপিএ-৫ পেয়েছে ৯১ হাজার ২২৬ জন। ২০১২ সালে জিপিএ-৫ পেয়েছিল ৬৫ হাজার ২৫২ জন। ২০১১ সালে পেয়েছিল ৬২ হাজার ৭৮৮ জন।
আজ বেলা দুইটায় সংশ্লিষ্ট পরীক্ষাকেন্দ্র ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে একযোগে এ ফল প্রকাশ করা হবে। এর আগে বেলা একটায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে সংবাদ সম্মেলনে গণমাধ্যমের কাছে ফলাফলের তথ্য তুলে ধরা হবে।
জানা গেছে, চলতি বছর মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমানের পরীক্ষায় ঢাকা বোর্ডে পাসের হার ৮৭ দশমিক ৩১, রাজশাহীতে ৯৪ দশমিক শূন্য ৩, চট্টগ্রামে ৮৮ দশমিক ৪৮, সিলেটে ৮৮ দশমিক ৯৬, কুমিল্লায় ৯০ দশমিক ৪১, যশোরে ৯২ দশমিক ৬২, দিনাজপুরে ৯০ দশমিক ৬০, বরিশালে ৮৮ দশমিক ৬৩ শতাংশ; মাদ্রাসা বোর্ডে ৮৯ দশমিক ১৩ ও কারিগরি বোর্ডে ৮১ দশমিক ১৩ শতাংশ।

কামারুজ্জামানের ফাঁসির আদেশ

জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মোহাম্মদ কামারুজ্জামানের বিরুদ্ধে অপহরণ, নির্যাতন, হত্যা, ধর্ষণসহ একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের পাঁচটি অভিযোগ সুনির্দিষ্টভাবে প্রমাণিত হয়েছে। এর মধ্যে দুটি অভিযোগে তাঁকে সর্বোচ্চ শাস্তি ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার আদেশ দেওয়া হয়েছে। অন্য দুটি অভিযোগে যাবজ্জীবন ও আরেকটি অভিযোগে ১০ বছরের কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার বিচারপতি ওবায়দুল হাসান, বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও মো. শাহিনুর ইসলাম সমন্বয়ে গঠিত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ এ রায় ঘোষণা করেন। মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার এটি চতুর্থ রায়।
কামারুজ্জামানের বিরুদ্ধে থাকা সাতটি অভিযোগের মধ্যে ১, ২, ৩, ৪ ও ৭ নম্বর অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে। ৫ ও ৬ নম্বর অভিযোগ রাষ্ট্রপক্ষ প্রমাণ করতে পারেনি বলে জানান ট্রাইব্যুনাল-২। এ দুটি অভিযোগ থেকে তাঁকে খালাস দেওয়া হয়।

রায় পড়া শুরু

কামারুজ্জামানের বিরুদ্ধে আজ বেলা ১১টা ২২ মিনিটে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২-এর সদস্য বিচারপতি মো. শাহিনুর ইসলাম রায় পড়া শুরু করেন। বেলা দুইটার দিকে ট্রাইব্যুনাল দণ্ড ঘোষণা করেন।
এর আগে বেলা ১১টা ১০ মিনিটে এজলাসে আসেন বিচারপতিরা। ১১টা ৫ মিনিটে ট্রাইব্যুনালের কাঠগড়ায় কামারুজ্জামানকে তোলা হয়।
এরপর ১১টা ১৮ মিনিটে ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান সূচনা বক্তব্য দেন। তিনি বলেন, আজকের এ রায়টি ২১৫ পৃষ্ঠার। এতে ৬৫১টি অনুচ্ছেদ রয়েছে। এ রায়ের ৬২ পৃষ্ঠার সারাংশ পড়া হবে। ৬২ পৃষ্ঠার সংক্ষিপ্ত এ রায়ের প্রথম অংশ পড়েন বিচারপতি মো. শাহিনুর ইসলাম। দ্বিতীয় অংশটি পড়েন বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া। রায়ের তৃতীয় অংশটি পড়েন বিচারপতি ওবায়দুল হাসান।
সূচনা বক্তব্যে ওবায়দুল হাসান ট্রাইব্যুনাল-২-এর সাবেক চেয়ারম্যান ও বর্তমান ট্রাইব্যুনাল-১-এর চেয়ারম্যান এ টি এম ফজলে কবীরকে ধন্যবাদ জানান। একই সঙ্গে রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামিপক্ষের আইনজীবীদের ধন্যবাদ জানান তিনি।

ট্রাইব্যুনালে কামারুজ্জামান

ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে আজ সকাল সাড়ে নয়টার দিকে কামারুজ্জামানকে শিশু একাডেমীসংলগ্ন ফটক দিয়ে ট্রাইব্যুনালে নেওয়া হয়। এরপর ট্রাইব্যুনালের কাঠগড়ায় তোলার আগ পর্যন্ত তাঁকে হাজতখানায় রাখা হয়।
রায় ঘোষণা উপলক্ষে কামারুজ্জামানকে কাশিমপুর কারাগার থেকে গতকাল সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে নিয়ে আসা হয়।

ফিরে দেখা

ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেওয়ার অভিযোগে করা মামলায় ২০১০ সালের ২৯ জুলাই কামারুজ্জামানকে গ্রেপ্তার করা হয়। ওই বছরের ২ অক্টোবর তাঁকে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়। ২০১১ সালের ১১ ডিসেম্বর ট্রাইব্যুনাল-১-এ তাঁর বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করে রাষ্ট্রপক্ষ। ২০১২ সালের ১৬ এপ্রিল মামলাটি ট্রাইব্যুনাল-২-এ স্থানান্তর করা হয়।
ট্রাইব্যুনাল-২ কামারুজ্জামানের বিরুদ্ধে ২০১২ সালের ৪ জুন মানবতাবিরোধী অপরাধের সাতটি অভিযোগ গঠন করেন। ২ জুলাই এ মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের সাক্ষ্য নেওয়া শুরু হয়। তদন্ত কর্মকর্তাসহ রাষ্ট্রপক্ষের ১৮ জন সাক্ষী সাক্ষ্য দেন এবং আসামিপক্ষে সাক্ষ্য দিয়েছেন পাঁচজন। উভয় পক্ষের সাক্ষ্য নেওয়া শেষে চলতি বছরের ২৪ মার্চ রাষ্ট্রপক্ষের যুক্তি উপস্থাপন শুরু হয় এবং শেষ হয় ৩১ মার্চ। আসামিপক্ষের যুক্তি উপস্থাপন ২ এপ্রিল শুরু হয়ে ১৫ এপ্রিল শেষ হয়। যুক্তি উপস্থাপন শেষে ১৬ এপ্রিল মামলাটি রায়ের জন্য অপেক্ষাধীন রাখেন ট্রাইব্যুনাল।

সাত অভিযোগ

কামারুজ্জামানের বিরুদ্ধে প্রথম অভিযোগ হলো, একাত্তরের ২৯ জুন তাঁর নেতৃত্বে আলবদররা শেরপুরের ঝিনাইগাতী থানার রামনগর গ্রামের বদিউজ্জামানকে অপহরণ ও নির্যাতনের পর গুলি করে হত্যা করে।
দ্বিতীয় অভিযোগ অনুযায়ী, কামারুজ্জামান ও তাঁর সহযোগীরা শেরপুর কলেজের অধ্যক্ষ সৈয়দ আবদুল হান্নানকে প্রায় নগ্ন করে শহরের রাস্তায় হাঁটাতে হাঁটাতে চাবুকপেটা করেন।
তৃতীয় অভিযোগ, ২৫ জুলাই কামারুজ্জামানের পরামর্শে পরিকল্পিতভাবে আলবদর ও রাজাকার বাহিনী পাকিস্তানি সেনাদের নিয়ে শেরপুরের নালিতাবাড়ীর সোহাগপুর গ্রামে নির্বিচারে হত্যাকাণ্ড চালায় ও নারীদের ধর্ষণ করে।
চতুর্থ অভিযোগ, কামারুজ্জামানের নির্দেশে আলবদর বাহিনীর সদস্যরা গুলি করে শেরপুরের গোলাম মোস্তফাকে হত্যা ও আবুল কাসেমকে আহত করে।
পঞ্চম অভিযোগ অনুসারে, মুক্তিযুদ্ধকালে কামারুজ্জামান ও সহযোগীরা শেরপুরের লিয়াকত আলী ও মুজিবুর রহমান পানুকে অপহরণ ও নির্যাতন করে।
ষষ্ঠ অভিযোগ, একাত্তরের নভেম্বরে কামারুজ্জামানের নির্দেশে আলবদররা টুনু ও জাহাঙ্গীরকে আটকের পর নির্যাতন করে। টুনুকে হত্যা করা হয়।
সপ্তম অভিযোগে বলা হয়েছে, কামারুজ্জামান ও আলবদরের সদস্যরা ছয়জনকে বেয়োনেট দিয়ে খুঁচিয়ে হত্যা করে।

রায় ঘিরে ট্রাইব্যুনালের নিরাপত্তা

এ রায়কে কেন্দ্র করে ট্রাইব্যুনাল এলাকায় নিরাপত্তাবেষ্টনী গড়ে তোলা হয়েছে। ওই এলাকায় পুলিশ, র্যাবসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিপুলসংখ্যক সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। এ ছাড়া নিরাপত্তার অংশ হিসেবে প্রেসক্লাবসংলগ্ন কদম ফোয়ারা সড়ক, শিক্ষা ভবনসংলগ্ন সড়ক, দোয়েল চত্বরসংলগ্ন সড়ক ব্যারিকেড দিয়ে আটকে দেওয়া হয়েছে। ফলে ওই সব সড়ক দিয়ে সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। তবে পথচারীরা চলাচল করতে পারছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা কাউকে সন্দেহ হলে তাঁর পরিচয়পত্র দেখছেন।
নিরাপত্তাব্যবস্থা নিয়ে পুলিশের রমনা অঞ্চলের অতিরিক্ত কমিশনার এস এম শিবলী নোমান জানান, এর আগে তিনটি রায় হয়েছে। রায়ের পরবর্তী পরিস্থিতি মাথায় রেখে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তাব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
আদালত চত্বরের প্রতিটি পয়েন্টে নেওয়া হয়েছে বাড়তি নিরাপত্তা। ট্রাইব্যুনালের প্রবেশমুখে গণমাধ্যমকর্মীদের সরব উপস্থিতি লক্ষণীয়।

আগের তিন রায়

চলতি বছরের ২১ জানুয়ারি মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার প্রথম রায়ে ট্রাইব্যুনাল-২ জামায়াতের সাবেক সদস্য (রুকন) পলাতক আবুল কালাম আযাদকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেন। একই ট্রাইব্যুনাল ৫ ফেব্রুয়ারি জামায়াতের আরেক সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল আবদুল কাদের মোল্লাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দেন। ২৮ ফেব্রুয়ারি ট্রাইব্যুনাল-১ সাঈদীকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেন। কাদের মোল্লা ও সাঈদীর দণ্ডাদেশের বিরুদ্ধে করা আপিল বিচারাধীন রয়েছে আপিল বিভাগে। ট্রাইব্যুনাল-১-এ অপেক্ষাধীন রয়েছে জামায়াতের সাবেক আমির গোলাম আযমের বিরুদ্ধে মামলার রায়।

Wednesday, May 8, 2013

শুটিংয়ে আহত কারিনা

ছবির শুটিং করতে গিয়ে আহত হয়েছেন বলিউডের অভিনেত্রী ও পতৌদির নবাব পরিবারের বউ কারিনা কাপুর খান। অবশ্য কারিনার আঘাত খুব বেশি গুরুতর নয়। সম্প্রতি পুনিত মালহোত্রার ‘গোরি তেরে পেয়ার মে’ ছবির শুটিং করতে গিয়ে আহত হন বলিউডের অন্যতম জনপ্রিয় এ তারকা অভিনেত্রী।
ঝুঁকিপূর্ণ বিভিন্ন দৃশ্যে বলিউডের তারকাদের অংশ নেওয়ার প্রবণতা দিনকে দিন বেড়েই চলেছে। নিজের চরিত্রটি যতটা সম্ভব বাস্তবসম্মত করে পর্দায় ফুটিয়ে তোলার তাগিদ থেকেই তাঁরা এমনটা করেন। কিন্তু স্টান্টম্যানের পরিবর্তে নিজেরাই এসব দৃশ্যে অভিনয় করতে গিয়ে মাঝেমধ্যেই দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছেন তাঁরা।
গত রোববার সহ-অভিনেতা ইমরান খানের সঙ্গে ‘গোরি তেরে পেয়ার মে’ ছবির ঝুঁকিপূর্ণ একটি দৃশ্যে অভিনয় করতে গিয়ে আহত হন কারিনা। দৃশ্যটিতে অভিনয় শুরুর আগে তাঁকে স্টান্টম্যান নিতে বলা হয়েছিল। কিন্তু তিনি রাজি হননি। দুর্ঘটনায় কারিনার আঘাত খুব বেশি গুরুতর নয়। আহত হওয়ার পরও দৃশ্যটির শুটিং শেষ করে পেশাদার মনোভাবের পরিচয়ই দিয়েছেন এ তারকা। এক খবরে এ তথ্য জানিয়েছে ‘মিড-ডে’।
‘গোরি তেরে পেয়ার মে’ ছবির দলের এক সদস্য জানান, দড়ির ওপর দিয়ে হাঁটার দৃশ্যে অভিনয় করছিলেন ইমরান ও কারিনা। অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে ভারসাম্য রক্ষা করে দড়ির ওপর দিয়ে হাঁটতে শুরু করেন কারিনা। পুরু পাটের দড়ির ঘষায় কিছুক্ষণ পর তাঁর পায়ে কালশিরা পড়ে যায়। তাঁর পায়ের ক্ষতচিহ্নটা দেখে মনে হচ্ছিল যেন পুড়ে গেছে। আহত হওয়ার পর সামান্য বিরতি নিয়ে আবার শুটিং করেন তিনি।

হরতালে এইচএসসি পরীক্ষা পেছাল

বিএনপির নেতৃত্বাধীন ১৮-দলীয় জোট ও হেফাজতে ইসলামের ডাকা হরতালের কারণে আগামীকাল বৃহস্পতিবার (৯ মে) ও রোববারের (১২ মে) এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা পেছানো হয়েছে।
পরিবর্তিত সময়সূচি অনুযায়ী, ৯ মে এর পরীক্ষা হবে ৩১ মে। ওই দিন সকালের পরীক্ষা হবে নয়টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত। আর বিকেলের পরীক্ষা হবে বেলা দুইটা থেকে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত। ১২ মে এর পরীক্ষা হবে আগামী ১ জুন।
ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান তাসলিমা বেগম আজ বুধবার  এ তথ্য জানান। এ নিয়ে হরতালের কারণে চলতি বছর ছয় দিনের এইচএসসি পরীক্ষা পিছিয়েছে।

ছয় মাসে ১০ কোটি উইন্ডোজ ৮ বিক্রি

ছয় মাসে মাইক্রোসফটের নতুন অপারেটিং সিস্টেম উইন্ডোজ ৮-এর ১০ কোটি লাইসেন্স বিক্রি হয়েছে। ২০১২ সালের অক্টোবর মাসে উইন্ডোজ ৮ বাজারে এনেছিল বিশ্বের বৃহত্ সফটওয়্যার নির্মাতাপ্রতিষ্ঠানটি।
বাজার-বিশ্লেষকেরা ধারণা করছেন, শিগগিরই উইন্ডোজ ৮-এর আপডেট আনতে পারে মাইক্রোসফট। উইন্ডোজ ব্লু নামের নতুন সংস্করণটি তখন ছোট আকারের ট্যাবলেট কম্পিউটারে ব্যবহারের উপযোগী হবে। এক খবরে এ তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
বাজার-গবেষকেরা জানিয়েছেন, উইন্ডোজ ৮ হচ্ছে মাইক্রোসফটের টাচ বা স্পর্শ প্রযুক্তিবান্ধব প্রথম অপারেটিং সিস্টেম। তবে উইন্ডোজের এ সংস্করণটি দর্শকদের মনে আগ্রহ জাগাতে পারেনি। উইন্ডোজ ৭-এর তুলনায় এর বিক্রির গতিও কম। গবেষকদের মতে, উইন্ডোজনির্ভর ডেস্কটপ কম্পিউটার বিক্রি কমে গেছে। ট্যাবলেটের বাজারেও অ্যাপলের আইপ্যাড ও স্যামসাংয়ের অ্যান্ড্রয়েডনির্ভর ট্যাবলেটের সঙ্গেও তেমন একটা প্রতিদ্বন্দ্বিতা গড়তে পারেনি মাইক্রোসফট। এসব কারণে মাইক্রোসফটের নতুন এই অপারেটিং সিস্টেম কোনো আগ্রহ জাগাতে পারেনি? সব ঠিকঠাক আছে তো? এই অপারেটিং সিস্টেমে পরিবর্তন আসবে কি? এমন প্রশ্ন উইন্ডোজ-ভক্তদের মনে জাগতেই পারে। মাইক্রোসফটের উইন্ডোজ বিভাগের কর্মকর্তা তামি রেলার এসব প্রশ্নের উত্তরে জানিয়েছেন, উইন্ডোজ ৮ সংস্করণটিতে যত দ্রুত সম্ভব পরিবর্তন আনতে কাজ করছে মাইক্রোসফট। এ সংস্করণটির কী কী পরিবর্তন আনা দরকার, তা নিয়েই বর্তমানে কাজ করছে মাইক্রোসফট। শিগগিরই এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে তথ্য প্রকাশ করবে প্রতিষ্ঠানটি। এসব উত্তরের পাশাপাশি তামি রেলার জানিয়েছেন, কম্পিউটার নির্মাতা লেনোভো, এইচপি, আসুস উইন্ডোজনির্ভর টাচ প্রযুক্তির নতুন নতুন মডেলের ল্যাপটপ বাজারে আনার পরিকল্পনা করছে।

দ্রুতগতির ট্যাব ও স্মার্টফোন প্রসেসর আনছে ইনটেল

পরবর্তী প্রজন্মের স্মার্টফোন প্রসেসর তৈরির অবকাঠামো ‘সিলভারমন্ট’ তৈরির কাজে হাত দিয়েছে চিপ নির্মাতাপ্রতিষ্ঠান ইনটেল।
প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, স্মার্টফোন ও ট্যাবলেটের জন্য বিশেষভাবে তৈরি সিলভারমন্ট অবকাঠামো নির্ভর প্রসেসরগুলো উন্নত পারফরমেন্স দেখাবে। জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
মোবাইল প্রসেসরের বাজারে যুক্তরাজ্যের প্রতিষ্ঠান এআরএম এখন আধিপত্য ধরে রেখেছে। এআরএমের তৈরি প্রযুক্তিতে কোয়ালকম, এনভিডিয়া, মিডিয়াটেক, অ্যাপল ও স্যামসাং মোবাইল ফোনের জন্য মাইক্রোপ্রসেসর তৈরি করে। আর এই এআরএমের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নামতেই পরবর্তী প্রজন্মের ‘সিলভারমন্ট’ মোবাইল প্রসেসর আর্কিটেকচার তৈরির ঘোষণা দিয়েছে ইনটেল।
সিলভারমন্ট আর্কিটেকচারের ওপর নির্ভর করে পরবর্তী প্রজন্মের অ্যাটম প্রসেসর ‘বে ট্রেইল’ ও ‘মেরিফিল্ড’ প্রসেসর তৈরি করতে পারে ইনটেল। এ প্রসেসরগুলো স্মার্টফোন ও ট্যাবলেটের উপযোগী হবে।
ইনটেল জানিয়েছে, ট্যাবলেটের জন্য তৈরি ‘বে ট্রেইল’ প্রসেসর চলতি বছরের শেষ নাগাদ বাজারে আসবে আর ২০১৪ সালে বাজারে আসবে স্মার্টফোনের জন্য বিশেষভাবে তৈরি ‘মেরিফিল্ড’ প্রসেসরটি।
বর্তমানে মুঠোফোনের জন্য তৈরি অ্যাটম প্রসেসরের কাঠামো ২০০৮ সালে উন্মুক্ত করেছিল ইনটেল। প্রায় পাঁচ বছর পর ৬ মে নতুন মোবাইল প্রসেসরের প্রযুক্তি তৈরির ঘোষণা দিয়েছে ইনটেল।
ইনটেলের দাবি, নতুন প্রসেসরগুলো দক্ষতার দিক থেকে বর্তমানে বাজারে থাকা প্রসেসরের তুলনায় তিন গুণ কার্যক্ষম হবে এবং এটি পাঁচ গুণ শক্তি সাশ্রয়ী। নতুন প্রজন্মের এ প্রসেসরগুলো হবে আট কোরের বেশি। বর্তমানে অধিকাংশ স্মার্টফোনে ডুয়াল কোর আর ট্যাবলেটে কোয়াড কোরের প্রসেসরই ব্যবহূত হচ্ছে।